শুভ বিবাহ পর্ব-১৫

0
773

#শুভ_বিবাহ
লেখা #AbiarMaria

১৫

ইসাবেলা আপুকে আমার সবসময় অনেক ভালো লাগে। আপু চুল রঙ করে রাখে সবসময়, ওর চুল ছোট থেকেই স্ট্রেযত। এত কিউট পুতুলের মত ও! আপু আমার থেকে গুনে গুনে তিন বছরের বড়। কিন্তু ওকে দেখলে আমার বান্ধবী মনে হয়। আমি ছোট থেকেই চোখ বড় বড় ওকে দেখতাম। চাচীমা সবসময় ওকে কি যে সুন্দর সুন্দর রঙের ফিতা দিয়ে সাজিয়ে রাখত! চাচী মা নিজেও খুব টিপটিপ, আপুকেও সাজিয়ে সাজিয়ে রাখত। আম্মু এজন্য চাচী মাকে দেখতে পারে না। দেখলেই মুখ কালো করে বলবে,
❝ঐ যে, পটের বিবি হাজির হয়েছে!❞
আম্মুর সবচেয়ে বড় অভিযোগ, চাচী মা নাকি সাজের জন্য কাজ করতে চাইতো না, ফাঁকি দিত। আম্মুও তো ঘরের বউ, সেও বউ। আম্মু কাজ করবে আর সে করবে, এটা তো অবিচার! তাই চাচী মা অন্নেক অন্নেক ভালো হওয়ার পরও আম্মু চাচী মাকে পছন্দ করে না। তবে ইসাবেলা আপুকে আদর করে। ওর মত পুতুলকে কি আদর না করে পারা যায়? আমার অবশ্য কখনো ওকে নিয়ে হিংসে হয়নি, বরং বড় হয়ে আমিও ওর মত হবো, এই স্বপ্নে বিভোর থাকতাম।

আপু যে কেবল সুন্দরী, তা না, সে যথেষ্ট বুদ্ধিমতিও। একেবারে টপার না হলেও মেরিট লিস্টে সবসময় থাকে সে। এ কারণে ভর্তি পরীক্ষায় যখন জগন্নাথে ম্যাথে চান্স পেয়ে যায়, সবাই খুব একটা অবাক হয়নি। ক্লাস টপারের খেতাবট অবশ্য আর রাতুল, মানে আপুর বড় ভাইয়ের দখলে থাকে সবসময়। রাতুল ভাইয়া এখন অস্ট্রেলিয়ায় আছে। শুনেছি ফার্মাসিতে ডিগ্রি নিচ্ছে, অনেক ভালো করেছে, রিসার্চ করছে এখন। ওখানে তার বেশ ভালো পরিচিতি। আমার তবুও ইসাবেলা আপুর মতই হওয়ার ইচ্ছা, একটা কিউট পুতুল!

আপুকে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসলে আমি আনন্দে আত্মহারা হয়ে যাই প্রতিবার। কলেজ থেকে এসে যখন দেখলাম আপু মাথায় টাওয়েল পেঁচিয়ে আয়নায় দেখে মুখে কিছু একটা ঘষছে, আমি এক চিৎকার করে ওর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ি। দুজনের সে কি আনন্দ! সারাদিন, সারারাত গুটুর গুটুর করে গল্প করলাম। আপু বলল, আগামীকাল বিকালে শপিং এ যাবো আমরা। আসলে শপিংয়ের নাম করে ঘুরোঘুরি আর ফুচকা পার্টি! আমি খুশিতে আপুকে জড়িয়ে ধরি। আমার বেশিরভাগ প্রশ্ন আপুর চেহারার যত্ন আর চুল নিয়ে। ওর ডিজাইনার জামা গুলোও নজর কাড়ে, তবে সেগুলো কেনার সাধ্য হবে না। এমন না যে টাকা নেই, আম্মুই দিবে না কখনো। আম্মু আমাকে দামী দামী জামা কিনে দিতেই চায় না কেন যেন!

পরদিন বিকালে আপুকে দেখে দেখে সাজলাম। এই প্রথম দুই বেণী ছাড়া একটু অন্যভাবে চুল বাঁধলাম, আপু বেঁধে দিল। আম্মু অবশ্য কিছু বলল না, জানে যে বললেও আপু শুনবে না। দুজনে যখন বাসা থেকে বের হলাম, তখনই পাশের বাসার অশুভ আত্মাটা উড়ে এলো, অশুভ ভাইয়া! উনাকে দেখলেই আমি দৌড়ে পালাই। কলেজে উঠার পর এখন পর্যন্ত যতবার ডাক দিয়েছে, ততবারই ভোঁ দৌড় দিয়েছি! আজ তো আপুকে নিয়ে পালানো অসম্ভব। একে তো আপু এই অশুভ আত্মার কথা জানে না, তার উপর এই লোক এর কোনো বাছ বিচার নেই। মেয়ে পেলেই হলো! আমার বান্ধবীরা বলেছে, এ ধরনের ছেলেদের থেকে দূরে না থাকলে যে কোনো ঝামেলা হতে পারে। আমিও এসবের মধ্যে নেই। কে জানি কখন কি ঝামেলায় ফেলে? সেই পরিচয়ের দিন থেকেই তো আমাকে বাঁশ বাগান দেখিয়ে যাচ্ছে। বাঁশ বাগানে ঢুকিয়ে বাঁশের চিপায় পড়ে পা ভাঙতে চাই না বাবা!

অথচ আজ মনে হচ্ছে ফাটা বাঁশে পা বেঁধেই গেল! অশুভ আত্মাটা আপুকে ডেকে বসলো। আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম আপুকে দেখে তার চোখের ভাষা বদলে গেছে। আমি চেষ্টা করছিলাম আপুকে ইশারা করতে, কিন্তু আপু যেন বুঝতেই চাইছে না। খুব হেসে হেসে উনার সাথে কথা বলল। সে রীতিমতো গায়ে পড়ে রিকশা ডেকে ভাড়াও ধরিয়ে দিল। সে কিছুটা দূরে সরে যেতেই আপুর দিকে কটকট করে চেয়ে বললাম,
❝এলাকার সবচেয়ে পঁচা আপেলটাকে দেখেও তুমি এভাবে কথা বললা কেন? জানো তুমি কেমন লুচ্চা সে?❞
আপু হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে বলল,
❝তাতে কি? আমার সাথে তো কিছু করল না!❞
❝করেনি? করেনি? গায়ে পড়ে কথা বলল, জোর করে রিকশা ডাকলো, ড্যাবড্যাব করে চেয়ে রইল, সেটা কিছু না?❞
❝ওরকম কতজনই তো তাকায় রে! আর রিকশা ডেকে উপকারই তো হলো, নাকি?❞

আমি চুপ থাকলাম। যখন বেপারী টাওয়ারের সামনে আসার পর মামা বলল,
❝আম্মা, মাত্র বিশ ট্যাকায় হয় না। তিরিশ ট্যাকা ভাড়া। ভাইজান দেইখা কই নাই। তিরিশ ট্যাকা না দিলে পোষায় না!❞
আপু একটা দশ টাকার নোট বের করে উনার হাতে দিল। আমি রিকশা থেকে নেমে বললাম,
❝এই দেখ, সে জেনেশুনে জোর করে কম দিয়েছে! আবার এটা তো জুলুমও হলো, না? এখন এই লোক যদি না বলত, আমরাও কি টাকা দিতাম?❞
❝রিলাক্স তুতুন! আমরা মাত্র দশ টাকা দিয়েছি। বাকি বিশ টাকা তো বেঁচে গেল, নাকি?❞
❝ইশ! বিশ টাকা বাঁচলেই বা কি! নিজেদের ভাড়া নিজেরাই দিতাম, তাও তো ভালো!❞
আপু সিনেমার সুন্দরী নায়িকাদের মত ঝলমলে দাঁত বের করে হেসে আমার হাত ধরে টেনে নেয়। তারপর নানারকম খাবারের লোভ দেখিয়ে থামিয়ে দেয়। আমিও থেমে গিয়ে আপুর দিকে চেয়ে থাকি। একদিন আমি ঠিক আপুর মত সুন্দরী হয়ে যাবো। তখন শুভ অশুভ, কত কে ঘুরে বেড়াব! কিন্তু আমি কাউকে পাত্তা দিব না। একদম ছুঁড়ে মারব, হুহ!

পরদিন সকাল সকাল আপু বেরিয়ে গেল। ওর ভার্সিটিতে নাকি বিশেষ প্রোগ্রাম আছে। আমি তখন পড়ছিলাম, কোচিং এ আজ পরীক্ষা। আপুকে দৌড়ে গিয়ে কানে কানে বললাম, শুভ ভাইয়াকে দেখলে যেন ভুলেও না থামে। নাহলে অনর্থ হয়ে যাবে একদম!

পড়ার টেবিল থেকে উঠে এসে জানালার কাছে আসলাম সামনের বিল্ডিং এর এক পাশ দিয়ে খোলা আকাশ কিছুটা দেখা যায়। এই এলাকা এখনো বিল্ডিংয়ে পুরোপুরি ভরে উঠেনি। তাই আমি এই এক চিলতে আকাশ উঁকি মেরে দেখি, আমার একান্ত একার আকাশ। হুট করে উপরে চোখ যেতেই এই প্রথম খেয়াল করলাম সেখানে দাঁড়িয়ে আছে শুভ ভাইয়া, দৃষ্টি এদিকেই। আমি যেমন উনাকে দেখে চমকে গেলাম, উনিও কেমন একটা চমকে চোখ ঘুরিয় ফেললেন। হাতের সিগারেটটা জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে সরে গেলেন। আমিও সরে আসলাম। এই লোক কি এখানে দাঁড়িয়ে ইচ্ছা করে তাকিয়ে থাকে? কতক্ষণ চেয়ে ছিল? আগে তো কখনো দেখিনি উনাকে এভাবে দেখতে! আমার এবার বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে গেছে। এখন থেকে শান্তিমতো জানালায়ও দাঁড়াতে পারব না, আশ্চর্য!

পরদিন বিকালে সে আমাকে দরজার সামনে আটকালো। আমাকে সে সবসময় উল্টাপাল্টা নামে ডাকে, বিশেষ করে তেঁতুল ডাকে। এই নাম শুনলে রাগে মন চায় শরীরের সর্বশক্তি প্রয়োগে তার গলা টিপে ধরে ঠোঁট জোড়া সেলাই করে দিই! আমাকে দরজার সামনে আটকে আপুর ব্যাপারে জেরা করছে। আমি জানতাম তার চোখ আপুর উপর পড়ে আছে। আপুর দিক থেকে মেয়েরাই চোখ সরাতে পারে না, সেখানে সে হলো এলাকার সবচেয়ে লুচ্চা ছেলে, তার উপর বিশ্বপ্রেমিক! আমি উল্টাপাল্টা জবাব দিলেই বলে, আমাকে নাকি মারবে। তর্ক করতে করতে এক পর্যায়ে বলেই ফেললাম যে, আমি জানি সে যে প্রেম করে। এক সময় আমি কেঁদে ফেললাম। উনি যেন কেমন করে তাকালেন। আমি তাকে অপমান করে বাসায় ঢুকে গেলাম। আমকে বলে কিনা, আমি কিস দেই মানুষকে?! ছিঃ! অসভ্য নোংরা কোথাকার! জঘন্য মানুষ! আল্লাহ জানে এই লোক কত্ত খারাপ! রাগ হচ্ছে খুব। কেন আমাদের পাশের বাসায় ভালো কেউ থাকলো না? কেন তাকেই আমাদের পাশের বাসায় থাকতে হবে? একটা ভালো ভাইয়াও তো থাকতে পারত, যে কিনা আমার সাথে ভালো ব্যবহার করত, আমাকে মিষ্টি স্বরে তুতুন ডাকত! অথবা কিছুই না করত, না জ্বালাত, না বকত! কেন হলো না? কেন? এই ভাইয়াটাকে একটা উটকো ঝামেলা মনে হয় আমার সবসময়।

নির্বিঘ্নে কিছু দিন পার হলো। আমি ল্যাব আর কোচিং-এর পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আমার অন্য কোনো দিকে তাকানোর সময় নেই। আমার কলেজের বান্ধবীরা সবাই খুব ভালো। আম্মু আমাকে সাবধান করে দিয়েছে, প্রেমে জড়ালে আমাকে জবাই করে নদীতে ভাসিয়ে দিবে। আম্মুর দ্বারা সেটা সম্ভব। আমিও তাই আমার কোনো বান্ধবীকে প্রেম করতে দেই না। আমাদের চারজনের মধ্যে সবাইই পড়াতে খুব ভালো। ছেলেদের দিকে একদম মনোযোগ দেই না কেউ। তবে আজকাল প্রীতির মন একটু উড়ু উড়ু করছে। ওর মামাতো ভাই প্রায়ই বাসায় আসে, এটা ওটার বাহানায় ওর সাথে গল্প করে। ভাইয়াটা দেখতে সুন্দর আছে, চাকরিও করে। প্রীতি সেদিকে গলতে শুরু করেছে বোধহয়। আমরা সবাই চোখ রাঙানি দিয়ে রেখেছি। প্রেমে জড়ালে বন্ধুত্ব থেকে বাদ করে দিব, আর কোনো কথা হবে না। আমরা চারজন প্রমিজ করেছি, ভালো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার আগে পর্যন্ত কেউ প্রেমে জড়াবো না। আগে ভর্তি হবো, এরপর কি করব দেখা যাবে।

সকাল নয়টার দিকে কোচিং এ যাই। কোচিং থেকে সাড়ে দশটায় এসে কাপড় বদলে কলেজে যাই। আজকেও বাসায় এসে কাপড় বদলে নিলাম। ক্যালেন্ডারের পাতায় দেখলাম, বৃহস্পতিবার। এই দিনটা আমাদের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীদের জন্য আনন্দের খুব, কারণ দুটো অফ পিরিয়ড থাকে। এই সময়টা অবশ্য অনেক দ্রুত চলে যায়, তবুও এটা আনন্দের। এরকম সপ্তাহের অন্যান্য দিন গুলোয় কখনো পাই না! আমি আজকে কলেজে কি করব, তা ভাবতে ভাবতে রাস্তা পার হচ্ছিলাম। অন্য মনস্ক হওয়ায় কিনা জানি না, বাইকের সাথে ধাক্কা লেগে আমি ছিটকে পড়লাম। কাঁধে আর হাতে প্রচন্ড আঘাতে কাঁদতে পারলাম না। ধীরে ধীরে জ্ঞান হারাচ্ছি। আশেপাশে অনেক মানুষের অস্তিত্ব টের পাচ্ছি। কে যেন রক্ত রক্ত বলে চেঁচাচ্ছে। আমার শরীর থেকে কি রক্ত পড়ছে? কি হয়েছে আমার ঠিক? ভাবতে ভাবতে অন্ধকারে ডুবে গেলাম।

…………………

গত কয়েক দিন ধরে মনে মনে অনেক কিছু ভেবেছি কণাকে নিয়ে। ওর বাসায় গিয়ে কি করব, কি করব না, সেসব ভেবে ভেবে সময় পার করে দিয়েছি। প্রথমে ভেবেছিলাম, কণা অভিমানের ভারে রাজি হয়েছে আমাকে বাসায় আসতে দিতে। ফোনে কথা বলে বুঝলাম, ও অনেক ভেবে চিন্তেই রাজি হয়েছে। ও নিজেও চায় আমাদের সম্পর্কটা পরের পর্যায়ে নিতে, আরও গভীর করতে। আমার অবশ্য আপত্তি নেই। কি এক মানসিক উত্তেজনায় উদ্বেলিত, তা কাউকে যদি দেখাতে পারতাম! এখনো কোনো বন্ধুকে এ ব্যাপারে কিছু বলিনি, সামনেও কিছু বলব কিনা জানি না। দেখা যাক কি হয়!

আমি বেশ তৈরি হয়ে বের হলাম। হ্যাঁ, আসার আগে ফার্মেসিতে ঢুঁ মেরে আসলাম। এখানকার ছেলেটা আমাকে চেনে, তাই আগে থেকেই সে একটা প্যাকেট আলাদা করে রেখেছিল, আমি যেতেই আমার হাতে গছিয়ে দিল। আমি পকেটে পুরে আয়রন করা শার্টের ভাঁজ কারণ ছাড়াই সোজা করতে থাকলাম। এ যেন নিজের সাথে নিজের লুকোচুরি। বাসের কাছে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম। আজও কি বাসে করে যাবো? এখান থেকে কণাদের বাসায় যেতে লোকাল বাসে করে যেতে হয়। কিন্তু বাসে করে গেলে যদি পারফিউমের ঘ্রাণ চলে যায়? যদি ভীষণ ঘামাই? যদি কণা আমার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পায়? বিছরি ব্যাপার হবে! এর চেয়ে সিএনজি নিয়ে নিই।

কণার জন্য উপহার হিসেবে দামী এক বাক্স চকলেট কিনেছি। এই চকলেটও গলে যেতে পারে যেতে যেতে। সিএনজিই উপযুক্ত হবে। বিদেশী চকলেটের দাম সম্পর্কে আমার ধারণা ছিল, আজ একেবারে চোখ কপালে উঠেছে! এত দাম দিয়ে কি খায় মানুষ? চেখে দেখা দরকার তো! সোনা দিয়ে বাঁধানো থাকে নাকি আজব?!

সিএনজি নিয়ে সড়কে চলে এসেছি। এই সময় সামনে একটা জটলা দেখা গেল। এই জটলা আবার এখানে কোত্থেকে এলো? আমার এমনিই দেরী হয়ে যাচ্ছে। বিরক্তিতে আমার মুখে বেশ কিছু ভাঁজ ভেসে উঠেছে। মামা এক লোককে ছুটতে দেখে জিজ্ঞাসা করল জটলার কারণ। সে ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল,
❝এক কলেজের মাইয়ারে বাইক ধাক্কা মারছে। মাইয়ার কান্দের থেইকা হাত মনে হয় ছুইট্টা গেছে!❞

সিএনজি ওয়ালাকে বেশ আতংকিত ও উৎসাহী মনে হলো। আমারও খারাপ লাগছে, কিন্তু মাথায় আমার কণার সাথে একান্তে সময় কাটানোর উত্তেজনা। ওদিকে সিএনজি ওয়ালাকে দেখে মনে হচ্ছে, সে বোধহয় ভুলে গেছেই গাড়িতে যাত্রী আছে। সে বোধহয় নেমে ওখানে দৌড়ে যাবে। আমি দ্রুত বললাম,
❝মামা, বাদ দাও তো, চলো। এইখানে বসলে হইব না, আমার তাড়া আছে মামা!❞

অনিচ্ছা সত্ত্বেও সে একটু ঘুরিয়ে সিএনজি চালালো। আমি এক চিলতে দেখলাম একটা কলেজের সাদা কেডস, তাতে রক্ত লাগানো। তুতুন এরকম কেডস পরে। হয়ত ওর কলেজের কেউই হবে! আমার ভেবে কাজ নেই, ঘড়িতে এগারোটা বাজবে বলে। আমার এখন কণার বাসায় পৌঁছানো বেশি জরুরি, বাকি সব যা খুশি হয়ে যাক!

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here