মনের_অন্দরমহলে পর্ব ১৫

মনের_অন্দরমহলে পর্ব ১৫
#আনিশা_সাবিহা

আয়াশের কথায় ভ্যাবাচেকা খেয়ে নিচু হয়ে বসে আছি আমি।
–“তুমি আমার ছোটবেলার ন্যুড ছবি….!”
বলেই উনি তৎক্ষনাৎ আমার চোখে হাত রাখলেন। চমকে গিয়ে আমি জোরালো কন্ঠে বললাম….
–“আরে কি করছেন? কীসের ন্যুড ছবি? আমি আপনার কোনো ছবি দেখিনি। ইনফাক্ট আমি তো চোখে দেখতেই পাই না ভুলে গেছেন?”

আমার কথায় হাফ ছাড়লেন আয়াশ। আমার চোখ থেকে হাত সরিয়ে দিলেন। আমিও বড় নিশ্বাস নিয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকালাম। হতভম্বতা কাটিয়ে উঠতেই প্রচন্ড হাসি পাচ্ছে আমার। পেট ফেটে হাসি বেরিয়ে আসতে চাইছে। সেটা হয়ত খেয়াল করলেন আয়াশ। রাগি কন্ঠে বললেন….
–“এই এই তুমি হাসছো কেন? তুমি তো ছবিগুলো দেখোনি। তাহলে হাসি কেন? কোনোভাবে দেখে ফেলো নি তো?”

–“আমি কি করে দেখব? আপনার ন্যুড পিকচার দেখতে কি দৃষ্টি কিছুক্ষণের জন্য ফিরে আসবে নাকি?”
বলেই বেশ শব্দ করে হেসে দিলাম আমি। হাসি যেন থামতেই চাইছে না। আচমকা আমার মুখ চেপে ধরলেন আয়াশ। হকচকিয়ে লাফিয়ে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলাম আমি। ফিসফিসিয়ে উনি বললেন….

–“এভাবে হাসতে নেই। বাড়ির সবাই চলে এলে আমার ন্যুড পিকচারস সবাই দেখে ফেলবে।”

আমি উনার কথা কানে না নিয়ে নিজের মুখ থেকে উনার হাত সরানোর চেষ্টায় মশগুল হয়ে পড়েছি। কিন্তু উনি উনার কথাতেই ব্যস্ত।
–“এই শোনো, তুমি কাউকে এসব ছবির কথা বলবে না। ঠিক আছে?”

আমি কোনো আওয়াজই দিতে পারছি না। শুধু ‘উম উম’ করে যাচ্ছি। আয়াশ যেন ভুলেই গেলেন উনি আমার মুখ চেপে ধরে আছেন। আমার আওয়াজ না পেয়ে উনি কড়া গলায় বললেন…..
–“কি হলো? উত্তর দিচ্ছো না কেন? তুমি বলো এসব কথা কাউকে বলবে না। কি হলো? কথা বলো? হ্যাঁ না কিছু একটা বলো।”

উপায়ন্তর না পেয়ে আয়াশের হাতে ঘুষি দিতে শুরু করলাম আমি। আয়াশ চট করে নিজের হাত সরিয়ে নিলেন। আমি কোমড়ে হাত দিয়ে নাক ফুলিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। উনি হালকা কেশে একটুখানি ধমকে বললেন…..
–“আমার কথা বুঝতে পেরেছো?”

আমি মাথা দুলিয়ে বললাম….
–“হু! আপনার ইয়ে ছবি দেখার কোনো শখ নেই আমার। এমনকি বাড়িতেও কেউ আপনার ইয়ে ছবিগুলো দেখতে চায় না।” (ভেংচি কেটে)

আয়াশ প্রসঙ্গ পাল্টালেন। গম্ভীর মুখে বললেন….
–“হু চলো এখান থেকে তাহলে। বই পেয়ে গেছি।”

বই নিয়ে চলে এলাম আমরা। আমি বেডের ওপর বসে আয়াশ বই পড়তে শুরু করলেন। আমি মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলাম। গল্প পড়ার ফাঁকে ফাঁকে শুরু হলো উনার অসভ্যতা। একটা বাক্য পড়ছেন তার সঙ্গে একটা করে গালে চুমু দিয়ে যাচ্ছেন উনি। আমি একটু সরে বসলাম। চেয়ারে বসে থাকা আয়াশ এসে আমার পাশে বসলেন। অতঃপর একটা বাক্য সঙ্গে একটা চুমু দিয়েই চলেছেন। আমি দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করতে করতে উনার ঠোঁটের ওপর হাত রেখে ভ্রু কুঁচকে বললাম….

–“আমি এখানে আপনার মুখ থেকে ইংরেজি শুনতে এসেছি। আপনার ঠোঁট সংযত রাখুন।”

আয়াশ আমার হাত নিজের ঠোঁটের ওপর থেকে সরিয়ে নিলেন। কানের কাছে এসে শীতলতায় ভরা কন্ঠে বললেন….
–“আয়াশ রায়হান তো এমনি এমনি কিছু করে না ডার্লিং! ও যা করে তার প্রতিদান হিসেবে কিছু নেয়। আমি নিজের মুখের এতো শব্দ নষ্ট করে তোমায় বই পড়ে শোনাচ্ছি এর পারিশ্রমিক হিসেবে তো এতটুকু পেতেই পারি।”

চোখ বড় বড় করে তাকালাম আমি। উনার হাতে থাকা বই নিয়ে নিলাম ছো মেরে। ঢক গিলে গাম্ভীর্যের সঙ্গে বললাম…..
–“থাক বই পড়তে হবে না আপনাকে।”

–“এখন এই কথা বললে চলবে না। আমি যেই কাজটা একবার শুরু করি সেটা শেষ না করা পর্যন্ত থামাথামির কোনো চান্স নেই।”

বলেই আমার হাত থেকে বইটা নিয়ে নিলেন উনি। আমি বিছানা চেপে ধরে বসে রইলাম। লোকটা আস্ত একটা অসহ্য! আমায় চোখমুখ জড়িয়ে থাকা লক্ষ্য করে বললেন….
–“ওকে দেন তোমার যখন এই অফারটা ভালো লাগেনি তখন অন্য অফার দিই?”

–“কি অফার?”
খুশিতে গদগদ হয়ে বললাম আমি।

–“স্পেশাল অফার! কিস মি।”

থতমত খেয়ে গেলাম আমি। আকাশ থেকে পড়লাম যেন।
–“কি???”
–“কি নয় জ্বি। এমন ভাবে বলছো যেন এটা পৃথিবীতে কেউ কখনো করেই নি। এই প্রথম তোমায় করতে বলছি। ঠোঁট এগিয়ে নিয়ে এসো। দেন কিস মি। এজ সিম্পল এজ দ্যাট।”

চোখজোড়া সরু হয়ে এলো আমার। মনে চলছে দ্বন্দ্ব। আয়াশের বেশরম প্রস্তাবে কান গরম হয়ে এসেছে আমার। আমার মনটা যেন বলে বলে উঠছে….
–“আনিশা? পালা এখান থেকে। নয়ত লোকটার হাবভাব সুবিধার নয়। কি থেকে কি হয়ে যাবে বুঝতেও পারবি না।”

নিজর মনে কথা শুনে দুম করে দাঁড়িয়ে বললাম….
–“দরকার নেই বললাম তো আপনার বই পড়ার। আমি আসছি।”

আমি পা বাড়াতেই আমার ওড়না টেনে ধরলেন আয়াশ। দাঁড়িয়ে পড়তেই হলো আমায়। আমি গলায় থাকা ওড়নায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আস্তে আস্তে নিজের দিকে ওড়না টানছেন আয়াশ। আমিও যতটুকু এগিয়েছি পিছিয়ে চলেছে। এক পর্যায়ে ওড়না ছেড়ে আমার হাত টেনে বেডে ফেলে দেন উনি। আধশোয়া হয়ে পড়তেই আমার মুখে আঁচড়ে পড়ে আয়াশের তপ্ত নিঃশ্বাস। আমার নাকে নিজের নাক ঘষতে থাকেন আয়াশ। শান্ত কন্ঠে বলেন….
–“আমি তো তোমায় খুব সাহসী ভেবেছিলাম! তুমি তো ভীতুর বড় একটা ডিম বের হলে।”

আমি কিছু বলার মতো পাচ্ছি না। মুখ থেকে একটা শব্দও বের হতে চাইছে না। দলা পাকিয়ে যাচ্ছে সমস্ত কথা। নিমিষের মধ্যে ঘেমে কপাল থেকে ঘাম ঝরতে থাকল আমার। এক রাশ সাহস তৈরি করে বলার চেষ্টা করলাম…..
–“এ…একটু সরুন। আ…”

পুরোটা বলা হলো না। থেমে গেলাম আয়াশের আচমকা কর্মকান্ডে। আমার ঠোঁটে উনার ঠোঁটের ছোঁয়া! মূর্তির মতো হয়ে রইলাম। কাজ করছে না কোনো ইন্দ্রিয়। থেমে গেছে সবকিছু। যেন থেমেছে সময়টাও। পড়ছে না আমার চোখের পলক। আয়াশ সরে গেলেজ আমার পরিবর্তন হলো না। আমি যেন নড়াচড়া করার ক্ষমতাটাও হারিয়েছি।

–“তুমি কি ইন্টারেস্টেড? নড়াচড়া করাও তো বন্ধ করে দিয়েছো। আরেকটা চাই?”

কথাটা কানে আসতেই ধড়ফড়িয়ে উঠে বসলাম আমি। এক মূহুর্ত থাকলে যেন লজ্জায় মরে যেতে হবে আমার। বিদ্যুৎ এর গতিতে উঠে ছুট লাগালাম। কিন্তু ভাগ্য খারাপ হলে যা হয়। মাথা গিয়ে ঠুকে গেল দেয়ালে। আয়াশ এসে সঙ্গে সঙ্গে ধরে ফেললেন আমায়। আমার মাথা সযত্নে নেড়ে দিতে দিতে ধমক দিয়ে বললেন…..
–“এতো ছোটাছুটি করার কিছু দেখছি না। আমি তো তোমায় খেয়ে ফেলব না নাকি! আমি অন্তত রাক্ষস নই।”

আয়াশের ধমকানি কথার আলাদা ভাবে কোনো জবাব দিলাম না। মাঝে মাঝে ভালো লাগে এসব ধমক গুলো। আমার মাও তো এভাবে আমার ভালোর জন্য ধমকে বোঝাতো। আয়াশ যেন আস্তে আস্তে আমার অভিভাবক হয়ে উঠছেন। আমার কপালে ফুঁ দিয়ে দিচ্ছেন উনি। না চাইতেও তাৎক্ষণিক আমার মনে পড়ল উনার সেইসব কথাগুলো। মনটা হঠাৎ করেই বিষিয়ে গেল। যেই ধমক আমার ভালো লাগার কারণ হয়ে উঠেছিল তা বিষাক্ত হয়ে উঠল। আমার মাথা থেকে সরিয়ে নিলাম আয়াশের হাতটা সরিয়ে নিলাম আমি। সরে এলাম। দরজার কাছে এসে দাঁড়ালাম। আয়াশ সন্দিহান গলায় প্রশ্ন করলেন…..

–“কি হলো? এইতো সব ঠিক হয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ কি হলো তোমার?”

উনাকে ছোট্ট করে জবাব দিলাম।
–“কিছু না। ব্যাথা লাগেনি আমার সেভাবে।”
আয়াশকে ছোট্ট জবাব দিলেও মনটা যেন একটা বড় রচনা তৈরি করে ফেলল। মন বিরহ নিয়ে বলল….
–“কারো দয়ার পাত্রী আমি হতে চাই না। উনাকে ছেড়ে আমি যেতে চাই। কিন্তু অজানা বাঁধন টানে আমায়। আর হয়তবা উনি এসব কাজ করিয়ে বোঝাতে চাইছেন উনি আমাকে আসলে ভালোবাসেন। আদেও আমি একটা ভেলার মতো। আমায় যে যেদিকে চালনা করে সেদিকেই যেতে হয়।”

মলিহ হেসে নিজের ঘরে চলে এলাম আমি। এই বিরহ আর টানাপোড়েনের মাঝে কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। এই কয়েকটা দিন আয়াশের রাগ, নিত্য নতুন ঝামেলা সহ্য করা আমার অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। যেদিন উনি ঝামেলা করেন না সেদিনই যেন ফাঁকা ফাঁকা লাগে। যেন ঝামেলার সঙ্গে অটোমেটিক জুড়ে গেছি আমি। তবে অদ্ভুত ভাবে আমার কোনোভাবেই মনে হয়নি আয়াশ আমাকে দয়া করে চলেছেন। উনার কথাবার্তায় শুধু আমার প্রতি ভালোবাসা দেখেছি। কিন্তু সেদিনের ফোনের কথপোকথন ফেলতে পারছি না কিছুতেই। নিজের কানকে কে অবিশ্বাস করে?

আজ সকাল থেকেই আমায় তাড়াতাড়ি করে রেডি হবার জন্য তাড়া দিয়ে চলেছেন আয়াশ। আজ নাকি উনি আমাকে গিয়ে শপিংয়ে যাবেন। বাড়িতে এতো জামাকাপড় থাকা সত্ত্বেও কেন নিয়ে যাচ্ছেন সেটা বোধগম্য হচ্ছে না আমার। তবে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি আমি। কাল আমার জন্মদিন। হয়তবা সেকারণেই উনি আমায় শপিংয়ে নিয়ে যেতে চাইছেন।

–“নিশাপাখি? কাম অন! আমার কেস নিয়ে স্টাডি করতে হবে বাড়ি ফিরে। বি রেডি ফাস্ট!”

–“আচ্ছা শুনুন? এবারেও কি এমন কোনো মানুষের কেস নিয়েছেন যারা সত্যিই অন্যায় করেছে?”

মুখ ফসকে কথাটা বলে বসলাম আমি। আয়াশ বেশ কিছুক্ষণ চুপ থেকে জবাব দিলেন….
–“হঠাৎ এই প্রশ্ন? আমার কেস নিয়ে তোমার এতো আগ্রহ জাগল যে?”

–“না এমনি। জিজ্ঞেস করছিলাম।”

–“হ্যাঁ। ওরা বেশি টাকা দিবে বলেছে। ৭০ লাখ পর্যন্ত পাচ্ছি আমি। তাহলে কেস নেব না কেন বলো?”

কিছু বলার সাহস হলো না আমার। আন্দাজে কানে ইয়ার রিং পড়ার চেষ্টা করছি। কিন্তু পারছি না। আয়াশ এসে ধরলেন আমায়। অস্থির হয়ে বললেন….
–“এভাবে সেজেগুজে গেলে কি করে হবে? তুমি তো শুধু আমার সামনে সাজবে তাই না বলো? অন্য লোকের সামনে সেজে যাওয়ার কি দরকার?”

–“তাহলে কি করে যাব?”

–“উমম….সিম্পল হিজাব পড়ে।”

–“হিজাব? আমি পড়ব কি করে? আমি তো কানে দুলই ঠিকঠাক পড়তে পারি না। হিজাব না দেখে কি করে পড়বে?”

–“আয়াশ রায়হান আছে কি করতে?”

বেশ কনফিডেন্স নিয়ে বললেন উনি। আমি ফিচেল গলায় বললাম….
–“আপনি হিজাব পড়িয়ে দিতে জানেন?”

–“ন…না! তবে ইউটিউব, নেট আছে কি করতে? দেখলেই পারব।”

চোখ ছোট হয়ে এলো আমার। আয়াশ যতটা সোজা ভাবছেন বিষয়টা ততটা সোজাও নয়। অতঃপর শুরু হলো হিজাব পড়ার যুদ্ধ। উল্টেপাল্টে হিজাব পড়িয়ে চলেছেন উনি। একবার সব কাপড় সামনে একবার সবটা পেছনে নয়ত পেঁচিয়ে দিচ্ছেন। এভাবে প্রায় একঘন্টা পেরিয়ে গেল। একসময় উনাকে ছাড়িয়ে নিজে নিজে হিজাব পড়লাম আমি। এক পর্যায়ে মনে হলো ভালোমতোই পড়ে নিয়েছি। উনাকে প্রশ্ন করলাম…..
–“সব ঠিকঠাক হয়েছে?”

–“একদম পারফেক্ট। কে হেল্প করেছে দেখতে হবে না?”

হেহেহে করে হেসে বললেন আয়াশ। আমি চিল্লিয়ে বললাম….
–“আপনি হেল্প করার বদলে আমার কাজ বাড়িয়েছেন। এসেছে হেল্প করতে!”
–“হয়েছে হয়েছে। চলো এবার।”

হিজাব দিয়ে মুখ ঢেকে দিয়ে বললেন আয়াশ। উনি আর আমি বেড়িয়ে পড়লাম একসাথে। পৌঁছে গেলাম শপিংমলে। গাড়ি থেকে আমার হাত ধরে নামালেন আয়াশ। সাবধানে নিয়ে এলেন সিঁড়ি ওপরে।
–“তুমি এখানে দাঁড়াও। আমার ক্রেডিট কার্ড থেকে টাকা তুলতে হবে। ওইদিকে অনেক ভীড়। গরম লাগতে পারে।”

আমি মাথা দুলাতেই উনি আমার বাহু ধরে বললেন….
–“কোথাও যাবে না ওকে? এখানেই দাঁড়িয়ে থাকবে।”
–“ঠিক আছে বললাম তো!”

আয়াশ গেলেন। আমি ঠাঁই সেখানেই দাঁড়িয়ে থাকলাম। মুখের ওপর থেকে কাপড় সরিয়ে দিলাম। আসলেই বেশ গরম। মিনিট পাঁচেক দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে আচমকা আমার হাত ধরল কেউ। টেনে নিয়ে যেতে থাকল নিজের সাথে।
–“আরে? কে আপনি? আমায় নিয়ে যাচ্ছেন কেন? কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন?”

একবার জবাবও পেলাম না আমি। অচেনা ব্যক্তিটি দেয়ালে ঠেকিয়ে দিলেন আমায়। আমি কিছু বলতে উদ্যত হতেই হারহিম করা কন্ঠ ভেসে এলো।
–“তোমার সো কলড বরের সঙ্গে ভালোই আছো তাহলে?”

আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম কিছুক্ষণের জন্য। অস্ফুটস্বরে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো….
–“নীলাদ্র??”

চলবে……

[বি.দ্র. প্রথমে কিছু কথা না বললেই নয়। আমি গতকালকের পর্বে তাড়াহুড়োতে বেশ কিছু মিস্টেক করেছি। যেমন সবচেয়ে বড় মিস্টেক ছিল, আনিশার রঙিন আকাশ দেখার ব্যাপারটা। আনিশা অন্ধ ওর আকাশ দেখার কথা নয়। পরে বিষয়টা ইডিট করে দিয়েছি। তারপর বেশ কয়েকটা টাইপিং মিস্টেকও ছিল। সেসবের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এসাইনমেন্টের জন্য আমি খুবই ব্যস্ত আছি। নিশ্বাস ফেলার সময়টাও যেন নেই। তাই এতোসব মিস্টেক হয়েছে আমার। আজকের পর্বও তাড়াহুড়োর মাঝে লিখা। আরেকটা কথা, এসাইনমেন্টের কারণে আমি হয়ত আর নিয়মিত গল্প দিতে পারব না। একদিন পর পর গল্প পাবেন। নিয়মিত প্লিজ আশা করবেন না। আর বড় পর্ব তো আশা একদমই করবেন না। সকলকে ঈদ মোবারক। ঈদের শুভেচ্ছা। সকলে ভালোভাবে ঈদ পালন করবেন সেই আশা করি। আসসালামু আলাইকুম।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here