“হালাল প্রেম” পর্ব- ১৮

“হালাল প্রেম”
পর্ব- ১৮
(নূর নাফিসা)
.
.
ত্রিশ মিনিটের মধ্যে তারা দুজন তৈরি হয়ে গেলো। শারমায়ার বেশি সময় লাগেনি। সাফওয়ানা গোসল করে তৈরি হতে ত্রিশ মিনিট পাড় করে দিয়েছে। যদিও সাজুগুজু তেমন করেনি। শারমায়া সাজতে দেয়নি। তারপরও এতোটা সময় লেগেছে তার। শারমায়া জামা, জুতা, ব্রেসলেট এগিয়ে দেওয়ায় রক্ষা। এদিকে জোভান একা একা ড্রয়িংরুমে বসে টিভি দেখছিলো। সাফওয়ানা তৈরি হয়ে ড্রয়িংরুমে এসে দেখলো জোভান মাথার নিচে কুশন রেখে সোফায় পা তুলে আরাম করে ঘুমাচ্ছে। সে চুপচাপ রুমে এসে পড়লো। শারমায়া বাবামায়ের রুমের দরজা লক করে চাবি নিজের রুমে গুটিয়ে রাখছে। সাফওয়ানা এসে হাসতে হাসতে বললো,
“আমরা সাজুগুজু করতে করতে ভাইয়া তো ওদিকে ঘুমিয়ে খালাস।”
শারমায়া একবার তার দিকে তাকিয়ে আবার আলমারি লক করতে করতে বললো,
“ঘুমাক। ডাকিস না। পরে যাবো।”
সাফওয়ানা শারমায়ার ফোন হাতে নিয়ে বসে পড়লো খাটে। শারমায়া ড্রয়িং রুমে এলো দেখার জন্য যে, জোভান কিভাবে ঘুমিয়েছে। একহাত মাথার নিচে আরেক হাত রিমোর্ট ধরে পেটের উপর রেখে চোখ বুজে আছে জোভান। রিমোর্ট নিতে গেলে ঘুম ভেঙে যেতে পারে তাই সুইচবোর্ড থেকে টিভির লাইনটা অফ করে দিলো শারমায়া। পানির গ্লাস ও জগ হাতে নিতেই দেখলো জোভান চোখ খুলে তাকিয়েছে। তাই বললো,
“ঘুমাননি?”
জোভান রিমোর্ট হাতে রেখেই আড়মোড়া ভেঙে বললো,
“রেডি তোমরা?”
“হুম। আপনি ঘুমান কিছুক্ষণ। আমরা আরও পরে যাবো বাইরে৷ বিকেলের দিকে বেড়াতে যাওয়াটাই উত্তম।”
“আজ না হয় অনুত্তম কাজই করলাম। চলো…!”
বলতে বলতে জোভান সোফা থেকে নেমে বেরিয়ে যেতে লাগলো। শারমায়া পিছু পিছু যেতে যেতে বললো,
“টিভির সাথে কি ঘুমের কানেকশন? টিভি অফ করলাম, ঘুমও ভেঙে গেলো! আগে জানলে অফ করতাম না।”
জোভান ড্রয়িংরুমের বাইরে এসে প্যান্ট ফোল্ড করতে করতে বললো,
“ঘুমালাম কখন! আমি ঘুমালে টেনে তোলাও মুশকিল। এমনি চোখের পাতা বন্ধ রেখেছিলাম।”
কথাটা বলেই মুচকি হেসে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো শারমায়ার দিকে। শারমায়া কথার প্রেক্ষিতে কিছু না বলায় সে বলল,
“জানতে চাইবে না কেন বন্ধ রেখেছিলাম?”
“রাত জেগে ছিলেন তাই আনইজি লাগছে নিশ্চয়ই।”
“উহুম, বন্ধ পাতায় অন্ধকারে তোমায় কল্পনা করছিলাম আর আঁকছিলাম।”
বাক্যটা তুলনামূলক নিচু শব্দেই উচ্চারিত হলো সাথে ফুটে উঠলো ঠোঁটের কোনে প্রশান্তিময় হাসি। এদিকে শারমায়ার চেহারায় ফুটে উঠেছে সামান্য লজ্জিত রেশ। জোভান বাথরুমের বন্ধ দরজা ইশারা করে বললো,
“কেউ গেছে?”
শারমায়া মাথা দু’দিকে নাড়ালে জোভান ফ্রেশ হতে বাথরুমে চলে গেলো। হাতমুখ ধুয়ে এলে শারমায়া তোয়ালে এগিয়ে দিলো। ঘাড় মুছে চুলগুলোও হালকা ভিজিয়ে নিয়েছে জোভান। তবে এক পলকের বেশি পলক ফেলার সুযোগটা নিজেই নিজেকে দিলো না শারমায়া। হালকা ভেজা এলোমেলো চুলে অন্যরকম লাগছিলো তাকে। একাধিক বার তাকালে ধরা পড়ে যাবে জোভানের দৃষ্টিতে।
অতপর তারা প্রস্তুত হয়ে বেরিয়ে গেলো। জোভান ন্যাশনাল মেমোরিয়ালে যাওয়ার প্রস্তাব করলেই সাফওয়ানা রাজি হয়ে গেলো। বাসার সামনে একটা রিকশা পেলো। সেটাতেই তিনজন উঠে গেলো। জোভান উপরে বসেছে আর তারা দুজন সিটে। পাঁচ মিনিটের পথ অতিক্রম করে তারা রিকশা স্টেনে নেমে গেলো। এখানে তাদের লাল গাড়িটা আছে। জোভান রিকশা থেকে নামতেই গাড়ি থেকে একটি ছেলে বেরিয়ে এসে জোভানের হাতে গাড়ির চাবি দিলো। জোভান চাবি নিয়ে বললো,
“ইফাজ কখন এসেছে অফিসে?”
“সকাল আটটার দিকে।”
“মিরাজ যায়নি?”
“হ্যাঁ।”
“আচ্ছা, যাও তুমি।”
জোভান ছেলেটির হাতে রিকশা ভাড়া দিয়ে তাদের গাড়িতে বসতে বললো। সাফওয়ানা গাড়ির দিকে যেতে যেতে বললো,
“ভাইয়া, আপনাদের দুইটা গাড়ি? সেদিন সাদা গাড়ি দেখলাম আজ আবার লাল!”
“আমাদের প্রাইভেট কার একটাই। এটা অফিসের। নামে অফিসের, কাজে আমাদের ফ্রেন্ডসদের। যখন যার ইচ্ছে নিয়ে যাচ্ছে, কখনো অফিসের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, কখনো নিজেদের পারিবারিক কাজে আবার কখনো ঢাকার বাইরে নিয়ে চলে যাচ্ছি বেড়াতে। সাদাটাই নিয়ে আসতাম। মা আপুর কাছে যাবে তাই সেটা নিয়ে আসিনি। এটা আবার ইফাজের কাছে ছিলো। কল করে পাঠিয়ে দিতে বললাম।”
শারমায়া বললো,
“অফিসে আবার প্রয়োজন হলে?”
“আজ নেই তেমন প্রয়োজন। আর যদি হয় তো বাস রিকশায় যাবে। নয়তো মিরাজের বাইক আছে।”
সাফওয়ানা পেছনের দরজা খুলতেই শারমায়া উঠতে লাগলো। সাফওয়ানা বললো,
“তুমি পেছনে বসবে?”
“হুম।”
“ওফ্ফ! তাহলে আমি সামনে বসি। আমার সামনে বসতে ভালো লাগে।”
সাফওয়ানা পেছনের দরজা লাগিয়ে সামনে চলে এলো। জোভান শারমায়ার দিকে একবার তাকালো কিন্তু কিছু বললো না। তবে মুখ কিছু না বললেও মন বলছিলো, “আমাদের তো পাশাপাশি বসার কথা। তবে তুমি দূরে দূরে থাকো কেন? লজ্জা নাকি সংশয়?”
মনের প্রশ্ন মনেই চাপা রেখে অতপর সে মুচকি হেসে সামনে বসলো। এদিকে শারমায়া হতবাক হয়ে বসে আছে! সে পেছনে বসলো সাফওয়ানার যাতে একা বোরিং না লাগে সেজন্য ! এদিকে তাকে একা বানিয়ে সাফওয়ানা সামনে চলে গেলো! মাথাটা ছেঁচে দিতে ইচ্ছে করছে এখন! স্টুপিড মেয়ে! জোভান গাড়ি স্টার্ট করে সাফওয়ানার উদ্দেশ্যে বললো,
“থ্যাংক ইউ সো মাচ, সাফওয়ানা।”
সাফওয়ানা সামান্য বিস্মিত হয়ে বললো,
“থ্যাংকস কেন, ভাইয়া?”
“এই যে, নিজেকে তোমাদের ফ্যামিলি মেম্বার ভাবতে পারছি কেবল তোমার জন্য। তোমার আপু তো আমাকে পাবলিক ড্রাইভার বানিয়ে দিতে যাচ্ছিলো পেছনে বসে।”
সাফওয়ানা খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো। পেছনে বসা শারমায়ার চেহারা দেখার জন্য জোভান মিররটা একটু নেড়ে বাকা করে দিতে দিতে বললো,
“এখন দেখো, তোমার আপু পেছনে একা বসে আছে তবুও কিন্তু মনে হচ্ছে না সে যাত্রী। বরং মনে হচ্ছে আমরা ফ্যামিলি মেম্বার্স। সামনে তিনজনের জায়গা হচ্ছে না বিধায় একজন পেছনে বসেছে। কিন্তু যদি দুজন পেছনে বসে সামনে আমি একা থাকতাম, তাহলে মনে হতো তোমরা যাত্রী আর আমি পাবলিক ড্রাইভার। ঠিক বলিনি?”
সাফওয়ানা হাসতে হাসতেই জবাব দিলো,
“রাইট, ভাইয়া।”
জোভানের মুখে লেগে আছে মুচকি হাসি আর শারমায়ার মুখে লজ্জা। এটা সাধারণ লজ্জা নয়, অনুতপ্তময় লজ্জা। তার ভুলের জন্য সে লজ্জিত। ছি, এটা কি করে করতে পারলো! ভাবতেই মাথা কাটা যাচ্ছে শারমায়ার। তাই সে বলে উঠলো,
“সরি।”
জোভান আবার মিররে তাকিয়ে এক পলক তার চেহারা দেখে নিলো। শারমায়াও তাকিয়েই ছিলো মিররে। শারমায়ার অনুতপ্তময় লজ্জা জোভানের চোখে স্পষ্ট হওয়ায় মুখে লেগে থাকা হাসিটা আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে গেলো এবং শারমায়ার উদ্দেশ্যে বললো,
“শারমায়া, আশাকরি আমার ক্ষেত্রে এই শব্দটা দ্বিতীয়বার উচ্চারণ করবে না। তুমি কি রাগ করেছো আমার কথায়?”
“উহুম।”
“তোমার চেহারা প্রকাশ করছে তুমি রাগ করেছো।”
সাফওয়ানা বলে উঠলো,
“ভাইয়া, আপু সবসময়ই এমন গাল ফুলিয়ে থাকে। আপনার বউ মেডাম ফুলি।”
জোভান সাফওয়ানার প্রত্যুত্তরে প্রকাশ্যে মুচকি হাসলো কিন্তু মনে মনে বললো,
“সবসময় যেমনই থাকুক, এখন আমি যা দেখেছি তুমি তো তা দেখোনি।”
শারমায়ার মন খারাপ হয়ে গেছে বিধায় জোভান তাকে আর কিছু বললো না। এদিকে সাফওয়ানা এটা সেটা জিজ্ঞেস করে যাচ্ছে আর জোভান তার জবাব দিচ্ছে। সম্পূর্ণ রাস্তা নিরবেই কাটালো শারমায়া। জোভান ড্রাইভিংয়ে মনযোগী হাওয়ার পাশাপাশি একটু পরপর মিররে তাকে দেখছিলো। গাড়ি গন্তব্যে পৌছলে জোভান রাস্তার একপাশে গাড়ি পার্ক করলো এবং সাফওয়ানা নেমে দাড়ালো। জোভান গাড়ির চাবি নিয়ে নামার সাথে সাথে শারমায়া তাড়াহুড়ো করে ডান পাশের দরজা খুলে নেমে দাড়ালো। তা দেখে জোভান তার দিকে চেপে গাড়ির দরজা লাগাতে লাগাতে তুলনামূলক নিচু স্বরে বললো,
“ডিয়ার, বাম পাশ দিয়ে গাড়িতে উঠতে ও নামতে হয়। ডানপাশে তো হঠাৎ করেই অন্য গাড়ি চলে আসতে পারে।”
শারমায়াও নিচু স্বরে জবাব দিলো,
“জানি, বাম পাশ দিয়ে নামতে হয়। এখন ইচ্ছে করেই ভুল করেছি।”
“এমন ভুল করা ঠিক না। চলো।”
শারমায়া হুট করেই জোভানের হাত ধরে থামিয়ে দিয়ে ধাধানো কন্ঠে বলতে লাগলো,
“আ’ম সরি। আসলে বুঝতে পারিনি আপনার খারাপ লাগবে। সাফওয়ানা পেছনে একা বসতে আনইজি ফিল করবে ভেবে তার সঙ্গ দিতে চেয়েছিলাম।”
“নিষেধ করার পরও আবার কেন বলছো? স্পেশালি, তোমার মুখে কখনোই ‘সরি’ শব্দটা প্রত্যাশা করিনা। আমার জন্য এটা বর্জন করো। আর আমিতো মজা করছিলাম, তুমি এতোটা হার্ট হবে আমিও ভাবতে পারিনি। তাহলে বলতাম না।”
“আমি হার্ট হইনি।”
“তোমার চোখই প্রকাশ করে দিচ্ছে সেটা। অশ্রু যেন কোটর ভেদ না করে।”
শারমায়া ওড়নার কোণা দিয়ে চোখের ভেজা ভাব দূর করতে করতে বললো,
“সত্যিই হার্ট হইনি। আপনি হার্ট হয়েছেন ভেবে কষ্ট লাগছিলো।”
“একটু বেশিই ভেবে ফেলেছো। হাসো একটু, দেখি আমি।”
জোভানের মুখে হাসি দেখে শারমায়া মুখ চেপে হেসে বললো,
“চলুন।”
এবার জোভান শারমায়ার হাত মুঠোয় ধরে রাস্তা ত্যাগ করতে করতে ফিসফিসিয়ে বললো,
“জানলেও আবার স্মরণ করিয়ে দেই, ডান পাশ দিয়ে কখনো গাড়ি থেকে নামবে না। আর ড্রাইভার প্রাইভেট হলে গাড়িতে সামনের সিট আগে ফুলফিল করতে হয়।”
“আমি মোটেও আপনাকে ড্রাইভার ভাবিনি।”
জোভান কণ্ঠে বিস্মিত ভাব এনে বললো,
“রেইলি? তাহলে ড্রাইভ করলো কে? গাড়ি কি এখানে উড়েই চলে এসেছে?”
জোভানের মস্করায় শারমায়া ঠোঁটের এক কোনে হাসি ফুটিয়ে তুলেছে। তা দেখে জোভান মুচকি হেসে স্বাভাবিকভাবে বললো,
“না ভাবার কি আছে? ড্রাইভ তো আমিই করেছি। সিম্পলি যে ড্রাইভ করে সে-ই ড্রাইভার। তবে পাবলিক আর প্রাইভেটের ব্যাপারটা সিম্পলি নেওয়া যায় না।”
অতঃপর সাফওয়ানার উদ্দেশ্যে বললো,
“আমি তুলে দিবো ফটো?”
এতোক্ষণ যাবত সাফওয়ানা ন্যাশনাল মেমোরিয়ালের বাইরের দিক থেকে ছবি তোলায় ব্যস্ত। জোভানের কথায় সে দাত চেপে হেসে বললো,
“ওপ্স! ভাইয়া, চলুন প্রবেশ করার আগে একসাথে সেল্ফি তুলি।”
“ওকে।”
শারমায়া বিরক্তির সাথে বললো,
“ওফ্ফ! ভেতরে গিয়ে তুলতে পারবি না? এতো ছবি তুলে কি করবি?”
“এগুলো স্মৃতি থাকবে, বুঝতে পেরেছো? ভাইয়ার সাথে প্রথম এখানে এলাম, একমাত্র ছবিই পারবে সেই স্মৃতি ধরে রাখতে। তুমি এসব বুঝবা না। হুহ! তোমার ইচ্ছে না হলে এসোনা।”
“আসবো না।”
সে না চাইলেও জোভান তাকে টেনে পাশে এনে দাঁড় করালো। শারমায়া ব্রু কুচকে তাকালো তার দিকে আর জোভানের দৃষ্টি সেল্ফি ক্যামেরাতে। এদিকে ক্যামেরাবন্দী হলো চমৎকার মুহুর্ত। তা দেখে জোভান সাথে সাথেই মুচকি হেসে তাকালো শারমায়ার দিকে। এবারও আরও একটা সুন্দর মুহুর্ত ক্যামেরাবন্দী। কেননা এখন তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে। তা দেখে সাফওয়ানার উক্তি,
“আহা! হাউ রোমান্টিক!”
তার প্রত্যুত্তরে জোভানের বিস্ময়কর জিজ্ঞাসা,
“তুমি রোমান্টিকতাও জানো? তোমার আপুর মাঝে তো আজও এর বিন্দুমাত্র উপস্থিতি খুঁজে পেলাম না।”
জোভানের মুখভঙ্গি দেখে সাফওয়ানা লজ্জায় জ্বিভ কেটে দ্রুত গেইটের ভেতর প্রবেশ করলো। ইশ! ভাইয়ার সামনে কি বলতে কি বলে ফেললো! এদিকে সাফওয়ানাকে লজ্জায় ফেলতে পেরে জোভান হেসে উঠলো। শারমায়া খুবই উপভোগ করছে জোভানের সতেজ মানসিকতা।

[আপনাদের অপেক্ষা করাতে আমারও ভালো লাগে না। তবে কিছু করারও নেই। ফোনে প্রব্লেম না থাকলে ব্যস্ততার ফাঁকে ফাঁকেও একটু আধটু লিখে দুতিনদিন পরপর হলেও কয়েকটি পর্ব দিতে পারতাম। কিন্তু সম্ভব হলো না। এই পর্বের কিছু অংশ আগেই লেখা ছিলো। বাকিটুকু এখন লিখে দিলাম। যদিও পরবর্তী পর্ব কবে আসবে এবং কবে থেকে আমি নিয়মিত হাজির হতে পারবো কোনটাই নিশ্চিত নই। তবে আজ খুব ইচ্ছে করছিলো একটা পর্ব আপলোড করার। হেপি রিডিং… ❤]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here