হঠাৎ পাওয়া সুখ পর্ব-৯

0
826

#হঠাৎ_পাওয়া_সুখ
(৯ম পর্ব)
লেখা – শারমিন মিশু

মার্জিয়া নাবিলাকে তার সংসার বুঝিয়ে দিয়ে রাতেই চলে যেতে চেয়েছিলো কিন্তু নাবিলা যেতে দেয়নি। ছোট মামা ওদের নতুন বাসায় তুলে দিয়ে তখনি চলে গেছে। আজিম গিয়েছে, রেষ্টুরেন্ট থেকে রাতের খাবার আনতে। আজ তো আর বাসায় রান্না করা সম্ভব না।

মারজুক এসেই রুমে গিয়ে শুয়ে পড়েছে। মনটা বড্ড বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। বাবা মা এতো কঠিন কেন? সারাজীবন শুনেছি সন্তানের ভালো থাকার জন্য মা বাবা সর্বস্ব ত্যাগ করে,, সেখানে আমার বাবা মা নিজেদের স্বার্থের জন্য সন্তানদের ভালো থাকাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। নিজেদের স্ট্যাটাসের জন্য নিজের সন্তানকে পর করে দিতে তাদের এতোটা কষ্ট হয়নি।
আসার পর থেকে মারজুক কয়েকবার মুনতাসির আহমেদ আর তার মায়ের নাম্বারে কয়েকবার ফোন দিয়েছিলো। মা ধরেনি ফোন।
মুনতাসির আহমেদ একবার ধরে বললো,,, এখানে আর কখনো ফোন দিবিনা। তোর সুখের জন্য আমাদের মান সন্মান ডুবিয়েছিস থাক তুই তোর সুখ নিয়ে। এতোটাকা খরচ করে তোকে ডাক্তারী পড়ালাম সামান্য কৃতজ্ঞতাবোধ টুকু তোর নেই! বেঈমান কোথাকার! তোর ইসলাম এই বলে যে বাবা মায়ের অবাধ্য হতে ।
একটা কথা মন দিয়ে শুন,, আজকের পর মনে করবি আমরা তোর জন্য মরে গেছি। ভুল করেও আর কখনো আমাদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করবিনা বলেই মারজুককে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ফোন কেটে দিলো।
মারজুকের চোখ ফেটে পানি বেরুতে চাইছে। অনেক কষ্টে তা সংবরণ করে নিলো। এতোটা অসহায় আর কখনো লাগেনি ওর কাছে!
বাবা মা সন্তানের জন্য খরচ করে তার জন্য কথা শুনাতে এই প্রথম কোন বাবাকে দেখেছে! এই একটা কারণে এতগুলো কথা শুনাতে তোমার বাঁধলোনা বাবা?
আমি কি তোমাদের ছেড়েছি নাকি বাবা? তোমরাই তো আমাকে ছেড়েছো!
মারজুক উপুড় হয়ে কপালে হাত রেখে শুয়ে আছে।
মাথায় কারো হাতের স্পর্শে মারজুক মাথা তুলে তাকালো। মার্জিয়া দাঁড়িয়ে আছে সামনে।
-ভাইয়া তুই কাঁদছিস?
-জানিস মার্জিয়া বাবা আমায় কতগুলো কথা শুনিয়েছে!
-তুই আবার বাবার কাছে ফোন দিয়েছিস? তোকে না আমি নিষেধ করেছি এখন তাদের কাছে ফোন না দিতে। যেচে কেন নিজের কষ্ট বাড়াচ্ছিস?
-মন মানছিলো নারে! জানিসইতো তাদের জন্য আমার মনে কত ভালোবাসা। কিন্তু তারা বুঝলোই না! আমি কতবড় দূর্ভাগা তাইনা?
-একদম বাজে কথা বলবিনা। আমি বলছি তুই কোন ভুল করিসনি! তাদের মেজাজ এখন এমনিতে চটে আছে কি বলতে কি বলবে তার ঠিক নেই।
-মারজুক এ পর্যায়ে বললো,,, নাবিলা কোথায়?
-পাশের রুমে আছে! আয়ানের সাথে গল্প করছে।
-বাহিরে থেকে একটা ছেলে বললো,, ম্যাডাম আমরা কি আসবো?
-মারজুক মার্জিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,, কে?
– ও আমি তো এজন্যই এসেছি। কথায় কথায় ভুলে গেছি। তোর ঘর সাজানোর জন্য লোক এসেছে। তুই একটু রুম থেকে বেরিয়ে যা এখন! ওরা কাজ করবে।
-মার্জিয়া,,কি দরকার ছিলো এসবের?
-তোকে তো এত কথা বলতে বলিনি। তুই যা আমার কাজ আমাকে করতে দে বলে মারজুককে ঠেলে ঘর থেকে বের করে আনলো।

ইশার আযান হওয়াতে মারজুক নামাজ পড়তে বেরিয়ে গেলো।
মার্জিয়া নাবিলাকে একটা সুতির জামা বের করে দিয়ে বললো, ভাবি নাও চেন্জ করে নামাজ পড়ে নাও। ভাইয়া যদি এসে দেখে নামাজ না পড়ে আমরা গল্প করছি তাহলে খবর আছে। ও সবকিছু সহ্য করে কিন্তু দ্বীন পালনের ক্ষেত্রে কোন অবহেলা সহ্য করেনা। ওর কথা হচ্ছে সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে।
পরক্ষণে বললো, আরে ভাবি আমি তোমায় এসব কেন বলছি? তুমি তো আমার থেকেও বেশি জানো।
-নাবিলা বললো,, আরে আপু নিজে যতই জানিনা কেন অন্যের মুখ থেকে ইসলামের ব্যাপারে কথা শুনতে আমার অনেক ভালো লাগে।

মার্জিয়ারা নামাজ না পড়া শেষ করতে মারজুক আর আজিম একসাথে বাসায় আসলো।

নামাজ শেষে মার্জিয়া আজিমের আনা খাবারগুলো নিয়ে কিচেনের দিকে গেলো। নাবিলা ও ওর পিছু পিছু গেলো।
মারজুক উঠে কিচেনের দিকে আগালো। দরজার বাহিরে দাঁড়িয়ে বললো,,মার্জিয়া আমাদের দু কাপ চা করে দিতে পারবি?

মারজুকের কথা শুনে নাবিলা ওখানে শক্ত হয়ে জমে গেলো। যেন নড়াছড়ার শক্তিও পাচ্ছেনা। মারজুক পিছন থেকে নাবিলাকে এভাবে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে হাসতে গিয়েও পারলোনা। কেননা সামনে মার্জিয়া আছে।
মার্জিয়া ঘুরে দাঁড়িয়ে বললো,, দিচ্ছি তুই গিয়ে বস।
মারজুক চলে যেতেই মার্জিয়া বললো,,ভাবি চা বানাতে পারো?
-পারি।
-তাহলে আজই তোমার পরীক্ষা হয়ে যাক! তুমি তোমার জামাইকে চা বানিয়ে দিবে আজ।
-নাবিলা কিছু না বলে পাতিল নিয়ে চুলায় চায়ের পানি বসিয়ে দিলো।
মার্জিয়া খাবারগুলো বাটিতে নিতে নিতে নাবিলাকে উদ্দেশ্য করে বললো,, ভাবি তুমি রান্নাবান্না পারোতো?
-জী আপু পারি। আম্মু সব শিখিয়েছে। আম্মু বলতো, মেয়েদের সব কাজ শিখে রাখতে হয় যাতে পরের ঘরে গিয়ে কথা শুনতে না হয়।
-ভালো তো। ভাইয়া আবার বাহিরের থেকে বাসার খাবার খেতে পছন্দ করে। যদিও মায়ের হাতের রান্না আমাদের ভাগ্যে খুব একটা ছিলোনা। তবুও আমরা দুই ভাইবোন নিজেদের প্রচেষ্টায় রান্না শিখে নিজেরা নিজেদের জন্য রান্না করতাম। ভাইয়া কিন্তু অনেক ভালো রান্না করতে পারে আমার থেকেও ভালো। তোমার অনেক উপকার হবে! তোমায় হেল্প করতে পারবে!

-নাবিলা মুচকি হেসে বলে,, সত্যি?

-হুম সত্যি। আমার উনি আবার এসবের ধারে কাছে ও নাই। কিছু বললে বলবে,, যাদের বউ রান্না করতে পারেনা তারাই বউয়ের সাথে রান্না করতে যায়। আমার বউ এতো ভালো রান্না করে সেখানে আমার অপরিপক্ব হাত লাগিয়ে তার স্বাদটা আমি নষ্ট করতে চাইনা বলে মার্জিয়া হাসতে থাকে।
-আপু চায়ে চিনি কি বেশি দিবো নাকি কম?
-কম দাও
চা বানিয়ে মার্জিয়ার দিকে বাড়িয়ে ধরে বললো,, চা হয়ে গেছে।

মার্জিয়া চায়ের কাপ নিয়ে ওদের দিয়ে আবার কিচেনে ফিরে আসলো।

মারজুক চায়ে চুমুক দিয়ে বুঝতে পারলো এটা মার্জিয়ার হাতের চা নয়।
মারজুক কিছু বলার আগেই আজীম বলে উঠলো,, বেশ ভালো হয়েছে তো!
-কিসের কথা বলছিস?
-আরে চায়ের কথা বলছি! ভাবি তো বেশ ভালো চা বানায়।
-মারজুক হেসে দিয়ে বললো,, হুম আমার আর কষ্ট করে পানসা চা বানিয়ে খেতে হবেনা।
বলে দুজনে একসাথে হেসে উঠলো।

নাবিলা কৌতুহল বশত মার্জিয়াকে বললো,, আপু একটা কথা বলবো?
-বলো এতে অনুমতির কি আছে।
– না মানে বলছিলাম কি আপু,, আপনাদের কি ল্যাভ ম্যারিজ?
-হুম কিছুটা ওইরকম। তবে আমরা বিয়ের আগে কেউ কাউকে কারো চোখের দিকে তাকিয়ে ভালোবাসি কথাটি কখনো বলিনি। কখনো একজন আরেকজনের হাত অবদি ধরিনি। একে অপরকে খুব পছন্দ করতাম তবে দূর থেকে। একজনের সামনা সামনিও কখনো হতাম না।
আজিম কিন্তু ভাইয়ার খুব কাছের বন্ধু। সেই হিসাবে আমাদের বাসায় তার আসা যাওয়া ছিলো। সেই থেকে তার জন্য একটু একটু টান অনুভব করতাম মনে। ভাইয়া কোনভাবে আমাদের মনের কথা বুঝতে পেরে বাবা মাকে রাজি করিয়ে আমাদের বিয়েটা দিয়ে দিয়েছে।
আমার জন্য আমার ভাইটা এক অন্যরকম ভালোবাসার নাম!
কিন্তু দেখো, যে ভাই তার বোনের জন্য আমার কঠিন বাবা মাকে রাজি করিয়ে নিয়েছে আজ নিজের বেলায় সে.. বলে মার্জিয়া জ্বিভে কামড় দিলো।
আল্লাহ কাকে কি বলছি আমি?
পরক্ষনে বললো, সরি আসলে কথায় কথায়….

-না আপু কোন সমস্যা নাই। আমি জানি এটা কোন মা বাবাই সহজে মেনে নিবেনা। সেই জন্য আমি চাইনি বিয়েটা যেন না হয়।
আমাদের মতো মেয়েদের এই সমাজ ভালো চোখে দেখোনা।

– এমন কথা বলোনা ভাবি। যা হয়েছে তাতে তোমার তো কোন দোষ ছিলোনা। ভুল তো করি আমরা। মানুষের ভিতরের খবর না জেনে উপরটা দেখে তার সম্বন্ধে খারাপ ধারণা করতে আমাদের একটুও বাঁধেনা।

চিন্তা করোনা,, আমার ভাইয়া কিন্তু তোমাকে অনেক ভালোবাসে। হসপিটালে তোমাকে দেখার পর থেকে ও আমাকে সবসময় তোমার কথাই বলতো। পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো মানুষগুলোর মাঝে একজনকে তুমি তোমার করে পেয়েছো যে কখনো তোমার এতটুকু কষ্ট হতে দিবেনা। আমার কথার সত্যিটা তুমি আস্তে আস্তে দেখতে পারবে।
মা বাবা আজ রেগে আছে কিন্তু কতদিন থাকবে! তুমি তোমার ভালোবাসা দিয়ে তাদের জয় নিবে।
আর একটা কথা,, আমার ভাইটাকে কখনো কষ্ট দিওনা! মা বাবার ব্যবহারে ও একটু আপসেট! তুমি তাকে একটু সঙ্গ দিবে। আমি তো কাল চলে যাবে। তোমাদের সংসার তোমাদেরই সামলাতে হবে! একে অপরের ভালো খারাপ সময়ে একজন আরেকজনের পাশে থেকে সাহস যোগাবে। ভালোবাসা না থাকলেও একে অপরের উপর থেকে বিশ্বাস কখনো হারাবেনা!

জানি তুমি এখনো মনের বা শরীরের কোন দিক থেকে নিজেকে স্বাভাবিক করে তুলতে পারোনি। আর এটা সহজে সম্ভব ও না!
তারপরেও ভাইয়া এখন তোমার স্বামী এটা যত তাড়াতাড়ি মেনে নিবে তত তাড়াতাড়ি তোমাদের মাঝে ভলোবাসাটা জন্মাবে।

-নাবিলা নিচের দিকে তাকিয়ে মার্জিয়ার কথাগুলো শুনলো।

মার্জিয়া খাবার গরম করতে করতে বললো,, ভাবি তুমি তো আজীমের সাথে টেবিলে বসে একসাথে খাবেনা তাইনা।
-নাবিলা মাথা নাড়লো।
-মার্জিয়া বললো,, ঠিক আছে সমস্যা নাই আমি আর তুমি পরে খাবো। আগে ওদের খাইয়ে দিই বলে খাবার টেবিলে নিয়ে গেলো। এক ফাঁকে নাবিলা রুমে চলে আসলো।
মারজুক আর আজীম ড্রয়িংরুমে বসে ছিলো। মার্জিয়ার ডাকে আজীম উঠে এলো। মার্জিয়া খেতে বসতে বললেই আজীম বললো,, ভাবি কোথায়,, উনি খাবেনা?
-মার্জিয়া বললো আগে তোমরা খেয়ে নাও আমি আর ভাবি পরে খাবো।
-আজীম দাঁত কটমট করে বললো,, মাথাটা কি পুরোটা গেছে তোমার?
-মানে কি? এখানে মাথা খারাপের প্রশ্ন কেন?
-মার্জিয়া ওদের আজ বিয়ে হয়েছে আর এভাবে ওরা আজ আলাদা খাবে?
-তো কি করবে? ভাবি তোমার সামনে আসবেনা। ভাইয়া ও এটা পছন্দ করবেনা।
-ওদের খাবারটা ওদের ঘরে দিয়ে আসো। রুম সাজানো প্রায় শেষ পর্যায়ে।
তুমি ভাবিকে রেডি করে নাও। আমরা পরেও খেতে পারবো।

মার্জিয়া এ পর্যায়ে নিজের মাথায় নিজে চাপড় দিলো,, মার্জিয়া এতো বোকা কবে হলি?
-আজীম বিড়বিড় করে বললো,, তুমি চালাক কবে ছিলে? এ পর্যন্ত তো আমি নিয়ে এসেছি।
-একদম উল্টা কথা বলবেনা!
-এই সেরেছে! এবার তো শাকচুন্নির মতো ঝগড়া শুরু করবে!
-আজীম!!! আজ আমার ভাইয়ের বিয়ে বলে বেঁচে গেলে। তবে এর শোধ আমি নিবো মনে রেখো বলে রাগে গজগজ করতে করতে রুমের দিকে গেলো।
-আজীম ওখানে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে মনে মনে বলে, তোমার এই রাগী রূপটা যে আমার কতো পছন্দ তা যদি তুমি জানতে!

মার্জিয়া নাবিলাকে অযু করে নিতে বলে ওর শাড়ী বের করে নিলো। গাঢ়ো লাল আর সবুজের কম্বিনেশনের একটা হাফ সিল্কের শাড়ী নিলো নাবিলাকে পরাতে। নাবিলা বের হতেই মার্জিয়া ওকে শাড়ী পরাতে নিলেই নাবিলা বাঁধা দিয়ে বললো,, আপু শাড়ী কেন আবার? আমি তো থ্রীপিচে ঠিক আছি!
-মার্জিয়া বললো, আজ তোমাদের বিয়ের প্রথম রাত ভুলে গেছো!
-এ কথাতেই নাবিলা ভেতরে এক ঝড়ো হাওয়া বয়ে গেলো। সত্যিই তো আজ আমার নতুন জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম রাত! কত স্বপ্ন ছিলো এ দিনটা নিয়ে! অথচ আজ জানোয়ার গুলোর জন্য সব স্বপ্নে…. নাবিলা আর ভাবতে পারছেনা। চোখ বন্ধ করে নিলো ভিতর থেকে কান্নারা আবার উপচে পড়তে চাইছে।
আচ্ছা,,, উনি যদি ঘরে এসেই অন্য কোন সম্পর্কের জন্য জোর করে? কিন্তু আমি তো ওই ধরনের কিছুর জন্য এখনো প্রস্তুত নই! শরীর ঠিক হলেও মন মানুসিকতা তো এখনো ঠিক হয় নি।
কিন্তু উনি তো সেরকম কিছু দাবি করতেই পারে কারণ ধর্মমতে উনি এখন আমার স্বামী। আমি তো চাইলেও তাকে অগ্রাহ্য করতে পারবোনা!

নাবিলার এসব ভাবনার মাঝে মার্জিয়ার শাড়ী পরানো শেষ হয়ে গেলো। নাবিলার সামনে হাত দিয়ে তুড়ি বাজিয়ে মার্জিয়া বললো,, কি এতো ভাবছো? আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখো তো নিজেকে চিনতে পারো কিনা?
-নাবিলা অনিচ্ছাসত্ত্বেও আয়নার দিকে তাকালো, সত্যি ওর নিজের কাছে নিজেকে অচেনা লাগলো। এতো সুন্দর নাকি আমি? নাকি এই শাড়ীটার জন্যই আমাকে এতো সুন্দর লাগছে?

তারপর মার্জিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,, আপু তুমি তো অনেক সুন্দর করে শাড়ী পরাতে পারো!
-কেন তুমি শাড়ী পরতে পারোনা?
-পারি তবে এতো সুন্দর করে না!
-আচ্ছা আমি শিখিয়ে দিবো। শুনো, বাসায় তো একা একা থাকবে।মাঝে মাঝে শাড়ী পরবে! পুরুষ মানুষ স্ত্রীকে শাড়ী পরা দেখে কিন্তু অন্যরকম আনন্দিত হয়!
বরকে সব সময় নিজের দিকে টানতে মাঝে মাঝে নিজেকে আকর্ষিত রূপে সাজাতে হয়। এতে করে ঘরের বউ রেখে বাহিরের দিকে নজর দিতে পারেনা স্বামীরা।
নাবিলা মার্জিয়ার কথা কি শুনবে, আজ রাতে কি হবে সেই ভেবে ও চিন্তায় অস্থির হয়ে আছে!

মার্জিয়া নাবিলাকে নিয়ে ওর ঘরে বসিয়ে দিয়ে আসলো। আজীমকে ইশারা করলো ও যেন মারজুককে পাঠিয়ে দেয়।

নাবিলা খাটে বসে নানরকম ভাবনায় বিভোর হয়ে আছে। কি হবে আজ! উনি এসেই যদি স্বামীর অধিকার ফলাতে চায় তখন কি করবো আমি?
উফ!! নাবিলা! এতো কেন ভাবছিস তুই? মানুষটা তো এমন কিছু নাও করতে পারে! আবার যদি সে এমন কিছু চায় ও তাতে তো দোষের কিছু না। সে তো এখন তোর স্বামী!

দরজায় শব্দ হতেই নাবিলা চমকে উঠে ওদিকে তাকালো……..

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here