মশারি পর্ব-১৮

0
935

বর বউয়ের রোমান্টিক ঝগড়া গল্প:

♠♥♠ #মশারি ♠♥♠

♣♣পর্ব : ১৮

♠গল্পকার : গল্প বুড়ি #তিলোত্তমা
!
!
!
!
সায়লা ডাক দিল কে যেন এসেচে।আমি ওর ডাক শুনে গেলাম। দেখি একজন মহিলা আর সেই পিচ্চিটা।
মা সায়লাকে ছাদ থেকে কাপড় আনতে বলছে। এর মধ্য সাহিল পিচ্চিটাকে দেখে নিজেই কাপড় আনতে ছাদে গেল””
!
আমি বুঝলাম””
ডাল মে জরুর কুচ কালা হে””””
!
সায়লা তার সাথে আমার পরিচয় করিয়ে দিল। তিনি সম্পর্কে আমার জা হয়। তিনি হচ্ছেন মিতা ভাবী–
আমি সালাম দিয়ে তার সাথে কথা বললাম।
তার সাথে কথা বলে বুঝলাম, তিনি খুব মিশুকে স্বভাবের মানুষ।
তার ছেলেটাও দেখছি খুব শান্ত আর চুপচাপ। লক্ষ্মী ছেলের মত চপচাপ বসে আছে।
পিচ্চিকে তার নাম জিজ্ঞেস করতেই, সে বলল তার নাম রাফসান ওয়াহিদ রাফি। পিচ্চিটার কথাগুলো বেশ মিষ্টি শুনাচ্ছে।
!
মিতা ভাবীর কাছে তার ছেলের প্রশংসা করতেই, তিনি পুরা অবাক হয়ে বললেন, ভাই তুমি ওর এই চেহারা দেখে ওকে বিচার করো না। ওর মত পাজি বাচ্চা এ গন্ডিতে এক পিস ও পাবে কিনা সন্দেহ।
কারন সে কিছু দেখেই ভয় পায় না, ইঁদুর তেলাপোঁকা, টিকটিকি যা বল। আমার বড় ছেলে রাফিন বয়স ১৩। কিন্তু এখনো পোঁকামাকড় দেখলে ভয়ে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। আর এই যে এটাকে দেখছো সে গিয়ে পোঁকামাকড় মেরে দিবে। আর বলবে ভাইয়া তুই শুধু বড় হয়েছিস কিন্ত এখনো একবারে ভিতুর ডিম ।
!
পিচ্চি রাফির কথা শুনে আমরা হাসতে হাসতে শেষ।
সাহিল দেখছি চুপচাপ কাপড়গুলো মায়ের কাছে দিয়ে রুমে চলে গেল।
!
আমি রাফির গাল টেনে বললাম সত্যিই আপনি এতটা দুষ্টু । সে গাল হেসে বলো, হুম।
!
আমি: আপনি যে দুষ্টুমি করেন আমার তো বিশ্বাস হয়।
“!
এরপর পিচ্চিটা যা আমাকে শোনালো, তা শুনে আমরা সবাই অবাক। সে বললো
!

রাফি : ” হাম শরীফ হোগ্যায়ি তো ক্যায়া তো সারি দুনিয়া হি বদমাশ হো যায়েগি”””
!
সত্যিই অবাক কান্ড এই পাঁচ বছরের বাচ্চা কোন জায়গায় কোন ডায়লগ মারতে হবে তাও জানে।
এর পরের কথাগুলো শোনার জন্য আমরা বা বিশেষ করে আমি তো একদম প্রস্তুত ছিলাম না। সে আমাকে বলে কি না””””
!
রাফি : বৌমা তোমার নাম নাকি মিষ্টি । কিন্তু তুমি নাকি ভারী দুষ্টু।
!
আমি কি বলবো কিছুই বুঝতেছি না।
!
মিতা ভাবী : এই তোকে কে বললো রে “”? আমিই তো নতুন বউয়ের নাম জানি না। আর তুই কোথা থেকে এত কিছু জানলি “”?
!
রাফি : কে আবার বলবে, সাহিল চাচ্চু বলছে কাল বিকালে।আর
!
কথাটা বলতেই মিতা ভাবী রাফিকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিল। আর বললো, অন্যকারো কথা বললে বিশ্বাস করতাম। কিন্তু সাহিল””!
!
!
আমি মনে মনে বলছি, আর কি আমাকে জানতেই হবে। মা এসে নাশতা দিলেন। ভাবী আর মা কথা বলতে শুরু করলেন। আমি আর সায়লা পিচ্চিটাকে নিয়ে সায়লার রুমে গেলাম।
!
সায়লা রাফিকে একটা চকলেট দিয়ে বলল, রাফি সোনা তুমি জানি বলতে চাইলে আর তোমার আম্মু ধমক দিয়ে থামিয়ে দিল। কি কথা আমাদের বলতো “”?
!
রাফি : ঠিক আছে বলবো, কিন্তু প্রমিস কর সাহিল চাচ্চুকে বলবে না। যদি তোমরা বলে দাও, তবে চাচ্চু আমাকে আর চকলেট দিবে না।
!
সায়লা রাফিকে আরেকটা চকলেট দিয়ে বলল ঠিক আছে। আমরা বলবো না। তুমি বল””?
!
!
রাফি আমাদের যা শোনালো সায়লা তো হাসতে হাসতে শেষ। আর বলছে,ভাবী ভাইয়ার পেটে পেটে এত শয়তানি বুদ্ধি আছে আগে তো জানতাম না।
!
আমার তো মনে হচ্ছে রাগে এটোম বোমের মত যে কোন সময় বাস্ট হয়ে যাবো””
আমি আর কিছু না বলে ড্রইং রুমে চলে আসি।
রাফি আর মিতা ভাবী চলে গেল। মাগরিবের আযান পড়েছে। আমি আমার রুমে যাবো, দেখছি ভিতর থেকে দরজা লক করা।
!
আমি বারবার দরজা নক করছি। ওপাশ থেকে দরজা খোলার নাম গন্ধ নেই।
!
আমি : কি আবার ঘুমালেন নাকি? দরজাটা খুলুন “”!
!
সাহিল : দরজা খুলবো, আগে বল আমাকে বকবে না, কিছু বলবেনা প্রমিজ কর।
!
আমি : ঠিক আছে।
কিছু বলবো না, দরজাটা খোলেন। আমি নামায পরবো।
!
সাহিল দরজা খুলে দিল। আমি চুপচাপ রুমের ভিতরে গিয়ে ওযু করে নামায পরলাম। ওনিও নামায পড়তে চলে গেলেন।
!
!
আমি চুপচাপ খাটে বসে আছি আর ভাবছি। এদিকে আমার তো রাগে শুধু গা জ্বলে যাচ্ছে। পিচ্চির কথাগুলো মনে হতেই যেন, আগুনে আরো ঘি পরতেছে””।
!
একটু পর সাহিল রুমে ঢুকলো।চুপ করে আমার পাশে বসলো। সে মনে করছে রাফি আমাকে কিছু বলে নাই।
কারন আমি কিছু জানলে তো চুপ থাকার কথা না”””
!
!
সাহিল : কি হয়েছে তোমার ? এত চুপচাপ বসে আছো। কিছুই বলছো না।
বাড়ির কথা মনে পড়ছে””!
!
!
আমি : কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললাম, আমার কথা বাদ দেন। আগে বলেন দরজা খোলার সময় ঐ কথাগুলো কেন বললেন? আর কাল তো রাফির সাথে অনেক ভাব দেখলাম। আজ কেন ওদের সাথে দেখা করলেন না?
!
!
সাহিল : কিছু”” না এমনিতে”””ই””!
কেন রাফি কিছু বলছে তোমাকে?
!
একথা শুনতেই আমার রাগের তো বাঁধ ভাঙ্গলো। খাট থেকে নেমে, কোমড়ে শাড়ীটা বাঁধতেই। সাহিল খাটের আরেক পাশে নেমে পড়লো। আমি বালিশ নিয়ে মার দিতেই যাবো। তখন ও বলে উঠলো””
!
!
সাহিল : তুমি কিন্তু প্রমিস করছো কিছু বলবে না। এখন কিন্তু তুমি প্রমিস ভঙ্গ করছো। এটা কিন্তু ঠিক না””
!
!
আমি : দাড়ান আপনার প্রমিসের মজা দেখাচ্ছি। আমি তো বলছি কিছু বলবো না। কিন্তু বলিনি তো কিছু করবো না। তাই আপনাকে বালিশ দিয়ে আজ ইচ্ছা মত পিটিয়ে আপনার বারোটা বাজাবো “”!
আমি বলতেই ও আরেকটা বালিশ নিয়ে রেডি মার ঠেকাতে। আমি ওর পিছিপিছু ছুটছি আর বলছি,
!
আপনি রাফিকে কি বলছেন, আমার নাম মিষ্টি কিন্তু আমি খুব দুষ্ট”””!👿👿👿
!
আমি আপনাকে চিমটি মেরে জখম করছি। তাই আমাকে তেলাপোঁকা দেখিয়ে ভয় দেখিয়ে শায়েস্তা করবেন””‘👹👹👹
!
আর যেন কি “? ওহ্ মনে পরছে, রাফি যে কয়টা তেলাপোঁকা ধরে দিবে সেই কয়টা বড় চকলেট দিবেন””
আপনি এতটা খারাপ নিজে ক্রাইম করেন আবার দুধের বাচ্চাদের আপনার সসহযোগী করেন””
!
আমি বলছি আর পিছুপিছু ছুটছি। কিন্তু কিছুতেই ধরতে পারছি না। একদম বাইম মাছের মত পিচ্ছিল””
!
!
সাহিল : বিশ্বাস কর ও যা বলছে, সব মিথ্যা কথা””
আর শোন ও কোন দুধের বাচ্চা না “”
রাফি তোমার চেয়ে সব জিনিষ ভাল বুঝে””
!!
!
আমি : কি “”””? রাফি মিথ্যা বলছে নাকি আপনি মিথ্যা বলছেন””
আর কি বললেন ও আমার চেয়ে ভাল বুঝে। তবে রে দাড়ান “” বলছি””
!
আমি যদি নাই বুঝতাম । তবে বুঝলাম কেমনে তেলাপোঁকাগুলো আপনি দিয়েছেন।
এজন্য তো বলি আপনি কাল রাতে রুমের লাইট অফ করে রাখছিলেন কেন। যাতে আমি রুমে ঢুকতেই আমার পিছন থেকে তেলাপোঁকাগুলো চুপচাপ আমার শরীরে ছেড়ে দিতে পারেন””
এমনিতেই কি বলি আপনি,
হাড়বজ্জাত, মিচকে শয়তান, ভেজা বেড়াল, সেনাপতি বিটকেল””
!
!
সাহিল : তোমার মনে হয় আমি এসব করতে পারি “”? মোটেও না””
দেখনা আমি কতটা ইনোসেন্ট””☺☺☺
!
!
আমি : ওরে ফাজিল “” কি মিথ্যাবাদীরে বাবা। আপনার মিথ্যা শুনলে তো মরা মানুষ পর্যন্ত তাজা হয়ে উঠে দাড়াবে””😱😱😱
!
!
সাহিল : দেখছো আমার কত গুণ””😂😂😂
!
!
আমি : আমার সামনে একদম দাঁত কেলিয়ে হাসবেন না””
আপনাকে আমি আজ দেখে নিবো। আমাকে বোকা বানানোর ফন্দি।
!
গুনে গুনে ৬ টা তেলাপোঁকা খুঁজে মারা। আবার বলে কিনা তেলাপোকারা নাকি গার্লফেন্ড সাথে নিয়ে বেড়াতে আসছে। আমাকে দিয়ে শর্ত মানানো। তাও কিনা “”আল্লহর কসম দিয়ে””
আজ আমি আপনাকে পোঁচা পানিতে চুবিয়ে মারবো””
!
!
সাহিল : থাম”” থাম””
তুমি তো দৌড়াদৌড়ি করতে করতে অস্থির হয়েছো। তার সাথে সাথে আমাকেও অস্থির করছো।
এখন বরং তোমাকে একটা গান শোনাই””
!
বউ ছুটেছে বালিশ হাতে
ধরতে পারলে যে মার আমায় দেবে
হার মেনেছি আমি যে আজ
দৌড়াতে দৌড়াতে পা যে গেলো”””””
রাগলে তোমায় লাগে আরো ভাল””‘
!
ও রাগনেওয়ালী হাত কর খালি
এবার বালিশটা খাটে রাখো”””’
আর আমায় ছাড়ো””””
!
!
কত বড় শয়তান “”! এখন আবার গান গাওয়া হচ্ছে “”! এবার আর তোমার নিস্তার নেই”””
!
বারে বারে ঘুঘু তুমি
খেয়ে যাও ধান”””
এইবার ধরিলে তোমায়
যাবে যে পরান””””
!
যখনি সাহিলকে ধরতে যাব”””” ঠিক তখনি””” খাটের সাথে আমার পায়ে এমন ভাবে লাগলো “”” ডাস করে একটা শব্দ হলো “””
আমি শুধু চুপ করে দাড়িয়ে পড়লাম।
আমার চোখ দিয়ে অনর্গল পানি পরতেছে”””
মনে হয় কোন কথা বলার শক্তিটুকু শরীর নেই।।
!
সাহিল তাড়াতাড়ি আমার কাছে এসে আমাকে খাটে বসালো। আমার পায়ের দিকে তাকাতেই দেখে।
ডান পায়ের বৃদ্ধা আঙ্গুলটা ফেটে অনর্গল রক্ত পরতেছে। আমার পায়ের রক্ত পরা দেখে। ও আমার আঙ্গুলটা চাপ দিয়ে ধরে। আর আঙ্গুলে চাপ দিতেই আমি ব্যাথায় এত জোরে চিৎকার করি যে, সায়লা মা বাবা আমাদের রুমে চলে আসে।
“!
সায়লা তাড়াতাড়ি ফ্রীজ থেকে বরফ আর মা ফাস্টটেড বক্স নিয়ে আসে।
!
তারপর চলে প্রশ্নের ঝড়।
কিভাবে হল কেমন করে হল ইত্যাদি ইত্যাদি। আমি তো ব্যাথার চোটে কথাই বলতে পারছিনা।
!
সাহিল পায়ে কিছুক্ষন বরফ লাগিয়ে দিল। এরপর পা ব্যান্ডেজ করে দিল।
!
বাবা- মা সাবধানে থাকতে বলে চলে গেল।
!
সায়লা আমাকে জিজ্ঞাসা করলো, আজও আমাকে তেলাপোঁকা দেখিয়ে ভয় দেখাছে নাকি?
আর বললো, যদি দেখিয়ে থাকে ওকে বলতে, ও নাকি বাবার কাছে নালিশ করবে। এই বলে সায়লা চলে গেল।
!
সাহিলের হাতে আর ঘরের মেঝেতে আমার রক্তগুলো লেগে আছে। ও রক্তগুলো মুছে, ওয়াশরুম থেকে হাত ধুয়ে এলো।
!
!
তারপর আমার পায়ের কাছে এসে বসলো। আমার সাথে সাথে সাহিলটাও একদম চুপ মেরে আছে।
ওর হাত দিয়ে আমার চোখের পানি মুছে দিল। আমার মুখটা উঁচু করে ধরে,সাহিল ওর দুই কান ধরে Sorry বললো।
“!
ওর চোখের দিকে তাকাতেই আমার সব রাগ পানি হয়ে গেল। সাহিলের চোখটা ছলছল করছে। মনে হচ্ছে যেন, যে কোন সময় চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরবে।
!
যখন কোন মানুষের চোখে অপরাধবোধের অনুশোচনা থাকে।
তখন তাকে কোন বিচারের কাঠঘোড়ায়
না দাড়া করানোই ভাল।
কারন অপরাধবোধ হচ্ছে সবচেয়ে বড় শাস্তি। যা অপরাধী মনকে পোড়াতে পোড়াতে খাটি সোনায় পরিনত করে।
!
!
আমি ওর গালে আলতো করে হাত রেখে বললাম আমি ঠিক আছি।
!
কিন্তু ও আমার চেহারা দেখে ঠিকই বুঝে নিয়েছে আমি ঠিক নেই।
তাই সে বললো,আমি যেন তাকে কোন ফরমালিটি না দেখাই “”‘
!
আমার উরুর উপর হাত রেখে।
ওর দুহাতে আঙ্গুলের ভিতর দিয়ে আমার দুহাত রাখলো। সাহিলের হাতটা উপরে ছিল।
!
সাহিলের হাতের দিকে তাকাতেই চোখে পড়লো আমার নির্মমতা। বেচারার বাম হাতের উপরে চিমটি দিয়ে একদম জখম করে দিয়েছি।
!
আল্লাহ বাঁচাইছে””!
জখমটা বাম হাতে বলে রক্ষা পেয়েছি। ডান হাতে হলে খাবারের টেবিলেই সবাই দেখতো। ফর্সা হাতে কালো জখম।
!
যদি শ্বাশুড়িমা ছেলে হাতটা দেখতো না। তবে ব্যাগের কাপড় আর আলমারিতে রাখতে হত না। ব্যাগসহ বাবারবাড়ি পাঠিয়ে দিত।
ভাগ্যিস দেখেনি””!
!
আমি সাহিলকে বললাম, আল্লাহ আমার বিচার করছে “”। আপনাকে চিমটি মারছি। তাই আল্লাহ আমাকে শাস্তি দিয়েছে।
!
ইস্ আপনার হাত কেমন হয়ে গিয়েছে””
কথা বলতেই ও আমার মুখে আঙ্গুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিল।
!
তারপর আস্তে করে বিছানায় শোয়ায়ে দিল। আর ও আমার পাশে বসে আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে””🌹🌹🌹
!
!
মনে মনে নিজেকে অনেক বোকা দিলাম। সত্যিই আমি একদম ভাল না । দুই দিন হল তবুও তার হাতের উপর আমার চোখ পরেনি।
!
!
এশার আযান দিয়ে দিয়েছে ।
সাহিল মসজিদে নামায পড়তে আর আমার জন্য ঔষুধ আনতে গেল ।
!
আমি ও আস্তে আস্তে ওঠে কোন রকমে চেয়ারে বসে নামায পড়ে নিলাম।
!
আমরা খাবার খেতেই যাবো। তখনি মা সায়লাকে দিয়ে আমাদের খাবারটা রুমে পাঠিয়ে দিয়েছে।
!
সাহিল প্লেটে খাবার এনে আমাকে জিজ্ঞেস করলো। তার হাতে খাবার খেতে আমার কোন অসুবিধা আছে কিনা।
আমি মাথা নাড়িয়ে বললাম না।
যদিও আমি আমার আম্মু আর বড় ভাইয়ার হাত ছাড়া আর কারো হাতে কোনদিন খাইনি।
!
তবুও এতটা ভালবেসে বলছে তাই অল্প একটু খেলাম। আর তাকেও খেতে বললাম। সে ও খেয়ে নিল।
!
তারপর আমাকে ঔষুধ খেতে দিল। রাত ১০:২০ বেজে গিয়েছে। তার #মশারি টানানোর কোন নাম গন্ধ নেই।
!
হায়রে ! আজকের দিনটাতে তো টানাতে পারে। ভিষন রাগ লাগছে।
আমি #মশারি টানাতে বললে তো আবার তার ডিমান্ড পুরন করতে হবে।
!
সে ওয়াশরুমে আছে। থাক আমিই #মশারি টানাই। আমি কোন রকমে #মশারি টানালাম।
!
সাহিল ওয়াশরুম থেকে বেড়িয়ে বলছে। আজ না হয় #মশারি ছাড়া ঘুমাতাম।
তুমি কষ্ট করে টানালে কেন?
!
!
মনে বলি, জীবনে অনেক অলস মানুষ দেখছি। কিন্তু তার মত অলস মানুষ জীবনে দেখিনি।
#মশারি ছাড়া ঘুমাবে তবুও নিজে টানাবে না “”
!
যত্তসব ভেড়া অলস মার্কা লোক””‘
!
আমি ওয়াশরুমে শাড়ী চেন্জ্ঞ করতে যাচ্ছিলাম। সাহিল পিছন থেকে বললো প্লিজ “! শাড়ীটা আজ পড়ে থাকো না ”
!
তোমার জন্য সারপ্রাইজ আছে 🌹🌹🌹🌹🌹
!
বলতে না বলতেই কারেন্ট চলে গেল”‘
এখন গরমে বসে বসে সারপ্রাইজড্ হও”””😞
!
!
!
চলবে””””
!
!
!
♣গল্পটা কষ্ট করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ♥♥♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here