মেঘে_ঢাকা_চাঁদ পর্ব ৪৬

0
1264

#মেঘে_ঢাকা_চাঁদ (পর্ব ৪৬)
সায়লা সুলতানা লাকী

“লিখন তোমাকে বেশ চিন্তিত বলে মনে হচ্ছে, নতুন কোনো সমস্যা হয়েছে কি?” লাবন্যের নানি চশমার গ্লাস পরিস্কার করতে করতে বসলেন লিখনের মুখোমুখি হয়ে।

“আম্মা নাজমুল ভাই আজকে কল দিয়েছিলেন, বললেন শুক্রবার বাসায় আসবেন কি নাকি জরুরি বিষয়ে কথা বলবেন তিনি। আমি খুব ভয় পাচ্ছি তার কলটা পাওয়ার পর থেকে। ” বেশ দ্রুত বলে দম ছাড়ল লিখন।

“আসবে আসুক, এতে এত ভয়ের কি আছে? লাবন্যের খালুজি ওদের দেখতে ওদের বাসায় আসতে পারেন না? তুমি অযথাই এত অস্থির হচ্ছো।”

“আম্মা বিষয়টা এত সহজ না। এমনি এমনি আসলে আর আমাকে বাসায় থাকতে বলতেন না। আর তিনি তো বললেনই বিশেষ কিছু কথা বলতে আসবেন।”

“আসুক, আসলেই জানা যাবে। শুধু শুধু ভয় পেয়ো না।”

“আম্মা, আমার লাবু যে হিমেলকে….. আম্মা এই রিলেশনটা আপা বা তার মেয়েরা কেউ পছন্দ করে না। আগে পরে রেশমা প্রায় খুব কান্নাকাটি করতো মেয়েটার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। অল্প বয়সের ভালো লাগা, এই সময়তই মন ভেঙে গেলে সামলাতে পারবে কি?”

“পারবে, তোমার বিয়ের পর নিজেকে সামলিয়েছে না? হিমেলের সাথেও যদি ওর বিয়ে না হয় তবুও ও নিজেকে সামলে নিবে। লাবু ভেঙে যাওয়ার মতো কোনো মেয়ে না।”

“না আম্মা ওকে বাহির থেকে যতটা শক্ত মনে হয় ও আসলে ততটা শক্ত না। ওর মনটা খুব নরম। ছোটবেলায় ওর পছন্দের কোনো জিনিস নষ্ট হলে খুব কাদঁতো। এটাতো খেলনা না ওর জীবন, ওর ভালোবাসা, ওর ভালোলাগা, ওর স্বপ্ন। এটা নষ্ট হলে ও সহ্য করতে পারবে না। ও সত্যি সত্যিই ভেঙে পরবে।”
“তো কি করতে চাও?”
“নাজমুল ভাইকে আর আপাকে যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন…”

“মন থেকে যে সম্পর্কের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা, মায়া, স্নেহ না আসে, তাকে তুমি জোর করে ধরে বেঁধে দিলে সেটা টিকবে কি? আর তোমার মেয়েও এমন রিলেশনে যেতে চাইবে কি?”

“আম্মা আমি কিচ্ছু জানি না, আমি শুধু আমার মেয়েটার সুখ চাই। তার জন্য বলেন আমাকে কি করতে হবে। আমি তাই করব। আমার মাথায় কোনো বুদ্ধি কাজ করছে না। নিজেকে বড় হেল্পলেস লাগছে।”

“অপেক্ষা করো, আল্লাহকে ডাকো। দেখো তিনি লাবুর ভাগ্যে কি রেখেছেন।”

“আম্মা লাবু আমার আর রেশমার বড় সাধনার। এতটুকু কষ্টও পেতে দেইনি…..”

“সব বাবা মা’ই তাই করে, নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে সন্তানের জন্য করে। তুমি তার বাহিরে কিছু করোনি।”

“হয়তোবা তাই ঠিক , কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আমার উপর আমার সাথে রেশমার ভাবনাটাও যোগ হয়েছে। তাই হয়তো একটু বেশিই ভয় পাচ্ছি।”

“এত ভয় ভয় করো না। শুক্রবারের জন্য প্রিপারেশন নাও। ”
“আম্মা আমি আগামীকাল কিছু বাজার করে আনবো আপনি….”
“হুমম তাই কর, বাকিটা আমি দেখছি।” কথাটা শেষ করে নানি উঠে চলে গেলেন নিজের রুমে।

লিখনও উঠে ওর রুমে আসল। আলমারিটার যে পাশটা রেশমার, সেই কপাটটা ধরে দাঁড়িয়ে রইল কিছুক্ষণ। এপাশটায় অনেক সুখ দুঃখের স্মৃতি জমা আছে যা অনেকদিন ধরেই মনের মধ্যে নাড়া দিয়ে জাগিয়ে তুলছে কিন্তু সেই স্মৃতি স্পর্শ করে অনুভব করার ক্ষমতা হারিয়েছে এখন। কেন জানি হঠাৎ করেই চোখ ভিজে উঠল। মনে হল লাবন্যকে ডেকে চাবিটা চাইতে। পরে আবার মনকে থামিয়ে দিল, নিজের ইচ্ছেটাকে মাটিচাপা দিল।। সামনের দিনগুলোতে কি হয় তা এখনও অজানা এর মধ্যে লাবুকে রাগানো উচিৎ হবে না এমনটাই ভাবল। ঘরটার চারপাশ ঘুরে ঘুরে তাকালো আর একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। এই ঘরটার কোনায় কোনায় রেশমা মিশে ছিলো। প্রতিদিন ওর জন্য সেজেগুজে পরিপাটি হয়ে অপেক্ষা করতো রেশমা। সারাদিনের ধকল এক নিমিষেই শেষ হয়ে যেত রুমটায় ঢুকলেই। রেশমার মিষ্টি হাসিটা চোখে ভেসে উঠল। এতটা অস্থিরতা এর আগে আর অনুভব করে নাই লিখন। কেন যে এমন লাগছে তাই বুঝতে পারছে না। একটা সময় বিছানায় বসে দুই হাতের আজলে মুখটা ডেকে ডুকরে কেঁদে উঠল। বন্ধ দরজার ভেতর লিখন কাঁদছে, কেন কাঁদছে আজ তা ও নিজেও বুঝতে পারছে না।

“আজকে লিখন এখনও এ বাসায় আছে? কি হল ওর? ওই বাসায় কি আবার কোন সমস্যা হলো কি না? লাবন্যের নানি এশার নামাজ পড়ে ড্রয়িং রুমে এসে বসল লাবন্যের পাশে।

“হলে হলো তাতে আমাদের কি? ওসব নিয়ে অযথা তুমি ভাবছো কেন?” টিভি ওয়াচ করতে করতে লাবন্য উত্তর দিল।

“সবকিছু কড়ায়গণ্ডায় হিসাব করে চলে? না চাইলেও অনেক কিছু ভাবতে হয়।

“আমি ভাবি না। যে আমার জন্য ভাবে না তার জন্য আমি ভাবি না। যে আমার জন্য এক চিমটি আগায় আমি তার জন্য দুই হাত এগিয়ে যাই..”

“ইচ্ছে করছে তোর গালে একটা চড় বসাই খুব জোরে। রেশমা তোকে আসলেই মানুষ করতে পারেনি, বেশি লাই দিয়ে ফেলছে। কোনো কথা বলার আগে যে দুইবার চিন্তা করতে হয় তা কি জানিস? তোর বাপ তোর কথা ভাবে না তো কার কথা ভাবে? আজও বলল তোর সুখের জন্য ওর যা করতে হবে ও তাই করবে।”

“যদি ভাববেই তবে আম্মু মরতেই আমার সাপোর্ট হয়ে না দাঁড়িয়ে হুট করেই একটা বিয়ে করে আরও দূরে সরে গেলো কেন? ”

“ওর মাথায় তখন যা ভালো ঠেকছে তাই করছে। তোর বাপ একজন মানুষ, আর মানুষই ভুল করে। নিজের বাপ বলে যে তাকে তুই ফেরেশতা ভাববি তাতো তোর ভুল তোর বাপের না। ”

“তুমি সবসময়ই আব্বুর সাইড নাও কেন?”

“আমি কারো সাইড নেই না। যা সত্য তাই বলি। সেই সময়টাতে বিয়েটা করেছে বলেই হয়তো এখন ও তোদেরকে ভালো মতো সময় দিতে পারছে। ওর মায়ের জন্য আলাদা কোনো টেনশন কাজ করছে না। তোরা ছাড়াও ওর নিজের একটা জীবন আছে তা ভুললে চলবে কেন? তোরাই ওর সব জীবনটা তো আসলে তা না। প্রতিটা মানুষের আলাদা একটা ভূবণ থাকে যা তার একেবারে নিজস্ব। তুই শুধু নিজের স্বার্থই দেখছিস, তোর বাপেরটা একবার দেখ তাহলে আর কষ্ট থাকবে না।”

“এখন আর কষ্ট লাগে না। এখন কোনো কষ্ট নাই শুধু রুশকে নিয়ে একটু টেনশন হয়। ওর কী হবে? ও কি করবে ভবিষ্যতে? ওর পড়াশোনা সবকিছু নিয়েই খুব টেনশন হয়।”

“তুই টেনশন করলেই কি সব এমনি এমনি হয়ে যাবে? যাবে না। এগুলো আল্লাহর উপর ছেড়ে দে। তিনি যা ভালো মনে করেন তাই করবেন। অযথা বেশি ভাবিস না। বর্তমানকে সুন্দর করতে চেষ্টা কর। আল্লাহর উপরে পুরোপুরি ভরসা রাখ তিনি উত্তম অভিভাবক। যা করবেন তা ভালোই করবেন।”

“তুমিও খুব টেনশনে আছো, ঘটনা কি বলোতো?”
“মানে?”
“টেনশনে আছো কেন তাই বলো।”

“শুক্রবার রেহেনারা আসবে, কি বলবে তাই নিয়ে টেনশন করছে তোর বাপ।আমি টেনশন করছি না।”

“এতে টেনশনের কি আছে? আসবে হয়তো তোমাকে দেখতে।”
“না, লিখনকে বলছে বাসায় থাকতে। আমাকে দেখতে আসলে ওকে থাকতে বলতো না। ও ভাবছে ওরা আসবে তোর আর হিমুর বিষয়ে কথা বলতে। ”

“ইন্না-লিল্লাহ, তাই নাকি? বিয়ে সংক্রান্ত কথা? আমি আগেই বলে রাখছি আমি কিন্তু এখনই বিয়ে করব না। রুশকে মাঝপথে রেখে আমি বিয়ে করতে পারব না।”

“কি আশ্চর্য, তুই এত বেশি বেশি ভাবছিস কেন? তোরা না এক এক জন যা বোঝার তার চেয়ে দশ লাইন বেশি বুঝিস।” কথাটা শেষ করেই নানি উঠে নিজের রুমে চলে গেলেন।

রুমে এসেও স্বস্তি পেলেন না লাবন্যের নানি। তার মনে খচরখচর করতে লাগল নানান প্রশ্ন। লাবন্য আগে পিছে কিছু চিন্তা না করে ওদের আসাটাকে সরাসরি বিয়ে পর্যন্ত চিন্তা করে ফেলছে। এদিকে যদি রেহেনা বেগম তার মেয়ের কথায় হিমুর অন্য কোথাও বিয়ের কথা বলতে আসে তবে লাবুর মনের অবস্থা কি হবে তাতো সত্যি সত্যিই বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে । রেশমাও নেই যে ও ওর মেয়েকে সুন্দর মতো সামলে নেবে। সবটাইতো এখন তার দায়িত্ব। ঠিকমতো পারবেনতো সামলাতে? একবার ভাবলেন একটা কল দিয়ে রেহেনার সাথে কথা বলতে, কি বিষয়ে কথা বলতে আসতে চেয়েছে নাজমুল। আবার মতের পরিবর্তন করলেন। কারন এতে হিতে বিপরীতও হতে পারে। রেহেনা তার কলটাকে ইতিবাচকভাবে নাও নিতে পারে। হিমুকে কিছু জানাতে মন চাইলো না, ছেলেটা একা একা পুরো পরিবারের সাথে লড়ছে বন্যকে আপন করে নিতে। এখন ওর মায়ের সাথে নরম ব্যবহারটাই দরকার ওর, কোনো উলটা পালটা হলে আবার মায়ের সাথে রাগারাগি করবে তাতে রেহেনার শরীরটাই খারাপ হবে। এসব আবোল তাবোল ভেবে ভেবে অস্থির হয়ে উঠলেন তিনি।

রাতে হিমেল কল দিতেই লাবন্য রিসিভ করল
“হ্যালো”
“হুমম, মনে হল কলের অপেক্ষায় ছিলি?”
“ততো সবসময়ই থাকি। আগে কল বেশি দিতে এখন দেওতো সময় মেপে মেপে। চাকরির অযুহাত দিয়ে পালিয়ে বেড়াও।”
“হুমম, পরকীয়া করি।”
“মানে? পরকীয়া কাকে বলে তা জানো?”
“হুমম জানি। তোর চেয়ে ভালোই জানি।”
“বাদ দাও, তোমার সাথে তর্ক করে গাধায়, আমি না। আসল কথা বলি, খালুজি নাকি বাসায় আসবেন আব্বুকে থাকতে বলেছেন সেদিন।”
“হুমম, আমাকেও বলেছে।”
“আমি কিন্তু আগেই বলে রাখছি আমি এখন বিয়ে টিয়ে করব না।”
“মানে কি?”
“আশ্চর্য! তুমি জানো না আম্মু যে রুশের দায়িত্ব আমাকে দিয়ে গেছে? ওকে এমন একা রেখে আমি বিয়ে করি কীভাবে? আমি স্বার্থপর, তাই বলে এতটা না। ”
“শোন তুই মোটেও স্বার্থপর না, রুশ তোর ভাই যেমন তেমন আমারও ভাই। রুশ কখনও একা না। মন থেকে এমন চিন্তা ঝেড়ে ফেল। ওর সাথে সবসময়ই তুই আর আমি ছিলাম আছি আর থাকব।”

“তুমি বাসায় বলবে এখন বিয়ের কথা যেনো কেউ না বলে। সময় লাগবে আরও। ”

“তোর নয়তো বিয়েটা এখন লাগবে না, কিন্তু আমার যে বৌটা এখন লাগবে। বলতো এখন কি করি?”

“এটা আবার কেমন কথা হলো? তোমার আবার এখনই বৌ লাগবে কেন? প্রতিরাতে চুটিয়ে প্রেম করছো তাতে মন ভরে না? এত বৌ বৌ করছো কেন? লক্ষ্মণতো সুবিধার না তোমার।”

“আম্মু অসুস্থ তাই আর ডাকি না। সকালে অফিসের জন্য প্রতিদিন লেট হয়। আব্বুর ইনসুলিন নাস্তা সব গুছিয়ে বের হতে হতে লেট হয়ে যায়। আর নিজের কথাটা না হয় আর নাই বললাম।”

“তোমরা পুরুষরা সব এক। নিজের সুবিধার জন্য বিয়েটা কর। এখন তোমার বাসায় দরকার তাই বৌ দরকার। এটা কেমন কথা? তোমারতো আসলে একটা বৌ না বাসার প্রয়োজনে একজন কেয়ারটেকার দরকার।”

“এইতো এতক্ষণে খেপছে পাগল। এতক্ষণ কেমন ন্যাকা ন্যাকা হয়ে কথা বলছিলি তাই জায়গা মতো খোঁচা দিলাম। এখন আসল চেহারায় ফিরছিস।”

“মানে কি?”
“তোর জন্য একটা শাড়ি অর্ডার করেছি। শুক্রবার পরিস। ফুলের মালা দিবো নাকি ফুল?”
“শাড়ি পরব না, কেমন বৌ বৌ লাগবে।”

“তাহলে কি পরবি জিন্স কুর্তা? আম্মুকে আবার রাগাতে চাস? এমনি আম্মু বলে তোর মধ্যে মেয়েলি ভাব কম।”

“আমি যেমন তেমনটাইতো পাবা। খালামনিকে খুশি করতে মিথ্যামিথ্যি সাজবো? আমাকে দিয়ে তা হবে না। আমি ভন্ড না।”

“আচ্ছা যা তুই তোর মতোই থাক। লাগবে না তোর কিছু করতে। শুধু মাথাটাই ঠান্ডা রাখিস। বাকিটা আল্লাহর উপর ছেড়ে দিলাম।”

“হোমা আপুর কোনো মন্ত্র না নিলেই হবে, দেখো খালামনি আমার আমিতেই খুশি থাকবে।”

“আম্মু এখন কারো কোনো কথা শুনে না। ”

“তুমি কি পরে আসবে?”
“আমি আসবো না।”
“ধুর, তাহলে আর সাজবোই না। ”
“কেন সাজবি না। তুই না শুধু তোর জন্য সাজিস? তুইতো কখনও আমার জন্য সাজিস না তাই না?”

“হুমম, আমি সব সময়ই আমার জন্য সাজি, তবে মাঝে মধ্যে কেউ একজন ভালোবাসার দৃষ্টি দিয়ে আমার সাজ দেখে আর বেহায়ার মতো করে হাসে তা দেখতে আমারও ভালো লাগে। মনে হয় তার জন্য রোজ রোজ সাজি।”

“সত্যি সত্যিই সাজবি? রোজ রোজ? খালামনির মতো করে? কেউ একজন আমার জন্য তার মনের ভালোবাসার মাধুরি মিশিয়ে সেজেগুজে বসে অপেক্ষা করবে আর আমি সেই টানে ছুটির আগেই ছুটতে শুরু করব বাসার দিকে। ইশশশ কবে যে সে দিন আসবে? কবে যে সেই স্বপ্ন আমার পূর্ণ হবে? ”

“শুরু হলো তোমার স্বপ্ন দেখা।”
“এই স্বপ্নগুলো হল অক্সিজেনের মতো। জীবন বাঁচায়। স্বপ্ন শেষ, জীবনও শেষ। ”
“ইন্না-লিল্লাহ, কি কঠিন কথা। এই তুমি এমন সব কথা বলো নাতো ভালো লাগে না। দেখো তুমি দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টাই স্বপ্ন দেখো বেশি বেশি স্বপ্ন দেখো, তবুও বেঁচে থাকো। আমার সব ভালোবাসাই যদি একে একে মরে যায় তবে আমি বাঁচবো কেমন করে?” কথাটা বলেই লাবন্য কেঁদে ফেলল।

“কাঁদিস নাতো বোকা, আমিতো এমনি এমনি বললাম। আরে বোকা একটা মেয়ে, কথা না বুঝেই কাঁদে। এত তাড়াতাড়ি কে মরতে চায়? তোকে নিয়ে অনেক দূর পাড়ি দেওয়ার বড় স্বাদ যে মনে পুষে আছি।” বলে হা হা হা করে হাসগে লাগল

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here