গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ২
লেখক: হানিফ আহমেদ
অর্ণি না আমায় ভালোবাসে, তাইলে কিভাবে পারলো আমার সাথে এমন করতে। এর মাশুল অর্ণিকে দিতে হবে, খুব বড় ভুল করলো অর্ণি। অর্ণব এই কথা গুলো বলেই চাকু দিয়ে হাতের রগ বরাবর টান দিলো,মুহূর্তেই ওর দেহটা ঠাণ্ডা হয়ে গেলো।
,,,,
মৌ আর অর্ণব এর আরো চারটা ফ্রেন্ড আসলো,
অর্ণব এর বেষ্ট ফ্রেন্ড মৌ।
মৌ: আন্টি অর্ণব কি রুমেই আছে?
আন্টি: হুম আছে, জানিনারে মা হঠাৎ করে ওর কি হলো, রুমের সব কিছু ভেঙে ফেলছে, ওর কাছে গেলে শুধু চেঁচাচ্ছে। তোরা গিয়ে দেখতো,এখন আবার রুমের দরজা লাগিয়ে রেখেছে।
মৌ: আচ্ছা আন্টি আমরা দেখছি”
মৌ রা উপরে চলে যায়।
মৌ: অর্ণব ওই অর্ণব দরজা খুলতো, ওই দরজা খুল?
ওরা কিছুক্ষণ ডাকার পর, ওপাশ থেকে কোনো রেসপন্স না পেয়ে,
রাহুল: অর্ণব আবার নিজের কোনো ক্ষতি করে ফেলেনি তো?
মৌ: খারাফ বকিস না তো, তোরা দরজা ভেঙে ফেল!
রাহুল: হুম
,,,,,
দরজা ভাঙার পর
ওরা রুমে ডুকে ওরা নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছে না,
মৌ অর্ণব বলে চিৎকার করে, ওর চিৎকার শুনে অর্ণব এর মাবাবা আর ওর পিচ্ছি বোন নিধি তাড়াহুড়া করে উপরে যায় গিয়ে অর্ণব এর এমন অবস্থা দেখে ওর মা জ্ঞান হারিয়ে ফেলে,
রাহুল: অর্ণবের কিছুই হবে না, আমি এখনি এম্বুলেন্স ডাকছি,
অর্ণব এর বাবা: বাবা তাড়াতাড়ি করো, দেখ ওর অনেক রক্ত বের হচ্ছে ( কেঁদেই বললেন)
রাহুল: হুম,
,,,,,,,
রাত ১২টার দিকে ওর জ্ঞান ফিরে প্রচুর ব্লাড যাওয়ার কারণে মৃত্যু হতে পারতো,
জ্ঞান আসার পর, অর্ণব এর মা জিজ্ঞেস করে,
মা: অর্ণব কি হয়েছে তোর, কিছুই তো আমাদের বলছিস না, আর এমন কাজ করার আগে আমাদের কথা একটুও ভাবলি না,
অর্ণব: আম্মু সব বলবো! সময় হলেই জানবে, এখন একটু একা থাকতে দাও প্লিজ।
অর্ণব এর মা কিছু বলার আগেই, মৌ বলে উঠে
মৌ: আন্টি আপনারা বাসায় যান,আমরা ওর কাছে আছি,
আন্টি: হুম,
অর্ণব: আম্মু?
মা: কিছু বলবি?
অর্ণব: সরি আম্মু আর এমন করবো না। তুমি চিন্তা করবা না। আব্বু তুমিও চিন্তা করবা না
মাবাব: হুম, খেয়াল রাখিস নিজের।
অর্ণব: হুম
এই বলে অর্ণব থামলো
হানিফ বললো।
– এতো কিছু হয়ে গেলো আর কেও আমায় কিছুই জানালো না? ভালোই আজ ৩ দিন আর তোমরা কেওই আমায় কিছু জানানোর ইচ্ছা করলা না, ভালোই।
-এই দুই দিন কি আমরা শান্তিতে ছিলাম তোর মনে হয়। আর তুই তো আপুর বাসায় ছিলি তাই বিরক্ত করিনি ,প্রথম তোকেই আমি কল দিছিলাম।
– তারপর কি হলো বল,
– হুম
অর্ণব আবার বলতে শুরু করে
(রাত ১:২০ মিনিট, মৌ আমার পাশে বসে আছে।আর রাতুলরাও বসে আছে,
অর্ণব: আমায় কবে ছাড়বে এখান থেকে?
মৌ: সকালেই।
অর্ণব: কালকেই অর্ণির সুখের দিন শেষ,
দিপু: কি করবি তুই অর্ণির সাথে?
অর্ণব: সকাল হতেই দে, তখন দেখবি কি করি, আমায় অনেক দিন ধরেই বিরক্ত করছে, আর এখন এমন কাজ করছে আমার বাচতেই ইচ্ছা করছে না,
মৌ: আজেবাজে কথা বলিস না তো, সকালে কি করবি শুনি একটু,
অর্ণব: অর্ণি আমার যেটা নিয়ে এতো কথা বলছে আমি সেটাই করবো ওর সাথে।
মৌ: মানে?
অর্ণব: ধর্ষণ করবো অর্ণিকে, দেখিয়ে দে,,,,
আর বলতে না দিয়ে মৌ ওর গালে ঠাস করে থাপ্পড় বসিয়ে দেয়,
মৌ: আমি একটা মেয়ে, আর আমার সামনে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করবি বলছিস,
রাতুল: তোর মেয়ে জাত যে অর্ণবের এতো বড় খারাপ কাজ করলো,কই ওই ভিডিওতে তো তোর মতোন মেয়েরা অনেকেই অর্ণব কে নিয়ে খারাপ খারাপ কথা বলছে, কই ছিলো তোর মেয়ে জাত তখন?
দিপু&সজিব&রনি: ঠিক, এক সাথে বলে উঠলো,
মৌ রেগে গিয়ে
মৌ: তোরা চারটা থামবি নাকি অর্ণবের মতো তোদের চারটার গালে লাগাবো?
সবাই চুপ হয়ে গেলো।
মৌ: তোরা সব কয়টা আমার নিজের আপন ভাইয়ের মতো, ওই অর্ণি অর্ণবের সাথে যা করছে এসবের জন্য আমার ঘা জলে যাচ্ছে, অর্ণির শাস্তি আমি দেবো, শুধু অর্ণব না তোদের সাথেও এমন হলে আমি প্রতিবাদ করতাম।
অর্ণব: তুই কি করবি?
মৌ: তাহলে শুন
সবাই: বল
মৌ: অর্ণব তুই তো অর্ণিরে ধর্ষণ করবি , কারণ তুই তর পুরুষত্ব প্রমাণ দিবি,
অর্ণব: হুম
মৌ: শুন তাহলে,,,,,
,,,,,,,,,,,,,,,,,?
অর্ণব: এটা আমি কখনো পারবো না,
রাতুল: তোকে পারতেই হবে, এটা আমাদের মাথায় কখনো আসে নি,
সজিব: পুলিশের মামলা হয়ে যাবে,
মৌ: তুই ভিতু আজীবন থাকবি, হানিফ কুত্তারে ফোন দিচ্ছি বিকাল থেকে কিন্তু সে ব্যাক করছেই না,
ওরা: আমরাও দিছি, ধরে নি
অর্ণব: ও থাকলে না জানি কি করতো ,ভালোই হইছে নাই সে।
মৌ: হুম, রনি তোর মামার হোটেল আছে তাই না?
রনি: হুম, রুম চাইতো অর্ণবের জন্য , হয়ে যাবে।
মৌ: গুড
অর্ণব: এটা আমি কিভাবে করবো?
মৌ: তুই পারবি, শুধু আমি যা বলছি তাই করবি?
অর্ণব: হুম
মৌ: অর্ণিরে ফোন দে এখন?
অর্ণব: এতো রাতে?
মৌ: হুম
দিয়ে বল কাল তোর সাথে দেখা করতে
রাতুল: এতো কিছুর পর কি দেখা করবে?
মৌ: করবে। অর্ণব ফোন দে তো
অর্ণব: হুম
,,,,,,,
অর্ণব: হ্যালো !
অর্ণি: কেন ফোন দিয়েছিস?
অর্ণব: তোমার সাথে দরকার আছে কাল কি দেখা করতে পারবে
অর্ণি: কি করবি দেখা করে, তোর ওই ভিডিও ডিলিট করবো না,
অর্ণব: ভিডিও ডিলিট করা লাগবেনা, শুধু দেখা করলেই হবে!
অর্ণি: আচ্ছা, কখন করবি?
অর্ণব: কাল ১২টার সময়, ,,,,এই রেস্টুরেন্টে
অর্ণি: আচ্ছা, এখন রাখি শালা হি****
বলে রেখে দিলো
সবাই অর্ণির কথা শুনছিলো।
মৌ: অর্ণব তোকে ওই কাজ করার আগে আরেকটা কাজ করতে হবে।
অর্ণব: কি?
মৌ: থানায় যেতে হবে
অর্ণব: কেন?
মৌ: সেটা থানায় গেলিই বুঝবি, এখন সবাই একটু ঘুমাও, আমার ঘুম পাচ্ছে।
ওরা: হুম
,,
সকালে
চলবে,,,,,,,,
(গল্পে ফ্ল্যাশব্যাক চলছে, মাঝেমধ্যে বর্তমানে আবার কল্পনায়,
গল্পের ভুল গুলো ধরিয়ে দিবেন!
আশা করি সবাই পাশেই থাকবেন?)
ছোট একটা প্রশ্ন অর্ণির সাথে কি হতে চলছে, আজকের পার্ট পড়ে কার কি মনে হয়, কাল কি হতে পারে অর্ণির সাথে?
ভালো থাকবেন
ঘরেই থাকবেন