পারমিতা” পর্ব-২১

0
1680

#পারমিতা
পর্ব ২১
_নীলাভ্র জহির

পারমিতা অফিসে এসে বসলো। পুরনো সব কাজ গুছিয়ে নিলো যত দ্রুত সম্ভব। ওর আজকে ভীষণ এলোমেলো লাগছে। রোদকে ভুলে থাকার জন্য মনের ওপর জোর খাটাতে হচ্ছে। এটা কষ্টদায়ক। কেন কষ্ট পাচ্ছে সেটা বোধগম্য হচ্ছে না। পারমিতা কাজ গুছিয়ে রেখে মাহতাব স্যারের রুমে আসলো।
মাহতাব স্যার বললেন, বসুন মিস পারমিতা। কি খবর?
পারমিতা চেয়ারে বসলো। ওকে গম্ভীর ও বিষণ্ণ দেখাচ্ছে আজকে। রোদ কিছুক্ষণের মধ্যেই অফিসে আসবে। ওর সঙ্গে দেখা হলে বিষয়টা খুব বিশ্রীভাবে শেষ হবে।
পারমিতা চিন্তিত মুখে বলল, স্যার আমাকে কি এক সপ্তাহ ছুটি দেয়া সম্ভব?
– কেন সম্ভব না? আপনি চাইলে অবশ্যই সম্ভব।
– আমি চাইলে কেন? অবাক গলায় পারমিতা জানতে চায়।
স্যার বললেন, আপনি আমাদের একজন ভালো স্টাফ। তাই আপনার সুবিধা অসুবিধা আমাদের দেখতে হবে না বলুন?
– থ্যাংক ইউ স্যার। আমি কি ছুটি পাবো?
– জি পাবেন। একটা এপ্লিকেশন লিখে ম্যানেজার স্যারের রুমে দিয়ে আসুন। স্যারকে আমি ম্যানেজ করবো।
– থ্যাংক ইউ স্যার। থ্যাংক ইউ সো মাচ। আমি সব কাজ গুছিয়ে রেখেছি। রিপোর্ট গুলো আপনাকে এক্ষুনি দিয়ে যাচ্ছি স্যার। আমার প্রজেক্টে কাজ থাকলে সেটার কি হবে?
– সেটা নিয়ে চিন্তা করতে হবেনা। আপনি ছুটিতে থাকলে কাজ কিভাবে থাকবে? কাজ তখন অন্য কেউ করবে।
মাথা নিচু করে রইল পারমিতা। যদি প্রজেক্টের নির্দিষ্ট সম্মানী থেকে টাকা কেটে রাখা হয়, সেটা অনেক দুঃখজনক ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। কিন্তু কিছু করার নেই। ওর মানসিক অবস্থা ভালো না। রোদের সঙ্গে মুখোমুখি হওয়াটাকে এড়িয়ে যেতে চায় ও। তাছাড়া সামান্তা ও ওর মা বারবার করে অনুরোধ করেছেন ছুটি নিতে। টাকা কেটে নিলে নেবে। কিন্তু ছুটি নিতেই হবে ওকে।
পারমিতা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ডেস্কে চলে এলো। গত রাতে অনেক কান্নাকাটি করেছিল। তাই চোখ ফুলে আছে। কারও দিকে না তাকিয়ে কাজে মন দিলো ও।
বিকেল গড়িয়ে এলো। এখনও রোদের সঙ্গে দেখা হয়নি। আজকে হয়তো রোদ এদিকে আসবে না। রেগে আছে পারমিতার ওপর। হতে পারে পারমিতার সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখতেই চায় না ও। সেটাই দুজনের জন্য ভালো।
পারমিতা এপ্লিকেশন জমা দিয়ে এসেছে। ছুটি দিয়েছেন স্যার। তবে বলেছেন সম্ভব হলে বাসায় বসে কিছু রিপোর্ট রেগুলার রেডি করে জমা দিতে। এখন অনেকেই বাসায় বসে কাজ করেন। পারমিতা তাতে সম্মত হয়েছে। অফিস ছুটির পর বের হওয়ার সময় আশেপাশে চোখ ঘুরিয়ে আনমনে কিছু একটা খুঁজছিল ও। রোদ! একবারও দেখা হল না। যদিও পারমিতা মুখ তুলে তাকায়নি একবারও। রোদ এসে থাকলেও থাকতে পারে। কী অদ্ভুত, রোজ দুজনের দেখা হতো। অথচ আজ হলো না। কাল থেকে পারমিতা ছয়দিন অফিসে আসবে না। দেখা হবেনা দীর্ঘদিন। পারমিতা ওর ফোনও রিসিভ করবে না আর।
কোনো এক অচেনা রাগে ওর মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। সারাদিনে একবারও ফোন দেয়নি রোদ। কেন দেয়নি? ও ডিভোর্সি বলে? ওর একটা বাচ্চা আছে বলে? আজ একবারও ওর সামনেও আসেনি। গতকাল রাত থেকেই কল দেয়নি একবারও। ডিভোর্সি শোনার পর থেকে সব প্রেম হাওয়া হয়ে গেছে? হায়রে প্রেম!

প্রচণ্ড রাগে গজগজ করতে করতে পারমিতা রিকশায় উঠলো৷ খিদা লেগেছে। আজকে সকালে রান্নাও করেনি। দুপুরে অফিসের ক্যান্টিন থেকে এক পিস পাউরুটি আর চা নিয়েছিল। এখন খিদেয় পেট মোচড় দিচ্ছে। জামাকাপড় না নিয়ে সামান্তার বাসায়ও যেতে পারছে না। এত রাতে গেলে আন্টি হয়তো ফিরতেই দেবেন না।
পারমিতা সামান্তাকে কল দিলে সে জানালো প্রীতুল ও সামান্তা পারমিতার ফ্ল্যাটের কাছাকাছি চলে এসেছে। পারমিতা স্বস্তি নিয়ে বাসায় ফিরল। আর কোনো প্রেশার নেই। রোদের ওপর ভেতর থেকে রাগ উথলে উঠছে। তাই মোবাইল ফোনটা বন্ধ করে রাখল পারমিতা।
সামান্তা ও প্রীতুল চলে এসেছে। পারমিতা ছেলেকে আদর করে দিয়ে এক পিস কেক খেলো। তারপর চুলায় ভাত তুলে দিয়ে গোসল করতে ঢুকল। বেরিয়ে এসে দেখল সামান্তা তরকারি কুটে সবকিছু রেডি করে রেখেছে। এত ভালো কেন মেয়েটা!
প্রীতুল সামান্তার মোবাইলে কার্টুন দেখছে। পারমিতা বের হলে মাকে গল্প শোনাতে লাগল। সামান্তা বলল, তুই রেস্ট নে। আমি রান্না করি।।- – আরে সর। অনেক সেবা করেছিস আমার। আমাকে রান্না করতে দে আজকে।
– আজকেও সেবা করি। আর তো করতে পারবো না।
– জ্বি না ম্যাডান। আজকে আপনি আমার গেস্ট। আপনি বসুন। আমার ফ্রেশ লাগছে অনেক। আমি রান্না করি।

পারমিতা তরকারি রান্না তুলে দিলো। সামান্তা রোদের কথা জানতে চাইলে পারমিতা বলল, ওর সঙ্গে আমি সবকিছু শেষ করে দিয়েছি।
– তুই শেষ করার কে? ওনাকে সব বলেছিস?
– হ্যাঁ।
– কি বলেছে?.
– কিছু বলেনি। আমি বাসায় চলে এসেছি। কাল থেকে একবারও কল দেয়নি। আজকে সারাদিন অফিসে আমার সামনেও আসেনি।
– হয়তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে তাই আজকে অফিসে আসেনি। আসলে অবশ্যই তোর সঙ্গে দেখা করতো।
– ফোন দিতে পারতো না একবার? বাচ্চা আছে শুনেই আর আমাকে ভালো লাগবে না ওনার। এটাই বাস্তব।
সামান্তা বলল, চুপ থাক তুই। হতে পারে উনি বিষয়টা জানতে পেরে শকড। তাই নিজেকে একটু সময় দিচ্ছেন। হুটহাট তোর পিছেপিছে ছুটতে ছুটতে পারমিতা আমি তোমাকেই চাই। এগুলো বলবে? এটা বাচ্চামো হয়ে যেত। তুই চলে এসেছিস। এখন অপেক্ষা কর। সে নিশ্চয় সাড়া দেবে। যদি দেয়, তাহলে বুঝবি আসলেই সে তোর। আর যদি না দেয়, তাহলে তোর কেউ না।
– কেউ না রে। কেউ না। কেউ হলে ঠিকই ফোন দিতো।
– তুই একদমই বাচ্চাদের মতো আচরণ করবি না পারমিতা। অপেক্ষা কর। রোদ হয়তো মানসিক ভাবে অপ্রস্তুত। সে সবকিছু সামলে নেয়ার জন্য একটু সময় নিচ্ছে। তাকে সময় দে। টেনশন করিস না। অপেক্ষা কর।

পারমিতা একটা নিশ্বাস ফেলল। রোদের ওপর জমে থাকা রাগটা কিছুটা নিস্তেজ হয়েছে সামান্তার কথা শুনে। রান্না শেষ করে খেতে বসল ওরা। সামান্তা বলল, আমি মার্কেটে যাবো একটু। তুই যাবি?
– হ্যাঁ যাবো। আজ টায়ার্ড লাগছে না। চল যাই।
– তুই স্যারকে ছুটির ব্যাপারে বলেছিস?
– হুম। ছুটি দিয়েছে। এক সপ্তাহের।
– সত্যি! ওহ মাই গড! তুই এতক্ষণ বলিস নি কেন?
সামান্তা পারমিতাকে ঘুরিয়ে নাচানাচি করছে। প্রীতুল এসে সামান্তার হাত ধরে নাচতে শুরু করল। পারমিতা বলল, ভাবলাম পরে বলবো।
– তাহলে ব্যাগ গোছা। আমরা মার্কেটে কাজ শেষ করে সোজা বাসায় চলে যাই।
– আজকেই? আজকের রাতটা এখানে থাক। আমরা কালকে যাবো।
– কাল কেন?
– আজ ধীরেসুস্থে কাজ শেষ করে আয়। তারপর রাতটা এখানে ঘুমা আমার সঙ্গে। কালকে যাবো।

পারমিতাকে জড়িয়ে ধরল সামান্তা। খাওয়ার শেষ করে দুই বান্ধবী সেজেগুজে বাইরে বের হল। সঙ্গে নিলো প্রীতুলকে। একটা রিকশা নিয়ে ঘুরতে বের হল ওরা। সামান্তা টুকিটাকি জিনিস কিনবে। প্রীতুলকে কোলে নিয়ে বসে রইল পারমিতা। প্রীতুল বড় হচ্ছে। ইদানীং আর একটুও জ্বালায় না ওকে।

মার্কেট থেকে রাতে বাসায় ফিরে দুই বান্ধবী অনেক গল্পগুজব করলো। পারমিতা ফোন অন করেনি। বন্ধ থাকুক ওটা। এক সপ্তাহ অফিসে যাবে না ও। এই সুযোগে দেখে নেয়া যাবে ওর প্রতি সত্যিকার ফিলিংস কতটুকু রোদের।
শাড়ি, ছোটখাটো জিনিসপত্র, সাজগোজের জিনিস, সবকিছু ব্যাগে ভরে নিলো পারমিতা। আগামীকাল সকালে সামান্তার বাসায় গিয়ে নাস্তা করবে। আন্টিকে ফোনে বলে দিয়েছে ওরা।

সামান্তার বাসায় ইতিমধ্যেই বিয়ের ধুম লেগেছে। আত্মীয় স্বজন কেউ আসেনি। অতিথি বলতে শুধু পারমিতা ও প্রীতুল। কিন্তু সামান্তার মায়ের কাজকর্ম দেখেই বোঝা যায় তিনি কত ব্যস্ত। আনন্দ নিয়ে সব কাজ করছেন তিনি। পারমিতা ওনাকে সহায়তা করছে। সারাদিন আন্টির সঙ্গে বিভিন্ন জিনিস পরিষ্কার করা, রোদে দেয়া, গোছানো এইগুলো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে রইল। রোদের কথা মনেই পড়ল না ওর। ফোনটা একদম সুইচড অফ।
বিয়ের কানাকাটা করতে এসে নস্টালজিক হয়ে গেল পারমিতা। ওর নিজের বিয়ের কথা মনে পড়ে গেক। যদিও হুটহাট বিয়ে হয়েছে ওর। কিন্তু বিয়ের কানাকাটা হয়েছিল। রাসিফ, মা ও রাসিফের মাকে সঙ্গে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিল ওরা। পারমিতার মন খারাপ ছিল। রাসিফ বারবার বলছিল, আমার লাল টুকটুকে বউয়ের জন্য লাল বেনারসি নেবো। লাল মেহেন্দি নেবো, লাল গয়না নেবো। লাল গয়না শুনে হেসে ফেলেছিল পারমিতা। গয়না আবার লাল হয় নাকি?
সেদিনের সব স্মৃতি এখনও জীবন্ত। যেন দুদিন আগেই ঘটে গেছে। রাসিফের পায়ের সাইজের জুতা পাওয়া যাচ্ছিল না। নাগরাই জুতার সাইজ ছোট। রাসিফের পা বিশালাকার। রাসিফ বারবার বলছিল, জুতা কিনতে হবেনা। স্যান্ডেল পরে বিয়ে করবো। পারমিতা খুব হেসেছিল। সেদিনকার স্মৃতিটা এখনো কত তরতাজা!
মার্কেট থেকে বাসায় ফিরে সেদিন পারমিতার অনেক মাথাব্যথা শুরু হল। ব্যথার ওষুধ খেয়ে শুয়ে রইল ও। রুম অন্ধকার। প্রীতুল ও সামান্তা টিভি দেখছে অন্য রুমে।
হঠাৎ রাসিফের স্মৃতি আঁকড়ে ধরল ওকে। অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরে নরম বিছানায় শুয়ে কয়েকবার এপাশ ওপাশ করে কপালে হাত দিয়ে শুয়ে রইল। বিয়ের শপিং করে ওদের বাসায় আসার পর যখন সবাই কেনাকাটা দেখতে ব্যস্ত, বারান্দায় পারমিতাকে ঠেস দিয়ে ধরে রাসিফ ওর ঠোঁটে চুমু খেয়েছিল। সেই স্মৃতি ভাবতেই ওর শরীর চনমন করে উঠল। অকস্মাৎ বিয়ের ধুমধামে ওর তখন এমনিতেই ব্যাপক উত্তেজিনা। একবার কাঁদে, একবার লজ্জা পায়। শরীর, হাত পায় সবকিছু কেমন কাঁপত। শিরশির করত। এরমধ্যে যখন বারান্দায় টেনে এনে রাসিফ ওকে চুমু খেয়েছিল, পারমিতার পুরো শরীর ঝনঝন করে উঠেছিল। জীবনে প্রথম পাওয়া চুমুর স্পর্শ! রাসিফের সঙ্গে রাগ করে পারমিতা অন্য ঘরে চলে এসেছিল। রাসিফ ওকে মেসেজ পাঠিয়েছিল, ‘আরে তুমি তো আমার বউ। রাগ করে থাকলে কিন্তু কামরে দিবো ‘
পারমিতা আরও রাগ করে খুব কান্নাকাটি করেছিল। বাড়ির সবাই ভেবেছিল বিয়ে করতে চায় না পারমিতা। কিন্তু লজ্জায়, আবেগে, ক্রোধে সবকিছুর এক মিশ্রণে পারমিতা ডুবে গিয়েছিল সেদিন। কত দিন হয়ে গেল, বছর পেরিয়ে গেল কারও স্পর্শ পায়না ও। রাসিফের চুমুকে ভীষণ মনে পড়ছে আজ। শুয়ে শুয়ে শরীরে একটা বেদনা টের পাচ্ছিল ও। আজকাল প্রায়ই ওর কেমন কেমন লাগে। কাউকে কাছে পাবার ইচ্ছে হয়। মানুষের জীবনে শারীরিক চাহিদা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। কেউ চাইলেই এটাকে দমিয়ে রাখতে পারে না। জীবনে বিশেষ কাউকে প্রয়োজন হয় সবারই৷
পারমিতার চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়তে লাগল। অকস্মাৎ বেদনায় বিষাদে ভরে গেল মন।

বিয়ের তিনদিন আগে পার্লারে এলো সামান্তা ও পারমিতা। সামান্তা ফেসিয়াল করল, হেয়ার স্ট্রেইট করলো। মেনিকিউর, পেডিকিউর কত কি। জোর করে পারমিতাকেও ফেসিয়াল করিয়ে দিলো। পারমিতাকে সুন্দর একটা হেয়ার কাট দিয়ে দিতে বললো। পারমিতা না বললেও সামান্তা শুনলো না। বলল, আমার বিয়েতে আমি একা সাজবো নাকি? তুই আমার কলিজা। তোকেও সাজতে হবে।
পারমিতা হেয়ার কাট দেয়ার পর আয়নায় দাঁড়িয়ে অবাক হল। তাকে অন্যরকম দেখাচ্ছে। মনে হচ্ছে বয়স কমে গেছে কয়েক বছর। হেয়ার কাট ও কালারটা তাকে মানিয়েছে। ফেসিয়াল করে চেহারা উজ্জ্বল হয়েছে। আনন্দ লাগল ওর।
বিয়ের কেনাকাটা শেষ। ধীরেধীরে সব আত্মীয় স্বজন আসতে শুরু করেছে। দূরের আত্মীয়রা ব্যাগ, লাগেজ নিয়ে হাজির। বাড়ি ভরে উঠল। কিচিরমিচির, হইচই আর আনন্দে মেতে উঠল বিয়ে বাড়ি।
বাড়ির সামনে জ্বলছে লাল, নীল আলো। বানানো হয়েছে চমৎকার একটা গেট। ড্রয়িং রুম, ডাইনিং রুম গাদা ফুল দিয়ে সাজানো। বিয়ে বাড়ি মানেই অন্যরকম ব্যাপার। পারমিতা এই আনন্দে সব দুঃখ ভুলে গেল। গত এক সপ্তাহ মোবাইলটা ড্রয়ারে রেখেছে ও। বন্ধ করা থেকে খোলেই নি। কারণ ওকে কল দেয়ার মতো তেমন কেউ নেই। মাঝেমাঝে ল্যাপটপে বসে অফিসের জরুরি কাজ শেষ করে ইমেইল করে রিপোর্ট দিয়ে দিয়েছে। নিজের মাঝে শান্তি চলে এসেছে ওর।
বাড়িটা গমগমে। সামান্তা ওর রুমে পারমিতা ও প্রীতুল ছাড়া কাউকে এলাউ করে না। সামান্তার চেহারায় একটা গ্লো চলে এসেছে। বউ বউ লাগছে ওকে।
গায়ে হলুদের সব আয়োজন শেষ। পারমিতা আজ অনেক কাজ করেছে। নিজের হাতে বান্ধবীর জন্য সবচেয়ে সুন্দর করে সবকিছু সাজিয়েছে ও। এক ফাঁকে রুমে এলো কিছু একটা খুঁজতে। দরজা খুলতেই ভুত দেখার মতো চমকে উঠল পারমিতা। বিছানার ওপর রোদ বসে আছে! বিস্ফোরিত চোখ করে তাকালো ও। ঢোক গিলে বড়বড় চোখে তাকিয়ে রইল। রোদ এখানে কীভাবে এলো!

চলবে..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here