ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)পর্বঃ১৩

0
659

#ধর্মের_দেয়াল (সিজন-২)
নাফিসা মুনতাহা পরী
পর্বঃ ১৩


– সামনে দেখি আমাদের টিচার বৃদ্ধা মহিলা বসে চুল আচড়াচ্ছে আর আমাদের দেখে হাসছে।
– এই তোরা এই ৩ জনের কে কোনটা অঙ্গ খাবি সিলেক্ট করে নে। এরাই আজ তোদের খাবার।



– নাফিসা আমাদের কোন জায়গায় আনছিস। আমরা ফাঁদে পড়ে গেছিরে বলে অলিভিয়া কেঁদে উঠল।
– এই তোর প্যানপ্যানানি থামাবি বলে মার্ক ওকে ধমক দিল। এখান থেকে বের হবি কিভাবে সেটা ভাব। আমি এদের পেটে যেতে রাজি না।
– যা করার ৩ জন একসাথে করতে হবে। আমরা ৩ জনই আজ বাড়ি ফিরব বলে আল্লাহু আকবার বলে একটা চিৎকার ছাড়লাম আমি।




– আমার চিৎকারে বুড়িটার চিরুনি পড়ে গেল আর বেশ নড়েসড়ে দাড়াল। ঐ কি বলিস। আজ যা বল বলতে পারিস। তোদের তো আজ খেয়েই বিদায় হব।



– ঐ খাদকের দল খালি কলিজা খেলে হবে! ওদেরও ধরে ধরে খা। বলে ঐ বিশ্রী প্রানী গুলোকে নির্দেশ দিল বুড়িটা।



– মার্ক বিশাল সাপের রুপ ধারন করল আর আমাদের ২ জনকে আকড়ে ধরে দাড়াল।
– মার্ক তোর লিকলিকে দেহের এত্ত বাহার। তোর লেজ যদি আমি পুরে না খাইছি তো আমি তোর গুরু নয় বলেই মার্ক কে আক্রমন করল।



– মার্ক আঘাত পেয়ে ছিটকে পড়ে গেল। অলিভিয়া গিয়ে মার্ক কে ধরে বসে পড়ল।
– আর নাফিসা তুই তো গেছিস বলে আমার কাছে এগিয়ে আসতেই আলিক্সের কথা মনে পড়ল। যে এদের কোরআনের আয়াত দ্বারা আঘাত করা সম্ভব যদি আমি সঠিক ভাবে একনিষ্ট হয়ে পড়তে পারি। আমি ওখানেই বসে মায়াবলে একটা কোরআন হাজির করি। এবং সুরা বাকারা জোড়ে জোড়ে পাঠ করতে থাকি।




– মার্ক খুব জোড়ে আঘাত পেয়েছে। অনেক কষ্টে বলে উঠল দেখ অলিভিয়া নাফিসা কি করছে ওকে তো ধরে ফেলবে টিচার। যা ওকে সামলা আমি ঠিক আছি।




– আমি গায়ের শক্তি দিয়ে জোড়ে জোড়ে পাঠ করে যাচ্ছি আর মাঝে মাঝে আল্লাহু আকবার বলে হুংকার দিয়ে বুড়িটা দিকে তাকাচ্ছি।

– যা পড়ার পর তোকে তো আজ খাচ্ছি। তোর জন্য ঐ ২ জন সাহস পেয়েছে এখান থেকে বের হওয়ার বলে আমার দিকে চেয়ে ২ হাত দিয়ে শূন্যর উপর ধাক্কা দিল। একটা শক্তিশালী ঝড়ো হাওয়া এসে আমার সাথে ধাক্কা খাওয়ার আগেই তা পাল্টা ছিটকে বুড়িটাকে আঘাত করল। ইয়েস কাজ হচ্ছে।




– আমরা শুধু একটা গাছের উপর অবস্থান করছি যা শূন্যতে ভাসছিল আর নিচে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল।


– বুড়িটা এবার আমাকে নত না করতে পেরে মার্ক আর অলিভিয়ার দিকে তাকাল। আমি আয়াত পাঠ করছিলাম আর এক হাত দিয়ে ওদের আমার কাছে আসার জন্য ইশারা করছিলাম। কিন্তু ওরা বুঝে ওঠার আগে ঐ বিশ্রী প্রানী গুলো মার্ক আর অলিভিয়া কে ধরে ফেলে। ওরা কেউ মার্কের গলা,কেউ হাত কেউ পেট কেউ লেজে কামড় বসিয়ে দিল। মার্ক আত্বনাদে চিৎকার করে উঠল।




– মার্কের চিৎকার কানে আসতেই আমার পাঠ করা বন্ধ হয়ে গেল এবং আমি ওর দিকে তাকিয়ে মার্ক বলে ডেকে উঠলাম আর এই সুযোগে বুড়িটা গাছের ডাল ভেঙ্গে আমার দিকে ছুড়ে মারে এবং সেই আঘাতে কোরআন আমার হাত থেকে নিচে পড়ে যায়। আমিও কিছু না ভেবে নিচে আগুনে ঝাঁপ দিলাম।




– বুড়ি এবার হেঁসে উঠে বলল যার ভরসায় এখানে আসতে গেলি ও তো শেষ এবার তোদের কি হবে। বেশ তো ছিলি কেন ওর পিছে আসতে গেলি। এলিই যখন মর তাহলে।



– আমি কোরআন ধরে ফেলি কিন্তু সময় শেষ আগুনে পুড়ে মরতে হবে মনে করতেই একটা অদৃশ্য শক্তি আমার হাত ধরে একটানে গাছের উপরে উঠে আনল আর মার্ক ও অলিভিয়াকে আমার কাছে আনল।



– মার্কের গলা দিয়ে রক্ত পড়েই যাচ্ছে। মার্ক বলে ওর কাছে গিয়ে বসে পড়লাম। ও খুব আঘাত পেয়েছে। শুধু চোখ মেলে থরথর করে কেঁপে যাচ্ছে।



– হাকিশ তুই এখানে! বলে বুড়িটা চমকে গেল।
– হুম রে পাঠকাটি বুড়ি আমাকে খাঁচা থেকে বের করার পথ যে তুই করে দিলি। আড়াইশত বছর এই খাঁচায় পচে মরছি শুধু একটা মনুষ্য কন্যার অপেক্ষায়। সেটাও তোর জন্যই সম্ভব হলো। তোর অজান্তেই মনুষ্য কন্যাকে আমার খাঁচায় দিলি। তোর এত বুদ্ধিশক্তি লোপ পেয়েছে যে এটাও চিন্তা করলিনা আমি মেয়েটাকে কেন ছেড়ে দিলাম। নিজের অহংকারে সেটাও ভাবার সময় পাসনি তুই। আজ সে দিন এসেই গেল তোর সাথে লড়াই করার জন্য।




– আমি উঠে বললাম ঐ বুড়া বেডি সেদিন তো তোর চুলে আগুন লাগাইছিলাম দেখ এখন কই কই লাগায়।
– নাফিসা তা তো তুমি লাগাবা সেটা এইভাবে বলেই আমাকে তুলে বুড়িটার দিকে ছুড়ে মারল। বুড়ি ও আমাকে খাওয়ার জন্য হা করে দাড়িয়ে রইল। আমি আজ শেষ খঠখটির বুড়া আমাকে ধোপের টোপ হিসাবে বুড়ির মুখে চালান দিল!




– বুড়ি টপ করে নাফিসাকে গিলে ফেলে হাসতে লাগল। বাহ্ তুই আমাকে এত চমৎকার একটা খাবার দিলি?
– হুম দিলাম তো কিন্তু তোর খাবার না তোকে বিনাশ করার এটোম বোমা বলেই মন্ত্র পড়তেই নাফিসার সাড়া শরীরে আগুন জ্বলে যায় এবং ওখান থেকেই বুড়িটা পুড়তে শুরু করে দেয়। বুড়িটা পেটের দিকে একবার হাকিশের দিকে একবার তাকিয়ে চিৎকার দিয়ে বাষ্ট হয়ে ফেটে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়।




– নাফিসা আগুনে জ্বলতে জ্বলতে শূন্যতে ভেসে হাকিশের কাছে এসে যায়। হাকিশ ওর গায়ে হাত দিতেই সব স্বাভাবিক হয়ে যায় এবং সেন্সলেস হয়ে হাকিশের হাতের উপর পড়ে যায়।




– অলিভিয়া ভয়ে ভয়ে বলল হাকিশ আঙ্কেল নাফিসার কি হল আর আমরা কেথায় যাব এখন?

– এই কানের কাছে প্যানপ্যান করবি না একদম। তোকে তো ইচ্ছা করছে একগ্রাসে গিলে ফেলি। নাফিসার বন্ধু বলে ছাড় পেলি তাছাড়া তোরা ২ জনেই আমার পেটে থাকতি।

হাকিশের কথা শুনে অলিভিয়া ভয় পেয়ে যায়। হুম আমরা তো ওর খাদ্যই।




– হাকিশ ওদের ৩ জনকে নিয়ে গাছ থেকে নেমে অদৃশ্য হয়ে একটা জঙ্গলে পৌছালো। মার্কের অবস্থা খুব বাজে। ওর রক্ত দেখে বার বার ওকে খেতে মান চাচ্ছে হাকিশের। কিন্তু পারছেনা।

জঙ্গলে এসেই নাফিসার ঙ্গান ফিরে আসল। হাকিশকে দেখে আমার মাথা গরম হয়ে গেল। বজ্জাদটা আমায় কিভাবে বুড়িটার মুখে ছুড়ে মারছিল।




– মা! আমায় দেখে রাগ করো ক্যান? আমি কি করলাম।
– রাগের খ্যাতা পুড়ি আমি… ঐ মিয়া ঐ…… আমায় ওভাবে কেন ফেলে দিছিলেন! আমার ভয় করে না বুঝি!

– ভুল হয়ে গেছে মা ক্ষমা করে দাও এ ছাড়া আর উপায় ছিলনা। আর আপনি মানুষের মত বাজে বাজে করে কথা কেন বলছেন মা আমার দুঃখ লাগছে মনে।( হাকিশ)


– ওর কথা শুনে চুপ মেরে গেলাম। আপনি গাছ থেকে কেন নামলেন? এতক্ষনে আমরা পৌছে যেতাম!

– ওরা জেনে গেছে এতক্ষনে। একটা শিক্ষককে মারার
জন্য আমাদের ভয়াভয় শাস্তি হতে পারে। আমাকে নিয়ে চিন্তা নাই চিন্তা আপনাদের নিয়ে। বিশেষ করে আপনার এই সাপ বন্ধুকে নিয়ে। ও এখানে বেশিক্ষণ থাকলে বাঁচবে না।(হাকিশ)




– আমি আর অলিভিয়া ২ জনের মুখ চাওয়া চাওয়ি করলাম এখন কি হবে তাহলে।

– আমি এই জঙ্গল তো পার করে দিব কিন্তু আপনারা মনুষ্য রাজ্য গিয়ে পড়বেন। তার পর আর কিছু করতে পারবানা। আমাদের হাতে কিছু গাছালি পত্র দিয়ে বলল এগুলো তৈরি করে মার্ক কে খাওয়াই দিবেন আশা করি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে যাবে। মার্ক কে ছোট সাপে আকারে করে একটা খাঁচিতে তুলে অলিভিয়াকে দিয়ে বলল এভাবে নিয়ে যাও। তাহলে দামড়া টাকে বহন করতে আর কষ্ট হবে না তোমাদের বলে হাকিশ একটা মুচকি হাঁসি দিল।

কথাটি শুনে এই দুঃখেও হেসে উঠলাম আমি আর অলিভিয়া।




– আমাদের জঙ্গলের শেষ প্রান্তে এনে রাখল আর যাবার সময় আমার গালে হাত দিয়ে বলল আমার একটা কন্যা আছে মা। এতদিনে তোমার মত হয়ে গেছে। কত দিন পর তাকে দেখতে পাব বলেই অদৃশ্য হয়ে গেল।




– আমি আর অলিভিয়া হাটতে লাগলাম অন্ধকারের ভিতর। আহ্ অলিভিয়া পায়ে কি যেন বিধেছে। তোর যাদু বিদ্যা একটু কাজে লাগা দেখতে পাচ্ছিস তো অন্ধকার। বলার সাথে সাথে অলিভিয়ার ২ চোখ দিয়ে তিক্ষ্ণ আলো জ্বলে উঠল।

– বুদ্ধি তো তোর ঘটে কম নেই একটু কাজে লাগাতে পারিস না! সব বলতে হবে?




– একটু হাঁটতেই আমরা দুরে রোড লাইট জ্বলতে দেখলাম। আর সাথে সাথে অলিভিয়ার চোখের লাইট বন্ধ হয়ে গেল।
– কিরে ব্যাটারি লো হয়ে গেল এর মধ্য! চল ঐ আলো থেকে চার্জ দিয়ে নেস বলে হেসে উঠলাম।
– নাফিসা হাসিস না। জানিস আমরা কতবড় ভয়ঙ্কর জায়গায় এসে পড়েছি!( অলিভিয়া)

– না জানি না তো। একটা মানুষের রাজ্য এর বেশি কিছু নাতো! মানুষ কি রে?

– তোর মাথা বলে অলিভিয়া আমার হাত ধরে টেনে নিয়ে গেল রাস্তার মাঝখানে। জানিস মানুষেরা খুব নিষ্ঠুর হয়। হাকিশ বলছিল তুই নাকি মানুষের বাচ্চা। তুই তো ভাল তাহলে ও কথা বলল কেন হাকিশ?




– অলিভিয়ার কথায় কান না দিয়ে রাস্তার মাঝ খানে বসে পড়লাম। এমন সময় একটি গাড়ি আমার সামনে এসে পড়ল।




– রুপ এই এতগুলো মাসে নিজেকে অনেকটা সামলিয়ে নিয়েছে। জিবন যাপন স্বাভাবিক কিন্তু রাত এলেই ওর কষ্টগুলো হুমড়ি খেয়ে বুকে পড়ে। নাফিসা যাওয়ার পর থেকে রুপ নামায পড়ে নিয়মিত। আজগড়ের কাছ থেকে সব শিখিয়ে নিয়েছে। ৫ ওয়াক্ত সহ তাহাজ্জুদ মসজিদেই আদায় করে। ওর সব ঠিক আছে কিন্তু ভিতরের অস্তিত্বই পুড়ে গেছে।
তবুও একবুক আশা নিয়ে আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ জানায় নাফিসার ফিরে আসার।



– রোজ আর আজগড়ের সম্পর্ক টাও ঠিক হয়ে গেছে। রোজ এখন আজগড়দের বাসায় থাকে। জিবন ওদের ও বেশ একটা শিক্ষা দিয়েছে।



– আমার সামনে গাড়ি আসতেই অলিভিয়া একটানে রাস্তার বাহিরে আমাকে নিয়ে আসে। দেখছিস মানুষ কত খারাপ। আসতে না আসতেই আক্রমন।


– আমি ওর কথায় কান না দিয়ে আবার রোড লাইটের নিচে বসে পড়লাম আর হাকিশের দেওয়া পত্র গুলো হাতের মধ্য পিষতে লাগলাম। হুম তৈরী হয়ে গেছে।



– মার্ক কে দে এদিকে বলে অলিভিয়ার হাত থেকে খাঁচি নিয়ে ওর মুখ খুলে ফেললাম। ওকে মাটিতে রাখতেই ও মানুষের রুপে চলে আসে। আমি জলদি পিষা পত্র গুলো ওর মুখে আর ক্ষত স্থানে লাগিয়ে দিলাম। বেচারা কেঁপে কেঁপে উঠছিল।


– মার্ক….. মার্ক ! তোমার কোথায় কষ্ট হচ্ছে আমাকে বল। কোথায় কষ্ট হচ্ছে মার্ক। কিন্তু ও আমার কথার কোন জবাব না দিয়েই আমার কোলে ঘুমিয়ে পড়ল।




– মার্ক কে নিয়ে বসে আছি আমি। আর অলিভিয়া দাড়িয়ে ভাবছে ওকে নিয়ে কি করা যায়। এমন সময় একটা কার এসে আমাদের সামনে থামল। সেখান থেকে ৮ জন পুরুষ বের হয়ে বলল hey young 2 lady তোমরা এখানে কি করছো?

– বলছিলাম না মানুষ খুব খারাপ হয়!(অলিভিয়া)

– আমি ওদের দিকে তাকিয়ে বললাম What’s problem…… কি চান?

– তোমরা বুঝি মানুষ না সেক্সি গার্ল বলেই আমার হাত ধরল একজন।




– ছাড়ুন বলছি। এর ফলাফল কিন্তু ভাল হবেনা। কিন্তু কার কথা কে শোনে। ছেলে গুলো কেমন যানি করছে। আমায় টেনে দাড় করাতেই মার্কের মাথা মাটিতে পড়ে গেল।

– এমনি ও অসুস্থ তারপর ওর সাথে এই ব্যবহার। নিজের রাগ আর সামাল দিতে পাড়লাম না। ছেলেটির গলা ধরে উপড়ে টেনে তুললাম আর আমার চোখ দিয়ে সাথে সাথে আগুন বের হয়ে ওকে গ্রাস করল।




– আমি ছেলেটিকে ছেড়ে দিয়ে মার্কের কাছে গেলাম। আবার ওর আঘাত লাগল মাথায়।

– অলিভিয়া ঐ ছেলেটির গায়ে এক নিমিষেই পানি ঢেলে দিয়ে বলল আর কি তোমাদের দেখাতে হবে আমরা কে?



– ছেলে ভয়ে থরথর করে কাঁপছিল আর আমাদের দিকে চেয়ে ছিল।

ওরা আহত ছেলেটিকে তুলে নিয়ে কারে উঠল এবং এপলকে চলে গেল।


– একে নিয়ে এই রাতে এখন কি করব অলিভিয়া। (আমি)

– চিন্তা নেই দ্বারা আমি ব্যবস্থা করছি বলেই অন্য দিকে চলে গেল।(আলিভিয়া)





– ব্যাবিলন সম্রাট আলিক্সের কাছে খবর গেছে ২ টা মেয়ে আর ১ টা ছেলে মিলে পিশাচ হাকিশের সাহায্য নিয়ে তাদের শিক্ষক কে মেরে রাজ্য থেকে পালিয়ে গেছে।


– আলিক্স বেশ টেনশনে পড়ে যায় এটা নাফিসার কাজ নয় তো। কারন হাকিশের একার পক্ষে সম্ভব নয় শিক্ষককে হত্যা করার। কোন শক্তিশালী ক্ষমতা দরকার। এখন শক্তিশালী বলতে শুধু নাফিসা ওখানে অবস্হান করছে তার মানে নাফিসা!


Oh no shit নাফিসা এটা কি করে ফেলল। ওকে এখন আমি কেমনে বাঁচাব! আর কেথায় গেছে কোন অবস্থায় আছে। আচ্ছা হাকিশ ওর কাজ শেষ করে ওদের খেয়ে ফেলেনিতো? কি করব আমি এখন বলেই কিং আলবার্ট কে একটা জরুরি সংবাদ পাঠালো।




– আলিক্সের সংবাদ পেয়ে আলর্বাট, মুনিকা, মারিয়াম ছুটে এলো।

– আলিক্স কি হয়েছে নাফিসা ঠিক আছেতো?

– কি আর ঠিক থাকবে। এলিনা একখান মেয়ে জন্ম দিয়ে গেছে যে প্রথম দিনই শিক্ষিকার চুল পুরে দেয় আর শিক্ষা শেষে শিক্ষিকাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। এ মুখ আমি দেখাবো কেমনে সবাইকে! যদি সবাই একবার জানে আমিই ওকে নিযুক্ত করেছি ঐ স্কুলে তাহলে!


– নাফিসা কখনও এমনটা করবে না my lord ওর সব কিছু আমি জানি। ওর গায়ে বার বার আঘাত না আশা অবদি ও এরকম পদক্ষেপ নিবেনা। আপনি ভাল করে খোঁজ নিয়ে দেখেন। (মারিয়াম)




– আলিক্স চিন্তা করনা। কেউ কিছু জানতে পারবেনা। নাফিসা এখনও বাচ্চা মেয়ে ও বুঝে উঠতে পারেনি তাই এ ধরনের কাজ করেছে। আগে আমাদের নাফিসাকে খুজে বের করতে হবে বলে আলর্বাট সবাইকে নিয়ে একটি কক্ষে প্রবেশ করল।




– অলিভিয়া খুঁজে খুঁজে একটি বিশাল গাছের সন্ধান পেল। হ্যাঁ আজ রাতটা এ গাছেই কাটিয়ে দেওয়া যাবে।



“- আমি সেই কখন থেকে মার্ক কে নিয়ে বসে আছি আর ওর আসার কোন নাম নাই।
– অনেক ক্ষন পর অলিভিয়া আসল এবং মার্ক কে তুলে বলল ধর ওকে জায়গা পেয়েছি থাকার।


– আমি আর ও মার্ককে নিয়ে একটি গাছের কাছে নিয়ে আসলাম। বাহ্ বেশতো। ৩ টা দোলনা বানিয়েছে। দারুন ঘুম হবে।


– ঐ এরে তুলব কেমনে এখন?(আমি)

– Don’t worry বলে মার্কের গায়ে হাত বুলাতেই ও শূন্য ভাসতে ভাসতে একটা দোলনায় সুয়ে পড়ল। কাজ শেষ।

– অলিভিয়া মায়াটা আগে করলে ভাল হতনা! শুধু শুধু ওকে এত দুর অবদি টেনে নিয়ে আসতে হল।

– তোকে একটু খাটিয়ে নিলাম। চল ঘুমাব এখন।

– আমার খুদা লাগছে খুব( আমি)

– খুদা লাগার আর টাইম পেলনা। খাবার নাই খুব খুদা লাগলে আমাকেই বসে বসে খা।( অলিভিয়া)

– আমি সোজা ওর কাছে গিয়ে ওকে কামড় বসিয়ে দেই।

– এই পাগল হয়ে গেছিস? কামড় দিলি কেন।

– আমি হেসে বললাম তুইতো খেতে বললি।

– যা যা হয়েছে অনেক চল ঘুমাতে যাই বলে মোটা দড়ির দোলনায় শুয়ে পড়ল অলিভিয়া।

-কি আর করা আমিও শুয়ে পড়লাম। শুতেই ঘুম চলে আসল।



– গভীর রাতে গঙ্গানী এবং কান্নার আওয়াজ শুনে অলিভিয়ার ঘুম ভেঙ্গে য়ায়। চট করে উঠে বসে দেখে নাফিসা ঘুমের মধ্য ফিকরে কাঁদছে আর গঙ্গাচ্ছে।


– অলিভিয়ার ব্যাপরটা কেমন জানি লাগে। ও এক লাফে নাফিসার দোলনায় এসে নাফিসাকে ঝাকায়।



– এই নাফিসা…… নাফিসা! তোর কি হয়েছে এমন করছিস কেন। ওঠ বলছি ওঠ……. কোন সাড়া নাই। অলিভিয়ার আর বুঝতে বাঁকি রইলনা এটা নাফিসা নয়। এটা অন্য কিছু।


ঐ জিনিসটা খিটখিট করে হেসে উঠে অলিভিয়ার গলা চিপে ধরে ফ্যাস ফ্যাঁস গলায় বলল বাহ্ বুঝতে পেরেছিস দেখছি।
চলবে_______________

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here