সবটা অন্যরকম♥ পর্ব_১৮

সবটা অন্যরকম♥
পর্ব_১৮
Writer-Afnan Lara
.
আহনাফ হাতের ঘড়িটার দিকে এক নজর তাকালো,,সবেমাত্র সন্ধ্যা সাতটা বাজে,চেয়েও বার ছাড়া যাবে না,কি করা যায় তাহলে?
এদিকে মিশকা এসে হাজির,,হেলছে দুলছে অনবরত,আহনাফের মুখ থেকে কমপ্লিমেন্ট শুনতে চায় সে
আহনাফ মুখ ঘুরিয়ে কাগজ একটা নিয়ে কাজে লেগে পড়লো কোনো শব্দ না করে
নাহিদ দাঁত কেলিয়ে চেয়ে আছে এখনও
মিশকা আহনাফের কাছে এসে দাঁড়াতেই ফোন বেজে উঠলো আহনাফের,,সে মনে মনে ভাবলো যেই ফোন দিক না কেন খুব ভালো করেছে
ঠিক সময়ে কল করেছে আমাকে বাঁচিয়েছে তাকে আজ জড়িয়ে ধরে রাখবো পাক্কা পাঁচ মিনিট
ওমা কলটা দেখি মায়ের,আচ্ছা মাকেই জড়িয়ে ধরবো,,অনেকদিন ধরি না
আহনাফ উঠে যেতে যেতে বললো ইমারজেন্সি কল! আই হ্যাভ টু গো!
দূরে এসে কল রিসিভ করলো আহনাফ,,ওপাশ থেকে দিবার আওয়াজ শোনা যেতেই আহনাফের মুখে আর কথা নেই
.
হ্যালো শুনছেন?
.
হুম,মায়ের ফোন থেকে কল দিলে কেন?কি হয়েছে?
.
খালামণি কাজে বিজি তাই আমাকে বললো কল করতে,,দিদুন অপেক্ষা করছে আপনার জন্য জলদি আসতে বললো আপনাকে,সেজন্য কল করলাম
.
ওহ,ঠিক আছে, আসছি
.
আহনাফ ফোন পকেটে রেখে মনে মনে ভাবলো একে তো আর জড়িয়ে ধরবো না,
ভাবতে ভাবতে মিশকাকে দেখে আহনাফের আবারও ভয় শুরু,কি করবে সে এখন,মিশকা এদিকেই আসছে,,নাহ যা বোঝা যাচ্ছে আজকেই ঢিল মেরে পাখি মারতে হবে,এক ঢিলে এক পাখি একেবারে ঠিক জায়গায় ঠিকসময়
মিশকা আহনাফের কাছে এসে বললো”তোমায় আজ একদম আমার সাথে মানিয়েছে,চলো আমরা ঘুরে আসি”
.
আমার…
.
কি?আজ কিন্তু কোনো বাহানা শুনতে চাই না
.
আমার এঙ্গেজমেন্ট হয়ে গেছে,এই দেখেন রিং
.
হোয়াট!আমি এটা বিশ্বাস করি না,,কি বলো এসব!
.
আসলে এটার কথাটা পরিবারকে ও জানাইনি,আমরা আমরাই এঙ্গেজমেন্ট করেছি,,তাই আমি আপনাকে ইগনর করতাম আপনি তো বুঝতেই চান না,তাই খোলসা করে আজ বলেই দিলাম,আশা করি আর এভাবে আবেগ দেখাবেন না আমায়,,আমার ওয়াইফই আমার সব,,
.
মিশকা মাথায় হাত দিয়ে পিছিয়ে গেলো,,এত বড় ভুল বোঝাবুঝি,,সত্যি কি তাই?
.
আহনাফ এমন ভাব করে তাকিয়ে আছে যেন সত্যি বলছে সে
মিশকার মাথা ভনভন করে ঘুরছে,,তার এখন কি করা উচিত তাই ভেবে পাচ্ছে না সে
রেগেআগুন হয়ে এগিয়ে এসে আহনাফের পাঞ্জাবির কলার টেনে ধরে বললো”আই উইল কিল ইউ!”
.
আহনাফ ভালো মানুষের মতন দাঁড়িয়ে আছে,একটা ওয়ার্ড ও বলবে না ঠিক করে রেখেছে,কারণ সে বেশি মিথ্যা বলতে জানে না,পরে বাড়িয়ে বলতে গিয়ে সত্যিটাই বলে ফেলবে
এখন চুপচাপ থাকাই শ্রেয়
মিশকা চেঁচামেচি করে নিজে নিজে চলে গেছে বারের দিকে
আহনাফ বড় করে দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে হাতের আংটিটার দিকে তাকালো,এই আংটি সে কিছুক্ষন আগেই মাটিতে কুড়িয়ে পেয়েছিলো,আংটিটা থেকেই আইডিয়াটা এসেছে
আর মনে হয় না এই মেয়ে আমার কাছাকাছি ঘেঁষবে,আল্লাহ আমাকে রক্ষা করিও,আরও দু ঘন্টা ডিউটি করতে হবে তারপর ফুফুর বাসায় যাব
.
মিশকা বারে এসে একের পর এক বিয়ারের গ্লাস শেষ করে যাচ্ছে,নাহিদ ওকে মানা করছে তাও শুনছে না
আহনাফ চুপটি করে রিসিপশানে বসে কাগজে বারের সব কাজকর্মের লিস্ট করছে,মিশকার দিকে তার বিন্দু মাত্র নজর নেই,,মিশকা এক ঘন্টার মতন ছিলো বারে,,শেষে ওর কারের ড্রাইভার এসে ওকে নিয়ে গেছে,ভুলেও আহনাফের দিকে আর তাকায়নি সে
আহনাফের খুশিতে নাচতে মন চাচ্ছে,এমনটা জানলে প্রথম দিনেই বলতো সে বিবাহিত কিংবা এঙ্গেজমেন্ট হয়ে আছে তাহলে আর এত কষ্ট হতো না এতদিন

মজিদ আসবে না?
.
মজিদ নাকি তার অফিসের কাজে ঢাকার বাহিরে গেছে,আর ওর বউ বাচ্চা ওর শশুড় বাড়ি,বাসা এখন খালি,আদনান গিয়ে ফিরে এসেছে
.
অনেকদিন হলো মজিদরে দেখি না
.
ওদের কথা বাদ দে,আহনাফ আর কত দেরি করবে,নাতি টাকে অনেকদিন চোখের দেখা দেখি না
.
এই যে আমি এসে গেছি
.
আহনাফকে দেখে দিদুন ছলছল চোখে তাকিয়ে উঠতে গেলেন তার আগেই আহনাফ কাছে এসে সালাম করে জড়িয়ে ধরলো দিদুনকে,,দিদুন খুশিতে কেঁদে ফেলেছেন,আহনাফকে একটু বেশি আদর করেন তিনি,আহনাফ ও তাই
দিদুন তো এবার ব্যস্ত হয়ে গেলেন আহনাফকে নাস্তা করাতে,নিজেই চলে গেলেন রান্নাঘরে
আদনান এসে পিঠে এক ঘুষি দিয়ে বসলো আহনাফের পাশে
.
কিরে!!কি খবর,,চিকনা হয়ে গেছিস মনে হলো
.
কি আর করবো,তুই তো বউ খুঁজে দেস না,বউয়ের অভাবে শুকাই গেলাম
.
আমার নিজের বউ পাচ্ছি না আর তুই তোর বউয়ের কথা বলস,তোর যা শখ ওরকম টাইপের মেয়ে খুঁজতে সিআইডি লাগবে
.
খুঁজলেই পাবো,কিন্তু খুঁজার সময়ই তো পাচ্ছি না,একসাথে ভার্সিটি -অফিস সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছি,তোর তো পড়ালেখার প্যারা নাই
.
তোর ও থাকবে না,পাশ করলেই দেখবি টেনসন ফ্রি
.
তুই বিয়ে কর,তারপর দেখবি তোর বিয়েতে আমি আমার জনরে পেয়ে যাব ঠিক
.
ভালো কথা মনে করেছিস,,আমার বিয়ে নয় তবে বিয়েটা হবে মণিতার,,সেটা নিয়েই তো আজ সবাইকে এত ঘটা করে দাওয়াত দেওয়া
.
সে কিরে!!মনুর এত জলদি বিয়ে,কিরে মনু?তুই কই,তোর নাকি বিয়ে?
.
এই ভাইয়া একদম আমাকে মনু ডাকবা না,হয় মণি ডাকো নয়তো মণিতা
.
তোরে তো মনুই ডাকবো
.
আহনাফ মুচকি হেসে দিতেই ওর চোখ গেলো দিবার দিকে,দিবা মণিতার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে
.
আদনান দিবার দিকে তাকিয়ে তারপর আহনাফের দিকে তাকিয়ে বললো”কিরে?তোর আর দিবার জামা দেখি সেম ডিজাইনের,মনে হচ্ছে একই কাপড়ের”
.
আহনাফ শরবত খাচ্ছিলো,আদনানের কথা শুনে ওর কাশি উঠে গেছে,কাশতে কাশতে দিবার দিকে তাকালো সে,দিবা দাঁত কেলিয়ে মুখ খুললো সত্যিটা বলতে তার আগেই আহনাফ কথা কাটিয়ে বললো”তা মণিতার বিয়ে কোন গাধার সাথে?”
.
ভাইয়া একদম উল্টা পাল্টা বলবা না,উনি গাধা কেন হতে যাবে?
.
আহনাফ তো ঠিক বলেছে,,তোর মত পেত্নিরে বিয়ে যে করবে সে গাধা হবে না তো কি ভাল মানুষ হবে?
.
কথাটা বলে আদনান আর আহনাফ হাসতে হাসতে শেষ হয়ে যাচ্ছে
মণিতা রেগেমেগে চলে গেলো,দিবাও ছুটলো সেদিকে,,
আহনাফ ব্রু কুঁচকালো দিবার বেশ দেখে,হাজারবার বলে কয়েও ওড়না ঠিক করে পড়ানো যায় না মেয়েটাকে দিয়ে
.
কিরে কি ভাবিস?
.
নাহ কিছু না,তারপর??কাউকে পছন্দ হয়নি তোর?তোর তো আমার মতন এত শখ নাই,ফুফু যে কোনো একটা মেয়েকে ধরলেই তুই বলবি কবুল
.
আদনান মাথা চুলকিয়ে বললো”নাহ সেটা না,মা আমাকেই দায়িত্ব দিয়েছে মেয়ে পছন্দের,আমার পছন্দ হলে তারা ব্যাপারটা দেখবে”
.
তাহলে আর কি,মেয়ে দেখা শুরু কর,তোর কলিগ ক্লাসমেট কেউ আছে?
.
আমার বিয়ের কথা বাদ দে তো,আমাদের থেকে তো আরিফ চালু,ও অলরেডি রিলেশনে আছে,আর আমরা বুইড়া দামড়া হয়েও কোনো পাকা ধানে মই দিতে পারলাম না
.
ঠিক কইছস,ওর থেকে ট্রেনিং নিতে হবে তোর আমার
.
তোর আবার কিসের ট্রেনিং? তুই ওর সাথে একি বাসায় থাকস,তোর তো আগেই এসবে এক্সপার্ট হয়ে যাওয়ার কথা
.
আরে না না,,রিলেশনশিপের যে প্যারা ওসব আমাকে দিয়ে হবে না,আমি সোজা বিয়ে করে নেবো,,বাবু, কলিজা এসব বলা লাগে,সকাল বিকাল গুড নাইট,গুড মর্নিং এসব বলার টাইম কই,আমি তো ঘুমানোর টাইমই পাই না আবার এসব করতে যাব কোন দুঃখে??
.
বিয়ের আগে প্রেম করলে মানুষটাকে জানা য়ায়
.
না জেনে তো আর বিয়ে করবো না,কাউকে জানা আর প্রেম করা আলাদা বিষয়,যাই হোক আমাকে নিয়ে ভাবা বাদ দে,,আমি যারে পছন্দ করবো সে কোটিতে একটা হবে,তুই তোরটা ভাব
.
তোর ঐ কোটিতে একটা মেয়ে কবে আসবে,, আসলে বলিস আমি গিয়ে হা করে তাকাই বলবো”ভাবী তাহলে এসেছেন,,, আপনার রুপ কোথায় কোথায় খসে পড়েছে দেখাই দেন”
.
হারামি!!আমি কি বলছি আমার বউয়োর রুপ ঝলসাইয়া পড়বে
.
তা নয়ত কি,তাহলে আর কি চাস তুই
.
আমি চাই সাধারণ এক মেয়ে যাকে দেখে মনে হবে অসাধারণ
.
সাধারণ একটা মেয়ে অথচ তাকপ দেখে মনে হবে অসাধারন?সেটা আবার কি?
.
সহজ ভাষায় যাকে বলে”সিম্পলের মধ্যে গরজিয়াস”
.
দূর্লভ জিনিস,আমার পক্ষে তোর জন্য বউ খোঁজা অসম্ভব,,
.
আমার জনকে আমি নিজেই খুঁজে নেবো

দিবা এদিকে আয় তো একটু
.
দিবা খালামণির কাছে এসে দাঁড়ালো,খালামণি বললেন দিবা নাকি ভালো পাটিসাপটা বানাতে পারে ও যেন চট করে বানিয়ে দেয়,,মণিতার হবু শ্বশুর বাড়ির লোকেরা আজকে ওকে আংটি পরাতে আসবে,হুট করে এখন ঠিক হলো যেহেতু ওর মামা আছেন তাই,,দিবা পাটিসাপটা বানাতে বসে পড়েছে,মণিতা নিজে নিজেই সাজছে
আহনাফ আর আদনান বাহিরে গেছে ঘুরতে
রাত নয়টার দিকে তারা আসবে,আংটি পরিয়েই চলে যাবে,আজকে ভালো একটা দিন তাই আজই ঠিক করা হয়েছে
দিবা পাটিসাপটা বানিয়ে দিয়ে হাত ধুতে গেলো,মিনি আনাফকে নজরে নজরে রাখছে,আনাফ ভয়ে কাঁদো কাঁদো মুখ করে একবার এক রুমে গিয়ে লুকাচ্ছে,,দিবা মণিতাকে সাজাতে হেল্প করলো কিছু
উনারা আসতে বেশি দেরি করেননি,ঠিক সময়েই চলে এসেছেন,,ছেলের বাবা মা,দুই বোন,,আর কজন রিলেটিভ
সবাই সোফার রুমে এখন,,দিবা উঁকি দিয়ে একবার ছেলেকে দেখে নিলো,,ছেলে শ্যামলা বর্নের,,লম্বা সুন্দর আছে চেহারার গঠন,,দিবা মুচকি হেসে ছেলের পাশে তাকতেই দেখলো আহনাফ এদিকেই আসছে হনহনিয়ে,মনে হচ্ছে ওর দিকেই
দিবা ঢোক গিলে পর্দা টেনে দিলো কিন্তু নাহ,আহনাফ পর্দা সরিয়ে ওর সামনে এসে দাঁড়িয়েছে,,বিছানায় মণিতা আপু মাথা ধরে বসে আছে,তার মাথা নাকি খুব ব্যাথা করে
.
দিবা আহনাফের মুখের দিকে বোকার মতন তাকিয়ে আছে
আহনাফ ধমক দেওয়ার আগে মণিতাকে দেখে ফেলে আর ধমক দিলো না,চুপ করে ঐ জায়গাতেই দাঁড়িয়ে থাকলো,ওদিকে দিবা এই সুযোগে পালাচ্ছিলো
ঠিক সেসময়ে আহনাফ ওর হাতটা ধরে ফেলে বললো”কোথাও যাবা না,এখানে দাঁড়াই থাকো
.
কককককেন?
.
ককককেন?বুঝাচ্ছি,মণিতা যাক
.
মণিতাকে খালামণি এসে নিয়ে গেলেন,,আহনাফ আর দিবাকে খেয়ালই করেনি কারণ তার মাথায় অনেক কাজের চাপ পড়ে ছিলো
.
দিবা চিপা দেখে আবারও পালাতে চেষ্টা করলো কিন্তু আহনাফের সাথে এবারও পারলো না
আহনাফ ধরে রেখেছে ওকে,এভাবে আটকাচ্ছে কেন সেটাই মাথায় ঢুকছে না দিবার,আহনাফের তো দুই কারণেই রাগ হয়
মিনি ডিস্টার্ব করলে আর,,,আর আমার গায়ে ওড়না ঠিক না থাকলে
এটা মনে করে দিবা নিজের দিকে তাকালো,চোখ কপাল উঠে গেছে তার,হাত ধুতে যাওয়ার আগে ওড়না খুলে বিছানায় রেখেছিলো সে তাই এখন গায়ে ওড়না নেই,আহনাফের অগ্নি দৃষ্টি চেঁচিয়ে যেন বলছে”দিবা আজ তুই শেষ”
.
রুম খালি হতেই আহনাফ ওড়নাটা বিছানা থেকে এনে দিবার মুখে ছুঁড়ে মারলো
দিবা ওড়না গায়ে দিয়ে সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে
.
কয়বার বলতে হবে ওড়না ঠিক করে পরার জন্য??বাসা ভর্তি মানুষ তাও তোমার কোনো কান্ডজ্ঞান নাই,ভালো ওড়না পরবা না,পরবা জর্জেটের,এখন সেটাও পরলা না
.
আহনাফের এত রাগ হলো যে সে দিবার দুহাত খিঁচিয়ে ধরে কথাগুলো বললো তাও ধমকিয়ে ধমকিয়ে
.
দিবার চোখে পানি এসে গেছে,,প্রত্তেকবারের মতন এবারও সে কান্না থামাতে পারলো না,ভ্যাত করে কেঁদে দিলো
আহনাফ রেগে রেগে বললো”এখন কাঁদো কেন?জানো না আমি এসব পছন্দ করি না??আমার কথা কানে নাও না কেন তুমি?”
.
দিবা হাত ছাড়াতে ছাড়াতে বললো”আমি আপনার কেউ না,অধিকার খাটাবেন না একদম!”
.
দিবার কথায় আহনাফের হুস আসলো,সে দিবার হাত ছেড়ে দিয়ে পিছিয়ে গেলো তারপর বললো”হ্যাঁ!কেউ হও না তুমি,বাট!!তুমি আমাদের বাসায় থাকো,, আমাদের বাসার সদস্য হয়ে,তোমার ভরণপোষনের দায়িত্ব আমি নিয়েছি সো আমি যা বলবো তাই হবে,,আমি যেটা অপছন্দ করি সেটা দ্বিতীয় বার করবে না তুমি”
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here