প্রতিশোধ পর্ব_১৯
💘
#লেখিকা_সুপ্রিয়া_নস্কর
আয়ুসী পিছনে ফিরে দেখে কুনাল।তার একেবারে সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।আয়ুসীর সারা শরীর রাগে কাঁপতে থাকে।যার জন্য আয়ান এত খারাপ ব্যবহার করছে আজ সে তার সামনে দাঁড়িয়ে।আজ আয়ুসী ঠিক করে নেয় সে জানবেই কেন কুনাল সেদিন ওসব কথা বলেছিল।
আপনি?কী ব্যাপার।-আয়ুসী
আয়ুসী আপনি কী ভাবলেন?-কুনাল
কী ভাবব-আয়ুসী
সেদিন গ্যাংটকে যা বলেছিলাম।আর তো আপনার সাথে দেখা হয়নি তাই—-কুনাল
আপনার কী মাথা খারাপ আচ্ছে-আয়ুসী
আমি যা বলছি তা মন থেকেই বলেছি।আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি।-কুনাল
এই আপনি কে বলুন তো।আমার তো আপনার উপর সন্দেহ হচ্ছে।আচ্ছা সেদিন রাতে ওই লোকগুলো আপনার ছিল না তো?-আয়ুসী
কুনাল থতমত খেয়ে যায়।
ক্কী,কী সব বলছ।আ-আমি আপনাকে সেদিন ওদের থেকে বাঁচালাম।আর তুমি—-কুনাল
বাঁচালেন কিন্তু একটা কথা ওরা যেভাবে মার খাচ্ছিল তাতে মনে হয়েছে ওরা ইচ্ছা করে মার খাচ্ছে-আয়ুসী
কুনাল মুখে ভয়ের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
দেখুন,উল্টোপাল্টা একদম বলবেন না-কুনাল
উল্টোপাল্টা!এই কথা আমি আপনাকে আগেও বলেছিলাম।আমার একটু অন্যরকম লেগেছিল।আর এখন আরো ভালো বুঝতে পারছি আপনার সব আগে থেকেই প্ল্যান।-আয়ুসী
কুনাল কিছু বলে না।হঠাৎ আয়ুসীর হাতটা ধরে বলে-আমি আপনাকে খুব ভালোবাসি।
আয়ুসী হাত ছাড়ানোর চেষ্টা করে।আর বলে-কী করছেন।হাতটা ছাড়ুন।আপনি ঠিক করছেন না।আমি চেঁচাব।-আয়ুসী
ন,হাত ছাড়ব না।আমি জানি—-কুনাল
কুনালের কথা শেষ হতে দেয় না।
ঠাস
সশব্দে আয়ুসী কুনালের গালের উপর হাত রাখে।আর সেই হাত রাখাতে আশেপাশের সবাই ওদের দিকে তাকিয়ে থাকে।কুনাল ভাবতে পারেনি আয়ুসী এমন করতে পারে।শান্ত দেখতে মেয়েটির পক্ষে এও সম্ভব তা ধারণার বাইরে।
আয়ুসী অনেকক্ষণ সহ্য করেছে।আর অনেকদিন ধরেই করছে।তা হল আয়ানের ব্যবহার।যা কুনালের জন্য হয়েছে।তাই আয়ুসী আর নিজেকে সামলাতে পারেনি।
কী চাই আপনার।কী চাই।-আয়ুসী চীৎকার করে বলতে থাকে।
আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে।
কী হয়েছে দিদিভাই।আপনি কী চেনেন না।—-
আয়ুসী চীৎকার করে বলে-না,চিনি না।
এদিকে লোকজন দেখে কুনাল ভয় পেয়ে যায়।
ওদের মধ্যে থেকে একজন বলে-বুঝতে পারছেন না।এই সব ছেলেরা তো মেয়ে দেখলেই ডিসটার্ব করে।
একটি লোক কুনালের দিকে এগিয়ে এসে বলে-কী দাদা,দেখতে তো ভদ্র কিন্তু কী করেছেন এসব।
আরে অতো ভাবে কথা বলছেন কেন?দু চার ঘা দিন না।তাহলে বুঝবে ঠ্যালা।-একজন বলে
এদিকে সবাই বলে ঠিক ঠিক।
তাই কয়েকজন কুনালের দিকে মারতে এগিয়ে আসে।কুনাল ভয়ে পালাতে যায়।একজন তাড়াতাড়ি করে কুনালের হাত ধরে বলে-এই পালাচ্ছে,পালাচ্ছে
কুনাল লোকটাকে ঠেলে ফেলে দিয়ে ছুটতে শুরু করে।আর সামনেই একটি বাস দাঁড়িয়ে আছে তা দেখে কুনাল তাড়াহুড়ো করে উঠে পরে।
এতো কাণ্ড একজন কিন্তু গাড়ির ভিতর বসে বসে দেখতে থাকে।সে হল আয়ান।আয়ুসী বার হবার সঙ্গে সঙ্গে আয়ানের ফোনে ফোন আসে।
কিছুক্ষণ আগে আয়ানের অফিসে
হ্যালো,স্যার।এই কোম্পানিতে খুব গন্ডগোল হচ্ছে তাড়াতাড়ি চলে আসুন—-
কী হয়েছে?আপনি কে বলছেন?-আয়ান
এদিকে ফোন কেটে দিয়েছে।
হ্যালো,হ্যালো কে বলছেন-আয়ান
আয়ান তাড়াতাড়ি করে বেড়িয়ে পরে।গাড়িতে উঠে কিছুটা যাওয়ার পর আয়ান ধ্রুবকে ফোন করে।কারন ধ্রুব ওই কোম্পানিতে থাকে।ধ্রুবকে ফোন করে জানতে পারে কিছু হয়নি।ধ্রুব বলে হয়তো কেউ বদমায়সি করে করেছে।আয়ান সেই নম্বরে ফোন করলে ফোন বন্ধ।আয়ান তাও কোম্পানিতে যাবে ঠিক করে।এদিকে কোম্পানির কাছাকাছা আসতেই আয়ুসীকে দেখতে পায়।সাথে কুনাল।আয়ান গাড়ি দাঁড় করায়।আর দেখতে থাকে।
আয়ান সব দেখছে।আয়ুসীর চড় মারা থেকে আয়ানের পালানো।হয়তো সে শুনতে পায়নি।কিন্তু বুঝতে সবই পেরেছে।বুঝতে পেরেছে আয়ুসীই ঠিক।এতোদিন ধরে সে সত্যি কথা বলছিল।আয়ান আয়ুসীকে দেখতে থাকে।কিন্তু দেখতে পায়না।এদিকে আয়ুসীর খুব কষ্ট হতে থাকে।মন মেজাজ সব খারাপ হয়ে যায়।তাই সে আর কোথাও যায় না।একবারে অটো ধরে নিলয়ের কাছে যায়।মনটাকে একটু শান্ত করতে।
আয়ান আয়ুসীকে দেখতে না পেয়ে চিন্তা করতে থাকে।হঠাৎ মনে পড়ে যে আয়ুসী নিলয়ের কাছে যাবে বলেছিল।তাই সেও ওইদিকেই রওনা হয়।
আয়ুসী বাড়িতে যায়।নিলয় দেখে আয়ুসী জড়িয়ে ধরে।
কী রে ভাইয়ের কথা মনে পড়ল।-নিলয়
নিলয়ে জন্য আয়ুসীর কষ্ট হয়।তাও মুখে হাসি এনে মনে-তোর তো দিদির কথা মনেই নেই।তাই তো যাস না।আর ফোনও করিস না।আমি তো তবু করি।
নিলয় হেসে বলে-আমার কথা আমাকেই ফেরত।ভালো ভালো।
দিদিভাই মিলে গল্প করতে থাকে।
আয়ুসী নিলয়কে দেখে নিলয় হাসিমুখে কথা বললেও মাঝে মাঝে যেন নিজের মধ্যে থাকে না।
নিলয়কে পাশে বসিয়ে বলে-একটা সত্যি কথা বলবি।
কী রে দিদি-নিলয়
তোর কী হয়েছে?-আয়ুসী
আমার আবার কী হবে।-এই বলে নিলয় নীচের দিকে চেয়ে থাকে।
কী হয়েছে আমাকে বল।আমি বুঝতে পারছি কিছু তো হয়েছে।আমার চোখকে তুই ফাঁকি দিতে পারবি না।বল কী হয়েছে-আয়ুসী
নিলয় আয়ুসীকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলে।আয়ুসী ভয় পেয়ে যায়।
কী হয়েছে কাঁদছিস কেন?-আয়ুসী
নিলয় চোখ মুছে বলে-জানিস দিদি আমি যে ইন্টারভিউগুলো দিয়েছিলাম সবগুলোতে ফেল হয়ে গেছি।আমার একটাও চাকরি হয়নি।
আয়ুসীর মনে পরে যায় নিলয় চাকরির চেষ্টা করছিল।
প্রথমবারে ইন্টারভিউতে বলে তোমার মত ভালো ছেলের চাকরি হবেই আর দ্বিতীয় ইন্টারভিউতে বলে আর একটু ভালো হতে হবে-এই বলে নিলয় কেঁদে ফেলে।
ভাইয়ের এই অবস্থা দেখে আয়ুসীর চোখেও জল এসে পরে।ভাইকে শান্ত করতে থাকে।
এবার হয়নি পরে হবে।তাছাড়া আমি আছি তো।-আয়ুসী
না,দিদি আমি নিজে কিছু করব।-নিলয়
ঠিক আছে বাবা।ঠিক আছে।আচ্ছা তোকে আমি কয়েকদিন আগে ফোন করেছিলাম তুই তো কিছু বলিস নি।আর তুই বলেছিলিস তুই কী একটা কাজ করছিস।-আয়ুসী
মানে,আমি সকাল বিকালে টিউশানি করি।-নিলয়
কী,এতে তোর হয়ে যায়।আমি যখন তোকে টাকার কথা বলতাম তখন তুই বারণ করতিস।-আয়ুসী রেগে গিয়ে বলে।
এই দিদি তুই রাগ করছিস কেন।আমি তো একা আমার এতেই হয়ে যায়।-এই বলে নিলয় আয়ুসীর গলা জড়িয়ে ধরে।
কীরে,আজ কী রান্না করলি।-আয়ুসী
নিলয় চুপ করে থাকে।
আয়ুসী বুঝতে পারে।বলে-আজ আমি তোর এখানেই খেয়ে যাব।তাই কিছু রান্না করতে হবে।ঘরে কিছু আছে।
নিলয়-আছে।কিন্তু আমার একার জন্য রান্না করতে ভালো লাগে না।তাই ওই সকালে আলু সেদ্ধ—-
ভাইয়ের কথাতে আয়ুসীর বুক ফেটে যায়।তাও কাঁদতে পারে না।
আচ্ছা,ঠিক আছে।এখন বল কী খাবি?-আয়ুসী
তুই যা বানাবি?-নিলয়
আয়ুসী কিছুক্ষণ ভেবে বলে-ভাত আর গরম গরম মাংস।কী বলিস।
নিলয় অনন্দে বলে-ঠিক আছে।আমি এখনই নিয়ে আসছি।
আয়ুসী-দাঁড়া আমি টাকা দিচ্ছি।
আয়ুসী ব্যাগ থেকে টাকা বার করতে থাকে।
নিলয়-আজ আমি বাজার করব আর তুই রান্না করবি।
নিলয় বেড়িয়ে চলে যায়।আয়ুসী ব্যাগের দিকে চেয়ে দেখে ব্যাগে তার টাকা আছে ঠিকই।কিন্তু খুব বেশি নয়।নিলয়কে দেওয়ার মতো ছিল।আয়ুসী ভাবতে থাকে সে আয়ানের ওখানে কাজ করে কিন্তু আয়ান কিছুই দেয় না।আর আয়ুসীও চায়নি।নিলয়কে টাকা দেওয়ার কথা বলত ঠিকই।কিন্তু তা আয়ুসীর জমানো টাকা থেকে।যা কিছু ব্যাংকে আছে।আয়ুসী ঠিক করে আয়ানের থেকে সে তার পারিশ্রমিক চাইবে।
আয়ুসী ব্যাগ রেখে দিয়ে বাইরের দরজা লাগিয়ে কিচেনে যায়।কিন্তু নিলয়ের কিছু কথা তাকে ভাবায়।
“প্রথমবার ইন্টারভিউতে বলে তোমার মত ভালো ছেলের চাকরি হবেই আর দ্বিতীয় বার ইন্টারভিউতে বলে আর একটু ভালো হতে হবে”
আয়ুসী হঠাৎ আয়ানের কথা মনে পরে যায়।কারন এতোদিন আয়ান যে খারাপ ব্যবহার করেছে তাতে আয়ানের উপর সন্দেহ হয়।আয়ুসী ভাবে প্রতিশোধের আগুনে এখন তো অন্ধ হয়ে গেছে।আয়ানই হয়তো করছে।—-।তাই হয়তো নিলয়কেও—-
আয়ুসী কেঁদে ফেলে।এদিকে কলিং বেল বেজে যায়।আয়ুসী চোখ মুখ মুছে নেয় নিলয় দেখতে পেলে কী ভাববে।দরজা খুলতেই আয়ুসী অবাক হয়ে যায়।নিলয় সাথে আয়ান।
এ দিদি,আয়ান দা আসবে তুই বলিস নি তো।-নিলয়
আয়ুসী আয়ানের দিকে তাকিয়ে থাকে।আয়ান যে এখানে আসতে পারে আয়ুসীর বিশ্বাস হয় না।
এই,দিদি-নিলয়
আয়ুসীর হুঁশ ফেরে।কিন্তু কী বলবে বুঝতে পারে না।
এদিকে নিলয় আয়ানকে বলে-চল,আয়ান দা।আজ আমরা অনেক মজা করব।সবাই একসাথে।
আয়ুসী মাথা নীচু করে সরে দাঁড়ায়।আয়ান আয়ুসীর দিকে একবার তাকায়।এদিকে নিলয় আয়ানকে হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে।আর যাওয়ার সময় একটা ব্যাগ ধরিয়ে বলে-এ দিদি,ধর।তাড়াতাড়ি রান্না কর।আমরা ওয়েট করছি।
আয়ুসীও আর দাঁড়ায় না।চলে যায়।এদিকে আয়ান ঘরে আসে।ঘরের চারিদিকে চোখ বোলাতে থাকে।ঘরে জিনিসপত্র বেশি নেই।কিন্তু খুব সুন্দর করে ঘরটা গোছানো।
তুমি কী এখানে থাক?-আয়ান
না,না আমি পাশের ঘরে থাকি।এটা তো দিদির ঘর।-নিলয়
আর ঘরটা গোছানো—-আয়ান
ওটা দিদিই করে গেছিল।আমি শুধু এসে ধুলো ঝেড়ে দি।কিন্তু কোনো জিনিস সরাই না।ও যেখানে যেটা রেখেছে সেটা সেখানেই আছে।-নিলয়
এদিকে নিলয়ের একটা বন্ধু ফোন করলে নিলয় চলে যায়।আর আয়ানের চোখ আটকে পরে একটা জিনিসে।আয়ান উঠে গিয়ে দেখে এ তো তার দেওয়া টেডিটা।যেটা আয়ান আয়ুসীকে দিয়েছিল।এদিকে নিলয় আসতেই আয়ান টেডিটা রেখে দেয়।
আয়ুসী রান্না করতে থাকে।আর ভাবতে থাকে আয়ান কেন এল।আয়ুসী ভাবে আমি ফিরব না।এই ভেবে উনি নিতে এসেছেন।এতো অবিশ্বাস!আয়ুসী একবারের জন্য আয়ানের সামনে যায় না।
আয়ুসীর রান্নাও হয়ে যায়।নিলয়কে ডাকে।আয়ান আর নিলয় খেতে বসে।আয়ান খাবে না।কিন্তু নিলয় ছাড়ে না।আয়ুসী দুজনকে পরিবেশন করে।আয়ান মাঝে মাঝে আয়ুসীর দিকে তাকায়।
নিলয় এদিকে আয়ুসীকে বলে-তুইও বসে পর।একসাথে খাব।
আয়ুসী না করে না।নিলয় কিছু বুঝতে পারবে এই ভেবে বসে পরে।
খাওদাওয়া সেরে আয়ান আয়ুসী বেড়িয়ে পরে।আয়ুসী বারবার নিলয়কে সাবধানে থাকতে বলে।
কিছুটা রাস্তা যাওয়ার পর আয়ুসী-গাড়ি থামান।আমি একাই যেতে পারব।
আয়ান গাড়ি থামায় না আর কিছু বলেও না।
বাড়ি পৌঁছালে আয়ুসী আগে গাড়ি থেকে নেমে গিয়ে ঢুকে পরে।আয়ান আসতেই বলে-আপনি কেন ওখানে গিয়েছিলেন?
আয়ান শান্ত স্বরে বলে-কেন যেতে পারি না।
না,যেতে পারেন না।-আয়ুসী
কেন যেতে পারি না?-আয়ান
আপনার মতো লোকদের ওখানে যাওয়া মানায় না।-আয়ুসী
আয়ান একটু রেগে যায়-আমার মতো।কী বলতে চাইছ তুমি?
এখন তো কিছুই বুঝবেন না।আপনার সাথে কথা বলতে আমার ইচ্ছা করছে না।-আয়ুসী
আয়ান রেগে গিয়ে বলে-আয়ুসী
আয়ুসী আয়ানের সামনে এসে বলে-আপনাকে এতোটা খারাপ আমি ভাবিনি।আপনি আমার ভাইটাকেও ছাড়লেন না।
আয়ান কিছু বুঝতে পারে না।
কী সব বলছ তোমার ভাই এল কোথা থেকে।-আয়ান
আর কত মিথ্যা বলবেন।আমাকে তো খুব বলতেন আমি মিথ্যা বলি।আর আপনি—-আয়ুসী
আয়ান আরো রেগে যায়-কী বলছ আমি মিথ্যা কথা বলছি।
হ্যাঁ,হ্যাঁ আপনি মিথ্যা কথা বলছেন।আপনি খুব খারাপ।আপনি এতো খারাপ যা ধারনার বাইরে।-আয়ুসী
আয়ান এসে আয়ুসীর কাঁধটা শক্ত করে ধরে বলে-হ্যাঁ,হ্যাঁ আমি খারাপ।আরো খারাপ হব।
এই বলে আয়ুসীকে ছেড়ে রুমের দিকে চলে যাচ্ছে।পিছন থেকে আয়ুসী বলে-আমি এতোদিন আপনার অফিসে যা কাজ করেছি তার মাইনে আমার চাই।
আয়ুসীর কথায় আয়ান পিছন ফিরে তাকায়।আবার ঘুরে আসে।আয়ুসীর কাছে এসে বলে-মাইনে!হুম এক পয়সাও দেব না।আমি তো খারাপ।দেখাব আরো কত খারাপ হতে পারি।শুধু দেখতে থাক।
আয়ান চলে যায়।আয়ুসী বসে পরে সোফার উপর।সামনে সব অস্পষ্ট হয়ে যায়।
রাত হয়ে গেলেও আয়ুসী রুমে যায় না।নানা চিন্তা করতে থাকে।শেষে আয়ুসী ঠিক করে নেয় আর এখানে নয়।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এখান থেকে চলে যাবে।কিন্তু তার আগে তার বাবাকে নির্দোষ প্রমাণ করবে।
আয়ুসী ভাবতে থাকে কী করে।তার সামনে ধ্রুবর মুখটা ভেসে ওঠে।আয়ুসী ঠিক করে কালই সে ধ্রুবকে সব বলবে।তাতে ধ্রুব তাকে যাই ভাবুক।কারন আয়ুসী ভেবে দেখেছে ধ্রুব ছাড়া আর কেউ তার সাহায্য করতে পারে না।
অন্যদিকে
কী চড় খেয়ে এসেছিস।আবার বড় মুখ করে বলছিস।—-
আসলে—-
তোতলাচ্ছিস কেন?—-
আসলে আমি তো এসবে—-
ওরে বাবা এতো খুব ভালো ছেলে—-এই বলে ছেলেটিকে মারতে থাকে।
পাশে থাকা কিছু লোক যে মারছে তাকে আটকানোর চেষ্টা করে।
স্যার,ওকে ছেড়ে দিন।এবার যা করব আমরা করব—-
মারতে থাকা লোকটি ছেলেটিকে বলে-চোখের সামনে থেকে দূর হয়ে যা।
ছেলেটি চলে যায়।আর লোকটি রাগে ফুঁসতে থাকে।
চলবে—-