#মেঘের_পরে_রংধনু
#পর্ব_৯
লিখা: Sidratul Muntaz
ইলহানের হাতের চড়ের অগ্রধাবনে অরিন নিজেকে সামলাতে না পেরে মেঝেতেই লুটিয়ে পড়লো। তার গালের বামপাশটা কয়েক মুহুর্তের জন্য বোধ হয় অবশ হয়ে গেল। এই কড়া চড়ের দমকেই বুঝা যাচ্ছে অরিনের শেষ কথায় ইলহান ঠিক কতটা প্রভাবিত হয়েছে! ইলহান উন্মত্ত প্রায় হয়ে অরিনের হাত টেনে ধরে ওকে দাঁড় করালো। অন্যহাত দিয়ে ওর গাল শক্ত করে চেপে ধরে উগ্র রোষ মেশানো গলায় বললো,
” এই মেয়ে, বলো। সমস্যা কি? তুমি কি বোঝো না? ভালোবাসি! তোমাকে বারবার কেনো বুঝাতে হবে একটা কথা? এতো ন্যাকামি কিসের? তোমাকে আমি..”
ইলহান আর কিছু বলার আগেই অরিন শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে ওকে ধাক্কা মেরে দূরে সরিয়ে দিল। ধারালো কণ্ঠে প্রায় চিৎকার দিয়ে বললো,
” আমি ন্যাকামি করছি? আর আপনি যে একটা সাইকো। দিনের পর দিন সাইকোগিরি করে আমার জীবনটাকে নরক বানিয়ে তুলেছেন। আর আমি প্রতিবাদ করতে আসলেই সেটা ন্যাকামি হয়ে যায়? আপনি কোন সাহসে আমার গায়ে হাত তুললেন?”
” তুমি কোন সাহসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে এসব নোংরা কথা উচ্চারণ করো? রেসপেক্ট পেতে হলে আগে রেসপেক্ট দিতে শেখো। তোমার কোনো অধিকার নেই কারো ভালোবাসাকে অপমান করার বুঝেছো? ভালোবাসার কদর তো করতেই জানো না। দয়া করে অপমানটাও করো না। এইযে আমি দিনের পর দিন কন্টিনিউয়াসলি তোমাকে ফোন দিয়ে যাই, ননস্টপ ম্যাসেজ করতেই থাকি। কি হয় একটাবার কথা বললে? এতো অবহেলা তো রাস্তার কুকুরকেও মানুষ করে না। এইখান থেকে ধানমন্ডি কতদূর বলো? দেড়ঘণ্টা লেগে যায় আমার যেতে। জ্যামে পড়লে তো রেহাই নেই। ঘামতে ঘামতে এতোদূর পৌঁছানোর পর যখন তোমাকে অনুরোধ করি একটাবার নিচে আসতে। তুমি কি আসো? জীবনেও তো আসো না। কেনো? কি হয় একটু নিচে নামলে? আমার সাথে দেখা করলে কি তুমি মরে যাবে? তোমার জাত চলে যাবে? নাকি তোমার বিরাট কোনো ক্ষতি হবে? ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থেকে প্রত্যেকবারই ক্লান্ত হয়ে, অধৈর্য্য হয়ে, কষ্ট নিয়ে আমাকে ফিরে আসতে হয়। তাও তোমার দেখা পাওয়া যায় না। মাঝে মাঝে তো ফোনটাও বন্ধ করে রাখো। তখন কি অবস্থা হয় আমার জানো? ভেবে দেখেছো একবারও? প্রায় একবছর হতে চললো আমি তোমার জন্য.. ঠিকাছে তোমার ভাষাতেই বলি। সাইকোগিরি করে চলেছি। তোমার কি দয়া-মায়া হয় না? আমাকে মানুষ মনে হয় না? কেনো এতো কষ্ট দাও? অবশ্য কারণটা আজকে বুঝতে পারলাম। তোমার মনটাই আসলে নোংরা। নোংরা চিন্তা-ভাবনা করো তুমি। সেই নোংরা মনের চাদর ভেদ করে আমার ভালোবাসার শীতল পরশ তোমাকে ছুঁতে পারছে না। কালো মানুষের মন নাকি সাদা হয় ভেবেছিলাম। তোমার তো মনটাও কালো অরিন। শেষমেষ এই ধারণা হলো আমার সম্বন্ধে? আমি তোমাকে ভোগের জন্য.. . ছি! যদি সেই ইচ্ছাই থাকতো তাহলে সেদিনই করতাম যেদিন তোমাকে কিডন্যাপ করেছিলাম। সুযোগের কি অভাব ছিল আমার? নাকি মেয়ের অভাব? দিনের পর দিন আমার বেঁচে থাকা হারাম করে, আমার জীবনের সব সুখ-শান্তি কেড়ে নিয়ে এখন তুমি এসেছো প্রতিবাদ করতে? প্রতিবাদ আমার করা উচিৎ। একটা মানুষের হৃদয় নিয়ে ছিনিমিনি খেলছো তুমি। মানুষটাকে বাঁচতে দিচ্ছো না। একটা রাতও শান্তিতে ঘুমাতে দিচ্ছো না। এইভাবে কষ্ট না দিয়ে আমাকে বরং মেরেই ফেলো অরিন!”
ইলহান থেমে যাওয়ার পর মুহুর্তেই অরিন ওয়ারড্রোবের সামনে গিয়ে ফ্লাওয়ার বাজটা উঠিয়ে ভেঙে ফেললো। আরও কিছু ভাঙতে যাচ্ছিল ইলহান তড়িঘড়ি করে এসে ওর দুই হাত শক্ত করে চেপে ধরলো। তারপর চোখ রাঙিয়ে বললো,
” সমস্যা কি?”
” আমি নোংরা? আমার চিন্তা-ভাবনা নোংরা? আমি কালো?তাহলে আপনি কেনো আমাকে টাচ করছেন? নোংরা হয়ে যাবেন আপনিও ছাড়ুন। আমার মতো কালো মেয়েকে ধরার দরকার নেই।”
ইলহান মনে মনে ভীষণ বিরক্তির একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ছাড়লো। এই মেয়েকে এতোক্ষণ ধরে সে কি বুঝিয়েছে? সে অরিনকে কতটা ভালোবাসে, অরিনকে দেখার জন্য সারাদিন চাতক পাখির মতো ছটফট করে, একবার অরিনের কণ্ঠ শোনার জন্য মরিয়া হয়ে থাকে। অথচ অরিন এতো কথার মাঝে কোনটা ধরলো? ইলহান তাকে কালো বলে অপমান করছে! হায়রে! ইলহান হতাশ গলায় বললো,
” আচ্ছা ধরবো না। কিন্তু আমার ঘরের জিনিস কেনো ভাঙছো?”
” আমার যা ইচ্ছা আমি তাই করবো। ছাড়ুন আমাকে।”
অরিন আবারও একটা ধাক্কা মেরে ইলহানকে সরিয়ে এসির রিমোট ভেঙে ফেললো। কাঁচের ফিশ পন্ড ধাক্কা মেরে ভেঙে ফেললো। পুরো ফ্লোর পানিতে মাখামাখি হয়ে গেলো। ইলহান রেগে গিয়ে আবার একটা চড় দিল অরিনকে। কিন্তু এবারের চড়টা খুব আস্তে দেওয়া হলো। শুধুই অরিনকে থামানোর জন্য। কিন্তু অরিন থামলো না বরং আরও জোরে চিৎকার দিয়ে বললো,
” আরেকবার আমার গায়ে হাত তুললে খুব খারাপ হবে।”
শ্যানিন দৌড়ে চলে আসলো ঘটনাস্থলে। দরজাটা আটকে ভয়ে আড়ষ্ট কণ্ঠে বললো,
” অরিন, তোরা এসব কি শুরু করেছিস? মা-বাবা শুনতে পেলে কি হবে?”
অরিন বললো,” শুনুক। সবাই শুনুক। সবাই জানুক একটা মেয়ের উপর কিভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে।”
” কে নির্যাতন করেছে তোমার উপর? এই, কথা বলো। কে নির্যাতন করেছে?”
” মাঝরাতে বাসায় তুলে এনে জোরপূর্বক একটা মেয়েকে বিয়ে করতে চাওয়াটা কি নির্যাতন না?”
” মানে? আমি কি তোমাকে একবারও বলেছি জোর করে বিয়ে করবো? কখন বলেছি বলো?”
অরিন উপহাসের সুরে বললো,” বাহ, এখন কিছুই জানেন না? আপনার বাবা নিজেই তো বললেন আজকের মধ্যে আমাদের বিয়ে হতেই হবে!”
ইলহান ভ্রু কুচকে শ্যানিনের দিকে তাকালো। শ্যানিন ভীত এবং আড়ষ্ট কণ্ঠে বললো,
” ভাইয়া, আমি ওকে বুঝাচ্ছি। অরিন তুই কি মাথা ঠান্ডা করে একটু আমার সাথে আমার রুমে আসবি?”
অরিন তৎক্ষণাৎ জবাব দিল,” না। আমি এখন শুধু বাসায় যাবো, ব্যস।”
মেঝে থেকে নিজের হাত ব্যাগটা তুলে নিয়ে অরিন বের হয়ে যাচ্ছিল। শ্যানিন দুইহাতে অরিনকে ধরে থামিয়ে করুণ গলায় বললো,
” প্রয়োজনে তোর পায়ে ধরবো। তবুও প্লিজ আমার কথাটা শোন।”
পেছন থেকে ইলহান ভারী কণ্ঠে বললো,” স্টপ শ্যান। যে যেতে চায় তাকে যেতে দে। জোর করে কাউকে আটকে রাখার দরকার নেই।”
অরিন এই কথা শুনে হালকা অবাক হয়ে ইলহানের দিকে তাকালো। ইলহান বললো,
” আমার জন্য এসেছো না? তাহলে একা কেনো যাবে? আমিই নিয়ে যাচ্ছি। চলো।”
” একদম না। আমি আপনার সাথে যাবো না।”
অরিনের কথা যেনো ইলহান পাত্তাই দিলো না। শ্যানিনের দিকে তাকিয়ে বললো,
” গাড়ি কি গ্যারেজে ঢোকানো হয়ে গেছে?”
” হ্যাঁ। ড্রাইভার আঙ্কেলও চলে গেছে।”
” চাবি কোথায়?”
” আমার রুমের ক্লোজেটে আছে নিয়ে আসবো?”
” হুম।”
শ্যানিন অরিনের হাত ধরে বললো, ” তুইও আয়।”
অরিন হাত ছাড়িয়ে দরজা খুলে সোজা চলে যেতে লাগলো।
” ভাইয়া, তুই গিয়ে আমার ক্লোজেট থেকে চাবি নিয়ে আয়।”
তাড়িত কণ্ঠে একথা বলে শ্যানিন অরিনের পেছন পেছন দৌড় দিল। অরিন ড্রয়িংরুম পর্যন্ত চলে গেছে। কিন্তু এখন ড্রয়িংরুমটা অন্ধকার। শ্যানিন এতে কিছুটা স্বস্তি পেল।মা-বাবা তার মানে রুমে চলে গেছে। এজন্যই তো ভাঙাভাঙির আওয়াজ শুনতে পায়নি। ড্রয়িংরুমে বসে থাকলে ঠিকই শুনতে পেতো। যা হয় ভালোর জন্যই হয়। শ্যানিন এবার শক্ত হাতে অরিনকে থামালো,
” এই শোন, আমার সাথে কথা বলতে প্রবলেম কি? আমি কি দোষ করেছি?”
” তুই- ই আমাকে এখানে ডেকে এনেছিস। আমি এখানে এসেছিই তোর কথা চিন্তা করে।”
” তাহলে আমার পুরো কথা না শুনে কেনো চলে যাচ্ছিস? প্লিজ আমার কথাটা শোন অরিন।”
অরিন চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল। নিরবতাকে সম্মতির লক্ষণ ধরে নিয়ে শ্যানিন হাফ ছেড়ে বলে ফেললো,
” তুই কি জানিস? ইলহান ভাইয়া আমার আপন ভাই না।”
অরিন রীতিমতো তাক খেয়ে গেল। কোনো উত্তর দিল না কিন্তু হাজারটা প্রশ্ন নিয়ে তাকিয়ে রইল। শ্যানিন বললো,
” ভাইয়া আসলে এডাপ্টেড চাইল্ড। তাকে অস্ট্রেলিয়ার একটা এতিমখানা থেকে এডাপ্ট করা হয়েছিল। সেইসময়ের সবথেকে সুন্দর বাচ্চা ছিল ইলহান ভাইয়া। তাকে এডাপ্ট করার জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসতে লাগলো। জায়গা-জমি নিলামে উঠে গেলে যেমন দামাদামি হয়, তাকে নিয়েও দামাদামি হচ্ছিল। বিষয়টা এতো বেশি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে গেছিল যে একটা বাচ্চাকে কেন্দ্র করেই যেনো পৃথিবীতে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে।”
অরিনের চোখে-মুখে গাঢ় বিস্ময় দেখে শ্যানিন মৃদু হাসলো। তারপর ওকে ধরে সোফায় বসিয়ে বললো,
” ভালো করে না শুনলে তুই পরিস্থিতি বুঝতে পারবি না। ভাইয়াকে কোথায় পাওয়া গেছিল জানিস? ডাস্টবিনে। কালো কাপড়ে মোড়ানো বাচ্চাটা চাঁদের মতো জ্বলজ্বল করছিল। যেনো চারদিকে আলো ছড়ানোই তার প্রধান কাজ। মানুষ বাচ্চাটাকে ধরতেও ভয় পেয়ে যাচ্ছিল। সবাই ভেবে নিয়েছিল এটা কোনো অলৌকিক ক্ষমতা সম্পন্ন শিশু। সাধারণ মানুষ এতো সুন্দর হতেই পারে না। যেই ভাইয়াকে দেখতো সেই অবাক হয়ে যেতো। এমন হীরের টুকরোকে ডাস্টবিনে কে ফেলে দিয়েছে? তখনকার সময় অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় এবং বিস্তৃত নিউজ ছিল এটা। ডাস্টবিনে খুঁজে পাওয়া গেছে চাঁদের সন্ধান। ভাইয়া যে কি আশ্চর্য সুন্দর ছিল! ওর মুখের দিকে বেশিক্ষণ তাকিয়ে থাকলেও মাথা ধরে যেতো। বাবা যখন প্রথমবার ভাইয়াকে দেখতে এলেন ভাইয়া নাকি খিলখিল করে হেসেছিল। বাবার ভাষ্যমতে তখন তিনি তার বুকের একপাশে একটা অদ্ভুত চিনচিনে ব্যথা অনুভব করেছিলেন। সেই তীক্ষ্ণ ব্যথা কমতো কেবল ভাইয়াকে বুকে নিলে। বাবা ভাইয়াকে এডাপ্ট করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠলেন। কিন্তু ধনী একটা অলরেডি ভাইয়াকে এডাপ্ট করে ফেলেছিল। বাবা সেই ধনীলোকের কাছ থেকেই দ্বিগুণ পরিমাণ অর্থ দিয়ে ভাইয়াকে কিনে নিলেন। সেজন্য বাবা তার সমস্ত জায়গা-জমি বিক্রি করে দিলেন। তখন আমাদের অবস্থাও তেমন ভালো ছিল না। আমি তো পৃথিবীতেই ছিলাম না। কিন্তু ভাইয়া ছিল লাকি চ্যাম্প। সে বাড়িতে আসার পর থেকেই সবার ভাগ্য বদলে গেল। বাবা রাতারাতি বড়লোক হয়ে গেলেন। ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেললেন। সবকিছু ভাইয়ার নাম দিয়ে শুরু করলেন। আমাদের পরিবারের সবার চোখের মণি হলো ভাইয়া। তার কষ্ট আমরা কিভাবে সহ্য করি বল? ভাইয়ার যখন ছয়বছর বয়স, তখন আমার জন্ম হয়েছিল। আমি তো বাবার আপন মেয়ে। কিন্তু আমার চেয়েও বেশি বাবা ভাইয়াকে ভালোবাসে। এতে আমার একটুও কষ্ট নেই বিশ্বাস কর। বরং আমি অনেক খুশি। ভাইয়ার ব্যাপারে শুধু বাবা না, মাও অনেক সেন্সিটিভ। তুই ভাইয়াকে লাস্ট তিনমাস ধরে যেভাবে ইগনোর করছিস তাতে ভাইয়া একদম ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিল। আমাদের সাথে আর আগের মতো হাসে না, কথা বলে না। সারাক্ষণ নিজের মতো থাকে। তার মুখ দেখলেই বুঝা যায়, ভেতরে ভেতরে সে মরে যাচ্ছে। বাবা এতো আদরের ছেলের কষ্ট কিভাবে সহ্য করবে বল? সেজন্যই তোকে ঝোঁকের মাথায় এইভাবে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে ফেলেছে।”
অরিনের মনে মনে খুব কান্না পাচ্ছে। নিজের সন্তান নয় তবুও বাবা তার ছেলেকে কত ভালোবাসে। অথচ অরিন তো তার বাবা-মায়ের আপন মেয়ে। কিন্তু জন্মের পর তাকে কেউ কখনও কোলে নিতে চায়নি। তার শৈশব কেটেছে অবহেলায়, কৈশোর কেটেছে অবহেলায়! ইলহান দরজার বাহিরে থেকে আওয়াজ দিল অরিনকে যাওয়ার জন্য। সে গ্যারেজ থেকে গাড়ি বের করে অপেক্ষা করছে। শ্যানিন চোখের পানি মুছে বললো,
” আমার কথা শেষ। তুই যা, ভাইয়া ডাকছে।”
অরিন উঠে যেতে যেতে বললো,” আমি উনার সাথে যাবো না।”
শ্যানিন সোফাতেই চুপ করে বসে রইল। অরিন বাহিরে গিয়ে দেখলো ইলহান গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে নখ কামড়াচ্ছে। অরিনকে দেখেই বললো,
” এসো।”
অরিন পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিল। ইলহান রাগী কণ্ঠে বললো,
” গাড়িতে উঠো অরিন।”
অরিন তাও থামলো না। ইলহান জোরে গাড়িতে একটা লাথি মারলো। অরিন তবুও না থেমে আরও দৌড়ে চলে যাচ্ছিল। ইলহান এবার গিয়ে পেছন থেকে অরিনের কোমড় ধরে উঠিয়ে ওকে গাড়িতে এনে বসালো। অরিন খামচে ইলহানের ধবধবে সাদা হাত রক্তাক্ত করে ফেললো ততক্ষণে।
চলবে