হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-১৪

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১৪
.
.
.
.
আর ইউ ম্যাড আগুন হাতে কতোটা লেগেছে দেখেছিস ..??.এভাবে অন্য কারোর রাগ নিজের উপর দেখাবি রাগ টা পুষে রাখ সময় মতো তা উপরে দিবে যেমন টা আমি করছি……

হাত ছাড় আমার ,,লাগেনি হাতে এখন তুই বল তোর আর মেঘের বিয়ে তো হয়ে গেলো এখন কি করবি …????(আগুন)

বাকি প্লান টা তোকে পরে বলবো তার আগে মা বাবা কে এ শহর ছেড়ে অন্য কোথাও পাঠিয়ে দিতে হবে আগুন…

তাহলে বরং আঙ্কেল আন্টি কে ইউ কে পাঠিয়ে দি…??

তাহলে তো বেশ ভালোই হয় মা বাবার পাসপোর্ট ভিসা সব আছে কোন প্রব্লেম হবে না পাঠিয়ে দে তারপর শুরু করবো আসল খেলা………….
!
!
!
!
!
মিস্টার চৌধুরি আপনি এখন কেমন ফিল করছেন.??(ডক্টর)

ম্যাচ ব্যাটার ডক্টর ..! আমাকে হসপিটাল থেকে রিলিজ কবে দিবেন..??(মেঘ)

মিস্টার চৌধুরি আপনাকে আজ রিলিস করে দেওয়া হবে তবে আপনাকে কিছুদিন বেড রেস্টে থাকতে হবে ইভেন কোন টেনশন করবেন না যাতে মাথায় চাপ পরে…(ডক্টর)

ওকে ডক্টর আমি খেয়াল রাখবো আপনি রিলিজের পেপারস টা রেডি রাখুন….(মেঘ)

ডক্টর মেঘের কথা মতো পেপারস টা রেডি করতে চলে যায় এদিকে মেঘের ফোনের বের করে ফোনের ওয়াল পেপারে ফারহার হাস্য উজ্জ্বল ছবি টা দেখে মেঘ বলে…..

ডোন্ট ওয়ারি জানপাখি আমি খুব তারাতারি আসছি তোমার কাছে এবার আর আমার থেকে পালাতে পারবে না আমি সেই ব্যাবস্তা করবো…..(মেঘ)

কিছুক্ষন পর আরহান চৌধুরী কেবিনে প্রবেশ করতে মেঘ খানিকটা অবাক হয় কারন আরহান চৌধুরী নিজে সেধে এসেছে মেঘ কে দেখতে এটা মেঘের কিছুতেই হজম হচ্ছে না মেঘ অবাক দৃষ্টিতে আরহান চৌধুরীর দিকে তাকিয়ে বলে উঠলো …

– ড্যাড তুমি এখানে …(মেঘ)

– কেনো আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে হসপিটালের বেডে শুয়ে আছে আর আমি দেখতে আসবো না.! এতোটা ও খারাপ মানুষ আমি না .(আরহান চৌধুরী )

– আমি জানি না ড্যাড তোমার কোন স্বার্থের জন্য এখানে এসেছো কিন্তু তুমি যদি ভেবে থাকো আমি ফারহা কে ভুলে যাবো ওকে ছেড়ে দিবো তাহলে ইউ আর রং কজ এই মেঘ চৌধুরি বেচেঁ থাকতে কখনো তার ভালোবাসা কে ছাড়বে না….

কথা গুলো বলে দম নিলো মেঘ কিন্তু আরহান চৌধুরী মেঘের কথার কোন আন্সার না দিয়ে স্নান হেসে মেঘের মাথায় হাত বুলাতে থাকে…..

মেঘ আমি জানি তুমি হয়তো আমার উপর রেগে আছো কিন্তু আমি যা করেছি তা তোমার আর আমার সন্মান বাচাতে করেছি আমি আশা করবো তুমি আমাকে বুজবে কথা টা বলে আরহান চৌধুরী কেবিন থেকে বেরিয়ে যায় কিন্তু মেঘ আরহান চৌধুরী কোন কথাই বুজতে পারলো না ,,কি করেছে আরহান চৌধুরী …..
!
!
!
!
!
ফারহা আঙ্কেল আন্টির টিকিট কনফার্ম করে দিয়েছি তুই আঙ্কেল আন্টি কে প্যাকিং করে যেনো রেডি থাকে আগামি কাল বিকেল পাচঁ টায় ফ্লাইট ….(আগুন)

দ্যাটস গ্রেট বাট আগুন একটা প্রব্লেম আছে…(ফারহা)

নো ফারহা কোন প্রব্লেম নেই তুই টেনশন করিস না …

আগুনের সাথে কথা বলার সময় থানা থেকে অফিস্যারের ফোন আসে ফারহা অফিস্যারের নাম্বার দেখে দ্রুত রিসিব করে …..

– হ্যালো অফিস্যার বলুন…?

– আপনার কথা মতো কাজ টা হয়ে গেছে এখন আপনি আসলে এদের আমি ছেড়ে দিবো ..(অফিস্যার)

– গুড বাট অফিস্যার ওদের কি আপনি জামিনের বিষয় কিছু বলেছেন..???

– নো মিস ফারহা আমি ওদের কিছুই জানাই নি তবে আপনি বললে জানাতে পারি…??

– নাহ এটা করবেন না আপনি ওদের জানান যে আজ ওদের কোর্টে তোলা হবে রেডি থাকতে তারপর আমি থানায় এসে আপনাকে বাকি কাজ টা বুঝিয়ে দিবো…(ফারহা)

– ওকে তাহলে রাখছি…

কলটা ডিসকানেক্ট হতে আগুন ফারহা কে প্রশ্ন করে ,,, ফারহা তুই যা করছিস ভেবে করছিস তো..??

তোর কি মনে আগুন আমি না ভেবে করছি .?? আমি সব টা ভেবে চিন্তে করছি বাট তোর যদি আমার সাথে থেকে আমার সহযোদ্ধা হতে ভয় হয় তাহলে বলবো তুই চলে যেতে পারিস আমি আমার বোনের খুনের প্রতিশোধ আমি একাই নিবো তোকে সাহায্য করতে হবে না ….(ফারহা)

ওহ যাষ্ট স্যাটআপ ফারহা তুই ভালো করেই জানিস আমি এক মুহূর্তের জন্য তোকে একা ছাড়বো না তোকে যাষ্ট সতর্ক করছি যাতে ইন ফিউচার তোকে আবার এই কাজের জন্য পস্তাতে না হয় …(আগুন)

লিসেন আগুন তোকে এই সব নিয়ে ভাবতে হবে না তোকে যে ক্যামিক্যাল আর মেডেসিন আনতে বলেছিলাম এনেছিস ..??(ফারহা)

এনেছি বাট এই মেডেসিন টা পাওয়া খুব ট্যাফ হয়েছিলো বাট পেয়েছি এই নে প্যাকেট গুলো ফারহার হাতে দিয়ে….

আগুন পাচ মিনিটের ভিতর রেডি হয়ে আয় আমরা এখুনি বের হবো নয় তো লেট হয়ে যাবে ….(ফারহা)

আগুন ফারহার কথা মতো রেডি হতে চলে যায় এদিকে ফারহা ও রেডি হয়ে নেয় ব্লাক জেকেট ব্লাক জিন্স ব্লাক সু চোখে সানগ্লাস চুল গুলো ছেড়ে দেওয়া ….ফারহা রেডি হয়ে প্যাকেট গুলো সাথে নিয়ে গাড়িতে রাখে আগুন রেডি হয়ে আসতে ফারহা ড্রাইব করে থানার দিকে চলে যায় ……

আরে মিস ফারহা আপনি এসে পরেছেন নিন এখানে কিছু আপনার সিগনেচার লাগবে বসে সিগনেচার গুলো করে ফেলুন ফারহা সিগনেচার করে অফিস্যার কে বলে ..

অফিস্যার আপনি কালো কাপড় দিয়ে আসামিদের চোখ আর হাত বেধে দিন তারপর আমি যা করার করছি….(ফারহা)

আপনি এদের সাথে কি করতে চাইছেন এটা আমি এ্যাজ এ্য পুলিশ অফিস্যার হয়ে খুব ভালো ভাবেই বুজতে পারছি শয়তানি হাসি দিয়ে বললো অফিস্যার….

আমি জানি অফিস্যার আপনি খুব ইন্টেলিজেন্ট তাই তো বিনা তর্কে আমার সাথে ডিল টা করলেন এখন না হয় আর একটা ডিল করলেন নিশ্চয় আপনার কোন সমস্যা নেই ..??(ফারহা)

একদম না মিস আপনি যাষ্ট আমার ব্রিফকেস টা আগের মতো ভরিয়ে দিলে চলবে….(অফিস্যার)

ডান হয়ে যাবে তবে এখন আপনাকে যা বলছি আপনি তাই করুন….

ফারহার নির্দেশ মতো পুলিশ অফিস্যার লোক গুলোর চোখ হাত কালো কাপড় দিয়ে বেধে দিলো আগুন প্রত্যেক কে গাড়িতে বসিয়ে দিলো ফারহা লোক গুলো কে নিয়ে শহর থেকে প্রায় পনেরো কিলোমিটার দুরে রাজকীয় পোড়া বাড়িতে নিয়ে সেখানে প্রত্যেক কে দেয়ালের সাথে লোহার পেরেক দিয়ে হাত আটকে দেয় প্রত্যেকে যন্ত্রনায় চিৎকার করছে কিন্তু কেউ শুনতে পারছে শুধু ফারহা আর আগুন লোক গুলোর এক একটা চিৎকার যেনো ওদের কানে মধুর বানির মতো পৌছাচ্ছে ফারহা এবার একে একে সবার চোখের বাধন খুলে দেয় লোক গুলো ফারহা কে দেখে ভয়ে চিৎকার করতে ভুলে গেলো বিষয় টা ফারহা বেশ আনন্দ পায় হুট করে আগুন কে নিয়ে বেরিয়ে গেলো ফারহা………..
!
!
!
!
!
Whaaaaaaaat ফারহা ওখানে নেই মানে কি নিলয় ..?? ভালো করে বাড়ির চারিদিক খুজে দেখো নিশ্চয় ওই বাড়িতে থাকবে ওরা ….(মেঘ)

– নো বস আমি খুব ভালো করেই জেনেছি ইভেন প্রতিবেশিদের সাথে কথা বলেছি ওরা জানায় দু দিন আগে পুরো পরিবার কোথায় চলে গেছে তা কেউ বলতে পারে না কাউকে কিছু জানায় নি ….(নিলয়)

ওকে চলে এসো তবে কিছু লোকদের ওখানে বাড়িটা নজরে রাখতে বলো কে আসে কে যায় সব খবর চাই আমার গট ইট….( মেঘ)

ওকে বস …

তুমি যেখানে যাও না কেনো জানপাখি আমি তোমাকে ঠিক খুজে বের করবো তারপর এমন ব্যাবস্তা করবো যে সারা জীবনে আমাকে ছেড়ে যাবার কথা কল্পনাতে ও আনবে না …(মেঘ)

তুমি কি বিজি মেঘ…(আরহান চৌধুরী )

নো ড্যাড কিছু বলবে ..??

হ্যা বলার ছিলো তুমি হসপিটাল থেকে ফিরে কাজ নিয়ে বিজি তারপর ও বলছি কাল একটা বাড়িতে গেট টুগেদার পার্টি রাখছি আর তুমি সেই পার্টির মেইন এট্রাকশন তাই বলছিলাম কি …আরহান চৌধুরী বলতে যেয়ে ও থেমে যায় আসলে তিনি দেখতে চাইছেন মেঘ এখনো তার কথার অবাধ্য হয় কিনা…

ড্যাড হেজিটেড না করে যা বলার আছে বলে ফেলো আমার কাজ আছে …( মেঘ)

মেঘ আমি চাই এই পুরো পার্টিটার এরেন্জমেন্টের দ্বায়িত্ব তুমি নেও তাহলে আমি একটু রিলেক্স হবো ….

মেঘ আরহান চৌধুরীর কথা শুনে কিছুক্ষন চুপ থেকে হেসে বলে উঠলো ওকে ড্যাড তাই হবে পার্টির এরেন্জমেন্ট সব দ্বায়িত্ব আমার …(মেঘ)

ওকে তাহলে তুমি এখন তোমার কাজ করো আমি আমার পি এ কে বলছি বাকিদের ইমেইল করে ইনভিটেশন পাঠিয়ে দিতে ,,,,,

ওকে…(মেঘ)

আরহান চৌধুরী চলে যেতে নিলে আবার পিছুনে ফিরে মেঘের দিকে তাকিয়ে হাসতে থাকে,,,কি বোকা তুমি মেঘ তুমি হয়তো ভাবতে ও পারো নি আমি এভাবে জিতে যাবো আমার ইগো সন্মান বংশ মর্যাদা আমি অক্ষুন্ন রাখতে পারবো , তুমি এ জীবনে জানতে পারবে না তোমার জীবন থেকে তোমার ভালোবাসা হারানোর সব ক্রেডিট এই আরহান চৌধুরীর আর সেই জিতের সেলিব্রেশন করতে পার্টির এরেন্জমেন্ট আর তা তুমি করবে ভাবতেই এক অদ্ভুত পৈশাচিক আনন্দ পাচ্ছি…….

আরহান চৌধুরী রুম থেকে বেরিয়ে যেতে মেঘ হাসতে থাকে ,,,কি ভেবেছো ড্যাড আমি কিছু বুজতে পারছি না হা আমি জানি আমার জানপাখি এভাবে উধাও হয়ে যাওয়ার পিছুনে তোমার হাত আছে নেভার মাইন্ড কাল তুমি তোমার জবাব পেয়ে যাবে ড্যাড যাষ্ট ওয়েট এ্যান্ড ওয়াচ…..(মেঘ)
!
!
!
!
ফারহার সামনে আরহান চৌধুরীর পিএ এমজাত মাথা নিচু করে বসে আছে ফারহা অনেক কষ্টে নিজের রাগ টা দমন করে রেখে এমজাত প্রশ্ন করে ….

কেনো খুন করেছিস আমার বোন কে..??(ফারহা)

আ,,আমি কিছু করেনি আমাকে আপনার ছবি দিয়ে বলে আপনাকে তুলে আনতে তারপর মেরে ফেলতে কিন্তু দূর্ভাগ্যে ক্রমে আপনাকে ভেবে আপনার জমজ বোন কে তুলে এনে বাকিটা বলার আগে ফারহা এমজাতের বুক বরাবর ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে আচমকা ফারহার আক্রমনে এমজাত কিছু বুঝে ওঠার আগে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পরে ফারহা এমজাতের বুক থেকে রক্ত মাখা ছুড়ি টা তুলে নিয়ে বাকি লোক গুলোর দিকে আগাতে থাকে……….
*
*
*
*
#চলবে………….. 🖤🖤🖤

( Next part ফারহার বেশ বড় ধামাকা আছে সবাই রেডি তো ..??)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here