অস্তিত্বের খোঁজে পর্বঃ৩৬

0
2650

অস্তিত্বের খোজে
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ৩৬



– শুভ্রর এরকম কথা শুনে পরী প্রচন্ড রেগে গিয়ে ট্রী টেবিলের উপর থেকে গ্লাসটা নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে বারি দিয়ে।

ভাঙ্গা গ্লাস আর পানির বোতল ২ টাই শুভ্রর দিকে এক সাথে ছুড়ে মারে।


– গ্লাস টা শুভ্রর পেটে এসে পড়ে আর বোতলটার কাছ থেকে শুভ্র নিজেকে বাচিয়ে নেয়।


– শুভ্র এতটাই রেগে যায় যে,,,,,, শুভ্রর ২ টা ফোন, ল্যাপটপ এবং পরীর একটা ফোন সব কিছুতে এক সাথে আযান চালু করে দেয়।

আর পরীর কাছে এসে ঠাশঠাশ করে কয়েকটা চড় বসিয়ে দেয় শুভ্র।


– এদিকে বাসার সবাই ভাঙ চুরের শব্দে রুমে এসে দেখে পরী ছটফটানি শুরু করে দিছে।


– শু,,,,,ভ্র বলছি এগুলো বন্ধ করো বলেই পরী দাপাতে লাগল। পরীর গায়ে বিড়ালের পায়ের পাতার মত আঙ্গুল গুলোর ছাপ পড়তে লাগল গায়ে। এবং সে গুলো লাল আকার ধারন করল।


– শুভ্র পরীকে ওভাবেই রেখে বাহিরে এসে সিলেটের যে মাওলানার কাছে কোরআন শিখতো তাকে কল দিয়ে সব কিছু বলল।


– আচ্ছা শুভ্র আমার যেতে একটু সময় লাগবে তুমি ততক্ষনে তোমার ওয়াইফের কাছে থাক আর কিছু প্রসেস শিখিয়ে দিল শুভ্রকে। আশা করি কিছু সময়ের জন্য ওরা তোমার ওয়াইফকে ছেড়ে যাবে।


– পরীর কষ্ট দেখে অনিতা কেঁদে ফেলল। ওর আর্তচিৎকার শুনে যে কেউ কেঁদে ফেলবে। কিন্তু কেউ কাছে যেতে পারছেনা।


– শুভ্র রুমে এসে দেখে পরী ঐ রকমই করছে। আর শরীরের অনেক জায়গায় লাল লাল ছাপ পড়া দাগ।

শুভ্র পরীর একদম কাছে এসে বসে ওর কপালে হাত দিয়ে মাওলানার বলা কথা অনুযায়ী আমল করতে শুরু করে দিল।


– একটু পর পরী আস্তে আস্তে ঠান্ডা হতে শুরু করে আর বিছানায় পরে যায়। তবুও শুভ্র আরও কিছুক্ষন দোয়া পড়তে লাগল।


– কিন্তু জ্বীন গুলো জান্নাতের উপর নজর ফেলে। অনিল জান্নাত কে নিয়ে ডাইনিং রুমে বসে ছিল।

অনিল হঠাৎ চেয়ে দেখে জান্নাত কাঁপছে আর ওর গা প্রচন্ড গরম হয়ে যাচ্ছে। অনিল আর দেরি না করে জান্নাতকে নিয়ে সোজা ওদের বাসার মন্দিরের ভিতর চলে যায়। এবং জান্নাত কে নিয়ে সেখানে বসে পড়ে।


– মসজিদে যেমন ধার্মিক জ্বীন থাকে এবং নামায আদায় করে তেমন মন্দির গুলোতেও ধার্মিক হিন্দু জ্বীন থাকে। তাই ঐ শয়তান জ্বীন গুলো ভিতরে আসতে বাঁধা পায়। আর জান্নাত অবদি পৌছাতে পারল না।অনিল ও ভাবেই বসে থাকে জান্নাতকে নিয়ে।


– কাজের লোক এসে শুভ্রর রুমটা পরিষ্কার করে চলে যায়। শুভ্র পরীর পাশে বসে আছে আর পরী চুপ করে সুয়ে আছে। শুভ্রর সাথে কোন কথা বলছেনা।

পরীকে ওভাবে চড় না মারলেও হত। কিন্তু নিজের রাগ কন্টোল করতে পারেনি শুভ্র। পরীর দিকে তাকিয়ে দেখে ২ গালে শুভ্রর আঙ্গুলের দাগ বসে গেছে।



– শুভ্র কেবল উঠে ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে গেন্জী টা খুলে দাড়িয়েছে এমন সময় পরী বলে উঠল শুভ্র তোমাকে এই অবস্থায় দেখলে আমার নেশা লেগে যায়। কেন এরকম হয়ে থাকো আমার সামনে শুভ্র!


– এখন আমি ফ্রী আছি পরী! নেশা লাগাতে পারো আমি অল টাইম রাজী বলেই একটা মুচকি হাঁসি দিয়ে উঠল শুভ্র।

শুভ্র আর পরীর দিকে না তাকিয়েই নিজের পেটে হাত দিল । কাঁচ লেগে অনেক খানি কেটে গেছে। এতক্ষনে বুঝতে পারেনি। এখন বেশ জ্বালা করছে।



– পরী এখন পুরো স্বাভাবিক। তাই দেরি না করে পরী উঠে গিয়ে দরজা বন্ধ করে শুভ্রর দিকে তাকাতেই শুভ্রর সামনে একটা ছেলে কে দেখতে পেল। পরী এটা দেখে চমকে গেল। এটা কে?


– শুভ্র তোমার সামনে ঐ ছেলেটা কে!


– শুভ্র পিছন দিকে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। কিন্তু শুভ্র সব বুঝতে পেরে বলল ওটা কোন খারাপ জিনিস । ওকে যেতে বলতো পরী……….! স্বামী-স্ত্রীর রোমান্সের সময় থাকতে নেই কোন ৩য় ব্যাক্তিকে।


– ওর নাম কি শুভ্র! আমার দিকে রাগী চোখে তাকিয়ে আছে। মনে হয় আমাকে মারবে। আমার ভয় করছে শুভ্র!


– আমার সাথে এত্ত লাগতে পারো আর ওকে শায়েস্তা করতে পারছোনা? তুমিও ওকে আঘাত কর। (শুভ্র)


– শুভ্র এবার খাটে বসে বলল,,,,,, পরী! আমার মনে হয় তুমি “”আয়াতুল কুরসি”” ভুলে গেছ।

একটু আমাকে পড়ে শোনাও তো। জোড়ে জোড়ে পরবা। আমার কান অবদি যেন আসে। তাছাড়া ১ সপ্তাহেও আমার আদর তোমার কপালে জুটবেনা কিন্তু।


– ” আয়াতুল কুরসি” আমি ভুলে যাইনি শুভ্র। ওয়েট আমি তোমাকে পড়ে শুনাচ্ছি।


– আমার দিকে তাকিয়ে না,,,,,,, যে তোমার আর আমার মাঝখানে আছে তার দিকে তাকিয়ে বল। যত জলদি পাঠ করবে ততই আমাকে কাছে পাবা। দেখি তোমার কেমন মনে আছে। শুরু কর।


– এবার পরী ঐ ছেলেটির দিকে তাকিয়ে
“” আয়াতুল কুরসি”” পাঠ করতে শুরু করে দেয়। কিন্তু ঐ জিনিসটা যাচ্ছেনা।
শুভ্র! সে তো যাচ্ছেনা। রাগী ভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।


– তোমার পড়ার ভিতর ভুল হচ্ছে পরী!
♥আল্লাহু আকবার♥ ৩ বার বলে আবার শুরু কর। আর ওর দিকে তাকিয়ে থেকেই বল। আমি এখানেই আছি। কোথাও যাচ্ছিনা। ফটাফট কাজটা করে আমার কাছে আসো।


– এবার আমি শুভ্রর কথা মত ওভাবেই পড়তে লাগলাম আর ছেলেটির কাছে এগুতে লাগলাম। ছেলেটি একটা বিশ্রী চেহারার রুপ ধারন করল। এতে আমি সব ভুলে গিয়ে চিৎকার করে উঠলাম।


– শুভ্র যা বোঝার বুঝে গেল। পরী! ঐ জিনিসটা তোমার শুভ্র আর জান্নাতকে মেরে ফেলে দিতে চায়। সব তোমার হাতে। তুমি কেমন আমাকে ভালবাস সেটার পরীক্ষা আজ। আবার শুরু কর। বার বার পড়। তোমাকেই করতে হবে। তাছাড়া সব শেষ করে ফেলবে ও।

শুভ্রর এই কথা তেই ব্যাপক কাজ হল পরীর মধ্য।


– ঐ ব্যাটা আমার রুমে কিয়ের লায় ঘুর ঘুর করোস। বলেই জোড়ে জোড়ে আমল গুলো করতে শুরু করল পরী।


– এই তো আমার বউ ফর্মে ফিরে আসছে। গুড জব পরী। এ না হলে তুমি আমার বউ! শুভ্রও কখনও কারো সাথে আপোস করে না তুমিও না করে দেখিয়ে দাও। ওদের সাহস কি করে হয় শুভ্র আর পরীর মাঝে আসা!


– একপর্যায়ে জ্বীন টি সহ্য না করতে পেয়ে অদৃশ্য হয়ে যায় পরীর সামনে থেকে। ইয়েশ,,,,,,,!শুভ্র আমি পেরেছি।


– পেরেছো যখন ওখানে দাড়িয়ে আছো কেন! এখানে আসো। তুমি প্রতিযোগিতা তে ফাষ্ট হইলা তোমাকে আমার বড় একটা উপহার দিতে হবেনা!


– পরী এবার শুভ্রর সামনে এসে বলল,,,,,, শুভ্র! আমার প্রচন্ড খুদা লাগছে। শরীর টা খুব দুর্বল লাগছে।


– শুভ্র আর একমুহুত্ব দেরি না করে রুম থেকে বের হয়ে পলাকে জোড়ে ডাক দিয়ে বলল,,,,,,, আন্টি খাবার রেডী করেন তো! পরী খাবে।


– শুভ্র রুমে এসে বলল,,,, কি কি খাবা বল? যা যা মন চায় সেটাই বল।


– শুভ্র! আমার প্রচন্ড খুদা লাগছে শুধু ভাত হলেও চলবে বলেই শুভ্রর পেটের দিকে নজর যায় পরীর।
শুভ্র! ওখানে কাটলো কিভাবে? কি করছো তুমি বলেই শুভ্রের কাছে গেল পরী।


– কিছু না পরী! এমনি কেটে গেছে। বলতে পারো যন্ত্রনা ময় সুখ।


– পরী কিছু না বলে শুভ্রর পেটের কাছে গিয়ে একটু নিচু হয়ে চোষক দিয়ে রক্ত গুলো সব শুষে নেয়।


– তুমি কি ভ্যাম্পায়ার হয়ে গেছ পরী! তাই আমার রক্ত গুলো শুষে খেয়ে নিলে।


– হুম,,,,, বলে আর কোন কথা না বলে জায়গাটা ড্রেসিং করে দেয় পরী।


– পলা খাবার নিয়ে রুমে ঢুকতেই শুভ্র বলল,,, আন্টি নিচে নিয়ে যান খাবার গুলো পরী নিচে যাচ্ছে একটু পর।


– পলা খাবার গুলো নিয়ে চলে গেল। আর শুভ্র পরীকে নিয়ে নিচে নামল।


– ভাত! খুব খুদা লাগছে আন্টি। আমারে তরকারি দিতে হবে না আমি এমনি খেতে পারব বলে চিয়ারে বসে প্লেট টা কাছে নিল পরী।


– পরী! আস্তে আস্তে খাও। তাছাড়া বিষম উঠবে। শুভ্রর চোখ ছলছল করছে। ২ টা দিন ধরে কিছু খাওয়াইতে পারে নি শুভ্র আর আজ নিজে একাই খাবার খাচ্ছে।

পরী তুমি খাও। আমি উপরে যাচ্ছি বলেই শুভ্র চলে গেল।


– শুভ্র একটি বড় বালতি তে পানি নিয়ে সেই পাথর ডুবিয়ে আবার নতুন করে পানির ভিতর হাত ডুবিয়ে রুকাইয়া করে পানি পড়ে নিল। তারপর বিছানার বেড শির্ট সহ সব কিছু চেঞ্জ করে সেখান থেকে কিছু পানি নিয়ে পুরো রুমে ছিটিয়ে দিয়ে নিজেই পুরো ফ্লোর মুছে ফেলে। সব কাজ কমপ্লিট করে বেড শির্ট গুলো নিয়ে নিচে নেমে এসে সেগুলো ওয়াস করতে বলল কাজের লোককে।


– পরীর খাওয়া শেষ হলে ওকে নিচের ওয়াসরুমে গোসল করতে বলে,,,,, বালতিতে পানি তুলে পাথরটি ওর মধ্য দিয়ে পরীকে ওয়াসরুমে ঢুকে দিয়ে শুভ্র ওর মাকে ডাকল।


– অনিতা বলল,,,, ও কি স্বাভাবিক হয়ে গেছে?

– না মা! আবার হয়ত কিছু হবে। তবে সময় লাগবে ওর কাছে আসতে জ্বীন গুলোর। সেই ব্যবস্থায় করেছি। জান্নাত কই!


– তোর বাবা তো সেই কখন থেকে ওরে মন্দিরে নিয়ে বসে আছে। জান্নাতের সমস্যা হচ্ছিল তাই ও এই কাজটা করেছে।


– শুভ্র মন্দিরের ভিতর আর না গিয়ে বলল,,,, বাবা ওকে নিয়ে আসো। আমি আছি কিছু হবে না।


– অনিল জান্নাত কে নিয়ে বের হয়ে এল মন্দির থেকে। জান্নাত শুভ্রকে দেখে বা,,,,,বা বাবা বলে ডেকে উঠল।
মাধুরীর কিছু হবে না তো শুভ্র?


– শুভ্র হেঁসে বলল,,,,, বাবা তুমি থাকতে ওর কিছু হতে পারে নাকি বলেই জান্নাতকে কোলে নিয়ে চলে গেল শুভ্র।


– পরী গোসল সেরে বের হয়ে ওর রুমে চলে যায়। এবার শুভ্র জান্নাতকে নিয়ে ওয়াসরুমে ঢুকে এক বালতি পানির মধ্য ওকে ছেড়ে দেয়।


– জান্নাত তো সেই খুশি। ছোট ছোট ২ হাত দিয়ে পানিতে থাবা মারছে আর হেঁসে উঠছে। শুভ্র ২হাত এগিয়ে দিয়ে বলল,,,,, মা! আমার বুকে আসতো?


– জান্নাত এবার শুভ্রের বুকে আসে। অদ্ভুদ রকম শান্তি। অনিল দাড়িয়েই ছিল সামনে। শুভ্র ওর বাবার কাছে জান্নাতকে দিয়ে নিজে গোসল সেরে বের হয়ে এসে জান্নাত কে নিয়ে উপরে চলে আসলো।


– পরী ওর মেয়েকে শুভ্রের কোলে দেখে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু সাহস পায়না কাছে নিতে। শুভ্র পরীর কাছে এগিয়ে এসে জান্নাত কে ওর কোলে দিয়ে বলল ওকে একটু ফিডিং করাও তো!


– ওকে সরাও শুভ্র। আমি ওর গায়ে হাত দিবনা। ওর সমস্যা হতে পারে। কিন্তু জান্নাত ওর মাকে ধরে মা মা করে ডাকছে আর জড়িয়ে ধরে কান্না করছে।


– যা হয় হোক। এমনি কয়েক দিন হল ও তোমাকে কাছে পায়নি। প্রচুর কান্না কাটি করছে। ওকে নিয়েই থাকো।

আমি যহোরের নামায পড়ি ততক্ষনে। এমনি অনেক লেট হয়ে গেছে। তুমি পড়ছো নামায!


– হুম,,,,,,, শুভ্র।


– ওকে বলে চলে যায় শুভ্র।


– অনেক সাহস করে জান্নাতের শরীর স্পর্শ করলাম। আমি কান্নায় ভেঙ্গে পরলাম। আমার নিজের ভুলের জন্য এত্ত কিছু হয়ে গেল। ক্ষমা করে দাও মা আমাকে বলেই জান্নাতকে ফিডিং করাইতে লাগলাম।


– শুভ্র নামায কমপ্লিট করে এসে পরীর কাছে বসে বলল কোন সমস্যা হচ্ছে আর?


– না।


– শুভ্র দীর্ঘ একটা শ্বাস ফেলে বলল হয়তবা ঘন্টা খানেকের ভিতর ওনারা এসে যাবেন। শাড়ী চেঞ্জ করে সালোয়ার কামিজ পড়ে নাও।


– আমি জান্নাতকে শুয়ে দিয়ে চেঞ্জ করার জন্য উঠে গেলাম। মেয়েটা আমার ঘুমিয়ে গেছে।


– পরী শাড়ীটা খুলতেই শুভ্র ওর দিকে তীক্ষ্ণ নজরে তাকায়। শুভ্রর মাথা আর কাজ করছেনা। পরী শুভ্রর মস্তিষ্কে এভাবেই এ্যাটাক করে।

শুভ্র উঠে গিয়ে পিছন থেকে পরীর ঘাড়ে কিস করতেই পরী শিউরে ওঠে।

– শুভ্র! ওনারা নাকি আসবে। চেঞ্জ করবতো।


– এখন করতে হবে না তোমাকে কিছু দেওয়া আমার বাঁকি আছে,,,,,, বলেই শুভ্র পরীকে পাগলের মত একটার পর একটা শব্দ করে কিস করতে থাকে। পরীও জাড়িয়ে ধরে শুভ্রকে খামচে।



– পরী,,,,,,!

– উম্

– এই রকম করে জড়িয়ে ধরলে আদর করব কেমনে? এটা শুধু আদর ভাবোনা এটা তোমার কাজে দিবে পরে। শুধু মনযোগ দিয়ে অনুভব আর উপভোগ কর।

– আমি করি আদর তোমাকে?

– না,,,,,, কয়েকদিন ধরে তুমি আমায় খুব প্যারা দিছ। তাই আমি আগে বলেই পরীর ২ ঠোট নিজে ঠোটের ভিতর নিল শুভ্র।


– অনেকক্ষন পর শুভ্র পরীকে ছেড়ে দিয়ে বলল আর না। তখন প্রমিস করছিলাম ঐ খারাপ জিনিসটাকে তাড়িয়ে দিতে পারলে আদর পাবা সেটা পূর্ন করলাম।


– আমার আর শুভ্রকে ভাল লাগছে না। আমিই শুভ্রকে ঝিটকানি দিয়ে সরে গেলাম।


– শুভ্র এবার জান্নাতকে রুম থেকে বের করে ওর মাকে দিয়ে রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয় আর পরীর দিকে এগুতে লাগল। কারন শুভ্র বুঝে গেছে আবার ওরা আসার চেষ্টা করছে।


– পরী চেঞ্জ করছিল এমন সময় শুভ্র ওকে এক টানে নিজের বুকের ভিতর নিয়ে বলল,,,,,,,, পরী জানো না আগে বর কে খুশি করতে হয়। তাছাড়া ♥ আল্লাহ্♥ নারায হয়ে যাবে তোমার উপর।


– শুভ্র আমার ভাল লাগছেনা ছাড়ো আমায়।


– কি বল শুভ্রকে তোমার ভাল লাগছেনা! এত্ত সুন্দর একটা তোমার বর আর তুমি তাকে হাত ছাড়া করছো!


– পরী জোড়ে ধাক্কা দেয় শুভ্রকে কিন্তু নিজের কাছ থেকে সরাতে পারেনা । শুভ্র শক্ত করে ওকে ধরে আছে।


– ♥আল্লাহ্♥ আমাকে তোমায় নেয়ামত হিসেবে দিছে পরী। কেমনে তোমায় ছাড়ি বলেই শুভ্র পরীর বুকে কিস করে।


– দাঁতে দাঁত চেপে,,,,, উমহ্ ছেড়ে দাও বলছি।


– পরী! তোর জন্য সব কিছুর সাথে লড়তে রাজি আছি। সব কিছু বিসর্জন দিতে পারি। আমি নিজেই তোর ভিতর নতুন ভালবাসা তৈরি করব। আমি তো তোরই। এটাও বুঝতে পারিস না?


– ছাড়বা! বলেই রাগী চোখে শুভ্রর দিকে তাকালো পরী।


– শুভ্র পরীর কানে কিছু দোয়া পড়তে থাকে এতে পরী কিছুটা স্বাভাবিক হয়ে যায়।


– এবার পরীকে ধাক্কা দিয়ে সরে দেয় শুভ্র। তোর জন্য এতটুকুই। আর না। যা ড্রেস পরে নে বলে শুভ্র পিছন ফিরতেই,,,,,,,

– পরী দৌড়ে এসে শুভ্রকে জড়িয়ে ধরে নিজের সমস্ত শরীরের ভার শুভ্রর উপর দিয়ে বলল,,,,,, তবুও তোমাকেই আবার চাই আমি। আরও চাই মানে আরও,,,,,,,,,, আরও চাই বলে পরী শুভ্রকে বুকে, পিঠে, গলায় কিস করতে লাগল।


– শুভ্র পরীকে সোজা আরও উপরে উঠিয়ে নিজের ঠোটের কাছে পরীর ঠোট এনে বলল,,,,,,,,, এত্ত কিস করতে হয়না সুইটহার্ট তাহলে নিজেকে control করা কঠিন হয়ে যাবে।


– শুভ্র! এভাবেই আদর করতে হয় তাছাড়া তোমার ফিলিংস উঠবে কি ভাবে হুম বলেই শুভ্রের নাকের সাথে নিজের নাক ঘষাল পরী। আমি তোমার নেশায় পরে গেছি শুভ্র।


– পরীর কাছ থেকে শুভ্র নিজেকে জোড় করে ছাড়িয়ে নিতেই পরী এক দৌড়ে বাথরুমে গিয়ে বমি করতে শুরু করল।


– শুভ্রও জলদি এসে দেখল বমির সাথে ব্লাড যাচ্ছে। শুভ্র পরীর নাভিতে হাত দিয়ে একটু চাপ দিতেই পরীর বমি বন্ধ হয়ে যায়। অস্থির হয়ে গেছে মেয়েটা এতটুকু সময়ে।


– পরীকে ওযু করে নিয়ে এসে বলল জলদি চেঞ্জ করে নাও।


– শুভ্র! আমার মাথা প্রচন্ড ঘুরছে আমি পারবনা এখন। আমার শরীর খুব খারাপ লাগছে শুভ্র! বলেই জোড়ে জোড়ে শ্বাস নিতে লাগল পরী।

শেষে শুভ্র নিজেই পরীকে চেঞ্জ করে দিয়ে কানে ইয়ার ফোন গুজিয়ে সুরা শুনাতে লাগিয়ে দিল।


– শুভ্র! আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে। আমার কষ্ট হচ্ছে। এগুলো সরাও আমার কাছ থেকে।


– যতই সমস্যা হোক ওগুলো সরানো যাবেনা বলে পরীর ২ হাত আর পা শক্ত করে বেঁধে ফেলে শুভ্র পরীর ওড়না দিয়ে।

ওর এখন সমস্যাই হবে। কেন যে আমি ওকে ছুতে গিয়েছিলাম তার ফল এটা।


– প্রায় ১ ঘন্টা পর মাওলানা আসলো বাসায়। সাথে আরও ৪ জন কে নিয়ে আসছে। সবাই রাকি।


– শুভ্র বলল,,,,,ফারুখ ভাই আমি খুব সমস্যাই আছি। একটা কিছু করেন। আমার ওয়াইফ প্রচন্ড দুর্বল হয়ে পড়তেছে।


– শুভ্র চিন্তা করনা। এবার সব ঠিক হয়ে যাবে বলেই শুভ্রর রুমে যেতেই পরী একটা হুংকার ছেড়ে বলল,,,,, এই তোরা এখানে কেন আসছিস! কি চাস তোরা?


– আম্মাজান! চিন্তা করেন না,,,,,,,, আপনাকেই আমরা শায়েস্তা করতে আসছি।


– ৫ জন রাকী কাজে নেমে গেল। ৪ কোনা একটা বর্গাকার একে ৪ জন রাকীকে ৪ কোনায় রেখে মাঝ খানে আরও একটি বৃত্ত একে তার ভিতর পরীকে বসিয়ে দিল ফারুখ।


– পরী মাথা নিচু করে বসে আছে গম্ভীর হয়ে। ওর চুপ থাকা দেখে মমনে হচ্ছে এখুনি কিছু একটা ঘটে যেতে পারে চোখের পলকে।

চলবে——

বিদ্রঃ আজ এই টুকুই দিলাম। গায়ে জ্বর নিয়ে লেখা শেষ করলাম। যেহেতু আগে গল্প না দেওয়ার নোটিশ দেওয়া হয়নি তাই এতটুকুই লিখলাম। অপেক্ষা অনেক কষ্টের হয়। তাই কাউকে কষ্ট দিতে ভাল লাগেনা। সব পাঠকের প্রতি অফুরন্ত ভালবাসা রইল।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here