মোহঘোর”পর্বঃ১৮

0
496

#মোহঘোর
#পর্বঃ১৮
লেখনীতেঃতাজরিয়ান খান তানভি

তমসার চাঁদোয়া ফুড়ে নেমেছে স্বচ্ছ, শীতল জলের ফোয়ারা। নভোলোকের আস্ত চাঁদ কেঁপে যাচ্ছে বাদলের কম্পনে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে আচ্ছন্ন ধরণী। নৃত্যের তালে তালে মৃদু প্রভঞ্জনের আবেশিত ঝংকার। বৃষ্টি মাথায় করে ফিরেছে ইনজাদ। শহরের পিচ ঢালা রাস্তায় ঢল নেমেছে। বৃষ্টির তেজ কমে এলেও বেড়েছে হাওয়ার দাপট। শরীরের চামড়া ভেদ করে অস্থিমজ্জায় কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে। ভিজে জবুথবু ইনজাদ কলিং বেল চাপতেই দরজা খুলল রেহাংশী। চক্ষু জোড়া উন্মেষিত করে চাইতেই দেখল ইনজাদের চুল বেয়ে ঝরছে পানি। কাপড় লেপ্টে আছে গায়ের সাথে। ভ্রূযুগল সিক্ত। রেহাংশী চোখের পাতা নামাল। সরে দাঁড়াল নিজ গরজেই। ইনজাদ ভেতরে ঢুকল। সরাসরি তাকাতেই দেখল মেহমাদ দাঁড়িয়ে আছে নিজ কক্ষের চৌকাঠে। ইনজাদ চোখের ইশারায় বোঝাল সে তাকে দেখতে পেয়েছে। নিজ কক্ষে ঢুকল ইনজাদ। জামা ছাড়ল গা থেকে। তোয়ালে নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকল। বের হতেই দেখল রেহাংশী কক্ষে নেই। তার একটা পাতলা টিশার্ট আর ট্রাউজার বিছানার ওপর রাখা। ইনজাদ মৃদু হাসল। কাপড় পরে নিয়ে টেবিলে তাকাতেই দেখল বাটি ভর্তি নাড়ু রাখা। নরম পায়ে টেবিলের কাছে হেঁটে গেল। একটা নাড়ু নিয়ে মুখে দিতেই বুঝল মেহমাদের মায়ের হাতের নাড়ু। কক্ষ থেকে বের হলো ইনজাদ। অবিন্যস্ত কুন্তল কপাল জুড়ে খেলছে। রান্নাঘরের পাশে ছোট্ট টেবিল রাখা। রেহাংশী খাবার বেড়ে রেখেছে। ইনজাদ বিষণ্ণ মনে ভাবল,” মেয়েটা আজও কথা বলবে না?”

ছোট্ট টেবিলটার ওপর থেকে খাবারের প্লেট হাতে নিতেই দেখল রেহাংশীর বেরিয়ে আসছে রান্নাঘর থেকে। গলা বাড়িয়ে ব্যস্ত গলায় বলে উঠে ইনজাদ—

“তুমি খেয়েছ?”

রেহাংশী কথা বলল না। থমথমে মুখে নিজ কক্ষের দিকে হাঁটা দিলো। ক্লান্ত শ্বাস ফেলল ইনজাদ। বুকের ভেতর এক তীক্ষ্ম দীর্ঘশ্বাস। গলা ফেড়ে বেরিয়ে আসছে তা। পা বাড়ায় মেহমাদের কক্ষের দিকে। মেহমাদ ল্যাপটপে কিছু করছিল। ইনজাদকে দেখেই প্রসন্ন হাসল। ইনজাদ খাবারের প্লেট এগিয়ে দিলো মেহমাদের দিকে। মেহমাদ আগ্রহের সাথে তা হাতে নিল। টুল টেনে বসল ইনজাদ। তালুর ওপর প্লেট রেখেই ঘাড় বাঁকিয়ে প্রশ্ন করল—

“কখন এসেছিস?”

ভুনা খিচুড়ির সাথে ইলিশ মাছ ভাজা। সাথে বেগুন ভাজা। মেহমাদ দেরি করল না। হাত ধুয়ে খাবার মুখে দিলো। থমকে গেল ইনজাদের প্রশ্নে। ভেবেছিল রেহাংশী এতক্ষণে জানিয়ে দিয়েছে তাকে। কিন্তু আশ্চর্য হলো সে। মেহমাদ মুখের খাবার গিলে বলল—

“সন্ধ্যায়।”

“ও।”

“আমার আম্মাকে নোবেল দেওয়া উচিত বুঝলি। কী নাটকটাই না করল! ”

ইনজাদ ক্লান্ত হাসল। তার অধর প্রশস্ত হলো না। মেহমাদ খাচ্ছে আর বলে যাচ্ছে—

“আম্মা ভাবল কী করে আমি তার বোনের মেয়েকে বিয়ে করব! ”

ভাবাবেশ ছাড়াই উদাস গলায় বলল ইনজাদ—

“বিয়ে করে নিতে। বয়স তো হয়েছে তোর।”

কণ্ঠ ভার করল মেহমাদ। বলল—

“পাগল হয়েছিস! ওই মেয়ের বয়স মাত্র পনেরো বছর! আর তিয়া! তিয়া জানলে খুন করে ফেলবে আমাকে।”

জোরপূর্বক হাসল না ইনজাদ। তার বিষন্ন ঠোঁটে সত্যিই হাসি ফুটল। মৃদু গলায় বলল—

“চাচিকে তিয়ার কথা বলেছিস?”

“বলেছি।”

“কী বলল?”

“আর কী! মানতে চায় না। বলে, শহরের মেয়ে গ্রামে এসে থাকতে পারবে না। তবে আমিও সাফ বলে দিয়েছি। বিয়ে আমি ওকেই করব।”

ইনজাদ ভাবনার ঘোরে ডুবে গেল। স্টুডেন্ট লাইফে বন্ধু-বান্ধব, ঘোরা-ফেরা ছাড়া আর কিছুতে তার মন ছিল না। মেয়ে বন্ধু যে ছিল না তা নয়। তবে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি কখনো। ভালো তো বেসেছে। তবে তার বিষবাণকেই। এক অব্যক্ত প্রণয়ের পরিণয় তাদের। তবুও ইনজাদ তুষ্ট, প্রসন্ন, তৃপ্ত। মেয়েটা তাকে এমনভাবে নেশায় ফেলেছে যে এখন এক মুহূর্ত দূর হতেই এক ভয়ংকর বলয় তাকে আবৃত করে নেয়। মনে হয় এই যেন সব শেষ! ভালোবেসেছে সে। নিবিড়ভাবে বিদ্ধ হয়েছে তার বিষবাণের বিষে। এখন সেই বিষের একমাত্র প্রতিষেধকও সে। তার ভালোবাসা, প্রেমাত্মক চাহনি, শ্বাসের উষ্ণতা, অধরের গহন পরশ, মাখো মাখো প্রণয়ে কেটে যাওয়া বিনিদ্র রজনী। দুঃসপ্ন হয়ে গেল কেন সব?

মেহমাদের ধাক্কায় ঘোর কাটে ইনজাদের। খাবারের প্লেট হাতে নিয়ে নিস্তব্ধ বসে আছে। প্লেট খালি হলো মেহমাদের। ডাসা ডাসা চোখে চেয়ে বলল—

“কী হয়েছে তোর? খাচ্ছিস না যে? ভাবীর হাতের রান্না তো দারুণ!”

ইনজাদ কী যেন ভাবল। বলল—

“তোর জন্য আরও নিয়ে আসব?”

” আরে না। পেট ভরে গেছে আমার। তোরটা খা।”

ইনজাদের ইচ্ছে হলো না। খাবার প্লেটের দিকে আস্ত চোখে চেয়ে রইল। পানি জমে গেল জলপুকুরে। মেয়েটা এত নির্দয় কেন? একটুও বোঝে না তাকে। উদাসমনে এক লোকমা খিচুড়ি মুখে দিতেই গলা দিয়ে উগরে আসলো সব। ইনজাদ বেখেয়ালিতে প্লেট রাখে বিছানার ওপর। মেহমাদের কক্ষেও আলাদা ওয়াশরুম। ওয়াশরুম থেকে বের হতেই মেহমাদ ভীতসন্ত্রস্ত গলায় বলল—

“তুই ঠিক আছিস তো? এমন কেন করছিস?”

ইনজাদ বিছানায় বসল। লম্বা লম্বা শ্বাস নিতে লাগল। বুকের ওপর ভারী কিছু অনুভূত হলো তার। ধীরে ধীরে লম্বা শ্বাস নিচ্ছে ইনজাদ। মেহমাদ ভয়ার্ত, চিন্তিত, ঘোরগ্রস্ত চোখে চেয়ে আছে। তার চোখের পল্লবে কৌতূহলের হুটোপুটি চলছে। ইনজাদ চোখ বন্ধ করল। ঢোক গিলল। এক প্রেমিক পুরুষের হৃদয় জ্বলছে প্রেমানলে। জ্বলন্ত কুন্ডলির রক্তিম তেজ ঝলসে দিচ্ছে সব। ইনজাদ চোখ খুলল। অধৈর্য হয়ে তার পাশে বসল মেহমাদ। তেজহীন গলায় ভয় নিয়ে বলল—

“এই তোর কী হয়েছে রে? এমন করছিস কেন? ডাক্তারের কাছে যাবি?”

দৈবাৎ ফকফক করে হেসে ফেলল ইনজাদ। ভাবান্তর হলো না তার। নির্বাক, ক্লান্ত, নিষ্প্রাণ চোখে বেশ সময় ধরে চেয়ে রইল সে। চট করে বলল—

“বস, আমি আসছি।”

ইনজাদ উঠে দাঁড়াল। বাড়ন্ত পায়ে প্রাণোচ্ছাস নেই। নিজের কক্ষে আসতেই দেখল জানালার পাশে বসে আছে রেহাংশী। জানালার গ্রিলে মাথা ঠেকিয়ে রেখেছে। তার পিঠ জুড়ে কালো ঘন চুলেরা দোল খেলছে। ইনজাদ বিভ্রান্ত হলো। মায়াময় চোখে চেয়ে রইল। মুগ্ধতা আকুলিবিকুলি শুরু করল চোখের পাতায়। রেহাংশী ফিরে তাকাল। তার আচমকা দেহভঙ্গিমা বদলানোর ফলে দৃশ্যমান হলো অসংবৃত উদর। ইনজাদ চাহনি গাঢ় করল। রেহাংশী অপ্রস্তুত হলো। নিজেকে আবৃত করে গুটিসুটি মেরে বসল। ইনজাদ বিবশ দৃষ্টিতে চেয়ে রইল। বাইরের শীতল মলয় ছুঁয়ে যাচ্ছে রেহাংশীর থমথমে আনন। নতমুখে চেয়ে আছে সে নিজের গুটানো হাতের দিকে। বায়ুর দোলে উড়ছে রেহাংশীর ক্ষুদ্র কেশ। অভিমানিনী কন্যার স্নিগ্ধ রূপে কাতর পুরুষ। চোখের পল্লবে মুগ্ধতা, নাকের ডগায় আসক্তি, ঠোঁটের ছোঁয়ায় নেশা। ইনজাদের পুরুষালী মন তপ্ত হচ্ছে। বাদলের ধারায় সিক্ত ধরণী হিমশীতল। কিন্তু দন্ডায়মান পুরুষের অন্তঃকরণ তীব্র তৃষ্ণায় তৃষ্ণার্ত, মরুভূমির মতো শুষ্ক, বজ্রের মতো দৃঢ়, উন্মাদের মতো বেপরোয়া, ফুলে ওঠা সায়রের মতো প্রমত্তা। ইনজাদ গহন, স্থির, নিষ্কম্প শ্বাস ফেলল। পা বাড়াল। তার বাড়ন্ত পদযুগলে নিজেকে গুটিয়ে নিল রেহাংশী। ইনজাদ থমকে গেল। প্রেয়সীর ভয়াতুর অঙ্গভঙ্গি ব্যথাতুর করল ইনজাদের চিত্ত। চিত্তদাহে হতপ্রায় পুরুষ! প্রাণময়ীর নীরব অনুরক্তি শূলের মতো বিঁধলো ইনজাদের বলিষ্ঠ কায়ার কোণে কোণে। সে চোখ ফেরাল। অভুক্তের তৃষ্ণা হারিণী মেটাতে চায় না। বুক ফুড়ে বেরিয়ে আসলো প্রস্ফুটিত বিতৃষ্ণা। টেবিলের দিকে অগ্রসর হলো ইনজাদ। ড্রয়ার হাতড়ালো। কাঙ্খিত জিনিস পেল না। তটস্থ হলো। ভ্রূ কুঁচকে আঁখি চঞ্চল করল। ইনজাদ স্থির হলো। বাম হাতের তর্জনী দিয়ে কপাল চুলকাল। মসৃণ চোয়ালের পেশি দৃঢ় হলো। অশান্ত হলো মন। চোখের কোণ ক্ষীণ করে ভাবনায় পড়ল। কিঞ্চিৎ শিয়র বাঁকিয়ে জনান্তিকে তাকাল রেহাংশী। চিবুকের গাথুনি একটু উঁচু করে ইনজাদকে দেখল। স্বামীর চিন্তিত চোখে সংঘর্ষ হতেই নিচু করল চাহনি। ইনজাদ হতভম্ব। সিগারেটের প্যাকেট ড্রয়ারেই ছিল। মেয়েটা ফেলে দিলো না কি?

ইনজাদকে বিস্ময়ের সাত আসমান ছোঁয়াল রেহাংশী। বাচ্চাদের মতো হাপুড় দিয়ে ঝর্ণার অবিশ্রান্ত ধারার ন্যায় বিছানায় এপাশটায় এসে ইনজাদের মাথার বালিশ আলগা করে। তার নিচেই সিগারেটের প্যাকেট। চট করে নিয়েই টেবিলে ধম করে রাখে। নিজের জায়গায় গিয়ে এক কাত হয়ে শুয়ে পড়ে। পুরো ঘটনায় চমকিত ইনজাদ। ভাসা ভাসা বদ্ধ দৃষ্টি নিমীলিত করে ছোট্ট শ্বাস ফেলল। চোখ খুলে সিগারেটের প্যাকেট হাতে নিয়ে আগ্রহের সাথে চেয়ে রইল রেহাংশীর পৃষ্ঠদেশের বাঁকে। অনাবৃত কোমর, আলুথালু চিকুরের মায়াজাল, উজ্জ্বল ফর্সা ত্বকে নারীর কমণীয় রূপ আছড়ে পড়ছে। ইনজাদ প্রতিক্রিয়া করল না। সে বের হয়ে আসতেই সোজা হলো রেহাংশী। সিক্ত চোখচ্ছেদের মায়াময়, কম্পিত চাহনি।
,
,
,
গাঢ়, অনিমেষ চাহনি মেহমাদের। একের পর এক সিগারেটের ফিল্টার জ্বালিয়ে যাচ্ছে ইনজাদ। দেয়ালের সাথে পিঠ ঠেকিয়ে পা দুটো সামনের দিকে টানটান করে রেখেছে মেহমাদ। পায়ের ওপর থেকে ল্যাপটপ সরিয়ে রেখে সামনে এগিয়ে এলো। বিছানার সাথে পা রাখল। মেঝে ছোঁয়া পায়ে চপলতা। ইনজাদের কাঁধে হাত রাখল মেহমাদ। ভরাট চোখে চেয়ে অধীর গলায় বলল—

“কী হয়েছে তোর? ভ্যাদা মাছের মতো আচরণ করছিস কেন?”

শুভ্র ধোঁয়ার পাক চোখ জ্বালাচ্ছে না ইনজাদের। চোখের জলে সিক্ত চোখ জ্বলছে অন্তরাত্মার দহনে। ইনজাদ প্রত্যুত্তর করল না। সিগারেটে টান লাগাল। ঝট করেই সেইটা টেনে নিল মেহমাদ। ঠোঁটের ভাঁজে পুরে দিলো এক লম্বা টান। তৃপ্তির সাথে ধোঁয়া নিঃসৃত করে। রসালো গলায় বলল—

“আমার ঘর কে কী সরকারি উদ্যান পেয়েছিস? নিজের ঘরে যা। বউ রেখে এখানে বসে আছিস কেন? ”

ইনজাদ কম্পনহীন চোখে তাকাল। বিদুর চোখের ছায়া নজর কারলো মেহমাদের। মেহমাদ অস্থির হলো। উৎসুক্য গলায় বলল—

“এখন বলবি না যে বউয়ের সাথে ঝগড়া করেছিস!”

বিষিয়ে উঠল ইনজাদের মনের কোণ। উচাটন শ্বাস ফেলে চিবিয়ে চিবিয়ে বলল—

“কী করব আমি বল! কথাই বলছে না আমার সাথে। তাকাচ্ছে না পর্যন্ত।”

উদ্বিগ্ন হলো মেহমাদ। সচল চোখে চেয়ে উদগ্রীব হয়ে বলল—

“ঘটনা কী ঘটিয়েছিস তুই? নিশ্চয়ই ঝামেলা বাঁধিয়েছিস?”

ইনজাদ ভার কণ্ঠে সবটা খুলে বলল। প্রগাঢ় মনোযোগে বৃত্তান্ত শুনল মেহমাদ। কাষ্ঠ গলায় বলল—

“এইটা কোনো কথা হলো?”

“আম কী করব বল তো? সহ্য হচ্ছে না আমার আর। সারাদিন কাজ শেষে ওর ওই মুখের হাসি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে আমার। চাঁদ এখন অমাবস্যায় হারিয়ে গেছে আমার।”

ইনজাদের কাঁধের দিকটা শক্ত করে ধরে মেহমাদ। সান্ত্বনা দিয়ে বলল—

“এইটা কোনো সমাধান নয়। স্বামী- স্ত্রীর মধ্যে কথা কাটাকাটি হবেই। তাই বলে কথা বলা বন্ধ করে দেবে না কি? আর তুই এমন হাঁদারাম হলি কবে থেকে? রাগের মাথায় তো পরীক্ষার হলে খাতা পর্যন্ত ছুড়
এ ফেলে দিয়েছিলি। গেল কই সেই তেজ?”

ইনজাদ মাথা তুলল। নরম দৃষ্টিতে অথৈ জল। অনুরক্তির সাথে বলল—

“ওর সাথে জোর করতে পারব না আমি। ওর দিকে তাকালেই….।”

“ঘরে যা, কথা বল। কথা বললেই সব সমাধান হবে। এভাবে থাকলে কোনো কিছুই শোধরাবে না।”

ইনজাদ ভাবিত নয়নে চেয়ে রইল । কী করবে সে?

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here