শুকতারা পর্ব-২৪

0
844

#শুকতারা (পর্ব-২৪)
#হালিমা রহমান

সূর্যের তেজ আজ বেশি।ফাগুনের হাতছানিতে হতচ্ছাড়া সূর্যের তেজ বেড়েছে।গরম আসার আগেই শান্ত পৃথিবীকে পুড়িয়ে দেওয়ার পায়তারা করছে। প্রখর তাপে দক্ষিণী বাতাসটুকুর কোমল শীতলতা শুষে নেওয়ার চেষ্টা।সূচির বিরক্ত লাগে।মাথার উপরে আগুনের গোলা। গলার নিচের চকচকে ঘাম মুছে নিলো সূচি।তীব্র আলোর দরুন লাল-কমলার মিশেলে ফিকে রঙ খেলছে মুখের উপর।মাথার আঁচলটাকে আরেকটু টেনে দিলো। কপাল পর্যন্ত ঢেকে মুখ রক্ষার চেষ্টা করলো খানিক।হলো না।রোদ সহ্য হয় না সূচির।চোখ জ্বলে-মুখ জ্বলে,মাথা ঘুরায়।ঠা ঠা রোদ্দুরে চোখ মেলতে পারছে না মেয়েটা।ভেজা কাপড় হাতে ধরে দাঁড়িয়ে রইলো ন্যাড়া কাঁটাগাছের সামনে। চোখ রগড়ে দেখার চেষ্টা করলো চারদিক।পায়ের কাছেই বালতি ভর্তি ভেজা কাপড়। রোদের যন্ত্রণায় উপরে টাঙানো দড়ির দিকে তাকাতে পারছে না।স্পষ্ট দেখতে পারছে না কিছুই।কেবল আলি-ঝালি অবয়বগুলো দেখা যায়।তাও কেমন সাদা-কালো।চুলায় মাছ ভুনা বসানো।কাপড়গুলো মেলে দ্রুত রান্নাঘরে যেতে হবে।নয়তো তরকারি পুড়বে।তরকারি পুড়লেই হয়েছে,সূচির বাপ-মায়ের চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার করবে রোমেলা বানু।
চট করে মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল।হুমায়রাকে ডেকে নিলে ভালো হয়।হুমায়রা কাপড়গুলো মেলে দেবে।সূচি দৌড়ে চুলার কাছে চলে যাবে।রোমেলা বানু ভিতরের ঘরে বসে কাঁথা সেলাই করছেন।হুমায়রাকে দেখার সম্ভাবনা কম।যেই ভাবা, সেই কাজ।নিচু গলায় বড় ভাবিকে ডাক দেওয়ার আগেই অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটলো। একটা লম্বা-চওড়া কালো ছায়া আড়াল করে ফেললো সূচিকে।হাত কয়েক দূরে মুখোমুখি দাঁড়ালো লম্বা-পেটানো শরীরটা।ঢালের মতো খাড়াখাড়ি রক্ষা করলো সূচিকে।চওড়া ছায়ার আড়ালে সূচির একটুখানি শরীরটা ঢেকে গেল।স্বস্তি পেল সূচি।লম্বা-চওড়া ছায়াটা নিশ্চিত ফয়সালের। বউয়ের বিপদ দেখেই রক্ষা করতে এসেছে বীরপুরুষের মতো।তীব্র আলোকছটা থেকে খানিক মুক্তি পেয়ে চোখ পিটপিট করে তাকালো। দু-সেকেন্ড ঘনঘন চোখের পাতা ফেলে বলিষ্ঠ পুরুষটাকে দেখলো।কালো মোটা ফ্রেমের চশমায় চোখ আঁটকে গেল সূচির।কাজী ফয়সাল নয়,কাজী অন্তু দাঁড়িয়ে আছে সামনে।বুকের কাছে ডানহাত দিয়ে আগলে রেখেছে একটা তুলতুলে বিড়ালছানাকে। ধবধবে সাদা বিড়াল,ছোট জীবটার পুরো শরীরে আদুরে ভাব।মালিকের শক্ত হাতের মাঝে শুয়ে ঝিমাচ্ছে। সূচি চিনতে পারলো। এই সেই বিড়াল।নদীর ধারের পৌষ মেলা থেকে কেনা বিড়াল।আগে ছোট ছিল,এই কয়েকদিনে বেশ বেড়েছে।

” আসসালামু আলাইকুম, সূচি।”

সূচি বিব্রত হলো।এতোক্ষণ একদৃষ্টিতে বিড়ালের দিকে চেয়ে থাকার জন্যে নিজেকে দু-এক প্রস্থ গালিও দিলো মনে মনে। ইতস্ততভাবে বললোঃ” ওয়া আলাইকুমুস সালাম।”

” আমাকে চিনতে পেরেছ? আমি অন্তু,ফয়সালের বড় ভাই।”

পরিচয় না দিলেও চলতো।অন্তুকে সূচি ভুলতে পারবে না।সেই পৌষ মেলায় অনেক কটু কথা শুনিয়েছিলো অন্তুকে।অবশ্য সূচির কী দোষ?তখন তো আর জানতো না,এই লোকটাই ভবিষ্যতে আত্মীয় হবে।

” ভালো আছেন, ভাইয়া?”

অন্তুর ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটলো।মেয়েটা তবে চিনতে পেরেছে।মাথা নেড়ে বললোঃ” এই তো আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি ভালো আছো?”

” জ্বি।”

” এই যে এটা আমার মিনি।বড় হয়েছে না? তোমাদের সুপারি বাগানে এরকম বিড়াল খুঁজে পেয়েছিলে?”

এক দফা আকাশ থেকে পড়লো সূচি। বিষম খেলো মনে মনে।অন্তুর খোঁচামারা কথা মাথায় ঢুকেছে।লোকটা চিনতে পেরেছে! অদ্ভুত! সেদিন সূচির চোখ দুটো দেখেছিলো শুধু। কন্ঠস্বরেই ধরে ফেললো? লোকটার স্মৃতিশক্তির তারিফ না করে পারা যায় না।অন্তুর বিশাল ছায়ায় রোদ পড়ছে না মুখের উপর।সূচি মনে মনে প্রমাদ গুনলো।

” আমি তোমাকে সেই বিয়ের দিনই চিনতে পেরেছিলাম।একবারের জন্য চোখাচোখি হলো না? তখনই চেনা চেনা লাগছিলো।কিন্তু সাজগোছের জন্য ঠিক চিনতে পারিনি।তারপর কন্ঠ শুনেই চিনলাম। সেদিন মেলায় কত কথা শুনিয়েছিলে! ফয়সাল কোথায়? ওর কাছে বিচার দেব।যাতে বেয়াদবির অপরাধে তোমার দাঁতগুলো ভেঙে দেয়।”

অন্তুর সহজ কন্ঠে।কথার ভাঁজে রসিকতার ছাপ।সূচি বুঝলো। তাই মনটা ভালো হয়ে গেল।তাছাড়া,কড়াকড়িভাবে হুমকি দিলেও সূচি বিশেষ ভয় পেত না।ফয়সালকে কে ভয় পায়? রগচটা লোকটাকে সে থোড়াই কেয়ার করে।

” তুমি ভয় পেয়েছো নাকি?”– চশমার আড়ালে ডান ভ্রুটা একটু উপরে উঠে গেল অন্তুর। সূচি হাসলো।মাথার আঁচলটাকে টেনেটুনে সামলে বললোঃ” আমি ভীতু না।”

” খুব সাহসী?”

” খুব। তবে আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত ভাইয়া।ওইদিন ওভাবে না বললেও পারতাম।আমার হুটহাট রাগ উঠে যায়।আপনি ছানাটাকে নিয়ে নিলেন,তাই রাগ হয়েছিলো খুব।ছানাটাকে খুব পছন্দ হয়েছিলো আমার।আপনি দাম না বাড়ালে দোকানদার এটা আমাকেই দিত।”

সূচির লোভাতুর দৃষ্টি মিনির উপর।দেখলেই একটু হাত বুলিয়ে আদর করতে ইচ্ছা করে।কি সুন্দর! একদম আদুরে একটা ছানা।

” তোমার এখনো বিশ্বাস, এই ছানাটার দাম দেড়শো টাকা?”

” অবশ্যই।আপনি ফট করে দাম না বাড়ালেই হতো। দোকানদারকে এতো লাই দিতে নেই।”

অন্তু হাসলো।মেয়েটা অজ্ঞ।এসব বিষয়ে তার জ্ঞান নেই বললেই চলে।সে জ্ঞান দিতে চাইলেও সূচি বুঝবে না।অযথা তর্ক করে লাভ নেই।অন্তু মিনিকে আদর করে বললোঃ” এতো পছন্দ বুঝলে আরেকটা ছানা তোমার জন্য আনতাম।মিনির জমজ ভাইটা আমার রুমমেটকে দিয়ে দিয়েছি। এখন তাড়াতাড়ি কাপড়গুলো মেলে দাও। চাচীমার সাথে দেখা করব।”

সূচি বেশ লজ্জা পেল।কথায় কথায় অতিথিকে এই রোদের মাঝে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখেছে বলে খানিক অনুতাপও হলো। ব্যস্ত হয়ে বললোঃ” আপনি ঘরে চলে যান ভাইয়া।আম্মাকে ঘরেই পাবেন।”

” আমি দাঁড়িয়েছি,তুমি কাপড়গুলো আগে মেলো।বাড়িতে ঢুকতেই দেখলাম রোদের চোটে কাজ করতে পারছো না। তুমি তোমার কাজটা করো।”

” দূর থেকেই দেখে ফেললেন?”

” হ্যাঁ। চার চোখ তো,তাই কানা চিনতে অসুবিধা হয় না।”

অন্তুর সাথে সাথে সূচিও হাসলো।লোকটা ওকে অন্ধ বললেও ওর বিশেষ রাগ হলো না।উপকারের সময় এটুকু কথা সহ্য করাই যায়।অন্তুর থেকে দূরে দাঁড়িয়ে একে একে মেলে দিলো সবগুলো কাপড়।আগেই বলেছিলাম,অন্তুর মানবিকতা ষোলো আনা।সূচিকে আড়াল করে ঠায় দাঁড়িয়ে রইলো।
শীত কমেছে বলে কম্বল-কাঁথা সব ধুয়ে দিয়েছে সূচি।ফয়সালের মোটা মোটা জ্যাকেট,নিজের চাদর,রোমেলা বানুর চাদর–সব ধুয়েছে।কুঁচির নিচের দিকটা পুরো ভিজা।হাতে-পায়ে পানির বিন্দু।শীঘ্রই গোসল করা দরকার।একজন আত্মীয়ের সামনে এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকতে কিছুটা বিব্রতবোধও কাজ করছে নিজের মাঝে।

” তুমি এবার এইচএসসি দিয়েছো না?তের তারিখে তোমার রেজাল্ট দেবে।”

” তাই নাকি?”

” হ্যাঁ। টেনশন হচ্ছে?”

” ধুর,কীসের টেনশন? রেজাল্ট নিয়ে আমার কোনোদিন ভয় হয়নি।”

” বাহ,তাহলে তো তুমি খুব ভালো স্টুডেন্ট।কী পাওয়ার আশা করছো?এ প্লাস আসবে? এবারের প্রশ্ন তো বেশ সহজ হয়েছে।”

” পাশ করতে পারলে মসজিদে দান করব।”

চশমার আড়ালে থাকা অন্তুর চোখ দুটোতে বিস্ময়ের ঝিলিক।অবাক কন্ঠে বললোঃ” ফেল করার সম্ভাবনা!”

” আল্লাহ সহায় থাকলে ফেল আসবে না।দেখুন ভাইয়া,পড়াশোনা আমার কখনো ভালো লাগে না।বই-খাতা, স্কুল-কলেজ আর ঘোড়ার ডিমের শিক্ষকগুলো পৃথিবীতে না থাকলে পৃথিবী আরো সুন্দর হতো। এই শিক্ষকগুলো তো আমার চিরদিনের শত্রু।তোরা পড়াশোনা করেছিস কর,মানুষের পোলাপানকে শিক্ষা দিতে তোদেরকে কে বলেছে? এত পোদ্দারি করতে হবে কেন? অতিরিক্ত পোদ্দার এরা,তাই না?”

সুচির অকপট স্বীকারোক্তি। অন্তুর কঠিন নীরবতাকে সে সম্মতি ভাবলো।তাই দ্বিগুণ উৎসাহে বললোঃ”এই শিক্ষক জাতির উপর আমার চূড়ান্ত মেজাজ খারাপ হয়।এদেরকে আসলে পৃথিবী থেকে ধাক্কা মেরে চাঁদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত।”

দীর্ঘশ্বাস ফেললো অন্তু। মেয়েটা অতিরিক্ত বেশি কথা বলে।একজন শিক্ষকের সামনেই শিক্ষকদের গোষ্ঠী উদ্ধার করছে।বেকুব মেয়ে।বিরক্তির শ্বাস ফেলে বললোঃ” তাহলে আমাকে দিয়েই শুরু কর।ফ্রি ভিসায় চাঁদ দেখে আসি।আমিও একজন শিক্ষক।তোমার ভাষায়,একজন পোদ্দার।”

কথাটা বুঝতে দু-সেকেন্ড সময় লাগলো সূচির।বুঝতে পেরেই লজ্জায় লাল-নীল-বেগুনী হয়ে গেল।থম মেরে মাটির দিকে চেয়ে থাকলো এক মিনিট।শোক দিবসের নীরবতা পালন করছে যেন।ঠিক এক মিনিট পর একে একে কাপড়গুলো আবারও মেলে দিলো।অন্তুর দিকে আর চোখ তুলে চাইতে পারলো না।এই লোকটার সাথে যতবার দেখা হয়,ততোবারই কোনো না কোনো অঘটন ঘটে। এর নাম অন্তু না রেখে ঝামেলা রাখা উচিত ছিল।

” কিছুদিন পর বিয়ে করব।তুমি বরং তখনই চাঁদের দেশে পাঠিয়ো। তোমার বদৌলতে বউসহ চাঁদ দেখে আসব।”

হাহ! সূচির লজ্জাকে তাড়িয়ে উপভোগ করছে অন্তু।এই দুর্দিনও দেখতে হলো! উঠোনটা দু-ভাগ হোক।সূচি একটু পালিয়ে বাঁচুক।

________________________

আজ একটু বেশি কাজ থাকায় সারাদিনে খুব ব্যস্ত ছিল ফয়সাল।সারাদিনে ঘুমের সময় পায়নি।সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে, গোসল করে তাই কড়া একটা ঘুম দিলো। একঘুমে পুরো রাত দশটা।ঘুম ভাঙতেই চোখ পড়লো সূচির উপর।আয়নার সামনে বসে মাথায় তেল দিচ্ছে।পুরো মনোযোগ ঘন কালো চুলগুলোর উপর।চিরুনিতে সিঁথি কেটে একটু একটু করে তেল দিচ্ছে মাথায়।প্যারাশুট তেলের মেয়েলি গন্ধ ভেসে আসছে নাকে। নাকের ভিতর ঢুকে সগৌরবে সুড়সুড়ি দিচ্ছে। জোরে শ্বাস নিলো ফয়সাল।অক্সিজেনে মিলেমিশে সূচির মাথার ঘন তেলের গন্ধ ঢুকে পড়লো নাক বেয়ে।বয়ে গেল গলা দিয়ে।ভাগাভাগি করে জায়গা করে নিলো বুকের ভিতর,মাথার ভিতর।হৃৎপিন্ডেও কিছুটা পুষে রাখলো ফয়সাল।পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়াবহ নেশালো ঘ্রাণ। চোরাচোখে পিছন থেকে দেখলো দেখলো সূচিকে।বউকে আঁড়চোখে দেখার মাঝেও সৌন্দর্য আছে,শান্তি আছে।নিজেকে ইমানদার চোর মনে হয়।দুর্ধর্ষ সাহসী চোর।সূচি তো আর ফয়সালের জন্য অবৈধ নারী নয়।

” সূচি”

” হুম।”

” অন্তু ভাই কী করে? খেয়েছে?”

“হ্যাঁ। আপনার জন্য বসেছিল। ঘুম থেকে উঠতে দেরি হচ্ছে বলে খেয়ে নিয়েছে।ঘুমিয়ে গেছে মনে হয়।”

” ভালো করেছে।”

“আপনি খাবেন না?”

” খাব একটু পরে।তুমি তোমার কাজ করো।”

চোখ বুজে বালিশের উপর পড়ে রইলো ফয়সাল।মাঝে মাঝে পিটপিট করে সূচিকে দেখছে।মেয়েটা শাড়ি পরে ঠিকই কিন্তু সামলাতে পারে না।এদিক-ওদিক থেকে সরে যায়।রুমে থাকলে নিজের দিকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করে না সূচি।হয়তো তাকাতেও ভালোবাসে না নিজের দিকে।তাই লজ্জা পায় না।কিন্তু ফয়সালের ভারী লজ্জা হয়।কান গরম হয়,গাল লাল হয়।গলা-বুক জ্বলে যায় একদম। নারীদেহের অদ্ভুত সৌন্দর্য চোরের মতো দেখে।এই চব্বিশ বছরের জীবনে এমন খোলামেলা সৌন্দর্য দেখেনি বলেই অভিভূতের মতো দেখে।দেখে একান্ত নিজস্ব কিছু দেহাংশ। ফয়সালের চোখ জুড়িয়ে যায়।কিন্তু হৃদয়ের তৃষ্ণা মেটে না।পৃথিবীর অন্যতম সুন্দর দৃশ্য আরো খুটিয়ে দেখতে ইচ্ছা করে।মানসপটে একটা রঙিন চিত্র আঁকতে ইচ্ছা করে।
সূচি মেয়েটা বোকা।তাই ফয়সালের চোখের দৃষ্টি, কথার ধরন ধরতে পারে না।ইদানীং ফয়সালের কথার ভাঁজেও থাকে স্নিগ্ধতা। কাঠিন্যের সাথে কোমলতার মিশ্রন থাকে। সূচিকে রাগাতে ভালো লাগে ফয়সালের।চ্যাটাং চ্যাটাং করে যখন কথা বলে,তখন বেশ লাগে শুনতে।তাই ইচ্ছা করেই সে এমন করে।শক্ত কথা বলে,সূচিও রেগে শক্ত শক্ত জবাব দেয়।একমাস আগের ফয়সাল ও আজকের ফয়সালের মাঝে আকাশ-পাতাল পার্থক্য। সে আর আগের ফয়সাল নেই।খোদার কসম,সে বদলে গেছে।তার আত্মসমর্পণের খুব বেশি দেরি নেই আর।

চলবে…

(ছোট হয়েছে বুঝতে পারছি।পর্বটা এখানে শেষ করার ইচ্ছা ছিল না।আরেকটু লেখার ইচ্ছা ছিল।কিন্তু সুযোগ হয়নি।যদি সময় হয় তো কাল আরেকটু দেব ইনশাআল্লাহ।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here