হৃদমোহিনী পর্ব-১৪

0
2547

হৃদমোহিনী
পর্ব ১৪
মিশু মনি
.
১৮.
প্রচণ্ড কুয়াশার মাঝেও চিন্তিত মুখে বসে আছে মৌনি। দুটো দিন কেটে গেলো অথচ মেঘালয় এখনো নেই। এমনকি ফোনটাও বন্ধ। মেঘ অনেক দায়িত্ববান ছেলে, সুস্থ শরীরে আর নিরাপদ অবস্থায় থাকলে অবশ্যই যোগাযোগ করতো। তবে কি কোনো বিপদ ঘটেছে ওর? ভেবে কোনো কূলকিনারা পাচ্ছেনা।

এমন সময় আরাফ এসে পাশে বসলো। মৌনির দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করলো, ‘রুমে যাবেনা মৌনি?’

মৌনি মুখ তুলে তাকালো আরাফের দিকে। ওর চেহারায় চিন্তার রেখা দেখে আরাফের বুঝতে অসুবিধা হলোনা। কি বলবে বুঝে উঠতে না পেরে বললো, ‘আমরা কালকের দিনটা দেখি? এরমধ্যে খোঁজ না পেলে একটা ব্যবস্থা নিতে হবে।’
– ‘কিন্তু আমার না একদমই ঘুম আসবে না। গতকাল সকালে কল দিয়ে আমাকে বললো কালকে আসবো। অথচ রাত থেকেই ফোন বন্ধ ওর। আজকে সারাদিন ফোনটা বন্ধ। টেনশন হবেনা বলো?’
– ‘পাগলী টেনশন করোনা। হয়ত ব্যস্ত নয়ত কোনো সমস্যায় পড়েছে। ঠিকই আসবে দেখো। এত টেনশন নিওনা। রুমে গিয়ে ঘুমাও।’
– ‘ভাইয়াকে মিস করছি খুব। ওই মেয়েটাকে নিয়ে কোনো বিপদ হয়নি তো?’
– ‘সেরকম হবার কারণ নেই। মেঘের উপর বিশ্বাস রাখো। কালকের দিনটা দেখাই যাক না। আমার বিশ্বাস ও ঠিকই যোগাযোগ করব।’
– ‘তাই যেন হয়।’

এরপর অনেক্ষণ দুজনে চুপচাপ। রাত বেড়ে যাচ্ছে দেখে আরাফ উঠে পড়লো। মৌনিকে ওঠার জন্য বলতেই সেও উঠে দাঁড়ালো। দুজনে একসাথে হেঁটে বারান্দা অব্দি আসলো। মৌনি নিজের রুমে যাবে এমন সময় আরাফ পিছন থেকে ডাক দিলো, ‘মৌনি…’
মৌনি ঘুরে তাকালো, ‘হ্যা ভাইয়া।’
– ‘না কিছু না। টেনশন কোরো না, ঘুমাও গিয়ে।’
– ‘কিছু বলবে মনেহয়?’

আরাফ আমতা আমতা করতে লাগলো। আসলে ওর তেমন কিছু বলার নেই। কেন ডাক দিলো তাও বলতে পারেনা। মুচকি হেসে বললো, ‘কি হলো? হা করে চেয়ে আছো যে? কিছু বলবে?’

আরাফ মাথাটা ঝাঁকিয়ে বললো, ‘না না কিছুনা।’
মৌনি বললো, ‘আরো কিছুক্ষণ আপনার সাথে কথা বলবো?’

আরাফ হেসে ফেললো। মৌনি মেয়েটা সবসময় স্পষ্টবাদী। যা বলার সরাসরি বলে দেয়। কিন্তু লজ্জায় পড়তে হয় খুব। আরাফের হাসি দেখে মৌনি আর কিছু জিজ্ঞেস করলো না। বারান্দায় রাখা চেয়ারের উপর এসে বসলো। বাড়িতে এখনো অনেক হৈ-চৈ। বিয়ে বাড়ির আমেজ ছড়িয়ে আছে।

মৌনিকে বসতে দেখে আরাফ ও পাশে এসে বসলো। মৌনির সাথে কথা বলতে অনেক ভালোলাগে। মেয়েটা অকপটে কথা বলে দেয় আর প্রখর আত্মমর্যাদা বোধ সম্পন্ন। শব্দের উচ্চারণ শুনলে বারবার শুনতে ইচ্ছে করে। মৌনি কথা বলছে আর মুগ্ধ হয়ে শুনছে আরাফ।

১৯.
মিশু বললো, ‘আপনার পাশে দাঁড়ালে আমার নিজেকে বনমানুষ বনমানুষ লাগে।’
মেঘালয় ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললো, ‘কি?’
– ‘আপনার যা হাইট, আমার সাথে দাঁড়ালে মনেহয় বিদ্যুতের খুঁটির নিচে বনমানুষ দাঁড়িয়ে’

মেঘালয় হেসে বললো, ‘এটা তোমার কাছে ব্যবধান?’
– ‘হ্যা। আজকে তো দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে চাইছেন না, দুদিন পর একবার হলেও মন খারাপ হবে। মনেমনে ভাব্বেন আমার বউটা কেন লম্বা হলোনা? আপনার ফ্যামিলির লোকজন বলবে মেঘালয়ের বউটা খাঁটো।’

মেঘালয় মিশুর মুখটা ধরে সোজা করিয়ে দিয়ে বললো, ‘তুমি নেহা কাক্করের গল্পটা শোনোনি?’
– ‘আমি নেহা নই।’
– ‘হ্যা তুমি নেহা নও, কিন্তু তুমি মিশু।’
– ‘মিশু তেমন কোনো পরিচয় নয়। আমি মিশুর একটা পরিচয় চাই।’
– ‘কিরকম পরিচয়?’

মিশু বললো, ‘একটা নিজস্ব পরিচয়। একটা মেয়ে বিয়ের আগে বাবার পরিচয়ে বড় হয়, বিয়ের পরে স্বামীর পরিচয়ে থাকে। সবাই মেয়েদেরকে জিজ্ঞেস করে, তুমি কার মেয়ে কিংবা তুমি কার বউ? কিন্তু আমি চাই আমার নিজের একটা পরিচয় থাকুক।’

মেঘালয় মুগ্ধ হয়ে বললো, ‘তোমার ধারণাকে সম্মান জানাই।’
– ‘আর আমার যতদিন না একটা পরিচয় হচ্ছে, ততদিন আমি আপনার ঘরে বউ হয়ে যাবোনা।’
– ‘বেশ। যেওনা, কিন্তু ডিভোর্স নামক অভিশাপটা প্লিজ মুখে এনো না। আমি নাহয় অপেক্ষা করি?’

মিশু এক পলক মেঘালয়ের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘অপেক্ষা করবেন? আপনার ভালোবাসা কতদিন থাকবে? অপেক্ষা করতে করতে দুদিন পর ঠিকই ভূলে যাবেন।’
– ‘সেই পরীক্ষাটা দেয়ার সুযোগটা দেবে?’
– ‘কি করতে চাচ্ছেন আপনি?’
– ‘তুমি যা চাইবে তাই হবে। কিন্তু ভূলেও ছেড়ে দেয়ার কথা ভেবোনা। আর বাসায় ম্যানেজ করার দায়িত্ব আমার।’

মিশু চুপ করে রইলো। মেঘালয় দুষ্টমি হাসি হেসে আরেকবার মিশুকে বুকে জাপটে ধরলো। ছেলেটার শরীরে কেমন যেন একটা মিষ্টি সুগন্ধ! মিশু একবার মেঘালয়ের বুকে হাত বুলিয়ে দিয়ে বললো, ‘আচ্ছা আপনার বডিটা এত আকর্ষণীয় কেন?’
– ‘আমি রেগুলার জিমে যাই। সেজন্য।’
– ‘রেগুলার? আমি যদি রেগুলার জিমে যাই তাহলে আমার ফিগারটাও আকর্ষণীয় হবে?’

মেঘালয় মুচকি হেসে বললো, ‘অবশ্যই হবে।’
– ‘তখন আপনার পাশে আমাকে মানাবে।’

মেঘালয় দুষ্টুমি করে বললো, ‘তুমি স্টার জলসার সিরিয়াল দেখেছো কখনো?’

মিশু মাথাটা দুদিকে নাড়িয়ে বললো, ‘না তো। কেন?’

মেঘালয় বললো, ‘মৌনির কাছে শুনেছি স্টার জলসায় এক ধরণের সিরিয়াল হয়। যেখানে গ্রামের হাবাগোবা মেয়ের সাথে শহরের হ্যান্ডসাম ছেলেদের বিয়ে হয়। বিয়েটা হুট করেই হয়, একদম আমাদের মত। আমাদের বিয়ের সময় নিজেকে সিরিয়ালের নায়ক মনেহচ্ছিলো।’

মিশু মাথাটা তুলে সোজা হয়ে বসলো। তারপর বললো, ‘বুঝলাম। তারপর কি হয়?’
মেঘালয় মুখ টিপে হেসে বলল, ‘কোনো কোনো সিরিয়ালে নায়ক তার হাবাগোবা স্ত্রীকে কাজের মেয়ে সাজিয়ে বাসায় নিয়ে তোলে।’

মিশু ক্ষেপে গিয়ে বলল, ‘কি বললেন? আমাকে এখন কাজের মেয়ে বানানোর ইচ্ছা হচ্ছে আপনার?’
– ‘আহা রেগে যাও কেন? শোনোনা। কোনো সিরিয়ালে বিয়ের পর বাসায় নিয়ে গিয়ে তোলে কিন্তু কেউ মেনে নেয়না। এরপর নায়িকা একেবারে স্মার্ট স্টাইলিশ, আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। তারপর.. ‘

মিশু রেগে বললো, ‘আমাকে নিয়ে মজা করা হচ্ছে? খুব মজা তাইনা?’
– ‘হ্যা। সিরিয়ালে কি হয় জানো?’

মিশু আরো রেগে বললো, ‘সিরিয়ালে কি হয় আমার জানার দরকার নেই। সিস্টেমে আমাকে ইনসাল্ট করছে আবার বলে কিনা স্ত্রীর মর্যাদা দেবে। রাখুন আপনার ডায়ালগ। সরে বসুন।’

মেঘালয়ের হাসি পেলো মিশুর কথা শুনে। মিশু কিছুটা সরে বসলে মেঘালয়ের গায়ের উপর থেকে কম্বল সরে গেলো। মেঘালয় কম্বল টেনে নিজের গায়ের উপর নিয়ে বললো, ‘একদম টানাটানি করবে না। যে একটা পুঁচকে মেয়ে আর গায়ে কত জোর ‘

মিশু আবারো কম্বলটা টেনে নিজের গায়ে দিলো। মেঘালয় এবার একটানে কম্বল সহ মিশুকে একসাথে টেনে নিয়ে নিজের কোলের উপর বসিয়ে নিলো। মিশু কিছু বুঝে উঠতেই পারছিলো না। মেঘালয় ওকে কোলে বসিয়ে কম্বলটা দুজনের গায়ে জড়িয়ে নিলো। মিশুকে দুহাতে এমনভাবে ধরে রাখলো যে মিশুর নড়াচড়ার ও শক্তি রইলো না। মিশু মুখটা কাচুমাচু করে বললো, ‘আপনার শরীরে এত শক্তি কেন?’
– ‘শক্তির তো এখনো কিছুই দেখাইনি।’

বলেই ঠোঁট বাঁকা করে হাসলো। মিশু একটু নড়াচড়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলো। মেঘালয় বললো, ‘একদম নড়াচড়া করবে না বলে দিচ্ছি। ছোট বাচ্চা, ছোট বাচ্চার মত থাকো।’
– ‘কোন এঙ্গেল থেকে আমাকে আপনার ছোট বাচ্চা মনেহয়? আমি খাঁটো বলে?’
– ‘তোমার সবকিছুর সাইজ ই ছোট বাচ্চার মতন। যেই এঙ্গেল থেকেই তাকাই না কেন ভূলেও মেয়েমানুষ মনেহয়না।’
মিশু রেগে বললো, ‘ছাড়ুন আমাকে। ছেড়ে দিন।’
– ‘ইস আস্তে চিল্লাও পিচ্চি। বাবা মা ভাব্বে কি?’

মিশু চোখ পাঁকিয়ে মেঘালয়ের দিকে তাকালো। মেঘালয় ঠোঁট টিপে হাসছে। হাসিটাই মাথা এলোমেলো করার জন্য যথেষ্ট। মিশু আর কিছু বলতে পারলো না। নিজেও হেসে ফেললো। মেঘালয়ের মুখে সবসময় প্রসন্ন হাসি লেগেই থাকে। ঠোঁট দুটো গোলাপের পাপড়ির ন্যায় গোলাপি আভা যুক্ত। মিশু অনেক্ষণ ওর দিকে মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থেকে আঙুল দিয়ে মেঘালয়ের ঠোঁট স্পর্শ করে বললো, ‘আপনার ঠোঁট দুটো অনেক পিংকি পিংকি। আপনি সিগারেট খাননা কেন?’
– ‘আমার ঠোঁট দুটো শুধুই আমার মিষ্টি বউটার জন্য। সিগারেটের কি অত বড় শক্তি আছে যে আমার ঠোঁটের ভার্জিনিটি কেড়ে নেবে?’

মিশু লজ্জায় মাথাটা নামিয়ে ফেললো। মেঘালয়ের হাসি আর ওর চোখের দিকে তাকালেই সমস্তকিছু এলোমেলো হয়ে যায় ওর। একটু আগেই কত জোর গলায় কতকিছু বললো। অথচ এখন ইচ্ছে করছে এই ছেলেটাকে আজীবন ধরে রাখতে। এ কোন যন্ত্রণায় পড়া গেলো রে বাবাহ!

মিশু যখন আনমনা হয়ে এসব ভাবছিলো, মেঘালয় খুব কাছ থেকে তাকিয়ে ছিলো মিশুর দিকে। মিশুর ত্বক অনেক মসৃণ আর লাবণ্যময়। ন্যাচারাল একটা জিনিস মিশে আছে ওর চেহারায়। শহরের মেয়েগুলোকে দেখতে দেখতে অরিজিনাল চামড়া কেমন হয় সেটা ভূলেই গিয়েছিলো মেঘালয়। মেয়েদেরকে দেখলেই বোঝা যায় গালে বিবি ক্রিমের স্তর পড়েছে। এত ন্যাচারাল স্কিন দেখে ভালো লাগছে মেঘালয়ের। ইচ্ছে করছে ছুঁয়ে দিতে। ইচ্ছে করলেই ছুঁয়ে দেয়া যায় কিন্তু দিচ্ছিনা ব্যাপারটার মাঝেও একটা মজা আছে।

মেঘালয় মুগ্ধ হয়ে মিশুর চোখের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের পাপড়ি গুলো অনেক দীর্ঘ আর ঘন। একটু পরপর যখন চোখের পলক পড়ে,দেখতে অদ্ভুত সুন্দর লাগে তখন।

মিশুর কথায় চমকে উঠলো মেঘালয়। মিশু বললো, ‘এভাবে কি দেখছেন?’
– ‘তুমি চুলের যত্ন করোনা কেন?’

মিশু মুখটা অভিমানীর মত ফুলিয়ে বললো, ‘আমি একটু অগোছালো। তবে আপনার কোনো হেল্প লাগবে না, আমাকে চেঞ্জ করার জন্য আমি একাই যথেষ্ট।’
মেঘালয় হেসে বললো, ‘তুমি সত্যিই একটা বাচ্চা বুঝলে। বাচ্চাদের মত আচরণ করো, বাচ্চাদের মত কথা বলো।’
– ‘হ্যা আমি বাচ্চা। এখন ছাড়ুন তো শুয়ে পড়বো। ঘুম পাচ্ছে অনেক।’

মেঘালয় মিশুকে নিয়েই শুয়ে পড়লো। কম্বলটা টেনে নিলো মাথার উপর। কম্বলের ভেতর চোখ মেলে মিশু দেখলো ঘুটঘুটে অন্ধকার। ও অনেক চেষ্টা করলো মাথা বের করার কিন্তু কিছুতেই পারলো না। মেঘালয় শক্ত করে ধরে রইলো ওকে। মিশুর কাঁধে মুখ গুঁজে দিয়ে জড়িয়ে ধরে রইলো ওকে। মেঘালয়ের দুই পায়ের ফাঁকে পা রেখে গুটিশুটি মেরে রইলো মিশু। মেঘের গরম নিশ্বাস পড়ছে ঘাড়ে, কেমন কেমন যেন লাগছে। ক্রমশই ধুকধুকানি বেড়ে যেতে লাগলো মিশুর।

মেঘালয় তীব্র মাত্রার রোমান্টিক একটা ছেলে, সমস্ত কল্পনা জমিয়ে রেখেছিলো একমাত্র বউয়ের জন্য। ভাবনাগুলো প্রয়োগ না করে বসে থাকবে কেন? মিশুর গালের সাথে নিজের গাল ঘষে দিচ্ছিলো। দাড়ির মৃদু খোঁচায় মিশুর তখন পাগল হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা। ছেলেটা এত দুষ্টু কেন বুঝতে পারেনা মিশু। একটু নড়ার চেষ্টা করতেই মেঘালয় বললো, ‘নড়াচড়া বিহীন থাকা যায়না?’
– ‘উহু। আমার কেমন কেমন যেন লাগছে।’
– ‘লাগুক। একদম চুপ করে থাকো।’
– ‘আমি অসুস্থ।’

মেঘালয় আর দুষ্টুমি করলো না। মিশুকে বুকে নিয়ে বাচ্চাদের মত আগলে রেখে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করলো। এরকম করে কেউ কখনো আগলে রাখেনি ওকে। আবেশে ঘুম এসে যাচ্ছে। মেঘালয় আস্তে আস্তে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিলো। চোখ বুজতেই ঘুমিয়ে পড়লো মিশু। কিন্তু মেঘালয়ের চোখে ঘুম নেই। এই প্রথম কোনো মেয়ের সাথে ঘুমিয়েছে ও, তাও আবার নিজের স্ত্রী। যাকে বিয়ের করার এক ঘন্টা আগেও জানতো না মেয়েটা তার স্ত্রী হবে। খুব অস্থিরতা কাজ করছে ভেতরে।

বাসায় কিভাবে কথা বলে রাজী করতে হবে ভাবতে ভাবতে অনেক রাত হয়ে গেলো। মিশুর জ্বর এখনো আছে। দুশ্চিন্তা হচ্ছে মেঘালয়ের। বুকে জড়িয়ে ধরে চুপ করে রইলো। মিশু অনেক আরামে ঘুমাচ্ছে,কোনো নড়াচড়া নেই। মেয়েটাকে ভরসা দিতে পেরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো মেঘালয়।

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here