শুভ বিবাহ পর্ব-১৬

0
974

#শুভ_বিবাহ
লেখা #AbiarMaria

১৬

আমি যখন কণাদের বাসার সামনে নামলাম, তখন বাকরুদ্ধ হয়ে গেলাম। এত বড় বাসায় থাকে?! এ তো রীতিমতো ভিলা! আমি জানতাম ওদের ধানমন্ডি বাড়ি আছে, তাই বলে সেটা এত বড় হতে হবে? এত আলিশান? এই বাড়িতে গাড়ি কয়টা? আর কাজের লোক? কত একর জমিতে এই বাড়ি? এত বড়লোকের মেয়ের সাথে আমি প্রেম করি? নিজেকে কেমন ফকিন্নি মনে হতে থাকল, যেন আমি ভিখিরি কোনো। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আত্মবিশ্বাস কমে যাচ্ছে। যেখানে কণার বাবার এত বড় সম্পত্তি, সেখানে আমাদের মফস্বলের বাড়িতে টিনের বাড়ি তোলা, ঢাকায় আমরা ভাড়াটিয়া।

কয়েক সেকেন্ড পর মনটা ভরে উঠল। শুভ একটা মফস্বলের সামান্য ছেলে হয়েও এত বড়লোকের মেয়েকে পটিয়ে ফেলেছে! এ কি চাট্টিখানি কথা? নিশ্চয়ই আমার মাঝে অনেক বড় কিছু আছে। না থাকলে কি এত সম্পদের মাঝে থেকেও এত বড়লোকের মেয়ে আমার প্রেমে পড়ে? কয়েক সেকেন্ড আগে যেখানে কনফিডেন্স লো হচ্ছিল, এখন সেটা সামনের আলিশান বাড়ির চেয়েও বড় আকার ধারণ করল। নিজের প্রতি নিজের গর্ববোধ হচ্ছে।

গিফট নিয়ে ওদের গেটে যেতেই দারোয়ান দরজা খুলে দিল, একটা প্রশ্নও করল না। দারোয়ান কি জানে আমার আসার কথা? পুরো বাসার সবাই কি জানে? আনমনে বাম পাশের প্যান্টের পকেটের উপর দিয়ে হাত বুলালাম। এত মানুষ যদি আমার কথা জানে, তাহলে যা ভাবছি, তা করতে গিয়ে কি ঝামেলায় পড়ব? ভাবতে ভাবতে ওদের ভিলার দরজার সামনে দাঁড়ালাম। হাত দিয়ে ধাক্কা দিতেই সেটা খুলে গেল। ভেতরে কেউ নেই। পুরো ফ্লোর খালি। মেঝেতে দামী টাইলের কাজ করা, সামনে একটা ঘুরানো মার্বেল পাথরের সিঁড়ি, রেলিংগুলো কাঠের। ডান দিকে বোধহয় রান্না ঘর, ওখান থেকে দুজন মানুষের কাজের শব্দ আসছে। বাঁ দিকে বিশাল বসার ঘর। রান্নাঘর বাদে আর কোথাও কেউ নেই বোঝা যাচ্ছে। আমি চারদিকে দেখতে থাকি। কি সুন্দর রাজকীয় ভবন। আমার পরিবারের কেউ এমন বাড়িতে থেকেছে কিনা সন্দেহ। নিজের কাছে স্বীকারে দোষ নেই, আমার চোখ লোভে চকচক করছে। কণাকে সত্যি সত্যি বিয়ে করলে ওর বাড়িতেই থাকব আমি। ও তো বাবা মায়ের একমাত্র মেয়ে, বাড়িটা আমিই পাবো! আহ! ভেতরে লোভ চেপে বসেছে। ঘাড় ঘোরাতে ঘোরাতে সিঁড়ির উপর দিকে চোখ গেল, সেখানে কণাকে দেখলাম। কণা ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসছে। রেড কার্পেটে যেমন সেলিব্রেটিরা সিঁড়ি বেয়ে নেমে আসে ধীর পায়ে, ঠিক সেভাবে। ওর পরনে একটা স্নিগ্ধ গোলাপী জামদানী, কাঁধের উপর চুল গুলো ছুঁয়েছে কেবল, কানে ছোট দুল, হাতে চুড়ি, গলায় একটা বড় মালা ঝুলছে। ওকে নামতে দেখে আমি জমে গেলাম। ওর ঠোঁটের কোণের মুচকি হাসি বলে দিচ্ছে, আমার থমকে যাওয়া দেখে ও খুব আনন্দ পাচ্ছে। আমার হাত পা সত্যিই কাজ করছে না, এত সুন্দরী কেন লাগছে ওকে?

কণা আমার সামনে চুটকি বাজালো। আমি তবুও ওর দিকে চেয়ে রইলাম। ইচ্ছে করছে এখনই ওকে জড়িয়ে ধরে চকাস করে চুমু খেয়ে নেই। আমার ভেতরের কামনায় তাড়িত সত্ত্বা ঝপ করে বেরিয়ে আসার ঠিক আগ মুহুর্তে ও আমাকে কণা আমার হাত ধরে টেনে বলল,
❝এত দেরী করলে কেন? তোমার তো ঠিক এগারোটায় আসার কথা। ববিশ মিনিট লেট তুমি। আমার বুঝি অপেক্ষা করতে কষ্ট হয় না? মনে হচ্ছে সারাজীবন কষ্টই দিয়ে যাবে!❞

হাত ধরে আমাকে ও নিজের ঘরে নিয়ে আসলো। কি বিশাল বেডরুম রে বাবা! আমাদের বাসা পুরোটাই বুঝি এই এক ঘরে এঁটে যাবে! বিয়ে হলে ওকে নিয়ে আমাদের বাসায় যেতে পারব? ঐ মুরগীর খোপের মত ঘরে ও কি করে থাকবে? বিয়ের পর আমরা এখানেই থাকব।

মাত্র কয়েক সেকেন্ড পর আবার কণাকে নিয়ে ভাবতে থাকলাম। ওর জামদানীর স্বচ্ছতা ভেদ করে মেদহীন কোমর নজরে আসলো। কণা এখনো আমার হাত ধরে টানছে। ও আমাকে কোথায় নিচ্ছে? ইচ্ছে হচ্ছে ওকে নিজের সাথে চেপে ধরে সোজা বিছানায় চলে যাই! আমার ভাবনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে ও আমাকে নিয়ে ওর বারান্দায় চলে এলো। এটাও অনেক বিশাল, বলতে গেলে আমাদের একটা বেডরুমের সমান। গাছপালা দিয়ে খুব সুন্দর করে সাজানো দুই কোণা সাজানো। একটা টি টেবিল আর দুটো চেয়ারও আছে এক পাশে। ছাদ থেকে কিছু উইন্ডচাইমও ঝুলছে। আমি সব বাদ দিয়ে ওর দিকে পূর্ণ দৃষ্টি দিলাম। কণা লজ্জায় নিজের ভেতর কুঁকড়ে যাচ্ছে। কন্ঠ নিচু করে বলল,
❝কি দেখছ?❞
❝তোমাকে!❞
ওকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে জড়িয়ে ধরলাম। ওর ওষ্ঠজোড়ায় নিজের দখল নিতে নিতে উন্মুক্ত পৃষ্ঠদেশে দুহাতের আনাগোনা বাড়িয়ে দিলাম।

একটু পরেই দরজায় কারো আওয়াজ পেয়ে দুজন রীতিমতো ছিটকে সরে গেলাম। একজন মধ্যবয়সী নারী এসে বললেন,
❝আপনার চা❞
কণা মুখে হাত চেপে পাশের টেবিলে রাখতে বলল। মেইড চা দিয়ে যাওয়ার পর আমি ওর দুহাত চেপে ধরলাম।
❝চা খাবো না এখন?❞
❝তাহলে কি খাবে?❞
আমি অসভ্য ইঙ্গিত করলাম। কণা তবুও জোর করে আমাকে চা খেতে বসালো। চা হাতে নিয়েও আমি কণাকে দেখছি। ও কি ইচ্ছা করে আজ এমন শাড়ি পরেছে? আমাকে ওর প্রতি আকর্ষিত করাই কি ওর মূল উদ্দেশ্য? কণা হাত নেড়ে নেড়ে কি যেন বলছে, আমি কিছুই না বুঝে মাথা নাড়ছি আর চায়ের স্বাদ নিচ্ছি। অথচ না কথা বুঝতে পারছি, না চায়ের স্বাদ। আমি আটকে আছি ওর স্বচ্ছ শাড়ির পেছনের দেহে, গভীরভাবে আটকে গেছি।

আমার অবস্থা কণা বুঝতে পারলো। ও চায়ের কাপ রেখে আমাকে টেনে ওর শোবার ঘরের দিকে আগালো। আমি জানি, আজকের দিনটা আমার সেরা দিন হবে!

…………….

আমি আলতোভাবে টের পাচ্ছি, আশেপাশে কান্নার শব্দ, ফিনাইলের তীব্র গন্ধ, গরম, ক্লান্তি, অবসাদ আর অন্য এক পৃথিবীর অস্তিত্ব যেখানে আমি আগে কখনো বিচরণ করিনি। চোখে খোলার চেষ্টা করেও পারছি না, যেন সব শক্তি শুষে নিয়েছে কেউ। ধীরে ধীরে অনুভব করতে পারছি, শরীর জুড়ে প্রচন্ড ব্যথা, বিশেষ করে ডান দিকে। আমি চোখ খোলার চেষ্টা করতে থাকলাম। অনন্তকাল ধরে সেই চেষ্টায় সফল হয়ে যখন আশেপাশে দেখলাম, তখন আম্মুর কান্নারত মুখখানা চোখে পড়ল, তবুও ঝাপ্সাভাবে। আমি কয়েকবার চোখ পিটপিট করে দৃষ্টি কিছুটা পরিষ্কার করলাম। আমার ডান পাশে বসে আম্মু মুখে ওড়না চেপে কাঁদছে। আমার মাথায় সে হাত বুলাচ্ছে। আমি চোখ ঘুরিয়ে আব্বুকে আম্মুর পেছনে আবিষ্কার করলাম, তার চোখেও অশ্রু ছিল বোধহয়, ভেজা ভেজা নয়নে আমাকে দেখছে। আমার বুকের ভেতর এবার ব্যথা শুরু হলো, কি যেন একটা চেপে ধরল। আব্বু আম্মু কেন আমার দিকে ফিরে কাঁদছে? আমি তখন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গিয়েছিলাম, মনে পড়ছে। আমার কি খুব খারাপ কিছু হয়েছে? নাকি ওরা এমনিতেই কাঁদছে? মাথা নাড়িয়ে বাম দিক ফেরাতে দেখলাম, সেখানে আরও অনেকে আছে। তার মাঝে একজনের উপর চোখ আটকে গেল। এই লোক এখানে কেন?

ওরা সবাই কি কি যেন বলছে। বড় মামা বেরিয়ে গিয়ে ডাক্তার নিয়ে ফিরল। ডাক্তার আর আরেকজন নার্স আমাকে কাছ থেকে দেখল, আমার ডান দিকে কিছু একটা দেখল। আমি ঝুঁকে খেয়াল করলাম, কাঁধ থেকে পুরো হাত প্লাস্টার করা। ডাক্তার আমার দিকে হেসে বললেন,
❝তোমার মত স্ট্রং মেয়ে খুব কম দেখেছি। কিছুই হয়নি তোমার, শুধু একটু ব্যথা পেয়েছ। খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে?❞
আমি মাথা নেড়ে নিষেধ করলাম। নার্সকে উনি ইশারা করলেন অক্সিজেন খুলে দেয়ার জন্য। তারপর তিনি হেসে বললেন,
❝কিচ্ছু হবে না তোমার, একদম ভয় পাবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে, কেবল ধৈর্য্য ধরতে হবে❞

আব্বুর সাথে তারপর উনি কি কি যেন কথা বলে বেরিয়ে গেলেন। আম্মু কাছে এসে ইনিয়েবিনিয়ে অনেক কিছু বলছেন। আম্মুর কথা আমি বুঝতে পারছি না। তবে মনে হচ্ছে, এক্সিডেন্ট আমার হয়নি, আম্মুর হয়েছে। আমার কান্না করতে ইচ্ছা করছে, কাঁদতে কাঁদতে মরে যেতে ইচ্ছা করছে। কিন্তু মরার আগে আমি জানতে চাই, এই লোকটা এখানে কেন? এই অশুভ লোকটা এখানে ঠিক করছে? সে আবার কি অশুভ ঘটনা ঘটিয়েছে?

কিছু সময় পর আমার ক্ষুধা লাগলো বলে আম্মু আমাকে পাউরুটি আর ডিম খাইয়ে দিচ্ছে। কেন যেন এই অপছন্দের খাবারটা ভীষণ আপন লাগছে। আচ্ছা, আজ যদি আমি মরে যেতাম? তাহলে কি এরকম অপছন্দের জিনিসগুলো মিস করতাম? আম্মু কি আরও কাঁদত? আব্বু মামা চাচা? সবাই কাঁদত? ইসাবেলা আপুও একটু আগে এসেছে। আমাকে দেখে খুব কান্নাকাটি করল। অন্য কাউকে হাসপাতালে দেখতে আসলে আমিও বোধহয় এভাবে কাঁদতাম, হাউমাউ করে। কিন্তু এখন পারছি না। আসছে না কান্না। আমার বোধহয় শক্তি শেষ হয়ে গেছে। শক্তি হলে আমিও কাঁদব।

অবাক কান্ড, আজকে শুভ ভাইয়া ইসাবেলা আপু দেখেও কিছু বলল না, বরং এক কোণায় দাঁড়িয়ে থেকে একটু পর পর মুখ তুলে আমাকে দেখছে। ইসাবেলা আপুর নাকি তাড়া আছে, তাই আমার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিল। যাওয়ার আগে শুভ ভাইয়াকে হাত জোড় করে ধন্যবাদ দিল। আমি বুঝলাম না, উনাকে কেন ধন্যবাদ দিচ্ছে আপু? উনিও বা এখানে কেন? প্রশ্ন গুলো মাথায় ঘুরপাক খেলেও কাউকে করতে পারলাম না। ইসাবেলা আপুর সাথে শুভ ভাইয়াও বেরিয়ে গেল। তবে তার চেহারা বিমর্ষ, শুকনো। যেন উনার আপন কারো ক্ষতি হয়েছে। আমি তো শুভ ভাইয়ার আপন কেউ না। তাহলে?

…………..

আম্মুর ফোন পেয়ে আমি কণার বাসা থেকে রীতিমতো পালিয়ে আসলাম। আমার দেখার সময় নেই কণা কি ভাবল, কি করল। ওকে কোনোমতে বলেছি, আমার যেতেই হবে।

ফোনে আম্মু যখন বলল, তুতুন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, ওর অনেক রক্ত লাগবে, তখন আমি চমকে গেলাম। আম্মুকে জিজ্ঞাসা করে যখন জানলাম, তুতুন আমাদের বড় সড়কে এক্সিডেন্ট করেছে আর ওর কলেজ হলিক্রস, তখন আমার মাথায় আগুন ধরে গেল। চোখের কোণা দিয়ে আবছাভাবে সাদা ইউনিফর্মে লাল রক্তে ভেসে যাওয়াটি তো চোখে পড়েছিল, জুতো জোড়াও তো তেমনই ছিল, তবুও কেন আমি একবারও নেমে দেখার চিন্তা করিনি?

এক লাফে উঠে নিজের কাপড় ঠিক করে দিগবিদিক শূন্য হয়ে বেরিয়ে আসি। আমার বারবার মনে হচ্ছে, আমার অবহেলার কারণে বোধহয় ও মারা যাচ্ছে, কিংবা গেছে! আমি ছুটতে ছুটতে হাসপাতালে পৌঁছাই। ওকে ততক্ষণে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেছে। অপারেশন হবে আর রক্ত লাগবে। বি পজেটিভ। সহজলভ্য হলেও ডাক্তাররা ফ্রেশ রক্ত চায়। আমার রক্ত বি পজেটিভ। আমি ওকে রক্ত দিতে রাজী হয়ে গেলাম। বার বার মনে হচ্ছে, ঐ সময় কেন সিএনজি থেকে বেরিয়ে এসে দেখলাম না? কেন? আমি যদি না ফেলে আসতাম, হয়ত ক্ষতি কিছুটা কম হতো! আমার শরীর জ্বলছিল, কষ্ট লাগছিল। কেন তুতুনের জন্য আমার এত কষ্ট লাগছে জানি না। হয়ত অপরাধবোধ। তাইই হবে!

আরও দুই ব্যাগ রক্ত ম্যানেজ করলাম বন্ধুদের থেকে। তুতুনের ঐ এক ব্যাগেই কাজ হলো, আমার এক ব্যাগ রক্ত। তুতুনের ডান হাত এর কাঁধের জয়েন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হাতের আঙুলও দুটো ভেঙেছে। কনুইও। বলা যায়, ওর হাতের হাড় গুলোআ কয়েক টুকরো হয়ে গেছে। সবার কান্নায় হাসপাতালের পরিবেশ দমবন্ধকর হয়ে উঠেছে। আমি বেরিয়ে এসে একটা সিগারেট ধরালাম। পকেট থেকে ফোন বের করে খেয়াল করলাম, কণার বিশটার বেশি কল আর টেক্সট। কেন যেন ওর সাথে কথা বলতে ইচ্ছা করছে না। ওর জন্যই আজকে এমন একটা কাজ করলাম। এখন প্রচন্ড অপরাধবোধ হচ্ছে। ওর দোষ সব। নিশ্চয়ই ওর দোষ সব।

হাসপাতালে গিয়ে শুনলাম তুতুনের অপারেশন শেষে কেবিনে দিয়েছে। ওর কেবিনে ঢুকে ওকে চুপচাপ দেখলাম। যতই দেখছি, ততই খারাপ লাগছে। এতটা অমানুষ আমি কি করে হয়ে গেলাম? যখন তুতুনকে নিয়ে সবাই টানাটানি করছিল, ওকে হাসপাতালে নিয়ে আসছিল, তখন আমি ঠিক কি করছিলাম? কোনো এক অজানা কারণে আমার ভেতরটা বিষন্নতায় ছেয়ে গেছে। তুতুনের ক্ষতির কারণ আমার নিজেকে মনে হচ্ছে। আদৌ কি তাই? জানি না, জানতে ইচ্ছা করছে না।

আমাকে ওর বাড়ির মানুষরা রক্তের জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছে। ওরা কি জানে, ওকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে আমি আমার প্রেমিকার বাহুডোরে আবদ্ধ হবার লোভে দৌড়ে গেছি? ওরা কি এসব কখনও জানবে? কেউ জানবে না।

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here