শেষ ইচ্ছে পর্ব-৫

0
653

#শেষ_ইচ্ছে
#লেখিকা_সামিয়া_বিনতে_হামিদ
পর্ব-০৫

১৪।
হীরা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে স্মরণের দিকে। স্মরণ অনেক কথায় বলে যাচ্ছে। কিন্তু হীরা তো স্মরণকে দেখতে ব্যস্ত। আর স্মরণের কথাগুলো তো রেকর্ড হয়েই যাচ্ছে। কারণ সে ফোন রেকর্ডার অন করে রেখেছে, তার প্রিয় মানুষটির প্রতিটি বাক্য আর দীর্ঘশ্বাসের শব্দ ধারণ করার জন্য। তাই হীরা আপতত স্মরণকে মন ভরে দেখে নিচ্ছে। কারণ তাকে সামনাসামনি কি আর কখনো দেখার সুযোগ পাবে হীরা? আর রেকর্ডগুলো অর্থাৎ স্মরণের কথাগুলো তাকে হারিয়ে ফেলার পরও শুনা যাবে। কিন্তু আজই তো তার আর স্মরণের শেষ দেখা। এরপর তো চাইলেও স্মরণকে আর কাছে পাওয়া যাবে না। তখন কিভাবে এই ভুবন ভোলানো হাসিটা দেখবে সে? কিভাবে এই মায়া মাখা মুখটা তার চোখের সামনে আনবে? এখন স্মরণ তো তার নাগালের বাইরে চলে গেছে। সে যুদ্ধ করলেও আর স্মরণকে নিজের করে আগলে রাখতে পারবে না। তাকে নিজের করে রাখা একেবারেই অসম্ভব কল্পনা। এই কল্পনা ভুলেও সে করবে না। কারণ স্মরণ তাকে শিখিয়েছে, কিভাবে বাস্তবতা মেনে নিতে হয়।

স্মরণের হাতের ঝাঁকুনি খেয়ে হীরা নড়েচড়ে বসলো। স্মরণ বললো,
“কি হলো, হীরা? তুমি আজ এতো ভোলা মনের হয়ে গেলে যে?”

হীরা হেসে বলল,
“তোমাকে দেখছি তাই। তুমি তো জানোই আমি একসাথে দুটো কাজ মনোযোগ দিয়ে করতে পারি না। এখন তোমার কথাগুলো সব কানে ঢুকাতে গেলে, তোমাকে দেখা মিস হয়ে যাবে।”

স্মরণ চোখ ছোট করে বলল,
“তাহলে আমি চুপ করে থাকি। তুমি আজ পুরো দিন শুধু আমার দিকেই তাকিয়ে থাকো।”

হীরা ব্যস্ত কন্ঠে বলল,
“আরেহ, না না। কি বলছো, কি তুমি? তোমাকে আজ অনেক কথা বলতে হবে। নয়তো আমি কি নিয়ে বাঁচবো?”

স্মরণ হীরার কথায় মলিন মুখে বললো,
“এভাবে বলছো কেন, হীরা? এসব বাঁচা-মরার কথা কেন আসছে?”

“স্মরণ, তুমি এসব কথা বাদ দাও। তুমি এমনিই কথা বলো তো।”

“তুমি আমার কথায় শুনছো না। তাহলে আমি এমনি এমনি কি বলবো? আমি কি মূর্তির সাথে বসে আছি?”

“আরেহ, আমার মস্তিষ্কে তোমার সব কথা লেখা হয়ে যাচ্ছে।”

“পাগল তুমি? আমাকে সায়েন্স শেখাও? আমার কথা না শুনলে তুমি মনে রাখবে কিভাবে?”

“তুমি আজকেই আমার সাথে ঝগড়া করছো!”

হীরা গাল ফুলিয়ে কয়েক ধাপ সিঁড়ি নিচে নেমে একদম কোণায় গিয়ে বসে পড়লো। স্মরণ হীরার যাওয়ার পানে তাকিয়ে একবার উপরের দিকে তাকালো। দেখলো তার সাথে আসা মানুষ দুটি মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে, তার দিকে তাকিয়ে আছে। তাদের চোখে মুখে বিষ্ময়। তারা কি ভাবছে, তারাই ভালো জানে।

স্মরণ এবার আগের জায়গা ছেড়ে হীরার পাশে গিয়ে বসলো। তারপর হীরার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বললো,
“একদা এক প্রেমিক তার প্রেয়সীর হাসি দেখে অভিভূত হয়ে তাকে বলেছিল, তার হাসি মারাত্মক ভয়ংকর। প্রেয়সী এরপর থেকেই হাসির কথা শুনলেও হাসতো না। হাসি আটকানোর জন্য ঠোঁটটা দাঁত দিয়ে চেপে রাখতো। কখনো কখনো সেই হাসি আড়াল করার জন্য মুখটা ঢেকে ফেলতো তার কোমল হাতের তালু দিয়ে৷ অথচ সত্যটা ছিলো, প্রেয়সীর হাসিটাই ছিল সেই প্রেমিককে ঘায়েল করার প্রথম অস্ত্র। আর আজ সেই প্রেয়সী মুখটা চিংড়ির মতো বাঁকিয়ে বসে আছে।”

হীরা চোখ বড়ো বড়ো করে বললো,
“তুমি কি বললে? আমার মুখটা চিংড়ি মাছের মতো?”

স্মরণ মাথা নেড়ে বলল,
“ভুল বললে। চিংড়ি মাছ নয়, একটা পোকা। তাই চিংড়ি পোকা বলে তাকে অসম্মান না করে, শুধু চিংড়ি বললে ভালো হয়।”

হীরা রাগী কন্ঠে বললো,
“তুমি এই মুহূর্তে আমাকে এসব জ্ঞান দিও না তো। ক্ষিধে পেয়েছে খুব।”

“ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি। সুকান্ত ভট্টাচার্য এই বাক্যটি দ্বারা কি বুঝিয়েছেন, জানো?”

হীরা মুখ বাঁকিয়ে বলল,
“হ্যাঁ, জানি। তিনি বুঝিয়েছেন, ক্ষিধে পেলে প্রেমিকের জ্ঞান হয়ে পড়ে অর্থহীন, প্রেমিকার মাথায় ঢুকে না কোনো রসিকতা।”

“বাবারে, তুমি তো দেখছি দারুণ খাদক!”

“যেভাবে বলছো, মনে হচ্ছে আজ প্রথম জেনেছো? তুমি ভালো করেই জানো, আমি ক্ষিধে সহ্য করতে পারি না। এখন কথা না বাড়িয়ে যারা তোমার নজরদারি করছে, তাদের বলো দুপুরের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে।”

“বাব্বা, এভাবে অর্ডার দিলে তো তারা আমাকে এই নদীর জলে ডুবিয়ে মারবে।”

“সমস্যা নেই, আমি সাঁতার জানি। তোমাকে উদ্ধার করে ফেলবো।”

১৫।

স্মরণের উপর নজর রাখার জন্য মোট সাতজন দীর্ঘদেহী লোককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্মরণকে চোখে চোখে রাখার জন্য তাদের কড়া ভাবেই আদেশ দিয়েছে উপর মহল। কিন্তু এই সাতজনই আপতত বুঝে ফেলেছে, আর যা-ই হোক না কেন, স্মরণ পালিয়ে যাবে না। তাই নজরদারিতে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব দেখা যাচ্ছে। সাতজনের মধ্যে দুইজন গাড়িতে বসে ঝিমুচ্ছে। বাকী তিনজন দূরে দাঁড়িয়ে কোনো একটা বিষয়ে তুমুল আলোচনা করছে। আর সিঁড়ির মাথায় দাঁড়িয়ে থাকা দুজনই একমাত্র নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

তারা স্মরণকে এগিয়ে আসতে দেখেই বুঝে ফেলেছে সে কেন এসেছে। তাদের মধ্যে একজন গিয়ে গাড়ির ভেতর থেকে দুইটা খাবারের প্যাকেট নিয়ে এলো। স্মরণ প্যাকেট দুটি হাতে নিয়ে বিনয়ীর হাসি দিলো। স্মরণের হাসি দেখে তারা একে অপরের মুখ চাওয়া-চাওয়ি করতে লাগলো।
এরপর স্মরণ শান্ত পায়ে হেঁটে নিচে নেমে গেলো। তারপর হীরার পাশে বসে খাবারের একটি প্যাকেট হীরার হাতে দিয়ে, অন্যটি নিজে খুলতে লাগলো। স্মরণ প্যাকেট খুলে দেখলো সাদা ভাতের সাথে ডাল আর বেগুন ভর্তা। স্মরণ মলিন মুখে হীরার দিকে তাকালো। সে জানে হীরা বেগুন পছন্দ করে না। তার উপর আবার সেটা বেগুনের ভর্তা। আর ভর্তা তো ঝাল হয়েই থাকে। কিন্তু হীরা তো ঝাল সহ্য করতে পারে না।

স্মরণ ক্ষীণ কন্ঠে বললো,
“তোমাকে দুপুরের খাবারটা নিয়ে আসতে বলা উচিত ছিল।”

হীরা স্মরণের দিকে তাকিয়ে বললো,
“তারপর?”

“তারপর আবার কি? তুমি তো খেতেই পারবে না এখন।”

“আচ্ছা, তোমার মনে আছে তুমি আমাকে বলেছিলে তোমার ডাল-ভর্তা খুবই প্রিয়? তুমি সেদিন আরো বলেছিল যদি আমাদের সম্পর্কটা আমাদের পরিবার মেনে না নেয়, তাহলে আমরা পালিয়ে বিয়ে করলেও সমস্যা হবে না। কারণ তোমার ডাল-ভর্তা দিয়েই হয়ে যাবে, আর আমি বলেছিলাম, তুমি যা খাওয়াবে আমি তা-ই হাসিমুখে খেয়ে নিবো। আমাদের অভাবের সংসারে খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। আর আজ দেখো, আমাদের একটা ইচ্ছে পূরণের সুযোগ এসেছে। সৃষ্টিকর্তা হয়তো আমাদের এই ইচ্ছেটা না চাইতেই পূরণ করে দিলেন। আজ হবে আমাদের একদিনের অভাবের সংসার।”

হীরা নদীর বুকে ভাসমান একটা নৌকা দেখিয়ে দিয়ে বলল,
“দেখো স্মরণ, তুমি হচ্ছো ওই নৌকাটির মাঝি। আর আমি হলাম মাঝির গিন্নী।”

হীরা কোমড়ে শাড়ির আঁচল গুঁজে দিয়ে স্মরণের দিকে খাবারের প্যাকেটটি এগিয়ে দিয়ে বলল,
“আর আজ মাঝির গিন্নী নিজ হাতে মাঝির জন্য ডাল আর ভর্তা বানিয়েছে। এখন বাড়ি তো অনেক দূরে, তাই মাঝির জন্য গিন্নী নদীর ঘাটেই খাবার নিয়ে এসেছে। দেখো স্মরণ, আজ আমাদের অভাবের সংসারে কতো শান্তি। প্রকৃতিও বলছে আজকের এই দিনটা শুধু স্মরণ আর হীরার হোক।”

হীরার কথাগুলো শুনে স্মরণের বুকটা ভারী ভারী লাগছে। ইচ্ছে হচ্ছে চিৎকার করে কাঁদতে। অথচ সে কারো কান্না সহ্য করতে পারে না।

স্মরণ নিজের মনকে শান্ত করে মনে মনে বললো,
“না, এভাবে ভেঙে পড়লে চলবে না! আমি ভেঙে পড়লে হীরা তো নিজেকে শক্ত রাখতে পারবে না।”

স্মরণ হাসার চেষ্টা করে বলল,
“তাহলে আমার গিন্নী আজ নিজ হাতে তার সোয়ামির জন্য খাবার রেঁধেছে?”

হীরা ভ্রূ কুঁচকে বললো,
“সোয়ামি?”

“আরেহ, বরকেই তো বলে সোয়ামি। মাঝির গিন্নী কি হীরা দি গ্রেটের মতো সোয়ামির বদলে বর বলবে নাকি তার মাঝিকে?”

হীরা স্মরণকে থামিয়ে দিয়ে বললো,
“মাঝির জ্ঞান কম থাকে, আর এদিকে দেখছি স্মরণ দি জিকে এক্সপার্ট অবতারণ করেছে মাঝির মধ্যে।”

“তোমাকে কে বলেছে মাঝির জ্ঞান কম থাকে?”

“তুমি কি জানো না? জ্ঞান থাকলে কি আর মাঝি হতো!”

“তুমি ওভাবে ভাবছো না, যেভাবে আমি ভাবছি। হয়তো মাঝি হয়েছে কারণ তার নদীর সাথে বন্ধুত্ব।”

হীরা মুখ বাঁকিয়ে বলল,
“আচ্ছা, পড়াশুনা শেষ করে চাকরির পেছনে হন্য হয়ে ছুটতে থাকা মানুষটা এখন আমাকে বলছে নদীর সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য মাঝি হবে। বাহ, বাহ! তোমার এই শখের কথা শুনলে মাঝি সাঁতার ভুলে যাবে।”

স্মরণ হীরার গাল টেনে দিয়ে বলল,
“তোমাকে রেগে গেলে পর্তুলিকা ফুলের মতো মনে হয়।”

“এটা আবার কেমন ফুল?”

“পর্তুলিকা ফুলগুলো আসলে লোকমুখে টাইম ফুল হিসেবে পরিচিত। যেমন ধরো, নয়টার ফুল, দশটার ফুল। এসব ফুলের বিভিন্ন প্রজাতি আছে। আর তুমি হচ্ছো সেসবের মধ্যে একটি। তুমি যখন হাসো, তখন তোমার ঈষৎ হলুদাভ মুখটার চারপাশ লাল হয়ে যায়। একদম সেই পর্তুলিকা ফুলের মতো।”

“তুমি না বললে তুমি ফুল পছন্দ করো না? তাহলে এতো জ্ঞান কিভাবে রাখো?”

“জ্ঞান থাকার জন্য পছন্দ করাটা বাধ্যতামূলক নয়। যেমন তুমি ম্যাথ অপছন্দ করো, তবুও তুমি পরীক্ষায় পাশ করার জন্য ম্যাথ করেছো। ঠিক তেমনি আমি ফুল অপছন্দ করি, তবুও জ্ঞান অর্জনের জন্য ফুল সম্পর্কে জেনে নিয়েছি।”

“এজন্যই আমি তোমাকে মিনি জিকে বুক নাম দিয়েছি। সব সাধারণ জ্ঞান, বিশেষ জ্ঞান, জটিল জ্ঞান তোমার মাথায় আছে। আচ্ছা, এতো পড়াশুনা করে এখন কি লাভ হলো, বলো তো? এখন এই জ্ঞানের কি মূল্য আছে?”

“অন্য কারো কাছে না থাকুক। আমার নিজের কাছে আছে। এই দেখো, তোমার হাসিমাখা মুখটাকে পর্তুলিকার সাথে তুলনা করলাম। জ্ঞান না থাকলে এমন তুলনা কিভাবে করতাম বলো?”

“বাদ দাও এসব কথা। খাবে না তুমি?”

স্মরণ মাথা নেড়ে বললো,
“গিন্নীর হাতের খাবার কি ফেলে দেওয়া যায়?”

“একটা আবদার করি তোমাকে?”

স্মরণ মুচকি হেসে বললো,
“আজ তোমার সব আবদার পূরণ করবো আমি।”

হীরা মায়া জড়ানো কন্ঠে বলল,
“ও মাঝি, আমাকে আজ তোমার হাতে খাইয়ে দেবে? আমি খুব ক্ষুধার্ত। আজ একমাত্র তুমিই আমার ক্ষুধার যন্ত্রণা দূর করতে পারবে। তুমি খাইয়ে না দিলে, আমার পেট ভরবে না।”

স্মরণ মুচকি হেসে বললো,
“এতো মিষ্টি আবদার কি ফেলে দেওয়া যায়?”

১৬।

আজ প্রথম স্মরণ নিজ হাতে বেগুন ভর্তা দিয়ে মেখে হীরাকে ভাত খাইয়ে দিয়েছে। আর হীরাও চোখের পানি নাকের পানি এক করে বহু কষ্টে ভাতগুলো খাওয়া শেষ করেছে। প্রথমত কড়া রোদ, দ্বিতীয়ত ঝাল, হীরার অবস্থা একেবারেই নাজেহাল।

হীরার অবস্থা দেখে স্মরণ তার মন ভোলানোর জন্য তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে কন্ঠে গান ধরলো।

“যখন সন্ধ্যা নেমে জোনাকিরা আসে
আর ফুলগুলো সুবাস ছড়ায় রাতে
তোমার ঘরের পুতুলগুলো তখন
চুপ-অভিমানে ঘরে ফিরে যায় ভাঙ্গা মনে,
তাইতো রাত আমায় বলে,
তুমি ভেঙ্গে পড়োনা এইভাবে
কেউ থাকে না চিরদিন সাথে
যদি কাঁদো এভাবে, তার ঘুম ভেঙ্গে যাবে
ভেঙ্গে পড়োনা এই রাতে
ও চাঁদ, বলো না সে লুকিয়ে আছে কোথায়?
সে কি খুব কাছের তারাটা তোমার?
সে কি করেছে অভিমান আবার?
হঠাৎ সে চলে গেছে, শূন্যতা যেন এ ঘরে..
তাইতো রাত আমায় বলে,
তুমি ভেঙ্গে পড়োনা এইভাবে
কেউ থাকে না চিরদিন সাথে।
যদি কাঁদো এভাবে, তার ঘুম ভেঙ্গে যাবে
ভেঙ্গে পড়োনা রাতে
তুমি ভেঙ্গে পড়োনা এইভাবে
কেউ থাকে না চিরদিন সাথে।
যদি কাঁদো এভাবে, তার ঘুম ভেঙ্গে যাবে
ভেঙ্গে পড়োনা এই রাতে।”

হীরা ভুলেই গেছে তার ঝাল লেগেছিল। সে তো হারিয়ে গেছে স্মরণের গানের মাঝে। চোখের পলক পড়তেই যেন তার সামনে ভেসে এলো অতীতের সেই রঙিন দিনটি। যেই দিনটিতে সে নিশ্চিত হয়েছিলো সে স্মরণের প্রেমিকা। এমনই এক দুপুরে স্মরণের মায়ায় জড়ানো সুর থাকে দ্বিতীয়বার ভালোবাসতে বাধ্য করেছিল। উজানকে ভুলে সেদিন হীরা স্মরণের মাঝে ডুব দিয়েছিল।

চলবে-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here