শেষ থেকে শুরু পর্ব-৩

0
4164

#শেষ_থেকে_শুরু
কলমে: লাবন্য ইয়াসমিন
পর্ব:৩

হৈমন্তী কাঁদতে কাঁদতে অচেতন হয়ে গেলো। চয়নিকা মেয়েটার মাথায় হাত রেখে বসে আছে। মনে হচ্ছে এই মূহুর্ত্তে ফরহাদকে সামনে পেলে পিটিয়ে ওর পিঠের চামড়া তুলে দিয়ে গায়ের জ্বালা মিটাতেন। রাগে শরীর জ্বলছে। সহজ সরল মেয়েটাকে বিয়ে করে তাঁর জীবনটা নরক বানিয়ে ছেড়েছে। এই মা ছেলেকে আগে থেকেই ওর সন্দেহ হয়েছিল কিন্তু শাশুড়ির জন্য বলতে পারেনি। মনে হচ্ছে নিজের স্বামি আর শাশুড়িকে আচ্ছা করে কয়েকটা কথা শুনিয়ে দিতে। নয়তো গায়ের জ্বালা মিটছে না। কি দরকার ছিল এতগুলো টাকা যৌতুক দিয়ে বোনের বিয়ে দেওয়ার। এতগুলো ভাই বোন থাকতে এইটুকু একটা মেয়ের দ্বায়ীত্ব নিতে পারেনা। কথাটা ভেবে চয়নিকা আলতো হাতে হৈমন্তীর মুখটা মুছে দিলেন।হৈমন্তীকে নিজের সন্তানের ন‍্যায় স্নেহ করে আসছেন। যখন উনি মির্জা বাড়িতে বউ হয়ে জান তখন হৈমন্তীর বয়স ছিল চার বছর। চোখের সামনে হতে দেখেছেন। শাশুড়ির সঙ্গে চয়নিকার তেমন মতের মিলমিশ হয়না তবে দেবর ননদদের সঙ্গে উনার বেশ ভালো সম্পর্ক। বড় ভাবি বলতে তাঁরা পাগল। আদরের অধরের এমন পরিণতি উনি মানতে পারছেন না। হঠাৎ বাইরে থেকে কারো পায়ের শব্দে চয়নিকা চোখের পানি মুছে তাঁকালো। ওর স্বামী রাজীব দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখেমুখে আতঙ্ক খেলা করছে। ও কিছুক্ষণ আগে এসেছে। হৈমন্তীর কি হয়েছে শোনার জন্য উতলা হচ্ছে। উনি ভেতরে এসে হৈমন্তীর পাশে বসে মেয়েটার মুখে হাত দিয়ে বললেন,

> মেয়েটা ঠিক আছে? রোহানতো কিছুই বলছে না তুমি তো বলবে ওর কি হয়েছে ? গতমাসে গিয়েছিলাম তখন তো ঠিক ছিল। আচ্ছা ফরহাদ কোথায়?

রাজিব ঘনঘন নিশ্বাস নিচ্ছে । চয়নিকা নিজেকে শান্ত রেখে দাঁতে দাঁত চেপে বলল,

> ওর যা হয়েছে তাঁতে তুমি আর তোমার মা দুজনেই সমান দোষী। তাই নতুন করে আর কোনো ঝামেলা করবে না আমি যা বলবো তাই শুনবে ঠিক আছে?

> হেয়ালি করো না। আমি আমার বোনের ক্ষতি কিভাবে করতে পারি? তুমি জানো ও আমার কতটা আদরের।

রাজীব উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে। চয়নিকা চোখের দৃষ্টি ঘুরিয়ে বলল,

> ফরহাদ আবার বিয়ে করেছে। তোমার বোনকে অপবাদ দিয়ে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে।

রাজীব হাতের মুঠো শক্ত করে দাঁড়িয়ে পড়লো। ভাবসাব ও এখুনি ফরহাদের বাচ্চাকে খুন করবে। বোনের সুখের জন্য এতোকিছু করেছে বেইমানটা সব ভুল গেলো।। চয়নিকা অবস্থা বেগতিক দেখে স্বামীর হাত ধরে বসিয়ে দিয়ে বলল,

> চেচামেচি করলে সমস্যার সমাধান হবে না। আমার কথাগুলো শুনে যা ভালো মনে হয় করো। হৈমন্তী সেখানে ফেরত যেতে চাচ্ছে না। ওকে জোরজবরদস্তি করলে সুইসাইড করবে বলছে। মেয়েটার উপরে কম ধকল যায়নি। যদি আবারও এমন করা হয় তাহলে কিন্তু ঝামেলা হয়ে যাবে। ওকে বাঁচতে দাও।

রাজীব এবার শান্ত হলো। মেয়েটাকে সুখী করতে গিয়ে এভাবে চির দুঃখী করে ফেলবে ভাবেনি। সব সময় টাকা পয়সা দিয়ে সুখ কেনা যায়না। ভালো মানুষের কাছে থাকলে সুখ আপনা আপনি ধরা যায়। কথাটা বুঝতে বেশ দেরী হলো। কিন্তু এই মূহুর্তে কি করবেন মাথায় আসছে না। দুভাইকে বিস্তারিত জানাতে হবে। মায়ের শরীর তেমন ভালো নেই হৈমন্তীর কথা শুনলে ঝামেলা শুরু করবে। চয়নিকার কথা শুনে রাজীবের ধ‍্যান ভাঙলো,

> বলছিলাম মেয়েটা আমাদের সঙ্গে থাক, গ্রামে পাঠানোর দরকার নেই। পড়াশোনা শুরু করুক।আর বাচ্চার দায়িত্ব নিতে তুমি পারবে না?বোন আর বোনের ছোট্ট বাচ্চাটা কি তোমার কাছে খুব ভারী হয়ে যাবে?

> কি বলছো তুমি? আমার ছোট বোনের দায়িত্ব নিতে আমি পারবো না ভাবলে কিভাবে। তবে ফরহাদকে তুমি ছেড়ে দিতে বলোনা। ওর চাকরির বারোটা আমি বাজিয়ে ছাড়বো। বোনের কথা ভেবে আমি ঝামেলা করছি না তবে দেখে নিও ঠিক সময়ে প্রতিশোধ নিয়ে নিবো কেউ বুঝতেও পারবে না। কেঁদে কুল পাবেনা, ফকিরের বাচ্চাটা। আমার বোনের চোখের পানির মূল্য সুদে আসলে তুলে নিবো, হারাম খোরের বাচ্চা

রাজীব আরও কয়েকটা গালি দিয়ে থামলো। চয়নিকা জানে এই ভদ্রলোক রাগলে মুখ দিয়ে নানারকম অকথা কূকথা বেরিয়ে যায়।তাই ও চুপচাপ হজম করলো। এখন ঝামেলা করা বোকামি হবে।রাজীব মমতার সহিত বোনের কপালে চুমু দিয়ে বাইরে বেরিয়ে গেলো। চয়নিকা শান্তিতে চোখের পাতা বন্ধ করলো। আপাতত ঝড় থামানো গেছে। বাকী দুভাইকে এভাবেই বোঝাতে হবে। মেয়েটার উপরে আর কোনো জুলুম হতে দেওেয়া চলবে না।

___________________________
সকাল ছয়টা, পূর্ব আকাশে সূর্য উঠেছে সঙ্গে মানুষের কোলাহল বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও বাইরের পরিবেশ খুব একটা খারাপ না। স্টেশনে লোকজন তেমন নেই। গতকাল ভোররাতে ভারি বর্ষণ হয়েছে তাই ঠান্ডা হাওয়াতে প্রাণ জুড়িয়ে যাবার জোগাড়। ফরহাদ লাগেজ হাতে তুলিকে সঙ্গে নিয়ে কমলাপুর রেলস্টেশনে নেমে পড়লো। ওদের নিজের জেলা শহরের বাইরে তেমন কোথাও যাওয়া হয়নি। ধারণা কম তবে আধুনিকতার যুগে কেউ রাস্তা হারিয়ে বনবাসে যায়না এটাই ভরসা। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে ফরহাদ সামনে এগিয়ে গেলো। সামনে কয়েকজন দাঁড়িয়ে আছে। দেখে বেশ ভদ্রলোক বলে মনে হচ্ছে তবে চোখেমুখে একরাশ বিরক্তি। হয়তো ঘুমের বেঘাঁত ঘটিয়ে কোনো অগন্তুককে রিসিভ করতে আসার বিড়ম্বনা সইতে পারছে না। ঘনঘন এদিকে ওদিকে তাঁকিয়ে ভ্রু কুচকে ফেলছে। ফরহাদ ভদ্রলোকদের সঙ্গে কয়েকটা কথা বলে নিজের পরিচয় দিতেই লোকগুলোর মুখে হাসি ফুঁটে উঠলো। পেছনে লতা সাইড ব‍্যাগ জড়িয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ওষ্ঠে লাজুকতার হাসি। ফরহাদ ওদের সঙ্গে কথাবার্তা বলে গাড়িতে চেপে বসলো। দুজন ওদের সঙ্গে যাচ্ছে আর বাকীলোকগুলো ফিরে গেলো। লতার মন মস্তিষ্ক অন‍্য কথা বলছে। ফরহাদ সরকারি চাকরীজীবি হয়তো ঘুঁসের টাকার পরিমাণও বেশি হবে।সেই টাকা দিয়ে কি কি প্রসাধনী ক্রয় করবে তার লিস্ট মনের মধ্যে তৈরী হয়ে গেছে। ও সেসব নিয়েই ভাবছে। অন‍্যদিকে ফরহাদের মনে লাড্ডু ফুটছে। এতো বছরের ভালোবাসার পূর্ণতা পেয়েছে জীবন না জানি কতো সুখের হবে। সরকারি চাকরি সঙ্গে সুন্দরী অল্প বয়সী বউ আর কি চাই জীবনে? লোকজন ওকে দেখবে আর জ্বলবে। মানুষকে জ্বালাতে মন্দ লাগে না। সবাই ওকে দেখে আফসোস করবে ভেবেই পৈশাচিক আনন্দ হৃদয়ের কোনে দোলা দিচ্ছে। গ্রামে ছুটি কাটাতে গিয়ে হৈচৈ ফেলে দিবে। হৈমন্তীর গ্রামের পাশের গ্রামে ওদের বাড়ি। হৈমন্তীর বাপ ভাইয়ের বেশ নামডাক আছে সেই সঙ্গে অর্থসম্পদ। ফরহাদের বাবার অবস্থা আগে মোটামুটি ভালো ছিল কিন্তু মাঝখানে খারাপ হয়ে খেছে। আবারও ভালো হবে সেই আশায় ফরহাদের চোখদ্বয় চকচক করছে। হৈমন্তীর জন্য ওর মনে কোনো আফসোস নেই। হৈমন্তী ওর উপরে উঠার সিঁড়ি মাত্র। ওসব ভেবে সুন্দর জীবনটা বিষাদে ভরানোর কোনো মানে নেই।

আধা ঘন্টার মধ্যেই ফরহাদ নিজের গন্তব্যস্থলে পৌঁছে গেলো। নতুন শহর সঙ্গে নতুন বাসস্থান লতার বেশ নজর কেঁড়েছে। লতা বাকপটুতাই প্রথম থেকেই পরিপক্ব। আশেপাশে প্রতিবেশির সঙ্গে ভাব জমানো সেতো শুধু সময়ের অপেক্ষা। নতুন বাড়িটা ওদের পছন্দ হয়েছে। ফরহাদের মা ওর একাউন্টে পঞ্চাশ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে কিছুক্ষণ আগে তার নোটিফিকেশন এসেছে।। ফরহাদ অবাক হয়ে মায়ের নাম্বারে ফোন করলো। দুবার ফোন বাজার পরে রিসিভ হলো। ভদ্রমহিলা আল্লাদি কন্ঠে বললেন,

> পছন্দ হয়েছে বাড়িটা?

> অপছন্দের কি আছে আম্মা? তুমি আমার জন্য কিছু কিনেছো আর আমার পছন্দ হবে না এমন কখনও কি হয়েছে? আম্মা তুমি আবারও টাকা পাঠিয়েছো? বলেছিলাম তো টাকা লাগবে না যা আছে আমাদের হয়ে যাবে।

> লতাকে বলো কিছু কেনাকাটা করতে। মানুষের সঙ্গে চলতে হলে তো ভালো পোশাকের দরকার হবে। কিছু শপিং করো। যাইহোক রেস্ট করো আমি রাখছি।

> আচ্ছা আম্মা।

ফরহাদ ফোন রেখে বেডরুমে গিয়ে শুয়ে পড়লো। চোখে রাজ‍্যের ঘুম সঙ্গে ক্লান্তি ওকে গ্রাস করে ফেলল। ভদ্রলোকেরা ওদের সকাল আর দুপুরের খাবারের ব‍্যবস্থা করে দিয়েছে। বিকাল থেকে বাজার করে রান্না করে খেতে হবে। একটা কাজের মহিলার খোঁজ করতে হবে কথাটা ভেবে লতা জিনিসপত্র আলমারিতে সাজাতে মনোযোগ দিলো।

_________________________________
অন‍্যদিকে হৈমন্তীর বড় ভাই রাজীব ডাইনিং রুমের সোফায় মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। নিজের ভূলের জন্য বোনটার কপাল পুড়েছে। মেয়েটার জন্য প্রচণ্ড টেনশন হচ্ছে। এই অবস্থায় কি করা উচিৎ বুঝতে পারছে না। রোহান দুলাভাইয়ের দিকে তাকিয়ে ভ্রু কুচকে বলল,

> এতো টেনশনের কি আছে বলবেন?

> মেয়েটার জন্য ভালো কিছু করতে চাইলে খারাপ হয়ে যায়। কি করবো বুঝতে পারছি না।

> কিছু করতে হবে না। মেয়েটা একটু সুস্থ হলে নতুন করে পড়াশোনা করবে। তারপর নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে বিয়ে করতে চাইলে করবে না চাইলে না।

> আবারও বিয়ে? আমাদের বংশে ডিভোর্সী মেয়ে নেই। এমনকি কোনো ছেলেও নেই। এর মধ্যেই দুবার হয়ে গেছে মা জানলে কি হবে জানো?

> দূর এখনকার যুগে ওসব কোনো ব‍্যাপার না। আপা ঠিক বলে আপনি প্রাচীন যুগের মানুষ। পড়াশোনা শিখে লাভের লাভ কি হয়েছে বলবেন? দৃষ্টিভঙ্গি বদলে মেয়েটার ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেন ভালো হবে। তাছাড়া আপা মনে হয় না আপনাকে আর ভাবতে দিবেন। হৈমন্তীকে নিয়ে সে আমাদের বাড়িতে থাকবে। আমরা আগামীকাল ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। আপনি চাইলে যেতে পারেন। যদিও আপনার বাড়ি সেখানেই তবে পাশাপাশি তো না।

> তোমার বোনের মাথায় আগুন জ্বলছে। এবার তাঁর কথার বাইরে কথা বলার মুখ নেই। ওর ইচ্ছে যা করুক সাপোর্ট করবো।

> সেই আপনার জন্য ভালো হবে।

রোহান তৃপ্তির হাসি হাসলো। দুলাভাই বোনকে ভয় পাচ্ছে তবে মুখে স্বীকার করছে না। তাছাড়া দুলাভাই নিজের বুদ্ধিতে ফকির হওয়ার টেকনিকটা খুব বেশি ফলো করে আর ফলাফল শূন্য হয়। তবুও আজ নিরুপায় হয়ে মানছে।

দুদিন পরে হৈমন্তী ভাই ভাবির সঙ্গে ঢাকায় এসেছে। মোটামুটি সুস্থ তবে মাঝেমধ্যে বমি করে ভাসিয়ে দিচ্ছে। ডাক্তার দেখানো হয়েছে তবে আশঙ্কার কিছু নেই। হৈমন্তী নিজেকে আরও বেশি গুটিয়ে নিয়েছে। ভাবি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা বলে না। চয়নিকা ওকে বুঝিয়ে শুনিয়ে দশ দিনের মাথায় ভালো একটা মহিলা কলেজে ভর্তি করিয়ে দিলেন। মেয়েটা সব সময় চুপচাপ থাকে কারো সঙ্গে কথা বলেনা। ওর মনে হয় লোকজনের সামনে গেলে সবাই ওকে আবারও আজেবাজে কথা বলতে শুরু করবে।ফরহাদের বিশ্বাসঘাতকতা মানতে পারছে না। মানুষ কিভাবে পারে এতো সুন্দর অভিনয় করতে ওর বোধগম্য হচ্ছে না। মাঝেমধ্যে ঘুমের মধ্যে বিড়বিড় করে বকে। তবে বাচ্চার জন্য হলেও ওকে সুস্থ থাকতে হবে ।

এভাবে প্রায় আট মাস পার হলো। হৈমন্তীর পরিবর্তন হয়নি তবে চেহারার বেশ উন্নতি ঘটেছে। পেটটা বেশ বড়সড় হয়েছে। কলেজ, পড়াশোনাতে উদাসীন, মাসে একদিন কলেজে গেছে কি সন্দেহ। জোরজবরদস্তি করলে কেঁদে কেটে একাকার অবস্থা করে ফেলে।চয়নিকা আর রাজীব বোনকে ভালো রাখতে যথাযথ চেষ্টা চালিয়ে গেলো কিন্তু ঘটলো চরম বিপত্তি। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত পেশারে মেয়েটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলল। কিছুক্ষণ পর পর সব ভূলে যায় কাউকে চিনতে পারে না। এই ভালো তো এই খারাপ। ডাক্তার বলল বাচ্চা ডেলিভারির পরে সব ঠিক হয়ে যাবে কিন্তু হলো না আরও খারাপ অবস্থা। নয় মাসের মাথায় বাধ্য হয়ে সিজার করতে হলো। বাচ্চা ওর থেকে দূরে রাখা হয়েছে। ওর কাছে দিলে ভয় পাই। হৈমন্তীর অবস্থা দিনদিন অবনতি দখে ওর ছোট ভাই প্রস্তাব দিলো হৈমন্তীকে ওর কাছে পাঠিয়ে দেওেয়ার জন্য। মেয়েটার ভালো চিকিৎসার দরকার। তাছাড়া নতুন পরিবেশ ওকে নতুন করে বাঁচতে সাহায্য করবে। শেষপর্যন্ত হৈমন্তীকে ওর ছোট ভাইয়ের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হলো। প্রশ্ন, বিদেশ বিভূঁয়ে হৈমন্তী কি পারবে নিজেকে নতুন করে, নতুন রূপে গড়ে নিতে? পারবে কি জীবনের শেষ অধ‍্যায় থেকে নতুন করে শুরু করতে? অন‍্যদিকে ফরহাদ কি পারবে লতার সঙ্গে মিলে পৃথিবীটাকে সুখের স্বর্গে পরিণত করতে? হৈমন্তীর অভিশাপ লাগবে না? মানুষের কৃতকর্মের শাস্তি মৃত্যুর আগে থেকেই তো শুরু হয়ে যায়।। ভাগ্য বিধাতা কাউকে ছাড় দেয়নি আর দিবেও না। শুধু সময়ের অপেক্ষা।

চলবে

ভুলত্রুটি মার্জনা করবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here