রৌদ্রর_শহরে_রুদ্রাণী পর্বঃ৫৪

রৌদ্রর_শহরে_রুদ্রাণী
পর্বঃ৫৪
#Saiyara_Hossain_Kayanat

“আমি মানছি আপনি আমাকে ভালোবাসেন বলেই এমনটা করেছেন। কিন্তু একবারও কি ভেবেছেন যাদের সত্যিই এমন প্রব্লেম আছে, যারা সত্যিই সন্তান জন্ম দিতে অক্ষম তাদের কেমন লাগে নিজেদের ব্যর্থতা নিয়ে? আমার প্রব্লেম ছিলো বলেই আমি আপনার মিথ্যা কথাটাকেই সত্যি মেনে নিয়ে আপনার কষ্ট অনুভব করতে পেরেছি। প্রতিনিয়ত ভেবেছি আপনিও হয়তো আমার মতোই ভেতর ভেতর কষ্ট পাচ্ছেন। তাই কখনো আপনার সামনে নিজেকে দূর্বল করিনি। আপনি কষ্ট পাবেন বলে। ভালোবাসায় অন্ধ হয়ে গেছেন আপনি তাই এতো বড় মিথ্যা কথাটাও আপনার কাছে তুচ্ছ বলে মনে হয়েছে। মিথ্যা দিয়ে সম্পর্ক শুরু করাটাও আপনার কাছে একটা নিছক ব্যাপার লাগছে তাই না রৌদ্র!”

আরশি ধরা গলায় কথা গুলো বলল। আরশির চোখ দুটো নোনাপানি টইটম্বুর। রৌদ্র মাথা নিচু করে আরশির কথা গুলো শুনে যাচ্ছে। আরশির দরজার দিকে তাকিয়ে সেদিকে এগিয়ে যেতে নিলেই রৌদ্র ঝড়েরবেগে এসে আরশিকে পেছন থেকে ঝাপটে ধরলো। আরশির গলা জড়িয়ে ধরে রৌদ্র অনুনয় করে বলতে লাগল-

“আরু প্লিজ আমাকে ভুল বুঝো না। আমি জানি আমি অনেক বড় মিথ্যা বলেছি। এই রকম সিরিয়াস বিষয় নিয়ে মিথ্যা বলা আমার ঠিক হয়নি। আর মিথ্যা কথা বলে সম্পর্কটা শুরু করাও ঠিক হয়নি। আমি আমার ভুল শিকার করছি আরু। আমি আজকের দিনটার জন্যই দু’বছর ধরে ভয়ে ভয়ে কাটিয়েছি। আমি জানতাম আমি আমার মিথ্যার জন্য একদিন না একদিন ঠিকই শাস্তি পাবো। তুমি আমাকে যা ইচ্ছে শাস্তি দাও আমি মেনে নিব। কিন্তু প্লিজ আমাকে ছেড়ে যেও না আরু।”

আরশি হতবাক হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখ দুটো বিস্ময়ে বড়বড় হয়ে আছে রৌদ্রর কথা শুনে। আরশি রৌদ্রর হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে বলল-

“আমাকে ছাড়ুন রৌদ্র। আমি..”

রৌদ্র আরশিকে আরও শক্ত করে নিজের বুকের সাথে চেপে ধরে। আরশির মাথার সাথে নিজের গাল মিশিয়ে নিয়ে অনুতাপের সাথে বলল-

“আরু প্লিজ এই শেষবারের মতো আমাকে মাফ করে দাও। আর কখনো মিথ্যে কথা বলবো না। তুমি যা শাস্তি দেবে আমি সব মাথা পেতে নিব। তুমি যা করার আমার সাথে থেকে করো। তবুও প্লিজ আমাকে ছেড়ে যাও না। আমরা এক সাথে থাকে সব ভুলবোঝাবুঝি ঠিক করে নিবো। তুমি একটু শান্ত হও প্লিজ আরু প্লিজ।”

রৌদ্র উত্তেজিত হয়ে একনাগাড়ে আরশিকে অনুরোধ করে যাচ্ছে। আরশি এবার কিছুটা ক্ষেপে যায়। রৌদ্র ভাবলো কিভাবে সে রৌদ্রকে সত্যি সত্যিই ছেড়ে চলে যাবে!! আরশি রৌদ্র হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে ক্ষিপ্ত গলায় বললো-

“রৌদ্র ছাড়ুন আমাকে।”

রৌদ্র আরশিকে ছাড়ছে না। আরশিকে হারিয়ে ফেলার ভয়ে আরশিকে শক্ত করে জাপ্টে ধরে রেখেছে। মনে হচ্ছে আরশিকে ছেড়ে দিলেই আরশি মুক্ত পাখির মতো উড়ে যাবে। আরশি এবার খানিকটা রেগে চাপা কন্ঠে বলল-

“উফফ কি শুরু করেছেন এসব! ছাড়ুন আমাকে ব্যথা পাচ্ছি তো। আর আপনি কি আমাদের দু’জনের মধ্যকার ঝগড়া, রাগারাগি বাহিরের মানুষকেও শোনাতে চাচ্ছেন না-কি রৌদ্র!”

রৌদ্র আরশিকে ছেড়ে দেয়। বিস্মিত হয়ে আরশির দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে জিজ্ঞেস করলো-

“মানে!”

আরশির দরজার লক লাগিয়ে শক্ত গলায় বলল-

“দরজার লকটাও তো ঠিক মতো লাগাতে পারেন না আপনি যত্তসব। সরুন সামনে থেকে।”

আরশিকে দরজা লাগিয়ে দিতে দেখে রৌদ্র প্রচন্ড খুশিতে আবারও আরশিকে জড়িয়ে ধরলো। আরশি ভড়কে গিয়ে নাকমুখ কুচকে রৌদ্রকে ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। রৌদ্র আরশিকে ছেড়ে দিয়ে আরশির হাত শক্ত করে ধরে সোফায় বসিয়ে দিল। আরশির ব্যাগটা নিয়ে অন্যদিকে রেখে দেয়। আরশির পাশে গাঁ ঘেঁষে বসে জিজ্ঞেস করল-

“তুমি কিভাবে জানলে এসব! আর প্রেগ্ন্যাসির কথা কখন জানলে? আমাকে আগে বলনি কেন?”

আরশি রৌদ্রর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করল। রাগান্বিত দৃষ্টিতে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে অন্য দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয়। একটা তপ্ত শ্বাস ফেলে শান্ত গলায় রৌদ্রকে সব বলতে লাগল। আরশির কথা শেষ হতেই রৌদ্র অস্থিরতার সাথে বলল-

“অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলে তুমি! এখন ঠিক আছো তো আরু? আর আমাকে কেন ফোন দাওনি তুমি?

রৌদ্র একসাথে কতো গুলো প্রশ্ন আরশির দিকে ছুড়ে দিল। আরশি নির্লিপ্ততার সাথে রৌদ্রর দিকে চেয়ে বলল-

” আমি ভেবেছিলাম ডক্টরের কোথাও ভুল হয়েছে তাই আপনাকে এসব বলে মিথ্যা আশার আলো দেখিয়ে কষ্ট দিতে চাইনি। কিন্তু আমি তো বুঝতেই পারিনি আপনি আগে থেকেই আমাকে মিথ্যা বলে আসছেন।”

রৌদ্রর মুখ ফ্যাকাসে হয়ে গেল। মাথা নিচু করে নিম্ন স্বরে বলল-

“তুমি বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিলে না তাই বাধ্য এই মিথ্যে কথাটা বলতে হয়েছে। তোমাকে মিথ্যে বলে সম্পর্ক শুরু করার অনুতাপের আগুনে ভেতর ভেতর আমি ঝলসে যাচ্ছিলাম আরু। সব সময় আমার বলা মিথ্যের জন্য তোমাকে হারিয়ে ফেলার ভয় পেতাম।”

আরশি রৌদ্রর থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। রৌদ্রর দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বলল-

“আমি আপনাকে মাফ করে দিয়েছি এটা ভেবে ভুল করবেন না। মিথ্যে বলার শাস্তি আপনি নিশ্চয়ই পাবেন ডক্টর রৌদ্র।”

আরশি কথা গুলো বলেই রুমে চলে গেল। রৌদ্র ভ্রু কুচকে আরশির যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে। সে খুব ভালো করেই জানে আরশির রাগ কিছুক্ষনের মধ্যেই উধাও হয়ে যাবে। আরশি প্রেগন্যান্ট তার সন্তান এখন আরশির পেটে। এই সময় আরশি নিশ্চয়ই রৌদ্রর উপর রাগ করে থাকতে পারবে না। তাদের অনাগত সন্তানের কথা ভেবে খুশিতে গদগদ করে ওঠে রৌদ্রর মন। রৌদ্রর সকল বিষন্নতা নিমিষেই খুশির ঝলকে পরিনত হয়ে গেল। রৌদ্র বাবা হবে ভেবেই যেন খুশির জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে তার মন।

——————————

“আরু এটা কেমন শাস্তি দিচ্ছো তুমি! প্লিজ রুমে আসো। বিকেল থেকে কথা বলছো না, তোমাকে ছুঁতে দিচ্ছো না এসব না হয় মানলাম কিন্তু এখন এই রুমে এসে থাকার কি মানে! এক-ই বাসায় আমরা আলাদা আলাদা রুমে থাকবো না-কি!! তুমি ভালো করেই জানো তোমাকে ছাড়া একা একা ঘুমানোর অভ্যেস আমার নেই।”

রৌদ্র আরশির দরজার কাছে দাঁড়িয়ে মলিন মুখে কথা গুলো বলে যাচ্ছে। কিন্তু আরশি কোনো সাড়া দিচ্ছে না। বিকেল থেকেই আরশি রৌদ্র সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে। রাতেও চুপচাপ ডিনার করার পর আরশি বেডরুমে না গিয়ে অন্য রুমে এসেই ভেতর থেকে দরজা লাগিয়ে দেয়। সেই থেকেই রৌদ্র আরশিকে অনুরোধ করে যাচ্ছে রুমে আসার জন্য। আরশি রুমের ভেতরে চুপচাপ বিছানায় বসে আছে। রৌদ্রকে সায়েস্তা করার জন্য এটাই এক মাত্র মাধ্যম। রৌদ্র আবারও দরজায় ধাক্কা দিয়ে বলল-

“আরু দরজা খোলো। তুমি দরজা না খোলা অব্দি আমি কিন্তু এখান থেকে যাবো না বলে দিচ্ছি।”

রৌদ্র দরজায় হেলান দিয়ে নিচে বসে পরলো। রৌদ্র খুব ভালো করে জানে আরশি তাকে শায়েস্তা করার জন্যই এমনটা করছে। আর এটাও জানে তার রুদ্রাণী কখনো তার উপর বেশিক্ষণ রাগ করে থাকতে পারবে না। রৌদ্র একটা হতাশ নিঃশ্বাস ফেলে সুর তুলে গান গাওয়া শুরু করলো আরশির উদ্দেশ্যে।

যদি বলি আমার প্রতিটা রাত তোমার কোলে চাই,
বলো ঠোঁটের ছোঁয়ায় আদর মাখাবে গালে?
যদি বলি হ্যাঁ হাসছি আমি শুধুই তুমি আমার তাই,
বলো ছেড়ে তো দেবেনা কখনো মনের ভুলে?

আরশি তার চিরচেনা গান আর গলার স্বর শুনে বিছানা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। ঠোঁটের কোণে হাল্কা হাসির রেখা টেনে দরজার কাছে এসে দাঁড়ায়। রৌদ্র আবারও দরজায় কয়েকবার করাঘাত করে গান গাইতে লাগে-

গোধূলি আকাশ মুছে দিলো সাজ
অযথা দূরে তবু তুমি আজ,
অভিমানী ভুল ধরবে আঙ্গুল
মন করে বায়না।
তুমি কি আমায় করবে পাগল
শাড়ির আঁচল, চোখের কাজল,
প্রেমে তুমিও পড়ে যাবে হায়
দেখো যদি আয়না।

বাঁচি এই বিশ্বাসে, শেষ নিঃশ্বাসে
তোমাকেই পাশে চাই,
তুমি না থাকলে আমি শূন্য এ মহাদেশে।
যদি ঘুমিয়েও পড়ি
শেষ ঘুমে আমি তবুও তোমাকে চাই,
তুমি স্বপ্নেই এসো রূপকথার ওই দেশে।।

আমি বুকের মাঝে জাপটে জড়িয়ে
যত কথা আছে সবই তোমাকেই বলি।
আমি কান পেতে সেই মনের গভীরে
লুকোনো যন্ত্রনা শুনে ফেলি।

তুমি অভিমানে খুব হয়ে গেলে চুপ
ভুল মেনে নিয়ে কত কত sorry বলি,

রৌদ্র এই লাইন গুলো গেয়েই চুপ হয়ে যায়। দরজা হেলান দিয়ে হাটুতে দু হাত ভাজ করে দিয়ে বসে আছে। আরশি সকল রাগ অভিমান ভুলে হাসি মুখে রুমের দরজা খুলে দেয়। দরজা খোলার সাথে সাথেই রৌদ্র তাল সামালতে না পেরে পেছনের দিকে ঢলে পরে যায়। রৌদ্রকে পরে যেতে দেখে আরশি ফিক করে হেসে দিয়ে গান গাইতে লাগলো-

ভাবি থাকবোই রেগে গম্ভীর মুখে
তোমার কোথায় ধুৎ, আমি হেসে ফেলি।

মারপিট আর ঝগড়াঝাটিরা
শান্তি চাইবে শেষে,
তাই অভিমান ভুলে আদর মাখতে
তোমার কাছে এসে।

রৌদ্র মেঝেতে শুয়ে থেকেই আরশির দিকে চেয়ে আছে। আরশি মুখে হাসি রেখেই রৌদ্রর দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। রৌদ্র আরশির হাত ধরে উঠে বসে। আরশি রৌদ্র পাশে বসে নম্রতা সহকারে বলল-

“সরি বিকেলের জন্য। আপনি এমন একটা সিরিয়াস কথা নিয়ে দু’বছর ধরে আমাকে মিথ্যা বলে আসছেন ভেবেই আমার মাথা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। রাগের মাথায় বেশি কিছু বলে থাকলে ক্ষমা করে দিয়েন।”

রৌদ্র আরশিকে এক পাশ থেকে জড়িয়ে ধরে জড়তার সাথে বলল-

“তোমার কোনো ভুল নেই আরু। আমিই ভুল করেছিলাম তোমাকে মিথ্যা কথা বলে। আমি তোমাকে পাওয়ার জন্য কোনো কিছু না ভেবেই তখন মিথ্যে বলে ফেলেছিলাম। কিন্তু একবারও ভেবে দেখিনি এই মিথ্যের ফলাফল কি হতে পারে।”

আরশি হাল্কা হেসে বলল-

“আচ্ছা এসব বাদ দিন। যা হওয়ার হয়ে গেছে কিন্তু এখন আমাকে প্রমিজ করুন আর কখনো আমার কাছে কিছু লুকাবেন না আর মিথ্যে কথা তো ভুলেও বলবেন না।”

রৌদ্র হাসি দিয়ে আরশির হাত ধরে বলল-

“ওকে প্রমিজ করছি আর কখনো মিথ্যে বলবো না।”

“আচ্ছা এসব ঝগড়াঝাটির মাঝে তো তুলতুলের কথা ভুলেই গেছি। নীল ওদের কাউকে তো কিছুই বলা হয়নি তুলতুলের কথা।”

আরশির কথায় রৌদ্র ভ্রু বাঁকিয়ে তার দিকে তাকালো। তুলতুল নামটা শুনে সন্দিহান কন্ঠে জিজ্ঞেস করল-

“তুলতুল কে?”

আরশি সশব্দে হাসলো। মেঝে থেকে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের চুল গুলোকে ঠিক করে পেটে হাত রেখে বলল-

“ওই ছেলেটা যাওয়ার আগে আমাদের বেবিকে তুলতুল বলে ডেকেছিল তাই বেবির নাম এটাই রেখে দিলাম। সুন্দর না নামটা!!”

রৌদ্র কিছুটা ভেবে আরশির মুখোমুখি হয়ে দাঁড়িয়ে বলল-

“হুম সুন্দর কিন্তু ছেলেটার পরিচয় নাও নি কেন!”

“তখন এতো চিন্তার মাঝে এসব কিছুই মাথায় ছিল না। তাই ছেলেটার নামও জিজ্ঞেস করা হয়নি।”

আরশি কিছুটা আফসোসের সুরে কথা গুলো বলল। রৌদ্র আরশির কাধে হাত রেখে বলল-

“আচ্ছা থাক এসব কথা। এখন রুমে চল। আমি তোমাকে ছাড়া ঘুমাতে পারি না তুমি খুব ভালো করেই জানো।”

আরশি মুচকি হেসে রৌদ্রর সাথে রুমে চলে যায়।

————————

আরশি আর রৌদ্র বিকেলে বেরিয়েছে ভার্সিটির পাশের সেই চিরচেনা কৃষ্ণচূড়া গাছটার উদ্দেশ্যে। আরশি নীল ওদেরকে ফোনে এই সুখবরটা দিতে চায় না তাই সবাইকে জরুরি কথা বলার বাহানা করেই বিকেলে তাদের পুরোনো আড্ডার জায়গায় আসতে বলেছে। আরশি নিজের চোখে তাদের সবার রিয়েকশন দেখতে চায়। তার প্রেগন্যান্টের কথা শুনে সবাই নিশ্চয়ই অনেক বেশি অবাক হয়ে যাবে, হয়তো খুশিতে আত্মহারা হয়ে যাবে। আরশি কথা গুলো ভাবতে ভাবতেই ভার্সিটিতে এসে পরে। দূর থেকে কৃষ্ণচূড়া গাছের দিকে তাকিয়ে কাওকে দেখতে পেলো না। কিছুক্ষনের মধ্যেই হয়তো সবাই এসে পরবে। রৌদ্র আর আরশি কিছুটা এগিয়ে যেতেই গাছের সাথে হেলান দিয়ে নীলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পেল। নীলের ব্যাক সাইড দেখা যাচ্ছে। অন্য পাশে মুখ ঘুরিয়ে নীল ফোনে কথা বলতে ব্যস্ত। আরশি রৌদ্রকে ইশারায় চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে। আস্তে আস্তে শব্দহীন পায়ে নীলকে ভয় দেখানোর জন্য এগিয়ে যায় আরশি। নীলের কিছুটা সামনে আসতেই নীলের ফোনালাপ শুনে আরশি থমকে দাঁড়িয়ে যায়। স্তম্ভিত হয়ে গেছে আরশি।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here