#সেই_সন্ধ্যা
#সুমাইয়া_সিদ্দিকা_আদ্রিতা
#পর্ব_২
.
আখি আর সকাল হাসতে লাগলো। স্নিগ্ধ ভ্রু কুঁচকে তাকালো ওদের দিকে। হাতে রিপোর্ট নিয়ে এগিয়ে গেল সকালের দিকে।
-“মিস বিকাল….”
সকাল ভ্রু কুঁচকে স্নিগ্ধর দিকে তাকিয়ে বললো,
-“সকাল।”
-“সকাল, বিকাল, দুপুর, সন্ধ্যা, রাত যেটাই হোন না কেন তাতে কিছু যায় আসে না। আপনাকে আরও দু-তিন দিন থাকতে হবে এখানে। আপনার মাথার ব্যান্ডেজ খোলার পর আপনাকে রিলিজ করে দেয়া হবে।”
-“আমার কোনো সমস্যা নেই। এই হসপিটালকে আমি একদম নিজের বাড়ি মনে করে থাকব। শুধু আমার জন্য নিয়মিত চকলেট আর আইসক্রিম এনে দিলেই হবে।”
-“ওসব খাওয়া ছেড়ে দিন নাহলে দাঁতে পোকা হবে। আমার তো মনে হয় অলরেডি আপনার দাঁতে পোকা ধরেছে।”
-“এক্সকিউজ মি! আমি নিয়মিত তিনবার ব্রাশ করি দিনে। আমার দাঁত একদম ক্লিন আর ফিট।”
স্নিগ্ধ কনফিউজড হয়ে জিজ্ঞেস করলো,
-“দাঁত আবার ফিট থাকে কিভাবে?”
-“ফিট মানে হলো পোকা মুক্ত।”
-“ওহ আচ্ছা। কিন্তু আমার তো তা মনে হয় না।”
-“তো এখন কি আপনাকে দাঁত দেখিয়ে বিশ্বাস করাতে হবে। আচ্ছা সমস্যা নেই দেখুন। হাআআ….”
মুখটা বড় করে হা করে স্নিগ্ধকে দেখাতে লাগলো সকাল। সকালের এমন বাচ্চামি স্বভাবে বেশ মজা পেলো স্নিগ্ধ। অনেক কষ্টে নিজের হাসিটাকে চাপিয়ে রেখে বললো,
-“মিস বিকাল!”
সকাল নাক-মুখ কুঁচকে বললো,
-“সকাল।”
-“ওই তো হলো একটা।”
-“না একটা হলেই তো আর হবে না। আমার নাম সকাল। আর আপনি সকাল বলেই ডাকবেন। বিকাল কে হ্যা?”
-“ওকে ওকে মিস বিকাল…. আই মিন সকাল। এবার আপনি বিশ্রাম করুন। পরে আবার এসে আপনাকে দেখে যাবো।”
-“হ্যা বাট আমার নামটা সকাল। কোনো বিকাল ফিকাল নয়, মনে রাখবেন।”
-“মনে না থাকলে কিছু করার নেই।”
সকাল তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকাতেই স্নিগ্ধ হেসে বেরিয়ে গেল কেবিন থেকে। আখি অবাক চোখে এতক্ষণ সকাল আর স্নিগ্ধর কথা শুনছিল। যে ছেলে সহজে কোনো মেয়ের সাথে কথা বলে না, সেই ছেলে কি’না সকালের সাথে এতক্ষণ কথা বললো! ব্যাপারটা বেশ লাগলো আখির কাছে। সকালের সাথে আরও একটু দুষ্টুমি করে চলে গেল আখি। সকাল ওর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“মিসিং পাপা। বাই দ্যা ওয়ে মাম্মা! পাপা আমার অ্যাক্সিডেন্টেের খবর জানে?”
-“না জানাই নি ওনাকে। কাল রাতে তোমার সাথে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তোমার অবস্থা ভালো ছিল না বলে ওনাকে বলেছি যে তুমি ঘুমিয়ে গিয়েছো।”
-“ওহ আচ্ছা। ভাইয়াও জানে না!”
-“না তোমার ভাইয়া কাজের জন্য ঢাকার বাইরে গেছে। ও জানতে পারলে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে আসবে।”
-“না না ওকে তাহলে জানিও না, আমাকে বকবে।”
-“বকা খাওয়ার মতো কাজ করলে বকবে না তো কি করবে?”
-“তুমি এখান বকা দিও না। নাহলে সকাল এ্যাংরি হয়ে যাবে।”
-“আচ্ছা ঠিকাছে বকছি না। এখন রেস্ট করো।”
-“ওক্কে।”
স্নিগ্ধ কেবিনে বসে অন্যান্য পেশেন্টের রিপোর্ট চেক করছিল। আখি এসে ওর সামনের চেয়ারে বসে পরলো। ফাইলের দিকে তাকিয়েই স্নিগ্ধ জিজ্ঞেস করলো,
-“কিছু বলবি?”
-“মেয়েটা অনেক দুষ্টু তাই না!”
-“কোন মেয়ে?”
-“যে মেয়েটার অপারেশন করলি!”
-“ওহ আচ্ছা মিস বিকাল!”
-“সকাল।”
-“একটা হলেই হলো। দুষ্টু তো বটেই। তবে তার থেকেও বাচ্চামি বেশি করে।”
-“করবেই তো। বাচ্চা মানুষ বাচ্চামি করবে না!”
-“এমন ভাবে বলছিস মনে হচ্ছে ফিডার খায়।”
-“মাত্র ইন্টারে অ্যাডমিশন নিয়েছে। তো হলো না বাচ্চা?”
-“কিহ! ও ছোট বুঝেছি। বাট এত ছোট সেটা ভাবি নি।”
-“হুমম।”
-“পুরাই পিচ্চি মেয়ে। এখনো দুধের দাঁতও তো পরে নি মনে হয়।”
-“এতটাও ছোট না আবার।”
-“সে যাই হোক! তুই ওর কথা বলার জন্য এখানে এসেছিস?”
আখি থতমত খেয়ে গেল স্নিগ্ধর প্রশ্নে। জোর পূর্বক হাসি দিয়ে বললো,
-“না তো! আমি তো তোর সাথে এমনি কথা বলতে এসেছিলাম।”
-“তুই কালকে সারারাত এখানে ছিলি। তোর এখন বিশ্রাম প্রয়োজন। বাসায় যা এখন। বিকালে আসিস আবার।”
-“হ্যা আমিও এটাই বলতে এসেছিলাম। আচ্ছা আসছি আমি।”
-“আচ্ছা।”
রাউন্ড দেয়ার সময় স্নিগ্ধ সকালের কেবিনে যেয়ে দেখে সকাল ঠোঁট উল্টিয়ে কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমোচ্ছে। স্নিগ্ধ চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে রইলো সকালের দিকে। ওকে দেখে মনে হচ্ছে এটা হসপিটালের কোনো কেবিন না বরং ওর বাড়ির বেডরুম। কোলবালিশের দিকে কিছুক্ষণ ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে থেকে কেবিন থেকে বের হতে গেলেই একজন নার্স কেবিনে ঢুকলো।
-“স্যার আপনি?”
-“রাউন্ডে এসেছিলাম। এনিওয়ে মিস বিকালের কোনো সমস্যা হচ্ছে না তো!”
-“না স্যার। উনি ঠিক আছেন। বাট স্যার ওনার নাম বিকাল নয় সকাল।”
-“যাই হোক বাদ দিন। আচ্ছা কোলবালিশ কোত্থেকে এলো এখানে?”
-“উনি না’কি কোলবালিশ ছাড়া ঘুমোতে পারেন না। তাই ওনার মা নিয়ে এসেছে।”
-“ওকে। আমি এখন আসছি। কোনো সমস্যা হলে আমাকে জানাবেন।”
-“ওকে স্যার।”
স্নিগ্ধ বাইরে এসে আপন মনেই হেসে ফেললো সকালের কাহিনি ভেবে। “মেয়েটা আসলেই একটা পুচকি।” মুচকি হেসে স্নিগ্ধ বাকি রোগীদের দেখতে গেল। বিকালে আখি এসে সবার আগে সকালের সাথে দেখা করতে এলো। কেবিনে ঢুকে দেখে সকাল কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ফোন টিপছে। আখি হেসে ওর কাছে গেল। সকাল ফোন থেকে চোখ সরিয়ে আখিকে দেখে উঠে বসলো।
-“কি হয়েছে পিচ্চু?”
-“আমি পিচ্চু না।”
-“আমি তোমাকে পিচ্চু বলেই ডাকব।”
-“সকাল কিন্তু রাগ করবে।”
-“তাহলে আখিও রাগ করবে।”
-“এটা ঠিক না।”
-“এটাই ঠিক।”
-“ঠিকাছে তুমি আমাকে পিচ্চু বলে ডাকতে পারো। বাট ওয়ান কন্ডিশন।”
-“কি শর্ত?”
-“আমি আইসক্রিম খাব। সাথে চকলেটও। এনে দাও না প্লিজ!”
-“ওলেলে…. আচ্ছা ঠিকাছে পিচ্চু। তুমি বসো আমি তোমার জন্য আইসক্রিম আর চকলেটস্ নিয়ে আসছি।”
-“সকাল এত্তো গুলো ভালোবাসে তোমাকে।”
-“হাহাহা….. আখি অলসো লাভস ইউ।”
স্নিগ্ধ সকালের কেবিনের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় কেবিনের ভেতর থেকে হাসাহাসির শব্দ শুনে কেবিনে উঁকি দিল। সকাল বেডে আসাম করে কোলে বালিশ নিয়ে বসে আছে আর আইসক্রিম খাচ্ছে। পাশেই চকলেট নামানো। আখি বেডের পাশে চেয়ারে বসে আছে। সকালের মা সকালের দুষ্টুমির কথা আখিকে বলছে। যা শুনে আখি হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। স্নিগ্ধ মুচকি হেসে কেবিনে ঢুকেই সকালের দিকে তাকালো। সকাল জিহ্ব দিয়ে নাকের মাথায় লেগে থাকা আইসক্রিম খাওয়ার চেষ্টা করছে। যা দেখে স্নিগ্ধ অনেক কষ্টে নিজের হাসি আটকে রাখলো। মুখে হাত দিয়ে হালকা কাশি দিতেই সবাই ওর দিকে তাকালো। সকাল মুখ বন্ধ করে আইসক্রিমটা লুকিয়ে ফেললো। স্নিগ্ধ ওর দিকে এগিয়ে যেতেই ও কাঁদো কাঁদো চেহারা বানিয়ে বললো,
-“বিশ্বাস করুন আমি আইসক্রিম খাই নি। আমি বলি নি আখি আপিকে আইসক্রিম আর চকলেট এনে দিতে। আর আপিও আমাকে এনে দেয় নি। সকাল সত্যি বলছে।”
সকালের কথায় হাসি আটকে রাখতে না পেরে স্নিগ্ধ উল্টো দিক ঘুরে নিঃশব্দে হাসতে লাগলো। যা খেয়াল করে আখি নিজেও মুচকি হাসলো। কিছুক্ষণ হেসে নিজেকে স্বাভাবিক করে সামনে ঘুরে সকালের দিকে এগিয়ে গিয়ে পকেট থেকে রুমাল বের করে ওর নাকের মাথায় লেগে থাকা আইসক্রিম টুকু মুছে দিল।
-“আমি তো কিছু বলি নি বা জিজ্ঞেস করি নি তোমাকে।”
-“প্লিজ বকা দিয়েন না। নাহলে সকাল কেঁদে দিবে।”
-“তাহলে মিথ্যে কথা বললে কেন?”
-“আচ্ছা সকাল আপনাকে স্যরি বলছে তার জন্য। স্যরি।
-“মিস বিকাল!”
সকাল গাল ফুলিয়ে বললো,
-“সকাল।”
-“হোয়াট এ্যাভার। আপনি মাথায় চোট পেয়ে এমন হয়ে গেছেন? না’কি জন্মগতভাবেই এমন?”
-“কেমন?”
-“এই যে কিছু না জিজ্ঞেস করতেই নিজে নিজে সব বলে দিলেন।”
সকাল স্নিগ্ধর কথা বুঝতে না পেরে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলো। স্নিগ্ধ অন্য দিক ঘুরে একটু হেসে সকালের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“থাক থাক মাথায় এত চাপ দিতে হবে না। আইসক্রিম, চকলেট যেটাই খান না কেন লিমিটের ভেতরে থেকে খাবেন কেমন?”
-“আচ্ছা। আপনি খাবেন চকলেট?”
স্নিগ্ধর দিকে একটা ক্যাডবেরি এগিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলো সকাল। স্নিগ্ধ কিছু না বলে মুচকি হেসে সকালের হাত থেকে চকলেটটা নিয়ে বেরিয়ে গেল কেবিন থেকে। আখি অবাক হয়ে স্নিগ্ধর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। পরক্ষণেই খুশি হয়ে গেল এই ভেবে যে স্নিগ্ধও হয়তো সকালকে পছন্দ করে। সকালের আম্মুও এতক্ষণ হাসছিলেন ওদের কান্ড দেখে। স্নিগ্ধ নিজের কেবিনে বসে চকলেটের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে প্যাকেট ছিঁড়ে চকলেট খেতে লাগলো। দেখতে দেখতে তিনদিন পাড় হয়ে গেল। সকালের মাথার ব্যান্ডেজ খুলে দেখলো মোটামুটি ঠিক হয়েছে ক্ষত জায়গাটা। এখনো ভালো মতো ঠিক হয় নি বলে স্নিগ্ধ নতুন করে আবার ব্যান্ডেজ করে দিল। সকাল মুখ ফুলিয়ে বসে আছে। আজ একটু পরেই ওকে রিলিজ করে দিবে যা ও একদমই চায় না। রিলিজ করে দিলে ডক্টর ক্রাশকে আর দেখতে পাবে না। এই জন্য মন খারাপ করে আছে। স্নিগ্ধ সকালের মা’কে সব বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেল কেবিন থেকে। আখি সকালের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। আখিরও মন খারাপ। এই ৪ টা দিন সকালকে ও একদম নিজের ছোট বোনের মতো আগলে রেখেছে। কত শত দুষ্টুমি করেছে দু’জন এই ক’দিন। সকালের বোকা বোকা কথা গুলো বড্ড মিস করবে ও। মন খারাপ করে সকালকে জড়িয়ে ধরলো আখি।
-“ও আপি মন খারাপ করো কেন! আমরা তো সোশ্যাল মিডিয়ায় একে অপরের সাথে কানেক্টেড হয়েছি। এখান থেকে গেলেও প্রতিদিন আমরা ভিডিও কলে কথা বলবো। আর হ্যা ডক্টর ক্রাশকে নজরে নজরে রেখো। কখন আবার কে না কে লাইন মেরে বসে কে জানে!”
-“আচ্ছা পিচ্চু খেয়াল রাখব। বাট তুমি নিজের খেয়াল রাখবে ঠিকাছে?”
-“খেয়াল কিভাবে রাখতে হয় তাতো সকাল জানেই না।”
-“দুষ্টু। আচ্ছা শোনো আপির কথা মনে পরলেই কল করবে বুঝেছো? আর হ্যা দেখা করতে মন চাইলে বাসাতে চলে আসবে কোনো সমস্যা নেই। এ্যাড্রেস তো জানোই।”
-“হ্যা ঠিকাছে। তুমিও কিন্তু কল করবে আর বাসায় আসবে।”
-“আচ্ছা পিচ্চু। চলো এখন তোমাকে এগিয়ে দিয়ে আসি।”
সকালকে গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিল আখি। গাড়িতে বসে আখিকে টাটা দিল সকাল। কিছু সময়ের মধ্যেই গাড়িটা অনেক দূরে চলে গেল। মলিন হেসে আখি ভেতরে চলে গেল। হসপিটালের কাজ শেষ করে রাতে বাসায় ঢুকে দরজা লাগিয়ে রুমে আসতেই আখির ফোন বেজে উঠলো। ক্লান্ত শরীরে ফোনটা রিসিভ করে ওপাশের কণ্ঠস্বর শুনতেই মনটা ভালো হয়ে গেল। হাতের ব্যাগটা টেবিলে রেখে বিছানায় গা এলিয়ে দিতে দিতে ফোনের ওপাশে থাকা ব্যাক্তিকে বললো,
-“এতদিন পর হঠাৎ আমার কথা কিভাবে মনে পরলো জনাবের?”
-“তোমাকে তো সব সময়ই মনে পরে। কিন্তু কাজের জন্যই তো তোমার সাথে যোগাযোগ করতে পারি না।”
-“হয়েছে হয়েছে। বাহানা দেয়া বন্ধ করো। তোমাকে চেনা আছে আমার।”
-“আচ্ছা! তা কতটুকু চিনো তুমি আমাকে?”
-“পুরোটাই চিনি। আমার থেকে ভালো তোমাকে আর কে চেনে?”
-“হুমম। তো মিসেস কি করছেন আপনি?”
-“মাত্রই বাসায় আসলাম। আর তুমি ফোন দিলে।”
-“আচ্ছা শোনো!”
-“হুমম বলো।”
-“দরজাটা খোলো।”
আখি এক লাফ দিয়ে শোয়া থেকে উঠে বসে বললো,
-“কিহ! তুমি বাসায় এসেছো?”
-“জ্বি বউ। এবার কষ্ট করে দরজাটা খোলো। তোমার জামাই অনেক টায়ার্ড।”
ফোন কেটে দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দিল আখি। ওমনি পলক ওর কোমড় জড়িয়ে ধরে উঁচু করে ওকে ঘুরাতে লাগলো। আখি হেসে পলকের গলা জড়িয়ে ধরলো। আখিকে নিচে নামিয়ে ওর কপালে চুমু দিয়ে বাহু বন্ধনে আবদ্ধ করে ফেললো।
-“দরজা তো বন্ধ করে নাও। নাহলে কেউ দেখে ফেললে লজ্জায় পরতে হবে।”
-“বউ আমার। যা মন চায় করব আমি। অন্য কেউ দেখবে কেন?”
-“এটা কোনো কথা?”
-“আচ্ছা ঠিক আছে দরজা বন্ধ করে দিচ্ছি। এবার খুশি?”
-“হুম হুম। এখন যাও আগে ফ্রেশ হয়ে নাও। আমি ডিনার রেডি করছি।”
-“ডিনার আমি করিয়ে দিই সমস্যা কোথায়?”
কথাটা বলতে না বলতেই আখিকে কোলে তুলে নিলো পলক। ওর কথার মানে বুঝতে পেরে লজ্জায় গাল দু’টো লাল হয়ে গেল আখির। আখিকে নিয়ে সোজা বেডরুমের দিকে চলে গেল পলক।
চলবে….