ভুলের মাশুল পর্ব: ৮

0
1185

, গল্প: ভুলের মাশুল
পর্ব: ৮
লেখক: হানিফ আহমেদ

চিঠিটা পড়ে অর্ণি কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো।
চিঠিটে লিখা ছিলো,
~অর্ণি তুমি পুকুর কিনেছো। কিন্তু জানো না সেই পুকুরে মাছ আছে কিনা?
অর্ণব সেই পুকুর, অন্য ছেলেদের মতো ও সুখি না অর্ণি? তুমি তালাশ করে নিও তোমার পুকুরে থাকা কিছুটা ভালোবাসা। বাকিটা তুমি ফলন করো?~
অর্ণি এই লেখা পড়ে কিছুই বুঝলো না, কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছে মৌ?
অর্ণি তাড়াতাড়ি করে পরের বক্স খুলে। বক্সের উপরে লিখা
কলিজার বন্ধুর বউয়ের জন্যে গিফট।
অর্ণি হাসলো
বক্সটা খুলে দেখলো ওইটাতে ছোট দুইটা সিম, রবি আর বাংলালিংক সিম। আর আরো দুটু খাম।
অর্ণির মনে আরো ভয় ডুকলো যে দুইটা খামে কি আছে?
কাপা হাতে প্রথম খামটা খুললো।
১ হাজার টাকার একটা বান্ডিল পেলো। গনে দেখলো ১০হাজার টাকা আছে, আর ছোট্ট একটা কাগজে লিখা , কি ভাবছিলা ভাবি শুধু সিম উপহার দেবো, হিহি তাই আরো সামান্য উপহার দিলাম , আর ভয় পেয়ো না ওই দুটা সিম মৌ এর আইডি কার্ড দিয়ে তুলা।
অর্ণি হালকা হেসে পাগল ফ্রেন্ডসরা অর্ণবের।
তারপর অর্ণি খুব স্বাভাবিক ভাবে পরের খামটা খুললো। এটাতে একটা কাগজ আছে।
কাগজটা ভয়ে ভয়ে খুললো, এটাতেও কিছু লিখা আছে।
~অর্ণি তুমি ঝরে যাওয়া কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে যতোই পানি ঢালো, সিজন না আসলে কিন্তু ফুল ফুটবে না।
অর্ণবকে যতোই ভালোবাসো কিন্তু সে তোমায় এতো সহজে ভালোবাসবে না। তাই বলে তুমি তারে ভুল বুঝবে না, সে হয়তো কোনো এক কালে তোমায় ভালোবাসবে, তুমি না হয় সব কালেই পানি ঢালবে?~
অর্ণির মাথায় কিছুই ডুকছে না এসবের মানেটা কি?
বক্সের নিচে হানিফ নামটা লিখা,
অর্ণি পরের বক্স হাতে নিলো এটাতে সজিব এর নাম লেখা।
সজিব এর বক্সটা খুলে দেখলো একটা ছোট্ট পুতুল
দেখেই মনে হচ্ছে খুব দামী।
এটাতেও একটা ছোট্ট কাগজ আছে।
অর্ণি ভাবছে ওরা কি মজা করছে এসব নাকি কোনো কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তারপরেও কাগজটা খুললো
এটাতেও কিছু লিখা আছে।
~ অর্ণব আমাদের সব চেয়ে ভালো ফ্রেন্ড। আমরা ৮ জনের ফ্রেন্ডসক্লাব ৭ জনের হয়েছে এক বছর আগেই, তখন থেকেই অর্ণবের আকাশটা মেঘলা।
অর্ণি তুমি না হয় ওর আকাশের সূর্য হয়ে মেঘটাকে কাটিয়ে দাও?~
অর্ণি এটা পরে আরো আহত হলো, কি হয়েছে এক বছর আগে, আমি তো ওদের ৭ জনকে দেখে আসছি সব সময়।
অর্ণি পরের বক্সটা হাতে নিলো।
রনির গিফট বক্স এটা।
অর্ণি এটাও খুললো এটাতে হলুদের মধ্যে কাজ করা একটা শাড়ি আছে, অর্ণি এমন শাড়ি আর কখনো দেখেনি, ওর মন চাচ্ছে এখনি পরে নিতে।
এই বক্সেও একটা কাগজ পেলো।
অর্ণি এখন আর ভয় না পেয়েই হাতে নিলো আর খুলে দেখলো!
~ অর্ণব কিন্তু খুব ভালো ছেলে, হয়তো তোমায় কষ্ট দিচ্ছে, এটা ভেবো না যে সব সময় কষ্ট দিবে,অর্ণবের হৃদয়ে ভালোবাসা আছে, সেটা তালাবন্ধ , তোমার কাছেই সেই চাবি টা অর্ণি?
বেশি ভালোবাসো হয়তো ওই তালাবন্ধ ঘর থেকে অনেক অমূল্য রত্ন পেতে পারো?~
এসবের মানেটা কি ওরা কি করছে এসব আমার সাথে?
অর্ণি পরের বক্স খুললো।
দিপুর ওইটা
বক্সে একটা সুন্দর লাল ডাইরি। তাও অনেক বড়, অর্ণি ভাবছে ডাইরি দিয়ে ও কি করবে ও তো ডাইরিই লিখে না।
আবার ভাবলো না এবার কিছু কিছু অনুভূতি ডাইরির সাদা পৃষ্ঠে লিখে রাখবো।
সে এসব ভাবতে গিয়ে বক্সে থাকা কাগজটি দেখেনি। চোখ দুটু বক্সের দিকে যেতেই কাগজটি চোখে পরে।
কাগজটি খুললো।
~ ছোট্ট সুখের পৃথিবী সাজাতে ছেয়েছিলো অর্ণব। যেখানে ছিলো অসীম স্বপ্ন, অটল শক্তি , আর হারানোর ভয়। স্বপ্ন, শক্তি দুটু জায়গাতেই ছিলো, অর্ণবের তিলেতিলে পালা পাখিটি উড়ে গেছে ওই দূর আকাশে অন্য কারো শহরে।
অর্ণি অর্ণবকে কখনো কষ্ট দিও না?~
অর্ণি এই লেখা পড়ে বুঝতে পারলো অর্ণব এর অন্ধ হৃদয়ে কোনো রাজকুমারী ছিলো।
অর্ণির চোখ দুটু ভিজে যায় মুহূর্তে , “এটাভেবে নয় যে অর অর্ণব কাওরে ভালোবাসতো” কান্না করছে যে অর্ণব কারো জন্য কষ্ট পাচ্ছে।
অর্ণির খুব ইচ্ছা করছে পরের বক্সটা খুলতে।
খুলেই ফেললো।
রাতুলের গিফট বক্স ওইটা,
বক্সে তেমন কিছুই নাই।
শুধু ছোট্ট একটা ঘড়ি আছে। হতাশ হলো, ঘড়ির বক্স খুলে দেখলো ওইটাতে ছোট্ট একটা কাগজ।
কাগজ দেখে অর্ণির মুখে হাসি ফুটে উঠলো।
কাগজটা খুলে দেখলো।
~ অর্ণি তোমার মনে আসা সব প্রশ্নের উত্তর তুমি পাবে? কৃষক ফসল ফলিয়েই কিন্তু তা ভোগ করার স্বপ্ন দেখে না। অপেক্ষা করে শুধু সঠিক মুহূর্তের। তুমিও করো?
আর ভিডিওটা ডিলিট করে দাও, আর এফবিতে কাজটার জন্য ক্ষমা ছেয়ে নিও। অর্ণবের কাছে এসব বিষয়ে কিছুই জানতে চাইবে না তুমি!~
অর্ণি খুব চিন্তিত, অর্ণব কি সব সময় এভাবেই কষ্ট দিবে অর্ণব কি কখনো বুঝবে না। মানুষ খুন করলেও তো শাস্তিটা কখনো কখনো মাপ হয়ে যায়।

অর্ণব আর অর্ণির আজ বিয়ে হলো ১ সপ্তাহ হলো।
অর্ণব আলাদা রুমে থাকে, অর্ণিও আলাদা রুমে। অর্ণি অর্ণব ছাড়া সবার সাথেই ভালোভাবে মিশে, কিন্তু অর্ণব এর সামনে গেলে, অনেক কটু কথা শুনায়, সেদিনও মাপ ছেয়েছিলো, কিন্তু অর্ণব কিছুই বলে নি।
অর্ণি সারাক্ষণ বাসার কাজ করে, আর রাতে নিধীর সাথে ঘুমায়। নিধীকে খুব ভালোবেসে ফেলছে। সারাক্ষণ আপু আপু করে, অর্ণবের প্রতিটা কষ্ট এদের কাছে গেলেই ভুলে যায়,
অর্ণবের বাবা রফিকুল ও অর্ণিকে ভালোবেসে ফেলছে।

আজ রবিবার। আকাশটা খুব মেঘলা, মেঘলা আকাশে পাখিরা করছে খেলা, অর্ণির মন চাচ্ছে সে একটু বাহিরে গিয়ে এমন মেঘলা পরিবেশে নিজেকে কিছুটা সময় ডুবিয়ে রাখতে। পা বাড়ালো বাহিরে যেতে পরক্ষণেই মনে পরলো ওর তো বাসার বাহিরে যাওয়া নিষেধ।
১০দিন ধরে ঘর বন্ধি। ফোনে মাঝেমধ্যে কথা বলে সবার সাথে।
এই ১০ দিনে অর্ণবকে মাত্র ৪ বার দেখেছে অর্ণি। ভিডিও ডিলিট করে, অর্ণবের কাছে ক্ষমা চাইতে যাওয়া আর নানা বাহানাতে আরো তিনবার গিয়েছিলো।

হঠাৎ আকাশে হালকা বিদ্যুৎ চমকালো। মাগরিব এর নামাজজ পড়ে বেলকনিতে বসে ছিলো।
বিদ্যুৎ চমকানোর সাথে সাথেই বৃষ্টি শুরু হলো।
এই বৃষ্টি নিয়ে অর্ণির অনেক স্বপ্ন ছিলো
সব যেন এখন হাস্যকর লাগছে।
~এক বৃষ্টি ভেজা রাতে,
আসবে তুমি একগুচ্ছ ফুল হাতে।
ভিজবে আমার সাথে,
বলবে বৃষ্টিকে সাক্ষী রেখে,
ভালোবাসি প্রিয় তোমাকে।~
অর্ণি অর্নবকে নিয়ে এমন আরো অনেক স্বপ্ন দেখেছিলো সব যেন দুঃস্বপ্ন মনে হচ্ছে। অর্ণব শুধু অর্ণির ভুল গুলোই দেখলো।
অর্ণির মধ্যে থাকা অর্ণবের জন্য প্রতিটা ভালোবাসা অর্ণবের চোখে পরে না।

অর্ণি বৃষ্টি উপভোগ করছিলো, উত্তরা হাওয়ায় বৃষ্টি গুলো সব অর্ণিকে ছুঁয়ে যাচ্ছে। অর্ণির ভালোই লাগছে।
নিধী আসলো
নিধী: আপু আপু ভিজে যাচ্ছো তুমি।
অর্ণি: কে কে, ও নিধু তুমি। (ভালোবেসে নিধু ডাকে)
নিধী: ইয়াহু! আপু আমায় ভয় পেয়েছে, বলে হাসতে শুরু করলো।
অর্ণি: উম আমি ভয় পাইনা।
নিধী: আপু ভিজে যাচ্ছো আসো রুমের ভিতরে আসো।
অর্ণি: তোমার ভাইয়া কোথায়?
নিধী: রুমেই আছে, ভাইয়াকে বললাম যে ভাইয়া আসো আপুর সাথে আড্ডা দেবো? কিন্তু ভাইয়া আমায় এত্ত গুলো বকা দিয়ে দিলো। পচা ভাইয়া এই নিয়ে ৪ বার বকছে।
অর্ণি: হুম তোমার ভাইয়া পচা না, আমার উপর রেগে আছে তাই এসব করে। চলো ভিতরে যাই।
নিধী আর অর্ণি ভিতরে চলে যায়।
বৃষ্টি আস্তে আস্তে কমে গেলো। টপটপ করে বাগানে থাকা গাছ গুলোর পাতা থেকে বৃষ্টি পরছে।
নিধী: আপু বলছিলা তুমি আমায় গান শুনাইবা।
অর্ণি: আজ না পিচ্ছি বুড়ি, অন্য একদিন?
নিধী: ওই আমায় বুড়ি বলবা না? এই দেখো আমার চুল কালো, এই দেখো আমার সব দাঁত আছে, শুধু একটা পোকাকে দান করে দিছি (দেখিয়ে বললো)
অর্ণি: হিহিহি আচ্ছা আচ্ছা আর বলবো না।
নিধী: এখন গান শুনাও?
অর্ণি জানে নিধী পিচ্ছি হলেও, যা একবার বলে সেটা না হওয়া পর্যন্ত যাবেই না।
অর্ণি: গিটার আছে?
নিধী: হুম আছে, ওইটা ভাইয়ার রুমে, তুমি বসো আমি নিয়ে আসছি।
অর্ণিকে কিছু বলতে না দিয়েই
নিধী তার পিচ্ছি পিচ্ছি পায়ে দৌড় দিলো।

নিধী অর্ণবের রুমে যায়। অর্ণব রুমে বসে গল্পের বই পড়ছিলো। নিধী অর্ণব কে কিছু না বলেই, গিটার হাতে নিয়ে চলে আসতে লাগলো।
অর্ণব এটা দেখে।
অর্ণব: গিটার নিয়ে কোথায় যাচ্ছিস?
নিধী: আপু গান শুনাবে, তাই গিটার নিয়ে যাচ্ছি।
অর্ণব: হাহাহা যা যা কাকের গলায় গান শুন গিয়ে।
নিধী: আপুকে বলে দেবো?
অর্ণব: যাবি এখান থেকে, নাকি মাইর দেবো!
নিধী: আম্মুকে বলবো এই নিয়ে দুইবার বকা দিছো। তুমি পচা পচা তেলাপোকার মতো লাল ভাইয়া তুমি।
অর্ণব: গেলি তুই।
নিধী চলে যায়।

অর্ণি: নিধু এখনো বকা দিছে তোমার ভাইয়া।
নিধী: হুম, পচা ভাইয়াকে আমিও বকা দিয়ে আসছি, রাগ দেখিয়ে তেলাপোকা ভাইয়া বলছি, ভালো করিনি আপু?
অর্ণি: আর বকবা না, ভাইয়া না তোমার খুব কিউট। আর বড়দের বকলে আল্লাহ রাগ করেন।
নিধী: আচ্ছা আর বকবো না। গান শুনাও এখন?
অর্ণি নিধীর হাত থেকে গিটার নিয়ে গিটারে শুর তুললো।
~ এক রাশ অভিমান জমেছে হায়,
মনের ঘরে আজ তুমি থাকো কষ্ট দিয়ে আমায়।
আমি কষ্টকে সুখ মনে করে, ওওওও আমি কষ্টকে সুখ মনে করে,
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন দেখি প্রতিটা নির্ঘুম রাতে।
তুমি আছো এই ছোট্ট হৃদয়ে।
ওওওও তোমার কষ্টকে আমি ভালোবেসেছি তোমায় আপন করে।
আমি নেই সুখি ওগো আমি দুঃখী ,
তোমায় ভালোবেসে আমি হয়েছি এক কষ্টের সাগরের মাঝি।
এক রাশ মেঘ জমেছে আমার আকাশে,
বৃষ্টি পরে প্রতিটা রাতে।
তোমায় ভেবে হেসে খেলি,
ওওও তোমায় ভেবে হেসে খেলি,
আমার নয়ন তোমায় খুঁজে দিন রাত দিবানিশি।
এক রাশ অভিমান জমেছে হায়,
তুমি ভাঙাবে ভেবে আজো দিন রাত স্বপ্ন দেখি প্রায়।~

(এই পচা গানটা আমিই লিখছি। জানি না ভালো হয়েছে কিনা। তারপরেও চেষ্টা করলাম)

অর্ণি গান শুরু করার আগেই দড়জার পাশে কারো ছায়া দেখেছিলো। সে জানতো অর্ণব আসবে গান শুনতে।
তাই প্রতিটা লাইনে অর্ণব এর দেওয়া কষ্টকেই ফুটিয়ে দিলো।
অর্ণব জানে অর্ণির কণ্ঠ খুব সুন্দর তাই গান শুনার জন্য আসছিলো। কিন্তু ওর ছায়া ওর সাথে বেইমানী করলো।
ভার্সিটি এর এক নবীন বরণ অনুষ্ঠানে অর্ণি গান গেয়েছিলো। তাই অর্ণব জানে।
আজকের গাওয়া গানটা অর্ণব বুঝেছে তাকে নিয়েই গান গেয়েছে।
অর্ণব তার রুমে চলে যায়।

রুমে এসেই ডাইরি নিয়ে বসে পরলো। প্রতিদিনি ডাইরি লিখে, কেও জানেই না ডাইরি লিখার কথা।
এশার আজান দেওয়ার পর অর্ণব নামাজ পড়ে আম্মু আব্বুর সাথে গল্প করলো।

কেটে গেলো আরো ৪ দিন।
আজ অর্ণব আর অর্ণির বিয়ের ১৫ দিন।
অর্ণব: আম্মু আমি বাহিরে যাচ্ছি। আজ রাতে আর আসবো না বাসায়।
জাহানারা: কোথায় যাচ্ছিস?
অর্ণব: হানিফের সাথে ওর আপুর বাসায় যাবো। ওইখানেই আজ থাকবো।
জাহানারা: অর্ণিকেও সাথে করে নিয়ে যা। মেয়েটাও ঘুরে আসুক?
অর্ণব: বলছিনা ওরে নিয়ে আমার সাথে কোনো কথাই বলবানা।
জাহানারা বেগম ভয় পেয়ে আর কিছুই বলেন নি। রফিকুল ইসলাম ব্যবসার কাজে কক্সবাজার গিয়েছেন।
অর্ণব চলে যায়
অর্ণি উপর থেকে সব শুনলো।
অর্ণি: অর্ণব আমি আমার ভালোবাসা তোমায় দেখিয়ে দেবো, এই একটা ভুল আমায় তোমার কাছে খারাফ করেছে। আমিও দেখিয়ে দেবো
~ মরুর বুকে ফসল ফলাবো।
হুম অর্ণি আর অর্ণব এর ভালোবসার অংশ।~
~খুব তাড়াতাড়ি আমি মরুর বুকে আমি বেলিফুলের গাছ লাগাবো।
সারা মরুভূমি কে সুগন্ধিত করবো বেলির শোভাশে।
শুধু অপেক্ষার সময় ক্লান্তো হয়ে যাক।~
অর্ণি ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে যায় ।

অর্ণব বিকেল ৩টায় হানিফের বাসায় যায়।
সেখানে গিয়ে সে কিছুক্ষণ বসে, তার আপুর বাসায় যাওয়ার জন্য তৈরি হয়, মৌদের ফোন দিছিলো, ওরা কেও যাবে না বললো।
অর্ণব আর হানিস একটা শপিং মহলে ঢুকলো।
অর্ণব হানিফের আপুর জন্য আর ওর ছেলের জন্য কিছু কাপড় কিনলো।
পাশে থাকিয়ে দেখলো হানিফ ওর পাশে নাই।
শপিং মহল খুঁজে দেখলো
শপিং মহলের দক্ষিণ পাশে হানিফ কার সাথে যেন কথা বলছে, অর্ণব মুখটা দেখার চেষ্টা করলো।
মুখটা দেখার সাথে সাথেই অর্ণবের হাত থেকে কাপড়ের ব্যাগ গুলো পড়ে যায়। কি দেখছে ও কাকে দেখছে ও চোখ দুটু যেন বিশ্বাসি হচ্ছে না তার।
অর্ণবের এমন অবস্থা দেখে শপিং মহলের সবাই চেয়ে আছে।

চলবে,,,,,

(মনটা খুব খারাফ।ঈদের দিন থেকেই হালকা খারাফ ছিলো। কিন্তু মন খারাফের আকাশটা মুহূর্তেই মেঘলা হয়ে যায়। মাঝেমধ্যে কান্নাও করছি।
কপাল আমার কিছু না পাওয়ার আর্তনাদ ।শুনার নেই কেউ?)

(গল্পে কি লিখছি নিজেই জানি না।
আচ্ছা আপনারা এই পচাটার লেখা পড়ে। দু এক লাইনে কিছু বলে যান না প্লিজ! হয়তো আমার উৎসাহ বাড়তে পারে লেখার প্রতি।
আর হ্যাঁ গানটা আমিই লিখেছি😰 ভালো হয়নি জানি তারপরেও লিখার চেষ্টা করলাম। গানটা গেয়েও ফেলছি সাথে সাথে।
ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)

ভালো থাকবেন।
ঘরেই থাকবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here