হিংস্র_ভালোবাসা #Writter_Farhana_Chobi #পর্ব-১৫ .

#হিংস্র_ভালোবাসা
#Writter_Farhana_Chobi
#পর্ব-১৫
.
.
.
.
আ,,আমি কিছু করেনি আমাকে আপনার ছবি দিয়ে বলে আপনাকে তুলে আনতে তারপর মেরে ফেলতে কিন্তু দূর্ভাগ্যে ক্রমে আপনাকে ভেবে আপনার জমজ বোন কে তুলে এনে বাকিটা বলার আগে ফারহা এমজাতের বুক বরাবর ধারালো ছুড়ি দিয়ে আঘাত করতে থাকে আচমকা ফারহার আক্রমনে এমজাত কিছু বুঝে ওঠার আগে মৃত্যুর কোলে ঢুলে পরে ফারহা এমজাতের বুক থেকে রক্ত মাখা ছুড়ি টা তুলে নিয়ে বাকি লোক গুলোর দিকে আগাতে থাকে ফারহা ধারালো ছুড়ি দিয়ে নিজ হাতে ফারহা লোক গুলোর চোখ তুলে নিয়ে ছুড়ি নিয়ে লোক গুলোর বুক ফালা ফালা করে দিলো আগুন হাতে গ্লোবস পরে ক্যামিক্যাল রাখা বোতল টার ছিপি খুলে প্রানহীন দেহ গুলোর উপর ছড়িয়ে দিতে লাগলো এসিডের মতো ক্যামিক্যাল গুলো দেহ গুলো পুড়িয়ে ফেলছে ফারহার হঠাৎ যেনো বমি পেতে থাকে দৌড়ে বাইরে চলে যায় ফারহা এভাবে ফারহা কে যেতে দেখে আগুন ও ফারহার পিছু পিছু যায় …..

কি হয়েছে ফারহা এভাবে দৌড়ে চলে এলে কেনো ..??(আগুন)

আ’ ম ফিল সিক আগুন আমাকে এখুনি বাড়ি যেতে হবে….(ফারহা)

ফারু তোকে বলা হয়নি মেঘের কিছু লোক তোদের বাড়ির উপর নজর রাখছে তবে ভাগ্য ভালো ছিলো আগেই আন্টি আঙ্কেল কে আমার উওরার বাড়িতে রেখে এসেছি …(আগুন)

এখন যদি আমি বাড়িতে যাই মেঘ নিশ্চয় তা জানতে পারবে ..!!(ফারহা)

হুম তা তো অবশ্যই তুই কি ওখানে যেতে চাইছিস..??(আগুন)

ঠিক ধরেছিস আমি এখন বাড়িতে যাবো কিন্তু তুই আমার সাথে যাবি না তুই মা বাবা কে ইউকে পাঠিয়ে দিয়ে অন্য কোন হোটেলে চেকইন করবি ভুলে ও হোটেল রয়েলে যাবি না…(ফারহা)

তা না হয় করলাম কিন্তু তুই ঠিক কি করতে চাইছিস বলবি আমাকে..???(আগুন)

আগুনের প্রশ্নের উওরে ফারহা শুধু রহস্যময় হাসি দিয়ে বেরিয়ে যেতে নিলে আগুন ফারহার হাত ধরে আটকে দেয় ফারহা পিছুনে ফিরে আগুনের দিকে বিরক্তি চোখে তাকাতে আগুন একটা বেজলেট ফারহার হাতে পরিয়ে দিলো সাথে নিজেও সেম একটা বেজলেট পরে নিলো….

অবাক হচ্ছিস তাই তো ..?? শোন তোকে নিয়ে আমি কোন রিক্স নিতে চাই না তাই এ ব্যাবস্তা বেজলেটের এই রেড স্টোন টা দেখছিস এটার ভিতর ছোট একটি চিপ আছে তুই যেখানে থাকিস না কেনো এটার মাধ্যমে তোর লোকেশন খুজে পেতে কষ্ট হবে না আর একটা কথা পাশের এই কালো বড় স্টোন দেখছিস যখন তুই কোন বিপদে পরবি তখন এটাতে দুবার চেপে ধরলে আমার হাতের বেজলেট টা জ্বলে উঠবে একবার ট্রায় করে দেখ …

আগুনের কথা মতো ফারহা বড় স্টোনে দুবার চেপে ধরতে আগুনের হাতের বেজলেট জ্বলে উঠলো এটা দেখে আগুন বেশ খুশি হলো….

ওয়াও আগুন তুই সত্যি আমার বেষ্টফ্রেন্ড তোর মতো বন্ধু পাওয়া সত্যি ভাগ্যের বিষয় …(ফারহা)

এতো সেন্টি হস না ফারু নিজেকে কন্ট্রোল করতে ভিষন কষ্ট হয় তুই সাবধানে যা আর ফোনের টার্চে থাকবি….

ওকে ডান ,,,

আগুনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ফারহা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পরে ফারহা গাড়ি নিয়ে শহরে ঢুকতে ফারহা খেয়াল করে দু টো গাড়ি ফারহা কে দুর থেকে ফলো করছে ফারহা বাক মিররে খেয়াল করে দেখলো গাড়ি দুটো সেম মডেলের ব্রান্ডের কার ফারহার বুজতে বাকি নেই গাড়ি দু কার আর কে ফলো করছে ফারহা কে ,, ফারহা গাড়ি দুটো কে দেখে বেশ হাসি পাচ্ছে ওর ও যা চাচ্ছে ঠিক তাই তাই করছে মেঘ বেশ কিছুক্ষণ পর ফারহা বাড়িতে ফিরে ফ্রেশ হওয়ার জন্য ওয়াসরুমে চলে যায় একঘন্টা ধরে লম্বা একটা শাওয়ার নিয়ে টাওয়াল পেচিয়ে ওয়াসরুম থেকে বেরিয়ে আসে মিররের সামনে দারিয়ে চুল মুছতে মুছতে মিররে তাকিয়ে দেখে মেঘ বেডের উপর কাত হয়ে শুয়ে ওর দিকে হা করে তাকিয়ে আছে ……

ভেজা চুল চুবিয়ে টপ টপ করে পানি পরছে সারা শরীলে পানির বিন্দু ছড়িয়ে আছে এই মূহর্তে ফারহা দেখে মনে হচ্ছে জল থেকে ভূল করে উঠে আসা কোন জলপরি ..মেঘ হা করে দেখছে ফারহাকে ফারহা এক মুহূর্ত দেরি না করে কাবার্ড খুলে কাপড় নিতে যাবে কিন্তু খুলে দেখে কার্বাড পুরো ফাকা কোন কাপর নেই ফারহার বুজতে বাকি নেই কাজ টা কার ,,,মেঘ বেড থেকে উঠে পিছন থেকে ফারহার কোমড় জরিয়ে ধরে ভেজা চুলে মুখ ডুবিয়ে দিয়ে চুলের ঘ্রান নিতে থাকে ফারহা চেষ্টা করে ও মেঘের হাত থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারছে না তাই মোড়ামুড়ি করতে লাগলো মেঘ বেশ বিরক্ত হয়ে ফারহার কানের কাছে মুখ এনে আসতে আসতে বলে I don ‘t like disturbance in loving you Janpakhi ….

কথাটা কানে যেতেই ফারহার পুরো শরীল কেপেঁ উঠলো ওখানে ফারহা ফ্রিজড হয়ে দারিয়ে রইল মেঘ ফারহার এমন অবস্তা দেখে মুচকি হেসে একটা সপিং ব্যাগ ফারহার হাতে দিয়ে বলে …দশ মিনিট টাইম দিলাম জানপাখি এই দশ মিনিটের ভিতর যদি তুমি রেডি না হও তাহলে আমি নিজ হাতে তোমাকে রেডি করিয়ে দিবো….

ফারহা মেঘের কথা শুনে ছুটে ওয়াসরুমে দিকে চলে যেতেই মেঘের ফোন টা বেজে উঠলো মেঘ ফোনটা বের করে দেখে আরহান চৌধুরীর কল মেঘ কল টা রিসিব না করে কেটে দিয়ে ফোন টা অফ করে দিলো ..

যাষ্ট আর কিছুক্ষন ড্যাড আমি আসছি তোমার জন্য বিগ সারপ্রাইজ নিয়ে তৈরি থেকো…….

এদিকে ফারহা ওয়াসরুমে ঢুকে মেঘের দেওয়া পোশাক টা পড়ে নেয় ডার্ক রেড আর ব্লাক কালারের কম্বিনেশনের লেহেঙ্গা টা পরে নিয়ে ওয়াসরুম থেকে বের হয় মেঘের সামনে দারায় ফারহা ,,,,দরজা খোলার আওয়াজ পেয়ে মেঘ পিছুনে তাকিয়ে ফারহাকে দেখে যাষ্ট স্পিচলেস হয়ে গেলো লাল কালো কম্বিনেশনের লেহেঙ্গা টা ফারহা কে এতোটা মানাবে মেঘের ধারনা ছিলো না মেঘ ফারহার হাত ধরে একটানে নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে চেপে ধরে ফারহা এমন ভাব করে যেনো মেঘ যেনো একটা বাঘ আর ও হরিন মেঘ ফারহার ভয়ার্থ মুখ দেখে আরো শক্ত করে চেপে ধরে ফারহার দম নিতে কষ্ট হচ্ছে তারপর ও মেঘ কে কিছু বলছে না …..

কি হলো জানপাখি আজ আমাকে বাজ দিয়ে হিট করবে না..?? পালিয়ে যেতে চাইবে না ..??(মেঘ)

মেঘের কথা শুনে ফারহা অসহায় দৃষ্টিতে মেঘের দিকে তাকিয়ে রইল মেঘ ফারহার তাকানো দেখে বলে উঠলো ,,,ভেবো না আমি তোমার আঘাত তোমাকে ফিরিয়ে দিবো তোমার আঘাত কে ও আমি ভালোবাসি তুমি যা করেছো তা আমি সে মুহূর্তে ভূলে গেছি কারন কি জানো কারন আমি তোমাকে ভালোবাসি তুমি আমার জান কিন্তু নেক্সট টাইম তুমি আর আমার থেকে পালাতে পারবে না জানপাখি তুমি আজ এই মূহর্ত থেকে আমার ভালোবাসার সোনার খাচায় বন্দি হয়ে যাবে …..(মেঘ)

মেঘ তুমি ভাবছো তুমি আমাকে বন্দি করেছো হা কি বোকা তুমি আমি সেধে তোমার হাতে ধরা দিয়েছি সেটা তোমার ওই ছোট মাথায় ঢুকবে না আর না ঢুকাই ভালো তুমি এটাও জানো না চৌধুরী ম্যানশনে ঢুকার ওয়াইল্ড কার্ড তুমি তোমার মাধ্যমে তোমাদের আমি শেষ করবো ..কথা গুলো ফারহা মনে মনে ভাবতে লাগলো আর মিটিমিটি হাসছে মেঘের চোখে ফারহার এই রহস্যময় হাসি চোখে পড়লো না ,,মেঘ ফারহা কে ড্রেসিং টেবিলের সামনে বসিয়ে হেয়ার ড্রাইয়ার দিয়ে ফারহার ভেজা চুল গুলো শুকিয়ে ফারহা নতুন বউয়ের মতো সাজাতে লাগলো ফারহা বেশ অবাক হয় মেঘের কান্ড দেখে কারন মেঘ পুরো প্রফেশনদের মতো ফারহা কে সাজিয়ে দিলো লাল কালো লেহেঙ্গার সাথে মেঘের দেওয়া নিউ লুক টা যাষ্ট অসাধারন লাগছে ফারহা মিররে নিজেকে দেখে চিনতে পারছে না মেঘ ফারহার সাজ টা কম্পিলিট করে মিররে ফারহা কে মোহনীয় দৃষ্টিতে দেখতে লাগলো ফারহা বেশ কিছুক্ষণ পর মেঘের দিকে তাকাতে লজ্জায় লাল হয়ে যায় মেঘ আবারো ফারহার লজ্জা মাখা মুখ দেখে বাম পাশে বুকে হাত দিয়ে বেডে শুয়ে পরে ফারহা মেঘের কান্ড দেখে হাসি পাচ্ছে না বরং রাগ যেনো দ্বিগুন গতিতে বাড়তে লাগলো মুখে তা প্রকাশ না করে জগে থাকা পুরো টা পানি মেঘের মুখে ঢেলে দিলো আচমকা এমন ঘটনায় মেঘ তাজ্জব বনে যায় বেড থেকে উঠে ওয়াসরুমে ডুকে ফ্রেস হয়ে বের হয় ততোক্ষনে ফারহা যাবতীয় সিগরেট কাজ টা সের ফেলে মেঘ বের হয়ে ফারহা কে আড়কোলে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গাড়িতে বসিয়ে দিয়ে সিটবেল লাগিয়ে দেয়…….
!
!
!
!
!
হ্যালো মিস্টার মারুফ হাউ আর ইউ…(আরহান চৌধুরী )

আই এ্যাম ফাইন মিস্টার চৌধুরি বাট মেঘ কে দেখছি না জারা মেঘ কে দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছে …(মিস্টার মারুফ)

আসলে মেঘ একটা জরুরি কাজে বাইরে গেছে এক্ষুনি এসে পরবে আপনি প্লিজ কিছু মনে করবেন না জারা মামুনি কে একটু বুঝিয়ে বলুন…(আরহান চৌধুরী )

আরে মিস্টার চৌধুরি কিছু মনে করবো কেনো আমরা আত্নিয় হতে চলেছি তাই আপনার সুযোগ সুবিধা তো আমাকে দেখতে হবে …(মিস্টার মারুফ)

ওকে মিস্টার মারুফ চলুন ওই দিক টায় আপনার জন্য ইস্পেসাল ওয়াইনের এরেন্জমেন্ট করেছে মেঘ দেখবেন না…(আরহান চৌধুরী )

ওহ শিওর প্লিজ ,,,,
আরহান চৌধুরী মিস্টার মারুফ কে নিয়ে ওয়াইন খেতে লাগলো সব গেস্ট এসে পরায় জারা মারুফ খানের মেয়ে মেঘ কে দেখার জন্য অস্থির হয়ে পরলো তা দেখে আরহান চৌধুরী বার বার মেঘ কে ফোন করার ট্রায় করছে কিন্তু প্রতিবারের এবারে নট রিচেবল বলে কলটা কেটে গেলো রাগে আরহান চৌধুরী থরথর করে কাপতে লাগলো ওনি যে আজ বিশেষ এক প্লান করেছে মেঘের জন্য মেঘ না আসলে তা মাঠে মারা যাবে এটা ভাবতেই আরহান চৌধুরী বেশ কয়েক গ্লাস ওয়াইন খেয়ে শেষ করে ফেললো ঠিক সে মুহূর্তে বাড়ির সব আলো অফ হয়ে গেলো সব গেষ্ট রা হইচই শুরু করে দিলো আরহান চৌধুরী সারবেন্ট কে ফিউজ দেখার জন্য বলে সারবেন্ট আরহান চৌধুরীর কথা মতো বাড়ির পিছুনে চলে গেলো ঠিক সেই সময় মেঘের উপর নীল আলো জ্বলে উঠলো আরহান চৌধুরী মারুফ খান সাথে সব গেস্ট রা অবাক হয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে রইল আরহান চৌধুরী মেঘ কে দেখে বেশ খুশি হয়ে মেঘের কাছে যেতেই অন্য আর একটা নীল আলো জ্বলে উঠলো আরহান চৌধুরী বেশ অবাক হয় এটা দেখে নীল আলোয় দারিয়ে ঘোমটা দেওয়া একটা মেয়ে দারিয়ে আরহান চৌধুরী মেঘের কাছে এসে দারায়…..

ওয়াট ইজ দিস মেঘ হু ইস গার্ল আর এখানে কেনো এরকম ব্রাইডাল গার্ল সেজে..??

ওহ ড্যাড একসাথে অনেক গুলো প্রশ্ন করে ফেল্লে তুমি আর যখন এতো প্রশ্ন করে ফেলেছো তাহলে তুমি ঘোমটা সরিয়ে দেখে নেও হু ইজ গার্ল…(মেঘ)

আরহান চৌধুরী মেঘের কথা শুনে সত্যি বেশ বিরক্ত হয়ে মেয়েটির কাছে যায় ঘোমটা সরাতে ….

কে এই মেয়ে দেখে মনে হচ্ছে বিয়ের কনে মুখ টা তো আমাকে দেখতেই হবে শুধু যে আরহান চৌধুরি কনের মুখ দেখার জন্য অস্থির হয়ে আছে তা কিন্তু নয় পার্টিতে আশা প্রত্যেকে বেশ আগ্রহ্য নিয়ে তাকিয়ে আছে দেখার জন্য ঘোমটার নিচে ঢাকা মুখ টা দেখার জন্য ,,,,

আরহান চৌধুরী ধর্য্যে ধরতে না পেরে হুট করে ঘোমটা সরিয়ে ফেললো আর সাথে সাথে বাড়ির সব লাইট একসাথে জ্বলে উঠলো আরহান চৌধুরী ঘোমটার নিচে মুখটা দেখে ভয়ে ছিটকে দুরে সরে গেলো মেঘ দেখছে আরহান চৌধুরী রিতিমতো ভয়ে কাপঁছে এসি চলছে তারপর ও কপাল বেয়ে ঘাম ঝড়ছে আরহান চৌধুরী নিজের চোখে বিশ্বাস করতে পারছে না কোন মৃত ব্যাক্তি জীবন্ত তার সামনে দারিয়ে আছে এদিকে ফারহা ধির পায়ে এগিয়ে গেলো আরহান চৌধুরীর দিকে আরহান চৌধুরী নিজের আর ধরে রাখতে না পেরে সাথে সাথে জ্ঞান হারিয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পরে …..

আরহান চৌধুরী কে এভাবে জ্ঞান হারাতে দেখে ফারহা মুচকি হেসে বলতে লাগলো…. সবে তো শুরু মিস্টার আরহান চৌধুরী এখনি জ্ঞান হারালে চলবে আগুন নিয়ে খেলতে চেয়েছেন না এখন প্রতিশোধের জ্বলন্ত আগুন এসেছে চৌধুরী ম্যানশনে সব জালিয়ে ছাড়খার করে দিতে ……………..
.
.
.
.
.
#চলবে………………………………. 🔥🔥🔥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here