#ভালোবাসি_আমি_যে_তোমায়_২
#Sohani_Simu
৬.(বোনাস)
ক্যাফেটেরিয়াতে চা খেতে খেতেই নজরে পড়লো একটা ছেলে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।কয়েকটি টেবিল দূরে একগুচ্ছ ছেলেদের সঙ্গে চা খাচ্ছে ছেলেটি।ছেলেটাকে কেমন চেনা চেনা লাগছে।আমি তাকাতেই উনি অন্যদিকে তাকালেন।আমি সেদিকে আর পাত্তা না দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে গেলাম কিন্তু কিছুক্ষণ পরই ছেলেটা দুটো ছেলেকে নিয়ে আমাদের টেবিলে উঠে আসলেন।আমার সামনে চেয়ার টেনে বসে বললেন,
–হাই,আমি সানভি।তুমি?
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
–অন্ত।
সানভি মুচকি হেসে বললেন,
—অন্ত?ক্যাম্পাসে নতুন দেখছি তোমাকে, কোন ডিপার্টমেন্ট?
—কেমিস্ট্রি।
–অহ আচ্ছা।আমি সাইকোলজি।একটু আগে তোমার দিকে তাকিয়েছিলাম দেখে তুৃমি ভেবেছ আমি বাজে ছেলে রাইট?
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
–না,বাজে ছেলে ভাববো কেন?আপনাকে তো আমি চিনিই না।প্রয়োজন না হলে আমি অপরিচিত কারও সম্পর্কে কিছু ভাবিনা।
সানভি মুচকি হেসে বললেন,
—আসলে সাইকোলজির স্টুডেন্ট তো তাই একটুতেই সবার মনোভাব বুঝতে পারি।
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
–আপনাকে আমি কোথাও দেখেছি হয়তো ক্যাম্পাসেই কোথাও দেখেছি।মনে করতে পারছিনা।
সানভি কয়েক সেকেন্ডের জন্য চোখমুখ শক্ত করলেন।তারপর স্বাভাবিক ভাবে বললেন,
–হুম দেখতেই পারো,এতটুকুই তো ক্যাম্পাস।
রিপন বলল,
–কি বলেন ভাই,এত টুকু ক্যাম্পাস!আমার তো মনে হচ্ছে অনেক বড়।
সানভির সাথে থাকা দুটো ছেলের একজন ভাব নিয়ে বলল,
–নতুন তো তাই মনে হচ্ছে বড়।কিছুদিন পর বুঝবা কত ছোট।
সানভি আমাদের সবার দিকে তাকিয়ে বললেন,
—এবারের জুনিয়র রা কেমন যেন কিন্তু তোমাদের আমার ভাল লেগেছে। দেখেই মনে হচ্ছে তোমরা খুব হেল্পফুল।এক কাজ করো তোমরা আমাদের একটু হেল্প করো।
রিপন জোর করে খুশি মুখ করার চেষ্টা করে বলল,
—কি হেল্প করবো?ভাই।
ছেলে তিনটে ব্যাগ ছেকে ষোলটা অ্যাসাইনমেন্টের খাতা বের করে আমাদের সামনে দিল।সানভি আমার সামনে চারটে খাতা দিয়ে বললেন,
–আমার গুলো তুমি লিখবা।তোমাকে দেখেই বোঝা যাচ্ছে তোমার হাতের লিখা তোমার মতোই সুন্দর।
সানভি বসা থেকে দাঁড়িয়ে বললেন,
—এখানে চারটে খাতা করাই আছে ওটা দেখে কপি করবা।হাতের লিখা যেন নীট এন্ড ক্লিন হয় আর কাল এই সময় এখানে এসে আমাদের দিয়ে দিবা।আর অন্ত?মন দিয়ে লিখবা।কোন প্রবলেম হলে আমাকে ফোন দিবা।আমার নাম্বার ফোনে তুলে নাও,ফাস্ট।
আমি ইচ্ছে আর রিপনের দিকে তাকিয়ে ফোন বের করে সানভির নাম্বার তুলে নিলাম।সানভি আমাকে বললেন,
—দেখি ফোন দাও তো ঠিক ঠাক নাম্বার দিলাম কিনা।আমার আবার ফোন নাম্বার মনে থাকেনা।
আমি ফোন দিতেই সানভির পকেটে ফোন বেজে উঠলো।সানভি বিজয়ের হাসি হাসলেন।যেন আমার ফোন নাম্বার নেওয়ায় তার একমাত্র লক্ষ ছিল।খাতা গুলো রেখে উনারা চলে গেলেন।ষোল টা খাতা দেখেই আমরা শিহরিত।আজকে আমাদের একটা ক্লাস ছিল দেখে সাফি,কিয়াম,আইরিন ভার্সিটিতে আসেনি কারন।ওরা আসলে সবাই মিলে ভাগ করে নিলে প্রবলেম হতোনা।ইচ্ছে অসহায় মুখ করে বলল,
–এই ভার্সিটি সিনিয়র গুলা কি সারা বছরের অ্যাসাইনমেন্ট জুনিয়রদের জন্য জমা করে রাখে নাকি?
রিপন খাতা গুলো উল্টে পাল্টে দেখতে দেখতে বলল,
—এই সিনিয়র গুলা তাও ভাল করেই কথা বলল।আমাদের ডিপার্টমেন্টের গুলো তো একেকটা জল্লাদ।আমি এক জায়গায় একটু কেটে দিয়েছিলাম জন্য কি বকাবকিই না করেছিল।
আমি ভীত কন্ঠে বললাম,
–আমার লিখা তো ভাল না।ওই ভাইয়াটা তো ভাল করে লিখতে বলল।
ইচ্ছে বিরক্ত হয়ে বলল,
–ধূর রাখ তোর ভাল লিখা।এতগুলো খাতা এত কম সময়ে কিভাবে করবো ভেবেছিস?খাতাতে মার্জিন টানতেই সময় শেষ হয়ে যাবে।
সময়ের চিন্তা করে আমরা খাতা গুলো ভাগা-ভাগি করে নিলাম।আমি পাঁচটা,ইচ্ছে পাঁচটা আর রিপন ছয়টা খাতা নিয়ে ভার্সিটি থেকে বেড়িয়ে আসলাম।খাতা গুলো হাতে নিয়ে গেইটের সামনে রিক্সার জন্য ওয়েট করছিলাম তখনই আমাদের সামনে একটা সাদা গাড়ি এসে থামলো।আমি গাড়ি ভাল করে খেয়াল না করেই মুখ দিয়ে বিরক্তির শব্দ করে একটু পাশে গিয়ে দাঁড়ালাম।ইচ্ছের কথা শুনে গাড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ইচ্ছে আর নির্ভীক ভাইয়া কথা বলছে।আমি ওদের দিকে এগিয়ে গেলাম।নির্ভীক ভাইয়া গাড়ি থেকে নেমেই আমার হাতের খাতাগুলো টেনে নিয়ে বললেন,
—সিনিয়র রা দিয়েছে?
–হুম।
আমি হুম বলতেই নির্ভীক ভাইয়া ওগুলো পাশের ড্রেনে ফেলে দিলেন।আমি আর ইচ্ছে হা করে উনার দিকে তাকালাম।উনি ইচ্ছের হাতের খাতাগুলো নিয়েও ড্রেনে ফেলে দিয়ে বললেন,
—-তাড়াতাড়ি বাসায় চলো তো।আমার আবার ক্লাস আছে।তোমাদের বাসায় দিয়েই ক্লাসে যেতে হবে।
বলেই উনি গাড়িতে গিয়ে বসলেন।ইচ্ছে পেছনের সিটে আর আমি ফ্রন্ট সিটে বসলাম।উনার দিকে তাকিয়ে বললাম,
—ওগুলো সিনিয়র ভাইয়াদের খাতা।কালই নিবে।আপনি তো সব ফেলে দিলেন এখন কি হবে?ওই ভাইয়াটা তো আমাদের ধরবে।(ভীত চোখে তাকিয়ে)
নির্ভীক ভাইয়া গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বললেন,
–ধরলে আমার কথা বলবা।
আমি ভ্রু কুচকে বললাম,
–ওগুলো অ্যাসাইনমেন্টের খাতা ছিল।অনেক দরকারি।মার্কস আছে ওগুলোতে।
উনি একবার আমার দিকে তাকিয়ে তারপর সামনে তাকিয়ে বললেন,
—ডোন্ট ওরি।কাল আমি ওদের সাথে কথা বলবো।
আমি ইচ্ছের দিকে তাকালাম।ওর কোনো টেনশন নেই।সিটে হেলান দিয়ে আরামছে ফোন টিপছে।আমি চিন্তিত হয়ে সামনে তাকিয়ে থাকলাম।নির্ভীক ভাইয়া আমাদের বাসায় নামিয়ে দিয়ে গাড়ি রেখে বাইক নিয়ে চলে গেলেন।
রাত বারোটা।সবে মাত্র ঘুম ঘুম ভাব হয়েছে তখনই কর্কশ স্বরে আমার ফোন বেজে উঠলো।বিরক্ত হয়ে উঠে বসে বেডসাইট টেবিল থেকে ফোন নিয়ে ভ্রু কুচকে দেখি একটা আননোন নাম্বার।কেটে দিয়ে আবার কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে পড়তেই আবার ফোন বেজে উঠলো।এবার দেখি প্রাইভেট নাম্বার লিখা উঠছে।অনেক সময় আরাফ ভাইয়া ফোন দিলে প্রাইভেট লিখা উঠে।ইচ্ছে ঘুমের মধ্যেই বলল,
–ধর না,বিরক্ত!
আরাফ ভাইয়া ফোন দিয়েছে ভেবে আমি ফোন ধরতেই একটা মোটা কন্ঠের ছেলে বলল,
–অন্ত?
–জ্বী আপনি কে?
–কখন থেকে ফোন করছি,তুলছিস না কেন?
–কে আপনি?(ভ্রু কুচকে)
–তোকে একটা ভিডিও পাঠিয়েছি দেখ।
বলেই ছেলেটা ফোন কেটে দিল।আমি ডাটা অন করতেই দেখি ‘জলন্ত মানব’ আইডি থেকে একটা ভিডিও এসেছে।ভিডিও অন করতেই আমার রক্ত শীতল হয়ে গেল।কয়েকজন ছেলে মিলে একটা মেয়েকে ভয়ঙ্কর মৃত্যু দিচ্ছে।কুড়ি সেকেন্ড দেখতেই ফোনে মেসেজ আসলো।মেসেজে লিখা আছে ‘বি রেডি’।আমি একটা চিৎকার দিয়ে ফোন ফ্লোরে ফেলে দিলাম।ইচ্ছে ঘুমের মধ্যে থেকে উঠে বসে বলল,
—কি হয়েছে?কি?
আমি ওকে জড়িয়ে ধরেই হাউমাউ করে কান্না করতে লাগলাম।ইচ্ছে বিচলিত হয়ে আমার পিঠে হাত দিয়ে বলল,
–কি হয়েছে?কাঁদছিস কেন?
আমি কান্না করতে করতে বললাম,
–ওই ভিডিও টা।খুন করছে।আমাকেও খুন করবে।
–দেখি কিসের ভিডিও?একটু আগে কে ফোন করেছিল?
ইচ্ছে আমাকে সরিয়ে বেড থেকে নেমে ফ্লোর থেকে ফোন নিয়ে ভিডিও অন করে দেখেই একটা চিৎকার দিয়েছে।ফোন বিছানার উপর ফেলে দিয়ে থরথর করে কাঁপতে লাগলো।আমি বেড থেকে নেমে ইচ্ছের কাছে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললাম,
–কককে এমন করছে?
সঙ্গে সঙ্গে বেলকুনিতে দুই তিনটে ঢিল পরলো।আমরা দরজা খুলেই নিচে অ্যান্টির কাছে যাওয়ার জন্য দৌঁড় দিলাম।সিঁড়ির কাছে এসেই আমি একবারে দুই সিঁড়ি ক্রস করতে যেয়ে পরে গেলাম।পায়ে খুব ব্যথা পেলাম।ইচ্ছে আমার একবাহু ধরে জোড়ে জোড়ে অ্যান্টিকে ডাকতে লাগলো।আমাদের ডাক শুনে নির্ভীক ভাইয়া সবার আগে বেড়িয়ে আসলেন।উনার রুম আমাদের দুই রুম পরেই।নির্ভীক ভাইয়া হন্তদন্ত হয়ে সিঁড়ির কাছে এসে আমাদের বসে থাকতে দেখেই বললেন,
–হোয়াট হ্যাপেন্ড?কি করছো তোমরা এখানে। (ব্যস্ত হয়ে)
ইচ্ছে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল,
–অন্ত পরে গেছে।ওকে কে যেন একটা ভিডিও দিয়েছে।খুনের ভিডিও।আর মেসেজে লিখেছে ‘বি রেডি’।বেলকুনিতে ঢিল ও ছুড়েছে।
নির্ভীক ভাইয়া চেঁচিয়ে বললেন,
—হোয়াট!!
তারপর উনি আমার কাছে এসে আমার দুইবাহু ধরে দাঁড় করিয়ে বললেন,
–কে ভিডিও পাঠিয়েছে?কোথায় পরে গিয়েছ?কোথায় লেগেছে?(উত্তেজিত হয়ে)
ততক্ষণ অ্যাঙ্কেল-অ্যান্টি,খালা,চাচা রুম থেকে বেড়িয়ে সিঁড়ির কাছে চলে এসেছে।সবাই ব্যস্ত হয়ে একসাথে একই কথা জিজ্ঞেস করছে।নির্ভীক ভাইয়া একহাতে আমার একবাহু ধরেছেন আর অন্যহাতে আমার একগাল ঝাকিয়ে বলছেন,
–কি হল বলো?কোথায় লেগেছে?অন্ত?ফোন কোথায় তোমার?
ইচ্ছে গিয়ে অ্যান্টিকে জড়িয়ে ধরলো।আমি সিঁড়ির রেলিং ধরে সিঁড়িতে বসে বললাম,
—উফ্ আমার পা!(পায়ে হাত দিয়ে)
নির্ভীক ভাইয়া আমার নিচের সিঁড়িতে বসে আমার পায়ে হাত দিয়ে বললেন,
–এখানে লেগেছে তো।ফুলে উঠছে।(চিন্তিত হয়ে)
আমি আতংকে কান্না শুরু করে দিয়েছি।নির্ভীক ভাইয়া ব্যস্ত হয়ে আমাকে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে উনার বুকে আমার মাথা চেপে ধরে বললেন,
–কিছু হয়নি।সব ঠিক হয়ে যাবে, ডোন্ট ক্রাই।পা ব্যথা এখনই ভাল হয়ে যাবে।আম্মুর কাছে অনেক মেডিসিন আছে।
বলেই উনি আমাকে কোলে তুলে নিয়ে আমাদের রুমে এসে আমাকে বেডে বসিয়ে দিলেন।আমি উনার টিশার্ট খামছে ধরে রুমের জানালা আর বেলকুনির দিকে তাকালাম।সবাই আমাদের রুমে আসলো।অ্যাঙ্কেল-অ্যান্টি জানতে চাইলো কি হয়েছে।ইচ্ছে অ্যান্টিকে জড়িয়ে ধরেই বলল,
–আমরা ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম।অন্তর ফোন এসেছিল।কে যেন ওকে একটা ভিডিও পাঠিয়েছে।কয়েকটা ছেলে একটা মেয়েকে খুন করছে আর মেসেজে বলেছে ‘বি রেডি’।আমরা ফ্লোরে নামতেই কে যেন বেলকুনিতে তিন চারটে ঢিল ছুড়েছে।দৌঁড়ে নিচে যেতে গিয়ে অন্ত সিঁড়িতে পরে গিয়েছে।
নির্ভীক ভাইয়া আমাকে ছেড়ে দিয়ে বেড থেকে আমার ফোন তুলে নিয়ে দেখতে লাগলেন।ফোন দেখে উনি বেলকুনিতে গেলেন।অ্যাঙ্কেলও উনার সাথে বেলকুনিতে গেলেন।উনারা দুটো ইটের টুকরো নিয়ে রুমে এসে সোফায় বসলেন।ইটের টুকরো সাদা কাগজ দিয়ে মোড়ানো আছে।নির্ভীক ভাইয়া কাগজে কি যেন দেখে দুটো কাগজ আর আমার ফোন ট্রাউজারের পকেটে ঢুকিয়ে নিলেন।আমার কাছে এসে ফ্লোরে বসে বললেন,
–আম্মু পা তো ফুলে উঠেছে।
উনি পায়ে হাত দিতেই আমি পা টান দিয়ে বললাম,
–হাত দিবেন না,ব্যথা করছে।
উনি তাও আস্তে করে হাত দিলেন।অ্যান্টি আর খালা নিচে গিয়ে মেডিসিন আর স্প্রে নিয়ে আসলো।পায়ে স্প্রে করে আমাকে একটা মেডিসিন খাইয়ে দিল।অ্যান্টি পা দেখে বলল,
–মচকে গিয়েছে।একটা ইলাস্টিক ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিলে আরাম পাবে।এটা সারতে কটাদিন সময় লাগবে মনে হচ্ছে।বাসায় ব্যান্ডেজ নেই।কাল সকালে কয়েকটা ব্যান্ডেজ নিয়ে আসিস।
নির্ভীক ভাইয়া উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
–এখনই আনছি।খালা গেইটের চাবি কোথায়?গেইট খুলে দাও আসো।
বলেই উনি যেতে লাগলেন।আমি উনাকে ডেকে বললাম,
–নির্ভীক ভাইয়া দাঁড়ান।আজকে আনতে হবে না।এখন ব্যথা করছে না আর।এত রাতে বাহিরে যাবেন না প্লিজ।
উনি আমার দিকে তাকিয়ে বললেন,
–ডোন্ট ওরি,যাবো আর আসবো।চুপ করে বসে থাকো।ভয় পাবা না,কোন ভয় নেই।
অ্যাঙ্কেল বললেন,
–সুজনের ফার্মেসিতে যাও।ওরটা অনেক রাত পর্যন্ত খোলা থাকে।
নির্ভীক ভাইয়া বেড়িয়ে গেলেন।অ্যান্টি আমাকে কি মেডিসিন যে দিয়েছে আমি চেয়েও তাকিয়ে থাকতে পারছিনা।খুব ঘুম পাচ্ছে।নির্ভীক ভাইয়া আসার আগেই আমি ঘুমিয়ে গেলাম।
চলবে…………..