ভালোবাসার_ফোড়ন পর্ব_৩০

ভালোবাসার_ফোড়ন পর্ব_৩০
#মিমি_মুসকান ( লেখনিতে )

মা তাড়াহুড়ো করে নিচে আসলে দাদী হেসে হেসে মা কে বললেন…

– বুঝলে আয়ানা’র মা। এতোদিন আমি দাদী ছিলাম আজ সেই সুসংবাদ তুমিও পেলে।

দাদী’র কথা শুনে মা আমার দিকে তাকান। আমি বেকুব’র মতো তাকিয়ে আছি। মা তাড়াতাড়ি করে আমাকে নিয়ে সোফায় বসান। দাদী তার বান্ধবীরা এসে আমাকে দেখে বলছেন আমি প্রেগন্যান্ট। আমি হা করে তাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। মা যেন খুশিতে আত্মহারা। সার্ভেন্ট কে পাঠালেন মিষ্টি আনতে। আমি বললামও আমি প্রেগন্যান্ট না। তখন দাদী’র এক বান্ধবী এসে আমার পেটে হাত রাখলেন। বললেন আমি নাকি সত্যি’ই প্রেগন্যান্ট। আমি মা কে না বলছি তখন দাদী বললেন…

– আরে মেয়ে এটা নিয়ে এতো চিন্তার কি আছে। তোমাকে দেখেই আমার সব সই রা আগেই বলেছে তোমার কথা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করে নি লা। এখন করছি। তোমার হাবভাব দেখে আমার কাছেও এমন লাগছে। আর বিয়ে যখন হয়েছে তখন বাচ্চা তো হবেই। আমাদের অভিজ্ঞতা আছে বুঝলে। কোনটা বাচ্চার মা আর কোনটা কুমারী এটা আমরা দেখেই বুঝতে পারি।

আমি হা করে তাদের কথা শুনছি। কি বলছে এইসব। সত্যি’ই কি তবে আমি ছিঃ ছিঃ ছিঃ এটা কি করে হতে পারে। কিন্তু যদি আহিয়ান জানে। তখন… উনি কি বলবেন এসব শুনে! আমার মাথা আবার ঘুরতে লাগল। সবাই আমাকে দেখে ধরে রুমে নিয়ে গেল। মা আমার পাশে বসে আছেন। আমি তাকে বলছি এমন কিছু না। তারা ভুল বুঝছে কিন্তু দাদী না বলেই যাচ্ছে। আর মা ও দাদী’র‌ কথাই শুনছে। তারা আমাকে বিশ্রাম করতে বলে চলে গেছে।‌ খুব কান্না পাচ্ছে এখন আমার। উনি এসব শুনলে কি বলবে। কি ভাববে? আচ্ছা যদি সত্যি’ই আমি… না না এটা কিভাবে হতে পারে। এটা কোনো ভাবেই সম্ভব না। কিন্তু যদি আহিয়ানও বিশ্বাস করে। তখন…

বিছানায় ‌বসে কাঁদছি হঠাৎ গাড়ি’র আওয়াজ পেলাম। আমি দৌড়ে বেলকনিতে গিয়ে দেখি উনার গাড়ি তার মানে উনি এসে গেছেন। আমি চোখ মুছে দৌড়ে বার হলাম। আমি উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখছি, উনি ভিতরে আসার সাথে সাথে সবাই উনাকে ঘিরে ধরেছে। দাদী উনাকে মিষ্টি খাওয়াচ্ছে কিন্তু সব উনার মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। উনি জিজ্ঞেস করলেন…

– কি হয়েছে? কি শুরু করলে তোমরা এইসব?

– আরে এখন তো কম’ই আরো খেতে হবে তোকে!

– কেন গো আমার নতুন দাদা আসছে বুঝি!

সবাই হেসে বলেন…
– তা তো আসছে তার সাথে আরেকজন ও আসছে!

উনি এবার একটু বিচলিত হন। দাদী হাসতে হাসতে বলেন…
– বুঝলি আহি তোর মা এবার আমার মতো দাদী’র ডাক শুনতে পাবে!

– মানে?

– মানে কি রে তুই বাপ হচ্ছিস রে বাপ!

– ওহ আচ্ছা! কিহহহ! কি…কি হচ্ছি আমি!

– বাবা হবি বাবা! নে এবার মিষ্টি খাওয়া শুরু কর।

উনি মিষ্টি কি খাবে? কাশতে শুরু করে। সবাই উনাকে ধরে সোফায় বসান। উনার কাশি ধামছে না। আমি দৌড়ে সিঁড়ি থেকে নিচে এলাম। মা উনাকে পানি খাওয়ালেন। ঢক ঢক করে এক গ্লাস পানি খেয়ে মা কে বললেন”আরো এক গ্লাস পানি দাও”। উনি ঘামতেও শুরু করেছেন। দাদী হেসে বলেন…
– দেখলে আমার নাতী’র কান্ড। খুশিতে যেন পাগল হয়ে গেছে।

এদিকে উনি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি উনার দিকে তাকিয়ে আছি। উনি বেশ রেগে আছে।‌ হুট করেই সবার সামনে থেকে উঠে আমার কাছে এসে হাত টেনে রুমে নিয়ে গেলেন। সবাই আরো জোরে জোরে হাসতে থাকে।

রুমে এসে উনি আমার হাত ছেড়ে দরজা আটকান। অতঃপর আমার দিকে তাকিয়ে থাকেন।‌ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ‌। উনি গম্ভীর স্বরে বলেন…
– কার বাচ্চা এটা?

উনার কথা শুনে আমার চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরে। কি বলবো বুঝতে পারছি না। আমার হাত পা কাঁপতে শুরু করে। আমি কাঁপা কাঁপা গলায় বলি…
– ব..বা.. বাচ্চা!

– হ্যাঁ বাচ্চা যার কথা নিচের সবাই বলছে। কার বাচ্চা এটা। তুমি তো আমাকে কিছু বলো নি এই বাচ্চা’র ব্যাপারে কখনো। কি লুকিয়ে রেখেছিলে কেন?

উনার কথায় বুঝতে পারছি উনি আমাকে বিশ্বাস করছেন না। আমি ধপ করে নিচে বসে পরি।‌ জোরে জোরে কাঁদতে থাকি। আর বলতে থাকি…
– বিশ্বাস করুন, আমি কিছু জানি না। কোনো বাচ্চা নেই। সবাই মিথ্যে বলছে।

উনি নিশ্চুপ হয়ে আছেন। কোনো কথা বলছেন না। তার মানে উনি আমার কথা বিশ্বাস করছে না। এখন কি হবে? আমি আরো জোরে কাঁদতে থাকি। কাঁদতে কাঁদতে বলতে থাকি….
– আপনি বিশ্বাস করুন, আমি সত্যি’ই‌ কিছু জানি না। তারা কি থেকে কি বলছে।

উনি এখনো কিছু বলছেন না।‌আমি কাঁদতে কাঁদতে ‌এবার হেঁচকি ওঠে যায়। উনি হুট করেই নিচে বসে আমার গালে হাত রেখে বলে…
– আরে আরে নিহা! কান্না থামাও আমি জানি তুমি প্রেগন্যান্ট নও। আমি তো মজা করছিলাম। এই নিহা!

আমি এবার কান্না থামিয়ে উনার দিকে তাকাই। দেখি উনি মুখ টিপে হাসছে। মেজাজ গেলো বিগড়ে।

– আপনি! তার মানে আপনি!

– সরি! আসলে সারাদিন কোনো ‌ঝগড়া হয় নি তোমার সাথে তাই!

– তাই আপনি!

উনি উঠে গেলেন। আমি উঠে রেগে উনাকে ধমকাছি। এক পর্যায়ে উনি আর আমি খাটের এ পাশ থেকে ওপাশে দৌড়াদৌড়ি করছি। উনি হাসছেন আর বলছেন “আমার ভূতনি কে কাঁদলে এতো সুন্দর লাগে আমি তো আগে জানতাম ‌না” ইত্যাদি আরো নানা কথা বলে আমাকে জ্বালাচ্ছেন। আমি উনাকে বালিশ ছুড়ে মারছি। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।‌ একসময় আমি খাটে বসে কাঁদতে থাকি। আর বলতে থাকি…
– মজা করছে, সবাই মজা করছে আমাকে নিয়ে। কেউ আমার কোনো কথাই শুনছে না।

উনি এবার আমার কাছে এসে বলেন..
– নিহা সরি আসলে আমি..

দাঁড়িয়ে উনার কাছে গিয়ে…
– কি আপনি? হুম কি আপনি! জানেন কতোটা ভয় পেয়েছিলাম আমি! এ্যা এ্যা এ্যা…

– নিহা নিহা নিহা! আর কেঁদো না।‌

– কথা বলবেন না আমার সাথে!
উনাকে কিল ঘুষি মারতে থাকি। এক পর্যায়ে উনি আমার হাত ধরে জরিয়ে ধরে। আমি উনাকে ধরে কেঁদেই যাচ্ছি। উনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। প্রায় অনেকক্ষণ এভাবে থাকার পর একসময় আমি কান্না থামাই। উনি আমাকে ধরে গালে হাত ধরে চোখ মুছিয়ে বলে.. “আর কেঁদো না”।

– আপনি’ই‌ তো কাঁদালেন আমায়!

– আচ্ছা সরি সরি,‌কতো‌বার‌ সরি বলালে তুমি আমায় দিয়ে। আমার শার্ট পুরো ভিজিয়ে ফেলেছো কেঁদে কেঁদে!

– ভালোই করেছি!

– আচ্ছা কি হয়েছে বলো তো!

অতঃপর আমি উনাকে প্রথম থেকে শুরু করে সব বললাম। সব শুনে উনি হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার অবস্থা। আমি কপাল কুঁচকে বলি…
– করো পৌষ মাস কারও সর্বনাশ!

হাসতে হাসতে বলেন…
– হ্যাঁ ঠিক বলেছো আমার পৌষ মাস আর তোমার সর্বনাশ!

আমি রেগে বালিশ উনার দিকে ছুড়ে মারি! উনি তবুও হাসছে। আমি রেগে বলে উঠি…

– এতো হাসছেন কেন? হাসির কি হয়েছে শুনি?

– হাসবো না আবার! তোমার একটু মাথা ঘুরার কারনে সবাই কি না কি ভেবে ফেলল।

– মজা নিচ্ছেন!

– আরে না!

– তাহলে ভাবুন কি করে সবাইকে বোঝাবেন। আমার মাথায় কাজ করছে না।

– তোমার মাথা কাজ করে কবে?

– ধুর রাখুন ছাতার মাথা!

– আচ্ছা চলো!

– কোথায় যাবো।

– ঘুরতে যাবা?

– আপনি আবার মজা করছেন?

– বক বক না করে চলো তো!

বলেই আমার হাত ধরে নিচে নিয়ে গেল।‌ সবাই তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। দাদী বলে ওঠে…
– কি রে নাতবউ, কি কথা বললে এতোক্ষণ!

আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। উনি বলে উঠেন…
– আমরা একটু বাইরে যাচ্ছি!

– এতো রাতে! এই সময়ে দরকার নেই!

– আছে ডাক্তার এর কাছে যাচ্ছি ‌

মা বলে উঠেন…
– ডাক্তার এর কাছে? কেন কি হয়েছে সব ঠিক আছে তো! নিহা!

– মা সব ঠিক আছে। আমি নিহা কে চেকাপ করাতে নিয়ে যাচ্ছি!

– চেকাপ!

– তোমরা যা বলছো তাই সিউর হবার জন্য।

দাদী বলে উঠেন…
– কেন রে আহি তোর দাদী’র কথা তুই বিশ্বাস করিস না!

– এমন না দাদী কিন্তু এই যুগে মুখের কথায় কিছু হয় না তাই! আমি আসছি।

– কি যুগ রে বাবা, গুরুজনের কথাই বিশ্বাস করে না।দেখবি আসার সময় মিষ্টি তোকে আনতেই হবে!
.
অতঃপর উনি আমাকে চেকাপ করিয়ে রিপোর্ট নিয়ে বাসার আসার জন্য রওনা হলেন। কিন্তু রিপোর্ট আমাকে দেখালেন না এমনকি বললেন ও না কি হয়েছে। অনেক জিজ্ঞেস করার পরও কোনো উওর পেলাম না শুধু একটাই কথা বাসায় গিয়ে বলবো।
বাসায় আসার সময় একগাদা মিষ্টি কিনলেন। কিন্তু কেন? সবকিছু আমার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছে। তার পর উনার ‌মুখ টা খুব গম্ভীর। এদিকে টেনশনে আমার অবস্থা খারাপ হচ্ছে।

বাসায় এসে দাদী আর মা ছুটে আসেন আমাদের কাছে। তারা একের পর এক প্রশ্ন করেই যাচ্ছে। উনি হুট করে দাদী’র মুখে একটা মিষ্টি দিয়ে দেন। মা জিজ্ঞেস করেই যাচ্ছে রিপোর্ট কি?

উনি শান্ত গলায় বললেন..
– রিপোর্ট পজেটিভ!

উনার কথায় আমি বড় বড় চোখ করে উনার দিকে তাকিয়ে আছি। মা খুশিতে আত্মহারা। দাদী বলেন..
– দেখেছো! আমি বললাম না নাত বউ মা হতে যাচ্ছে।

উনি হেসে বলেন..
– জ্বি না এরকম কিছু না!

উনার কথায় আমি উনার মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। মা অবাক হয়ে বলেন…
– কিন্তু তুই তো বললি রিপোর্ট পজেটিভ!

– হ্যাঁ পজেটিভ! আমি যা ভেবেছি সে হিসাবে আমার কাছে পজেটিভ। কিন্তু তোমাদের কাছে নেগেটিভ!

দাদী বলেন..
– আর এই খুশিতে তুই মিষ্টি এসেছিস!

– উনি মাথা নাড়েন!

– আয়ানা’র মা বাবা লাঠি টা দে তো। ওর মাথা থেকে ভুত তাড়াতে হবে।

উনি ফিসফিসিয়ে আমাকে বলে…
– ভূতনি আমার মাথায় ভর করে আছে এটা তো আর দাদী জানে না

আমি রেগে উনার দিকে তাকাই। এদিকে দাদী এসে উনার কান ধরে কিছুক্ষণ ঘুরান। আমি মা’র দিকে তাকাই। উনার মুখটা মলিন হয়ে গেছে। কিন্তু খানিকক্ষণ পর ‌উনি হেসে আমার কাছে এসে বলেন…
– নিহা! ঠিক আছো তুমি! আসলে মা বুঝোই তো এই আনন্দে এতোটা আত্নহারা ছিলাম যে তোমার কথা আমি শুনি নি। তোমার কথা শোনা উচিত ছিল আমার।

উনি বলে উঠেন…
– আরে মা দাদী তো আগের যুগের তাই এমন ভুল করলো আর তুমিও তার কথায় নাচলে। এজন্য’ই বলে মেয়েরা সবসময় এক লাইন বেশি বুঝে।

বলেই উনি জোরে জোরে হাসতে থাকে। দাদী এসে উনার কান আবার মলে দেন। আর বলেন…
– কি পাজি ছেলে এভাবে মায়ের সাথে মজা করছিস!

– তো কি করবো বলে। বাট তুমি কষ্ট পেয়ো না আমি একটা সুন্দর দাদা পেয়েছি।

– তবে রে…
উনি দৌড়ে উপরে চলে গেলেন। এখানে সবাই হাসতে থাকেন। মা আমাকে উপরে চলে যেতে বলেন। আমি রুমে এসে দেখি উনি এখনো হাসছেন। আমি রেগে উনার সামনে এসে কোমরে হাত রেখে বলি..
– এতো টেনশন কেন দেন আপনি আমায়!

– তোমায় আবার কি করলাম, বাই দ্যা ওয়ে টেনশন আমি না তুই দাও।

– ওহ্ আচ্ছা! তাহলে মিষ্টি আনলেন কেন বলেন তো!

– আরে দাদী বলেছিলো আসার সময় মিষ্টি আনতে তাই কেন এতে তোমার আবার কি হলো!

– কি আবার হবে, এমনেই তেই রিপোর্ট বলেন নি তার ওপর মিষ্টি এনে সবাইকে খাওয়াচ্ছেন। আমার অবস্থা কি হয়েছিল জানেন।

– আরে এতো ভয়‌ পাচ্ছো কেন? আমি আর তুমি দু’জনেই জানি এটা সম্ভব না। তাহলে এতো ভয় পাচ্ছো কেন?

– জানি না কিন্তু মনে হচ্ছিল যদি আপনি বিশ্বাস না করেন তাহলে…

উনি এসে আমার গালে দু হাত রেখে বলেন…
– তোমার আমার সম্পর্ক যেমন হোক না কেন আমি অনেক বিশ্বাস করি তোমায় বুঝলে।

উনার কথায় আমি ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটল। আসলেই খুব বিশ্বাস করেন উনি আমায়। আমি উনার চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। উনি‌ হেসে আমাকে বলেন..
– তুমি বসো আমি আসছি!

অতঃপর বাইরে চলে গেলেন। আমি খাটে বসলাম। খুব ক্লান্ত লাগছে আর ক্ষুধাও লেগেছে। কিছুক্ষণ পর উনি খাবার নিয়ে রুমে আসেন। অতঃপর আমার পাশে বসে আমাকে হা করতে বলেন। আমিও বাধ্য মেয়ের মতো হা করি, উনি এক লোকমা ভাত আমার মুখে দিয়ে বলেন..
– পরের বার থেকে ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করো নাহলে এরপর মাথা ঘুরে গেলে আমি আর সামলাতে পারবো না!
বলেই জোরে জোরে হাসতে থাকেন। উনার কথায় আমি মুখ ভেংচি দিয়ে খেতে থাকি।

রাতে বাবা আর আপু এসে সমস্ত কথা শুনে আরেকদফা হাসাহাসি হয়ে যায়। তখন লজ্জায় আমি মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকি। কিন্তু উনি, উনার হাসি যেন থামছেই না। তখন আমাকে কাঁদিয়ে ইচ্ছে মতো হেসেছেন তিনি আর এখনও হাসছেন। এদিকে দাদী আর ৩ দিন থেকেই চলে যান। বাবা মা অনেক ‌বলেছেন থাকতে কিন্তু উনি থাকেন নি।‌তবে যাবার আগে আমার ‌গলায়‌ একটা গহনা পরিয়ে আমাকে আদর করে যান।

#চলবে….

আগের পর্বের লিংক
‌https://www.facebook.com/groups/371586494563129/permalink/425409665847478/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here