রৌদ্রমাখা বর্ষা পর্ব-২

0
684

#রৌদ্রমাখা বর্ষা
আলহীনা ইনাম [ছদ্মনাম]

০২,,

বিয়ের পরের কয়েকটাদিন, সকাল থেকে রাত, আফাফকে প্রতিটা মূহুর্ত যেন বুঝিয়ে দিচ্ছিলো, ও আসলে একটা ভুল। মস্ত বড়ো ভুল। না নিদ্র ওকে মেনে নেবে আর না ও প্রত্যাশা করে এবাড়ির বউ হওয়ার। আফাফের রঙিন স্বপনগুলো ধূসর হতে শুরু করলো। ধূসর থেকে একদম কুচকুচে কালো। আফাফ অনুভব করতে পারে, সে আসলে অসহায়। তার মা আর ভাইয়েরাও তার সাথে নেই। তার আসলে কোনো ক্ষমতা নেই এই পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার। আসলে ক্ষমতা নেই, তা নয়। সাথে উপায়ও আছে। কিন্তু ও তাগিদ অনুভব করে না। এর উপর মায়ের, ভাইয়ের একের পর এক আবদার! সেগুলো তো পূরণ হচ্ছে।

নিদ্র প্রথম থেকেই আফাফকে ডিভোর্স দিতে চাইতো। কিন্তু নিয়াজ শিকদারের কারণে পারেনি। আফাফকে কয়েকবার বলেছিলো যাতে আফাফ ওকে ডিভোর্স দেয়। তাও না বলার মতো করেই বলেছে। গম্ভীর গলায় দ্বায় ছাড়াভাবে কথা বলেছে। আফাফের উত্তর শোনারও হয়তো তার ইচ্ছা ছিলো না। সে হয়তো জানতোই দাদু থাকতে আফাফ ওর ঘাড় থেকে নামবে না। আফাফ পরিস্থিতি আর নিজের সুপ্ত ইচ্ছার কারণেই ওর কথার গুরুত্ব দেয়নি। নিদ্র বরাবরই ব্যস্ত থাকতো, ফলে ওর আর আফাফের ভিতরকার দূরত্বটাও কমই চোখে পড়তো। নিদ্র প্রায়ই বিদেশে যাতায়াত করে। তাছাড়া ও পড়াশোনা করেছেও ওখান থেকে। এর সুবাদেই, সেখানকারই প্রবাসী বাঙালি কন্যা, আনাবিয়ার সাথে নিদ্রের পরিচয় আর এরপরই সম্পর্ক গভীরে যায়। কিন্তু সেটাও নিয়াজ শিকদারের কারণে প্রকাশ্যে আসেনি।

আফাফের বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই আঞ্জুম আফাফের কাছে টাকা চাইতে শুরু করে। আফাফ প্রথমে দাদুর কাছে থেকে নিতো। এরপর যখন আঞ্জুমের টাকার আঙ্ক বড় হতে থাকলো (রাক্ষুসে থাবা বসাতে চলেছে সে), আফাফ মানা করতো। কিন্তু আঞ্জুমের কান্নাকাটি আর অসহায়ত্বের কথা শুনে আফাফ সিদ্ধান্ত নেয় নিদ্রকে বলবে। দাদুর কাছে থেকে কতো নেওয়া যায়? নিদ্রের সাথে এর আগে শুধু ‘হা’ ‘না’ ধরনের ছাড়া কোনো কথা হয়নি। আফাফের ভিতর জড়তা কাজ করছিলো। ও নিজের জড়তা কাটিয়ে আমতা আমতা করে অর্ধেকটা বলতে বলতেই নিদ্র একটা চেক সাইন করে ওর সামনে সেন্টার টেবিলের উপর রেখে নিজের নতুন শোবার কক্ষ থেকে বের হয়ে যায়। আফাফ তখনও আহত দৃষ্টিতে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলো। নিদ্র কি এটা ভেবেই চেকটা সাইন করে রেখে গিয়েছে যে, ওর মতো মেয়েরা এজন্যই বিয়ে করে? আফাফ ভাবলো। না হলে, ও যতোটা বলেছে তাতে টাকার কথা ওঠেইনি। নিদ্রের ধারণা ভুল নয়। আফাফ তো ওর সাথে প্রথমবার পরিপূর্ণ কথা এটাই বলতে এসেছিলো।

নিদ্র কখনো ওর সাথে খারাপ আচরণ করেনি৷ আসলে নিদ্র ওর সাথে কোনো আচরণই করেনি। দুজন একই বাড়িতে থেকেও কেমন যেন বহুদূরের অচেনা কেউ। আফাফ স্বেচ্ছায় সংসারের দ্বায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলো, যা নিলা শিকদার চাইতেন। আফাফ এর পাশাপাশি পড়াশোনাও চালিয়ে যেতো।

আফাফ কেঁদেছে কয়েকবার। কেঁদেছে তার মায়ের কাছে। নিজের ভিতর জমিয়ে রাখা অভিযোগগুলো পেশ করেছে। আঞ্জুম শুধুই বলেছেন, এমনটা হয়েই থাকে। সব একসময় ঠিক হয়ে যাবে। আফাফ যেন স্বার্থপর না হয়ে যায়। তার সাথে সাথে তার ভাইদের কথাও ভাবে। কিন্তু আফাফ জানতো সেটা মিথ্যা সান্ত্বনা ছিলো সেদিনগুলোর সাপেক্ষে। এটা এমন ছিলো, যেন কোনো বিপ্লবী বছরের পর বছর অনশন করে যাচ্ছে। আসলে সে বসে আছে চিড়িয়াখানার খাঁচায় বন্দী পশুদের মতো, আর সরকার সেই লোহার রেলিঙের ফাঁকা দিয়ে তাদেরকে ছোট ছোট ফালতু আশার টুকরো খাওয়াচ্ছে। জীবনধারণের জন্য সেটা যথেষ্ট না হলেও তার মৃত্যু প্রতিহত করার এটা একটা অভিনব উপায়। আফাফেরও এক দশা!

ওদের বিয়ের দেড় বছর পর হঠাৎই একদিন নিয়াজ শিকদারের হার্ট অ্যাটাক হয়েছিলো। এরপর থেকে ওনি সাধারণ চলাফেরা করতে পারেন না। শরীরের নিচের অংশ অসাড় হয়ে গিয়েছে। আর প্রায়ই বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ থাকেন। বাড়িতেই ওনার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। তিনি এখন একজন অপ্রয়োজনীয় বুড়ো মানুষ। কোম্পানির কোনো দ্বায়িত্বই পালন করতে পারেন না। সবই ন্যস্ত হয়েছে ছেলে আর নাতিদের উপর। কিন্তু এরপরও ওনার গুরুত্ব রয়েছে কোম্পানির স্বার্থে। অনেক কাজই ওনার অনুমতি এবং সিদ্ধান্তের অপেক্ষা রাখে। তবে পরিবারের বাঁধন আলগা হয়েছে। মাঝে মাঝেই ওনি হসপিটালে এডমিট থাকেন।

নিয়াজ শিকদারের অসুস্থতার পর থেকেই কেমন যেন অনেক কিছু বদলে গেলো। আফাফের এই কয়েকদিনের সামান্য শান্তিটুকুও নিয়াজ শিকদার নিজের সাথে সাথে নিয়ে গেলেন। আফাফ এতোদিনে নিজের মায়ের উদ্দেশ্যও জানে বিধায় বুঝতে পারলো, ও আরো অসহায় হয়ে পড়েছে। নিদ্র বেপরোয়া হয়ে উঠলো। আগের মতো পরিবারের বেঁধে দেওয়া নিয়মে ও চলে না। ফিরতো অনেক রাত করে। কিছু কিছু রাত ফিরতোই না। মাঝে মাঝে ড্রিংক করতে শুরু করে, যেটা ও কখনোই এবাড়িতে নিয়াজ শিকদারের উপস্থিতিতে পারেনি। বিদেশে গেলেই আগে এই স্বাধীনতা পেতো। নির আর নাহিন বর্তমানে ক্লাস নাইনে পড়ে। নিলাভ আফাফের বয়সী। ওরা দাদু না থাকার সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে অতোটাও সাহস পায়নি যতোটা স্পর্ধা নিদ্র দেখায়। ধীরে ধীরে বাড়িতে আনাবিয়ার কথা উঠতে থাকে। আফাফও তাকে চিনতে শুরু করে। আনাবিয়া দেশেও আসতো নিদ্রের জন্য। নিদ্র তাকে বিলাসবহুল চমৎকার একটা অ্যাপার্টমেন্ট কিনে দিয়েছে, ওর সাথে দেখা করতে এসে থাকার সুবিধার্থে।

নিদ্রের এইবার ইউএস যাওয়ার দেড় মাস আগে ওর দাদির মৃত্যুবার্ষিকী ছিলো। এটা প্রতিবছরই হয় যে, ওরা প্রত্যেকেই গ্রামের বাড়ি চলে যায় এইদিনটার উদ্দেশ্যে। কয়েকদিন থাকে সেখানে। গ্রামেই নিয়াজ শিকদারের স্ত্রীর কবর দেওয়া হয়েছিলো। এখানকার বিভিন্ন উন্নয়ন ওনি তদারকি করেন এবং এইদিন সামাজিক কিছু কাজ করে থাকেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নিয়াজ শিকদারের অসুস্থতাও এই কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারেনি। ডাক্তার নার্স নিয়ে ওনি গ্রামে গিয়ে উপস্থিত হয়েছেন।
এইবছর নিদ্র যেতে চায়নি। ও কাজের অযুহাত দাঁড় করায়। তবে আসল কারণ ছিলো তখন আনাবিয়া বাংলাদেশে ছিলো আর নিদ্র রাতগুলো ওর সাথে ওর অ্যাপার্টমেন্টেই কাটাতো। নিলা শিকদারও নিদ্রকে এই ক্ষেত্রে কোনো প্রকার বাঁধা না দিয়ে বরং উৎসাহ দিচ্ছিলেন। আনাবিয়াকে ওনি খুব পছন্দ করতেন। আর পুরো প্রক্রিয়াটায় সামান্য প্রভাব ছিলো আফাফের একটা অন্যায়।
নিলা শিকদার নিয়াজ শিকদারকে বোঝান আর নিদ্রকে রেখে যান। তবে নিয়াজ শিকদারের শর্ত ছিলো আফাফও থাকবে নিদ্রের সাথে। অগত্যা সেটাই হয়। বাড়িতে কয়েকজন মেইড আর ওরা দুজন। নিদ্র থাকতোনা বাড়িতে। সে আনাবিয়াকে নিয়েই ব্যস্ত সময় পার করতো।

বাড়ির সবার গ্রাম থেকে ফিরে আসার দুদিন আগে,
নিদ্রের সাথে আনাবিয়ার মনমালিন্য হয়। অভিমান থেকে কথা কাটাকাটি। এরপর ঝগড়া মারাত্মক রূপ ধারণ করে। আনাবিয়া ফিরে যায় ইউএসে রাগ করে। নিদ্র সে রাতে পুরো ড্রাংক হয়ে বাড়ি ফেরে। ও এতোটাই নেশাগ্রস্ত ছিলো যে, বারের লোকেরা বাড়িতে ফোন করে। নিদ্র নেশা কাটানোর কোনো ব্যবস্থা করতে দিচ্ছিলো না তাদের। ড্রাইভার গিয়ে ওকে নিয়ে আসে। নিদ্রের অবস্থা দেখে আফাফেরও বেশ মায়া হয়। ওর মনেও একটা আজগুবি চিন্তা আসে, আনাবিয়ার সাথে ব্রেক আপের পর কি নিদ্র ওকে মেনে নেবে? যেমনটা হয়ে থাকে, নাটক সিনেমায়?
নিদ্রের বেডরুমে ওকে শুইয়ে দিয়ে আফাফ ওর জুতো খুলে দেয়, ওর জ্যাকেট খুলে দেয়। নিদ্র তখনো নেশার ঘোরে প্রায় সংজ্ঞাহীন। আফাফ ওর কাছে আসতেই নিদ্র ওকে আনাবিয়া মনে করে কাছে টেনে নেয়। আফাফ নিজেও নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ওর মাথায় এটা আসেনি যে, নিদ্র ওকে আনাবিয়া মনে করতে পারে। তখন যেন ও শুধুই জানতো, নিদ্র ওর স্বামী আর এই সম্পর্কের সম্পূর্ণ বৈধতা আছে। হয়তো আফাফ এক মূহুর্তের জন্য এটাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করারও চিন্তা মাথায় এনেছিলো। তখন ছিলো আফাফের ডেঞ্জার পিরিয়ড! আবেগের বশে হয়তো এটা ভুলই ছিলো, হয়তো না। আফাফ যখন নিদ্রের মুখে আনাবিয়ার নামটা শুনলো, তখন ও ঘোর থেকে বেরিয়ে ভুলটা বুঝতে পারলো। নিদ্রের সাথে আনাবিয়ার সম্পর্ক এতোটাই গভীর ছিলো!! আফাফ চোখের পানি আটকাতে পারলোনা সেরূপে যেরূপে একটু আগে ও নিজেকে আটকাতে পারেনি। নিদ্রের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে একবার ওর দিকে ঘৃণাপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে উঠে পড়লো।
সকালে নিদ্র নিজের অবস্থা দেখে শঙ্কিত ছিলো। ও আফাফের সাথে কিছু করেছে কি? মনে করতে পারছে না, তবে হয়ে থাকলে! অনুতাপ জেঁকে বসলো ওর মাঝে। আফাফকে জিজ্ঞাসা করতেও সংকোচ বোধ হচ্ছে। ও আফাফের আচরণ লক্ষ্য করতে শুরু করলো। কিছু হয়ে থাকলে আফাফ তো কিছু বলতো। কিন্তু অদ্ভুতভাবে আফাফের আচরণে কোনো প্রকার পরিবর্তনই নিদ্রের চোখে পড়লো না। নিদ্র অনুশোচনা নিয়ে আফাফের দিকে তাকিয়ে কন্ঠে কোমলতা এনে বললো,
‘আম রিয়েলি ভেরি সরি। কাল রাতে হয়তো তোমাকে আনা ভেবে কিছু ……।’

নিদ্রের কথা শেষ হওয়ার আগেই আফাফ তার দ্বিতীয় ভুলটা করে বসলো। অনেকটা অভিমানেই। নিদ্রের মুখ থেকে বের হওয়া এমন স্বর আফাফের অপরিচিত।

‘কিছুই হয়নি।’ আফাফ বললো। ও চায়না নিদ্র এটার জন্যও ওকে ক্ষতিপূরণ দিক। নিদ্রের দিক থেকে এটা আফাফের জন্য বড় একটা ক্ষতি। আর নিদ্র মনে করে, আফাফের সমস্ত ক্ষতি ও টাকা দিয়ে পুষিয়ে দেবে। এতোটুকু ও চিনেছে নিদ্রকে এতোদিনে। আফাফ ওদের পবিত্র সম্পর্কটাকে কলঙ্কিত করতে চায়না। আফাফের রাতটা ও কিনবে!! বারের সস্তা মেয়ের মতো!!

নিদ্র যেন হাঁপ ছেড়ে বাঁচলো। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে বললো,
‘থ্যাংক গড! তুমি জানো না, এতক্ষণ আমার কী অবস্থা হয়েছিল। তোমাকে বিব্রত করার জন্য দুঃখিত।’
বলেই নিদ্র মৃদু হাসলো। আফাফ অদ্ভুত দৃষ্টিতে ওর দিকে তাকিয়ে আছে। এই মানুষটা এর আগে ওর জন্য দুটা থেকে তিনটার বেশি শব্দ খরচ করেনি। আজকে করলো।

‘নেভার মাইন্ড, আমি ভেবেছিলাম কিছু হয়ে থাকলে তোমাকে এই মূহুর্তে কিভাবে অতোটা দিতাম? লাস্ট উইক আমার বাংলো আর আনাকে গাড়িটা কিনে দিতে গিয়ে অ্যাকাউন্টের ব্যালেন্স বেশি নেই। নেক্সট মান্থের ডিলের পর তোমাকে শোধ করতে পারতাম।’ নিদ্র হাসি মুখেই কথাটা বললো। আজকে ওর কন্ঠে চিরচেনা গাম্ভীর্যের রেশমাত্র নেই।

আফাফ চোখ বুজে গভীর একটা শ্বাস নিলো। ও এই কথাটাই এতোক্ষণ প্রত্যাশা করছিলো। নিদ্র বলতে এতো সময় কেন নিলো, ও সেটাই ভাবছে।
‘দেখো মা, আমাকে কোথায় নামিয়েছো তুমি!! আমাদের সম্পর্ক যেন টাকার বাইরে কিছুই নয়। স্বামী একটা রাতের জন্য তাকে পতিতার মতো টাকা দেবে!!’ মনে মনে বললো আফাফ। সে নিদ্রর কথার কোনো প্রত্যুত্তর না করে চুপচাপ প্রস্থান করলো।

এরপর নিদ্রর সাথে ওর সম্পর্ক আবারও আগের মতোই ছিলো। তবে কথায় শব্দের পরিমাণ বেড়েছিল। নিদ্র প্রথম কয়েকদিন মনোকষ্টে ছিলো, যার কারণ আনাবিয়ার সাথে ওর ভেঙে পরা সম্পর্কটা। ধীরে ধীরে নিদ্রের প্রচেষ্টায় ওদের সম্পর্কটা আবার আগের মতো হয়ে যায়।
নিদ্র ব্যবসায়িক কাজে ইউএস গিয়েছে ঠিকই। তবে কাজটা এতোদিনের ছিলো না। আনাবিয়া সেবার চলে যাওয়ার পনের দিন পর আবারও এসেছিলো। এরপর ওরা একসাথেই গিয়েছে ইউএস। আফাফ এটাও জানে, ওরা সম্পূর্ণ সময় ইউএসে ছিলো না।
নিদ্র চলে যাওয়ার পর হঠাৎই একদিন নিলা শিকদার আফাফকে বলেন, নিদ্রকে খুব তাড়াতাড়ি ডিভোর্স দিয়ে দিতে। এটা দুসপ্তাহ আগের ঘটনা। নিয়াজ শিকদার হসপিটালে এডমিট আছেন বর্তমানে। ওনার বাঁচার আশা ক্ষীণ। আর বাঁচলেও আগের মতো শারীরিক সক্ষমতা একদমই থাকবে না। এর সুযোগটাই নিলা শিকদার নিচ্ছেন, সাথে বাকিরাও।

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here