সুপ্ত ভালোবাসা❤পর্ব-৩১

0
1612

#সুপ্ত_ভালোবাসা

#পর্ব_৩১

#Tahmina_Akther

-ফুল আর একটু পরেই অফিস থেকে বের হবো। তোমার কিছু লাগবে,নিয়ে আসবো?

-না কিছু লাগবে না।

-আচ্ছা, রাখছি তাহলে বাড়িতে এসে কথা হবে।

-হুম

হিয়া কল কেটে হেঁটে চললো ছাঁদের উদ্দেশ্য। বিকেলের সময়টাতে ছাঁদে বসে থাকতে ভালো লাগে।অরিনকে সাথে নিয়ে ছাঁদের ফুল গাছ গুলোতে পানি দিয়ে বসে বসে নানান গল্প করছে অরিন আর হিয়া।এরই মাঝে গেটে গাড়ি ঢুকার শব্দ পেলো।হিয়া দৌঁড়ে ছাঁদের কার্নিশে গিয়ে দাঁড়ালো।

অভিক গাড়ি থেকে বেরিয়ে চাবিটা দারোয়ানের হাতে দেয়ার সময় ছাঁদের দিকে চোখ যায়। সেখানে থেকে হিয়া যে তার দিকে তাকিয়ে আছে সে বুঝতে পারলো।অতি দ্রুত বাড়িতে প্রবেশ করে ওর রুমে চলে এলো।এরপর, অফিসের জামাকাপড় ছেড়ে ওয়াশরুম ঢুকলো শাওয়ার নিতে।

শাওয়ার শেষে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই দেখতে পেলো হিয়া রুমের সোফায় বসে আছে । হাতে টাওয়াল নিয়ে হিয়ার পাশে গিয়ে বসলো।হিয়া মুচকি হেসে অভিকের হাত থেকে টাওয়াল নিয়ে চুল মুছিয়ে দিলো। হিয়ার নিত্যদিনকার কাজের মাঝে অভিকের গোসল শেষে চুল মুছিয়ে দেয়া আরেকটি কাজ। চুল মোছা শেষ হতেই অভিক হিয়ার হাত ধরে পাশে বসিয়ে ওর কাঁধে মাথা রেখে বললো,

-অফিস থেকে এলে তোমার হাতের পরশ পেলে সারাদিনের ক্লান্তি নিমেষে দূর হয়ে যায়। কেন এমনটা হয় বলতে পারবে তুমি?

-আমি কি ভাবে বলবো কেন এমন হয়? হালকা কিছু খাবে বানিয়ে আনবো?

-না থাক। এমনিতেই কিছু খেতে ভালো লাগছে না।শুধু কফি বানিয়ে আনলে চলবে।

হিয়া কিচেন থেকে কফি বানিয়ে নিয়ে গেলো অভিকের জন্য। রুমে যেতেই দেখতে পেলো অভিক সোফাতে ঘুমিয়ে পড়েছে।তাই ওকে আর জাগালো না হিয়া।
ওর গায়ে চাদর জরিয়ে রুমের লাইট নিভিয়ে বের হয়ে অরিনের রুমে চলে গেলো হিয়া। অরিনের রুমে যেয়ে ওকে পেলো না হিয়া।

মোবাইল বের করে অরিনকে কল দিবে তার আগে স্ক্রীনে একটি মেসেজ এলো।মেসেজ চেক করতেই দেখলো অরিনের মেসেজ।

“ভাবি,আমি আমার বান্ধবী তমাদের বাড়িতে এসেছি। চিন্তা করো না আমার জন্য আর মা’কে আমি বলে দিয়েছি আজ তমাদের বাড়িতে থাকবো। তোমাকে বিকেলে এই কথা বলতেই ছাঁদে এসেছিলাম কিন্তু কথার ফাকে ভুলে গিয়েছিলাম।খেয়ে নিও তোমরা দু’জন ”

মেসেজটি পড়ে হালকা দীর্ঘ শ্বাস ফেললো হিয়া। বাড়িতে কেউই নেই সকলে গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে।অভিক, আমি আর অরিন ছিলাম বাড়িতে। কিন্তু এখন তো অরিনও নেই!

————–

চারপাশে এত অন্ধকারে ছেয়ে আছে কেন?রাত হয়ে গেলো নাকি? খাট থেকে নেমে রুমের লাইট অন করে ঘড়িতে সময় দেখলাম। তখন রাত দশটা বাজে বিকেলে ঘুমিয়ে এখন জেগে উঠলাম। হিয়া কোথায় আমাকে একটিবারও ডাকলো না!

ঘুম চোখে নিয়ে হিয়াকে খুঁজতে রুম থেকে বেরিয়ে এলো অভিক।সিঁড়ি দিয়ে নিচে নেমে চারদিকে চোখ বুলিয়ে দেখলো। কিন্তু না হিয়া এখানেও নেই।এরই মাঝে কিচেন থেকে কিছু পরে যাওয়ার শব্দ ভেসে এলো।

অভিক কিচেনে যেয়ে দেখলো, হিয়া কি যেন রান্না করছে? মনে মনে স্বস্তির নিশ্বাস ত্যাগ করলো। প্রথমে ভয় পেয়েছিলো হিয়াকে না দেখে।
আস্তে আস্তে পা টিপে টিপে হিয়ার পিছনে দাঁড়িয়ে ওর কানের কাছে হাউউউ বলে উঠলো।

বেচারি আচমকা আক্রমনে ভয়ে চিৎকার দিয়ে দৌঁড়ে বের হতে চাইলেই অভিকের বুকে ধাক্কা খায়।অভিককে চোখের সামনে দেখতে পেয়ে ঝাপটে ধরলো হিয়া। ভয়ে ওর পুরো শরীর কাঁপতে লাগলো।

অভিক হিয়াকে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো।মনে মনে নিজের করা কাজে বেশ লজ্জিতবোধ করলো।আসলে সে বুঝতে পারেনি হিয়া এরকম রিয়েক্ট করবে।হিয়ার মাথায় হাত বুলিয়ে অভিক মৃদুস্বরে বললো,

-বৌ সরি।আসলে আমিই এমনটা করেছি। বুঝতে পারিনি তুমি এভাবে আতঙ্কিত হয়ে পরবে।

অভিকের থেকে এমন কথা শুনতে পেয়ে হিয়া মাথা তুলে তাকালো। এরপর, আস্তে করে অভিকের বাহুডোর থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে আবারও চুলার সামনে গিয়ে দাঁড়ালো।

অভিক বুঝতে পারলো তার বৌ’টা তার উপর অভিমান করেছে। হিয়ার পাশে গিয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে লাগলো, কি রান্না করছে তার ফুলটা?
মুরগির মাংস ভূনা, গরুর রেজালা, ডিম ভাজা,ইলিশ মাছ ভাজা এবং পোলাও।

অভিক এতসব রান্না দেখে হিয়াকে জিজ্ঞেস করলো,

-কি ব্যাপার আজ খাবারের এত আয়োজন? কেউ আসবে না কি? আর বাড়ির কাউকে দেখছি না যে?

-কেউ আসবে না এমনিতেই মন চাইলো এইসব রান্না করতে। আর বাড়ির সবাই গ্রামের বাড়িতে গেছে শুধু তুমি,আমি আর অরিন বাদে।

-আমাকে কেউ একটিবারও বললো না ?

-তোমার মোবাইলে কল করেছিলো কিন্তু সংযোগ হচ্ছিল না তাই তোমাকে জানাতে পারেনি।

-সবই বুঝলাম তবে অরিন কোথায়?

-ওর বান্ধবী তমার বাড়িতে গেছে। এখন নিশ্চয়ই তোমার খুদা লেগেছে হাতমুখ ধুয়ে আসো। টেবিল খাবার দিচ্ছি খেয়ে নাও।

অভিক চটজলদি হাতমুখ ধুয়ে চলে এলো।ততক্ষণে হিয়া সব খাবার টেবিলে গুছিয়ে রাখলো।চারদিকে বাহারি খাবারের গন্ধ মৌ মৌ করছে। অভিক একটি চেয়ার টেনে হিয়ার হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিলো। এরপর,ওর প্লেটে খাবার তুলে দিয়ে বললো,

-এতক্ষণ, অনেক কষ্ট করে রান্না করেছো। এবার আমি না হয় তোমায় খাবার সার্ভ করে দিলাম।

-তুমিও বসে পরো। খাবার ঠান্ডা হয়ে গেলে খেতে টেস্ট লাগবে না।

-খাবো একশর্তে যদি তুমি খাইয়ে দাও। আমি জানি তুমি আমার উপর অভিমান করে আছো।কিন্তু, বিশ্বাস করো আমি বুঝতে পারিনি আমার এহেন কাজে তুমি ভয় পাবে! আর কখনো এইরকম করবো না বৌ। প্লিজ এবারের মতো মাফ করে দাও?

অভিক দু’হাতে কান ধরে বাচ্চাদের মতো মুখ করে কথাগুলো বলছিলো হিয়ার সঙ্গে। এরকম করে কথা বললে কেউ কি আর অভিমান করে থাকতে পারে?
হিয়ার অভিমানও গলে পানি হয়ে গেছে। ওর প্লেট থেকে খাবার নিয়ে অভিকের মুখের সামনে এক লোকমা তুলে ধরলো।অভিক হালকা হেসে হিয়ার হাত থেকে খাবার খেয়ে নিলো।খাবার খেতে খেতে অভিক হিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলছে,

-আজ কতদিন পর তোমার হাতে খাবার খেলাম।অসুস্থ ছিলাম বেশ ছিলাম অন্তত তোমার হাতের খাবার, যত্ন সবই পেতাম। কিন্তু, এখন তো কিছুই পাচ্ছি না।

অভিকের এই কথার বিপরীতে হিয়া কি বলবে বুঝে উঠতে পারছিলো না তাই চুপ করে ছিলো।হিয়াকে চুপ করে থাকতে দেখে অভিকও আর কিছু বললো না। এর পরের সময়টুকুতে দু’জন চুপ করে খাবার খাচ্ছিলো।

খাবারের পর্ব শেষ হতেই দু’জনে মিলে সব গুছিয়ে রেখে দিলো।হিয়ার বেশ ঘুম পাচ্ছে তাই ও রুমে চলে গেলো।এখন তো আর অভিকের ঘুম আসবে না তাই ও চলে গেলো ছাঁদে।

রাতের আকাশজুড়ে আজ আঁধারের খেলা।হয়তো বৃষ্টি নামবে তাই! সময় এখন মধ্যেরাত চারদিকে নিস্তব্ধতা বিদীর্ণ।মাঝে মাঝে দূর থেকে দু’একটা কুকুরের ডাক ভেসে আসছে।

জ্বলন্ত সিগারেট দুই ঠোঁটের মাঝে রেখে একটান দিয়ে দূর আকাশে তাকিয়ে ধোঁয়া গুলো উড়িয়ে দিলো।অভিকের মনটা আজ ভিষণ রকমের তেঁতো হয়ে আছে।কিন্তু, কেন বুঝতে পারছে না?হয়তো রফিক সাহেবর কথার প্রেক্ষিতে।

আজ দুপুরের লাঞ্চের পর রফিক সাহবে আসেন ওদের অফিসে।অনেক পুরনো ক্লাইন্ট অভিকদের।ব্যবসায়িক কিছু খুচরো আলাপ থাকলেও বেশিরভাগ আলাপ ছিলো অভিক আর হিয়ার দাম্পত্য জীবনকে ঘিরে। রফিক সাহবে বিনা সংকোচে ওদের বৈবাহিক সম্পর্ক কেমন সরাসরি অভিককে জিজ্ঞেস করলো।অভিক বললো,

-আলহামদুলিল্লাহ ভালো।কিন্তু আপনি কেন এভাবে প্রশ্ন করছেন?

-ভালো হলে তো ভালো। কিন্তু, তোমার ওয়াইফ মানে হিয়া জামানের তো অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়েছিলো আবার নাকি সেই ছেলের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।এখন কথা হলো, সে কি আসলে তোমাকে মেনে নিতে পেরেছে নাকি সেই ছেলেকে মনে প্রাণে এখনো ভালোবাসে?

অভিক বেশ চটে গিয়েছিলো ভদ্রলোকের এই কথার প্রেক্ষিতে তবুও নিজেকে শান্ত রেখে হাসিমুখে কথা কাটিয়ে দিলো।লোকটি বয়সে ওদের থেকে গুরুজন তাই আর কথা বাড়ায়নি।

রফিক সাহেব চলে গিয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু উনার কথার রেশ গুলো অভিকের মনে রয়ে গেলো।

” ফুল কি তবে আমাকে এখনও আমাকে ভালোবাসতে পারেনি? নাকি ওর মনে এখনো আহানের পদচারণা প্রায়শই হয় ”

কথাগুলো নিজের মনে মনে আওরাচ্ছে অভিকে। এরই মাঝে ওর গায়ে বিন্দু পানির স্পর্শ পেলো। অভিক ওর সম্বিত ফিরে পেতেই দেখতে পেলো আকাশ থেকে বর্ষণের ঢল নেমেছে। ভিজতে ভালোই লাগছে অভিকের অন্তত এই বৃষ্টির পানির পরশে তার হিয়া প্রতি যে সন্দেহ জেগেছে তা যেন ধুয়ে মুছে যায়।

————

জানালা দিয়ে বৃষ্টির ছিটে আসতেই হিয়ার ঘুম ভেঙে গেলো।পাশ ফিরে তাকিয়ে দেখলো অভিক নেই। ধড়ফড়িয়ে উঠে পরলো হিয়া এত রাতে গেলো কোথায়?

পুরো বাড়িতে খুঁজেও যখন পেলো না তখন অভিকের মোবাইলে কল করলো কিন্তু ওর মোবাইল রুমেই বেজে উঠলো। হিয়া কি করবে বুঝে উঠতে পারছিলো না। একবার ভাবছে, ওর ছোট আব্বুকে কল দিয়ে জানাবে কি না? কিন্তু, এতরাতে উনাদের কল দিয়ে এই বৃষ্টির রাতে অভিককে পাওয়া যাচ্ছে না কথাটি বলা কতটুকু যৌক্তিকতা হবে বঝতে পারছে না।

হঠাৎই, হিয়ার মনে হলো অভিক ছাঁদে নয়তো। দৌঁড়ে ছাঁদে যাওয়ার জন্য রুমে থেকে বের হতেই একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলো হিয়া আর অভিক।

হিয়া উঠে পড়লো অভিকের উপর থেকে।উঠে দাঁড়াতেই ওর গায়ে শীত শীত অনূভুত হলো।আসলে অভিক বৃষ্টিতে ভেজার ফলে ওর পুরো শরীর ভিজে আছে। হিয়া ওর সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যাওয়ার কারণে ওর শরীরও ভিজে যায়।

এতরাতে অভিককে ভেজা গায়ে দেখে বেশ রেগে গেলো হিয়া।

-এতরাতে কোত্থেকে এলে তুমি তাও আবার ভেজা শরীর নিয়ে? সেদিন না সুস্থ হলে এখন কি আবারও অসুস্থ হতে ইচ্ছে করছে না কি?

-ছাঁদে ছিলাম।হঠাৎই বৃষ্টি নেমে পড়লো। আর সত্যি কথা বলতে কি, আমার আজ বৃষ্টিতে ভিজতে বেশ ভালো লাগছিলো।

-হুম, ভালো লাগছিলো। শরীরে অসুখের কারখানা নিয়ে বসে থাকো তুমি,তাই না?

-আমার অসুখ হলে তোমার কি? তুমি তো আর আমাকে ভালোবাসো না? শুধু শুধু এত হাইপার হওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি আমি অসুস্থ হই তুমি আর আমার সেবা করো না ঠিক আছে।

-এখানে সেবার কথা আসছে কেন? আমি বলেছি তোমার ভালোর জন্য আর তুমি সব উল্টো মিন করছো।

-আমি কোনোপ্রকার উল্টো মিন করছি না। তুমি এখনও আহানকে ভালোবাসো তাই না? তাই এখনো আমাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিতে পারো নি তুমি?
রফিক সাহবে ঠিকই বলেছেন তুমি আমাকে ভালোবাসো না।

অভিকের কথা শুনে হিয়া যেন আকাশ থেকে পড়লো। কি বলছে এইসব?তারমানে, রফিক সাহবের কথায় ও এমন আচরণ করছে!

শুধুমাত্র এই কারণে অভিক সাহেব এমন উদ্ভট বিহেব করছে!
হিয়া হালকা হেঁসে অভিকের খুব খুব কাছে গিয়ে দাঁড়ালো। ঠিক ততটুকু কাছে যতটুকু কাছে দাঁড়ালে একে অপরের শ্বাসপ্রশ্বাসের নিশ্বাসটুকু অনুভব করা যায়।
অভিকের গলা জড়িয়ে ধরলো হিয়া। এরপর, ওর চোখে চোখ রেখে বললো,

-তুমি কি জানতে চাও আমি তোমায় ভালোবাসি কি না ?

অভিক মাথা নাড়িয়ে হু বললো।

-আমার জীবনের প্রথম ভালোবাসা আহান। ওর মাধ্যমে আমি অনুভব করতে পেরেছিলাম, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী অনূভুতি ভালোবাসার অনূভুতি। কিন্তু, ওকে হারিয়ে যখন আমি ছিলাম সঙ্গি হারা পাখির মতো দিশেহারা, অনূভুতিহীন।ঠিক তখনই আমার জীবনে কেউ এলো তার ভালোবাসার আহ্বান নিয়ে। সে ভালোবাসায় ছিলো না তার চাওয়ার চাহিদা। সে শুধুই আমাকে ভালোবেসেছে নিস্বার্থ ভাবে। তার একটু একটু ভালোবাসায় নতুন করে প্রেমে পরেছি আমি। আমার মনে আবারও বসন্ত এসেছে কোকিলের কলরবে প্রানবন্ত হয়েছে আমার হৃদমাঝার।

শুধুমাত্র তাকেই ভালোবেসে আমি আমার বাকি জীবনটুকু অনায়াসে পার করতে চাই।

কিন্তু, এখন সে যদি আমাকে বলে, তাকে আমি ভালোবাসি না। তাহলে,আমার অনুভুতির যন্ত্রণার ভার কে সইবে বলো,অভিক?

হিয়ার কথার আগামাথা কিছু বুঝতে পারছে না অভিক। ও যেন অবাকের সপ্তম আসমানে আছে।তাই শিওর হওয়ার জন্য হিয়াকে আবারও জিজ্ঞেস করলো,

-তুমি যা বলছো তা কি সত্যি ফুল?

-হুম, সত্যি সত্যি সত্যি। ফুল তার অভিককে অনেক ভালোবাসে। তার অভিকের বুকে মাথা পেতে পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন ভালোবাসা উপভোগ করতে চায়। অভিক, দিবে তো আমায় তোমার হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা সুপ্ত ভালোবাসা?

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here