মন_পাড়ায় পর্ব_৪০

মন_পাড়ায়
পর্ব_৪০
#নিলুফার_ইয়াসমিন_ঊষা

অর্ক মানলো না। সে প্রভাকে নিয়ে সে পুকুরপাড়ে যেয়ে সিঁড়িতে প্রভাকে বসিয়ে তার কোলে মাথা রাখল।
প্রভা বিস্মিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল,
“কী করছেন?”
অর্ক প্রভার হাত নিজের চুলে হাত রেখে বলল,
“আমি যখন ছোট ছিলাম আমার মা প্রায়ই আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিতো। আমি আমার চুলে কখনো কাওকে হাত লাগাতে দেই নি মা ছাড়া। কিন্তু তুমি আমার চুলে হাত বুলিয়ে দিলে অনেক শান্তি লাগে। মনে হয় আমার সব চিন্তা মুহূর্তে বাতাসে মিশে যাচ্ছে।”
প্রভা মৃদু হেসে অর্কের মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে শুরু করল। প্রভা বলল,
“আপনাকে একটা কথা বলি?”
“তোমার অনুমতির প্রয়োজন নেই।”
“আপনি তখন ছোট ছিলেন বুঝলাম কিন্তু আজ তো আর ছোট নেই তাহলে কেন মা’কে আপন করে নেন না?”
অর্ক অনেকটা সময় চুপ থাকল। এক হাত দিয়ে প্রভার লম্বা চুল দিয়ে খেলতে শুরু করল আর বলল,
“আমি আমার মা’য়ের জায়গা অন্যকাওকে দিতে চাই নি।”
“আমরা কখনো মন পাড়ায় কারও জায়গা অন্য কাওকে দিতে পারি না। সবার জন্য আলাদা জায়গা তৈরি করতে হয়।”
অর্ক থেমে গেল। প্রভার দিকে তাকাতেই তার চোখে চোখ পড়লো। সে জিজ্ঞেস করল,
“তোমার মন পাড়ায় স্বামীর জায়গাটা কী তুমি এখনো আমাকে দেও নি? কারণ সে জায়গার দাবিদার তো অন্যকেউ ছিলো।”
“আপনাকে বিনয়ের জায়গা আমি কখনো দেই নি।”
কথাটা শুনতেই অর্ক প্রভার চোখ থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। বুকের ভেতরে প্রচন্ড ব্যাথার আভাস পেল সে। অন্যপাশে ফিরে শুয়ে তার পায়ের নুপুর ছুঁয়ে বলল,
“তোমার থেকে এতটা আশা করাটাও ভুল আমার। অবশেষে এইটা তোমার জন্য জোরপূর্বেক বিয়েই তো।”
প্রভা এক মুহূর্তের জন্য হাত বুলানো বন্ধ করে তার চোখে হাত রেখে বলল,
“আপনাকে কখনো ওর জায়গা দিলে বিশ্বাস করতে পারতাম না যে। মন পাড়ায় কাওকে অন্যকারো স্থান দিলে তাকে আগের মানুষটার ভালোবাসা, সম্মান, বিশ্বাস সবটা দিতে হয়। আমি আপনাকে ওর জায়গা দিলে না আপনাকে আর সম্মান করতে পারতাম আর না বিশ্বাস। কারণ বিশ্বাস একবার ভাঙলে তা জোড়া দেওয়া ভীষণ কষ্টকর। শুধু ওই মানুষটার উপর বিশ্বাস হারায় তা না। সম্পূর্ণ সম্পর্কের উপর বিশ্বাস হারিয়ে যায়। হোক তা বিবাহ, ভালোবাসা, বন্ধুর বা অন্যকিছু। ভালোবাসা হারানোটা থেকে বিশ্বাস হারানোটা বেশি কষ্টকর। কিন্তু পরে ভাবলাম পৃথিবীর সকল মানুষ ভিন্ন। ভিন্ন তাদের মন। তাই বিশ্বাস ভাঙলে মানুষের উপর বিশ্বাস উঠানো উচিত সম্পর্কের উপর নয়।”
অর্ক আলতো করে প্রভার হাতের উপর হাত রাখলো। হাতটা চোখ থেকে সরিয়ে প্রভার দিকে তাকাল। কিছু জিজ্ঞেস করতে নিলো আর প্রভা তার ঠোঁটের উপর হাত রেখে বলল,
“দয়া করে আর কিছু জিজ্ঞেস করবেন না।”
অর্ক হাসলো একটুখানি। সুখ ও দুঃখের মিশ্রণের সে হাসি। প্রভা তাকে সম্মান ও বিশ্বাসটাই দিতে পারলো শুধু ভালোবাসাটারই কমতি রয়ে গেল। হয়তো এই কমতি সারাটা জীবন রয়ে যাবে।
.
.
সৈকতের সামনে অনেকগুলো ছবি। জ্যোতি একটা বড়সড় বাক্স আনিয়েছিল। বাক্সে অনেকগুলো ছবির এলবাম আর কিছু ছবি আঁকা কাগজ।

এই প্রথম সৈকতের কাছে জ্যোতিকে অসহ্য লাগছে না। জ্যোতি সবসময়ই এমন ভাবে থাকে যা সৈকতের অপছন্দ।

জ্যোতিকে প্রথমে যখন সে দেখেছিল তখন তাকে ভীষণ অহংকারী ও জেদি মেয়ে মনে হয়েছিল। সে ভেবেছিল সময়ের সাথে সাথে এই ধারণা ভুল প্রমাণিত হবে। কারণ প্রথম দেখাও কাওকে চেনাটা জটিল। কিন্তু আফসোস তার ধারণা সঠিক হলো। জ্যোতি এমনই। কিন্তু এই প্রথম যখন সে তার ও নূহার ছোটবেলার গল্পগুলো শোনাচ্ছিল তখন প্রথম তার জ্যোতিকে সাধারণ মেয়ের মনে হলো। যে নিজেও অতীতের কিছু স্মৃতি মনে করে মন থেকে হাসতে জানে। খুশি হতে জানে বাচ্চা মেয়েদের মতো।

জ্যোতি বলল,
“জানো আমি ও নূহা আপু আগে বিকেলে ছাদে যেয়ে লাইটের নিচে বসে বসে অনেকক্ষণ ধরে ছবি আঁকতাম। পুতুল দিয়ে খেলতাম। এই দেখো এখন আমার কাছে বর পুতুল ও কন্যা পুতুল আছে। আমি সবসময় বর পুতুলের মা হতাম আর আপু কন্যা পুতুলের।”
সৈকত হেসে বলল,
“তুমি নূহা আপুকে অনেক ভালোবাসতে তাই না?”
“অনেক। আপু আমার কাছে মা’য়ের মতো ছিলো। ছোট থেকে আমাকে দেখে রাখতো, আমাকে ভালোবাসতো, আমার যত্ন নিতো। এমনকি এই পৃথিবীতে আমার রাগ শান্ত করার কারো ক্ষমতা থাকলে শুধু আপুর ছিলো। আমার আপু বেস্ট।”
জ্যোতি তার ও নূহার ছবিটি দেখে বলল।
সৈকত মৃদু হাসলো জ্যোতির কথা শুনে। তার নিজেরও তার ও অর্কের ছোট বেলায় কাটানো সময়ও মনে পড়ে গেল।

সৈকত বিছানায় থাকা সব ছবি দেখছিলো। এমনই এক কাগজ খুলে দেখলো একটা হাস্পাতালেরর কাগজ। ছবির মাঝে এমন কিছু পেয়ে সে অবাক হলো। পড়তে যাবে তখনই জ্যোতি সে কাজগটা তার হাত থেকে টান দিয়ে নিয়ে নিলো। এমনটা হওয়ায় সৈকত অবাক হয় বেশ। সে জিজ্ঞেস করে,
“এইটা কীসের কাগজ?”
জ্যোতি আমতা-আমতা করে বলল,
“এম-এমনি কিছু না। ভুলে বোধহয় এসে পরেছে।”
বলেই সেই ছবিটা বাক্সে এক এলবামে ভরে রাখলো।

সৈকতের চোখ ছিলো সে এলবামের দিকেই। কাগজটা নিশ্চয়ই জরুরী কিছু, নাহয় জ্যোতি এইভাবে তার হাত থেকে কখনো ছিনিয়ে নিতো না।
.
.
ঝিনুক, প্রভা ও অর্ক দুপুরেই বাসায় এসে পৌঁছে গেছে। ঝিনুক সারাদিন রুম থেকে বের হয় নি। মধ্যরাত পর্যন্ত দরজার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করছিলো সবসময়ের মতো। সৈকত এলো না সে রাতে। সকালে মা’য়ের কাছে জানতে পারে সৈকত রাতে বাসায় আসে নি।

ভার্সিটিতে যেয়ে অঞ্জলি, অর্ণব ও সাবেকের সাথে ক্যান্টিনে দেখা হয়। অঞ্জলি থেকে বিবরণসহ শুনলো কি হয়েছে সে রাতে। সবটা শুনে ঝিনুক বলল,
“তুই চিন্তা করিস না আমি আন্টির সাথে কথা বলব।”
“মা কারো কথা শুনছে না।”
” তোদের বাসায় গেলেই আন্টি যে আদর করে আমায় আমার মনে হয় আমার কথা শুনবে।”
অঞ্জলি একটু চিন্তা করে বলে,
“তা অবশ্য ঠিক। আমার অন্যকোনো বান্ধবীকে কখনো মা পাত্তাই দেয় আর আর তোর সাথে যে সুন্দরভাবে কথা বলে, নাস্তা দেয় আর গল্প করে। হ্যাঁ দোস্ত তুই মায়ের সাথে কথা বলিস।”
অঞ্জলি আবার সাবেকের দিকে তাকাল। তার কপালে এক ফোঁটাও সংশয় নেই। সে মন মতো খেয়েই যাচ্ছে। অঞ্জলি রাগান্বিত স্বরে বলল,
“তোমার কিছু আসে যায় না তাই না? আমার বিয়ে হোক আর যাই হোক।”
সাবেক মুখে খাবার নিয়েই অবাক হয়ে তাকাল অঞ্জলির দিকে। অস্পষ্ট ভাষায় বলল,
“কী হইসে?”
“কী হয়েছে মানে? এইখানে এত গম্ভীর বিষয়ে কথা বলছি আর তুমি খাচ্ছো?”
“কান দিয়ে তো শুনছি। দেখো অঞ্জলি দুনিয়া একদিকে খাওয়া একদিকে। রাগ, জেদ, চিন্তার সাথে খাওয়েনের সম্পর্ক নাই। মানুষ বাঁচেই তো খাওয়ার জন্য। আর চিন্তায় আরও বেশি খেতে হয়। নেও তুমিও খাও।”
অঞ্জলি উঠে দাঁড়ালো। আগের মতোই রাগান্বিত স্বরে বলল,
“তুমি তোমার খাবার নিয়েই থাকো। লাগবে না আমাকে। বিয়ের সম্বন্ধ আসছে না? আমি বিয়েটা করেই ফেলি।”
বলেই অঞ্জলি উঠে গেল। বেরিয়ে পড়লো রাগে। সাবেক অবাক হয়ে ঝিনুক ও অর্ণবের দিকে তাকিয়ে বলল,
“আমি কী করলাম? আমি ওর পিছে যাই।”
নিজের সমুচা হাতে নিয়ে সেও গেল অঞ্জলির পিছনে।
অর্নব হেসে ঝিনুকের দিকে তাকিয়ে বলল,
“এই ছেলে সারাজীবনে ঠিক হবে না।”
ঝিনুককে দেখতেই তার ঠোঁটের কোণের হাসি উড়ে গেল। ঝিনুকের মুখটা ভীষণ মলিন দেখাচ্ছে। ভালো মতো দেখলে বুঝা যাচ্ছে তার চোখের আশেপাশে লাল হয়ে ফুলে আছে। সে জিজ্ঞেস করল,
“তুমি কান্না করেছ?”
ঝিনুক অর্ণবের দিকে তাকিয়ে জোরপূর্বক হাসলো। বলল,
“আমি কেন কাঁদব?”
“তাহলে তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন?”
“বেশি ভাবছেন। আসুন অঞ্জলির কাছে যাই।”
ঝিনুক তার ব্যাগ নিয়ে উঠে দরজার দিকে হাঁটা শুরু করল। অর্ণবও তার পিছু নিলো। আবারও জিজ্ঞেস করল,
“তোমার কিছু তো হয়েছে। বলো কে কী করেছে?”
“বললাম তো কিছু না।”
“ওই সৈকত আবারও কিছু করেছে?”
“সব কিছুর মাঝে ওর নাম আনার প্রয়োজনটা কী?”
অর্ণব ঝিনুকের হাত ধরে নিলো। ঝিনুকও থেমে গেল। পিছনে তাকিয়ে অর্ণবের দিকে তাকাতেই অর্ণব আবারও জিজ্ঞেস করল,
“আমাকে বলো ঝিনুক কী হয়েছে? এভাবে মলিন মুখ করে রেখ না।”
ঝিনুক কিছু বলার পূর্বেই ইকবাল বলল,
“ক্যান্টিনের দরজায় দাঁড়িয়ে জুনিয়ারের সাথে এইসব মানায় না।”
ঝিনুক পাশে তাকিয়ে দেখল ইকবাল ও সৈকত দাঁড়িয়ে আছে তাদের সামনে। সৈকতকে দেখে সে এবার মুখ ফিরিয়ে নিজের হাত অর্ণবের হাতে দেখল। সাথে সাথে হাত ছাড়িয়ে নিলো।
অর্ণব একবার ভ্রু কুঁচকে তাকাল ঝিনুকের দিকে আবার সৈকতের দিকে তাকিয়ে কিছু বলতে নিলো আর সৈকত ইকবালের দিকে তাকিয়ে বলল,
“বাদ দে এইটা সম্পূর্ণ ওদের ব্যক্তিগত ব্যাপার। একটু জায়গা দেওয়া যাবে? আমরা ভিতরে যাব।”
কথাটা শুনে ঝিনুক অবাক হয়ে তাকাল সৈকতের দিকে।
অর্ণব সৈকতের দিকে তাকিয়ে বলল,
“তুই ঝিনুকের সাথে কিছু করেছিস? ওর মন খারাপ কেন?”
সৈকত তাচ্ছিল্য হেসে বলল,
“ও তো তোমার ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড। এইটা তোমার জানা উচিত আমাকে জিজ্ঞেস করছ কেন? আমি ওর কেউ হই না তাই নিজেদের ব্যাপারে আমাকে টানার প্রয়োজন নেই।”
ঝিনুক সৈকতের কথা শুনে আপনা-আপনি হা হয়ে গেল। কীভাবে এমন কথা বলতে পারে ও? নিজের স্ত্রীকে এমন ভাবে অপরিচিত এর মতো বলে কেউ?
ঝিনুক আর এক মুহূর্তও সেখানে দাঁড়ালো না। চলে গেল।

সৈকত অর্ণবের পাশে দিয়ে যাওয়ার আগে বলে গেল,
“সবাইকে তুই ডাকতে নেই এইটা আমি ক্লাস ফোরে থাকতে শিখেছিলাম আর তোমারও শেখা উচিত। ভার্সিটি থেকে কয়দিন পর গ্রাজুয়েট করবে এখানো ভদ্রতা না শিখলে কবে শিখবে?”
বলেই চলে গেল ক্যান্টিনের ভেতর।
.
.
“বাবা বইলো না কত কষ্টে দিন কাটাচ্ছি। আমার ছেলেটা থাকলে নিজের মা’কে কখনো এত কষ্ট হতে দিতো না। তোমার সামনে এভাবে হাত পেতে রাখতে হতো না।”
“খালা এমন ভাবছেন কেন? আপনিই তো বলতেন আমি ও বিনয় আপনার কাছে একরকম।”
অর্ক বিনয়ের মা’কে বলল।

প্রতি সাপ্তাহের মতো আজও বিনয়ের বাসার সবাইকে দেখতে এসেছে সে। যাওয়ার সময় দরজায় দাঁড়িয়েই বিনয়ের মা এইসব বলতে শুরু করল। বিনয়ের মা আরও বললেন,
“বাবা আমার মনাকে একটু কাজ ধরায় দেও না। ও কামানো শুরু করলে চিন্তাটা যেত। তখন তোমাকেও এত জ্বলাতাম না।”
“খালা ওকে একটা কাজে ঢুকিয়েছিলাম আপনি জানেন। কিন্তু ও সেখানে ভালো মতো কাজই করে নি দেখেই বের করে দিয়েছে।”
“বাবা তোমার কোম্পানিতে একটু চাকরি দেও না। তোমার অধীনে থাকলে কোনো চিন্তাই হতো না।”
মলিন কন্ঠে বলল বিনয়ের মা। অর্ক বলল,
“আমাদের কোম্পানির সকল নিয়োগের দেওয়াটা বাবার হাতে। আর ওর পড়াশোনাও এতটা না যে আমি আপনার আবদারের অনুযায়ী ওকে সে পজিশনে কাজ দিব। বাবা কাজে ব্যক্তিগত ব্যাপার আনা সবচেয়ে বেশি অপছন্দ করে।।”
হঠাৎ করে বিনয়ের মা কাঁদোকাঁদো কন্ঠে বলল,
“হায়রে বাবা আজ বিনয় থাকলে মনারও একটা ব্যবস্থা করে দিত। আমার সব ছেলে-মেয়ের জীবনটা নষ্ট হয়ে গেল শুধু ওই একটা মেয়ের কারণে। কোনো মুহূর্তে ওকে বিয়ে করিয়ে আনছিলাম। হায় আমার কপাল ফুঁটে গেছিলো।”
বলেই নিজের কপালে মারতে থাকলেন তিনি।অর্কের একটি অস্বস্তিকর লাগছিল। বাসার সামনে চারজন দাঁড়িয়ে এই দৃশ্য দেখছে। সে বিনয়ের মা’কে থামিয়ে বলল,
“আন্টি সবাই দেখছে। খারাপ ভাববে। আর বিনয় নেই তো কী হয়েছে? আমি আছি আপনাদের খেয়াল রাখার জন্য চিন্তা করবেন না।”
“তুমি আছো দেখেই তো তাও বেঁচে আছি বাবা। নাইলে কোন মা নিজের ছেলের লাশ চোখের সামনে দেখে বেঁচে থাকতে পারে। কিন্তু যে আমার বাচ্চাটারে মারলো তার কোনো শাস্তি হয় নি মনে করেই বুকটা পোড়ে শুধু। বাবা তুমি আমাকে ওয়াদা করছিলে ন্যায় করবে, ওকে শাস্তি দিবে। নিজের ওয়াদা মনে আছে তো বাবা? ও তোমার কাছ থেকে তোমার দুইটা আপন মানুষকে ছিনিয়ে নিয়েছে। কতগুলো পরিবার শেষ করে দিলো মেয়েটা তাও নিজে সুখে আছে। তুমি ওকে শাস্তি দিও বাবা, শাস্তি দিও।”
অর্ক কিছুক্ষণ চুপ থেকে কঠিন কন্ঠে বলল,
“আমার নিজের ওয়াদা মনে আছে খালা।”

চলবে……

[আশা করি ভুল ক্রুটি ক্ষমা করবেন ও ভুল হলে দেখিয়ে দিবেন।]

পর্ব-৩৯ঃ
https://www.facebook.com/828382860864628/posts/1246314872404756/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here