#সংগোপনে
#ধারাবাহিক_পর্ব_৪৭
#অচিন_পাখি_কলমে_ভাগ্যলক্ষ্মী_দাস
আগের পর্বের পর————-
সকালের উষ্ণ নরম আলো যেন নিজের পরশমনির ছোয়ায় রাত্রির ঘুমের অবসান ঘটাল। রাত্রি আলতো করে চোখ দুটো খুলেই বুঝতে পারল ওর মাথাটা অসম্ভব ব্যথা, মনে হচ্ছে হঠাৎ করেই কেউ যেন ভীষন ভারী কিছু একটা চাপিয়ে দিয়েছে। একটু কষ্ট করে উঠে বসতেই মনে হল যেন মাথাটা বোধহয় ছিড়েই পড়বে এবার। দুহাতে মাথা টা ধরে একটু সময় চুপচাপ বসে রইল, হঠাৎ মাথাটা এত ব্যাথা কেন করছে বুঝতে পারছে না। একটু ধাতস্থ হয়ে রাত্রি বিছানা থেকে নামতেই টের পেল তার পায়ে এখনও হাই হিলস রয়েছে। এবার রাত্রি একটু ভালো করে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখল তার পরনে এখনও কাল রাতের পোষাক টাই রয়েছে। কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছে না সে, মাথাটা এতটাই ধরে রয়েছে যে অন্য কিছু ভাবতেই পারছে না। বেশিক্ষণ দাড়াতে পারল না রাত্রি, আবার বিছানায় বসে পড়ল। একবার একটু ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে দেখল নটা দশ, ঠিক কি হচ্ছে সেটা বোঝার চেষ্টা করতে লাগল। নিজের মনেই সবটা ভাবতে লাগল,
উফ্, মাথা টা এত কেন ধরে আছে? বড্ড ভারী লাগছে, হোয়াটস গোইং অন? এখন তো সকাল, বাট আমি তো কালকে রাতে পার্টিতে গিয়েছিলাম আমি বাড়ি কখন এলাম আর কিভাবে এলাম? আমার তো কিছুই মনে পড়ছে না। ওহ গড মাথা টা এত হেভি লাগছে।
রাত্রি নিজের মনে সব টা বোঝার চেষ্টা করছিল এমন সময় মুরু দরজা টা একটু খুলে বলল,
ছোটি মেমসাব, আপনি উঠে পড়েছেন?
রাত্রি আরেক দফা অবাক হল, ঘরের দরজা বন্ধ না করে সে শোয় না কিন্তু এখন তো দেখা যাচ্ছে দরজাও বন্ধ করে নি। মুরু দরজার বাইরেই দাড়িয়ে আছে দেখে রাত্রি বলল,
ভিতরে এস আন্না।
মুরু হাতে একটা ট্রে নিয়ে ভিতরে ঢুকল, ট্রে টা ঘরের সেন্টার টেবিলে নামিয়ে রেখে একটা গ্লাস রাত্রির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
এই নিন মেমসাব, এটা খেয়ে নিন।
রাত্রি মাথাটা ধরে নীচু করে রেখেছিল, চোখটা তুলে একটু অবাক হয়ে বলল,
কি এটা?
লেবুর শরবত।
হঠাৎ লেবুর শরবত এনেছ কেন?
সাব কালকে যাওয়ার সময় বলে গিয়েছিলেন আপনি উঠলে আগে লেবুর শরবত দিতে।
রাত্রি চরম বিস্ময়ে অবাক হয়ে বলল,
সাব! কে সাব? আলেখ?
না না, আলেখ সাবকে তো আমি চিনি, কিন্তু ওনাকে কালকেই প্রথম দেখলাম। কি যেন নাম বলেছিলেন ঠিক মনে পড়ছে না, তবে বলেছিলেন আপনার পরিচিত।
রাত্রির বুকটা ধ্বক করে উঠল, এখানে ওর পরিচিত বলতে আলেখ ছাড়া আর তো শুধু একজনই আছে। তবে কি… ভাবনা টা সম্পূর্ণ হওয়ার আগেই যেন রাত্রির মনটা একটা অজানা আশঙ্কায় ভরে উঠল। ওদিকে মুরু গ্লাসটা হাতে নিয়ে তখনও সেইভাবেই দাড়িয়ে আছে, রাত্রিকে গভীর ভাবনায় ডুবে যেতে দেখে বলল,
সাব কালকে যখন আপনাকে নিয়ে এলেন তখন আপনার কোনও হুশ ছিল না। আমি তো খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তখন সাব বললেন আপনি নাকি পার্টিতে হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তাই উনি আপনাকে পৌঁছে দিতে এসেছিলেন। সাব নিজে আপনাকে এই ঘরে এনে শুইয়ে দিয়ে তবে গিয়েছিলেন, নাম টা বলেছিলেন তবে কিছুতেই মনে পড়ছে না। আসলে বয়স হচ্ছে তো, তাই… কি যেন…
রাত্রির মুখ দিয়ে অজান্তেই উচ্চারিত হল,
নিশীথ।
মুরু সবিশেষ উত্তেজিত হয়ে বলল,
হ্যা, হ্যা, ঠিক বলেছেন মেমসাব এই নাম টাই বলেছিলেন উনি, নিশীথ।
রাত্রি মাথাটা একটু তুলে মুরুর হাত থেকে গ্লাসটা নিয়ে বলল,
হুম, তুমি যাও আন্না, আমি খেয়ে নিচ্ছি।
ঠিক আছে, ব্রেকফাস্টে কি খাবেন?
হালকা কিছু।
আচ্ছা।
মুরু চলে যাওয়ার পর রাত্রি গ্লাস টা আবার টেবিলের উপর রেখে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। শাওয়ারের নীচে দাড়িয়ে ভিজতে লাগল, ঠান্ডা জলের ধারা সূঁচের মত বিধতে লাগল রাত্রির সর্বাঙ্গে। কিন্তু রাত্রির সেদিকে কোনও হুশ নেই, এই মুহূর্তে যেন অঝোর ধারায় ঝরতে থাকা শীতল জলের ধারার থেকেও ওর চোখের কোল বেয়ে নেমে আসা দু ফোঁটা উষ্ণ জল কণার অস্তিত্ব প্রকট হয়ে উঠছে। রাত্রির একে একে মনে পড়তে লাগল অনেক কিছু, পার্টিতে নিশীথের মুখোমুখি হওয়া থেকে শুরু করে ওর সঙ্গে কাপল ড্যান্স ইভেন্টে অংশ নেওয়া, নিশীথের প্রতিটা স্পর্শে নিজের সুপ্ত অনুভূতি গুলোর হঠাৎ জেগে ওঠা আর সবার শেষে তরল মাদকের নেশায় নিজের দুঃখ ভুলতে চাওয়া সবটাই মনে পড়ল রাত্রির। কিন্তু তারপরের ঘটনা গুলো এখনও ঠিক পরিষ্কার নয় ওর কাছে, আবছা আবছা ধোয়াশার মত যেন কিছু ছেড়া ছেড়া দৃশ্য ভেসে উঠছে চোখের সামনে। অনেক চেষ্টা করেও কিছুতেই তারপরের ঘটনা গুলো মনে করতে পারল না রাত্রি। আর ঠিক সেই কারণেই মনের মধ্যে একটা আশঙ্কার কালো মেঘ জমাট বাঁধতে শুরু করল। নিশীথ তাকে কাল রাতে পৌঁছে দিয়েছে, তার মানে সে নিজের স্বাভাবিক চেতনা লোপ পাওয়ার পর নিশীথের সঙ্গেই ছিল আর তখন সে কি করেছে কি বলেছে কিছুই মনে করতে পারছে না। রাত্রি হঠাৎ যেন নিজের দাড়িয়ে থাকার শক্তি টুকুও হারিয়ে ফেলল, হাঁটু মুড়ে বসে পড়ল শাওয়ারের নিচে। কতক্ষন ওভাবে বসে ছিল বলা যায় না একসময় ভিজে পোশাক গুলো পাল্টে বেরিয়ে এলো বাইরে। নিজেকে কেমন যেন বিদ্ধস্ত মনে হচ্ছে রাত্রির, নেশার আবেশে যদি নিজের মনের কথাটা সে নিশীথ কে বলে দিয়ে থাকে তাহলে… যে কথাটা সে নিজেই স্বীকার করতে চায়না সেটা যদি নিশীথের সামনে…. নাহ, ভাবনা গুলো কেমন যেন এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে। ভালোলাগছে না আর কিছু ভাবতে, তবে সবটা জানতে না পারলেও মন টা যে শান্ত হবে না সেটাও খুব ভালো করে বুঝতে পারছে। কিন্তু কাকে জিজ্ঞেস করবে সে? নিশীথ ছাড়া আর কে বলতে পারবে? আর নিশীথের সঙ্গে সে এলোই বা কেন? ওখানে তো কুহেলি আর আলেখ দুজনেই ছিল তাহলে নিশীথের সঙ্গে কেন? হাজারটা প্রশ্ন রাত্রির মনটাকে আরও অস্থির করে তুলতে লাগল। কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকার পর ভাবল,
নাহ, এভাবে চুপচাপ বসে থাকলে চলবে না, আমাকেই জানতেই হবে কাল ঠিক কি হয়েছিল। কিন্তু নিশীথ আগরওয়াল কে ফোন করে কিছু জানতে চাওয়া টা ঠিক হবে না, যদি আমি তেমন কিছু বলে থাকি তাহলে…. নাহ, ওনাকে ফোন করা যাবে না, নেভার। তাহলে কাকে জিজ্ঞেস করব? কে জানতে পারে সবটা? কুহেলি… কুহেলি হয়তো জানতে পারে, হ্যা কুহেলি হয়তো বলতে পারবে সবটা।
রাত্রি উঠে নিজের ফোনটা খুঁজতে লাগল, কিন্তু অবাক ব্যাপার কোথাও পেল না। সারা ঘরের কোথাও নেই ফোনটা, রাত্রি একটু মনে করার চেষ্টা করল, কিন্তু কিছুই মনে পড়ল না। শুধু এটাই মনে পড়ছে ওর পার্সে ছিল ফোনটা, আর এটা মনে হতেই খেয়াল হল পার্স টাও তো নেই কোথাও। তাহলে কি পার্সটা পার্টি তেই ফেলে এসেছে নাকি!
রাত্রি বিছানায় বসে একটা মুঠো করে সজোরে হাতটা বিছানায় মারল। এমনিতেই মনটা অশান্ত হয়ে রয়েছে, কাল ঠিক কি হয়েছে কি করেছে সেটা জানতে না পারলে একটা চাপা অস্বস্তি ওকে অস্থির করে তুলছে আর সেখানে এখন ওর ফোনটাও নেই। রাত্রি চাইলেই কুহেলির সঙ্গে এক্ষুনি কথা বলতে পারে, সেটা কোনও সমস্যা নয় কিন্তু এভাবে ফোনটা কোথায় ফেলে এলো? ভয় অস্বস্তি আর চাপা উৎকণ্ঠার মিশ্রিত আঘাতে যেন রাত্রি আবার কেমন দুর্বল হয়ে পড়তে লাগল। নিশীথের সামনে নিজের মনের গোপন কথাটা প্রকাশ করার চিন্তা মনে আসতেই যেন বুকটা কেমন কেপে উঠছে। চোখের কোণায় আবার কিছু বাষ্প ঘনীভূত হতে শুরু করল, কিন্তু তারা জলকনায় রূপান্তরিত হওয়ার আগেই কলিংবেলের শব্দে চমকে উঠল রাত্রি। এখানে এইসময়ে কে এসেছে? আলেখ আর কুহেলি ছাড়া এখানে আসার মত তো কেউ নেই, তাহলে কি ওদের মধ্যেই কেউ এলো? এসব ভাবতে ভাবতেই রাত্রি নীচের দিকে এগোল, এই মুহূর্তে কুহেলির সঙ্গে কথা বলাটা বিশেষ প্রয়োজন। কিন্তু সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে যাকে মূল দরজার সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখল তাকে এইসময়ে কেন, কোনসময়েই এখানে দেখার আশা করতে পারে না রাত্রি। নিশীথ তার বাড়িতে এসেছে? কিন্তু কেন? রাত্রি ধীর পায়ে নেমে এলো নীচে, চোখে ভিড় করেছে একরাশ প্রশ্ন আর তার সঙ্গে ঘিরে ধরছে একটা চাপা অস্বস্তি। মুরু দরজা খুলে নিশীথ কে দেখে হেসে ভিতরে আসতে বললে নিশীথও একটু হেসে এগিয়ে এলো ভিতরে। সিড়ির দিকে চোখ পড়তেই রাত্রিকে দেখে মনে হঠাৎ একটা অদ্ভুত অনুভূতি উকি দিয়েই মিলিয়ে গেল। কাল রাতে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা গুলো যেন একের পর এক আবার ঘটে যেতে লাগল ওর চোখের সামনে। এমন একটা ঘটনা যা তার মনটাকে সম্পূর্ণ ওলোট পালোট করে দিয়েছে, যার জেরে সে আরও একটা বিনিদ্র রজনী যাপন করেও নিজের মনকে শান্ত করতে পারেনি। গুছিয়ে নিতে পারেনি নিজের এলোমেলো হয়ে যাওয়া অনুভূতি গুলোকে, আর আজ সেই কারণেই আবার এখানে আসা। হ্যা, অন্য কেউ হলে হয়তো রাত্রিকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করত, কিন্তু নিশীথ অন্য সবার থেকে আলাদা, পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যাওয়া তার স্বভাব নয়। সেদিন তার সিদ্ধান্ত টা যে ভুল ছিল সেটা নিশীথ বুঝতে পেরেছে, তার সেদিনের সেই ভুলের জন্যই কালকের পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু আর না, এভাবে ঘুরিয়ে বা এড়িয়ে গিয়ে যে কোনও লাভ হবে না সেটা নিশীথ বুঝতে পারছে আর তাই, রাত্রির মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে। এখানে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া টা খুব একটা সহজ ছিল না, এখানে আসার কি কারণ থাকতে পারে তার? রাত্রি তো প্রশ্ন করতেই পারে, কারণ রাত্রির খুব স্বাভাবিক ভাবেই কালকের কোনও কথাই মনে থাকবে না। তাই নিশীথ কে তার বাড়িতে দেখে তার মনে এই প্রশ্নের উদ্ভব হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই প্রশ্নের কি উত্তর দেবে সেটা নিশীথের জানা ছিল না, কিন্তু অদৃষ্টও বোধহয় চাইছিল নিশীথ আর রাত্রি আবার মুখোমুখি হোক। তাই রাত্রির বাড়িতে যাওয়ার একটা কারণ যেন আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল, নিশীথ গাড়িতে বসে ভাবছিল রাত্রিকে গিয়ে ঠিক কি বলবে আর ঠিক তখনই চোখে পড়ে একটা ছোট লাল রঙের পার্স। প্যাসেঞ্জার সিটের ঠিক নিচেই পড়েছিল, ঝুঁকে সেটা হাতে নিতেই বুঝতে কোনও অসুবিধা হয়নি এটা কার। আর দ্বিধা করেনি নিশীথ, রাত্রির সঙ্গে কথা বলাটা বিশেষ প্রয়োজন। রাত্রি যে ওকে দেখে খুব অবাক হয়েছে সেটা নিশীথ রাত্রির মুখ দেখেই বুঝতে পেরেছে। খুব স্বাভাবিক ভাবে এগিয়ে এসে হেসে বলল,
গুড মর্নিং।
রাত্রি ওর বিহ্বল ভাবটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করল, নিজেকে স্বাভাবিক রাখার প্রয়াস করে একটু হাসল। কিন্তু হাসিটা ঠিক মত ফুটিয়ে ওঠার আগেই মিলিয়ে গেল, রাত্রি যেন নিজের হৃদ যন্ত্রের প্রতিটা স্পন্দন শুনতে পাচ্ছে। কোনরকমে বলল,
গুড মর্নিং।
নিশীথ ওর পার্স টা রাত্রির দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,
এটা কালকে আপনি আমার গাড়িতে ফেলে এসেছিলেন।
রাত্রি হাত বাড়িয়ে পার্স টা নিল ঠিকই কিন্তু পরিবর্তে ধন্যবাদ টুকুও আর দিতে পারল না। কারণ আবার গতকালের কথা উঠতেই সেই আশঙ্কা টা জেগে উঠল। বিশেষ করে এই মুহূর্তে নিশীথের সামনে দাড়িয়ে যেন আশঙ্কা টা আরো বেশি করে ঘিরে ধরতে চাইছে। নিশীথ বোধহয় কিছুটা আন্দাজ করতে পারল, ওর ঠোঁটের হাসিটা ধীরে ধীরে মিলিয়ে এল। কিন্তু তবুও নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক রেখে নিশীথ বলল,
মিস রাত্রি, আমার আপনার সঙ্গে কিছু কথা ছিল।
রাত্রির হৃদ যন্ত্র টা যেন হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক দ্রুত গতিতে চলতে শুরু করল। কি কথা বলতে চায় নিশীথ! তবে কি ওর আশঙ্কা টাই সত্যি? কালকে কি নেশার আবেশে নিজের মনের গোপন কুঠুরিতে লুকিয়ে রাখা অনুভূতি গুলোকে কি সে….. আর ভাবতে পারল না রাত্রি। শুধু একটা অদ্ভুত দৃষ্টিতে চেয়ে রইল নিশীথের দিকে, সেই দৃষ্টিতে মিশে আছে একরাশ প্রশ্ন আর একটা অদ্ভুত আশঙ্কার ছায়া।
ক্রমশ________
© স্বত্ব সংরক্ষিত
কেমন লাগল আজকের পর্ব টা জানাতে ভুলবেন না যেন। অপেক্ষা করব, আর হ্যা, নিশীথ রাত্রির সঙ্গে ঠিক কি নিয়ে কথা বলতে চাইছে বলুন তো? কি মনে হয়? কমেন্ট করে জানাবেন কিন্তু। আজ তবে আসি দেখা হবে আগামী পর্বে ততদিন পর্যন্ত পড়তে থাকুন ভালো থাকুন।