#হঠাৎ_পাওয়া_সুখ
২২তম পর্ব
লেখা – শারমিন মিশু
মারজুক বাসায় এসে দেখলো নাবিলা নাস্তা নিয়ে টেবিলে বসে আছে। নাবিলা মারজুক কে দেখে অসহায়ের মতো একবার তাকালো। মারজুক সেদিকে একবার তাকিয়ে রুমের দিকে চলে গেলো।
নাবিলাও ওর পিছন পিছন আসলো।
সকালে কোথায় গিয়েছিলেন আপনি?
নাবিলার এই প্রশ্নে মারজুক একটুও অবাক হলো না। আপন মনে নিজের কাজ করছিলো। গোসল করতে হবে। শরীরটা কেমন নির্জীব হয়ে আছে৷
এদিকে হসপিটালে যাওয়ার সময় ও হয়ে এসেছে। যদিও আজ এখন কোথাও যেতে ইচ্ছে করছে না মন মেজাজ কোনটাই স্বাভাবিক নেই। কিন্তু এই মুহুর্তে বাসায় থাকার কোন মানে হয় না। এই মেয়েটার সামনা সামনি থাকার কোন ইচ্ছে মারজুকের এখন নেই। কেনো জানি নাবিলার প্রতি প্রচন্ড রাগ কাজ করছে। যদিও নাবিলার কথাটা যুক্তিসংগত, তারপরও মারজুক কথাগুলো কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না।
-আমি জানতে চাইছি নামাজ পড়তে গিয়ে বাসায় না এসে আপনি কোথায় গিয়েছেন?
-ওয়াশরুমে যেতে গিয়ে মারজুক থমকে দাঁড়ালো। পিছন ফিরে বললো,, তোমাকে কোন জবাবদিহি করতে আমি বাধ্য নয়!
মারজুকের এরকম রাগত কন্ঠ শুনে নাবিলা কিছুটা অবাক হলো। যদিও মারজুকের রাগ করাটা স্বাভাবিক কারণ কাল রাতে নাবিলা না চাইতে যে কথাগুলো মুখ দিয়ে বলেছে এটাতে যে মানুষটা অনেক কষ্ট পাবে এটাই স্বাভাবিক। নাবিলা যে নিজেও কষ্ট পাচ্ছে না তাও তো নয়!
কিন্তু তার ও বা কি করার আছে? এভাবে এতগুলো কথা শুনার পরে এই একটা কাজ করা ছাড়া আর কি কোন সমাধানের পথ ছিলো?
নাবিলা অজান্তেই পেটের মধ্যে হাত দিয়ে বসলো৷ জানিনা তুই আমার জীবনের কোন অধ্যায়টা রচনা করতে আসছিস ভালোবাসার কাহিনী নাকি আরো বেশি কষ্টের কোন সংবাদ নিয়ে?
তোর মা টা তো এতসব ঝামেলা সামলাতে সামলাতে এখনি অনেকটা হাঁফিয়ে গেছে জানিনা কি করে তোর আগমনটা আমি সামলাবো। পারবো কি এই মানুষটার সব কষ্ট মুছে দিয়ে তার সারাজীবনের সঙ্গী হয়ে থাকতে নাকি আবারো আমায় মেনে নিতে হবে সেই অপবাদযুক্ত জীবনকে?
নাবিলা পরক্ষণে নিজে নিজে বলে উঠলো কি করছি আমি এসব? আমার ভিতরের ছোট্ট মানুষটা কি আমার কথাগুলো বুঝতে পারবে নাকি শুনতে পারবে?
মারজুক নাবিলার দিকে তাকিয়ে বললো, শুনো, এভাবে আমার পিছনে বেহায়ার মত সারাক্ষণ ঘুরঘুর করবে না। তোমার এই ইনোসেন্ট ভাব আমার অসহ্য লাগে! বলে শব্দ করে মারজুক ওয়াশরুমের দরজা আটকে দিলো।
নাবিলা কাঁদতে গিয়েও কাঁদলো না। কাঁদার মতো শক্তি এখন আর নেই। কাল দুপুর থেকে শুধু পানি খাওয়ার উপরে আছে। এখন আর ক্ষিধে সহ্য করা সম্ভব হচ্ছে না। পেটের ভিতরে কতক্ষণ পরপর মোচড় দিয়ে উঠছে। হাটতে গেলেও পা দুটো একটার সাথে আরেকটা লেগে আসছে। চোখেমুখে কেমন অন্ধকার দেখছে। কাল দুপুরে খাওয়া হয়নি, রাতে মারজুকের সাথে মান অভিমানের পর তো রান্না করাই হয়নি। আর এখন ও বা কি করে খাবে? মানুষটা ও যে এখনো না খেয়ে আছে ওর উপর অভিমান করে। তাকে উপোস রেখে নিজে কি করে খাবে?
নাবিলা মারজুকের শার্ট প্যান্টগুলো বের করে রেখে ডাইনিংয়ে গেলো। ঢকঢক করে আবারো দুই গ্লাস পানি খেয়ে নিলো। কিন্তু খালি পেটে এতো পানি খাওয়াতে পেটের ভেতর থেকে কেমন গুলিয়ে আসছে।
মারজুক রেডি হয়ে বেরুতে নিলে নাবিলা পিছন থেকে বলে উঠলো, নাস্তা না খেয়ে যাবেন না!
-আমার খাওয়ার কোন ইচ্ছে নেই।
-ইচ্ছা নেই বললে হবে নাকি কাল থেকে তো না খেয়ে আছেন।
-আমার খাওয়া নিয়ে তোমাকে চিন্তা করতে হবে না।
-আমিও যে না খেয়ে আছি।
-তোমাকে কেউ খেতে নিষেধ করেছে নাকি?
-আপনি না খেয়ে আছেন,, স্বার্থপরের মতো আমি কি করে খাই?
-স্বার্থপরের মতো যখন ছেড়ে যাওয়ার কথা মুখ দিয়ে বলতে পেরেছো তখন এটা তো তেমন কোন বড় দোষ না!
-নাবিলা চুপ করে গেলো। জানে যে আজকের পর কথায় কথায় এই কথাটা তাকে শুনতেই হবে । তবে মানুষটা যে রাগ করেছে তা নয়, এটা হচ্ছে তার অভিমান।
মারজুক বেরুতে গিয়েও দরজার কাছ থেকে ফিরে আসলো। এ মুহূর্তে না খেয়ে চলে গেলে এই মেয়ে আর আজকের দিনে খাবে না। ক্ষিধায় মরে যাবে তারপরও মারজুক না খেলে ও খাবে না। আর একা একা খেতে কারোই ভালো লাগে না। পাশে কেউ একজন থাকলে তাও একটু খাওয়া যায়। এ মুহুর্তে খালি পেট মানে ওর জন্য বিরাট ক্ষতি। সেইজন্য যত ব্যস্ততায় থাকুক মারজুক দুপুরে ও বাসায় খাবার জন্য ছুটে আসে।
মারজুক টেবিলে এসে বসতেই নাবিলার মুখে এক চিলতে হাসি ফুটে উঠলো। মারজুক সেদিকে তাকিয়েও তাকালো না। আপন মনে একটা রুটি কোনমতে খেয়েই বেরিয়ে পড়লো।
মার্জিয়া স্বপ্ন নীড়ে এসে পা রাখতেই বুঝলো বাসার পরিস্থিতি তেমন সুবিধার না। কেমন গুমোট ভাব হয়ে আছে পুরো বাসায়। তুমুল বৃষ্টি হওয়ার পরের কিছুসময় আকাশ যেমন মন মরা হয়ে থাকে ঠিক তেমনটাই এখন বাসার পরিস্থিতি। কাজের মেয়েটা এসে দরজা খুলেছে। মা বাবা কাউকেই দেখতে পাচ্ছে না। ড্রয়িংরুম ছেড়ে সামনে এগুতেই মারজুকের রুমের দিকে চোখ গেলো মার্জিয়ার ।
সেলিনা বেগম ওখানে বসে কেঁদে যাচ্ছে সমানে। মার্জিয়াকে দেখে উঠে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে আবারো জোরে জোরে বিলাপ শুরু করে দিলো।
মার্জিয়া মায়ের এমন আচরণে নিজেও ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো। আম্মু এমন করছে কেনো? আব্বুর কি কিছু হয়েছে?
আহ! আম্মু কি শুরু করেছো? এতো এতো জোরে জোরে কান্না করছো মানুষ শুনলে কি বলবে?
সেলিনা তাও থামছে না।
মার্জিয়া কিছুটা ভয়ে ভয়ে বললো, আব্বুর কি কিছু হয়েছে?
-সেলিনা মাথা নাড়লেন।
-তাহলে কি ভাইয়ার কিছু.. মার্জিয়ার আতঙ্কিত কন্ঠ।
কালকের পরে মারজুকের সাথে ওর আর কথা হয়নি। কালকের ওই সময়ের পর থেকে ওদের দুজনের ফোন বন্ধ।
-সেলিনা এ কথায় আবারো হুঁ হুঁ করে উঠলো।
-আম্মু ভাইয়ার কিছু কি হয়েছে?
সেলিনা নিজেকে কিছুটা সামলে সকালে বাবা ছেলের কথোপকথন গুলো মেয়েকে বললো। মায়ের মুখে মারজুক আর ওর বাবার সব কথা শুনে মার্জিয়া অবাক হয়ে গেলো। ভাইয়া এতো কড়া কথা বলতে পারে এটা ওর ধারনায় ছিলো না। ভালোই হয়েছে বাবার এই কঠিন কথাগুলো শুনা উচিত ছিলো। প্রতিমুহুর্তে ওই মেয়েটাকে নিয়ে যা না হয় তাই কথা বলা।
তারপর মায়ের দিকে তাকিয়ে বললো, কিন্তু তুমি কাঁদছো কেনো?
-আমার ছেলে আজ রাগ করে চলে গেছে। ওর চোখেমুখে আমি স্পষ্ট অভিমান দেখেছি। ও আর ফিরবে না বলে গেছে তোর বাবা না ডাকলে, আমি কাঁদবো না?
-না কাঁদবে না! কেনো কাঁদবে তুমি? তুমিও তো ওকে কম কথা শুনাও নি। যেখানে পুরো পৃথিবী বিপক্ষে গেলেও মা বাবা সন্তানের পক্ষে সবসময় থাকে, সেখানে তোমরা বাবা মা হয়ে সন্তানের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিরাট দেয়াল তৈরি করে দিয়েছো।
-এখন তুইও এভাবে বলবি? তুই জানিস না আমি কেনো স্বার্থপর হয়েছি?
আমি মা! আমার কি আমার নিজের ছেলেকে এতোগুলো কঠিন কথা শুনাতে একটুও কষ্ট হয়নি? তোরা তো বলে মনের কষ্ট প্রকাশ করতে পারিস, কিন্তু আমি পারি না। সবসময় আমাকে সবার আড়ালে চোখের পানি লুকাতে হয়। আমার একদিকে ছেলে, একদিকে স্বামী, এদের কারো থেকে কারো মূল্য আমার কাছে কম নয়! এদিক বলতে গেলে ওদিক হারানোর ভয় আমার করতে হয়। তবুও আমার সৌভাগ্য আমার ছেলেটা কোন অমানুষ হয়নি! নাহলে তো আজকালকার ছেলেরা বাবা মায়ের সাথে যা করে বলার বাহিরে!
-আম্মু একটা অনুরোধ করবো। রাখবে?
-সেলিনা চেখ মুছে বললো, বল! আমি চেষ্টা করবো।
-আম্মু আমার মনে হয়, যা হয়েছে তা গেছে। সেসব ভুলে যাওয়াটাই মনে হয় আমাদের সবার জন্য শ্রেয়!
তোমরা মা বাবা আর ছেলের মধ্যে ভুল বুঝা বুঝি নিয়ে কথা কাটাকাটি করতে গিয়ে মাঝখান থেকে নাবিলাকে কতগুলো কথা শুনতে হলো। একবার ভাবো তো আমাকে বা তোমাকে যদি কেউ এরকম একটা কথাও বলতো আমরা কি এভাবে চুপ করে থাকতাম? কখনোই না!
মেয়েটাকে ওই একটি দূর্ঘটনার জন্য কতকিছু সাফার করতে হয়েছে জানো? একটি মেয়ের জীবনের সুন্দরতম মুহুর্তগুলোর অনেকটাই এই মেয়েকে ত্যাগ করতে হয়েছে।
বিয়ের ব্যাপারটা মেয়েদের জীবনের সবচেয়ে আনন্দের একটা মুহূর্ত তার সাথে কষ্টের। হাজারো স্বপ্ন চোখে নিয়ে সেদিন একটা মেয়ে তার আপনজনদের ছেড়ে একটা অজানা অচেনা লোকের হাত ধরে এক নতুন জীবনে পা রাখে। অনেক অচেনা মানুষকে করে নিতে হয় তার আপনজন।
আর নাবিলাকে দেখো,, সেই বিয়েটা মেয়েটার জীবনে হয়েছে একরকম আপেক্ষিক ভাবে। বাবা মা ছেড়ে এসে উঠেছে এক নিঝুম অরণ্যে। যেখানে ওর কাছে থাকার জন্য একটুখানি কথা বলার জন্য ওই একটা মানুষ ছাড়া আর কেউ ছিলো না। তাও ভাইয়া দিনের মধ্যে কতক্ষণই বা বাসায় থাকে। সারাদিন মেয়েটাকে নিঃসঙ্গতাই একটা একঘেঁয়েমি দিন কাটাতে হয়।
তারপর প্রথম বাচ্ছাটা হওয়াটা মেয়েদের জীবনের খুবই সেনসিটিভ একটা ব্যাপার। এসময় তাদের মধ্যে নানা প্রকার ভয় জেঁকে বসে৷ মৃত্যু ভয় তাদের মধ্যে তখন বেশি থাকে। কি হতে কি হয়? এ ভাবনায় তার দিন কাটে।
পরবর্তীতে হয়তো এটা থাকবে না। তখন সে বুঝে যায় কখন তার কি করতে হয়। যেটা আমার বেলায় আমি বুঝেছি।
কিন্তু ওকে দেখো, ওর মাথার উপর এই সময়টায় ছায়া দেয়ার মতো কেউ নেই । বাবার বাড়ি যেতে পারেনা লজ্জায় আর ভয়ে। মানুষকে কি বলবে?
শশুরবাড়ীর লোক তাকে মেনে নেয়নি! মেয়েটা একা একা দিন কাটায়। এসময় তাদের কতগুলো নিয়ম মেনে চলতে হয়, কিন্তু তাকে এখন সেসব বলে দেওয়ার কেউ নেই।
মায়ের পরে শাশুড়ী হয় মেয়েদের দ্বিতীয় মা৷ তাকেই তখন মেয়েটার মাথার উপর ছায়া দিতে হয়। ভালোবাসার হাতটা মাথায় ছুঁইয়ে বলতে হয়, ভয় পেয়োনা মা! আমি আছি তোমার পাশে! তখন মেয়েটা একটু হলেও ভরসা পায়।
কিন্তু নাবিলার দুর্ভাগ্য দেখো, একটা দূর্ঘটনা ওর জীবনের সব আনন্দ আর ভালোবাসার মুহূর্ত গুলোকে বিষাধে পরিবর্তন করে দিয়েছে। হাজারো স্বপ্নকে জীবন্ত দাফন করে দিতে হয়েছে। আম্মু মেয়েটা যে এখনো বেঁচে আছে কিভাবে বেঁচে আছে বুঝতে পারছো?
এতো সব প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে বেঁচে থাকা কি আসলেই এতো সহজ?
এমন দুঃসহ জীবন কি ও কখনো চেয়েছিলো?
দোষটা ওর কোথায় মা? ও ধর্ষিতা এটা? ও মধ্যবিত্ত ঘরের মেয়ে বলে? নাকি ভাইয়া তোমাদের সত্যিটা বলে ওকে বিয়ে করেছে এটা?
ভাইয়া যদি আজ মিথ্যা বলে সব নিজের উপর চাপিয়ে নিতো তখন কিন্তু তোমরা কখনোই না করতে না।
-সেলিনা কেঁদে যাচ্ছে আর বলছে, এখন আমি কি করবো? কি করার আছে আমার?
-অনেক কিছু করতে পারো। এখনো অনেক কিছু করার আছে আম্মু।
আম্মু! আমি বলি কি, তুমি নাবিলার কাছে যাও, ভালোবেসে একটু জড়িয়ে ধরো, তোমার ভরসার হাতটা তার মাথায় রাখো দেখবে মেয়েটা কতটা আনন্দিত হয়।
আম্মু যে বাচ্চাটা ওর গর্ভে আছে ওতো তোমার ছেলের ঔরসজাত ! নাবিালর অপরাধ ও ধর্ষিতা। কিন্তু সেখানে তো ওর কোনো দোষ নেই। যারা ওকে এরকম পরিস্থিতিতে ফেলেছে তারাই তো আসল পাপী। কিন্তু দেখো, তাদের দিকে কেউ ঘৃণার আঙুল না তুলে যে নিষ্পাপ তার দিকেই তুলছে। আমাদের সমাজের মানুষগুলো না আজ নামে মাত্র মানুষ। মানুষের যে মানবীয় গুনাবলী থাকা দরকার সেগুলো আজ তাদের মধ্যে নেই বললেই চলে। এরা নিজের বেলায় সাধু সাজে কিন্তু অন্যর বেলায় একটু খোঁচা দিয়ে কথা না বললে এদের পেটের ভাত হজম হয় না। এরা যদি জানতো একজনের প্রতি মিথ্যা দোষারপ করা কতটা কঠিন গুনাহের কাজ তবে এরা দ্বিতীয়বার এই ভুলগুলো করতে গিয়ে একবার হলেও নিজের মনের কাছে নিজেই প্রশ্নবিদ্ধ হতো।
আম্মু একবার যাও মেয়েটার পাশে দাঁড়াও, তোমার মমতার হাতটা তার দিকে বাড়িয়ে দাও দেখবে সব কেমন সুন্দর হয়ে গেছে।
-মেয়েটা আমায় ক্ষমা করবে তো?
-এ ব্যাপারে আমি এখন কিছু বলবো না আম্মু। শুধু বলবো তুমি আগে নাবিলার সামনে যাও নিজেই বুঝতে পারবে ও কেমন মানুষ।
ও আচ্ছা, আব্বু কোথায়? আসার পর থেকে তো দেখিনি।
-রুমেই আছে মনে হয়। হয়তো রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে।
মার্জিয়া ওর আব্বুর রুমের সামনে আসতেই দেখলো দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। মার্জিয়া জানে, ওর বাবা এখন কাঁদবে। কারণ মারজুক আজ যা বলেছে তার একটু ও মিথ্যা নয়।
এবার যদি বাবার চোখ থেকে দাম্ভিকতার মুখোস টা খুলে তো!
মার্জিয়া তাই বাবাকে না ডেকে নিজের রুমের দিকে গেলো। বাসার এসব চিন্তা আর এ কয়দিনের বিরামহীন জার্নিতে নিজের শরীর ও বেশ ক্লান্ত লাগছে…..
চলবে…