“হালাল প্রেম” পর্ব- ৬২

“হালাল প্রেম”
পর্ব- ৬২
(নূর নাফিসা)
.
.
খবর জানতে দেরি, এনাউন্স করতে দেরি হয়নি তার! প্রথমেই জানিয়ে দিলো জেভাকে। জেভা জানালো তার মাকে। জুলেখা ইয়াসমিনের উক্তি,
“আমি কাছে থেকেই জানতে পারলাম না আর তুই জেনে গেলি!”
এরপর মায়ের চাচীমার সামনে কত প্রশ্নের সম্মুখীন শারমায়া। জুলেখা ইয়াসমিন জানার সাথে সাথেই জানিয়ে দিয়েছেন শারমিন সাখাওয়াতকে। এরপর নিজের মা বোনের সাথে কত কথাবার্তা! বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এসবেই কাটলো সময়। ওদিকে জটলা বাঁধিয়ে দিয়ে জ্যাক্স কি সুন্দর খেলায় মেতেছে রক্সের সাথে! যেনো উনি কিছুই করেননি। রাতে ঘুমানোর সময় মেরে মেরে সব শোধ তুলে নিলো শারমায়া। পেটে হজম হয় না কেন কোনো কথা!
ইফাজের বিয়ের পূর্বের সপ্তাহের শুক্রবার তারা বন্ধুরা ব্যাচেলর পার্টির আয়োজন করেছে। অথচ তাদের বেশিরভাগই বিবাহিত! কয়েকজন অবিবাহিত আছে, তাদের জন্য নাম চেঞ্জ করেনি। ব্যাচেলর পার্টি ই। সকালে জোভান শারমায়াকে বললো,
“ডিয়ার, ব্ল্যাক শার্টটা আয়রন করে রেখো তো। সন্ধ্যায় পার্টিতে যাবো।”
“কিসের পার্টি?”
“ব্যাচেলর পার্টি। ইফাজের বিয়ে উপলক্ষে।”
“তুমি ব্যাচেলর?”
জোভান দুষ্টু হেসে বললো,
“বিয়ে তো আমার না, যার বিয়ে সে তো ব্যাচেলর। আমি গেস্ট।”
“তুমি গেস্ট, আমাকে দাওয়াত করলো না কেন?”
“তুমি ব্যাচেলর পার্টিতে যাবে! অনলি ছেলেরা থাকবে, গার্লস নট এলাউ।”
“কেন যে এলাউ না তা খুব ভালো জানি। কোনো পার্টি ফার্টি নেই।”
“তুমি কি যেতে নিষেধ করছো?”
“অবশ্যই। বিয়ের আনন্দ বিয়েতে হবে, কিসের আবার পার্টি?”
“বললাম তো, ইফাজের বিয়ের পার্টি।”
“চুউউপ! ওইটা তোমাকে বারবার যপতে হবে না।”
“তুমিই তো জিজ্ঞেস করলে কিসের পার্টি।”
“কোনো পার্টিতে যাওয়া হবে না, সেটা মিন করেছি।”
“কেন? গেলে সমস্যা কি?”
“অনেক সমস্যা। যাবে না বলেছি তো যাবে না।”
“তোমাকে ইনভাইট করলে যেতে দিতে?”
“জ্বি না। আপনাকেই যেতে নিষেধ করছি আবার আমি!”
“খারাপ কিছু নয় তো। সব বন্ধুরা মিলে জাস্ট…”
“এতো কথা কিসের? বিয়ে করবে বলে এসব পার্টি করতে হবে!”
“ইটস, সিম্পল। সবাই ই তো করে।”
“কোথায় সবাই করে? তোমার বিয়েতে করেছো?”
“করেছিলাম তো।”
শারমায়া বিস্ময়ের সাথে বললো,
“কবে!”
“ডেট ফিক্সড হওয়ার নেক্সট উইকে।”
“আমি তো জানিই না এসবের কিছু!”
“ওফ্ফ! লাভ ইউ। ভুলেই গিয়েছিলাম, সুইটহার্ট। ভিডিও আছে, দেখাবো।”
“থাকুক দেখতে হবে না।”
“রাগ করেছো? সত্যিই মনে ছিলো না।”
শারমায়া মনে মনে বললো,
“মনে ছিলো না নাকি সুযোগ পাওনি বলার? কষ্টের মুহুর্তগুলো ভুলে থাকার খুব ভালো অভিনয় জানো। মাই বেস্ট হিরো।”
শারমায়া চুপচাপ রুমের আসবাব মুছতে লাগলো। জোভান বললো,
“সন্ধ্যায় যাচ্ছি কিন্তু।”
“এতো কথা বলো কেন তুমি? যাও, যা খুশি করো। আমাকে জিজ্ঞেস করবে না।”
কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থেকে রুম থেকে বেরিয়ে গেলো জোভান। কোথা থেকে যেন ঘুরে এসে ঘন্টাখানেক পর আবার রুমে এলো। শারমায়া পার্টিশনের সামনে বারান্দায় বসে জুথিকার মাথা আঁচড়ে দিচ্ছিলো। জোভান বললো,
“শারমায়া, তুমি সিরিয়াসলি নিষেধ করছো?”
“আমার কথাবার্তা কি সবসময় তোমার কাছে ফান মনে হয়?”
“উহুম, আমরা তো যাচ্ছি ফান করার জন্য। আমাকে ছাড়া পার্টি এরেঞ্জ করবে না তারা। আমার উপর এতো দায়িত্ব দিয়েছে, এখন আমি পিছু হটে গেলে কিভাবে?”
“সেসব আমার দেখার বিষয় না। আর একবারই তো বললাম, তোমার যা ইচ্ছে করো। আমাকে বারবার জিজ্ঞেস করার কোনো প্রয়োজন নেই।”
“এটা কেমন কথা বলো?”
“এমনই।”
“আচ্ছা, যাবো না। যাও।”
শারমায়া ঘাড় ঘুরিয়ে তাকিয়ে দেখলো জোভান ফোন চার্জে দিয়ে কাপড়চোপড় নিয়ে গোসলের জন্য তৈরি হচ্ছে। চেহারায় বিরক্তি ফুটে আছে, শারমায়া মুখ চেপে হাসলো। জুথিকার চুলে বিলি কাটতে তার বেশ ভালো লাগছে। কখনো বিলি কেটে দিচ্ছে কখনোবা আঁচড়ে বিভিন্ন স্টাইলে বাঁধছে আবার খুলছে। আরেক মেয়ে এদিকে ফোনে গেমস খেলায় মেতে আছে। আশেপাশের কোনো খেয়াল নেই। তবে শারমায়া কিছু জিজ্ঞেস করলে তার উত্তর দিচ্ছে। জোভান গোসল সেড়ে ঘুমানোর জন্য এসে বিছানায় শুয়ে পড়েছে। তানহা জুথিকাকে গোসলের জন্য ডাকলে সে চলে গেলো। শারমায়াও উঠে বাথরুমে গিয়ে জোভানের কাপড়চোপড় ধুয়ে গোসল সেড়ে এলো। জোভান গভীর ঘুমে মগ্ন। শারমায়া তার ব্ল্যাক শার্ট নিয়ে আয়রন করে রাখলো। রুমের বাইরে থেকে একটু ঘুরে এসে কোনো কাজ না থাকায় আবার রুমে চলে এলো। জোভানের ঘুমন্ত চেহারায় তাকাতেই মৃদু হাসলো। তার মনে পড়ে গেছে সেইদিনের কথা। জেভা যখন বলেছিলো মাইর দিয়ে ঘুম থেকে জাগাতে তখন জোভান বলেছিলো তাকে ঘুমাতে দেখলে সে-ও যেন ঘুমিয়ে থাকে। শারমায়া আজ তা-ই করলো৷ জোভানের বালিশের কোণে মাথা রেখে কাধে সামান্য ভর দিয়ে শুয়ে পড়লো তার পাশে। ঘুম জড়ো হয়নি চোখে তাই একহাতে জোভানের উন্মুক্ত পেটে আঁকিবুঁকি চলছে। দু’মিনিটও হয়নি, জোভানের গভীর নিশ্বাসের শব্দ বেশ হালকা হয়ে এসেছে। শারমায়া তার চোখে তাকিয়ে দেখলো ব্রু কুচকানো ঘুম জড়ানো চোখ জোড়া সামান্য খুলে তাকিয়েছে জোভান। শারমায়াকে দেখে আড়মোড়া ভাঙতে হাত মেলে মোচড় দিলো। অতঃপর কাত হয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে শরীরের অর্ধেক ভার ছেড়ে দিয়েছে শারমায়ার উপর। শারমায়া নিচু শব্দে খিলখিলিয়ে হেসে বললো,
“ঘুম কি আমার ভয়ে পালিয়ে গেলো?”
“তোমার সুড়সুড়িতে পালিয়েছে। ক’টা বাজে?”
“বারোটা পাঁচ।”
“মাত্র! কাঁচা ঘুমটা ভেঙে দিলে?”
“ইশ! দেড় ঘন্টার কম হবে না ঘুমিয়েছো।”
“হিসেব করে রেখেছো?”
জোভান হাত বাড়িয়ে ফোনটা হাতে নিয়ে বললো,
“দেখো, আমাদের বিয়ের ব্যাচেলর পার্টি। খারাপ কিছুই পাবে না। হালাল ফুড, আর জাস্ট একটু ফাজলামো।”
জোভানকে স্ক্রিনও জ্বালাতে দিলো না, শারমায়া ফোন হাত থেকে নিয়ে রেখে দিলো। অতঃপর বললো,
“প্রয়োজন নেই দেখার।”
জোভান তার পেটে স্লাইড করতে করতে বললো,
“বিকেল হতে দাও, দেখো কতো কল যে আসে ফোনে।”
“আসুক।”
“সব কল তুমি রিসিভ করবে।”
“আচ্ছা।”
“তারা বাসায়ই চলে আসবে।”
“আসুক।”
“তবুও যেতে দিবে না?”
“যেতে নিষেধ করলো কে?”
“এমন করো কেন? প্রিয়জনদের কথা না রাখতে পারলে আমার তো ভালো লাগে না। খারাপ কিছু হলে তো বাবা মা-ও নিষেধ করে দিতো তাদের সাথে মিশতে, কোনো পার্টি এরেঞ্জ করতে। বউ, যাই? ও…টুকটুকির আম্মু, যাই? শিকুর আম্মু, যাই? টুকটুকি ও শিকুর আম্মু, যাই না গো? শিকুর আব্বু না গেলে তারা চরম রাগ করবে।”
জোভান থেমে থেমে কথা বলতে লাগলো এদিকে শারমায়া নিশ্চুপ হয়ে ছিলো। সাথে চলছে জোভানের খুনসুটি। শারমায়া আর পারলো না হাসি চাপা রাখতে। সে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো এবং জোভানের হাতে পরপর দুইটা কিল দিলো। তার নিজের পেটেই চাপ পড়ায় জোভান তার কানে কামড় দিয়ে বললো,
“তুমি আমাকে মারলে? নাকি আমাদের বাচ্চাদের মারলে? তোমার নাম যে সাদিয়া, আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। সাদিয়া নামের মেয়েরা আসলেই বোকাসোকা হয়।”
এবার শারমায়া কিল না দিয়ে জোরেসোরে চিমটি দিলো হাতের উপর। জোভান তাকে আরও চেপে ধরে বললো,
“উফফ! সিরিয়াসলি, মনেই ছিলো না তুমি যে শারমায়া সাদিয়া। আমার দুষ্টুপরি, আমার প্রাণের মায়া।”
“শার্ট আয়রন করে রেখেছি।”
জোভান তাকে ছেড়ে দিয়ে হাত পা মেলে চিৎ হয়ে শুয়ে ইচ্ছাকৃত বড়সড় নিশ্বাস ফেলে বললো,
“হুহ্! ফাইনালি! বউ মানাতে এতো কষ্ট কেন রে ভাই!”
এতো অভিনয় জানে লোকটা! শারমায়া খিলখিলিয়ে হেসে উঠলো এবং বললো,
“এমনিতেও যেতে দিতাম। দেখলাম তুমি মেজাজ কত খারাপ করতে পারো।”
জোভান আবার পূর্বের ন্যায় জড়িয়ে ধরে বললো,
“আমি খুব বেশি ভালোবাসতে পারি। মাই লাভ, ভালোবাসি।”
“পার্টি কতক্ষণ চলবে?”
“তা তো বলতে পারছি না। রাত হলেও চলে আসবো।”
“ইফাজ ভাইয়ার বাসায়?”
“হুম।”
“বেশি রাত হলে আসার প্রয়োজন নেই।”
“উহুম, বেশি রাত পর্যন্ত থাকবো না। পার্টি চললেও আমি চলে আসবো।”
“যাবে যখন শেষ করেই আসবে। রাতারাতি জার্নি করার প্রয়োজন নেই।”
“কাছেই তো। ব্যাপার না।”
বিকেলে আসরের নামাজ পড়েই চাচ্চুকে সাথে নিয়ে বেরিয়ে গেছে জোভান। নিলয় ভাইয়া এবং চাচ্চুরও দাওয়াত। তবে নিলয় যাবে কিনা নিশ্চিত নয়। এদিকে তাদের পিছু নিয়েছে সোয়াদ। নিয়ে যাবে না তাই বাড়ি মাথায় তুলতে সে কি কান্না! বাচ্চাদের এই এক ভালো, হামাগুড়ি দিয়ে কান্না করলেই বিজয়ী হয়ে যায়। আবারও বাসায় ছিলেন আশরাফ আহমেদ খান। তিনি আরেকটু এগিয়ে দিলেন “নিয়ে যা” বলে। ব্যাস, সে-ও চলে গেলো।
রাতে শুয়েছে দশটার দিকে। একটু পরপর চোখে ঘুম নামে আবার ভেঙে যায় আর ঘড়িতে তাকিয়ে সময় দেখে শারমায়া। এখন বাজে আড়াইটা। এর মধ্যে তিন-চার বার ঘুম ভেঙেছে তার। এখনো চোখ জড়ো হয়েছে মাত্র, দরজা খোলার আন্দাজ পেয়ে চোখ খুলে তাকিয়েছে। যদিও জোভান ধীরে ধীরেই দরজা ঠেলে প্রবেশ করেছে, তবুও তার ঘুম চলে গেছে। জোভান মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললো,
“ঘুমাওনি?”
শারমায়া ঘুম জড়ানো কণ্ঠে বললো,
“মেইন ডোর খুলেছে কে?”
“চাচীমাকে কল করে খুলতে বলেছে চাচ্চু।”
“বাথরুমে প্যান্ট রাখা আছে, গোসল করে এসো।”
জোভান সামান্য বিস্মিত হয়েই বললো,
“এখন?”
“কেন? ঠান্ডা লাগছে?”
“উহুম।”
জোভান চলে গেলো গোসল করতে। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বেরিয়ে সরাসরি চলে এলো বিছানায়। অতঃপর শারমায়ার উদ্দেশ্যে বললো,
“উফফ! তোমার ঘুমের ডিস্টার্ব করলাম। খেয়েছো?”
“হুম।”
শারমায়া হাত বাড়িয়ে জোভানের চুলগুলো নেড়েচেড়ে বললো,
“মাথাও মুছা হয়নি।”
জোভান তার ওড়না টেনে নিয়ে মাথা মুছতে লাগলো। মাথায় ওড়না রেখেই শারমায়ার কপালে উষ্ণ ছোয়া দেওয়ার জন্য এগিয়ে যেতেই শারমায়া ঝটপট জোভানকে জড়িয়ে ধরে বালিশ থেকে নিচে নেমে বুকে মাথা ঠেকিয়ে বললো,
“ঘুমাও।”
পরপর এমন আচরণের কারণে জোভান কিছুটা হতাশার সাথেই শারমায়ার মাথাটা বুকে চেপে রেখে বললো,
“জান, তুমি কি ভাবছো আমি ড্রিংকস জাতীয় কিছু খেয়ে এসেছি? ওসব কিছুই খাইনি। ট্রাস্ট মি। দু-একজন অফার করেছিলো, আনতে সম্পূর্ণ নিষেধ করে দিয়েছি।”
“একটা স্পিড হলেও তো খেয়েছো। গন্ধে আমার খারাপ লাগবে, তাই গোসল করতে বলেছি। তোমাকে ছাড়া আমার ঘুম হবে না। রাতে খাওয়ার পর বমি হয়েছে।”
জোভান মুচকি হেসে তাকে টেনে বালিশে তুলে বললো,
“স্পিডও খাইনি। কোকা কোলা ছিলো। বিশ্বাস হচ্ছে না?”
শারমায়া তার চোখে তাকিয়ে আবার ঠোঁটে তাকালো। হুট করেই আলতো ছুঁয়ে দিয়ে চোখ বন্ধ রেখে মুচকি হেসে বললো,
“ঘুমাও এবার।”
জোভান শরীর কাপিয়ে হাসলো এবং তার কপালে চুমু দিলো। শারমায়া বললো,
“টুকটুকির আম্মু তোমাকে অনেক জ্বালাতন করবে বোধহয়। রেগে যাবে না তো আবার কখনো?”
“আমি তোমার জ্বালাতনগুলো সহ্য করার অপেক্ষায়। শারীরিক বা মানসিক কোনো ব্যাথাই লুকিয়ে রেখো না কখনো। তাহলে কিন্তু খুব রেগে যাবো।”
মিনিট দশেক হলো ঘুমের জগতে পদার্পণ করেছে এমনি জোভানের ফোন বেজে উঠলো। দুজনের ঘুমই ভেঙে গেলো। মিরাজের কল এসেছে। জোভান রিসিভ করে বললো,
“হ্যালো?”
“ভাই তুই কই?”
“বাসায়।”
“কি করছিস?”
“ঘুমাচ্ছি। এসব আলাপ করার জন্য তুই এখন ফোন দিয়েছিস?”
“তোর জায়গা হয়েছে ঘরে? আমার সাথে চল একটু, থানায় যাবো।”
জোভান শোয়া থেকে উঠে বসে বললো,
“মানে! থানায় কেন?”
“পুরুষ নির্যাতনের মামলা দিতে। আমার বউ আমারে মাইরা রাখে নাই। এখন রাস্তায় বের করে দিছে তারে জানায় যাইনি কেন! কোথায় যাবো এখন আমি!”
“ধুর, রাবিশ! যেদিকে খুশি চলে যা।”
“এমনটা বলতে পারলি? সাদাতের বউও নাকি গাল ফুলিয়ে মরিচ বেটেছে। ভাবি তোরে কিছুই বললো না! ইফাজরে ফোন দিলাম, তোর শালীর সাথে বোধহয় রাতভর প্রেম জমিয়েছে। শুধু বিজি দেখায়। কেউ আমার পাশে নাই। তোরা দুধের মাছি।”
“আরেকবার ফোন দিবি, ডিরেক্টলি তোর বাপের কাছে লাইন ধরাবো। ফোন রাখ!”
তাকে ধমক দিয়ে জোভানই কল কেটে দিলো। শারমায়াকে সজাগ দেখে বললো,
“কত বড় ফাজিল! তার বউ নাকি মেরেছে, এজন্য থানায় যাবে। আমি ভেবেছি, বাসায় পৌঁছানোর পথে রাস্তায় বুঝি আবার কিছু হলো।”
শারমায়া মৃদু হেসে বললো,
“মেরেছে উচিত করেছে। বাসায় কিছু না জানিয়ে গেলো কেন? লিসা দশটার দিকে কল করেছিলো আমাকে তুমি কোথায়, জিজ্ঞেস করার জন্য। মিরাজ ভাইয়া নাকি সেই দুপুরে বেরিয়েছে। কোথায় গেছে বলেও যায়নি, ফোনও রিসিভ করছে না। পরে বলে দিলাম পার্টির কথা। তারা নাকি জানেই না এই ব্যাপারে কিছু। সে আনন্দ করে, আর ওদিকে টেনশন করছিলো সবাই।”
“তাই নাকি! আখিও কল করেছিলো?”
“না। লিসার কাছেই জেনেছে হয়তো।”
জোভান হাসতে হাসতে শুয়ে পড়ে বললো,
“ভালোই ঝট বাঁধিয়ে দিয়েছো। শিক্ষা হোক এবার।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here