ভালোবাসি_বলেই_তো❤ সারপ্রাইজ পর্ব – ২

0
1070

#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️
লেখিকা – #আদ্রিয়া_রাওনাফ
সারপ্রাইজ পর্ব – ২

২৬ শে মার্চ এর দিনটা বৃহস্পতিবার , আর শুক্রবার সরকারি ছুটির দিন ।

২৫ তারিখেও “কাল রাত” ভার্সিটি গুলোতে উদযাপন করা হয় । জিব্রান হিসেব করে দেখল ৩ দিন ছুটি থাকবে ।

ওরা সবাই মিলে ডিসিশন নিল ২৫ তারিখ ভোরে র‌ওনা দিয়ে ২৬ আর ২৭ তারিখ ঘুরাঘুরি করে ২৭ তারিখ রাতে নাইট কোচে র‌ওনা করে আবার ঢাকায় ব্যাক করবে । ২৮ তারিখ থেকে যার যার ভার্সিটি এবং অফিসে উপস্থিত থাকবে ।

পূর্ণতা বলল ,

– আজ ই তো ২৪ তারিখ , তারমানে কি আমরা কাল র‌ওনা দিচ্ছি !!

জিব্রান বলল ,

– হ্যা , কাল সকাল ৫ টায় এখান থেকে র‌ওনা হবো । সবাই মিলে কাজ করলে সব কাজ আজ রাতেই সেড়ে ফেলা যাবে ।

ফাহিম বলল ,

– আমরা টোটাল কয়জন ??

আয়মান বলল ,

– জুটি হিসেব করলেই তো হয় !!

তাসিন বলল ,

– আমি – নীরা , ফাহিম – রুহি , আয়মান – প্রেনা , নাদিরা ভাবি – জিব্রান ভাইয়া আর সবশেষে জুটিহীন আবরন – পূর্ণতা ।

আবরন চোখ ঘুচিয়ে তাসিনের দিকে তাকালো । ওর চাহনি দেখে সবাই মুখ টিপে হাসল । তাসিন বলল ,

– আমার কি দোষ এখানে ? তুই আর পূর্ণতা তো কাপল না , বাকি আমরা সবাই কাপল , ঠিক নাকি ভুল ??

পূর্ণতা আর আবরন বাদে সবাই বলল ,

– ঠিক !!

জিব্রান বলল ,

– তার মানে আমরা টোটাল ৫ জোড়া কাপলস আই মিন ১০ জন যাচ্ছি !!

নীরা বলল ,

– মাইক্রোবাস ভাড়া করতে হবে মনে হচ্ছে ।

আবরন বলল ,

– তার দরকার হবে না । আমি আমার বাবা কে ফোন করে আমাদের অফিসিয়াল গাড়িটা তিনদিনের জন্য ম্যানেজ করছি ।

ফাহিম বলল ,

– ওকে , তাহলে একটা প্রবলেম সলভ হলো ! দ্বিতীয়ত , গিয়ে উঠবো কোথায় ??

জিব্রান বলল ,

– আবরনদের নতুন ফার্ম হাউজে গিয়ে উঠতে হবে , তাই না আবরন ?

আবরন বলল ,

– হু , সেটা ও আমি বাবাকে বলে ম্যানেজ করছি প্রবলেম নেই ।

জিব্রান বলল ,

– তাহলে তো সমস্যা শেষ ! এখন সবাই যার যার বাসায় গিয়ে জলদি জলদি ব্যাগ গুছিয়ে নাও । কাল সকাল ৫ টা ১৫ এর মধ্যে সবাই পলাশির মোড়ে চলে যাবো , সেখান থেকেই মাইক্রোবাসে উঠব । কারন সবার বাসায় গিয়ে পিক করা পসিবল হবে না ।

আবরন বলল ,

– ওকে , তো আমি গাড়ির ড্রাইভার কে ৫ টায় পলাশির মোড়ে থাকতে বলব ।

জিব্রান বলল ,

– এখন কি সবাই সহমত ? বাকি প্ল‍্যান গাড়িতে যেতে যেতে করবো ।

সবাই চিল্লিয়ে উঠলো ,

– ইয়েএএএএএ , পার্টিইইইইইই !!

আবরন বলল ,

– এখন‌ই ৮ টা বাজে । সবাই যার যার বাসায় গিয়ে গুছগাছ শেষ করে একটা সাউন্ড স্লিপ দিয়ে নাও । সকাল ৫ টা ১৫ তে দেখা হচ্ছে ।

প্রেনা বলল ,

– ওয়েট , ওয়েট । আমরা একটা কথা বলার আছে ।

সবাই আগ্ৰহ নিয়ে প্রেনার দিকে তাকাতেই প্রেনা বলল ,

– সব কাপল শুক্রবারের জন্য ম্যাচিং করে ড্রেস নিও । যেমন : আমি আর আয়মান লাল পড়লাম তোমরা অন্য কেউ নীল পড়লে এই রকম আরকি । যার যেমন ইচ্ছা কথা বলে ম্যাচিং করে নিয়ে নিও ।

জিব্রান বলল ,

– what a great idea !! ওকে প্রেনার কথা মতো সবাই একদিনের জন্য ম্যাচিং ড্রেস নিব । এখন সবাই জলদি বাসায় যা , প্রস্তুতি নে ভ্রমণের জন্য ।

একে একে সবাই বেরিয়ে পড়ল পূর্ণতাদের বাসা থেকে । বাকি র‌ইল শুধু আবরন ।

জিব্রানের রুমে এতক্ষন সবাই আড্ডা দিচ্ছিল । জিব্রান বলল ,

– তোরা-ও যা , সব গুছিয়ে নে । আমি একটু নাদিরাকে ফোন করে সব বুঝিয়ে দিই ।

পূর্ণতা বলল ,

– ঠিক আছে । কথা বল । আমি গেলাম ।

পূর্ণতা নিজের রুমের দিকে গেল । আবরন জিব্রানকে ফোন বের করে কথা বলতে দেখে চলে যাওয়ার ইশারা করে জিব্রানের রুম থেকে বেরিয়ে এলো ।

আবরন পূর্ণতার রুমের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় দেখল ও ব্যাগ নামিয়েছে আর আলমারি থেকে কাপড় চোপড় নামাচ্ছে । আবরন শব্দহীন ভাবে পূর্ণতার রুমে প্রবেশ করে দরজাটা লাগিয়ে দিয়ে ওর পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে বলল ,

– ম্যাডাম !! শুনছেন !!

পূর্ণতা হঠাৎ আবরনের গলা শুনে যেন ভুত দেখার মতো ভয় পেল । আবরন ওর দুই বাহু ধরে বলল ,

– রিল্যাক্স , আমি এসেছি । ভয় পাওয়ার কিছু নেই ।

পূর্ণতা বুকে থু থু দিয়ে বলল ,

– আপনি কখন এলেন আমি তো আলাপ‌ ই পাই নি ।

– আলাপ পেতে হবে না !! এখন যেটা বলতে এসেছি । তুমি একটা স্কাই ব্লু ড্রেস নিয়ে নিও ।

পূর্ণতা ভ্রু কুচকে বলল ,

– কেন ??

– কেন আবার ? তুমি শুনো নি তখন যে সবাই শুক্রবার ম্যাচিং করে ড্রেস পড়বে ।

পূর্ণতা বলল ,

– সবাই তো কাপল , তাই ম্যাচিং ড্রেস পড়বে । আমরা কেন পড়বো ?

– পড়বে কারন …….

পূর্ণতা মাথা ঝাকিয়ে বলল ,

– হ্যা , বলেন কারন কি ?

আবরন রেগে বলল ,

– থাক , নিতে হবে না ।

এই বলে চলে যাচ্ছিল । পূর্ণতা পেছন ওর হাত ধরে বলল ,

– দাঁড়ান !

আবরন দাঁড়িয়ে বলল ,

– কি ?

পূর্ণতা আবরনের সামনে গিয়ে বলল ,

– আজ আমাকে হাতির ঝিল নিয়ে যাবেন না ??

– কাল তো সকালে উঠতে হবে , আজ কি করে নিবো ?

পূর্ণতা বলল ,

– ওও , হ্যা । তাইতো , আচ্ছা থাক ।

আবরন ওর থেকে নিজের হাতটা ছাড়িয়ে নিতেই পূর্ণতার মনে ধুক করে উঠল । ওর মনে হচ্ছিল কাছের কিছু একটা দূরে সরে যাচ্ছে , হারিয়ে যাচ্ছে । নিজের অনিচ্ছায় আবরনকে আবার ডাকল ,

– শুনুন ।

আবরন দাঁড়িয়ে গিয়ে বলল ,

– বলো ।

পূর্ণতার কেন যেন খুব কষ্ট হচ্ছে । নিজের অজান্তেই চোখ থেকে পানি পড়তে লাগল টুপ টুপ করে ।

পূর্ণতা আবরনের সামনে গিয়ে বলল ,

– আচ্ছা , সরি । আমি জামা নিচ্ছি স্কাই ব্লু কালারের । তবুও আপনি রাগ করবেন না !! প্লিজ ।

আবরন অন্যদিকে তাকিয়ে বলল ,

– আমি কারো সাথে রাগ করি না । আর যদিও করি তাতে তোমার কি ?

পূর্ণতা কান্নার বেগ বাড়িয়ে আবরনের হাত ধরে বলল ,

– প্লিজ , সরি বললাম তো ।

পূর্ণতার চোখে পানি দেখে আবরনের কষ্ট হচ্ছিল । ও মনে মনে ভাবল ,

– আম্মু ঠিক‌ই বলেছিল । ভালোবাসলেই একটা মানুষ আরেকটা মানুষের কষ্টে কাঁদে । ভালোবাসলেই একটা মানুষ অভিমান করলে আরেকটা মানুষের কষ্ট হয় । সত্যিই প্রমাণিত হলো যে আমরা দুজন‌ই দুজনকে ভালোবাসি কিন্তু তা মুখে স্বীকার করি না ।

নিজের মনেই কথা গুলো চাপা দিয়ে আবরন পূর্ণতার চোখের পানি মুছে দিয়ে বলল ,

– রাগ করি নি মিস. কান্নাপরী । আপনি কাদবেন না দয়া করে । আমাকে যেতে দিন , বাসায় গিয়ে ব্যাগ গুছাতে হবে ।

পূর্ণতা হেচকি তুলতে তুলতে বলল ,

– ঠিক আছে । যান ।

এই বলে উল্টো ঘুরে আবার আগের জায়গায় যাচ্ছিল কিন্তু আবরন কি মনে করে ওকে আবার ডেকে বলল ,

– আরেকটা কথা ।

পূর্ণতা আবার আবরনের দিকে ঘুরে জবাব দিল ,

– হুম !!

আবরন পূর্ণতার সামনের চুলগুলো বাম কানের পেছনে গুজে দিয়ে ওর বাম গালে নিজের ডান হাত রেখে কপালে ছোট্ট করে চুমু এঁকে বলল ,

– গুড নাইট মিস. কান্নাপরী ।

পূর্ণতা বলল ,

– গুড নাইট ।

আবরন তারপর চলে গেল ।
আবরন চলে যেতেই পূর্ণতা নিজের বাম গালে হাত রেখে মনে মনে বলল ,

– আজ বুঝলাম নিজের মনের অজান্তেই কতটা ভালোবেসে ফেলেছি আপনাকে । হ্যাঁ , জানি না সত্যিটা কখনো বলতে পারবো কিনা !! কিন্তু #ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️ আপনার রাগ অভিমান আমাকে নিঃস্ব করে দেয় । হ্যাঁ , আমি আপনাকে #ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️ আপনার সঙ্গ আমাকে সুস্থ‍্য করে দেয় ।
হ্যাঁ , আমি আপনাকে #ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️ আপনার খুশি গুলোকে নিজের খুশি ভেবে নিয়ে সুখে থাকি ।
#ভালোবাসি_বলেই_তো ♥️ আপনাকে এখন হারাতেও ভয় করি ।

আর হয়তো ভালোবাসি বলেই আপনাকে হারাবার ভয়ে এই সত্যি কথা গুলো মনের ভেতর‌ই জমা থাকবে । হ্যাঁ , আবরন , আমি সত্যিই আপনাকে খুব ভালোবাসি , আমি আজ নিজে ফিল করছি বিষয়টা । আর এটাও জানি আপনিও আমাকে ভালোবাসেন । ♥️

ভাবনা গুলো মনের ভেতর নিয়েই মুচকি হেসে ব্যাগে একটা স্কাই ব্লু ড্রেস ভরে নিল পূর্ণতা ।

…………………………………………………..

রাত ১২ টা ,

আবরন ব্যাগ গুছিয়ে ট্রাউজার আর টি শার্ট পড়েই চুপি চুপি ঘর থেকে বেরিয়ে গাড়ি নিয়ে সোজা পূর্ণতাদের বাসায় গেল । গাড়ি গেইটের সামনে থামিয়ে পূর্ণতা কে কল দিল ।

পূর্ণতাদের বাসায় সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে কারন সকাল ৫ টায় জিব্রান আর পূর্ণতার উঠে র‌ওনা হতে হবে ।

পূর্ণতাও ব্যাগ গুছিয়ে শুয়ে পড়েছে । হঠাৎ ফোন বেজে ওঠায় ঘুমের চোখেই ফোনটা রিসিভ করে কানে দিতেই ওপাশ থেকে প্রিয় মানুষটার গলা ভেসে আসতে লাগল ,

– হ্যালো । ঘুমিয়ে পড়েছো । আমি তোমাকে নিয়ে হাতির ঝিল যাবো , তুমি আসবে নিচে ??

পূ্র্ণতা চোখ ডলে শোয়া থেকে উঠে বসে বলল ,

– আপনি পাগল ?? আমি তো এমনি বলেছিলাম । এত রাতে এখন কি করে বের হবো ?

– যেভাবে আমি বের হয়েছি ! চুপি চুপি বেরিয়ে পড়ো । আর হ্যা ঐখানে অনেক বাতাস , ভালো করে শরীরে ওরনা পেচিয়ে নিও ।

– আচ্ছা , দেখছি কি করতে পারি !

– উহু , এখন দেখছি বললে চলবে না , তোমাকে আসতেই হবে ।

– আচ্ছা , আসছি ।

এই বলে কল কেটে দিল পূর্ণতা । মিনিট পাঁচেক গাড়িতে বসে অপেক্ষার পর আবরন দেখল পূর্ণতা গেইট দিয়ে বেরিয়ে আসছে ।

আবরন গাড়ির দরজা আনলক করতেই পূর্ণতা ওর পাশের সিটে ভেতরে উঠে বসল । আবরন ওর দিকে তাকিয়ে দেখল কালকের সেই পরোনের ড্রেস পড়েই ওরনা পেঁচিয়ে ও চলে এসেছে ।

পূর্ণতা আবরনের দিকে তাকিয়ে বলল ,

– কি হলো ? তাকিয়ে দেখছেন কি ? চলুন ।

আবরন গাড়ি ঘুরিয়ে হাতির ঝিলের দিকে র‌ওনা হলো ।

পূর্ণতা আবরনের দিকে তাকিয়ে বলল ,

– আপনি‌ও দেখি আমার মতো ঘরে যা পরোনে ছিলেন তা পড়ে চলে এসেছেন ?

আবরন হেসে বলল ,

– কি আর করবো ! মহারানীর আজ্ঞা , তাই বাধ্য হয়ে বের হতে হয়েছে ।

– আমি কখন বলেছি আপনাকে ঘরের পোশাক পড়ে চলে আসতে ?

– তুমি বলোনি ! কিন্তু কি আর করার , আবার ড্রেস চেঞ্জ করে আবার বাসায় গিয়ে ড্রেস চেঞ্জ করে ঘুমাতে হবে । তাই আর চেঞ্জ করিনি ।

পূর্ণতা বলল ,

– হু , আজ ভোরে র‌ওনা হবো । ইপনি সব ম্যানেজ করে ফেলেছেন ?

– হা , বাবাকে বলে সব ম্যানেজ করেছি ।

– যাক , ভালো ।

আবরন পূর্ণতার দিকে তাকিয়ে বলল ,

– তোমার কলার কোথায় ?

– খুলে ফেলেছি ।

– মানে ! কেন ??

– আমার ঘাড়ের সমস্ত ব্যথা সেড়ে গিয়েছে ?

– এত জলদি ?? আর ইউ সিরিয়াস ?

– হ্যা , ব্যথা থাকলে কি এতক্ষন কলার ছাড়া থাকতে পারতাম নাকি ??

– আল্লাহর কোটি কোটি লাখ লাখ শুকরিয়া তোমাকে এত দ্রুত সুস্থ‍্যতা দান করার জন্য ।

– হুম । আমার খুব অসহ্য লাগত এই কলার পড়তে জানেন ??

– তা তো লাগার‌ই কথা । এমনিতেই গত কয়েকদিন অনেক গরম ছিল ।

– হু ।

কথা বলতে বলতে ওরা হাতির ঝিলে পৌঁছে এক সাইডে গাড়ি পার্ক করে নেমে দাঁড়ালো ।

আবরন বলল ,

– চলো । ব্রিজের দিকেই গোলা পাওয়া যাবে ।

– আচ্ছা , চলুন ।

আবরন বলল ,

-হাত ধরে হাঁটো । তুমি তো আবার পুচকি , পড়ে গিয়ে ব্যথা পেলে আবার সকালের ট্রিপে যাওয়া বন্ধ হবে ।

পূর্ণতা হেসে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলল ,

– হ্যা , তা অবশ্য ঠিক ।

আবরন পূর্ণতা একে অপরের হাত ধরে ব্রিজের দিকে গেল ।

বড় একটা গাড়িতে এক লোক গোলা বিক্রি করছে । আবরন গিয়ে বলল ,

– মামা , আপনার কাছে যত গুলো কালার আছে সব গুলো দিয়ে একটা গোলা বানিয়ে দিন তো !

পূর্ণতা বলল ,

– আপনি খাবেন না ??

– খাবো ।

– তাহলে একটা অর্ডার করলেন যে !

– তোমার টার থেকেই খাবো । তারপর আরো একটা অর্ডার দিয়ে আবারো খাবো ।

পূর্ণতা বলল ,

– ওকে ।

আবরন মনে মনে ভাবছে ,

– আয় হায় ! আজকে সূর্য টা কোন দিকে উঠবে ?? ম্যাডামের মতি গতি তো বুঝতে পারছি না । হঠাৎ এত ম্যাচুয়ারিটি এলো কোথা থেকে ??

– এই নেন মামা আপনের গোলা ।

লোকটা গোলা বাড়িয়ে দিয়ে কথা বলতেই আবরনের ভাবনায় বিচ্ছেদ ঘটল । গোলা হাতে নিয়ে পূর্ণতার হাতে দিয়ে বলল ,

– এই নাও তোমার গোলা ।

পূর্ণতা গোলা হাতে নিয়ে নিজে একটু খেয়ে আবরনের দিকে বাড়িয়ে ধরে বলল ,

– এই নিন । আমি এই পাশ থেকে খাচ্ছি , আপনি বরং ঐ পাশ থেকে খান ।

আবরন ইচ্ছে করেই পূর্ণতা যেখান থেকে খেয়েছে সেখান থেকে খেয়ে বলল ,

– আমিই বরং এই পাশ থেকে খাই , তুমি ঐ পাশ থেকে খাও ।

পূর্ণতা আবরনের কান্ড দেখে মনে মনে ভাবছে ,

– আপনি পারেন‌ ও । শুধুই মুখেই বলেন না । কত বার কাল চেষ্টা করলাম ?? বোম মারলেও আপনার মুখ থেকে সত্যিটা বোধয় বের হবে না !!

গোলা একটা শেষ করে দুজনে মিলে আরো দুইটা গোলা পর পর এক‌ই ভাবে খেল । তারপর রাত ২ টায় বাড়ির উদ্দেশ্য র‌ওনা হলো ।

পূর্ণতা কে ওর বাসার সামনে ড্রপ করে দিয়ে আবরন বলল ,

– সকালে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ । এখন গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো । আর শোনো নিজের রুমে পৌঁছে আমাকে ম্যাসেজে জানিও ।

পূর্ণতা হেসে বলল ,

– আচ্ছা । চিন্তা করবেন না । অনেক রাত হয়েছে । আপনি বাসায় যান । বাসায় গিয়ে আমাকেও জানাবেন ।

– ওকে , আল্লাহ হাফেজ ।

– আল্লাহ হাফেজ ।

পূর্ণতা গেইট দিয়ে ভেতরে ঢুকে যেতেই আবরন গাড়ি ঘুরিয়ে নিজ বাসায় উদ্দেশ্যে র‌ওনা হলো ।

#চলবে ♥️

বিঃদ্রঃ Surprise again guys !! কেমন লাগলো আজকের সারপ্রাইজ ?? আপনাদের সারপ্রাইজ দিতে গিয়ে আমি নিজেই সারপ্রাইজড হয়ে গিয়েছিলাম , কারন আমি নিজেও জানতাম না আজকে এত বড় একটা সুযোগ পাবো ।

কেমন লাগলো দ্বিতীয় সারপ্রাইজ কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন ।

আর গল্পের ভুল – ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ধন্যবাদ । ♥️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here