সেদিনও জ্যোৎস্না ছিল পর্ব-১০

0
6903

#সেদিনও_জ্যোৎস্না_ছিল

#তানিয়া

পর্ব:১০

আদ্য ঝিম মেরে বসে আছে অফিসে।তার সামনে একটা ফাইল খোলা অথচ তার দৃষ্টি নিবদ্ধ অন্য দিকে।কোথাও যেন একটা গন্ডগোল দেখা দিয়েছে।সত্যিই গন্ডগোল নাকি সবটা কাকতালীয়?আবার মনে হচ্ছে সবকিছুর পেছনে একটা পরিকল্পনা আছে নাহলে এভাবে সূত্র গুলো সব এক জায়গায় হয় কীভাবে?

আমেনা খালার সাথে কথা বলার পর আদ্যর মাথায় একটা বুদ্ধি আসে।গতদিন সে যে জায়গায় গিয়ে মর্জিনাকে হারিয়েছিল আজো সে জায়গায় অপেক্ষা করল কেমন হয়?নিশ্চয়ই মেয়েটা সে পথ দিয়ে এ বাড়িতে আসবে তাহলে বোঝা যাবে সে কোন মোড়ে ঢুকেছে। বুদ্ধি মতো সে সোজা সেই তিন রাস্তার মোড়ে গিয়ে দাঁড়ায়।সেদিন খুব সকাল হওয়ায় মানুষের আনাগোনা কম ছিল এখন ব্যস্ততার ছোটাছুটি চলছে।আদ্য খুব চালাকি করে এমন জায়গায় দাঁড়ালো যেখান থেকে তিন রাস্তার পুরোটা দেখা যায়। কোনদিক থেকে মর্জিনা আসবে সেটা যেন নজরে পড়ে।

বেশ খানিকটা সময় পার হওয়ার পর আদ্য দেখে দুটো মেয়ে আসছে তারমধ্যে সেই বোরকাওয়ালী মেয়েটা যার সাথে আদ্যর দু’বার ঝগড়া লেগেছে। আদ্য মেয়েটাকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য মনে মনে প্ল্যান কষলো।তবে সাথের মেয়েটা থাকায় সেটা কাজে লাগাতে পারছেনা।হঠাৎ মেয়ে দুটো একটা ফুসকার দোকানে ঢুকলো।আদ্য দোকানের কাছে গেলো এবং আড়ালে দাঁড়ালো যাতে মেয়েটাকে দেখা যায় অথচ তাকে দেখবে না। আবার রাস্তার দিকেও নজর দিয়েছে যাতে মর্জিনাকে দেখতে পারে।একবার রাস্তা অন্যদিকে দোকানের ভিতরে দেখছে আদ্য।

যেই না রাস্তা থেকে চোখ সরিয়ে দোকানে পরলো অমনি আদ্যর চোখ স্থির হয়ে গেলো। যা দেখছে ঠিক নাকি চোখের ভুল।আদ্য চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ শ্বাস নিলো।হয়তো অসুস্থতা আর অধিক চাপের জন্য তার চোখ অন্য কিছু দেখছে।চোখ খুলতেই এবার সে একদম নিশ্চিত হয়ে নিলো।তার মানে এই সেই মেয়ে যার সাথে তার প্রথম থেকে ঝগড়া হয়েছিল, যে তাদের বাসায় কাজের মেয়ে হয়ে আছে আর যাকে কিনা সেই সেদিন জ্যোৎস্নায় দেখেছিল।সবকিছু গুবলেট করে ফেলছে আদ্য আবার মনে হচ্ছে যা দেখছে সব পানির মতো স্বচ্ছ। এভাবে একটার সাথে অন্যটার লিংক হতে পারে তা আদ্য ভাবতেই পারছেনা।কীভাবে একটা মেয়ের সাথে তার দিনের পর দিন বিভিন্ন রূপে আলাপ হয়েছে আর সে কিছুতেই কিছু ধরতে পারলো না এটা কেমন কথা? এক বাড়িতে থাকা, খাওয়া চোখাচোখি সব হচ্ছে অথচ আদ্য বুঝতেও পারলো না তার সাথে ভিন্ন চরিত্রে আলাপ হওয়া সবগুলো একটাই মেয়ে। পাক্কা অভিনেত্রী হিসেবে খ্যাতি লাভ করবে এ মর্জিনা নামের মেয়েটা যা আদ্যর ধারণা। কতটা নিখুঁত অভিনয় করতে পারে মানুষ তা একে না দেখলে বোঝার উপায় নেই।

আহসান বাড়ি আজ জমজমাট। সবাই সেই খুশি! বাগেরহাটে প্রদর্শনী জায়গায় আজ বেড়াতে যাবে সাথে ছোটখাটো একটা পিকনিকেরও আয়োজন করা হয়েছে। প্ল্যানটা করেছে আদ্য।দীর্ঘদিন পড়ালেখা, সংসার আর বিভিন্ন কাজের মধ্যে থেকে সবাই যেন একঘেয়েমি জীবন কাটাচ্ছে আর সেই একঘেয়েমিতাকে তাড়াতে আদ্য একটা বিনোদনের ব্যবস্থা করেছে।বোঝা যাচ্ছে প্ল্যানটা যখন আদ্যর নিশ্চয়ই খুব সুন্দর হবে কেননা যে কোনো কাজে আদ্যর তৈরি করা প্ল্যান সবার রুচিমত হয়।তবে এতো সব আয়োজনের মধ্যে দুঃখের ব্যাপার হলো সবাই যেতে পারলেও একমাত্র মেহু থাকবে বাড়িতে।তার দায়িত্ব হচ্ছে বাড়ি পাহারা দেওয়া।এ নিয়ে লুৎফা আর আমেনা বেশ মন খারাপ করে কিন্তু আদ্যর ভাষ্য ওখানে মর্জিনা গেলে নিশ্চয়ই সমস্যা হবে তাছাড়া আমেনা খালাও কোথাও যেতে পারে না।এ সুযোগে সেও ঘুরতে পারবে।তবে মেহুর প্রথমে খারাপ লাগলেও পরে সে ভাবলো একদিকে ভালো হয়েছে। এসব অনুষ্ঠান তার ভালো লাগে না।এ সুযোগে সে হাতের কাজ সেড়ে সারাদিন পড়তে পারবে।সেসব ভাবনা নিয়ে মেহু আদ্যর কথায় সায় দেয়।

আমেনা খালাকেও মেহু নিজের মতো করে সবটা বুঝিয়ে বলে যার কারণে আমেনা খালা হাসিমুখে মেহুর কথা শুনে। যাওয়ার সময় আমেনা খালা, লুৎফা দু’জনেই মেহুকে বারবার ঘর আর নিজের খেয়াল রাখতে বলে যায়। হৈ হুল্লোড় করে সবাই বের হচ্ছে মেহু সেদিকে তাকিয়ে হাসছে শুধু খেয়াল করলো না কেউ একজন তার দিকে তাকিয়ে একটা অন্য রকম হাসি দিল যার অর্থ মেহু না দেখলে বুঝত না!

পুরো বাড়িটা আজ মেহুর হাতে।মনে হচ্ছে সে এ বাড়িটার এক অজানা রাজকন্যা। যার রাজ্য নেই, রাজকুমার নেই শুধু একটা বিরাট বাড়ি আছে যার কর্তৃত্ব এখন শুধু মেহুর হাতে!

মেহু নিচের সব কাজ সেড়ে উপরে চলে আসে।বহুদিন পর সে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পেলো।ভালো করে একটা শাওয়ার নিলো।নতুন একটা ড্রেস বের করলো।অনেকদিন পর মেহু নিজেকে ভালোমতো সাজালো।কতদিন পার হয়ে গেছে সে নিজেকে সাজায় না?একটু যে নিজেকে দেখবে সে অবকাশটুকুও মেহুর নেই। ভালো করে চুলগুলোকে ঝাড়তে গিয়ে দেখে চুল তার কোমর ছাড়িয়েছে।এটা সে লক্ষ্য করেনি।লক্ষ্য করবে কি করে সারাদিনই তো মাথায় কাপড় দিয়ে থাকে।শাওয়ার সকালে নিয়েই ভেজা চুলগুলো তাড়াতাড়ি ওড়নার আড়ালে চলে যায়। চোখে পড়ার মতো তো কথা না।আজ ডানা ছাড়া পাখির মতো মেহু নিজেকে ছড়িয়ে দিয়েছে মনের আকাশে।কি যে আনন্দ লাগছে মেহুর সে কাউকে বুঝাতে পারছেনা!

ঠোঁটে হালকা ম্যাজিক স্টিক,চোখে হালকা করে কাজল,আয়নায় নিজেকে দেখে মুগ্ধ সে!কেন সৃষ্টিকর্তা তাকে এত রূপ দিয়েছে যেখানে এ রূপ লুকিয়ে থাকে তিমিরের মাঝে! তবে সত্যি এটাই যে দিনের সূর্যের চেয়ে রাতের চাঁদটা সবার পছন্দ আর সেই জন্যই হয়তো সবাই রাতকে এত ভালোবাসে।এখন যেমন মেহু সৃষ্টির রূপের চেয়ে নিজের তৈরি রূপটা বেশি পছন্দ করে।এতে অন্তত তার জীবনের ঝুঁকিটা কম!

এ প্রথম সে দিনের আলোতে পড়ার অবকাশ পাচ্ছে। এর আগে রাত ছাড়া সে সুযোগ পায়নি।বই খাতা নিয়ে স্যারের পড়ার কিছুটা চর্চা করলো।হঠাৎ দমকা হাওয়ায় মেহুর শরীরে কম্পন শুরু হলো।জানলায় এগোতে দেখে আকাশ গুরু গম্ভীর হয়ে আছে। চারপাশে শোঁ শোঁ করে বাতাস বইছে।মেহু চট করে পুরো জানলার পাল্লাটা খুলে দিলো আর বিরাট হাওয়াটা এসে মেহুকে জড়িয়ে নিলো।মেহু চোখ বন্ধ করে শীতল হাওয়ার অনুভূতিতে নিজেকে সামিল করলো।কেন জানি এ মুহুর্তে পড়ার মুড পুরো পাল্টে গেলো। মনে হচ্ছে এ প্রকৃতির মাঝে নিজেকে তুলে দিতে না পারলে প্রকৃতি আজ ব্যাজার হবে!

মাঝে মাঝে সৃষ্টি খুশির মুহুর্তগুলোতে মানবজাতিকে সঙ্গে নিতে চায় তখন যদি সেই মানব সাড়া না দেয় তাহলে কালবৈশাখীর চেয়ে বড় ঝড় তুলে সবটা ধ্বংস লীলায় মাতিয়ে দেয়।না, আজ এ মুহুর্তটাকে মেহু ছাড়বে নে। সে উজার হয়ে যাবে আজ এ হাওয়ার ডাকে!

গুড়ুম গুড়ুম শব্দ হচ্ছে আকাশে।ছোট ছোট দানার মতো পানি পড়ছে।মেহুর শরীর একটা করে পানির কণা পড়ছে আর মেহু বারবার শিউরে ওঠছে।উফফ আজ যেন আল্লাহ সকল আনন্দ মেহুর জন্য তুলে রেখেছিল।এতদিনের সব গ্লানি যেন মেহু আজ ভুলতে বসেছে।

ঝপঝপা ঝপঝপ করে বৃষ্টি শুরু হলো।আর সেই বৃষ্টির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে এক মেঘকন্যা যার শরীরে জড়িয়ে আছে সাদা রঙের সেলোয়াড়।যে দুহাত প্রসারিত করে নিজেকে একখন্ড মেঘের ন্যায় মনে করছে।ছাদের এ মাথা থেকে ওমাথা সে দৌড়াচ্ছে যেন মানুষ নয় এক টুকরো মেঘ জায়গা বদল করছে।আর পিঠময় ছড়িয়ে থাকা চুলগুলো যেন মেঘকে আবৃত করে রেখেছে।সাদা কাপড়টা গায়ের সাথে লেপ্টে আছে তাতে কি? এ বাড়িতে এ ছাদে এখন মেহু উন্মুক্ত। নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত সে!কতদিন পর খোলা আকাশের নিচে সে একলা মনে উড়ে বেড়াচ্ছে। এ মুহুর্তে কাউকে সে পরোয়া করে না।কোনোকিছুকে তোয়াক্কা করে না।সে আজ এক রাজ্যহীন রাজকন্যা যে কিনা এ পৃথিবীতে একাকিত্বের সাথে রাজত্ব করছে।

মেহু যদি একটু সজাগ থাকতো তাহলে হয়তো বুঝতো একজোড়া চোখ কতটা আকাঙ্খার দৃষ্টি নিয়ে তাকে দেখছে।সে চোখ থেকে ঝরঝর করে অশ্রু ঝরছে যা বৃষ্টির বিরাট ফোঁটায় হারিয়ে যাচ্ছে।সে চোখের মধ্যে রয়েছে আকুল আবেদন,

“ওহে মেঘকন্যা আমাকে কি নেওয়া যায় না তোমার সেই রাজ্যে,ওহে এলোকেশী কন্যা আমাকে কি বাঁধা যায় না তোমার কেশে,ওহে রূপবতী কন্যা আমাকে কি গ্রহণ করবে না তোমার উন্মুক্ত বক্ষে! ওহে আজ আমি উন্মাদ হব যদি না, না পায় তোমায় আমার এ বাহুডোরে!”

কত শত কথা ঘুরছে সেই যুবকের হৃদয়ে কিন্তু মুখে তার নাই বাণী। শুধু সে টের পাচ্ছে আজ আকাশের কান্নার চেয়ে তার চোখের কান্না বেশি।বারবার গরম অশ্রু বিন্দু ঠোঁটকে অতিক্রম করে শরীর পর্যন্ত গিয়ে হারিয়ে যাচ্ছে। সেসব ভাবার সময় নেই কারণ মেঘকন্যা আজ চঞ্চল হয়ে উঠেছে।তার চঞ্চলতাকে এক নজরও উপেক্ষা করা যাবে না।

মর্জিনা নামের মেয়েটা কে সেই সত্যিটা জানার খুব দরকার।যদি কোনো গুপ্তচর হয় তাহলে তাদের ব্যবসা ও পরিবারের জন্য সংকটময় হবে আর জেনে শুনে তাদের জীবনকে বিপন্ন করার মানে হয় না।আদ্য চাইলে তার পরিবারের সামনে মেয়েটার মুখোশ ধরিয়ে দিতে পারতো।কিন্তু তার মনে হয়েছে আগে মেয়েটার উদ্দেশ্য জানবে তারপর তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে ।এতে নিশ্চয়ই মেয়েটা ভড়কে যাবে আর সহজেই তার উদ্দেশ্য জানা যাবে।সেই জন্য আদ্য পিকনিকের প্ল্যান করে।

প্ল্যান মোতাবেক বাড়ির সবাইকে পাঠিয়ে দিবে সেও যাবে শুধু মর্জিনাকে বাড়ি পাহারা দেওয়ার জন্য রেখে যাবে।যদি কেউ আপত্তি করে তাহলে এমনভাবে বিষয়টা সাজাতে হবে যাতে সবাই আদ্যর কথায় সায় দেয়। সবাই যখন বেরিয়ে যাবে তখন আদ্যও তাদের সাথে যাবে।হুট করে কল আসবে আর কাজের ভঙ্গিমা নিয়ে সে বের হয়ে যাবে। সবাইকে বোঝাবে কাজ শেষ হলেই আসবে।তারপর নিজের বাড়িতে ফিরে আসবে তবে এমনভাব ঢুকবে যাতে কাকপক্ষীও না দেখে। যেহেতু এ বাড়ির আনাচে-কানাচে সে জানে তাই আগে থেকে ঠিক করে রাখলো কোন পথে সে বাড়ি ঢুকবে।যেই ভাবনা সেই কাজ।সে বাড়িতে ঢুকলো এমনভাবে যাতে মেহুর নজরে না পড়ে।

মেহুর সকল কাজ দেখলো তারপর মেহু যখন ছাদে গেলো খুব সাবধানে সে ছাদের ট্যাংকের পেছনে গিয়ে দাড়ালো। তারপর অপেক্ষা করছিল বাসা থেকে কে বের হয়?মর্জিনা নাকি সেই জ্যোৎস্না রাতের মেয়েটা?হঠাৎ আকাশ কাপিয়া ঝুমঝুম বৃষ্টি নামতে আদ্য অল্প সময়ে ভিজে গেলো।নিজেকে ঢাকার চেষ্টা করছে কিন্তু সম্ভব না।কারণ সে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে যেখানে পিছলা খেলে সোজা নিচে পড়তে হবে।তাই বৃষ্টিতে ভিজলেও সাবধানে ট্যাংক ধরে দাঁড়ায়।তখনি সাদা সেলোয়ারে মর্জিনার ঘর থেকে যে মেয়েটা বের হয় তাতে আদ্যর অবাক আর বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না।

আদ্য অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে মেহুকে আর মেহু সেই থেকে এখনো বৃষ্টিতে ভিজে চলেছে। আদ্যর মনে হচ্ছে সে দাঁড়িয়ে থাকতে পারছেনা তার পা টলছে।সে আস্তে আস্তে ট্যাংকের পেছন থেকে বেরিয়ে এলো।এখন মূর্তির মতো সে সামনে এগোচ্ছে ঠিক যেখানে মেহু আছে। মেহু ফুলগুলোর কাছে গিয়ে সেগুলোকে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করছে।

ইশশ তার যত্নের ফুলগুলো কতো সুন্দর হয়েছে। একটা ফুল ছিড়ে সযত্নে সেটা চুলে গুঁজে যেই না ফিরতে যাবে অমনি তার হাত হালকা হয়ে যায় আর ফুলটা টুক করে পড়ে যায়। সে হা হয়ে গেছে আর চোখে মুখে আতঙ্কের ছাপ ফুটে ওঠেছে।না এটা সত্যি নয়!মেহুকে নিজেকে বোঝাচ্ছে যা দেখছে সেটা চোখের ভুল।বৃষ্টির দরুন বেগে সে বৃষ্টির ঝলকে আদ্যকে কল্পনা করছে কিন্তু সেটা এভাবে কাছে আসবে কীভাবে?

মেহু বরফের মতো জমে যায়। মনে হচ্ছে বৃষ্টির মধ্যেও সে ঘেমে যাবে, না ঘামছে না সে কাদঁছে।নিজের ভবিষ্যৎ আর সামনের মানুষটাকে দেখে তার অবচেতন মন হাহাকার করছে।মেহু স্থির হতে পারছেনা আদ্য একদম তার কাছাকাছি চলে এসেছে। মেহুর ছুটে ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করতে ইচ্ছে করছে কিন্তু শরীরে শক্তি নেই। সে দৌড়াবে তো দূরে থাক পাও নাড়াতে পারছেনা।আদ্য এবার মুখ বরাবর দাঁড়াতেই মেহুর মনে হলো দুনিয়াটা বুঝি অন্ধকার হয়ে গেছে।
,
,
,
চলবে……

(আসসালামু আলাইকুম। নাইস নেক্সট না লিখে আজকে একটু সুন্দর কমেন্ট করেন তো দেখি?আজকের পর্ব কেমন লাগলো তা সুন্দর করে লিখবেন নাহলে পরের পার্ট দিব দেরীতে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here