#সিন্ধুর_নীল (পর্ব-২)
লেখনীতে– ইনশিয়াহ্ ইসলাম।
এহসান নিদ্রার গমন পথে চেয়ে থাকে শুধু। এত সুন্দর আর মিষ্টি দেখতে মেয়েটির স্বভাব এমন তা একদমই জানা ছিল না। তার দোষ কোথায়? সে শুধু শুধু বোকা খেল কেন? সে কী তার হবু বৌয়ের জন্মের সময় তার বাবা-মায়ের কাছে গিয়ে বলেছে,
“শুনুন শ্বশুর মশাই! আপনার মেয়ে আমার হবু বউ। তার নাম রাখবেন নিদ্রা। দুনিয়ার আর কোনো নামই তার জন্য গ্রহণযোগ্য নহে!”
না তো! সে তো এমন কিছুই বলেনি। তাহলে সে কেন শুধু শুধু বকা খাবে? খাবে তো এমদাদ সাহেব অরূপে নিহারীকার বাবা। নিহারীকা হলো তার হবু বউ নিদ্রা। নিদ্রা নামটি তার গোপন নামই বলা চলে। একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ ছাড়া তার এই নামটি কেউ জানেনা। সবাই নিহারীকা এমদাদ নামেই চেনে তাকে। নিদ্রা নামটি তার বাবা শখ করে রেখেছে। নিহারীকার অজানা কারণে এই নামটি খুবই অপছন্দ। এহসান একদিন যখন জিজ্ঞেস করেছে,
” তোমায় নিদ্রা বলে ডাকতে সমস্যা কী?”
জবাবে নিহারীকা বলেছিল, “কারণ নামটি আমার বাবা-মা রেখেছেন। আর আমি তাদের অপছন্দ করি।”
এহসান সেদিন জানতে চায়নি অপছন্দ করার কারণ কী! সে প্রয়োজন বোধ করেনি। নিহারীকার পছন্দ অপছন্দ সম্পর্কে জানতে সে সত্যি বলতে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেনা। তার নিহারীকার জন্য বিশেষ কোনো অনুভূতি সৃষ্টি হয়নি। তার ধারণা বিয়ের পর হয়তো হবে। এখন এত না ভাবলেও চলবে।
এহসানকে আনমনে কিছু ভাবতে দেখে তার মা তার পাশে এসে দাঁড়ায়। এহসান মাকে দেখে মৃদু হাসে। এদিক ওদিক তাঁকিয়ে বলে,
“একা একা উপরে উঠে এসেছ? কোমরের ব্যাথা তো এখনও কমেনি।”
“কমেনি কে বলেছে? কমেছে দেখেই তো এসেছি। আচ্ছা শুন!”
“হুম বল!”
“নিহারীকার বাবা-মা আগামীকাল আমেরিকা থেকে আসবে। আমি চাইছি নিহারীকা সহ তুই তাদের এয়ারপোর্ট থেকে আনতে যাবি।”
“আম্মু আমি নিহারীকাকে বলেছিলাম। কিন্তু সে নাকি যাচ্ছেনা তার চাচারা যাবে। আমাকে যেতে বারণ করেছে।”
“কেন? যাবেনা কেন! বাবা-মা আসতে চলেছে তার আর সে যাবেনা? আমি একটা জিনিস খেয়াল করেছি বাবা-মায়ের ব্যাপারে তার কোনো মাথা ব্যাথা নেই। জানিনা শ্বশুর শ্বাশুড়িকে কীভাবে ট্রিট করবে!”
“আম্মু! নিহারীকা ওমন মেয়েই না। আমি দেখেছি তার তোমাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা। এভাবে তার ব্যাপারে ভাবা আমাদের উচিত না। আমরা জানিনা উভয় পক্ষের ঘটনা।”
“সে যাই হোক! আমিও চাই যাতে ভালো কিছুই থাকে তার মনে। মেয়েটা দেখতে খুব মায়াবী। আশা করছি আমরা নিরাশ হবো না। তোর বাবা তো নিশ্চয়ই যাবে কারণ তার বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা।”
“হ্যাঁ বাবা যাবে।”
“চল সবাই নিচে রেস্টরন্টে খেতে বসেছে। জানিস আমার বোনের মেয়ের নামও নিদ্রা। তোকে তো ওর কথা বলতেই ভুলে গিয়েছি। নিদ্রাকে আমার খুব ভালো লাগে রে। নিহারীকার সাথে বিয়ে ঠিক না হলে তো ওর সাথেই তোর বিয়ে দিয়ে দিতাম।”
এহসান কিছু বলেনা। সে এখন জানে নিদ্রা কে। তার বোন আর খালামণির থেকেই তার পরিচয় পেয়েছিল সে। এবং এটাও জেনেছে যে সবাই তাকে খুব বিরক্ত করছে। তবে নিদ্রার কথা মাথায় আসতেই সে ঘাবড়ে যায়। ঐ মেয়েকে সে বিয়ে করবেনা কখনোই। এত রাগী আর রূঢ় ভাষী মেয়ে সে! বিনা দোষেই এহসানকে সে কীভাবে বকে দিল! এহসান তো ভদ্র ভাবেই কথা বলেছিল তার সাথে!
মায়ের হাত ধরে সে লিফ্টে করেই নিচে নেমে এলো। সিঁড়ি ভাঙতে মায়ের কষ্ট হবে আর তার মা কখনোই একা লিফ্টে উঠেনা। তাইতো সিঁড়ি বেয়ে ওঠাতে এহসানের রাগ হলো। তবে তা অপ্রাকশ্য।
৩.
নিদ্রা এখানে এসে যতটা না বিরক্ত হয়েছে অভ্রকে দেখার পর ঠিক তার চেয়েও বেশি খুশি হয়েছে। সে এই প্রথম কোনো সুন্দর অনুভূতির ছোঁয়া পেয়েছে। এই পুরুষ তার জন্য সর্বনাশা! এই যে এখন ডিনার টেবিলে তারা কাজিনরা বসেছে এখানেও নির্ঝর আর অভ্র আছে। তবে তাদের সামনের টেবিলে। নিদ্রা আর অভ্র একেবারে মুখোমুখিই বলা চলে। নিদ্রা বারবার লাজ লজ্জা ভুলে অভ্রর দিকে তাঁকাচ্ছে। নির্ঝর দুই তিনবার নিদ্রাকে পেছন ফিরে দেখে। কারণ সে বসেছে অভ্রর দিকে মুখ করে তাই সে নিদ্রার মুখ দেখতে পেছনে ফিরছে। একটু পরেই এহসান তাদের সাথে যোগ দেয়। বর আসাতে সবারই একটা হই হুল্লোড় শুরু হয়। বন্ধুরা আর সমবয়সী কাজিনরা তো এহসানকে নিয়ে মশকরা শুরু করে দিয়েছে। তবে সবচেয়ে বেশি যে করছে সে হলো নির্ঝর। যখনিই মশকরা সীমার বাহিরে চলে যেতে নেয় অভ্র তা আয়ত্ত্বে নিয়ে আসে। নিদ্রার কাছে সেই কাজটা খুবই ভালো লাগছে। নিদ্রা খেয়াল করে পৃথিলা বারবার অভ্রকেই দেখছে। যেমনটি সে নিজেও দেখে চলেছে। নিদ্রার রাগ ওঠে খুব। কিন্তু সে স্বভাবগত নিশ্চুপ হয়ে বসে আছে। ভাবটা এমন যে কোনো কিছুতেই বিন্দু মাত্র ইচ্ছা নেই। কিন্তু মনে মনে সে এই মুহূর্তে ভালো লাগার হাওয়ায় দুলছে। আর কিছুটা জ্বলন অনুভব করছে।
আকস্মিক কিছু ছেলে মেয়ে চিৎকার করে উঠে “ভাবী” বলে। নিদ্রাকে নিয়ে সবাই আবার শুরু হয়ে পড়েছে। অনেকে তো সত্যিও ভেবে নিয়েছে যে নিদ্রাই এহসানের হবু বউ। পরিস্থিতিটা এখন একেবারে অনাকাঙ্খিত তার সাথে লজ্জা জনকও। পৃথিলা অবাক হচ্ছে যে নিদ্রা কি করে এখনো চুপ আছে। এতক্ষণে তো তার ধৈর্য্যের সীমা ভেঙে যাওয়ার কথা। এহসান নিজের চেয়ার ছেড়ে উঠে আসে। সবাইকে একটু ধমকে বলে ওঠে,
“সবাই যদি আর একবার এমন বাজে পরিস্থিতিতে নিদ্রাকে ফেলেছ তো খবর আছে! শি ইজ্ মাই কাজিন।”
উপস্থিত সবাই চুপ হয়ে যায়। যারা মজাটা করছে তাদেরও বোধ হয় বোঝা হয়ে যায় সব জায়গায় এভাবে টিজ্ না করলেই হয়। তবে এর মানে তারা চুপ হয়ে যায়নি। নিরিবিলিতে নিদ্রাকে পুনরায় ভাবী বলে জ্বালানোর বুদ্ধি তাদের মাথায় এখনো আছে।
মেয়ের এই করূণ অবস্থা দেখে নিদ্রার বাবা নাজমুল হোসেন মুঁচকি হাসে। মেয়েটির এই গোমড়া স্বভাব তার অপছন্দ। আবার লোকের সমাগম নিদ্রারও অপছন্দ। সে একাকী থাকতেই অধিক পছন্দ করে। কেন এমন হবে সে? তার তো উচিত বাবার মতো হাস্যরসিক আর ফ্রি মাইন্ডেড হওয়া। তিনি আবার নিদ্রার উল্টো স্বভাবের। সবার সাথে মিশতে কথা বলতে খুব ভালোবাসেন। নিদ্রা যে সবার সাথে মিশেনা তা কিন্তু না! নিদ্রা নিজে থেকে মিশতে পারেনা। সবার তার কাছে নিজে থেকে আসা লাগে। একবার কারো ক্লোজ হয়ে গেলে তাকে ভুলে না নিদ্রা। খুব আপন করে নেয়। এখানে এসে তা পারছেনা কারণ সবাই আগে থেকেই তাকে বিরক্ত করা শুরু করেছে। নির্ঝর বসেছে নিদ্রার বাবা বামপাশের চেয়ারটাতেই। সে নাজমুল হোসেনকে নিদ্রার দিকে তাঁকিয়ে হাসতে দেখে বলল,
“আঙ্কেল? আপনি ঐ অবলা নারীকে দেখে হাসছেন কেন?”
নির্ঝরের কথা শুনে নাজমুল হোসেন এবার একটু শব্দ করেই হাসে। নির্ঝরের দিকে তাঁকিয়ে বলে,
“অবলা নারীটা আমার মেয়ে।”
নির্ঝর বেকুব বনে যায়। এদিকে ওনার মেয়েকে সবাই কেমন হেনস্তা করছে আর তিনি তা দেখে হাসছেন! ব্যাপার কী? নির্ঝর তার সাথে কথা বাড়ায়। এবং আসল কারণ জানেও। নিদ্রার সম্পর্কে জেনে সেও এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে হাসতে থাকে। তবে সে এদিক দিয়ে একটা বুদ্ধি কষছে। নিদ্রার বাবাকে হাত করে নিদ্রাকে নিয়ে ভাগার প্ল্যানে আছে। নিদ্রাকে তার খুব পছন্দ হয়েছে যা বলার বাকি রাখেনা।
উক্ত ঘটনার পরে অভ্র হঠাৎ নিদ্রার দিকে তাঁকায়। যার ফলে দুজনের চোখে চোখ পড়ে। অভ্র ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় তাতে। নিদ্রা এক ধ্যানে তার দিকে তাঁকিয়ে কি দেখছিল? নিদ্রাও লজ্জায় পড়ে যায়। দ্রুত খাবার শেষ করে উঠে পড়ে। পৃথিলাকেও সাথে করে নিয়ে যায়। এখানে একমাত্র পৃথিলার সাথেই সে ক্লোজ। বাকি কাজিন গুলো ছোট আর অনেকে বিবাহিত। আর বাদ বাকি যারা আছে তাদের সাথে পরিচয় হয়নি এখনো।
রাত ১২ টা বেজে ৯ মিনিট। হঠাৎ নিদ্রার রুমে নক হয়। এত রাতে কে আসতে পারে সে ভেবে কুল পায়না। হয়তো মা কিংবা পৃথিলা এসেছে। এমন ধারণা নিয়েই দরজা খুলে তাজ্জব হয়ে যায়। অভ্রকে সে এই মুহূর্তে আশা করেনি। অভ্র ও নিদ্রাকে দেখে বিচলিত হয়ে পড়ে। রুম নম্বর দেখে তার জিভে কামড় পড়ে। দুইশ এক নম্বর রুমে না এসে দুইশ সতেরো তে এসে পড়েছে। এক এর বিপরীতে দুইশ সতেরো যাতে নিদ্রা থাকছে এখন। অভ্র সরি বলেই উল্টো দিকে ফিরে মুখোমুখি দরজার লক ঘুরিয়ে রুমের মধ্যে ঢুকে শব্দ করে দরজা লাগিয়ে দেয়। নিদ্রা বিস্মিত হয়ে যায়। তার সাথে আনন্দিতও বটে! কেন না অভ্র তার সামনের রুমটিতেই আছে। ইশ! ব্যাপারটা কী সুন্দর! সেও হাসিমুখে দরজা লাগিয়ে দেয়।
দশ হাত দূরে দাঁড়িয়ে থাকা এহসান এতক্ষণ সবকিছুই দেখেছে। অভ্রর চলে যাওয়ার পর নিদ্রার মুখে মুঁচকি হাসিটা তার নজর এড়ায়নি। এহসান অনুভব করল যে নিদ্রার হাসি তার মন কেড়েছে। হোক না সেটা অন্য কারো জন্য!
আজ এহসান এবং নিহারীকার সঙ্গীত ও মেহেন্দী অনুষ্ঠান। কাজিনরা সবাই খুব জোর করেছিল এই ফাংশনের জন্য। এহসানরাও আর আপত্তি করেনা। খুব বড় করে আয়োজন করা হয়। পৃথিলা পূর্বেই সব ফাংশনের ব্যাপারে নিদ্রাকে জানিয়ে দিয়েছিল। সেই হিসেব করে নিদ্রা সব অনুষ্ঠানের জন্যই ড্রেস বরাদ্দ করে রেখেছিল। আজ সে হালকা নীল রঙের একটি ঝর্ঝেট আর স্টোনের কাজ করা লেহেঙ্গা পড়ে। পৃথিলাও কমলা রঙের একই ডিজাইনের লেহেঙ্গা পড়ে। তারা দুজন প্রায় সময় মিলিয়ে জামা কাপড় কিনে। তবে রঙ আলাদা হয় প্রতিবার।
সন্ধ্যায় নিহারীকার পুরো পরিবার উপস্থিত হয়ে সেখানে। আর অনুষ্ঠানও শুরু হয়। যে যার মতো নাঁচ গানে ব্যস্ত। এহসান রূপালী কারুকাজের উপরে একটি শেরওয়ানী পড়েছে। তার সাথে ম্যাচিং করে নিহারীকাও সেই রঙের লেহেঙ্গা পড়েছে। থিম টা হলো, ছেলেদের সবার শেরওয়ানী অথবা পান্জাবী আর মেয়েদের লেহেঙ্গা অথবা শাড়ি।
এহসান ফোনে কথা বলছিল। কথা বলার জন্য সে এক পাশে এসে দাঁড়ায়। তখন দেখে এক যুবক ও এক যুবতী একে অন্যের দিকে প্রেমময় দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে। এহসান তাদের চিনেনা হয়তো তারা কনেপক্ষ! এহসান আনমনে সামনে থাকা যুবক যুবতীর দিকে চেয়ে আছে, দুজনের মধ্যে কিছু গভীর বিষয় নিয়ে আলোচনাও চলছে। এহসান নজর সরাতেই দেখে তার পাশে নির্ঝর দাঁড়িয়ে আছে। আকস্মিক বন্ধুকে দেখে সে কিছুটা ভড়কে যায়। নির্ঝর তার পিঠে চাপড় দিয়ে বলে,
“ভাবির কথা ভাবছিস?”
“হু!”
“এত কী ভাবছিস যে জবাব অতি ক্ষুদ্রতর!”
“তেমন কিছু না। নিহারীকা আমার ফোন ধরেনি আজকে এবং এসেছে থেকে কথাও বলছেনা।”
“নিহারীকা?”
“ঐ তো নিদ্রা। আসলে ওর নাম নিহারীকা এমদাদ। নিদ্রা নামটি ওর বাবা-মা রেখেছে। তবে সেই নামে ওকে কেউ ডাকেনা। সেদিন সৌভাগ্যক্রম বা দুর্ভাগ্য যা-ই বলিস তাদের বাড়িতে গিয়ে ছোট চাচী ওর দাদীর মুখে এই নাম শুনেছে। তো এখন বউয়ের নাম জিজ্ঞেস করলেই শুধু নিদ্রা বলে। বাহিরে ভ্যানারেও সেটাই ছাপিয়েছে।”
“ঐ নিদ্রার পুরো নাম কী জানিস?”
“কোন নিদ্রা? আমার কাজিন!”
“হ্যাঁ”
“না রে সেই সৌভাগ্য আমার হয়নি। মেয়েটা আমাকে দেখলেই কেমন বাঘিনীর ন্যায় তাঁকায়। বোধ হয় এক্ষুণি এক থাবা দিয়ে আমার কলিজা কেড়ে নিবে।”
নির্ঝর মৃদু হাসে। তারপর হালকা নীল রঙা লেহেঙ্গা পরিহিতা নিদ্রার দিকে তাঁকিয়ে বলল,
“প্রথমা নিদ্রা! ওর নাম প্রথমা নিদ্রা, নামটা তার বাবার থেকেই শুনেছি।”
এহসান ভ্যাবাচ্যকা খেয়ে যায়। নামেই কেমন সিল মেরে রেখেছে মনে হয়। আর কোনো নিদ্রা হলেও সে-ই প্রথম। সবাইকে ভালোভাবে বুঝিয়ে দিচ্ছে যেন সবাই পরে সে আগে। তাই তো নামের ব্যাপারে সে এতটা সিরিয়াস! নাহয় গতকাল রাতে সে নিদ্রার থেকে এমনি এমনি কি আর মহা ধমক খেয়েছে? এহসান বিড়বিড় করে কয়েকবার অস্পষ্ট ভাবে উচ্চারণ করে,
“প্রথমা নিদ্রা!”
#চলবে!
(কেমন হয়েছে জানাবেন। আপনাদের সর্বোচ্চ রেসপন্স আশা করছি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।)