ভালোবাসি আমি যে তোমায় পর্ব: ৩৭

0
1909

#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়
#Sohani_Simu
পর্ব:৩৭

আপু আর রাযীন ভাইয়ার বিয়ে হয়ে গেল।শুরু হলো তাদের জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায়।সবাই স্টেজে আপু আর রাযীন ভাইয়াকে অভিনন্দন জানাচ্ছে,সেলফি নিচ্ছে,মজা করছে।আর আমি স্টেজের নিচে এক কোনায় একা একা বসে থেকে বোর হচ্ছি।ওখানে যেতে ভাল লাগছেনা কারন আমার মুখে প্রচুর র্যাশ বের হয়েছে।এগুলো নিয়ে কারও সামনে যেতে ইচ্ছে করছে না।সব আপুরা লেহেঙ্গা পরেছে ইচ্ছেও পরেছে, আমিও পরতাম কিন্তু এই র্যাশ গুলোর জন্য পরিনি।একটা লাল রঙের পাকিস্তানি থ্রি পিস পরে মাথায় ওড়না দিয়ে রেখেছি যাতে কেউ র্যাশ গুলো সহজে দেখতে না পায়।

সোফায় বসে স্টেজের দিকে তাকিয়ে আছি।কে কি করছে সবাইকে দেখছি।বিশেষ করে ইচ্ছে আর প্রান্ত ভাইয়ার প্রেম করা দেখছি।দুজন দুজনার দিকে লুকিয়ে তাকাচ্ছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।ওদের এমন লুকাচুপি দেখে আমার হাসি পাচ্ছে কিন্তু নির্ভীক ভাইয়াকে দেখে আমার সব হাসি চলে গেল।উনি ফোনে কি যেন করছেন আর মুচকি মুচকি হাসছেন।নিশ্চয় মিষ্টির সাথে চ্যাট করছেন।কাল আমার সাথে কত খারাপ ব্যবহার করলেন আর এখন পর্যন্ত একবার সরিও বলেননি।আমার কত মন খারাপ করছে আর উনি কিছু মনেই করছেন না শুধু দুয়েক বার আমার কাছে এসে ভদ্রতার খাতিরে এটা ওটা জিজ্ঞেস করছেন।আমিই উনাকে এড়িয়ে চলছি কারন উনি যা বলার বলেই দিয়েছেন তারপরও উনাকে বিরক্ত করা ঠিক হবেনা।আমি ছোট একটা দম ছেড়ে মন খারাপ করে বসে থেকে এদিক ওদিক দেখতে লাগলাম।জারিফ আর আরাফ ভাইয়া এক সাথে দাঁড়িয়ে কয়েকটা লোকের সাথে কথা বলছে।জারিফ ভাইয়া এক মূহুর্তের জন্যও আরাফ ভাইয়াকে একা ছাড়েনি।সব সময় সাথে নিয়ে ঘুরছে,সেজন্য আরাফ ভাইয়া আমার কাছে আসতে পারছেনা।

সোফায় এককাত হয়ে হেলান দিয়ে বসে পা উপরে তুলে ফোন টিপতে লাগলাম।হঠাৎ বাহুতে কারও স্পর্শ পেয়ে তাকিয়ে দেখি নির্ভিক ভাইয়া।
নির্ভীক:তোমার কি শরীর খারাপ করছে?(চিন্তিত হয়ে)

আমি কিছু না বলে সোফা থেকে উঠে চলে গেলাম।বাবা আর অ্যাঙ্কেল দাঁড়িয়ে থেকে কথা বলছিল আমি সেখানে যেতেই বাবা বলল,
বাবা:আমার মামুনিটা এমন একা একা ঘুরছে কেন?(বুকে টেনে নিয়ে)

অ্যাঙ্কেল:অন্ত মা তোমার শরীর এখন কেমন?(আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি:আমি ঠিক আছি অ্যাঙ্কেল।

বাবা:যাও ওখানে ওরা মজা করছে তুমিও ওদের সাথে কথা বলো।(মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)

আমি:আমার ওখানে ভাল লাগছেনা,বাবা(মন খারাপ করে)
বাবা:কেন মা?কি হয়েছে?কেউ কিছু বলেছে?
আমি:উহুম।(বুকে মাথা রেখে)

অ্যাঙ্কেল:চাঁদ এদিকে এসো।(নির্ভীক ভাইয়াকে ডাক দিয়ে)

অ্যাঙ্কেলের ডাকতে দেরি হয়েছে কিন্তু উনার আসতে দেরি হয়নি।
নির্ভীক:জ্বী বাবা,বলো।(কাছে এসে)

অ্যাঙ্কেল:কি করছো তোমরা?অন্ত মা একা একা বোর হচ্ছে তোমাদের সাথে নিচ্ছো না কেন ওকে?ওকে নিয়ে যাও।(নির্ভীক ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে)

এখন আমি কি করবো।যার কাছে যেতে চাইছিনা অ্যাঙ্কেল আমাকে তার কাছেই পাঠাচ্ছেন।এখন এখান থেকে কাউকে ইগনোর করে চলে যাওয়াও যাবে না তাহলে অভদ্রতামি করা হবে কিন্তু নির্ভীক ভাইয়ার সাথে গেলে উনি তো বিরক্ত হবেন।কি যে করি।আমি বাবার বুকে মাথা রেখেই শান্ত চোখে উনার দিকে তাকালাম।

নির্ভীক:আমি তো তোমাকে আমার সাথেই থাকতে বলছি কিন্তু তুমি থাকছোনা।চলো আমরা ওদিকটায় যাই,কাম উইথ মি।(মুচকি হেসে আমার হাত ধরে)

বলেই উনি আমাকে নিয়ে যেতে লাগলেন। কিছুটা দূর নিয়ে আসতেই আমি হাত ছাড়িয়ে নিতে নিতে বললাম,
আমি:আমি ওদিকে যাবো না,ছেড়ে দিন।

নির্ভীক:ওকে,চলো তাহলে অন্যদিকে যাই।(আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি:না আমি কোথাও যাবো না,হাত ছাড়ুন আপনি।(মন খারাপ করে)

নির্ভীক:উহুম ছাড়বো না,চলো আমার সাথে।(মুচকি হেসে)

বলেই আমাকে নিয়ে হাঁটতে লাগলেন।আমি হাতের দিকে তাকিয়ে আছি।উনি শক্ত করে ধরে আছেন যেন ছেড়ে দিলেই আমি চলে যাবো।হুম ছাড়া পেলে আমি সত্যি চলে যাবো।তবে উনি আমার হাত ধরে রেখেছেন এজন্য আমার খুব ভাল লাগছে।

নির্ভীক ভাইয়া আমাকে নিয়ে ছাদে এসেছেন।এখানে এসে দেখি কালকে উনি যেই দুটো চেয়ারে লাথি দিয়েছিলেন ওই দুটো চেয়ার ওভাবেই পড়ে আছে।আমি ফ্লোরের দিকে তাকিয়ে টায়রাটা খুঁজলাম কিন্তু নেই,হয়তো কেউ নিয়ে গিয়েছে।ওটা ওভাবে নষ্ট না করলেও হতো,ওটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল আর সব থেকে বড় কথা ওটা নির্ভীক ভাইয়া নিজে পছন্দ করে কিনে দিয়েছিলেন।

নির্ভীক ভাইয়া আমাকে নিয়ে চেয়ারে পাশাপাশি বসলেন।তারপর আমার ডান হাত উনার দুই হাতের মুঠোতে নিয়ে বললেন,

নির্ভীক:আ’ম সরি,আমি কাল তোমাকে অনেক বকেছি।তোমার খুব খারাপ লেগেছে না?

আমি কিছু না বলে অন্যদিকে তাকালাম।চোখ দুটো অশ্রুতে ভরে এসেছে। উনি আমাকে নিজের দিকে ঘুরাতেই আমি মাথা নিচু করে কেঁদে দিলাম।উনি আমাকে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে বললেন,

নির্ভীক:কেঁদোনা কথা বলো আমার সাথে।চলো আমরা অনেক কথা বলবো কিন্তু আগে কান্না থামাও,প্লিজ।

আমি:আপনি আমাকে অসহ্য মেয়ে বলেছেন আর বকেছেন,আমি জানি আপনি মিথ্যা বলেননি।(হেঁচকি তুলতে তুলতে)

নির্ভীক:তুমি মোটেও অসহ্য মেয়ে নও।তুমি তো কিউট,টুলটুলে,সাদা বিড়াল ছানার মতো একটা পিচ্চি মেয়ে(মুচকি হেসে)।আমি তো তখন রেগে ছিলাম তাই ওইরকম ভুলভাল কথা বলেছি।আমি না একটা পাগল, প্রান্ত বলেনা তোমাকে একটা পাগলের কথা?আমিও ওইরকমই একটা পাগল।আমি একটা পঁচা ছেলে।(মন খারাপ করে)

আমি:আমি আর আপনার সাথে কথা বলবো না।আমার জন্য আপনার অনেক ঝামেলা হয়।(কান্না থামিয়ে)

নির্ভীক:আমি কিন্তু তোমাকে আবার বকা দিবো।(রেগে যাওয়ার ভান করে)

আমি:আমি থাকবো না এখানে।(উঠতে উঠতে)

নির্ভীক:কেন থাকবেনা?আমার সাথে থাকতে তোমার ভাল লাগে না তাইনা?কোথাও যাবে না,বসো এখানে।(আমার হাত ধরে বসিয়ে দিয়ে হালকা রেগে)

আমি কোন কথা বললাম না।মাথা নিচু করে বসে আছি।উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,

নির্ভীক:তুমি আমাকে চিনতে পারোনা কেন বল তো?আর কাল তুমি শৈবালকে ভেবেছিলে?তুমি ভাবলে কি করে আমি ওখানে উপস্থিত থাকতে অন্যকেউ তোমাকে টাচ করবে।(হালকা রেগে)

আমি:অন্ধকারে এমন হওয়ায় আমি ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।ভেবেছিলাম কোন বাজে ছেলে অসভ্যতামি করেছে তাছাড়াও সবাই কেমন করে তাকাচ্ছিল তাই রিসাব ভাইয়ার সাথে চলে এসেছি।(মাথা নিচু করে)

নির্ভীক:তুমি আমাকে অসভ্য আর বাজে ছেলে ভাবলে?(চোখ ছোট ছোট করে)

আমি:হুম ভাবলাম তো?(উনার দিকে তাকিয়ে হালকা রেগে)

নির্ভীক:আমি অসভ্য হলে তুমিও অসভ্য,তুমি আরও বেশি অসভ্য।

আমি:কি?কি করেছি আমি?(ভ্রু কুচকে)

নির্ভীক:কি করোনি সেটা বল।আমার একমাত্র নাকের উপর অ্যাটাক করেছিলে।উফ্ কি ধাঁরালো দাঁত তোমার,একদম ইঁদুরের মতো।আচ্ছা তুমিই বলো নাক কি কাউকে দেওয়ার জিনিস?(জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি:মানে?(ভ্রু কুচকে)
নির্ভীক:তোমার মনে নেই না?সেইদিন রাতে জ্বরের ঘোরে আমার নাক নেওয়ার জন্য সেকি কান্না তোমার।আমি কি করে দিতাম বলো?এটা কি কাউকে দেওয়ার জিনিস?তাও, তাও তোমার কান্না থামানোর জন্য আমি দিতে চেয়েছিলাম কিন্তু তুমি নাকটাতে এত জোড়ে কামড় দিলে।উফ্ আর একটু হলেই আমার ভোলাভালা নাকটা শহীদ হয়ে যেত।(ভয় পেয়ে বুকে একহাত দিয়ে)

ইশ!এই ভয় টায় পাচ্ছিলাম।নিজের অজান্তেই উনার নাকে অ্যাটাক করে ফেলেছি।কি একটা লজ্জা জনক ব্যাপার।এইরকম একটা কাজ আমি কি করে করলাম?হাউ?(মনে মনে)

আমি:আমি তো ইচ্ছে করে কিছু করিনি।তাই বলে আপনি এমনটা করবেন?(মাথা নিচু করে)

নির্ভীক:কি করেছি আমি?একটা কিসিই তো দিয়েছি।ছোটবেলায় তুমি কি করতে?চাঁদ ভাইয়া,চাঁদ ভাইয়া এসো তোমাকে একটা পাপ্পা দিই।তারপর একটার নাম করে কয়টা দিতা,হুম?(ভ্রু কুচকে আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি:তাই বলে আপনিও?(মাথা নিচু করে)
নির্ভীক:ছোটবেলায় অনেক জ্বালিয়েছো পিচ্চি,নাউ মাই টার্ন।(বাঁকা হেসে)

আমি:ছোটবেলার কথা ছোটবেলায় শেষ হয়ে গিয়েছে।এখন তো আমি বড় হয়ে গিয়েছি না?(উনার দিকে তাকিয়ে)

নির্ভীক:বড় হয়ে গিয়েছো?ওকে চলো নিচে,আজই তোমাকে পাশের বাসার অ্যাঙ্কেলের ছোট,বদমেজাজি,পাগল ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দিবো।(আমার হাত ধরে দাঁড়িয়ে)

আমি:পাশের বাসার রিংকু?ও তো ছোট কিন্তু ওই মোটুকে আমি বিয়ে করবো?কখনও না।(উঠে দাঁড়িয়ে)

আমার কথা শুনে উনার মুখটা মলিন হয়ে গেল।কিছুক্ষণ আমার দিকে থম মেরে তাকিয়ে থেকে বললেন,

নির্ভীক:আমি যা বলি তাই করি।তুমি শুধু একবার বড় হয়ে দেখো তোমার বিয়ে যদি আমি না করিয়েছি তাহলে আমার নাম নির্ভীক নয়,হুহ্।(কপালে পরে থাকা চুল গুলো ঠিক করে)

আমি:আপনি কি রিংকুর থেকে ঘুষ টুষ নিয়েছেন নাকি?ও তো আমাকে কয়েকবার বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্তু আমি করতে চাইনি তাই হয়তো আপনাকে বলেছে তাইনা?(ভ্রু কুচকে)

নির্ভীক:তুমি কোনদিন বড় হবে না তাইনা?(গাল টেনে)
আমি:ইশ!উফ্!(মুখ কুচকে)

নির্ভীক:সরি সরি সরি…এগুলো তে খুব ব্যাথা না?(র্যাশ এ হাত দিয়ে)

আমি:হুম।(হাত সরিয়ে)

হঠাৎই উনি আমার গালে কিস করে দিলেন।আমি চোখ বড় বড় করে উনার দিকে তাকালাম।উনি হাসতে হাসতে বললেন,
নির্ভীক:তাকিয়ে লাভ নেই।ছোটবেলার রিভেন্জ আমাকে নিতেই হবে।একটা পিচ্চি মেয়ের কাছে হেরে যাবো?নেভার।

আমি:আপনি ছোটবেলার রিভেন্জ এখন কেন নিবেন?(রেগে)
নির্ভীক:এই তুমি আমার উপর রাগ করছো?আমার তোমার উপর রাগ করা উচিত।তুমি জানো, তুমি আমাকে কত কষ্ট দিয়েছো?তোমাকে পানিশমেন্ট দিতেই হবে না হলে তুমি ঠিক হবা না।(হালকা রেগে)

উনার কথা শুনে আমি ভাবতে থাকলাম,আমি আবার উনাকে কি কষ্ট দিয়েছি?হঠাৎই মনে হলো কাল উনার হাতে অনেক জোড়ে কামড় দিয়েছি।উনি নিশ্চয় অনেক কষ্ট পেয়েছেন।কিন্তু উনি আমাকে কি পানিশমেন্ট দিবেন?উনিও কি আমার হাতে কামড় দিবেন?উনার তো আমার থেকে অনেক বেশি শক্তি তাহলে উনিও যদি আমার মতো সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমার হাতে কামড় দেন তাহলে তো আমার হাত কেটে পরে যাবে।ভাবতেই ভয়ে মুখ শুকিয়ে গেল।আমি শুকনো মুখে উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,

আমি:কাল আমি ইচ্ছে করে আপনার হাতে কামড় দিই নি আর আমি কাউকে কষ্ট দিই না।

আমার কথা শুনে নির্ভীক ভাইয়া হুহা করে হেসে দিলেন।তারপর হাসি থামিয়ে উনার হাতটা আমাকে দেখাতে দেখাতে বললেন,
নির্ভীক:দেখো কি অবস্থা করেছো।গুনে গুনে তেরো টা দাঁত বসিয়ে দিয়েছো।কেমন করে কেটে গিয়েছে দেখেছো?

আমি:সরি।(মাথা নিচু করে)
নির্ভীক:সরিতে হবেনা,পানিশমেন্ট পেতে হবে তোমাকে কিন্তু কি পানিশমেন্ট দিই বলো তো?না তোমাকে বলতে হবেনা,আমি বলবো।(মুচকি হেসে)

আমি:আপনি আমাকে সত্যি পানিশমেন্ট দিবেন?তাহলে আমি কিন্তু আপনার সাথে আর কথায় বলবো না।(মুখ ফুলিয়ে)

নির্ভীক:এই তুমি বার বার এক কথা বলো কেন?আমার সাথে কথা না বললে তোমার কষ্ট হয়না?অবশ্য কষ্ট হবে কি করে তুমি তো আমাকে একটুও ভালোই বাসো না।(মন খারাপ করে)

আমি:হুম হয়না কষ্ট।আপনার তো আরওই হয়না,আপনি তো আমাকে অসহ্য মনে করেন।(রাগ করে)
নির্ভীক:তুমি আবার আমাকে রাগ দেখাচ্ছো?যাও পানিশমেন্ট ডাবল।(বাঁকা হেসে)

আমি:কি পানিশমেন্ট?(ঢোক গিলে)
নির্ভীক:তেমন কিছুনা খুবই ইজি পানিশমেন্ট।তুমি আমাকে প্রতিদিন একটা করে কিসি দিবা,দ্যাটস্ ইট।(মুচকি হেসে)

আমি:অসম্ভব,এটা কি ধরনের পানিশমেন্ট?আজব তো।আমি পারবো না।(পেছন দিকে ঘুরে)

আমার কথা শুনে উনি পেছন থেকে আমার কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললেন,

নির্ভীক:তুমি না পারলে আমি তোমার হয়ে করে দিতে পারি।তবে আমি করলে দুটো করে দিবো।এখন তুমি ভেবে দেখ কি করবে।

উনার কথা শুনে আমি বেকায়দায় পরে গেলাম।আমি উনাকে কিছুতেই কিস করতে পারবোনা,লজ্জায় মরেই যাবো।আর কিসের এসব কিস ফিস?এসব ভাল কাজ নয়।না না না এসব অসভ্য পানিশমেন্ট আমি কিছুতেই মানবো না।মনে মনে এসব ভেবে আমি উনাকে বললাম,

আমি:আপনি অন্য কিছু পানিশমেন্ট দিন না।কত পানিশমেন্ট আছে।যেমন..

নির্ভীক:তারমানে তুমি করবেনা।ওকে নো প্রবলেম আই ডু।(আমাকে পুরোটা বলতে না দিয়ে মুচকি হেসে)

আমি:না আমি কোন পানিশমেন্ট নিবো না।আর আপনি যান তো এখান থেকে।আপনার সাথে আমি কথা বলতে চাই না।(রাগ করে)

নির্ভীক:তোমার এত সাহস কোথায় থেকে আসছে?আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমাকে বলছো আমার সাথে কথা বলতে চাও না?(রেগে)

আমি:হুম চাই না।(রেগে)
নির্ভীক:এখনও রেগে আছো?আমি তো সরি বলেছি।আর কি করবো বলো?কান ধরবো?এই দেখ কান ধরছি তাও প্লিজ কথা বলা বন্ধ করো না।(মন খারাপ করে)

উনি সত্যি সত্যি কান ধরেছেন।আমি তো ভাবতেও পারছিনা উনার মতো লোক আমার রাগ ভাঙ্গাতে কান ধরবেন,এটা যদি উনার গার্লফ্রেন্ড দেখতো আমার উপর কতই না জেলাস হতো ভাবতেই আমার খুব হাসি পাচ্ছে তাই উনার দিকে তাকিয়ে হাসতে লাগলাম।উনি কান থেকে হাত নামিয়ে ঠোঁট চেপে হাসতে লাগলেন।তখনই উনার ফোনের রিংটন বেজে উঠলো।

নির্ভীক:হুম প্রান্ত বল।(আমার দিকে তাকিয়ে)
প্রান্ত:…………
নির্ভীক:হোয়াট?অন্তকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না?আমি এখনই আসছি।(আতংকিত হয়ে)

বলেই উনি কল কেটে দিলেন।ফোন প্যান্টের পকেটে রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
নির্ভীক:এখনই নিচে যেতে হবে।অন্ত ইজ মিসিং।

আমি:কোন অন্ত?(ভ্রু কুচকে)

নির্ভীক:কোন অন্ত মানে?আমাদের তো একটায় অন্ত।পিচ্চিটা মিসিং সবাই নিশ্চয় খুব টেনশন করছে।চলো তাড়াতাড়ি নিচে যেতে হবে আর শোন নিচে যেয়ে সব সময় আমার সাথে থাকবা আর তোমার ওসব ভাইদের সাথে একদম কথা বলবা না,ওদের পাশে যেন তোমাকে না দেখি।যদি আমার কথা না শুনো তাহলে কিন্তু পাশের বাসার অ্যাঙ্কেলের ছোট ছেলের সাথে বিয়ে করিয়ে দিবো তখন দেখো বদমেজাজি ছেলেটা তোমাকে কিভাবে শায়েস্তা করে।(আমার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে গর গর করে কথা গুলো বললেন)

আমি:ভাইয়াদের সাথে কেন কথা বলবো না?(হাঁটতে হাঁটতে)

নির্ভীক:আমি রাগ করবো তাই।(লিফটে এসে)
আমি:আপনি কেন রাগ করবেন?(ভ্রু কুচকে)
নির্ভীক:তুমি ওদের সাথে কথা বলবে তাই।(আমার দিকে তাকিয়ে)
আমি:আমি কেন কথা বলবো?(জিজ্ঞাসু দৃষ্টি)

নির্ভীক:সেটাই তো বলছি তুমি কেন কথা বলবে?কোন দরকার নেই ওদের সাথে কথা বলার।আর যদি দেখেছি কারও হাত ধরেছো দুই মিনিটের মধ্য পাশের বাসার……

আমি:নাআআ,আমি রিংকু কে বিয়ে করবো না।(উনাকে পুরোটা বলতে না দিয়ে)

নির্ভীক:এই চুপ,কি শুধু রিংকু রিংকু করছো?আর একবার রিংকু বললে মুখ সেলাই করে দিবো।(আমার দিকে তাকিয়ে ধমক দিয়ে)

ধমক খেয়ে আমি চুপ হয়ে গেলাম।মনে মনে ভাবলাম এই রিংকুকে এইবার উচিত শিক্ষা দিবো।আমাকে বিয়ে করার জন্য নির্ভীক ভাইয়াকে ঘুষ দিয়েছিস তোর মাকে বলে যদি মার না খাওয়াতে পারি তো আমিও অন্ত না।

নিচে এসে সবার সাথে দেখা করলাম।জারিফ ভাইয়া তো ভয় পেয়ে গিয়েছিল।নির্ভীক ভাইয়ার সাথে কথা বলে আমার মন কখন ভাল হয়ে গিয়েছে সেটা আমি নিজেও জানিনা।এখন আমি সবার সাথে মজা করছি আর মুখের র্যাশ গুলো নিয়েও অস্বস্তি হচ্ছে না।নির্ভীক ভাইয়া ছায়ার মতো আমার আশেপাশে থাকছেন।আমার ভাইয়াদের সাথে উনার কি শত্রুতা আমি তো সেটাই বুঝতে পারছিনা।

বিয়ের অনুষ্ঠান প্রায় শেষ।লোকজন সবাই চলে যেতে শুরু করেছে।আপু আর রাযীন ভাইয়াকে আগেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।আমরাও বাসায় যাবো।নিচে গাড়িতে উঠার জন্য দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় পেছন থেকে নীলপরী বলে কেউ ডাকলো।আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি প্রবাল ভাইয়া।উনি শান্ত চোখে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন।আমি কি বলবো কিছুই বুঝতে পারছিনা।উনি কিছুৃ্ক্ষণ তাকিয়ে থেকে বললেন,

প্রবাল:কেমন আছো?
নির্ভীক:ও ভাল নেই প্রবাল ভাইয়া।(প্রবাল ভাইয়ার পেছন থেকে)

প্রবাল ভাইয়া পেছনে তাকালেন।নির্ভীক ভাইয়া পেছন থেকে আমার পাশে এসে দাঁড়িয়ে প্রবাল ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে বললেন,
নির্ভীক:আজকে ওর শরীর খারাপ।দেখো ওর মুখে কি হয়েছে এগুলো।ও এখন বাসায় যাক হ্যা?তুমি কাল ওর সাথে কথা বলো।

প্রবাল:আমি আর কি কথা বলবো।আমি শুধু ওকে সরি বলতে চাই।আমার ওসব করা ঠিক হয়নি,আসলে আমি বুঝতে পারিনি এত কিছু হয়ে যাবে।হাত কাঁটার পর নির্ভীক আমাকে অনেক বুঝিয়েছে।এখন আমি নিজের ভুল বুঝতে পেরেছি। আই আম রিয়েলি সরি,অন্ত।(আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি কিন্চিৎ ভ্রু কুচকে প্রবাল ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।নির্ভীক ভাইয়া আমার একহাত ধরে বললেন,

নির্ভীক:ভাইয়া সরি বলছে তো।তুমি কিছু বলবা না?দেখেছো প্রবাল ভাইয়া?তোমাকে বলেছিলাম না ও তোমার সাথে কথায় বলবেনা।অন্ত তো খুব রাগ করেছিল তোমার হাত কাঁটার কথা শুনে আর তুমি ওকে কিসব ভুলভাল কথা লিখেছো।ও খুব রাগ করেছে।(আমার দিকে তাকিয়ে)

প্রবাল:আমি সরি।(মাথা নিচু করে)
আমি:ইটস্ ওকে।

বলেই আমি নির্ভীক ভাইয়ার হাত থেকে নিজের হাত ছাড়িয়ে নিয়ে গাড়ির দিকে গেলাম।গাড়িতে উঠে বসতেই নির্ভীক ভাইয়া জানালার কাছে এসে আমাকে বললেন,

নির্ভীক:বাসায় যেয়ে মেডিসিন নিয়ে ঘুমিয়ে যাবা।আর ইচ্ছেমতি,তুমি ওকে জেলটা লাগিয়ে দিবা।

ইচ্ছে:ওকে ভাইয়া,ডোন্ট ওরি।(মুচকি হেসে)
নির্ভীক:আর কি বলেছিলাম মনে আছে তো?(আমার দিকে তাকিয়ে)

আমি:কি বলেছিলেন?(ভ্রু কুচকে)
নির্ভীক:ভুলে গেলে?(অবাক হয়ে)আচ্ছা যাও,আমি মনে করিয়ে দিবোনি।(চোখ মুখ শক্ত করে)

বাসায় আসতে আসতে রাত ৯টা বেজে গেল।সারাদিনের ধকলে শরীর টা একদম নিস্তেজ হয়ে গেছে,অবশ্য শুধু আমার বাকিরা এখনও বিন্দাস আছে।সবাই লিভিং রুমে আড্ডা দিচ্ছে।আমার খুব টায়ার্ড লাগছে তাই ফ্রেশ হয়ে শুয়ে পরেছি আর কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমিয়েও গিয়েছি।মুখের উপর ঠান্ডা কিছু অনুভব করতেই দেখি আম্মু আমার মুখে জেল লাগিয়ে দিচ্ছে।আমি বিরক্ত হয়ে বললাম,
আমি:দিলে তো ঘুমটা নষ্ট করে?
আম্মু:তুই ঘুমা,আমি তো তোকে ডিস্টার্ব করছিনা।
আমি:উফ্ এই দূরগন্ধময় বাজে জেলটা দিওনা তো প্লিজ।এই গন্ধ নাকে এলেই বমি পায়,ইয়াক।

আম্মু:কথা না বলে চুপচাপ ঘুমা।
আমি:ইচ্ছে কোথায়?
আম্মু:সবাই নিচে আছে।ওরা যতগুলো টাকা পেয়েছে ওগুলো কি করবে সেই খুশিতে ওদের চোখে ঘুম আসছেনা।

আমি:আমিও যাবো।(উঠতে উঠতে)
আম্মু:না,তোর শরীর খারাপ,ঘুমা এখন।আর তাছাড়াও নিচে আরাফ আছে তুই ওখানে গেলে জারিফ রাগ করবে।(আমাকে আবার শুয়ে দিয়ে)

আমি:আরাফ ভাইয়া কবে যাবে বলো তো।(বিরক্ত হয়ে)
আম্মু:ও তো বলছে যাবে না,রাজশাহীতেই থাকবে।জারিফ ওকে অফিসের কাজে লাগিয়ে দিবে,সারাদিন কাজের মধ্যে ব্যস্ত থাকবে।

আমি:আমাদের বাসাতেই থাকবে?(ভ্রু কুচকে)
আম্মু:না,তোর ফুপ্পিরা এখানে আলাদা বাসা নিবে ওরা ওখানেই থাকবে,ইচ্ছেও ওদের সাথে থাকবে।(আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে)

আমি:কি?না ইচ্ছে কোথাও যাবে না।ও আমার সাথে থাকবে।(উঠে বসে)

আম্মু:তোর ফুপ্পিকে বলিস।ফুপ্পি বাসায় একা থাকতে পারবেনা তাই ইচ্ছেকে নিয়ে যাবে।আর ওরা ভার্সিটির কাছে বাসা নিবে।তোর ফুপ্পা ঢাকাতেই থাকবে।শুধু আরাফটার জন্য এসব উল্টা-পাল্টা কাজ হচ্ছে।ছেলেটা কিছুতেই এখান থেকে যাবেনা।

আমি:ইচ্ছে চলে গেলে আমার কিছু ভাল লাগবেনা।(মন খারাপ করে)
আম্মু:আচ্ছা ওকে আমরা যেতে দিব না,তুই এবার ঘুমা।আমি লাইট অফ করে দিলাম।(বেড থেকে উঠে দাঁড়িয়ে)

আম্মু লাইট অফ করে চলে গেল।আমি টেবিল ল্যাম্পের আলোর দিকে তাকিয়ে ভাবতে থাকলাম,ইচ্ছে চলে গেলে আমার কি হবে?কার সাথে সব কথা শেয়ার করবো।হাঠাৎ ফোন বেজে উঠলো।স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে দেখি নির্ভীক ভাইয়া, আমি কল রিসিভ করে চুপ করে থাকলাম।
নির্ভীক:অন্ত?
আমি কিছু বললাম না।উনি একা একা বলতে থাকলেন,

নির্ভীক:কথা বলছো না কেন?মন খারাপ?কি হল?ঘুমাচ্ছো?মেডিসিন নিয়েছো?আর জেল?কি হল রে বাবা,কথা বল।

কিছুক্ষণ চুপ থেকে উনি আবার বললেন,
নির্ভীক: ভাবির দেখা দেখি তোমারো কি বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে?সেজন্য মন খারাপ করে আছো?

একে তো মন খারাপ তার উপর উনি এসব উল্টাপাল্টা কথা বলছেন।উনার কথা শুনে আমি তেলেবেগুনে জ্বলে উঠে বললাম,
আমি:আপনার বিয়ে করার শখ থাকলে আপনি করুন না।(রেগে)

নির্ভীক:যাক কথা ফুটেছে তাহলে।এখন বলো তো কি হয়েছে?
আমি:কিছুনা।
নির্ভীক:বলবে নাকি আমি যাবো?
আমি:ইচ্ছে তো চলে যাবে।

নির্ভীক:হুম যাবে,তো?
আমি:তো মানে?আমি ওকে কোথাও যেতে দিবো না।
নির্ভীক:আচ্ছা ঠিক আছে দিও না।
আমি:ও যদি চলে যায়?
নির্ভীক:তুমি যে বললে যেতে দিবে না?যেতে দিবেনা মানে দিবে না।আবার উল্টো প্রশ্ন করছো কেন?

আমি:হুম কিছুতেই যেতে দিব না।
নির্ভীক:আচ্ছা দিও না।কি করছো এখন?
আমি:শুয়ে আছি।
নির্ভীক:আচ্ছা ঘুমাও।
আমি:ওকে বাই।
নির্ভীক:এই দাঁড়াও।আমি বাই বলতে বলেছি?অনলাইনে এসো।

আমি:এখন?
নির্ভীক:হুম ফাস্ট।

বলেই উনি কল কাঁটলেন।আমি অনলাইনে যেতেই উনি ভিডিও কল দিলেন।আমি উঠে বসে কল রিসিভ করলাম।কিন্তু উনাকে দেখা যাচ্ছে না,স্ক্রিন কালো হয়ে আছে।
আমি:কোথায় আপনি?(ভ্রু কুচকে)
নির্ভীক:এখানেই আছি।তুমি বসে আছো কেন?ঘুমাও।
আমি:ওকে বাই।
নির্ভীক:উফ্ বাই বলছো কেন?আমি যেতে বলেছি?আমি ঘুমাতে বলেছি।

আমি:আজব তো।কল না কেটেই ঘুমিয়ে যাবো? আর আপনি কোথায়?অন্ধকার কেন?

নির্ভীক:আমি অন্ধকারে ঘুমাই তাই লাইট অফ করে দিয়েছি।
আমি:অন্ধকারে আপনার ভয় করে না?(শুয়ে বালিশের সাথে ফোন সেট করে রেখে)

নির্ভীক:কিসের ভয়?
আমি:ভূতের,অন্ধকারে ভূত আসলে তখন কি করবেন।

নির্ভীক:তখন তোমার কাছে পাঠিয়ে দিবো।
আমি:আমার কাছে লাইট জ্বালানো থাকে,ভূত এখানে আসবেনা।আচ্ছা,আপনি এখনই ঘুমোচ্ছেন?আমাদের বাসায় তো সবাই নিচে আড্ডা দিচ্ছে।

নির্ভীক:আমাদের বাসায় সবাই টায়ার্ড। আর আড্ডাবাজরা যে যার বাসায় চলে গেছে।

আমি:প্রবাল ভাইয়া ওসব কি বলছিল?
নির্ভীক:ওসব তোমাকে ভাবতে হবেনা।তুমি ঘুমাও,চোখ বন্ধ করো।(রাগি কন্ঠে)

আমি:কল কেটে ঘুমাই?
নির্ভীক:না,তুমি ঘুমাও আমি কেটে দিবোনি।আর একটাও কথা নয়,ঘুমাও।

আমি আর কিছু বললাম না।চোখ বন্ধ করে থাকলাম।কয়েকমিনিট পর নির্ভীক ভাইয়া বললেন,
নির্ভীক:অন্ত?এই পিচ্চি?
আমি:হুম।(তাকিয়ে)
নির্ভীক:এখনো ঘুমাওনি?(রেগে)

আমি:ওকে ওকে ঘুমোচ্ছি বাই,গুড নাইট।

বলেই কল কেটে দিলাম।ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি রাত ১২:৫১ বাজে।ফোন রাখতেই মেসেজ আসলো।নির্ভীক ভাইয়াই লিখেছেন,”ওকে পিচ্চি,গুড নাইট।হ্যাভ আ সুইট ড্রিমস”

আমি মুচকি হেসে ফোন রেখে মনে মনে বললাম”হুম আজ আপনাকে নিয়ে একটা সুইট ড্রিমস দেখবো”।
আমি চোখ বন্ধ করে আজকে সারাদিন উনার সাথে কাঁটানো মোমেন্ট গুলো মনে করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।

চলবে…………………..

(দেরিতে দেওয়ার জন্য আমি সত্যি অনেক দুঃখিত।অনেক ব্যস্ততার মাঝে গল্প লিখতে হচ্ছে।আপনারা প্লিজ রাগ করবেন না,ব্যস্ততা আমাকে ঘিরে ধরেছে।আমি চেষ্টা করবো নেক্সট পার্ট গুলো আর্লি দেওয়ার জন্য।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here