ভালোবাসি আমি যে তোমায় পর্ব: ৩১

0
2489

#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়
#Sohani_Simu
পর্ব:৩১

ঘুম থেকে উঠে নিচে এসে দেখি নির্ভীক আর প্রান্ত ভাইয়া ব্রেকফাস্ট করছেন। আমিও টেবিলে বসে আম্মুকে বললাম,
আমি:আম্মু আমরা কখন এসেছি?

আম্মু:ভোরে।(প্লেটে খাবার তুলতে তুলতে)
আমি: নির্ভীক ভাইয়া আপনি আমাকে পাঁচ মিনিট পর ডেকে দেননি কেন?(উনার দিকে তাকিয়ে)

নির্ভীক:তুমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলে তাই ভাবলাম আর ডাকবো না।(মুচকি হেসে)

আমি:ধূর,গেইমটা খেলায় হলোনা।(মন খারাপ করে)
প্রান্ত:কিসের গেইম অ.., বোনু?(নির্ভীক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে)

আমি:বাতাসের কথা শোনার গেইম।জানালার পাশে মাথা দিয়ে পাঁচমিনিট চোখ বন্ধ করে রেখে বাতাসের কথা শুনতে হবে তারপর কে কি শুনলাম সেগুলো মিলাতে হবে তারপর নাকি অনেক মজা।

প্রান্ত:এমন গেইম কোথায় পেলে বোনু?(হাসতে হাসতে)
আমি:নির্ভীক ভাইয়া বলেছিলেন।

প্রান্ত:আমার বোনটাকে এভাবে বোকা….
নির্ভীক:এই চুপ,নিজের কথা বল না।পুরো রাস্তা নাক ডেকে ঘুমিয়েছিস।(মুচকি হেসে)
প্রান্ত:আমার দিকে তোর খেয়াল ছিল?যাক তাও ভাল।(হেসে)

আম্মু:আমি জানতাম অন্তকে দেখলেই আরাফ আবার পাগলামি করবে।(মুখ মলিন করে)

প্রান্ত:আরাফ ভাইয়া ভালই ছিল জানোতো অ্যান্টি, কি সুন্দর করে আমাদের সাথে গল্প করছি হঠাৎ বলল আমিও রাজশাহী যাব।জারিফ ভাইয়া রাজি হয়নি তাই লেগে গেল দুজন।

আরাফ ভাইয়ার কথা শুনতে আমার বিরক্ত লাগছে তাই প্লেট ঠেলে সরিয়ে রেখে হাত ধুয়ে রুমে চলে আসলাম।আসার সময় নির্ভীক ভাইয়া আর প্রান্ত ভাইয়া ডাকছিলেন খাওয়া শেষ করার জন্য কিন্তু আম্মু বলল,”থাক আমি পরে খাইয়ে দিব,আরাফের কথা ও পছন্দই করেনা তাই..।”

সারাদিন আম্মুর সাথে মজা করেই কাটিয়ে দিলাম।ইচ্ছে নেই সেজন্য নির্ভীক ভাইয়া আমাকে ভার্সিটি যেতে দেন নি।তবে আজ রাতেই ওরা ঢাকা থেকে আসবে।ওরা রওনা হয়েছে রাত ৮টার মধ্যেই চলে আসবে।তাই সন্ধ্যায় আমি আর আম্মু নির্ভীক ভাইয়াদের বাসায় এসেছি।

আম্মু,অ্যান্টি আর কমলা খালা সোফায় বসে গল্প করছে।আমার এসব বড়দের গল্প একদমই ভাল লাগছেনা তাই আশপাশটা ঘুরে দেখছি।যদিও আমি এই বাসার সবকিছু চিনি তাও সময় কাটানোর জন্য ঘুরছি।হঠাৎই মনে হলো পুরো বাসাটা চিনলেও নির্ভীক ভাইয়ার রুমে কখনও যাওয়া হয়নি।উনার রুম টা কেমন দেখতে এটা জানতে আমি খুবই আগ্রহী কিন্তু উনি তো আমাকে উনার রুমে ঢুকতেই দেন না।এখন নির্ভীক ভাইয়া বাসায় নেই আমি কি ঢুকে দেখবো উনার রুম?না না অনুমতি ছাড়া কারও রুমে ঢুকা ঠিক নয়।কিন্তু উনি তো আমার ফ্রেন্ড, ফ্রেন্ডের রুমে ঢুকতে আবার অনুমতি লাগে নাকি আর তাছাড়াও উনি আমার রুমে যখন তখন ঢুকে পরেন তাহলে আমি কেন উনার রুমে যাবো না,আমি এখনই উনার রুমে যাবো।যেই ভাবা সেই কাজ, চলে আসলাম উপরে।

উনার রুমের সামনে দাঁড়িয়ে আছি।দরজা এমনি ভিরিয়ে দেওয়া আছে।সব দ্বিধা দ্বন্দ্ব কাঁটিয়ে একটা দম ছেড়ে যেই দরজাতে হাত দিলাম অমনি কেউ আমাকে টেনে উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিল।আচমকা এমন হওয়ায় আমি হকচকিয়ে লাফিয়ে উঠেছি।তাকিয়ে দেখি নির্ভীক ভাইয়া আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছেন।আমি মুখ কাঁচুমাচু করে উনাকে বললাম,

আমি:আমি মানে আমি আপনার রুম দেখতে এসেছিলাম।

নির্ভীক:দেখবে তো কিন্তু এখন নয়।(মুচকি হেসে)
আমি:তাহলে কখন?(উনার চোখের দিকে তাকিয়ে)

নির্ভীক:এখনই দেখতে চাও?তাহলে একটা শর্ত,ভেতরে গেলে আর বাহিরে আসতে দিব না,যাবে?(মুচকি হেসে)

আমি:এটা কি ধরনের শর্ত?আপনার রুম লালবাগ কেল্লার সেই সুরুঙ্গ নাকি?যেখানে কেউ ঢুকলে আর বের হতে পারেনা।(ভ্রু কুচকে)

নির্ভীক:নট এ্যাট অল।(আমার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে)
আমি:তাহলে কেন ঢুকতে দিবেন না?ছাড়ুন আমি দেখবো।(হাত ছাড়াতে ছাড়াতে)

নির্ভীক:উহুম,এখন নয়।(আরও শক্ত করে ধরে)চলো ছাদে যাবো।(হাঁটতে হাঁটতে)

উনার কথা শুনে আমি মুখ ফুলিয়ে হাঁটতে থাকলাম আর মনে মনে ভাবলাম উনাকেও আর আমার রুমে ঢুকতে দিব না কিছুতেই না।যদি জোড় করে ঢুকতে চান তাহলে উনার ওই তরতরে নাকটা পান্চ মেরে ভোতা বানিয়ে দিব,হুহ্।

ছাদে এসে দোলনায় মুখ ফুলিয়ে বসে আছি।উনি আমার দিকে তাকিয়ে মিটি মিটি হাসছেন।আমি অন্যদিকে তাকালাম।উনি আমার গাল ধরে নিজের দিকে ঘুরিয়ে বললেন,

নির্ভীক:ভালোবাসা মানে অপেক্ষা।
আমি:হুম,তো?(ভ্রু কুচকে)

নির্ভীক:সবসময় ভালোবাসার মানুষের পথ চেয়ে বসে থাকার নাম ভালোবাসা।(আমার গাল ছেড়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে)

উনার কথার প্রতিউত্তরে কি বলতে হবে সেটা আমার জানা নেই তাই চুপ করে থাকলাম কিন্তু মথার মধ্যে হাজারও প্রশ্ন গিজ গিজ করতে লাগলো।উনি আবারও বললেন,
নির্ভীক:ভালোবাসলে অপেক্ষা করতেই হয়,এটা মাস্ট।আমার রুমে যাওয়ার জন্যও তোমাকে অপেক্ষা করতেই হবে।(মুচকি হেসে)

আমি:কেন?আমাকে কেন অপেক্ষা করতে হবে আপনি চাইলে আমি এখনি আপনার রুম দেখতে পারি।(মুখ ফুলিয়ে)

উনি হালকা হাসলেন।তারপর বললেন,
নির্ভীক:আচ্ছা আর কিছুদিন পর নিয়ে যাবো,ওকে?

আমি:ওকে।(থমথমে মুখ করে)

হঠাৎ উনার ফোনে কল আসলো উনি দোলনা থেকে উঠে ছাদের রেলিং এ হেলান দিয়ে দাঁড়ালেন তারপর বললেন,
নির্ভীক:হুম মিষ্টি বল।(মুচকি হেসে)

মিষ্টি:……….।

নির্ভীক:আজই?নো নো আই ক্যান্ট।(ভ্রু কুচকে)
মিষ্টি:………..।
নির্ভীক:ট্রাই টু আম্ডারস্ট্যান্ড,ভাইয়া আসছে কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে আসবে।এখন আমি যেতে পারবো না।
মিষ্টি:………..।
নির্ভীক:ইয়াহ।
মিষ্টি:…………।
নির্ভীক:লাভ ইউ ঠু,বাই।

বলেই উনি কল কাটলেন।আমি মলিন মুখে উনার দিকে তাকিয়ে আছি আর ভাবছি এই মিষ্টি নামের মেয়েটাই কি উনার সেই মায়াপরী যাকে উনি ভালোবাসার চেয়েও বেশি ভালোবাসেন?হঠাৎই আমার মন খারাপ হয়ে গেল।চারপাশ কেমন বর্ণহীন ফ্যাকাসে লাগছে।উনার দিকে তাকিয়ে দেখি ফোনে কি যেন করছেন আর মুচকি মুচকি হাসছেন।উনি কি মিষ্টির সাথে চ্যাট করছেন?উনি কি সত্যি মিষ্টিকে ভালোবাসেন?তাই হবে কারন আমি কখনও মেয়েদের ধারে কাছেও উনাকে দেখিনি আর আজ উনি লাভ ইউ বলছেন।নিশ্চয় স্পেশাল কেউ,মিষ্টি উনার গার্লফ্রেন্ডই হবে।

এসব ভেবে আমার বুকটা ভার হয়ে আসলো।মনের আকাশ যেন ঘন কালো মেঘে ছেয়ে গেছে,এখনই জোড়ছে বৃষ্টি নামবে।উনি এখনও হাসছেন আর চ্যাট করছেন।আমি কিছুতেই মেনে নিতে পারছিনা।কেন এমন হচ্ছে?হঠাৎ উনি আমার দিকে তাকিয়ে আমার কাছে এগিয়ে এসে বললেন,

নির্ভীক:হোয়াট হ্যাপেন্ড?(ফোন পকেটে ঢুকিয়ে)

আমি শুধু মাথা নাড়িয়ে না বললাম।উনি আমার পাশে বসে আমার গালে কপালে হাত দিয়ে বললেন,
নির্ভীক:শরীর খারাপ করছে?এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?(চিন্তিত হয়ে)

হাজার চেষ্টা করেও নিজেকে আর আটকাতে পারলাম না, কেঁদেই দিলাম।আমাকে এমন করে কাঁদতে দেখে উনি ভয় পেয়ে গেলেন।

নির্ভীক:কাঁদছো কেন?কি হয়েছে?বল আমাকে?(আমার দুই গাল ধরে ব্যস্ত হয়ে)

আমি কোন কথায় বলতে পারছিনা।কান্না থামানোর চেষ্টা করছি কিন্তু হেঁচকি উঠছে।জোড় করে কান্না থামাতে গেলে এমনই হয়।উনি আমাকে জড়িয়ে ধরে আবার বললেন,

নির্ভীক:কেন কাঁদছো এভাবে,ভয় পাচ্ছি তো আমি।বল না কি হয়েছে?কিছু দেখে ভয় পেয়েছো?দেখি ফোন দেখাও আমাকে,ওই লোকটা মেসেজ দিয়েছে?(ব্যস্ত হয়ে)

উনার থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চোখ মুছে বললাম,
আমি:আম্মুর কাছে যাবো।(ধরা গলায়)

নির্ভীক:আমার রুম দেখবা?চলো এখনই নিয়ে যাচ্ছি।কেঁদোনা প্লিজ।(আমার দুই গালে ধরে)

আমি:না আমি আম্মুর কাছে যাবো।(উঠে দাঁড়িয়ে)

বলেই এক দৌঁড় দিলাম।উনিও আমার পেছন পেছন আসছেন।ভাল করে চোখ মুছতে মুছতে নিচে নেমে এলাম।নিচে এসে দেখি সবাই চলে এসেছে। রাযীন ভাইয়া দাঁড়িয়ে থেকে সবার সাথে কথা বলছেন।ইচ্ছে আম্মুর কাছে দাঁড়িয়ে আছে। জারিফ ভাইয়াও ওখানেই দাঁড়িয়ে আছে।আমি ভাইয়ার কাছে যেয়ে ভাইয়াকে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে বললাম,
আমি:আপু আসেনি?বাবা কোথায়?

জারিফ:ওরা পরে আসবে।আফ্রার এক্সাম চলছে।

ভাইয়াকে ছেড়ে আমি ইচ্ছের পাশে যেয়ে দাঁড়ালাম।আড় চোখে নির্ভীক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি মলিন মুখে আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন।আমি ইচ্ছের দিকে তাকিয়ে ওকে বললাম,

আমি:বাসায় যাবি না?চল।

ইচ্ছে:হুম,যেয়ে ফ্রেশ হতে হবে।গরম লাগছে।ভাইয়া চলো বাসায় যাবো ফ্রেশ হওয়া লাগবে।(জারিফ ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে)

জারিফ:হুম চল,আম্মু যাবে?
আম্মু:হ্যা।

সবাইকে বলে আমরা বাসায় চলে আসলাম।নির্ভীক ভাইয়া আমাদের এগিয়ে দিতে বাসা পর্যন্ত এসেছিলেন।উনি আমার সাথে কয়েকবার কথা বলার চেষ্টা করেছেন কিন্তু আমি উনার সাথে কথাও বলিনি আর উনার দিকে দেখিও নি।আমার হঠাৎ এমন আচরণে আমি নিজেই খুব অবাক হচ্ছি।রুমে এসে লাইট অফ করে ডিম লাইট জ্বালিয়ে শুয়ে পড়লাম।ইচ্ছে বিরক্ত হয়ে বলল,

ইচ্ছে:এখনই ঘুমাবি?আমি তো..
আমি:আর একটা কথা বলবি তো মাথা ফাটিয়ে দিব,চুপচাপ শুয়ে পর।(রেগে)

ইচ্ছে:আরে আমি তো ফ্রেশই হতে পারলাম না তুই আগেই লাইট অফ করে দিলি,অন্ধকারে কিভাবে কি করবো?(বিরক্ত হয়ে লাইট অন করে)

আমি:১০মিনিট টাইম দিলাম এর মধ্যে যা করার করে নে।(ঝারি দিয়ে)

বলেই বেলকুনিতে চলে আসলাম।বেলকুনির লাইট অফ করে ফ্লোরে বসে থাকলাম।অন্ধকার ভাল লাগছে।আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখি লক্ষ কোটি তারা জ্বল জ্বল করছে,রাতের কালো আকাশ তারাদের আলোয় এক ভয়ংকর সুন্দর রঙে সেজেছে। এই রঙের নাম আমার জানা নেই।আমি এক দৃষ্টিতে তারাদের দিকে তাকিয়ে আছি।দপ দপ করে কয়েকটা পিচ্চি তারা জ্বলছে।নির্ভীক ভাইয়া এখানে থাকলে নিশ্চয় বলতেন “পিচ্চি হলে কি হবে তেজ আছে ষোল আনা” ভেবেই হেসে দিলাম। হাঠাৎ একটা তারা দেখে নির্ভীক ভাইয়াকে একটা তারার চোখটিপ দেওয়ার কথা মনে পরলো।তারারা যে মানুষকে চোখটিপ দেই উনার কাছেই প্রথম শুনেছিলাম।আজকেও একটা তারা আমাকে চোখটিপ দিল। আমি মুচকি হেসে ভাবলাম নির্ভীক ভাইয়াকে জানিয়ে এই তারাকে পানিশমেন্ট দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

ফোন হাতে নিয়ে উনাকে কল দিব এমন সময় ওই মেয়েটার কথা মনে পড়ে সব উল্টা পাল্টা হয়ে গেল। আবার বুকটা ভার হয়ে এলো,কান্না করে দিলাম।উনি অন্য কাউকে কেন লাভ ইউ বলবেন,হুয়াই?(মনে মনে)।
উনার উপর রাগ হচ্ছে আবার নিজের অজান্তেই উনার কথা ভেবে হাসছি।কি হচ্ছে এসব আমার সাথে।আমি মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছি।

ইচ্ছের ডাকে তাড়াহুরো করে চোখ মুছে নিলাম।ও বেলকুনিতে এসে আমাকে বলল,
ইচ্ছে:কিরে এখানেই ঘুমিয়ে গেলি নাকি?চল খাব,ক্ষুধা লেগেছে।

আমি:আমার ক্ষুধা নেই,ঘুম পাচ্ছে ডোন্ট ডিস্টার্ব মি।(মলিন মুখে)

বলেই রুমে গিয়ে শুয়ে পরলাম।ইচ্ছেও আমার পিছু পিছু রুমে এসে লাইট অফ করে নিচে গেল।আমি ডিম লাইটের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।কিছুক্ষণ পরই নির্ভীক ভাইয়া কল দিলেন।আমি কেটেও দিলাম না রিসিভ ও করলাম না।কয়েকবার কল দেওয়ার পর উনি মেসেজ করলেন,

“ফোন ধরছো না কেন?কি হয়েছে?কথা বলছোনা কেন আমার সাথে?”

আমি ফোন অফ করে ফেললাম।বলবোনা কথা আপনার সাথে আপনি থাকুন আপনার মিষ্টিকে নিয়ে।তারপর আবার ভাবলাম..নাআআআআ থাকবেন না ওই শাঁকচুন্নিকে নিয়ে,এ্যা এ্যা এ্যা।আপনি খুব পঁচা আপনার সাথে কথায় বলবো না।(মনে মনে)

অনেকক্ষণ ধরে চোখ বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করছি কিন্তু ঘুম আসছেনা তাই তাকিয়ে আছি।গরমেও শীত করছে তাই কম্বল গায়ে দিলাম।শরীর খারাপ লাগছে খুব। হঠাৎ রুমের লাইট জ্বলে উঠলো।আমি চোখ খিঁচে বন্ধ করে উঠে বসে রেগে চিল্লীয়ে বললাম,

আমি:কি সমস্যা টা কি তোর?কেন বিরক্ত করছিস?

তাকিয়ে দেখি ইচ্ছে নয় নির্ভীক ভাইয়া মুখ মলিন করে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।আমি মাথা নিচু করে নিলাম।উনি বেডে আমার মুখোমুখি হয়ে বসে আমাকে বললেন,

নির্ভীক:কেন এমন করছো?রাগ করেছো?আমার রুম দেখবে?চলো এখনই নিয়ে যাব।এরকম কর না, কথা বল আমার সাথে প্লিজ।(ধরা গলায়)

আমি উনার দিকে তাকিয়ে দেখি উনার চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পরছে।উনাকে এভাবে দেখে খুব খারাপ লাগছে। উনার প্রতি আমার সব রাগ অভিমান যেন নিমিষেই শেষ হয়ে গেল।উনার দেখাদেখি আমিও কান্না করে দিয়ে বললাম,

আমি:সরি,আমি এমনি…আমার ভাল লাগছেনা,অস্থির লাগছে,আমি রাগ করিনি আমি সরি।

নির্ভীক:কি হয়েছে বল আমাকে,বাহিরে যাবা?ঘুরতে যাবা?(গালে হাত দিয়ে)

উনি আমার গালে,কপালে,গলায় হাত দিয়ে বললেন,
নির্ভীক:অহ নো,তোমার তো অনেক জ্বর।(ব্যস্ত হয়ে)

চলবে……….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here