মনের_অন্দরমহলে পর্ব ১৮

মনের_অন্দরমহলে পর্ব ১৮
#আনিশা_সাবিহা

আমি স্তব্ধ হয়ে রয়েছি। মুখটা হয়ে এসেছে মলিন। আয়াশের চাপা আর্তনাদ আমার কানে আসছে। মা হারানোর কষ্ট আমার বোঝার ক্ষমতার বাইরে। কারণ আমার মা আছে। যার মা নেই সে একমাত্র বুঝতে পারে মাকে হারানোর যন্ত্রণা। আয়াশের কান্নায় আমার চোখজোড়াও অশ্রুসিক্ত হয়ে হয়ে উঠেছে।

–“আমার এই কষ্ট কেউ বুঝবে না। কেউ না। তুমিও না।”

চাপা সুরে বললেন আয়াশ। মনে ইচ্ছে জাগল কষ্টটা ভাগ করে নেওয়ার। কিন্তু আমি জানি উনি কষ্ট ভাগ করবেন না। উনি তেমন মানুষই নন। ভার কন্ঠে বললাম…..
–“হ্যাঁ আমি জানি। আপনার কষ্ট আর রহস্য কোনোটা ভেদ করবার ক্ষমতা আমার নেই। কিন্তু আপনি কষ্ট পাবেন না। হয়ত আপনাকে জন্ম দেওয়া মা নেই। কিন্তু আরেকজন মা আছেন। তাকে সম্মান করুন। আমার মনে হয় তার বদলে আপনি ভালোবাসা পাবেন।”

আয়াশ আমায় ছেড়ে দিলেন। মুখ তুললেন। মূহুর্তেই রাগ উঠে গেল উনার। তবে আমার ওপর নয়। উনার সৎমায়ের ওপর। রাগে কটমট করে বললেন…..
–“সম্মান? কীসের সম্মান? তাকে সম্মান করব যে কিনা আমার মায়ের বন্ধুত্বের এই দাম দিয়েছে?”

–“বন্ধুত্ব?” (মৃদু গলায়)

–“হ্যাঁ বন্ধুত্ব। মিসেস. মালিহা রায়হান আমার মায়ের সব থেকে কাছের বন্ধু ছিল। বলা যায়, বন্ধুত্বের নাটক করেছে। মায়ের অন্ধত্বের সুযোগ নিয়েছে। সুযোগ নিয়ে আমার সো কলড বাবার সঙ্গে…..অবৈধ সম্পর্ক তৈরি করেছে।”

আচমকা এমন বিশ্রী কথাবার্তা শুনে চোখমুখ কুঁচকে এলো আমার। বুঝতে পারলাম উনার সৎমায়ের প্রতি এতো ঘৃণার কারণ। যদি বন্ধুত্ব এমন হয় তাহলে একাকীত্ব ঢেড় ভালো। আয়াশ হতাশা নিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বললেন…..
–“শুধু তাই নয়। আমার মা অন্ধ ছিল যার কারণে মায়ের সামনে ওরা….(একটু থেমে) অশালীন কাজকর্ম অবধি করেছে। কতটা নিচু ওরা ভাবতে পারো? আমি তখন ছোট ছিলাম। এসব বোঝার বাইরে ছিল। মাকে তো হঠাৎ একদিন প্রশ্ন করেই ফেলেছিলাম যে, ‘মা, মালিহা আন্টিকে বাবা এভাবে চুমু খায় কেন তোমার সামনে?’ মা সেদিন নির্বাক হয়ে গিয়েছিল। কোনো উত্তর ছিল না। সেদিন রাতে মি. সাহাদ রায়হানের সঙ্গে মায়ের তুমুল ঝগড়া হয়। পরেরদিন মালিহা রায়হানের সঙ্গেও মায়ের কথা কাটাকাটি হয়। আমি ছিলাম নিরব দর্শক। আমি যদি সেদিন ওই কথা না বলতাম ওদের কুকাজ ঢাকায় থাকত। কারণ মা সত্যিই অন্ধ ছিল। অন্ধবিশ্বাসী ছিল সাহাদ রায়হানের প্রতি। এসব কিছু দেখে দেখে বড় হয়েছি। তাহলে তুমিই ভাবো আমার মাঝে খারাপের বসবাস থাকবে নাকি ভালো? ছেলেরা তো নিজের বাবাকে দেখেই শিক্ষা পায় না?”

তাৎক্ষণিক এসব শোনামাত্র আমার রাগে গা রি রি করে উঠল। মানুষ এতোটাও জঘন্য হয়? নিজের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর সঙ্গেও এমন করা যায়? আয়াশের মতো আমারও উনার সৎমায়ের প্রতি ঘৃণা জমতে থাকল। নিজেকে খুবই ছোট মনে হলো। কেননা আয়াশকে আমি বলেছি ওই মহিলাকে সম্মান দেওয়ার কথা। নিচু সুরে বললাম…..
–“আই এম সরি। আমি জানতাম না উনি এমন। সত্যিই জানতাম না আপনার সিচুয়েশন। আমি নিজেই এসব মানতে পারছি না। আপনি কি করে মানবেন?”

–“এতটুকু শুনেই তুমি সরি বলছো? শুনেছি, বাবা নামক মানুষটি বটগাছের মতো হয়। সবসময় আগলে রাখে। শুধু শুনেছি। স্কুলে যখন বাবা সম্পর্কে রচনা লিখতে বলা হতো আমি সেটা না লিখেই চলে আসতাম। আমার বাবা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছিলেন। আমার নানাভাইয়ের অবস্থা খুব ভালো ছিল। ধনী ব্যক্তি ছিলেন। এখন সাহাদ রায়হান যেই কোম্পানির মালিক সেটা আসলে নানাভাইয়ের কোম্পানি। নানাভাইয়ের এই বিষয়সম্পত্তি দেখেই সাহাদ রায়হান রাজি হয়েছিল আমার অন্ধ মাকে বিয়ে করতে। হয়ত তার মূল উদ্দেশ্যই ছিল সম্পত্তি। কারণ আমার মা একমাত্র মেয়ে ছিল। তাই বিয়ের পর জামাইয়ের সব সম্পত্তি পাওয়ার কথা। হিসেব অনুযায়ী তাই হয়। কাজ শেষে মাকে হেয় করতে শুরু করে সাহাদ রায়হান। ততদিনে মায়ের গর্ভে আমি আসি। কিন্তু মনে হয় না প্রেগন্যান্ট অবস্থায় মায়ের কেয়ার ওই লোকটা নিয়েছিল বলে!”

এতটুকু বলে দীর্ঘ নিশ্বাস ছাড়লেন উনি। এতোসব কান্ড শুনে ছলছল করছে আমার আঁখিদুটি। কেন জানি না খুব খারাপ লাগছে। কাঁদতে ইচ্ছে করছে।
–“আমার বয়স যখন ৬ বছর তখন বাবা বিয়ের করে নিয়ে আসেন মিসেস. মালিহাকে। তখন থেকে আরো পর হয়ে যাই আমি। কেননা মিসেস. মালিহার ধারণা ছিল বড় হলে এসব সম্পত্তির অধিকার আমার থাকবে। তাই আমাকে এক পর্যায়ে তাড়িয়ে নানাভাইয়ের পাঠানো হয়। কিন্তু নিয়তি দারুণ খেলা খেলল। হলো না মিসেস. মালিহার কোনো সন্তান। নিঃসন্তান থাকতে তো পারবেন না। এতোকিছু জন্য একটা উত্তরাধিকারী না থাকলে হয়? আমায় আবারও জোর করে এই বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এসব শুনে নানাভাই হার্ট অ্যাটাক করে মারা যান। নানিমা তো আগেই মারা গিয়েছিলেন মেয়ের শোকে। তারপর থেকে বাস্তবতা ভাবতে শুরু করি। যদি কেউ সম্মান না দেয় তাহলে সেটা ছিনিয়ে নিতে হয়। এই যুগে কেউ কারো কথা ভাবে না। আর আজকে আমি হয়ে উঠেছি সেরা স্বার্থপর।”

–“আপনার কি মনে হয় না? আপনার এই স্বার্থপরতা আপনার যে মন বলে একটা জিনিস আছে তাকে ধামাচাপা দিয়ে দিচ্ছে? আপনার মাঝে যেই মনুষ্যত্ব আছে তাকে মেরে ফেলছে? আপনি তো সবসময় খারাপদের তরফ থেকে টাকা নিয়ে কেস জিতিয়ে দেন তাদের। হয়তবা যারা গরীব যারা বিচার চাইতে আসে তাদের কেমন লাগে? যারা সত্যি নিয়েও জিততে পারে না তাদের কত যন্ত্রণা হয় ভেবে দেখেছেন?”

আচমকা প্রশ্নটা করে বসলাম আমি। আমার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র হেলদোল হলো না উনার। আগের গম্ভীর ভঙ্গিতেই বলে উঠলেন…..
–“সো হোয়াট? আই ডোন্ট কেয়ার। মরে যাক মনুষ্যত্ব। যেই মনুষ্যত্ব নিজেকে ভালো থাকতে দেয় না সেটার দরকার নেই আমার।”

আমি হতাশ হলাম। উনাকে বোঝানো অন্তত আমার কর্ম নয়। আয়াশ আমায় পিয়ানোর সামনে থেকে উঠিয়ে আমার বাহু ধরে বললেন…..
–“অনেক হয়েছে এসব কথা। আমি আর এসব বিষয়ে কোনো কথা বলতেও চাই না শুনতেও চাই না। ইট হার্টস মি। অতীত মনে পড়ে। রাগ হয়। আর তুমি জানো আমার রাগ হলে ভয়ানক কান্ড বাঁধিয়ে ফেলতে পারি। ইটস টাইম টু সামথিং স্পেশাল!”

লোকটা সিরিয়াস থাকতে থাকতে হঠাৎ এই কথাটা বলায় আমার পিলে চমকে গেল। ঢক গিয়ে চোখমুখের রঙ ফ্যাকাশে হয়ে এলো। কারণ এই কথাটা যখনই বলেন তখনই কোনো অনর্থ ঘটবেই ঘটবে আমার সঙ্গে। শিউরে উঠল গায়ের লোম।
–“আ….আপনি…..”

–“রিল্যাক্স! তুমি যা ভাবছো তেমন কিছুই করব না। আবার অনেক কিছুই করব।”

রিয়েকশন দেওয়ার মতো অবস্থায় রইলাম না আমি। মুখ নামিয়ে দিলাম। মন বলে চলেছে, যত দ্রুত পালাবি ততই তোর মঙ্গল। আমার সামনে ছোট চুল দিয়ে ঢেকে যাওয়া একচোখের ওপর থেকে কোমল স্পর্শে সরিয়ে দিলেন চুলগুলো। চোখ বুঁজে ফেললাম আমি। উনাকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হতেই সেকেন্ডেই কপালে হালকা স্পর্শ করে ঝড়ের গতিতে সরে দাঁড়ালেন। সঙ্গে সঙ্গে চোখ মেললাম। আয়াশ রসিকতা করে বললেন…..
–“ভয় পাও এতো? আমি তো জাস্ট বলছিলাম যে তোমায় যেসব এনে দিয়েছি শপিংমল থেকে। সেসব একটু ট্রাই করে নাও।”

–“ওহ এই কথা! আগে বলবেন তো।”

স্বস্তি নিয়ে বললাম আমি। আয়াশ অট্টহাসিতে ফেটে পড়লেন। উনার হাসিতে মুখরিত হলো পরিবেশ। আমার মনটা নিমিষেই যেন উনার হাসিতে হারিয়ে যেতে লাগল। এতোকিছুর মাঝেও কত সুন্দর করে উনি হাসেন!

–“এখানে দাঁড়িয়ে আছো কি স্পেশাল কিছু নেওয়ার জন্য?”

উনার হাসির শব্দই মনোযোগ দিয়ে শুনছিলাম। উনার আগামাথা ছাড়া কথা শুনে কপাল কুঁচকে এলো। ফিচেল গলায় বললাম….
–“কি?”

–“বললাম যে যেসব এনে দিয়েছি শাড়ি, অর্নামেন্টস সব ট্রাই করে দেখতে। এখনো দেখছি দাঁড়িয়ে আছো। তাই ভাবলাম কিছু নেওয়ার জন্য দাঁড়িয়ে আছো। আই মিন কিস…..”

বলেই থামলেন উনি। কি লাগামহীন কথা! ইচ্ছে তো করছে লজ্জাকর পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যেতে। আমার নিরবতা দেখে উনি আবারও বললেন…..
–“না মানে আমার কোনো প্রবলেম নেই। তুমি যদি বলো তাহলে স্পেশাল কিস দিতে আমি অলওয়েজ রেডি। কাম হেয়ার!”

বলেই আমার হাত ধরলেন আয়াশ। অস্বস্তির চরম মাত্রায় এলাম আমি। হাতটা ঝটকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে বেশ কিছুদূর ছিটকে গিয়ে আমি অগোছালো গলায় বলি……
–“না! ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন। এদিকে আসার দরকার নেই। আমি আমার ঘরে যাচ্ছি। আপনার দেওয়া জিনিসগুলো ট্রাই করছি।”

–“এখনই করো। ত্রিশ মিনিট পর আমি তোমার রুমে যাচ্ছি।”

–“কিন্তু এতো রাতে এসব না করলেই নয়?”

–“না নয়। আমি এখনি দেখতে চেয়েছি মানে এখনি। ঘরে যাও।”

ভ্রু উঁচিয়ে বিড়বিড় করতে করতে ঘরের দিকে হাঁটা দিলাম। ঘরে ঢুকেই শপিং ব্যাগের প্যাকেট হাতিয়ে বের করলাম শাড়ি। শাড়িটা খুব ভারি নয়। উনি হয়ত জানেন আমার ভারী শাড়ি পছন্দ নয়। তাই হালকা শাড়ি নিয়েছেন। কিন্তু কি রঙের শাড়ি সেটা বোধগম্য হলো না। ফুলকিকে ডেকে রঙ জিজ্ঞেস করতেই ‘হলুদ রঙের শাড়ী’ বলে দিল সে। সঙ্গে ম্যাচিং সবকিছু বের করে দিল। সব কিছু হয়ে যাওয়ার পরপরই বললাম…..
–“আচ্ছা, তুমি তখন যাও ঘর থেকে।”

–“কিন্তু ম্যাম, আপনি কি একা শাড়ি পড়তে পারবেন?”

আমি আগ বাড়িয়ে বললাম…..
–“হ্যাঁ হ্যাঁ। পারব। তুমি যাও। আর শোনো, এখন কয়টা বাজে?”

–“সাড়ে এগারোটা।”

বিস্ময় ছেয়ে গেল আমার পুরো মুখে। উনি এতো রাতে এসব পড়িয়ে কি করতে চান? আস্তেধীরে রেডি হতে শুরু করলাম আমি। চুল খোঁপা করে শাড়ির কুঁচি ধরতেই চুলের খোঁপা খুলে গেল। বেশ ক্রুদ্ধ হলাম চুলের প্রতি। চুল একহাতে ধরতেই অন্যহাতটা কুঁচি সামলাতে না পেরে সেটাও খুলে গেল। বেহাল অবস্থা নিয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম আমি। শাড়ি পড়ার বিশেষ অভিজ্ঞতা আমার নেই। এখন নিজের ওপর রাগ উঠছে কেন ফুলকিকে যেতে বললাম?

খোঁপা কোনোমতে ঠিকঠাক করে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম আমি। দরজা একটু খানি ফাঁক করে জোরে ফুলকি কে ডাকলাম।
–“ফুলকি? এখানে আসবে প্লিজ? হেল্প লাগবে আমার।”

ফুলকির আওয়াজ এলো না। আমি আবারও ডাকতেই পায়ের শব্দ পেলাম।
–“ম্যাম, আমি বলেছিলাম এটা আপনি পারবেন না একা। আর আপনি……”
বলেই কেন জানি থেমে গেল ফুলকি। আমি সেসব পাত্তা না দিয়ে বললাম…..
–“আমায় হেল্প করো এসো কুইকলি!”

ফুলকি নিরব থাকল। ও কি চলে গেল নাকি?
–“ফুলকি?”
ফুলকি যেন হকচকিয়ে বলল….
–“হ….হ্যাঁ হ্যাঁ? আমি হেল্প করছি।”

আমার দিকে এগিয়ে এসে আমার হাত ধরল সে। কিন্তু আমার অন্যকিছু মনে হলো। স্পর্শটা অন্যরকম। এতোবড় হাত! সন্দেহি কন্ঠে বললাম…..
–“এটা তুমিই তো?”

–“হ্যাঁ ম্যাম। আমিই।”

দরজা লাগিয়ে দিল ফুলকি। তবে সন্দেহ গেল না। জড়সড় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। আমার পেটে হাত রাখল ফুলকি। দরদর করে ঘামতে লাগলাম। নিশ্বাস ওঠানামা শুরু হলো আমার। আমার কুঁচি ঠিক করে গুঁজে দিতেই মনে হলো ওটা ফুলকি হতেই পারে না। এবার পেটেও ঠোঁটের গভীর স্পর্শ পেয়ে ধাক্কায় দিয়ে বসলাম।
–“ওহ হো! এতো ধাক্কাধাক্কি করো কেন? ধাক্কাধাক্কি করার রোগ আছে নাকি তোমার?”

–“এই এই আপনি কেন? আপনি আমার সঙ্গে ছলনা করছেন? এভাবে…..! অসভ্য লোক!”

–“বউয়ের সঙ্গে ছলনা করা জায়েজ। আই মিন এসব ক্ষেত্রে ছলনা করলে কোনো অন্যায় হয় না। কোর্টেও কেস হয় না। সো এই অন্যায় করা যেতেই পারে।”

–“তাই বলে এভাবে?”

–“হলুদ রঙে রাঙা নিশাপাখিকে দেখে সত্যি আটকানো দায়। তাও যে আমি তোমায় ছাড় দিয়ে যাচ্ছি এটা তোমার সৌভাগ্য!”

নিশ্বাস আঁটকে এলো উনার বেশরম কথাবার্তায়। আমি কিছু বলার আগেই উনি আমায় ধরে দাঁড় করালেন আয়নার সামনে। গলায় পেলাম একটা হালকা জুয়েলারির ছোঁয়া। আয়াশ আমায় সযত্নে পড়িয়ে দিচ্ছেন। ব্যস্ত কন্ঠে বললেন…..
–“হলুদ রঙে রাঙা নারীকে দেখেছিলাম একদিন! সমুদ্রের তীরে ছিল বাস।
সেদিনই তার হাসি ও চোখজোড়াতে ঘটেছিল আমার সর্বনাশ!
তার আড়ষ্টে যেদিন বেঁধে ফেলেছিলাম নিজেকে,
অবশেষে কিনা সেই সর্বনাশা নারী স্থান দখল করেছে আমার #মনের_অন্দরমহলে।”

আমি নিঃস্তব্ধ! উম্মাদনায় ভরা কথাবার্তা আমাকেও উন্মাদ করে চলেছে সেটা কি উনি জানেন?

চলবে……

[বি.দ্র. প্রথমে আমি ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চাইছি। এতোদিন তাড়াহুড়োতে পিয়ানোকে হারমোনিয়াম বলায় বোকার মতো ভুল করে যাচ্ছিলাম। আসলে ওটা মাথাতেই ছিল না। যারা এই ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন তাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার হয়ত আরো কনসেন্ট্রেট করা উচিত লিখাতে। যদিও সেটা পারছি না তবে চেষ্টায় আছি। আর অনেকে বলেছেন আনিশার চোখের অপারেশন কেন করাচ্ছি না? অপারেশন মানে অনেক বড় জিনিস। চাইলেই সহজে হয় না। এই জন্য আই ডোনেট করতে হয় নয়ত আই ম্যাচ হতে হয়। যার কারণে কিছুটা সময় হলেও লাগবে। আর আপনারা এতোটা অধৈর্য হবেন না প্লিজ! সময় দিন। আস্তে আস্তে আমি সবটা ক্লিয়ার করার চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here