মনের_অন্দরমহলে পর্ব ৪৬

মনের_অন্দরমহলে পর্ব ৪৬
#আনিশা_সাবিহা

–“আনিশার কি এখানে থাকার কথা নয় নাকি? আই মিন এতোটা অবাক হয়ে গেলেন যে আকাশ থেকে পড়লেন মনে হলো। ওর কি অন্য কোথাও থাকার কথা?”

নির্বিকার সুরে প্রশ্ন করেন আয়াশ তার মায়ের উদ্দেশ্যে। যদিও উনাকে মা বলতে বা ভাবতে মন বাঁধা প্রদান করে। এমন মহিলা মা হতে পারে না। মহিলাটি কিছুক্ষণ আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থেকে নিজেকে সামলে আঁটকা আঁটকা গলায় বললেন,
–“এমনটা কেন বলছো আয়াশ? আসলে তোমরা তো অন্য জায়গায় চলে গিয়েছিলে তাই আবার এখানে এসেছো সেটাই দেখে খানিকটা অবাক হয়েছিলাম।”

আয়াশ এবার তীক্ষ্ণ নজরে তাকালেন। বুঝতে পারছি না উনার মনের মধ্যে কি চলছে? মহিলাটির দিকেও তাকালাম। উনারা দুজন যেন দৃষ্টি দিয়ে একে ওপরের সঙ্গে কথা বলছেন। আয়াশের চোখজোড়া অসম্ভব ক্ষোভ আর উনার চোখজোড়ায় বেশ ভীরু। আয়াশের সৎমা জিজ্ঞেস করলেন,
–“তুমি এখন স্টেবল আছো আয়াশ?”

আয়াশ উনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করলেন না। চোখমুখ কুঁচকে রুদ্রের দিকে তাকিয়ে বললেন,
–“ওয়েলকাম টু মাই হোম রুদ্র। ইটস অনলি মাই হোম। চল ভেতরে চল।”

আমরা ভেতরে ঢুকে আসি। দরজা লাগিয়ে দিয়ে পিছু পিছু ধীর গতিতে পায়ে হেঁটে এসে দাঁড়ান মিসেস. মালিহা রায়হান। আর নিচু সুরে বলেন,
–“হঠাৎ ওখানে থাকতে থাকতে আমাদের কথা মনে পড়ল তোমার আয়াশ?”

–“আপনাদের যত ভুলে থাকা যায় তত ভালো। কিন্তু আমি এটা ভুলিনি এই বাড়ি আমার। আমার জিনিস আমি কখনো হাতছাড়া করি না। কোনোমতেই না। আরেকটা বিশেষ কাজে এখানে আসা।”

–“কি কাজ?”

উৎসুক হয়ে প্রশ্ন করলেন উনার মা। আয়াশ হালকা হাসি দিয়ে টেবিলে থাকা কাঁচের জগটা ধরে গ্লাসে পানি ঢেলে নিয়ে বলেন,

–“সেটা তো সারপ্রাইজ। আর এই পানিতে আবার বিষ মিশানো নেই তো?”

আমি আর রুদ্র হতভম্ব হয়ে তাকালাম আয়াশের দিকে। আসার পর থেকেই কেমন জানি পেঁচিয়ে কথাবার্তা বলছেন উনি। আর কথায় কথায় শুধু রহস্য!

–“কি বলছো তুমি আয়াশ? আমি বিষ মিশাতে যাব কেন? এভাবে হেয়ালি করে কি বলতে চাইছো তুমি?”

–“আমি যা বলতে চাইছি সেটা হয়ত আপনি বুঝেছেন। কিন্তু না বোঝার ভান করছেন।”

আয়াশের মায়ের প্রশ্নের সোজাসাপ্টা উত্তর দিয়ে পানিটা খেয়ে নিলেন উনি। তারপর একজন সার্ভেন্টকে ডেকে বললেন রুদ্রকে একটা ঘর দেখিয়ে দিতে। রুদ্র চলে গেলে আমরাও উঠে দাঁড়ালাম। আয়াশের মা কপাল কুঁচকে দাঁড়িয়ে রয়েছেন। আমার হাত ধরে আয়াশ নিয়ে এলেন আমার সেই ঘরে। তবে কেন জানি নিজের ঘরে নিয়ে গেলেন না আমায়। বেলকনি থেকে আসছে পিহুর ডাকাডাকি। প্রচন্ড চমকে গিয়ে আয়াশের দিকে তাকাতেই উনি গম্ভীর গলায় জবাব দিয়ে দিলেন,

–“অবাক হওয়ার কিছু নেই। আমি ফুলকি কে বলেছিলাম যাতে আরো কয়েকজন লেগে আমাদের জিনিসপত্র সেখান থেকে নিয়ে এসে আগের মতো এখানে রাখে।”

–“আচ্ছা আপনি হঠাৎ এখানে মানে একসময় তো এখানে আসবেন না বলেছিলেন! এখন কি কোনো বিশেষ কারণে এসেছেন?”

–“কেন? ওই রোমান্টিক কাপলদের এপার্টমেন্ট ভালো লেগেছিল নাকি? আই মিন ওখানে এতো রোমান্টিক পরিবেশ ছিল। সো রোমান্স করার জন্য একটা পারফেক্ট যায়গা। তোমার কি ভালো লাগতো নাকি এমন জায়গায় রোমান্স?”

আমার দিকে দুই পা এগিয়ে ঠোঁট কামড়ে হেঁসে বললেন আয়াশ। এই লোকটার উল্টাপাল্টা লজিক বিগড়ে দিল আমার মাথা। আমিও দুইপা পিছিয়ে গিয়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে বললাম,
–“ন…না একদম না। আমি তো জাস্ট হঠাৎ করে আপনার ডিসিশন চেঞ্জ করাই মনে একটু প্রশ্ন জেগেছিল। তাই জিজ্ঞেস করলাম কৌতুহলবশত! আর বেশি কিছুই না আ…আপনি সবসময় এমন অসভ্য লজিক খুঁজে বের করেন কেন বলুন তো? আ…আর ওখানেই দাঁড়িয়ে থাকুন কোনো নড়চড় হবে না। দূরে দাঁড়িয়ে থেকেও কথা বলা যায়।”

–“আর কাছে গেলে কি হয়?”

আরেকটু এগিয়ে এসে আমার দিকে ঝুঁকে পড়ে বললেন আয়াশ। এই লোকটা সব বুঝেও ইচ্ছে করে এসব প্রশ্ন করেন। উনি জানেন উনার ছোঁয়া, উনার কাছে আসা আমার সমস্ত শক্তি শুষে নিতে পারে। আমার হৃদয়ে উথাল-পাতাল ঢেউ খেলে দিতে পারেন। তবুও উনাকে এসব প্রশ্ন করতেই হবে। আমি মিনমিন করে বললাম,
–“আ…আমার অস্বস্তি হয়।”

আয়াশ এবার সোজা হয়ে দাঁড়ান। নিজের পকেটে হাত গুঁজে দিয়ে ঘাড় হালকা কাঁত করে বলেন,

–“তাছাড়াও তোমার কাছে আসতেই বা কে চাইছে? তোমার সাথে রোমান্স করার শখ নেই আমার। আই হ্যাভ নো ইন্টারেস্ট। যদি তুমিও মাঝে মাঝে একটু ইন্টারেস্ট দেখাতে তাহলে হয়ত ইন্টারেস্ট থাকতো। তোমার এই পালাই পালাই করাতে আমি বোর হয়ে গেছি। আই এম টায়ার্ড। আর রইল এখানে আসার কথা? তাহলে এখানে আসার অনেক অনেক কারণ আছে আমার আছে। নম্বর ওয়ান, ওখানে তো শুধু একটাই বেডরুম ছিল। কিন্তু রুদ্রকে আমি এতদিন পর পেয়ে কয়েকদিন ওকে নিজের কাছে রাখতে চাই। সো ওর জন্য রুম তো লাগবেই। যদিও অন্য কোথাও যেতে পারতাম কিন্তু আরো অনেক কারণ আছে এখানে আসার। নম্বর টু, ইটস মাই প্রোপার্টি। আর আয়াশ রায়হায় নিজের কোনোকিছু ছেড়ে অন্যের অধীনে করে দিয়ে যায় না। নিজের জিনিস নিজে বুঝে নিতে জানে সে। নম্বর থ্রি, মোস্ট ইম্পরট্যান্ট! সবথেকে বড় রিজনটা তুমি। আমি তুমি নামক অভ্যেসটা কাটাতে চাই।”

আমি পেছন ফিরে থেকে কথাগুলো শুনছিলাম আর ঘরে চোখ বুলিয়ে যাচ্ছিলাম। উনার প্রতিটা কথা আমার মনে হঠাৎ করেই কষ্ট আঁকড়ে ধরে। গলায় যেন কিছু একটা আঁটকে যায়। তীব্রভাবে কিছু অভিমান পাল্লা দিয়ে লড়াইয়ে নেমে পড়ে। ঝটপট করে উনার দিকে ঘুরে তাকাই আমি। শেষ কথাটার মানে এখনো বুঝতে পারিনি। তাই থমথমে কন্ঠে প্রশ্ন করলাম,
–“মানে?”

–“মানেটা খুব সিম্পল। আই হ্যাভ জাস্ট সেভেন ডেইস। আমি চাই না তুমি আমার সাথে এভাবে ক্লোজ হয়ে থাকো। পরে এমনও হতে পারে তোমায় যেতেই দিলাম না এই অভ্যেসটার কারণে। তাই আগে থেকে অভ্যেসটাকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। তুমি এই ঘরে থাকবে আর আমি আমার ঘরে।”

–“ও!”

ছোট্ট করে শব্দ করে চুপ হয়ে গেলাম। অভিমানের পাল্লা ভীষণভাবে ভারি হয়ে যাওয়ায় আবারও কান্না পাচ্ছে আমার। দিনকে দিন কাঁদুনি টাইপ মেয়ে হয়ে যাচ্ছে। ঢক গিলে অন্যদিকে ফিরে গটগট করে হেঁটে বেলকনিতে চলে এলাম। ঠোঁটে ঠোঁট কামড়ে ধরে কান্না শুরু করে দিলাম আমি। আমি এক ভয়ানক দোটানায় ভুগছি। সেটা কি উনি বুঝছেন না। আমি যে উনাকে জানাতে পারছি না মনের কথা। জানাতে পারছি না আমি চাই না দূরত্ব। কাছে টেনে নিন আমায়। আস্তে আস্তে যেন মানুষটা দূরে সরে যাচ্ছে। চোখ থেকে টুপ করে পানি গড়িয়ে পড়তেই পিহু ডেকে ওঠাতে ঘাড় ঘুড়িয়ে তার দিকে তাকালাম। সেও আমার পানেই চেয়ে থেকে আবারও ডেকে উঠল। কাউকে নিজের পাশে না পেয়ে ওকেই বলে উঠলাম,
–“এখন আমার কি করা উচিত পিহু?”

পিহু জোরে জোরে নিজের নাম ডেকে উঠে নিজের পাখা ঝাপটিয়ে চুপ করে গেল। আমি নিজেই আনমনে হয়ে বললাম,
–“আমি উনাকে বলতে চাই কথাগুলো। কিন্তু কোথাও একটা আঁটকে যায়। কতবার বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু লজ্জা আর অস্বস্তি এতোটাই আমায় ঘিরে ধরে যে তাদের আবরণ দেওয়া দেওয়াল পেরিয়ে আমি আর বলতে পারি না। আয়াশ কি বোঝেন না আমায়? আমার কর্মকান্ডে কেন চিনে নিতে পারেন না আমার মনের ভাষা?”

বলে বাইরে আকাশের দিকে তাকালাম। আকাশে সূর্যমামা নিজের তেজ দেখিয়ে চলেছে। চারিদিকে গরম! বেশ কিছুক্ষণ ভাবনাচিন্তা করার পর সিদ্ধান্ত নিলাম আজকে যে করেই হোক বলেই ফেলব কথাগুলো। ভেঙে ফেলব অস্বস্তির বানিয়ে দেওয়া সেই দেয়াল। আমিও যে ভালোবাসার কাঙাল। কিন্তু শুধু একজনের ভালোবাসার কাঙাল! সে হলেন আয়াশ।

পশ্চিম দিগন্তে মিশে যাচ্ছে সূর্য। আকাশে নানান রঙের মেঘের মেলা। সেই মেঘের মেলা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে দেখছে আয়াশ ও রুদ্র। দুজনে ভালো-মন্দ কথা বলে থেমে গেছে। তারা আকাশ পানে চেয়ে রয়েছে। কারো মুখে নেই কোনো কথা। দুজনেই আকাশের রঙবেরঙের মেঘের পাতায় একজনেরই ছবি আঁকছে। আয়াশ আঁকছে তাকে পাওয়ার আশায়। আর রুদ্র আঁকছে দূর থেকে তাকে দেখে তৃপ্তি পাওয়ার আশায়। রুদ্র একসময় থমথমে গলায় বলে,

–“আমি তো নিজের বাড়ি যেতে চেয়েছিলাম। তাহলে তুই এখানে আনলি কেন আয়াশ? মন চাইলে দেখা করে আসবি বাড়ি গিয়ে। আমি তোর কাছে আসব। কিন্তু এতোদিনের জন্য তুই জোরাজোরি করে নিয়ে এলি কেন?”

–“আমি তো ভেবেছিলাম বিদেশে গিয়ে তুই একটুও পাল্টাবি না। কিন্তু তুই তো দেখছি গিরগিটির মতো রঙ পাল্টে ফেলেছিস। আগে আমরা একসঙ্গে কত থেকেছি তোর মনে নেই? আমি না বললেও আমার সঙ্গে থাকতে তুই চলে আসতি। আজ কয়েকদিন থাকাতে তোর আপত্তি? তুই জানিস? রঙ বদলানো মানুষ আমার একদম পছন্দ না।”

–“জানি আমি। আর আমি একদম রঙ পাল্টাইনি। আমি তো শুধু ডিউটির জন্য বলছিলাম। হসপিটাল এখান থেকে অনেকটা দূরে। আর তুই জানিস যে আমি সেখানকার নতুন প্র্যাক্টিসিং ডক্টর। তাই এতো যদি গ্যাপ দিই। সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে।”

আয়াশ স্মিত হাঁসে। আর বলে,
–“মিথ্যে খুব ভালো সাজাতে পারিস তুই রুদ্র। কিন্তু আমি একদিকে যেমন তোর বেস্টফ্রেন্ড অন্যদিকে একজন দক্ষ লইয়ার। আমার চোখে সত্যি আর মিথ্যে দুটোই খুব তাড়াতাড়ি ধরা পড়ে।”

রুদ্র আকাশের দিক থেকে নজর সরিয়ে আয়াশের দিকে তাকায়। আয়াশ কি বোঝাতে চাইছে? রুদ্র নিজের চশমাটা খুলে রাখে। তার হলুদ-ফর্সা মুখটাতে উত্তেজনায় গোলাপি ভাব এসেছে। সে অস্থিরতার সঙ্গে বলে,
–“আমি তোকে কি মিথ্যে বলেছি?”

–“তুই আনিশাকে ভালোবাসিস?”

রুদ্রের বুকটা কেঁপে ওঠে। ঘাম ছুটে যায়। আয়াশ তাকে ধরে ফেলল। এখন কি তাকে ভুল বুঝবে? এই ভেবে চিন্তিত হয়ে পড়ল সে। সে কোনোভাবেই চায়নি আয়াশ এই কথা কোনোদিন জানুক। এতে দুজনের বন্ধুত্বের মাঝে প্রভাব ফেলতে পারে সেটা ও চায় না। রুদ্র কিছুটা জোর দিয়ে বলার চেষ্টা করল,
–“এসব আজেবাজে কথা মনে আনিস কেন আজকাল? এসব ফালতু কথা।”

–“আমি আবারও বলছি তুই আনিশাকে ভালোবাসিস?”

আয়াশের কন্ঠ বড্ড গম্ভীর। তার এই গম্ভীরতার অর্থ সে জেনেই ছাড়বে রুদ্রের মনের কথা। রুদ্র ফোঁস ফোঁস করে নিশ্বাস ছেড়ে হতাশ কন্ঠে বলে,
–“এই টপিক পাল্টা আয়াশ। দয়া কর আমায়।”

–“আমি লাস্টবার তোকে জিজ্ঞেস করছি। ডু ইউ ফিল লাভ উইথ দিস গার্ল?”

রুদ্র এদিক ওদিক পাগলের মতো তাকিয়ে বলেই ফেলে,
–“ইয়েস আই লাভ হার। কখন, কিভাবে, কেন জানি না। আমার এই ভালোবাসার গন্তব্য নেই আয়াশ। না রয়েছে কোনো পরিণতি। তবুও কেন বার বার শুনতে চাইছিস। দোহাই লাগে আমার কষ্ট বাড়াস না।”

আয়াশ হেঁটে গিয়ে রুদ্রের সামনে দাঁড়ায়। রুদ্র কিছুটা বিস্ময়ের চোখে তাকিয়ে থাকে আয়াশের দিকে। আয়াশ কি করবে এখন? রুদ্র তো সব ফটফট করে বলে দিল! এখন কি তার বন্ধুত্ব এখানেই শেষ হবে? ভাবতেই তার বুকে তীব্র যন্ত্রণা হয়। তবে আয়াশ তাকে অবাক করে দিয়ে প্রশ্ন করে,
–“কি করে সহ্য করিস? কি করে নিজেকে কন্ট্রোল করিস যখন তুই অন্য কারো সাথে যাকে ভালোবাসিস তাকে দেখিস?”

–“দেখি কারণ তোরা দুজনই আমার ভালোবাসার মানুষ। তোরা যদি একসাথে ভালো থাকতে পারিস তাহলে এটা আমার কাছে আনন্দের। আর সহ্য করা কোনো ব্যাপারই না। আনিশা তো তোকে ভালোবাসে।”

মলিন হেঁসে চশমা পড়ে বলে রুদ্র। চশমা পড়ার মেইন কারণ হচ্ছে বর্তমানে জ্বলজ্বল করে চোখের পানিটুকু ঢেকে রাখা। আয়াশ রুদ্রের শেষ কথাটাতে সমর্থন না করে বলে,
–“কি বলছিস? ও আমাকে ভালোবাসে? মেয়েটার বুক ফাটে তবুও মুখ ফোটে না। ওর থেকে কথাটুকু শোনার জন্য যে আর কত কারসাজি করতে হবে! মাঝেমধ্যে হয় আদোও আমি ওর মুখ থেকে কথাটা শুনতে পাব কিনা!”

রুদ্র এবার জোরে হেঁসে দেয়। তারপরেই গায়েব হয়ে যায় হাসি।
–” –সে আমায় ভালোবাসেনি। ভালোবাসার কথাও নয়। কারণ সে অন্যের মাঝে মত্ত। তার চোখে আমি ভালোবাসা দেখেছি। তবে সেই ভালোবাসা আমার জন্য ছিল না। সে ভালোবাসেনি আমায় তাতে কি? আমি তাকে ভালোবেসেছি। পাগলের মতো ভালোবেসেছি। সেই পাগলামি প্রকাশ করলে সীমা অতিক্রম করে যাবে। তাই লুকোনো থাক সেই ভালোবাসা যেই ভালোবাসা দেখে সে অস্বস্তিবোধ করবে। আমি না হয় তাকে আড়াল থেকে ভালোবেসে যাব!ও তোকে ভালোবাসে আয়াশ। আর সেটা বলবেও।”

চলবে…

[বি.দ্র. ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। গল্পটি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। বাস্তবতা খুঁজবেন না।]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here