শেষ বিকেলের আদর❤️পর্ব : ১৪

0
4424

#শেষ বিকেলের আদর❤️
#রিত্তিকা ইসলাম
পর্ব : ১৪

🌸
ঘড়িতে তখন পুরোপুরি এগারোটা বাজে।মাত্রই ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইন্টদের সাথে মিটিং শেষ করে অফিসে ঢুকলো অধির।মেইনল্যান্ড চায়না রেস্টুরেন্ট,,,, ওয়ান অফ দা মোস্ট এক্সপেন্সিভ রেস্টুরেন্ট ইন ঢাকা সিটি….. সেখানেই মিটিংটা হয়েছে।মিটিংটা অফিসে হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অধির প্ল্যান চেন্জ্ঞ করে মেইনল্যান্ড চায়না রেস্টুরেন্টে মিটিং কমপ্লিট করে।বরাবরের মতোই এবারের ডিলটাও সাকসেসফুল। অধির অফিসের চারতলার ফ্লোরে চলে আসে।ওর কেবিনটা এখানেই।অধিরের চোখে মুখে গম্ভির ভাব।কপালে হালকা ভাজ পড়ে আছে।সুন্দর কালো চুলগুলোর কিছু কপালে এসে পড়েছে।অধির গায়ে জড়ানো কোর্টটা খুলে হাতে নিয়ে সামনের দিকে পা বাড়ায়।অধিরকে অফিসে ঢুকতে দেখেই সব ইমপ্লোয়ি দাড়িয়ে অধিরকে গুডমর্নিং উইস করে।।অধির সেদিকে খুব একটা নজর না দিয়ে সামনের দিকে সোজা এগোতে থাকে।এরপর আবারো আগের মত নিস্তব্ধ হয়ে যায় পরিবেশ।শুধু কাজের খুটখাট শব্দ আর মানুষের চলার আওয়াজ ছাড়া আর তেমন কোনো শব্দ কানে আসছে না।এমনটা প্রতিদিনই হয়।অধির অফিসে থাকা কালীন কোনো বাড়তি কথা বলার সাহস কারো হয় না।অফিসের সব ইমপ্লোয়ি যেমন অধিরকে ভালবাসে তেমনি যমের মত ভয়ও পায়।অধির সামনের দিকে এগুতেই দেখলো নাতাশা,দিদাম,আর সাহিল দাড়িয়ে আছে।ওদের সামনে একটা ছেলে কিছু ডিজাইনার ড্রেসের কালেকশন নিয়ে দাড়িয়ে আছে।অধির ওদের কাছে যেতেই দিদাম অধিরকে জড়িয়ে ধরলো।দিদামের এমন হুটহাট জড়িয়ে ধরাতে অধির প্রচন্ড বিরক্ত।তারউপর এই বেবি ডাকটা।অধির আস্তে করে দাতে দাত চেপে বলে উঠলো…..

__এটা অফিস দিদাম।সো দূরে থাকো….

কথাটা কানে যেতেই দিদাম ওকে ছেড়ে কিছুটা দূরত্ব রেখে দাড়ালো।অধিরের কথাটা আর কারো কান পর্যন্ত পৌছালো না।সাহিল এবার অধিরের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো…..

___মিটিং কেমন হলো…?

অধির বাম ভ্রু চুলকে বলে উঠলো…

___অল গুড।প্রােজেক্টটা আমরা পেয়ে গেছি…

__ওয়াও,, দ্যাটস গ্রেট।তবে এদিকে একটা প্রবলেম হয়ে গেছে।

সাহিলের কথায় ভ্রু কুচকে তাকালো অধির।অধিরের দিকে তাকিয়েই সাহিল বলে উঠলো….

___আমাদের যে টপ মডেল ছিল ঈশানী,,, ,,ওর মুখে অ্যাসিড মারা হয়েছে।হসপিটালে এডমিট আছে এখন।অবস্থা বেশ খারাপ।আমি ডক্টরের সাথে কথা বলেছি।প্রানে বেচে গেলেও ওর মুখটা পুরো ঝলসে গেছে।

সাহিলের কথায় কুচকানো ভ্রু জোড়া আরো খানিকটা কুচকে গেলো।সেই সাথে কপালে কয়েকটা ভাজ পড়লো।অধির সোজা হয়ে দাড়িয়ে বলে উঠলো…

___কে বা কারা করেছে জানা গেছে…? পুলিশ কি বলছে…?

__পুলিশ এখনো কিছু জানতে পারে নি।তবে সন্দেহ করছে ওর প্রাক্তন প্রেমিক হয়ত এমনটা করেছে।বেশ কিছু দিন ধরে নাকি ঈশানীকে ফোনে থ্রেট করেছে আর ওর বাড়ির আশে পাশেও ঘুরতে দেখা গেছে ওকে…

__ওকে।ওর চিকিৎসার যেন কোনো কমতি না থাকে।হসপিটালে গার্ডের ব্যবস্থা কর।আবারো অ্যাটাক হতে পারে।আর পুলিশকে স্পেশালি বলবি আসল অপরাধীকে যেন খুজে বের করে আমাকে ইনফর্ম করে…

অধিরের কথায় সাহিল দ্রুত বলে উঠলো..

__তোর এসবের মধ্যে আসতে হবে না।আমি অলরেডি পুলিশকে বলে দিয়েছি অপরাধীকে খুজে যেন কঠিন শাস্তি দেয়।তুই টেনশন নিস না।আর আমি গার্ড পাঠিয়ে দিচ্ছি।

সাহিলের কথা শেষ হতেই নাতাশা চোখের কালো ফ্রেমের চশমাটা বাম হাতে ঠিক করে বলে উঠলো….

__সে সব তো ঠিক আছে।কিন্তু আজকের ফটোশ্যুটের কি হবে…?

সাহিল নড়ে চড়ে দাড়িয়ে বলে উঠলো…

__আমিও সেটাই ভাবছি।আজ এই ড্রেস পড়ে ঈশানীর ফটোশ্যুট করার কথা ছিল।বাকি যে সব মডেল আছে তাদের দিয়ে এটা হবে বলে মনে হচ্ছে না।

সাহিলের কথায় নাতাশা বলে উঠলো…

__আই থিংক দিদামকে দিয়ে করালে মন্দ হয় না
।বিদেশে থাকা কালীন বেশ কিছু জায়গায় ও মডেলিং এর কাজ করেছে।বেস্ট মডেলের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।টপ মডেলদের তালিকায় দিদামের নামও এসেছে।আর এমনিতেও দেশে ফিরে তো ওর এটাই করার কথা ছিল।নাহয় আজ থেকেই শুরু করুক।আমার মনে হয় দিদাম পারবে…. ইনফ্যাক্ট ঈশানীর থেকেও ভালো করবে….

নাতাশার কথায় কেউই আপত্তি করলো না।কারন দিদাম একজন মডেল।অধির সাহিলকে নিজের কেবিনে আসতে বলে চলে গেলো।অধির চলে যেতেই সাহিল বলে উঠলো….

__দিদামকে রেডি করিয়ে দাও।অলরেডি লেইট হয়ে গেছে।কংগ্রাচুলেশন দিদাম…..

সাহিল কথা শেষ করে চলে গেল।এদিকে সাহিল চলে যেতেই দিদাম নাতাশাকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু দিয়ে উঠলো।আকস্মিক ঘটনায় নাতাশা চমকে উঠলো।

__ও আল্লাহ ,,,দমটা মনে হয় বেরিয়েই যাবে এবার।এই শয়তান মাইয়া ছাড় আমারে।দূরে গিয়া দাড়া ভুতনী….আর আমারে চুমু দেস কেন..? আমাকে কি তোর অধির বেবি পাইছোস…? ছাড় কইতাছি…

নাতাশার কথায় ওর গালে আরো একটা চুমু দিয়ে ছেড়ে দিল দিদাম।নাতাা ছাড়া পেয়ে জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে লাগলো।দিদাম চোখ মুখ কুচকে বলে উঠলো…

__ছিঃ কি সব ভাষায় কথা বলিস তুই…?তোকে দেখলে কেউ বলবে তুই বিদেশ থেকে এসেছিস…?

__আমি বাংলাদেশের খাঁটি বাঙালি মেয়ে বুঝলি।তাই আমি এভাবে কথা বলতেই পারি।এভাবে কথা না বললে নিজের দেশ নিজের দেশ ফিলিংসটাই আসে না….

___আচ্ছা ছাড় এসব।আমি ভিষন খুশি হয়েছি।কথাটা আমি মনে মনেই বলছিলাম শুধু।অধিরের সামনে বলার সাহস হচ্ছিলো না।তুই আমার মনের কথাটা বলে দিলি।থ্যাংক ইউ বেবস…..

__এই খবরদার আমাকে এইসব বলে ডাকবি না।যতসব ন্যাকা….এখন চল তোকে রেডি করাতে হবে।

_______________________

অধির ল্যাপটপ বন্ধ করে হাত ঘড়ির দিকে তাকালো।ঘড়িতে দুইটা দুই বাজে।অধির চোখের কালো ফ্রেমের চশমাটা খুলে রেখে উঠে দাড়ালো।দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে এলো।দিদামের যেখানে ফটোশুট হচ্ছে সেখানে যাওয়ার জন্যে পা বাড়ালো।নির্দিষ্ট জায়গায় আসতেই দেখলো দিদাম ডিজাইনার ওয়েস্টার্ন ড্রেস পরে সোফার উপর শুয়ে থাকার পোজ নিয়ে ফটোশুট করছে।নাতাশা ভিষনই বিরক্ত মুখ করে দাড়িয়ে আছে।অধির গিয়ে নাতাশার পাশে দাড়ালো।অধিরকে দেখে দিদাম ছুটে আসতে গেলেই নাতাশা চোখ রাঙিয়ে না করে।দিদামও চোখ মুখ ফুলিয়ে নিজের পোজ দিতে শুরু করে।অধির নাতাশার উদ্দেশ্যে বলে ওঠে….

___কেমন চলছে সব…?

___ভাই কাজ শুরু হলে তবে না সব চলবে…..।আপাতত ফটোশুট চলছে…

__টপিক কি….?

পাশ থেকে একটা ছেলে বলে উঠলো….

__দিদাম ম্যাম পার্টিতে যাচ্ছেন। আর উনি আমাদের ড্রেস পড়ে পার্টিতে যাচ্ছেন।এর উপরেই স্যার…

অধির ভ্রু কুচকে একবার দিদামের দিকে তাকালো।দিদাম তখন সোফার উপর শুয়ে শুয়ে পোজ দিতে ব্যস্ত।অধির বিরক্ত গলায় বলে উঠলো….

___এভাবে শুয়ে শুয়ে…?

ছেলেটা কিছু বুঝতে না পেরে বলে উঠলো..

__সরি স্যার। আমি ঠিক বুঝলাম না..

___পার্টিতে যাবে যদি তাহলে এভাবে সোফার উপর শুয়ে শুয়ে কেন ফটোশুট করছো..?

অধিরের কথায় নাতাশা কিছু বলবে তার আগেই দিদাম বলে উঠলো….

___ওয়েল।শুয়ে শুয়ে আমার পিকচার অনেক সুন্দর আসে….

অধির ফটোগ্রাফারের দিকে তাকিয়ে রাগি গলায় বলে উঠলো…

___আবিদ….???

___ইয়েস স্যার…

___এখানে দিদামের সৌন্দর্যের পাবলিসিটির জন্যে ফটোশুট হচ্ছে না।এটা ফেব্রিক এর পাবলিসিটির জন্যে হচ্ছে।বুঝতে পেরেছো…?

___ইয়েস স্যার….

দিদাম অধিরের কথা শুনে বলে ওঠে…

___হ্যা সেটা তো আমিও জানি…

দিদামের কথার প্রেক্ষিতে নাতাশা বলে ওঠে…

__হ্যা।সেটা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি….

অধির নাতাশাকে সব ঠিক করে করতে বলে চলে যায়।তখনই সেখানে সাহিল এসে দাড়ায়।নাতাশার পাশে দাড়িয়ে সাহিল বলে ওঠে…

___কি ব্যাপার..?কখন শুরু করলে..?

___আর শুরু…!!এই ঢংগি মেয়ের ঢং শেষ হলে তো শুরু করবো।

ওদের কথার মাঝেই দিদাম চিৎকার করে উঠলো।দিদামের চিৎকারে সবার দৃষ্টি এখন ওর দিকে।নাতাশা কি হয়েছে জিজ্ঞেস করতেই দিদাম ন্যাকা করে বলে ওঠে…

__আমার নেইলপলিশ উঠে গেছে….

নাতাশা ভিষন বিরক্তি নিয়ে তাকালো।সাহিলের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো…

__আই প্রমিস,,,,কেউ যদি বলতো,,,,,, তোমার একটা খুন মাফ,,,,তবে সবার আগে আমি এই মেয়েকে খুন করতাম….

নাতাশার কথায় মুচকি হাসলো সাহিল।নাতাশা নিজের বিরক্তিটা নিজের মধ্যে দমিয়ে হাসি হাসি মুখে বলে উঠলো….

__আরে রে রে সোনা…তোমার সৌন্দর্য কি এই সামান্য নেইলপলিশের তোয়াক্কা করে..? তোমার সৌন্দর্য এসব কিছুর ঊর্ধ্বে। নাও এবার পোজ দাও …

___এটা তো ঠিকই বলেছো নাতাশা বেবি….

দিদাম দাড়িয়ে পোজ দিতে গিয়ে বলে ওঠে…

__আমার পায়ের তিলটা দেখা যাচ্ছে তো…?

ফটোগ্রাফার এবার বলে উঠলো….

__তাতে কি দিদাম ম্যাম…? আপনি তো এমনিতেই ছোটখাটো সব মডেলদের খেয়ে যাবেন…।আপনি বরং টেনশন না নিয়ে পোজ দিন…

ছেলেটার কথায় নাতাশা আর সাহিল মুখ টিপে হাসলো।দিদাম কিছু না বলে ধপ করে সোফায় বসে পোজ দিতে লাগলো।অার কিছুক্ষন পরপর আয়না দেখতে লাগলো।দিদামের এমন কান্ডে বিরক্তিতে চোখ মুখ কুচকে যাচ্ছে নাতাশার।কেন যে এই মেয়ের কথা বলতে গেল..? ওর আগেই বোঝা উচিত ছিল এই মেয়ের ফটোশুট করা কতোটা প্যারাময়।নাতাশা চোখ বুজে লম্বা শ্বাস নিল।দিদামের দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো…

___আরে ইয়ার….কেউ যাও,,,গিয়ে ওর ড্রেসটা ঠিক করো।একদম খারাপ হয়ে গেছে।ওর লেফট শোল্ডেজ সাইড আর নেকলেস দুটোই ঠিক করো…

____________________

অ্যাপার্টমেন্টের সাত তলার বেলকোনিতে দাড়িয়ে ধোয়া ওঠা কফির মগে চুমুক দিতে দিতে দুরের আকাশ দেখতে ব্যস্ত জয়।সারাদিন অফিস করে ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে এখানে এসে দাড়ায় তখন সব ক্লান্তি নিমিষেই দুর হয়ে যায়।ধোয়া ওঠা কফিতে চুমুক দিতে দিতে ব্যস্ত শহরটাকে উপভোগ করতে ভিষন ভাল লাগে জয়ের।বিয়ের পরে রোশনির সাথে প্রতিটা সন্ধ্যা সে এভাবেই কাটাতে চায়।যদিও জানা নেই সেই সুন্দর দিনটা তার জিবনে কবে আসবে…? কবে লাল শাড়ি গায়ে জড়িয়ে রক্ত আলতা পায়ে তার ঘরের ঘরোনি হয়ে আসবে? তবুও অপেক্ষা করতে দোষ কোথায়..? এই অপেক্ষার মাঝেও রয়েছে অনাবিল সুখ।জয়ের দৃষ্টি তখন রাস্তায় ছুটে চলা গাড়ি গুলোর দিকে।জয় যখন ব্যস্ত শহরটাকে দেখতে ব্যস্ত তখনি পাশে রাখা ফোনটা কেপে উঠলো।ফোনে স্ক্রীনে রোশনির হাস্যজ্জল মুখটা ভেসে উঠতেই ঠোটের কোনে হাসি ফুটলো জয়ের।কফির মগটা পাশে রেখে ফোন হাতে তুলে নিল।রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে মিষ্টি কন্ঠ ভেসে এলো….

___কি করছো…?

___এইতো কফি খেকে খেতে ব্যস্ত শহরটাকে দেখছিলাম।তা তুমি কি করছো..? এখনো ঘুমাও নাই…? বারোটা বাজতে চললো…

___সে তো তুমিও ঘুমাওনি।আর এমনিতেও আজ আমার ঘুম আসছে না…..সেই কখন থেকে বিছানায় শুয়ে গড়াগড়ি করছি ঘুমই আসছে না।

রোশনির কথায় মৃদু হাসলো জয়।মুখে হাসি রেখেই বলে উঠলো….

___আচ্ছা,,,,,তো কি করলে এখন এই রাজকন্যার চোখে ঘুম আসবে…?

রোশনি যেন এই কথাটার অপেক্ষাতেই ছিল।রোশনি তাড়াতাড়ি করে বলে উঠলো….

___গান গেয়ে শুনাও।যদি তোমার কাকের মত গলায় গান শুনে ঘুম আসে…

কথাটা বলেই হেসে উঠলো রোশনি।ওর সাথে তাল মিলিয়ে হাসলো জয়ও।জয়ের গানের গলা ভিষন সুন্দর।জয় বেলকোনির এক কোনায় হেলান দিয়ে বসে গাইতে শুরু করলো….

মনের কিনারে চলে আয়
এলোমেলো করে দে আমায়
ও মনের কিনারে চলে আয়
এলোমেলো করে দে আমায়

বুকে জ্বলছে আগুন,চোখে স্বপ্ন তোরই
তোর জন্যই বাঁচা,তোর জন্যই মরি
কিভাবে আর তোকে বল বোঝায়?

মনের কিনারে চলে আয়
এলোমেলো করে দে আমায়
ও মনের কিনারে চলে আয়…..(মনের কিনারে)
এলোমেলো করে দে আমায়…..(এলোমেলো করে)

এ মনে,, রুপকথা কত নামে
গোপনে,, চিঠি দিই মেঘের খামে
ও আমিও উড়ে যায় স্বপ্ন ঘোরে
নামিও বৃষ্টিকে যত্ন করে

প্রেমের জোয়ারে ভেসে আয়
এলোমেলো করে দে আমায়
ও মনের কিনারে চলে আয়…(মনের কিনারে)
এলোমেলো করে দে আমায়…(এলোমেলো করে)

রাত ভোর মিশে যায় তোর আদরে
আমি তোর দুরে থাকি কি করে
ও কেন তুই,,বল থেকে যাস আড়ালে
জানি তুই,,আসবি ঠিক পা বাড়ালে

মনের কিনারে চলে আয়
এলোমেলো করে দে আমায়
বুকে জ্বলছে আগুন,,চোখে স্বপ্ন তোরই
তোর জন্যই বাঁচা,, তোর জন্যই মরি
কিভাবে আর তোকে বল বোঝায়…??

মনের কিনারে চলে আয়
এলোমেলো করে দে আমায়
ও মনের কিনারে চলে আয়…(মনের কিনারে)
এলোমেলো করে দে আমায়…(এলোমেলো করে)

চলবে……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here