সেই সন্ধ্যা পর্ব-১১

0
1881

#সেই_সন্ধ্যা
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_১১
.
পরশ সকালকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিল। সকাল গাড়িতে উঠে টাটা দিয়ে চলে গেল। পরশ মুচকি হাত দিয়ে নিজের চুল গুলো উপরে উঠাতে উঠাতে বললো,
-“তোমাকে আমার ভীষণ মনে ধরেছে পরী।”

স্নিগ্ধ বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় হঠাৎ গাড়ি ব্রেক করলো। কিছুদূরে দাঁড়িয়ে কেউ একজন ফোনে কথা বলছে। পাশেই তার সেক্রেটারি দাঁড়িয়ে আছে। একটা গাড়ি এসে থামতেই ভেতর থেকে একজন লোক বেরিয়ে এলো। মানুষটি ফোন কেটে হেসে লোকটির সাথে হাত মিলিয়ে ভেতরে চলে গেল। স্নিগ্ধ সম্পূর্ণ ব্যাপারটা পর্যবেক্ষণ করে গাড়ি স্টার্ট দিল। রাগে চোখ জোড়া লাল হয়ে আসছে ওর। পারলে এখনি মানুষরূপী ওই শয়তানটাকে যেয়ে খুন করে আসে স্নিগ্ধ। কিন্তু এমন করলে ওই মানুষটার ভেতরে আর ওর ভেতরে কোনো তফাৎই থাকবে না। তাই নিজেকে যথাসম্ভব স্বাভাবিক করার চেষ্টা করতে লাগলো।
সকালের গাড়ি বাড়ির ভেতরে ঢোকার সময় সকাল খেয়াল করলো বাড়ির পরিবেশ কিছুটা ভিন্ন লাগছে। গাড়ি থেকে নেমে ভেতরে ঢুকে দেখে ওর চাচ্চু বসে আছে। সকাল খুশি হয়ে দৌড়ে চাচ্চুর কাছে গেল। সকালকে দেখে ওর চাচ্চুও উঠে দাঁড়িয়ে পরম আদরে নিজের বুকে জড়িয়ে ধরলো নিজের একমাত্র ভাস্তিকে।

-“চাচ্চু কখন এসেছো তুমি?”
-“এইতো মা একটু আগেই আসলাম। তা আমার মা কেমন আছে?”
-“সকাল অনেক ভালো আছে চাচ্চু। সকালের চাচ্চু কেমন আছে?”
-“আমি তোমাকে দেখে এখন একদম ভালো হয়ে গিয়েছি।”
-“ভাইয়া আসে নি?”
-“না। তোমার ভাইয়া কাজে খুব ব্যস্ত। তবে তোমার এই চাচ্চুর ছেলে এসেছে।”
-“মিস্টার আলু আর আমাদের বাসায়! কিভাবে সম্ভব? নিশ্চয়ই অফিসের কাজে এসেছে?”
-“হ্যা। এছাড়া আর কি।”
-“জানতাম! তোমার ছেলে এত গম্ভীর কেন গো চাচ্চু? কথাই বলতে চায় না।”
-“পোড়া কপাল আমার বুঝলে তো মা!”
-“আচ্ছা চাচ্চু তুমি মাম্মা-পাপার সাথে কথা বলো। আমি ফ্রেশ হয়ে পরে আসছি।”
-“ঠিকাছে মা যাও।”

সকাল রুমে এসে একেবারে গোসল করে নিলো। ফ্রিজ থেকে একটা আইসক্রিম বক্স আর কতগুলো চকলেট নিয়ে সোজা ছাদে চলে গেল। দোলনায় বসে চকলেটের প্যাকেট ছিঁড়ে চকলেট গুলো ছোট ছোট টুকরো করে ভেঙে আইসক্রিমের ওপর ছড়িয়ে দিল। এরপর মজা করে আইসক্রিম খেতে লাগলো।
ছাদের একপাশে দাঁড়িয়ে কানে ব্লুটুথ লাগিয়ে ফোনে কথা বলছে অনুভব। মূলত একটা মিটিং হ্যান্ডেল করছে ও। কথা বলার মাঝে ওর চোখ গেল ছাদের মাঝে দোলনায় বসে থাকা একটি মেয়ের দিকে। মেয়েটি উল্টো দিক ঘুরে বসে আছে। অনুভব ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে রইলো সেদিকে। মিনিট দশেক পর মিটিং শেষ হতেই সামনে এগিয়ে গেল ও। দোলনার পেছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো,
-“কে তুমি?”

হঠাৎ এমন গম্ভীর গলার শব্দ শুনে ভয়ে লাফিয়ে উঠলো সকাল। আইসক্রিমের বক্সটা হাত থেকে নিচে পরে গেল। মুহূর্তেই সকালের চেহারাটা কাঁদো কাঁদো হয়ে গেল। অনুভব অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে সকালের চুলের দিকে। হাঁটু থেকেও অনেকটা নিচ পর্যন্ত সকালের ঘন কালো লম্বা চুল। এত লম্বা চুল আগে কোনো মেয়ের মাথায় দেখে নি অনুভব। সকাল সামনে ফিরতেই আরেক দফা অবাক হলো অনুভব। সেই যে ছোট বেলায় দেখেছিল ও সকালকে। এতগুলো বছর পর আজ আবার সকালকে দেখে একটু ভুল হয় নি চিনতে। কারন এমন ভয়াবহ সুন্দরী একমাত্র সকালই হতে পারে। কারন সে ছোট থেকেই অনেক সুন্দর দেখতে। কিন্তু এত বেশি সুন্দর হয়ে যাবে আগে থেকে তা ভাবে নি অনুভব। সকাল ভ্রু জোড়া কিঞ্চিৎ কুঁচকে জিজ্ঞেস করলো,
-“আপনি নিশ্চয়ই চাচ্চুর ছেলে অনুভব?”
-“হ্যা। তার মানে তুমি সকাল?”
-“না আমি ভূত। আপনি আমাকে ভয় দেখালেন কেন?”
-“ওমা! ভূতেরাও আবার ভয় পায়?”
-“মানে! আপনি বলতে চাচ্ছেন আমি সত্যি সত্যি ভূত?”
-“তুমিই তো মাত্র বললে যে তুমি ভূত।”
-“আরে আমি তো সেটা কথার কথা বলেছি।”
-“ওহ! তুমি কি দেখে ভয় পেলে?”
-“আপনার কণ্ঠস্বর শুনে আমি ভয় পেয়েছি। এত ভারী কণ্ঠ কেন আপনার?”
-“আমার কণ্ঠ এমনই। যাই হোক আমি আসছি এখন। আমার কাজ আছে।”
-“আগে স্যরি বলেন। তারপর যাবেন।”
সকালের কথা শুনে অনুভব ভ্রু উঁচু করে গম্ভীর স্বরে বললো,
-“এক্সকিউজ মি!”
-“আরে একে তো আপনি আমাকে ভয় দেখিয়েছেন। আর তার ওপর আবার আপনার ভয়ে আমি আইসক্রিম ফেলে দিয়েছি। তো দোষটা আপনার না! তাই স্যরি বলেন। নয়তো সকাল রেগে যাবে।”
অনুভব বেশ শান্ত সুরেই বললো,
-“স্যরি বলা আমার ফিদরতে নেই।”
-“না থাকলেও বলতে হবে। দোষ করলে স্যরি বলতে হয়।”
-“আমি বলি না। কারন আমার দ্বারা কোনো ভুল হয় না। আর তোমাকে আমি ভয় দেখাই নি। তুমি নিজেই ভয় পেয়েছো আবার নিজেই নিজের আইসক্রিম ফেলে দিয়েছো। সো দোষ তোমারই। নাউ বায়। আই হ্যাভ টু গো।”

অনুভব আর কিছু না বলে নিচে চলে গেল। আর সকাল গাল ফুলিয়ে চোখ দু’টো ছোট ছোট করে সেদিকে তাকিয়ে রইলো। পরক্ষণেই কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে আবারও নিচে পরে থাকা আইসক্রিম বক্সের দিকে তাকালো।

একটা ইমার্জেন্সি এসে পরায় আবারও স্নিগ্ধকে হসপিটালে আসতে হয়েছে। অপারেশনটা শেষ করে ফ্রেশ হয়ে এসে কেবিনের চেয়ারে তার ক্লান্ত শরীরটা এলিয়ে দিল। তখনি ওর এ্যাসিস্ট্যান্ট এলো কেবিনে। স্নিগ্ধ চোখ মেলে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-“কি হয়েছে ইমা? কোনো দরকার!”
-“জ্বি স্যার। এই ৪০২ নম্বর কেবিনের পেশেন্টের রিপোর্ট গুলো একটু চেক করতে হবে। পেশেন্টের বাড়ির লোক বাইরে দাঁড়িয়ে আছে। আপনি ক্লান্ত বলে ওনাকে এখন ভেতরে আসতে দিই নি।”
-“ভালো করেছো। ফাইলটা দাও।”

ইমা স্নিগ্ধর দিকে ফাইল এগিয়ে দিতেই সেটা খুলে পড়তে গিয়ে পেশেন্টের নাম দেখে চমকে উঠলো স্নিগ্ধ। মনে মনে শুধু নামটা আওড়ালো সে “নীলাম”। বুকের ভেতরটা মুহূর্তেই জ্বলেপুড়ে খাক হয়ে যেতে লাগলো। কোনো মতে রিপোর্টটা চেক করে ইমাকে দিয়ে দিল। ইমা চলে যেতেই স্নিগ্ধ আবারও চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বুঁজে নিলো। চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু পুরোনো স্মৃতি।

-“নীলাম দাঁড়াও। নীলাম! উফফো… নীলাম অনেক হয়েছে আমি আর হাঁটতে পারবো না।”
-“সিরিয়াসলি স্নিগ্ধ! এতটুকু হেঁটেই তুমি টায়ার্ড হয়ে গিয়েছো? মাত্র তো পৌঁনে একঘন্টা হলো আমরা হাঁটা শুরু করেছি।”
-“পৌঁনে একঘন্টা তোমার কাছে মাত্র মনে হচ্ছে?”
-“অবশ্যই। ইউ নৌ আমি হাঁটতে ভীষণ ভালোবাসি।”
-“তাই বলে টানা এতক্ষণ?”
-“আমার অভ্যাস আছে।”
-“কিন্তু আমার তো নেই। আর তাছাড়া এত রাতে তুমি আমাকে এই জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ?”
-“বললাম না কোনো কুয়েশ্চন করবে না। শুধু আমার সাথে আসো। আর একটু তার পরেই আমরা পৌঁছে যাব।”
-“আমি আর পারবো না। আমার শক্তি নেই।”
-“প্লিজ স্নিগ্ধ আর একটুই তো! এমন করো কেন?”
-“তুমি গত আধঘন্টা ধরে আর একটু আর একটু বলছো। তোমার আর একটু কখন শেষ হবে?”
-“স্নিগ্ধ আমাকে রাগিয়ো না। তুমি যাবে কি’না বলো।”
-“তুমি আমাকে এত প্যারা কেন দাও বলোতো?”
-“ওহ আচ্ছা আমি তোমার কাছে প্যারা?”
-“ইমোশনাল ড্রামা শুরু করো না তো! চলো যাচ্ছি আমি।”
-“তুমি আমার সব কথা শুনো। এজন্যই তো তোমাকে এত্ত ভালোবাসি। চলো চলো।”

আরও পনেরো মিনিট হাঁটার পর জঙ্গল পাড় হতেই স্নিগ্ধ চোখ বড় বড় করে তাকালো। একবার নীলামের দিকে আবার সামনের দিকে তাকাচ্ছে স্নিগ্ধ। জোরে “ওয়াও” বলে এগিয়ে গেল সামনে। খোলা মাঠের মাঝে শত শত কাশফুল। তার ভেতর হাজারো জোনাকিপোকা জ্বলজ্বল করছে। আকাশ ভরতি তারার মেলা। তারার আলো আর জোনাকির আলো মিলে এই অন্ধকার জায়গাটাকে হালকা আলোয় পরিপূর্ণ করে তুলেছে। কাশফুল গুলো এত চমৎকার লাগছে দেখতে যা বলার মতো না। স্নিগ্ধ একগাল হেসে নীলামের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“দিস ইজ দ্যা মোস্ট বিউটিফুল প্লেস আই এভার সিন।
-“এখন সব ক্লান্তি দূর হয়েছে?”
-“একদম। এখানে এত সুন্দর দৃশ্যও আছে তা আমার কল্পনার বাইরে ছিল।”
-“হুহ তুমি কি ভেবেছিলে সুন্দর সুন্দর দৃশ্য শুধু ওই সাজেক, কুয়াকাটা, রাঙামাটি, বান্দরবান এসব জাগাতেই আছে? জ্বি না! নিজে যেই জায়গায় থাকো সেসব জায়গাতেও এমন ছোট ছোট অনেক সুন্দর সুন্দর দৃশ্য মাঝে মাঝে থাকে।”
-“হুমম। তুমি না দেখালে তো জানতামই না।”
-“তাহলে এবার আমার গিফট দাও!”
নীলামের হাত ধরে ওকে কাছে টেনে কোমড় জড়িয়ে ধরে দুষ্টু হেসে স্নিগ্ধ বললো,
-“যা গিফট দিব তাই নিবে?”
-“শয়তান ছেলে ছাড়ো আমাকে। মাথার ভেতর শুধু দুষ্টু চিন্তা-ভাবনা ঘুরে কেন তোমার?”
-“তোমার জন্যই তো ঘুরে। দোষ তো তোমারই। কে তোমাকে এত রূপসী হতে বলেছিল হ্যা? দেখতে পুরোই টমেটোর মতো লাগে। মন চায় কামড়িয়ে খেয়ে ফেলি একদম।”
-“অসভ্য! আমি কিন্তু আমার শ্বাশুড়ির কাছে বিচার দিব তোমার নামে।”
-“ওটা ভবিষ্যৎ শ্বাশুড়ি হবে। বিচার দিও কি হবে তাতে? উল্টো আমার শ্বাশুড়ি মানে তোমার আম্মু তোমার কান মলে দিবে।”
-“হ্যা তা তো দিবেই। মাঝে মাঝে আসলেই আমার মনে হয় আমি ওনাদের কুড়িয়ে পাওয়া মেয়ে। নাহলে তোমার জন্য ওরা আমাকে বকা দেয় কেন?”
-“আমার মতো সুশৃঙ্খল, সুশীল, মার্জিত আর ভদ্র ছেলে পেলে সবাই তাদের মেয়েকে ভুলে মেয়ের জামাইকে নিয়ে পরে থাকবে।”
-“নিজের এত প্রশংসাও করো না। শুধু আমি দেখে তোমার সাথে প্রেম করছি। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে না তোমাকে পাত্তাই দিতো না।”
-“আচ্ছা! তো আমাকে কে যেন নিজে থেকে এগিয়ে এসে প্রপোজ করেছিল? কে যেন নিজে থেকে চুমু খেয়েছিল? “শুনেন শ্বাশুড়ি আম্মা আপনার ছেলে যদি আমাকে বিয়ে না করে না! তাহলে কিন্তু ওকে কিডন্যাপ করে নিয়ে গিয়ে জোর করে বিয়ে করব আমি।” এই থ্রেটটা কে দিয়েছিল আমার বাসায় এসে আমার আম্মুকে?”

নীলাম তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে স্নিগ্ধর দিকে তাকিয়ে মনে মনে বললো,
-“কোন কুক্ষণে যে এই ফাজিলকে আমি আগ বাড়িয়ে প্রপোজ করেছিলাম! কোন কুক্ষণে যে এইটারে আগ বাড়িয়ে কিস করেছিলাম! আর কোন কুক্ষণে এর বাসায় যেয়ে শ্বাশুড়ি আম্মাকে থ্রেট করছিলাম আল্লাহ্ ভালো জানে। শালা সারাটা জীবন আমার এখন এই এক খোঁটা শুনতে শুনতে যাবে। প্রতিদিনই এই কথা শুনায়। চান্দু একবার শুধু আমি সুযোগ পাই তারপর তোর খবর আছে।”
নীলামের অগ্নি দৃষ্টি দেখে হালকা গলা ঝেড়ে নিয়ে স্নিগ্ধ বললো,
-“আরে এত কথা না বলে পরিবেশটা উপভোগ করো তো!”

নিজের রাগটাকে নিয়ন্ত্রণ করে বড় কয়েকটা শ্বাস নিয়ে মনটাকে হালকা করে ফেললো নীলাম। মুখে ফুটে উঠলো এক তৃপ্তির হাসি। এত সুন্দর একটা পরিবেশ সাথে আছে প্রিয় মানুষটা। আর কি লাগে! তবে এই সময় একটা গান হলে মন্দ হতো না। নীলাম মনে মনে কথাটা ভাবলেও স্নিগ্ধ যেন ওর মনের ভাষাটা পড়ে নিলো। তৎক্ষনাৎ স্নিগ্ধর কণ্ঠে গান শুনে পাশে তাকালো নীলাম। স্নিগ্ধ নীলামের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে গান গাইছে।

তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো
ভোরের রং রাতে মিশে কালো…
তোমার জন্য নীলচে তারার একটুখানি আলো
ভোরের রং রাতে মিশে কালো…
কাঠ গোলাপের সাদার মায়া মিশিয়ে দিয়ে ভাবি
আবছা নীল তোমার লাগে ভালো।

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা..
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

তোমায় ঘিরে এতগুলো রাত অধীর হয়ে জেগে থাকা
তোমায় ঘিরে আমার ভালো লাগা ।
আকাশ ভরা তারার আলোয় তোমায় দেখে দেখে
ভালোবাসার পাখি মেলে মন ভোলানো পাখা ।

ভাবনা আমার শিমুল ডালে লালচে আগুন জ্বালে
মহুয়ার বনে মাতাল হাওয়া খেলে।
একমুঠো রোদ আকাশ ভরা তারা
ভেজা মাটিতে জলের নকশা করা
মনকে শুধু পাগল করে ফেলে।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here