প্রতিশোধ পর্ব_২২

প্রতিশোধ পর্ব_২২
💘

#লেখিকা_সুপ্রিয়া_নস্কর

আয়ান সেদিন জেল থেকে ছাড়া পেয়ে আয়ুসীকে খুঁজেছিল।পায়নি তার আয়ুসীকে।তন্নতন্ন করে সারা শহর ঘুরেছিল।কিন্তু আয়ুসীর দেখা মেলেনি।নিলয়কে খুঁজে পায়নি।পুলিশের সাহায্যও নিয়েছিল।কিন্তু যে ইচ্ছা করে হারিয়ে যায় তাকে কী খুঁজে পাওয়া যায়।আয়ানও পায়নি তার আয়ুসীকে।

কেটে গেছে ছয় মাস।সময় এগিয়ে গেছে।কিন্তু পিছিয়ে রয়েছে আয়ান।যে জায়গায় আয়ুসী তাকে ছেড়ে গিয়েছিল সেই জায়গা থেকে সে এগোতে পারেনি।আয়ুসীকে না পেয়ে আয়ান নিজেকে ঘর বন্দি করে ফেলেছে।যে আয়ান নেশা থেকে হাজার মাইল দূরে থাকত।এখন তার রাতে নেশা না করলে ঘুম আসে না।তাও ঘুম,সে তো নেশার কারনে।নেশা না করলে সে সারা রাত জেগে বসে থাকে।এদিকে ধ্রুবরও নাজেহাল অবস্থা।একদিকে আয়ান অন্যদিকে আয়ানের কোম্পানিকে দেখা শুনা করা।আর রাতে আয়ানের সাথে থাকা।ধ্রুব নিজেকে দায়ী ভাবে সে আয়ুসীর উপর নজর রাখলে হয়তো আয়ুসী এই ভাবে হারিয়ে যেত না।কিন্তু ধ্রুব বা জানবেই কী করে?

এদিকে বিপ্লব আঙ্কেল জেলে যাওয়ার পর শ্রেয়া কোনোদিন তার বাবার সাথে দেখা করতে যায়নি।সুষমা দেবী নিজের স্বামীর সাথে না দেখা করে থাকতে পারেন নি।কিন্তু গিয়ে যা দেখেছিলেন তা দেখে তার কষ্ট হয়েছিল।হয়তো তিনি খুনী।কিন্তু নিজেকে তিনি শেষ করে দিতে চাইছেন।ঠিক মত খাওয়া দাওয়া করেন না।আর বারবার শ্রেয়াকে দেখতে চাইছেন।

বিপ্লব আঙ্কেল শ্রেয়াকে ভীষণ ভালোবাসতেন।তাই নিজের মেয়ে যখন তার বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছিল তখন তিনি মেয়ের কাছে ছোটো হয়ে নিজের কাছে অত্যন্ত ছোটো হয়ে গেছেন।কিন্তু শ্রেয়া একবারও তার কাছে যায়নি।তাতে শ্রেয়াকে দেখার জন্য তিনি পাগলের মতো করতে থাকেন।তা দেখে সুষমা দেবী শ্রেয়ার কাছে গিয়ে বলেছিলেন।

কিন্তু শ্রেয়া শুনে-তুমি কী বলছ মা।আমি কখনও যাব না।ওনাকে আমার বাবা বলতে ঘেন্না করে।

সুষমা দেবী কী করবে বুঝতে না পেরে ধ্রুবকে ডেকেছিলেন।ধ্রুব শ্রেয়াকে বুঝিয়েছে একবার দেখা করার জন্য।

না,আমি যাব না।তুমিও এক কথা বলছ।-শ্রেয়া

আমি জানি উনি খুব বড় পাপ করেছেন।কিন্তু একবার তোমার সাথে দেখা করতে চাইছে।প্লিজ চল-ধ্রুব

শ্রেয়া ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে বলে-তুমি আমার সাথে যাবে তো?

ধ্রুব শ্রেয়ার হাত ধরে বলে-হ্যাঁ,যাব।

শ্রেয়া গিয়েছিল তার বাবার কাছে।শ্রেয়াকে দেখে তার বাবা ছুটে আসলে শ্রেয়া পিছিয়ে যায়।

আমাকে একদম ছোঁবে না।তোমার হাতে রক্ত লেগে আছে।-শ্রেয়া

শ্রেয়ার কথায় বিপ্লব বাবুর কষ্ট হয়।নিজের মেয়ের মুখের এই কথা তিনি মেনে নিতে পারেন না।

ঠিক বলেছিস মা আমি খুব খারাপ খুব খারাপ।লোভ আমার সব শেষ করে দিল।নিজের মেয়েকে আমি নিজেই দূরে করে দিলাম।জানি তুই কোনোদিন আমাকে ক্ষমা করবি না।কিন্তু আমার সাজা যে দশ বছর।এই দশ বছরে আমি বেঁচে থাকতে নাও পারি।তোর সাথে আমার আর দেখা হতে নাও পারে।তাই বলছি তুই মাঝে মাঝে আমার সাথে দেখা করতে আসবি তো?-বিপ্লব বাবু

না,না আমি আর আসব না।কখনও এখানে আসব না।-শ্রেয়া

বিপ্লব বাবু ধ্রুবর দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলে-ওকে একটু বোঝাও না।আমি ওকে দেখতে না পেলে যে থাকতে পারব না।শ্রেয়া প্লিজ তুই আমাকে ক্ষমা না করতে পারিস কিন্তু একবার দেখা দিয়ে যাস।

শ্রেয়া-তুমি সবাইকে কষ্ট দিয়েছ।আয়ানদা আর আয়ুসী বৌদির ছোটবেলা কেড়ে নিয়েছ।তোমার মত লোককে ক্ষমা করা যায় না।আর তাছাড়া আয়ুসী বৌদি আর নিলয়কে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।আমার সন্দেহ হয় তুমিই হয়তো তাদেরকে—-

শ্রেয়ার কথা শেষ করতে না দিয়ে বিপ্লব বাবু বলেন-বিশ্বাস কর আমি কিছু করিনি।তোর দিব্যি।আর আমি আর কোনোদিন কারোর ক্ষতি করব না।আমি ভুল করেছি।পাপ করেছি।

আমি কী করে বিশ্বাস করব তুমি করোনি।যদি ওদেরকে না পাই তাহলে আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়ব না।-শ্রেয়া এই বলে চলে যাচ্ছে।

তখন বিপ্লব বাবু পিছন থেকে বলেন-আমি কিচ্ছু জানি না রে শ্রেয়া।

শ্রেয়া ঘুরে বলে-বিশ্বাস আমি তোমাকে করি না।কিন্তু ওরা যদি না আসে আমি আর এখানে কখনও আসব না।তোমার সাথে কখনও দেখা করব না।

সেদিন শ্রেয়া চলে এসেছিল।আর যায়নি।ছয় মাসে আয়ুসীকেও খুঁজে পায়নি।এদিকে সুষমা দেবী শ্রেয়াকে ধ্রুবর হাতে তুলে দিতে চায়।অনেকদিন ধরে বলছেন।কিন্তু ধ্রুব আর শ্রেয়া দুজনেই নারাজ।আয়ানের এই অবস্থা আয়ুসী নেই।কী করে তারা নতুন জীবন শুরু করবে।কিন্তু সুষমা দেবীর শরীর ভালো যাচ্ছে না।তাই তিনি কল্যাণী দেবীর কাছে গিয়ে বিয়ের ডেট ঠিক করে এসেছেন।

আয়ানের অবস্থা দিনদিন খারাপের দিকে ধ্রুব কী করবে বুঝতে পারছে না।

আজ রাতে সে আয়ানের সাথেই ঘুমিয়েছিল।কিন্তু মাঝ রাতে ঘুম ভেঙ্গে যায়।দেখে আয়ান নেই।ব্যালকনিতে চোখ পড়লে দেখে আয়ান ওয়াইনের বোতল নিয়ে বসে আছে।অনেকটাই খেয়ে ফেলেছে।আর এক গ্লাস খাচ্ছে।ধ্রুব গিয়ে গ্লাসটা কেড়ে নেয়।

কী করছিস এসব?চল উঠে পড়।-ধ্রুব

ছেড়ে দে আমায়।-আয়ান নেশার ঘোরে বলে।

না,তুই ওঠ।অনেক খেয়েছিস।তোকে বললাম আজ না খেতে কিন্তু তুই।ওঠ ওঠ।-ধ্রুব

তুই তো জানিস আমার এটা ছাড়া ঘুম আসে না।তাও তুই খেতে দিস না।-এই বলে আয়ান উঠতে যায়।কিন্তু পরে যাচ্ছে তখন ধ্রুব ধরে ফেলে।

ধ্রুব আয়ানকে ধরে তুলে খাটে শুইয়ে দেয়।নিজে পাশে বসে থাকে।

আয়ানের দিকে চেয়ে থাকে আর বলে-আয়ুসী তুই কোথায়?আয়ান যে ভালো নেই।

ধ্রুবর চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরে।সে খাটে হেলান দিয়ে বসে থাকে।আস্তে আস্তে ঘুমিয়ে পরে।সকালে কলিং বেলের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়।দরজা খুলে দেখে শ্রেয়া দাঁড়িয়ে।

তুমি!-ধ্রুব

হ্যাঁ,তোমাকে বলেছিলাম আমার বান্ধবীর বিয়ে।আমার যাওয়ার ইচ্ছা নেই কিন্তু ওরা শুনছে না।কী করব বল।অনেক দূরে বাড়ি।তাই সকালে বার হতে হবে।তাই তোমাকে বলতে—-শ্রেয়া

এতো কিন্তু কিন্তু করছ কেন।যাও ঘুরে এসো।-ধ্রুব

আয়ানদা কোথায়?-শ্রেয়া

ঘুমাচ্ছে।এখন উঠবে কী করে।যা নেশা করেছে।-ধ্রুব

আচ্ছা,আয়ুসী বৌদিকে আর কী খুঁজে পাব না।-শ্রেয়া

জানিনা,কী যে হবে।-ধ্রুব

ধ্রুব দেখে শ্রেয়ার মুখ ছোটো হয়ে গেছে।কারন ধ্রুব জানে এখনও সে নিজের বাবার জন্য কাজের জন্য সবার কাছে নিজেকে দোষী মনে করে।ভাবে সবাই তাকে খারাপ ভাবে।

ধ্রুব শ্রেয়ার কাঁধে হাত রেখে বলে-কী হল।যাবে না।তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে না।

হুম-শ্রেয়া

সাবধানে যাবে।গিয়ে আমাকে ফোন করে দেবে।-ধ্রুব

হ্যাঁ,তোমরাও সাবধানে থাকবে।আর আয়ানদার খেয়াল রাখবে।-শ্রেয়া

শ্রেয়া চলে যায়।এদিকে আয়ান উঠে গেছে।

কী রে উঠলি কেন?-ধ্রুব

মাথাটা ব্যথা করছে।-আয়ান

মাথার আর কী দোষ।তুই ফ্রেশ হয়ে আয় আমি চা করে আনছি।-ধ্রুব

ধ্রুব চলে যায়।আয়ান ফ্রেশ হয়ে গিটারটা নিয়ে ব্যালকনিতে বসে।এদিকে লাভা আয়ানের কাছে গেলে আয়ান আর আদরও করে না।সে দূরেই বসে থাকে।

আয়ানের গিটারে গাইতে থাকে-

বকুলের মালা শুকাবে

রেখে দেব তার সুরভী

দিন গিয়ে রাতে লুকাবে

মুছো নাকো আমারই ছবি

আমি মিনতি করে গেলাম

তুমি চোখের আড়াল হও

কাছে কিবা দূরে রও

মনে রেখো আমিও ছিলাম

এই মন তোমাকে দিলাম

এই প্রেম তোমাকে দিলাম

এদিকে ধ্রুব শুনতে পায় আয়ান গান গাইছে।তার খুব কষ্ট হয়।সে আয়ানের কাছে যায় না।আয়ান গান গাওয়া হয়ে গেলে সে আয়ানের রুমে যায়।কিন্তু আয়ান এখন খুব কম কথা বলে।

ধ্রুব বলে-তুই একটু একা থাক।আমার একটু কাজ আছে।আমি কিছুক্ষণের মধ্যে চলে আসব।আয়ান মাথা নাড়ায়।ধ্রুব বেড়িয়ে যায়।কিন্তু কাজ করতে করতে তার বিকাল হয়ে আসে।অফিস থেকে বেরিয়েছে তখন শ্রেয়া ফোন করে।যা শুনে সে চমকে যায়।

তুমি এখনই চলে এসো।-শ্রেয়া

ঠিক আছে।-ধ্রুব

ধ্রুব আয়ানের কাছে গিয়ে সব বলে।আয়ান শুনে চোখ থেকে জল থেকে জল গড়িয়ে পরে।

সত্যি ধ্রুব?-আয়ান

শ্রেয়া তো বলল।ও দেখেছে।কিন্তু রাস্তার ওপারে থাকায় সে যেতে পারে নি।যখন যায় তখন আর দেখতে পায় না।-ধ্রুব

আয়ান-আমরা এখনই বার হব।

ধ্রুব আর আয়ান গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পরে।ঘন্টাখানেকের মধ্যে দুজনে পৌঁছে যায়।কিন্তু রাত হয়ে গেলে দুজন একটা হোটেলে ওঠে।ওদিকে শ্রেয়াও আসতে পারে না।বান্ধবীর বিয়ে।কিন্তু সকাল হতেই সে এসে পরে।এদিকে ধ্রুব আয়ান দুজনেই রাতে ঘুমায় নি।শ্রেয়া আসতেই ঘিরে ধরে।

কোথায় দেখেছিস?-আয়ান

চল,আমি দেখাচ্ছি।-শ্রেয়া

তিনজন বেড়িয়ে পরে।শ্রেয়া একটা জায়গায় দুজনকে এনে বলে-এখানে।

তুই কী দেখেছিস-আয়ান

আমি বান্ধবীদের সাথে ছিলাম।হঠাৎ ওকে দেখতে পেয়ে আমি তাড়াতাড়ি করে রাস্তা পার হতে যাব কিন্তু এতো গাড়ি আর যখন পার হলাম তখন ওকে দেখতে পেলাম না।-শ্রেয়া

তুমি ঠিক দেখেছ?-ধ্রুব

হ্যাঁ,আমি ওকে দেখেছি।-শ্রেয়া

কিন্তু কী করে খুঁজে পাব?-আয়ান

ধ্রুব এদিক ওদিক তাকাতে থাকে।হঠাৎ তার চোখে পড়ে কাছেই একটা কোম্পানি।সামনে লেখা-‘চ্যাটার্জি সন্স কোম্পানি’।

ধ্রুব শ্রেয়াকে ডেকে বলে-ও কোন দিক থেকে কোন দিকে যাচ্ছিল?

শ্রেয়া-কোম্পানিটার দিকে হাত দিয়ে বলে ওই দিক থেকে এই দিকে হেঁটে আসছিল।

ধ্রুব-আচ্ছা

এই বলে সে ঘড়ির দিকে তাকায়।ঘড়িতে ১১ টা ১৫ বাজে।

ধ্রুব বলে-আমরা বিকালে আসব।

আয়ান-বিকালে কেন?আমি এখানেই থাকব।

ধ্রুব-কিন্তু

আয়ান-প্লিজ

ধ্রুব-ঠিক আছে।কিন্তু আমরা একটু দূরে দাঁড়াব।

আয়ান-কেন?

ধ্রুব-আমার মনে হয় ও এই কোম্পানিতে কাজ করে।ও এখান থেকেই বার হবে।

আয়ান-তাহলে আমরা ভেতরে গিয়ে খোঁজ নিতে পারি তো।

ধ্রুব-না আয়ান।আমরা অপেক্ষা করব।

ধ্রুব,আয়ান আর শ্রেয়া সারাদিন দাঁড়িয়েই থাকে।বিকাল হয়ে যায়।একটু একটু সন্ধ্যা হচ্ছে তখন দেখে সত্যি শ্রেয়ার কথাই ঠিক।আয়ান ছুটে গেলে ধ্রুব হাত ধরে বলে-এখন নয়।ওর পিছু পিছু চল।

কিছুটা দূর যাওয়ার পর তারা যে রাস্তায় আসে সেখানে লোকজন কম।তখন ধ্রুব ছুটে গিয়ে কাঁধে হাত রেখে বলে-নিলয়

নিলয় চমকে ওঠে।ধ্রুবকে দেখা মাত্র বলে-ধ্রুবদা তুমি!

এদিকে আয়ান আর শ্রেয়াও আসে।

আয়ুসী কোথায় নিলয়?-আয়ান

নিলয় আয়ানের দিকে তাকিয়ে বলে-দিদি ভালো নেই,আমার দিদি ভালো নেই।

নিলয় কেঁদে ফেলে।

তোরা কেন সেদিন চলে এলি?-ধ্রুব

দিদিই তো আমাকে নিয়ে চলে এলো।-নিলয়

আমরা আয়ুসী বৌদির কাছে যাব।-শ্রেয়া

কিন্তু দিদি ও রেগে যাবে।তোমাদের দেখলে ও আমার উপর রেগে যাবে।আমি ওকে অনেকবার বলেছি ফিরে যাবার জন্য কিন্তু—-নিলয়

ওদের দেখলে না আমাকে দেখলে?-আয়ান

আয়ানের কথায় নিলয় চুপ করে নীচের দিকে তাকিয়ে থাকে।আয়ান নিলয়ের হাত ধরে বলে-প্লিজ নিলয় আমি আয়ুসীর কাছে যেতে চাই।তুমি আমাকে নিয়ে যাবে না।

নিলয় মুখ তুলে বলে-নিয়ে যাব আয়ানদা।এমনিতেই দিদি ভালো নেই।ঠিক মত খায় না সারাদিন চুপ করে বসে থাকে।আমি দিদিকে এইভাবে আর দেখতে পাচ্ছি না।আমি তোমাদেরকে নিয়ে যাব।

এই বলে সে কেঁদে ফেলে।আয়ান ওকে জড়িয়ে ধরে।নিলয় ওদেরকে সঙ্গে করে নিয়ে যায়।বাড়ির সামনে এসে নিলয় দোরবেল বাজায়।প্রথম দরজা খোলে না।সবাই মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে থাকে।আবার নিলয় দোরবেল বাজায়।আর সাথে সাথে দরজা খুলে যায়। কিন্তু সামনে এদেরকে দেখে পিছিয়ে যেতে থাকে আয়ুসী।

চলবে—-

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here