#পারমিতা
পর্ব ২৩
_নীলাভ্র জহির
পারমিতা ঘরে এসেই আগে ফোন বের করে চার্জে লাগিয়ে দিলো। এক সপ্তাহ ফোনটা ড্রয়ারে ছিল। তবে এখন সুইচড অন করবে না ও। রাতে করবে। যাতে এরমধ্যেই রোদ দু একবার কল দিয়ে থাকে। ওর ভালো লাগবে তাহলে। রোদ যখন কল দিয়ে দেখবে ফোব বন্ধ, বিষয়টা মজার হবে। মনেমনে হাসল সে। কেন রোদকে তার এত আপন বলে মনে হচ্ছে!
প্রীতুল ঘরের মেঝেতে বসে হেলিকপ্টার নিয়ে খেলছে। পারমিতা প্রীতুলের কাছে বসে ওকে জড়িয়ে ধরল। হেলিকপ্টার হাতে নিয়ে বেশ কয়েকবার ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখল। এটা শুধু ফ্লোরেই থাকে না, সিলিং পর্যন্ত উড়তে পারে৷ প্রীতুল রিমোট দিয়ে একা একা চেষ্টা করছে৷ পারমিতা ওকে উড়াতে সাহায্য করল। যখনই হেলিকপ্টার সিলিংয়ে উড়ল, খুশিতে হাততালি দিলো প্রীতুল। পারমিতা বসে বসে ছেলের আনন্দ দেখতে লাগল।
সামান্তার হাতে মেহেদি লাগানো হল আজকে। পারমিতারও দুইহাতে মেহেদি পরলো৷ সামান্তা যা যা রূপচর্চা করছে, সেটা করিয়ে দিচ্ছে স্বয়ং পারমিতাকেও। তার এক কথা, তুই আমার কলিজা। আমি যা যা করবো, সব তোকেও করতে হবে।
পারমিতা দুষ্টুমি করে বলল, বিয়েও করতে হবে?
সামান্তা হেসে বলল, হ্যাঁ করবি। পাত্র তো রেডিই আছে। বললেই কবুল বলে ফেলবে। বলবো নাকি পাত্রকে?
পারমিতা লজ্জায় লাল হয়ে উঠল। আজকে যেখানে ওর রেগে ওঠার কথা, সেখানে উলটো লজ্জা পাচ্ছে কেন, বুঝতেই পারলো না। পারমিতা হেয়ার স্পা করে কিছুক্ষণ বসে রইল। রাত দশটায় গোসল শেষ করে এসে খেতে বসল দুই বান্ধবী।
পারমিতা ফোন নিয়ে শুয়ে পড়ল। ভেজা চুল এলিয়ে দিলো বালিশের ওপর। প্রীতুল ঘুমাচ্ছে মাঝখানে, অন্যপাশে সামান্তা। ঘরের লাইট নেভানো। সামান্তা ফোনে কথা বলতে বলতে বারান্দায় চলে গেলো। ফোনের দিকে বেশ কয়েকবার তাকালো পারমিতা। এখনো আসেনি কল। রোদ কোনো কল দিয়েছে কিনা, সেরকম কোনো মেসেজ আসলো না।
পারমিতা অপেক্ষা করতে লাগল। গতকাল রাতে ঘুম হয়নি। ক্লান্ত চোখে ঘুম নেমে এসেছে। তখনই বেজে উঠলো ফোন। পারমিতা চমকে উঠে ফোন হাতে নিলো।
ঘুম ঘুম গলায় ফোনে কানে ধরল সে। রোদের কণ্ঠ শোনা গেল, অবশেষে অভিমান ভাঙল?
– কিসের অভিমান? অভিমান করার মতো অধিকার আছে নাকি আমার?
– তা আছে বৈ কি। অধিকার না থাকলে অভিমান করতো না কেউ।
– হয়েছে হয়েছে। আমি ঘুমাচ্ছি।
– বুঝতেই পারছি। ঘুম ভাঙিয়ে দেয়ার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।
– মৌখিক ক্ষমা চাইলে হবে না। এপ্লিকেশন লিখতে হবে।
– ওরে বাবাহ! এপ্লিকেশন লিখবো। কষ্ট হবে না খুব একটা।
– তারমানে অল্প কষ্ট হবে তাই তো? আমি তো ভেবেছিলাম কোনো কষ্টই হবে না।
– হা হা হা। তুমি ভালো কথা বলতে পারো তো। জানো পারো, ফোনে তোমার ভয়েসটা অনেক সুইট লাগছে।
– থ্যাংকস।
– বিরক্ত হচ্ছো না তো?
– যদি বলি হচ্ছি?
– বিশ্বাস করবো না।
– যদি বলি হচ্ছি না?
– তাও বিশ্বাস করবো না।
এবার হেসে উঠল পারমিতা। কি বিশ্বাস করবেন তাহলে?
– যদি বলো এখন রাত পৌঁনে এগারোটা।
– আর?
– যদি বলো এই দেশের সবচেয়ে সুন্দর মেয়েটা আমার ফোনের অপেক্ষায় ছিলো।
– এই দেশের সবচেয়ে সুন্দর মেয়ে কে?
– যে আমার সঙ্গে কথা বলছে।
– এটা আমি বিশ্বাস করবো না।
হেসে উঠল রোদ। রোদের সঙ্গে পারমিতাও হেসে উঠল। কথা চলল আরও আধা ঘন্টা। সামান্তা রুমে আসছে টের পেয়ে তড়িঘড়ি করে বিদায় দিয়ে ফোন রাখল পারমিতা।
সামান্তা এর পাশে শুয়ে বলল, খুব তো হাসছিলি দেখলাম। আমি আরও ভাবলাম জ্বিন ভূতে ভর করল কী না। প্রেম করছিস?
– ধুর যা তা বলিস কেন? প্রেম আবার কিভাবে করে?
– জানো না? যেভাবে কথা বলছিলে। যেকেউ বলবে প্রেম করছিলে তোমরা।
– চুপ কর। কথা বলবি না।
– তা তো বলা যাবেই না। বললেই তো রোদ সাহেবের আবেশটা হারিয়ে যাবে।
পারমিতা রেগে গেল। হাসতে শুরু করল সামান্তা। পারমিতা বলল, তুই কালকের পরদিন চলে যাবি।
– হুম। আমিও তাই ভাবছি। কষ্ট হচ্ছে মা’র জন্য। আম্মু আজকে দুইবার আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করেছে।
সামান্তা নিশ্চুপ হয়ে রইল। পারমিতা একটা নিশ্বাস ফেলল। ও জানে আজ রাতে সামান্তার ঘুম হবে না। কাল ওর গায়ে হলুদ। তবুও বলল, ঘুমানোর চেষ্টা কর। কালকে অনেক ধকল যাবে।
– ঘুম আসছে না।
পারমিতা সামান্তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে লাগল। তার দুঃখের রাত গুলোতে সামান্তা ওকে বুকে জড়িয়ে রাখত। স্বান্তনা দিতো ওকে। মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে ঘুম পারাতো। রান্নাবান্না করে খাবার এনে মুখে তুলে খাওয়াত। কষ্ট ওর নিজেরও কম হচ্ছে না। প্রিয় বন্ধুকে হারানোর বেদনা সেই বা সইবে কী করে?
পারমিতার চোখে পানি এসে গেল। একটু পর বুঝতে পারল সামান্তাও কাঁদছে। পারমিতা ওকে জড়িয়ে ধরল। দুই বান্ধবী কেঁদে উঠল একসঙ্গে। অনেক রাত পর্যন্ত কেঁদে সুমধুর সময়ের স্মৃতিচারণ করে ঘুমাতে গেল ওরা।
পারমিতা খুব ভোরে উঠেছে আজ। প্রিয় বন্ধুর জন্য নিজের হৃদয়ের মাধুরি মিশিয়ে সবকিছু প্রস্তুত করতে ব্যস্ত সে। গায়ে হলুদের আয়োজন করা শেষ হলুদ সন্ধ্যায়৷ সকালেই চলে এসেছে ফটোগ্রাফার। নাস্তা সেরে সামান্তাকে নিয়ে পারমিতা পার্লারে চললো। সাজসজ্জা শেষ করে সারাদিন শুধু ফটোশুট ও ভিডিও করা হবে। সামান্তা পারমিতার জন্যও কিনেছে একটা হলুদ শাড়ি। সামান্তার জোরাজুরিতে পারমিতাকেও সুন্দর করে সাজগোজ করতে হল পার্লার থেকে।
পারমিতা বাসায় এসেই দেখল স্টেজের কাছে বসে আছে রোদ। প্রীতুল রোদকে দেখেই ছুটে গেল ‘রোদ, রোদ’ বলতে বলতে৷ পারমিতা লজ্জায় মুখ ঘুরিয়ে নিলো। রোদকে এই সজ্জা দেখাতে চায় না ও। নিজের বিয়ের দিন ছাড়া কখনোই পার্লারে সাজগোজ করেনি পারমিতা। নিজেও খুব একটা সাজগোজ পছন্দ করে না। রোদ তাকে সবসময় দেখেছে খুব সাদামাটা রূপে। আজকের এই সাজে রোদের সামনে যেতে খুব লজ্জায় পড়ে গেল সে। কিন্তু রোদ আজকে আসবে, সেটা তো একবারও বলেনি।
পারমিতা সারপ্রাইজড হয়েছে। অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে বসে রইল ও। ফোনে টুং করে একটা আওয়াজ হল। স্ক্রিনে রোদের নাম্বার ভেসে উঠেছে। রোদ মেসেজ দিয়েছে, ‘সবচেয়ে সেরা সুন্দরী মেয়েটি এখন আমার সামনে।’
পারমিতা রোদকে এক পলক দেখল। চোখাচোখি হল ওদের। মুচকি হাসল পারমিতা। তারপর লিখল, আপনি আসবেন বলেননি তো একবারও।
– চমকে দেবো বলে। সামান্তা আমাকে দাওয়াত করেছে, না এসে পারি?
– সামান্তা দাওয়াত করেছে আমিও জানতাম না।
রোদ আর কোনো মেসেজ দিলো না। প্রীতুলকে সঙ্গে নিয়ে খেলায় ব্যস্ত সে। সামান্তাকে বসিয়ে বিভিন্ন স্টাইলে ফটোশুট করা হচ্ছে। বানানো হচ্ছে ভিডিও। পারমিতা সামান্তার সঙ্গে ছবি তোলার এক পর্যায়ে সামান্তা রোদকেও ডেকে নিলো। দুইজনকে দুপাশে দাড় করিয়ে সামান্তা ছবি তুলল। ছবি তোলা শেষ হতেই চলে গেল সামান্তা। পারমিতা মুখ তুলে দেখল তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে রোদ৷ ফটোগ্রাফার দুজনের ছবি তুলছে ফটফট করে। রোদ পারমিতার পাশে দাঁড়িয়ে পোজ দিচ্ছে। এক পর্যায়ে পারমিতার বাহুতে হাত রেখে দাড়াল। নিজের দিকে পারমিতাকে মুখ ঘুরিয়ে রোমান্টিক পোজ দিলো রোদ। পারমিতা লজ্জায় মাথা নামিয়ে ফেলল। ছবিটা তোলা শেষ হতেই দূরে সরে দাঁড়াল পারমিতা।
রোদের পরনে আজকে হলুদের কুর্তা৷ দারুণ মানিয়েছে ওকে। আজকেই নতুন হেয়ার স্টাইল দিয়েছে মনে হচ্ছে। এভাবে চমকে দিতে হয় নাকি?
খাবার খাওয়ার সময় রোদ পারমিতার পাশে এসে বসলো। প্রীতুলকে তুলে খাওয়ানো শুরু করল রোদ। পারমিতা কিছু বলতে যাবে এমন সময় হাতের ইশারায় রোদ ওকে থামিয়ে দিলো। মুহুর্ত গুলো সুন্দর হয়ে উঠছে দ্রুত।
খাওয়া শেষ হলে প্রীতুল বাচ্চাদের সঙ্গে চলে গেল। নতুন অনেক বন্ধু পেয়ে গেছে প্রীতুল। পারমিতা একটা সোফায় বসে সামান্তার দিকে তাকিয়ে আছে। সামান্তার মুখে উচ্ছল হাসি। এই হাসি যেন ওর মুখে আজীবন লেগে থাকে।
কনেকে নিয়েই ব্যস্ত সকলে। বিয়ে বাড়িতে বাজছে গান। চলছে হৈ হুল্লোড়। পারমিতা স্বপ্নেও ভাবেনি এতটা আনন্দ হবে সামান্তার বিয়েতে। রুমে এসে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে শুয়েছে মাত্র, তখনই রোদের নাম্বার থেকে কল।
পারমিতা রিসিভ করে বলল, কি হল?
– নাচ শুরু হয়েছে তো। তুমি কোথায়?
– নাচ দেখুন। আমি রুমে।
– রুমে মানে? নাচবে না তুমি?
– আরে না। আমি ওসবের মধ্যে নেই।
– একমাত্র বান্ধবীর বিয়েতে নাচবে না?
– জি না। সামান্তাকে আমি বলে রেখেছি আমি নাচবো না। ও রাজি হয়েছে।
– আমি এখন সামান্তাকে বলবো পারমিতাকে নাচতেই হবে।
– ছি ছি। এমন করবেন না প্লিজ।
রোদ বলল, আমি রুমে আসছি। রেডি থাকো। তুমি আমার সঙ্গে নাচবে। রুমে আসছি। এসে প্রাকটিস করবো।
– না না।
ফোন কেটে দিয়েছে রোদ। পারমিতা লজ্জায় পড়ে গেল। সে কখনো ভুল করেও এইসব নাচানাচির কথা ভাবেনি। কী একটা ঝামেলায় পড়ে গেল বেচারি।
ক্ষণিক পরেই দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ৷ পারমিতা দ্রুত এসে দরজা খুলে দিলো। রোদ ভেতরে প্রবেশ করে আটকে দিলো দরজা। পারমিতা আবার দরজাটা সামান্য ফাক করে দিলো। রোদ মুচকি হেসে বলল, নাচের প্রাকটিস করবো না?
পারমিতা কয়েক পা পিছিয়ে গেল। রোদ ফোনে গান চালু করে দিয়ে বলল, চলবে এটাতে?
পারমিতা বলল, আমি এসবের মধ্যে নেই।
রোদ পারমিতার হাত ধরে এক ঝটকায় ওকে বুকের কাছে টেনে নিলো। তারপর হাত ঘুরিয়ে নাচাতে লাগল ওকে। পারমিতা কিছুই করছে না। রোদ যেভাবে ওকে ঘুরাচ্ছে, যেভাবে টেনে নিচ্ছে, সেভাবেই চলে যাচ্ছে রোদের কাছাকাছি। পারমিতা রোদের দিকে তাকালো। চোখে চোখ রাখল দুজনে। নাচতে লাগল একইসাথে। গতানুগতিক ধারার নাচ না হলেও খুব একটা সাধারণ নাচও হচ্ছে না। রোদ পারমিতাকে কয়েকটা স্টেপ শিখিয়ে দিলো। বেশ কয়েকবার হাত টেনে ধরে বুকে ছিনিয়ে নিলো পারমিতাকে। রোদের বুকে ভর দিয়ে অসহায়ের মতো তাকিয়ে থাকে পারমিতা। রোদের ভালো লাগে ভীষণ। পারমিতাকে হাতের ওপর কাৎ করে নাচাচ্ছে সে। পারমিতা চোখ বন্ধ করে ফেলল। এগুলো কিচ্ছু মনে থাকবে না ওর। সব গুলিয়ে ফেলবে। কিন্তু ওর সমস্ত শরীর কেমন যেন শিরশির করছে। রোদ যতবার ওর বাহুতে হাত রাখছে, ওর স্পন্দন অনুভূত হচ্ছে। পারমিতা ঘোরের মাঝে চলে গেল। এতটা ভালো লাগছে, আবার ভয় ভয় করছে কেন ওর। তখনই রোদ নাচার একটা স্টেপ ফলো করতে গিয়ে ওর কোমরে হাত রাখলো। শিউরে উঠে রোদের দিকে তাকিয়ে ওর গলা আঁকড়ে ধরে রইল পারমিতা। রোদ দুই হাতে ওর কোমর ধরে রইল। পারমিতা রোদের গলার পেছনে হাত দিয়ে ঝুলে আছে। ওর দম বন্ধ হয়ে আসছে। কেমন যেন লাগছে পারমিতা। দ্রুত রোদকে ছেড়ে দিয়ে সরে দাঁড়াল ও। বলল, আর না।
রোদ বলল, ওকে। ঘেমে গেছ তুমি।
পকেট থেকে ট্যিসুপেপার বের করে এগিয়ে দিলো রোদ। পারমিতা হাঁফাচ্ছে। রোদ কাছে এগিয়ে এসে ইশারায় বলল, দিবো?
পারমিতা নিজেও কিছু না ভেবে বলল, হুম।
রোদ ট্যিসুপেপার দিয়ে পারমিতার গলা ও ঘাড়ের ঘাম মুছে দিলো। শিউরে উঠল পারমিতা। পুরো শরীর কেঁপে উঠল ওর। এক ছুটে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল ও। রোদ বাড়াবাড়ি করল না। লাজুক হেসে বিছানায় বসে রইল।
পারমিতা খানিক বাদে ঘরে এলো। দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলল, আমি সব ভুলে গেছি। কিভাবে নাচবো? সবাই হাসবে।
– আমি ম্যানেজ করে নেবো
– সবাইকে দেখানোর জন্য নাচতে হবে কেন?
– দেখানোর জন্য না। নিজের আনন্দের জন্য।
– আমি যথেষ্ট আনন্দে আছি। আর দরকার নেই।
– নাচতে ভালো লেগেছে?
পারমিতা মাথা ঝাঁকাল। একটু আগের সব স্মৃতি ওর কাছে স্বপ্নের মতো মনে হতে লাগল। রোদ বলল, আমার চা খেতে ইচ্ছে করছে। চা হবে এক কাপ?
– কিন্তু রান্নাঘরে তো যাওয়াই যাবে না এখন। যা মালপত্র দিয়ে ঠাসা। আর মহিলা আছে কয়েকজন। কাজ করছে।
– তাহলে বাইরে যাই চা খেতে?
– বাইরে? প্রীতুল?
– ওকেও নিয়ে যাই।
পারমিতা স্মিত হাসলো। অন্যকেউ হলে বাচ্চাকে সঙ্গে নিতেই চাইতো না। রোদের মন মানসিকতা সবার চাইতে ভালো লাগলো। তাই প্রীতুলকে সঙ্গে নিতেও আপত্তি করল না সে। পারমিতা বলল, চলুন তাহলে।
চলবে..