এক_শ্রাবণ_হাওয়ায় পর্ব – ৫০

এক_শ্রাবণ_হাওয়ায় পর্ব – ৫০
#লেখিকা – কায়ানাত আফরিন

সময় খুব বিস্ময়কর একটি বিষয়। এটাই একমাত্র জিনিস যা কয়েক পলকের ব্যাবধানে অনেককিছু পাল্টে দিতে পারে। ১ সপ্তাহ হয়ে এসেছে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকায় ফিরেছি আমরা। এই ১ সপ্তাহর মধ্যে পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে অনেককিছু। আমরা যেদিন ঢাকায় ব্যাক করছিলাম সেদিনই শিউলি ভাবির পেইন শুরু হয় যেদিকে ডেলিভারি ডেট আর দশদিন পর ছিলো। আমি বা আনভীর কেউই এ ব্যাপারে জানতাম না। জানতামই বা কিভাবে যেখানে আজরান ভাইয়া , মা-বাবা সবাই ভাবিকে নিয়ে তৎপর হয়ে ছিলো। দীঘিনালা থেকে খাগড়াছড়ি যাওয়ার পথে আনভীর অনবরত কল করে যাচ্ছিলেন সবাইকে। কিন্ত কেউই কল রিসিভ করছিলো না দেখে চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন অনেক। সেই সাথে আমিও।বাস খাগড়াছড়ি শহর ছাড়িয়ে অনেকদূর যাওয়ার পরই মায়ের ফোন আসাতে তৎক্ষণাৎ রিসিভ করলেন আনভীর। মায়ের মোবাইল দিয়ে আসলে কল দিয়েছিলেন নুড়ী আপা। জানালেন কিছুক্ষণ আগেই ভাবির পেইন শুরু হয়েছে। তাই সবাই দ্রুত ভাবিকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছেন।আমাদেরও বলছে দ্রুত ঢাকায় বাড়িতে না এসে হসপিটালে যেতে। ভাবির অবস্থা নাকি খুব বেশি ভালো না।

আনভীরের মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেলো নুড়ী আপার কথা শুনে। বাসের পুরোটা পথ উনি খুব চিন্তামগ্ন ছিলেন। আমি উনাকে কি বলে শান্তনা দেবো আসলে বুঝে উঠতে পারছিলাম না। পুরোটা পথই আমরা ছিলাম চুপচাপ। তারপর ঢাকায় ফিরে আসার পর আমাদের ব্যাগপত্রগুলো ড্রাইভারকে দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দিলেন আনভীর। তারপর আমরা দু’জন চলে গেলাম হসপিটালে। বাবাকে ফোন দিয়ে জানতে পারলেন সবাই তিনতলায় ওটির রুমের সামনে আছে। সেখানেই গিয়েই আমার পা চলা যেনো বন্ধ হয়ে গেলো। আজরান ভাইয়া একপাশে বসে আছেন ভারসাম্যহীনভাবে। চোখজোড়ার নিচে ছানি পড়ে গিয়েছে। ঠোঁট চেপে পাথরের ন্যায় বসে আছেন। হয়তো নিজেকে সামলানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করতে মগ্ন। আজরান ভাইয়াকে এমন রূপে প্রথম দেখলাম আমি। উনি স্বভাবতই হাসিখুশি মানুষ। কেউ বা মন খারাপ হলেও নিমিষেই নিজের হাস্্যোজ্জল কথাবার্তা দিয়ে মানুষদের মাতিয়ে রাখতে পারেন। আর আজ সেই মানুষকেই এতটা ভেঙে পড়তে দেখে আমার বুক মোচড় দিয়ে ওঠলো। আনভীর এগিয়ে গেলেন ভাইয়ার কাছে। আমি মা’কে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম যে হয়েছেটা কি।

মা অশ্রুসিক্ত হয়ে বললেন যে, অসাবধানতাবশত সকালে স্লিপ খেয়ে পড়ে গিয়েছিলো ভাবি। তখন থেকেই প্রচন্ড ব্যাথা। বাচ্চা বেঁচে আছে কি না এই নিয়েও ডাক্তার সিউর ছিলো না। পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফি আরও কয়েকটা মেডিক্যাল টেস্ট করে দেখলো যে তেমন একটা ইন্জুরি হয়নি। তবে ডেলিভারির কাজটা আজই করতে হবে। এতে প্রচন্ড উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে আজরান। কারন শিউলির হেল্থ অতটাও ভালো না যে দশদিন আগেই এত বড় একটা সিদ্ধান্তে সে রাজি হতে পারবে। শিউলি একেবারেই দুর্বল হয়ে গিয়েছিলো পড়ে যাওয়ার ফলে। ব্লিডিং ও হচ্ছিলো প্রচন্ড। পরে ডাক্তার সিজারের পরামর্শ দিতেই আজরান রাজি হতে বাধ্য হলো।

আমার নিজেরও প্রচন্ড ভয় হচ্ছে এ কথাগুলো শুনে। মনে জেঁকে বসেছে নানা নেগেটিভ চিন্তা। পরক্ষণেই আমি নিজেকে স্থির রাখলাম। আজরান ভাইয়া এবার আনভীরকে বললেন,

-দু’ঘন্টা ধরে অপারেশন থিয়েটারে শুয়ে আছে ও আনভীর? এতক্ষণে সিজারের কাজ শেষ হওয়ার তো কথা। এখনও ডক্টর বের হচ্ছে না কেনো? ও-ওর আর ব-বাচ্চার কিছু হয়ে যাবে না তো?

আনভীর কোনো কথা বললেন না। উনি নিজেও দু’হাটুর ওপর নিজের কনুই ভর করে বসে চোখ বন্ধ করে আছেন। এই মানুষটার কাছে মায়ের পর চরম ভরসাযোগ্য স্থান হলো ভাবিমণি। মা মাঝে মাঝে উনার সাথে বকাঝকা করলেও ভাবি সবসময়ই তা সামলে নিয়েছিলেন। এমন একজনের এ অবস্থা কিভাবে মেনে নিবেন উনি?

অবশেষে ওটি থেকে বেরিয়ে এলো ডক্টর। আমরা সবাই হতদন্ত হয়ে গেলাম ডক্টরের কাছে। আজরান ভাইয়ার শরীর অস্বাভাবিকভাবে কাপছে। উনি এতটাই উদ্বিগ্ন হয়ে ছিলেন যে ভালোমতো কথাই বলতে পারছেন না। পরন্ত আনভীর আজরান ভাইয়াকে শান্ত করে ডক্টরকে জিজ্ঞেস করলেন,

-ড-ডক্টর! প-পেশেন্টের এখন কি অবস্থা?

-উনি আপাদত কিছুটা আশঙ্কামুক্ত আছেন। তবে,,,,

-তবে কি ডক্টর?

ভঙ্গগলায় প্রশ্ন ছুড়লেন বাবা। ডক্টর বললেন,

-দেখুন আমি নিশ্চয়তা দিতে পারছি না। বেবির বাচাঁর চান্স একেবারেই কম। তাই আপনাদের স্ট্রং থাকতে হবে দুঃসংবাদ শোনার জন্য।

কথাটি আমাদের সবার মনেই চরম দুঃখ বয়ে নিয়ে এলো। আজরান ভাইয়া এতটাই ভেঙে পড়লেন যে কোনো কথা বলেই থ মেরে বসে পড়লেন পাশের বেঞ্চটিতে। উনার চোখমুখে জড়তা, কেমন যেন পাথর হয়ে গিয়েছেন। মায়ের চোখ বেয়েও ক্রমশ পানি পড়ছে। আমার প্রচন্ড খারাপ লাগলো এ দৃশ্য দেখে। যেদিকে ভাইয়া আর ভাবির তাদের বেবিকে নিয়ে কত স্বপ্ন ছিলো সব কি নিমিষেই ধুলিস্যাৎ হয়ে যাবে?আজরান ভাইয়া দ্বিরুক্ত হয়ে বললেন,

-তোর ভাবিকে কথা দিয়েছিলাম আনভীর? যে আমি বেবির সবকিছুর টেক কেয়ার করবো। আর আজ আমার অবহেলাতেই ওর এ অবস্থা। ওকে বাসায় রেখে আমি যদি অফিসে না যেতাম তাহলে শিউলির এত বড় দুর্ঘটনা মোটেও হতো না রে! সব আমার দোষ! আমি এবার কি জবাব দিবো ওকে?

মা আশ্বস্ত করতে থাকলেন ভাইয়াকে। যে ডক্টর বাচার চান্স কম বললেও নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। হয়তো মিরাকেল করে ভালোসংবাদও এসে পড়তে পারে। আমি একপাশে চুপ হয়ে বসে দেখতে থাকলাম মা ছেলের এমন দৃশ্য। আনভীর এসে বসলেন আমার পাশে। ভার কন্ঠে বললেন,

-দেখেছো আজরান ভাইয়ার কি অবস্থা? তোমার এমন কিছু হলে তো একেবারেই মরে যাবো আমি। মনে আছে সেদিন তুমি রিক্সা থেকে পড়ে পায়ে কড়া ব্যাথা পেয়েছিলে? ক্ষত জায়গাটি থেকে রক্ত পড়া কিছুতেই কমছিলো না, আমি-আমি অনেক ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আর এমন জায়গায় তুমি এলে তো তার থেকেও ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। আমি, আমি মরে যাবো আহি। সুসংবাদ শোনার আগেই উদ্বিগ্নতায় আমি নিঃশেষ হয়ে যাবো।

হঠাৎ ভেতরে বাচ্চার কান্নার আওয়াজেই থমকে গেলাম আমরা সবাই। আমার বুক রীতিমতো ধড়ফড় করছে। আজরান ভাইয়াও নিজের বোধ ফিরে পেয়ে দাঁড়িয়ে পড়লেন বসা থেকে। সত্যিই মিরাকেল হয়েছে এবার। যেখানে বেবির বাচাঁর চান্স ৯৮ শতাংশ ছিলো না সেখানে একটা সুস্থ ছেলে বেবির জন্ম দিয়েছে ভাবি। আজরান ভাইয়া এই সংবাদে এতটাই বিস্মিত হয়ে ছিলো যে কোনো কথাই বলতে পারলো না। আমি এবার স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়লাম। সবার চোখে মুখেই একটা প্রাপ্তির হাসি। আর হবেই না বা কেনো, ঘরে একটি নতুন পৃথিবীর আগমন হয়েছে যে?

________________________

তারপর দেখতে দেখতে ১ সপ্তাহ পার হয়ে গেলো তড়িৎ গতিতে। আমরা যেহেতু বেশ কয়েকদিনই ঢাকার বাহিরে ছিলাম তাই ঢাকায় ফিরে আসার পরপরই আনভীর নিজের কাজ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। উনি ইদানীং এতটাই ব্যস্ত যে ঘরে টাইম মতো খাওয়া-দাওয়া করারও ফুরসত নেই। এতদিনের জমা সব পরীক্ষার খাতাগুলো দেখা, আবার ভার্সিটিতে ওভারটাইম ক্লাস, টিচার্স মিটিং , ট্রেনিং সব মিলিয়ে উনি বড্ড ক্লান্ত। বেবি হওয়ার উপলক্ষে আজরান ভাইয়া ঘরে আত্নীয়দের দাওয়াত দিয়ে ছোটো খাটো একটা অনুষ্ঠান করতে চেয়েছিলো কিন্ত সেটাও স্থগিত হয়ে আছে আনভীরের কাজের চাপের জন্য। অবশেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো যে আগামীকাল ঘরে ছোটো করে একটি অনুষ্ঠান করা হবে।

আমি তাই ফটাফট উঠে গেলাম ঘুম থেকে। শিউলি ভাবিকে মা কড়াকড়িভাবে রান্নাঘর থেকে দূরে থাকার আরোপ করেছেন।তাই আপাদত রান্নাঘরের সব কাজ আমি আর নুড়ী আপা মিলমিশেই সামলাচ্ছি। আজকে শিউলি ভাবির মায়ের বাড়ির আত্নীয়রাই মূলত থাকবে। আর আজকেই বেবির নামকরণ করা হবে। আজকে তাই আমি সব চাইনিজ আইটেম রান্না করেছি । চিকেন ফ্রাইড রাইস থেকে শুরু করে গারলিক চিকেন ফ্রাই, বিফ মাঞ্চুরিয়ান , মাশরুফ ভেজিটেবল আরও অনেক কিছু। রান্না করাটা একচুয়্যালি আমার প্যাশন বললে চলে। তাছাড়া ছোটবেলাতে আর কিছু না শিখলেও রান্নাটা ভালোভাবেই শিখতে হয়েছে চাচির ভৎসনা থেকে বাঁচার জন্য। আমি রান্নাঘরে একসাইডে সালাদ কাটছিলাম তখনই পেছন থেকে কেউ বললো,

-আমি হেল্প করবো মিসেস আহি!

মাথাঘুরিয়ে পেছনে তাকালাম আমি। আনভীর কিচেন কেবিনেটের উপর বসে আছেন। সিক্ত চুলগুলো দেখতেই বুঝতে পারলাম উনি সবেমাত্র গোসল সেরে এসেছেন। চোখে-মুখে স্নিগ্ধতা। সাজেকের সেই রাতের পর থেকে উনি ইদানীং আমায় সবসময়ই ‘মিসেস আহি’ মিসেস আহি’ বলে সম্বোধন করেন। জানিনা কেনো তবে উনার এই ডাকটি মাত্রাতরিক্ত ভালোলাগে আমার। আমি তবুও সরু গলায় বললাম,

-আপনি কি হেল্প করবেন? আদৌ জীবনে একটা লেবু কেটেছেন? আসছেন আবার হেল্প করতে!

শেষ কথাটি ব্যঙ্গস্বরূপ বলে আমি আমার কাজ মন দিলাম। আনভীর কিছুক্ষণ বোকা বনে ছিলেন এতে। তারপর আমার কাছ থেকে ছুরি নিয়ে বললেন,

-লেবু কাটিনি তো কি হয়েছে। আজ কাটবো। দরকার পড়লে তোমার সাথে রান্নাও করবো। এমন পিচ্চি বউকে হেল্প না করে থাকা যায়?

-সরেন তো! রান্নার র ও আপনি জানেন না আবার বলছেন হেল্প করবেন। এখান থেকে বেরিয়ে যান এখন। কেউ কি বলবে আপনি মাত্র গোসল সেরে এসেছেন? অলরেডি কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে আছে এখানে থাকার কারনে। উফফফ!

আমি চরম বিরক্ত হয়ে ওড়নার এক প্রান্ত দিয়ে মুছে দিলাম উনার কপালের কাছটা। আনভীরের মুচকি হেসে রান্নাঘর থেকে চলে যাওয়ার পরই আমি আবার ব্যস্ত হয়ে পড়লাম।

_____________________

পুরো বাড়িতেএখন রমরমা ভাব। আজরান ভাইয়ার শ্বশুড়বাড়ির সব লোকজনই মোটামোটি এসে পড়েছেন বাড়িতে। শিউলি ভাবি সোফার এককোণে বসে আছে আর আমার কোলে সুন্দর বেবিটি। শিউলি ভাবির ছেলেটা একেবারেই আজরান ভাইয়ার মতো হয়েছে। সেই বড় বড় চোখ , গৌরবর্ণ গায়ের রঙ ইসসস! কত সুন্দর। শিউলি ভাবির মা তো অনেকক্ষণ নিজের নাতিনকে কোলে নিয়ে দোয়া দুরুদ পড়ে ফু দিয়ে দিলেন। সেই সাথে আমার জন্যও দোয়া করলেন যাতে আমার কোল জুড়েও একটি ফুটফুটে সন্তান হোক। আর এই বেবি হওয়ার খুশিতে সবচেয়ে বেশি খুশি ছিলেন আনভীর আর আজরান ভাইয়া। একজন বাপ আর একজন চাচ্চু হওয়ার খুশিতে দুইভাই মিলে পুরো কলোনিতে মিষ্টি বিতরণ করে বেরিয়েছন।
এখনও এসব নিয়েই ব্যস্ত আছেন দুজন। খাওয়া দাওয়ার পর্ব শেষ হওয়ার পরই আমরা সবাই গোলত্র হয়ে ড্রইৎরুমে বসে পড়লাম বেবির নাম ঠিক করার জন্য। প্রায় লম্বা সময় শলা পরামর্শের পর বাবার দেওয়া নামটিই পছন্দ হলো সবার। ‘তৌহিদুর রহমান’ আর শিউলি ভাবির কথা অনুযায়ী নিকনেম হবে অয়ন। বেবিটার সাথে নাম পুরো খাপে খাপ যায়। আমাদের এ নিয়ে আর কোনো আপত্তি নেই।

তিথিরা সবাই চলে যাওয়ার পর আমি সবকিছু গোছগাছ করে ড্রইংরুমে অয়নকে কোলে নিয়ে বসে পড়লাম। ভাবি ওয়াশরুমে গিয়েছে। তাই আমি ওকে কোলে নিয়ে আনমনে খেলা করছি। অপরপাশেই সোফায় বসে টিভি দেখছিলেন আনভীর। হঠাৎ টিভি অফ করে আমার দিকে তাকিয়ে নিদারুন গলায় বললেন,

-তুমি তো ইদানীং সময়ই দাও না আমাকে। সারাদিন ওকে কোলে নিয়ে ঘুরো, আদর করো। বলছি যে তোমার সামনে যে এই জলজ্যান্ত মানুষটি পড়ে আছে, তাকে দেখে তোমার মায়া হয় না?

আমি বিস্ফোরিত নয়নে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ উনার দিকে। এসব বলছে কি মানুষটা? আমি জিজ্ঞেস করলাম,

-সিরিয়াসলি আনভীর! আপনি নিজের সাথে এই মাসুম বাচ্চাটার তুলনা করেছেন?

-তা নয়তো কি করবো হ্যাঁ? কই সারাদিন মায়ের সাথে সময় কাটিয়ে বাপকে জ্বালাবে আর এই পুচকে মশায় চাচির কাছে এসে চাচ্চুকে চাচির আদর থেকে বিতাড়িত করছে। আমাদের বেবি হলে তো দেখা যাবে তুমি ভুলেই গিয়েছো যে এই আনভীর নামের তোমার একটি বর আছে।

আমার আর কিছু বলার নেই। এই লোক নিজে তো পাগল আমারেও পাগল বানিয়ে ছেড়েছে। একটা মানুষ কতটা ওভারপজেসিভ হলে নিজের ভাতিজাকে হিংসা করতে পােরে ,, ভাবা যায়?
.
.
.
~চলবে ইনশাআল্লাহ

এই প্রথম আমার কোনো গল্প ৫০ পর্বে এসে পৌঁছালো। আগে তো কি লিখবো খুঁজেই পেতাম না আর এখন আনভীর আহি কে নিয়ে লিখতে বসলে লেখা থেকে ছুটেই আসতে পারিনা। যাই হোক এই পর্যন্ত আপনাদের অনেক সাপোর্ট আর রেসপন্স পেয়েছি যা সত্যিই আমায় বিমোহিত করেছে। ভালোবাসা আহি-আনভীরের পক্ষ থেকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here