সবটা অন্যরকম♥ পর্ব_২০

সবটা অন্যরকম♥
পর্ব_২০
Writer-Afnan Lara
.
রাগ দেখানোর মনমানসিকতা নাই আমার,,কারণ তোমাকে রাগ দেখাই লাভ নাই,, তুমি জীবনেও ঠিক হবা না,তোমার কথা তুমি শুনো আর কারোর নাহ
চুপচাপ ধরো আমায়,পড়ে গেলে সেই আমাকেই ভেজাল বয়ে বাসা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হবে
.
ধরলে তো আপনার আবার গায়ে কারেন্ট লাগে,কি করবো আমি?
.
আলতো করে ধরবা,গভীর করে ধরতে যাও কেন?
.
দিবা আর কথা বাড়ালো না,,আহনাফকে আলতো করেই ধরলো
আহনাফ বাইক স্টার্ট দিয়ে মিনির দিকে তাকালো,মিনি একটা ভাব নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে,,আহনাফ ওর দুপাশে হাত রেখে বাইক চালাতে মন দিলো,,মেইন রোডটায় ইয়া বড় জ্যাম লেগেছে,এমন জ্যাম যে বাইক চিপাচুপা দিয়েও বের হতে পারবে না,,প্রায়ই বিশ মিনিট হলো তারা জ্যামে বসে আছে
দিবা তখন থেকে একটা ছেলের দিকে তাকিয়ে আছে,ছেলেটা হাতে তেঁতুলের ছড়া নিয়ে কার সাথে যেন কথা বলছে
তেঁতুল দেখে দিবার তো লোভে মন চাইছে নেমে ছেলেটার হাত থেকে কেড়ে নিই,কিন্তু নামলে আহনাফ আবার কত কথা শুনাবে তাই বসে বসে খালি দেখেই যাচ্ছে দিবা
তেঁতুলের ছড়াটায় আবার পাতাও আছে,তাজা গাছ থেকে পাড়া বোঝা যাচ্ছে
জ্যাম ছুটতেই আহনাফ বাইক এক টান দিলো,,দিবা এই সুযোগে ঐ ছেলেটার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ছোঁ মেরে একটা তেঁতুল নিয়ে নিলো
ছেলেটা তার হাতের দিকে তাকিয়ে তারপর দিবার দিকে তাকালো
দিবা কানে হাত দিয়ে সরি বলে দিলো,,
আহনাফ মিররে তাকিয়ে বললো”কারে সরি বলতেছো?”
.
কাউকে না,আপনার কি?সামনে তাকিয়ে চালান
.
দিবা তেঁতুল মুখে দিয়ে দাঁত খিঁচিয়ে ফেলেছে,এত এত টকককককক,,আহনাফের কাঁধে হাত রেখে পাঞ্জাবি একটুখানি খাঁমছে ধরলো সে
সাথে সাথে আহনাফ বাইকটা থামিয়ে ফেললো,রেগে বললো”তোমাকে বললাম আলতো করে ধরবা আমায়,আর তুমি কিনা একেবারে খাঁমছেই ধরলা?মনে হয় রক্ত বাহির হই গেছে,মাঝে মাঝে কি হয় কি তোমার?খাঁমছে ধরলে কেন?”
..
কথাগুলো বলে আহনাফ পিছনে তাকিয়ে দেখলো দিবা তেঁতুল মুখে দিয়ে চুপ করে আছে,হাতে এখনও একটু তেঁতুল আছে
.
তেঁতুল পেলে কই?
.
পথচারী থেকে নিয়ে নিছিলাম
.
চোর একটা!পেটে অসুখ হবে তোমার দেখিও
.
আমি উনাকে সরি ও বলে দিয়েছি
.
দিবার সাথে আর কথা বলে সময় নষ্ট করে লাভ নেই
তাই ভেবে আহনাফ বাইক আবারও স্টার্ট দিতে গিয়ে দেখলো এবার আগের চেয়েও বেশি জ্যাম,কি ঝামেলা,আজ তো বাড়ি ফিরতে মনে হয় কাল সকাল হয়ে যাবে,আজ এত ভিড় কেন সেটাই বুঝলাম না
.
শর্টকাট রোড নাই?
.
আছে,আচ্ছা ঐ রোড দিয়েই যাই তাহলে
.
আহনাফ গলিতে ঢুকে গেলো,,শর্টকাটটাতে অনেক আগে সে এসেছিলো প্রায়ই এক বছর হবে,এখন রোডটা ঠিক ঠাক আছে কিনা তা জানা নাই ওর
তাও অন্ধকারে লাইট জ্বালিয়ে বাইক চালাচ্ছে সে
মিনি নড়াচড়া করছে শুধু,,এতক্ষণ রোডের আলোয় তার খুব ভালো লাগছিলো আর এখন এই অন্ধকার রোডে আহনাফের মুখটা ছাড়া আর কিছুই দেখছে না সে
.
আহনাফ মিনির দিকে তাকিয়ে বললো”এরকম নড়াচড়া করে এটেনশন সিকার হতে চাচ্ছো??একদম ডিস্টার্ব করবা না আমায়”
.
কথাটা বলতে না বলতেই সামনে জোট করে রাখা বাঁশের স্তপের সাথে বাইকের ধাক্কা লেগে গেলো জোরেসোরে আর বাইকে কাইত হয়ে পড়প যাওয়া ধরলো
আহনাফের সবার আগে মিনির কথা মাথায় আসতেই ও মিনিকে বুকে জড়িয়ে নিলো
সে আর দিবা দুজনেই পড়ে গেলো বাইক থেকে কিন্তু মিনির কিছু হলো না কারণ আহনাফ ওকে আগলে ধরেউ পড়ে গিয়েছিলো
অন্ধকারে না দিবা আহনাফকে দেখছে না আহনাফ দিবাকে
আহনাফ কোনোমতে ঠিক হয়ে বসে মিনিকে রোডের উপর ছাড়লো তারপর দিবাকে খুঁজতে পকেট থেকে ফোন বের করছে তাড়াহুড়ো করে,কোন পকেটে ফোন রেখেছে তাই মনে আসছে না ওর
দিবা আস্তে করে বললো”এইতো আমি,আগে বলুন মিনি ঠিক আছে?”
.
তোমার মিনিকে বাঁচাতে গিয়েই আমার হাত ছড়ে গেছে মনে হয়
.
এদিকে মিনি অন্ধকারে দিবাকে খু্ঁজছে শুধু
দিবা তার চুলগুলো মুখ থেকে সরিয়ে মিনিকে ডাকতে ডাকতে উঠার চেষ্টা করলো
আহনাফ তার ফোনের ফ্ল্যাশ অন করে দিবার দিকে ধরে দেখলো দিবা কপালে চোট পেয়েছে,কপালে হাত দিয়ে সে বলছে”এরকম লাইট ধরে আছেন কেন,মিনি কই?”
.
মিনি?সবেমাত্রই তো রোডে ছাড়লাম
.
আহনাফ এবার রোডের দিকে আলো ধরলো
মিনি একবার একদিকে ছুটে দিবাকে খুঁজছে
আহনাফ ওর পিছু পিছু গিয়ে ওরে ধরে বললো”তোমার বইন আমার কাছে,আরেকদিকে কি খুঁজে?হাইচ্ছু!”
.
আহনাফ মিনিকে দিবার কাছে রেখে দিবার হাত ধরে উঠালো ওকে
দিবা কপাল ধরে ঠিক করে দাঁড়াতেও পারছে না,মাথা গুলিয়ে আসছে তার
.
সামনে এরকম বাঁশ রেখেছে কে??আমি একদম খেয়াল করিনি,মিনি নড়াচাড়া করছিলো বলে ওর দিকে তাকালাম ব্যস হয়ে গেলো বিপত্তি, বাইক ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে,ধরো ফোনটা ধরো
বাইকের দিকে লাইটটা ধরে রাখো, দেখি তো বাইক ঠিক আছে কিনা
.
দিবা মাথা ধরে বললো”আমার বমি আসছে,মাথা ঘুরাচ্ছে”
.
আহনাফ দিবার কপালের চোটটা দেখেছিলো,,, ভেবেছে হালকা চোট কিন্তু বমি আর মাথা ঘুরানোর কথা শুনে ওর আর বুঝার বাকি নেই যে চোটটা ছোটখাটো না
তাই সে নিজেই ফোন ধরে বাইকটা উঠালো নিচ থেকে,,সেটাতে বসে স্টার্ট দু তিনবার করে দেওয়ার পর বাইক চালু হলো,,দিবা অন্ধকারে ঘাসের উপর বসে আছে মাথায় হাত দিয়ে,,দুবার বমি ও করে ফেলেছে সে,
,আহনাফ পথেঘাটে কাউকেই পাচ্ছে না একটু পানির জন্য,এদিকে দিবা বাইকে বসার অবস্থায় নাই,,একটু পানি হলেই হতো
দিবা মিনিকে ঝাপসা দেখছে,হয়ত অন্ধকারের কারণে আর নয়ত সে জ্ঞান হারাবে শীঘ্রই
.
জনমানবশূন্য একটা এরিয়াতে এসে তারা বিপদে পড়লো
এই রোডটা যে বন্ধ হয়ে গেছে তা জানা ছিলো না আহনাফের
অন্ধকারের কারণে সহজে চোখেও পড়েনি এই বাঁশগুলো
একটা গাড়ীও আসে না এদিকে,বাড়িঘর কিছুই নাই সব ঝোপঝাড়,পানি তো দূরে থাক,,মানুষের আনাগোনাই তো নাই
এভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবো,দিবা জ্ঞান হারালে আমার জন্য টাফ হয়ে যাবে
.
অনেক ভেবেচিন্তে আহনাফ এগিয়ে এসে দিবার কপালের উপর লাইট ধরে দেখলো রক্ত বের হয় কিনা তারপর দিবার হাত ধরে ওকে উঠিয়ে বললো”বাইকের সামনে বসতে পারবে?”
.
আপনার মাথা ঠিক আছে?
.
আমার মাথা ঠিক আছে,বরং তোমার মাথা গেছে,যার কারনে দুবার বমি করলা,জলদি করে তোমায় নিয়ে হসপিটালে যেতে হবে আর তার জন্য তোমায় বাইকে বসতে হবে এখন,পিছনে বসলে তুমি আমাকে শক্ত করে ধরতে পারবা না কারঙ সেই হালে এখন নাই তুমি
.
আমি সামনে বসলে আপনি বাইক চালাবেন কি করে?
.
সেটা আমি ম্যানেজ করবো,তুমি জাস্ট মিনিকে ধরে রাখবা,আসো
.
আহনাফ বাইকে বসে দিবাকে সামনে জায়গা করে দিলো
দিবা আহনাফের গলা ধরে বাইকে বসলো ওর সামনে,,মিনিকে বুকে ধরে বললো”এবার চালাবেন কি করে?”
.
তোমাকে এত কথা বলতে বলে কে?চুপ করে থাকতে পারো না,দেখবাই তো আমি কেমন করে বাইক চালাই,বিপদের মধ্যে বিপদ,কতবার বলেছি দিবারে তোমরা সাথে করে নিয়ে যাও,কিন্তু নাহ আমার উপরই দায়িত্ব বার দিবে সবসময়
.
দিবা আস্তে করে বললো”ভালোই হয়েছে,,আপনার পরিবারের কেউই নেই,তাদের জায়গায় আমি চোট পেলাম
নাহলে আজ আমার জায়গায় তারা আহত হতো”
.
আহনাফ আর কিছু বললো না,বাইকটা স্টার্ট দিলো সে,দিবা চিকন বলে তেমন একটা সমস্যা হচ্ছে না তবে আহনাফের ডান পায়ের উপর দিবার পা দুটো,,কিছু করার নাই,দিবা পা রাখবে কোথায় তাহলে,,আহনাফ ও চুপচাপ চালাচ্ছে,এর ছাড়া আর কোনো উপায় ছিলো না
দিবার মাথা আরও বেশি ঘুরাচ্ছে বলে সে মাথাটা আহনাফের বুকে এলিয়ে দিয়ে আবার কি মনে করে মাথাটা সরিয়ে ফেললো,,আহনাফই সরাতে বলতো পরে কি ভেবে কিছুই বললো না তার আগেই দিবা সরিয়ে ফেললো
দুই কিলোমিটার পরে একটা ছোটখাটো ফার্মেসী পেয়ে গেলো আহনাফ,,সেখানে বাইক থামিয়ে দিবার কপালে হালকা পাতলা একটা ব্যান্ডেজ করিয়ে নিলো
তারপর ওকে নিয়ে বাসার দিকে রওনা হলো
দিবা এখন পিছনেই বসেছে,মুখে কথা নেই তার
আহনাফ হাঁচি দিতে দিতে শেষ হয়ে যাচ্ছে তাও মুখে টু শব্দটাও করছে না
মিনি ও চুপ,,আজ আহনাফ ওকে ধরে না পড়লে হয়ত ওকে বাঁচানোই যেতো না,ঠিক সময়ে আহনাফ ওকে বুকে ধরে ফেলে নিজে হাতে চোট পেয়েছে,,পাঞ্জাবির উপর দিয়ে বোঝা গেলেও দিবার চোখে পড়েনি,দিবা নিজেই ঘুরফিরে পড়ে যাচ্ছে
বাসায় ফিরতে আরও আধ ঘন্টা লাগলো,,বাবা মা আর আরিফ সবাই টেনসন করছে এত দেরি হচ্ছে কেন তা ভেবে
বাসায় ফিরতেই আহনাফ আর দিবাকে এই অবস্থায় দেখে তাদের মুখের কথাই হাওয়া হয়ে গেলো
বিশেষ করে দিবার মাথায় ব্যান্ডেজ দেখে তো খালামণি পেরেশান হয়ে গেলেন,,বরফ,পানি ঔষুধ নিয়ে ছোটাছুটি শুরু করলেন উনি
দিবা বার বার বলছে সে ঠিক আছে কিছু হয়নি
আহনাফ নিজের রুমে চলে গেছে ততক্ষণে,,দিবার কাছ থেকে খালামণি নড়ছেন না,কেঁদেই যাচ্ছেন শুধু,,তার কারণে নাকি এমন হয়েছে,,দিবাকে নিজের সাথে আনলে আজ এমন হতো না
দিবা বুঝালো এতে তার দোষ নেই,কে শোনে কার কথা দিবাকে ঘুম পাড়িয়ে তারপর খালামণি নিজের রুমে গেলেন,,আহনাফের যে হাতে চোট লেগেছে সে কাউকে বুঝতে দেয়নি
পাঞ্জাবি খুলে ড্রেসিং টেবিলের সামনে এসে ঘুরে ওলটপালট হয়ে অনেক চেষ্টা করেও কোথায় ব্যাথা পেলো সেই জায়গাটা দেখতে পেলো না,একেবারে পিঠের ওপাশে, তার উপর ঘুমের নেশা ধরেছে,আজ সারাদিন অনেক দখল গেছে বলে ফ্রেশ না হয়েই উদম গায়ে আহনাফ বিছানায় শুয়ে পড়লো
রাত একটার দিকে দিবা ঘুম থেকে জেগে গেলো কিসের যেন শব্দে,খুব করে পানির তৃষ্ণা লাগায় দিবা বিছানা থেকে নেমে ডাইনিং রুমের দিকে গেলো,,পানি খেয়ে চলে আসতে নিতেই আহনাফের রুমে দেখলো লাইট জ্বলে
আহনাফ আজ মিনিকে বাঁচিয়েছে উনাকে একটা ধন্যবাদ দেওয়া উচিত ছিলো
দিবা গুটিগুটি পায়ে দেখতে গেলো আহনাফকে,,আহনাফ গভীর ঘুমে,দিবা লাইটটা অফ করতে গিয়ে দেখলো আহনাফের কাঁধ বরাবার পিঠে লাল দাগ হয়ে আছে,ক্ষতটা নতুন মনে হচ্ছে বলে দিবা এগিয়ে এসে হাত লাগালো দেখার জন্য
আহনাফ খপ করে হাতটা মুচড়ে ধরে উঠে বসে পড়লো
সে ভাবলো চোর না ডাকাত পরে দিবাকে দেখে হাত ছেড়ে দিলো সঙ্গে সঙ্গে
.
আপনার পিঠে তো ব্যাথা পেয়েছেন,,মলম লাগাননি কেন?
.
এমনি
.
এমনি মানে!দাঁড়ান আমি লাগিয়ে দিচ্ছি
.
দিবা ছুটে গেলো মলম আনতে,,সে নিজেকে নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলো যে আহনাফ চোট পেয়েছে কিনা সেদিকে ওর খবর নেই
অনেক খু্ঁজে মলম বের করে আবার আহনাফের কাছে আসলো সে
আহনাফ আবারও ঘুমিয়ে পড়েছে
দিবা ওর পাশে বসে হাতে মলম নিয়ে আহনাফের পিঠে লাগিয়ে দিলো,হাত কাঁপছে ওর,,কোনোদিন এরকম করে কোনো ছেলেকে ছোঁয় নি বলে কেমন কেমন যেন লাগছে ওর,,মলমটা কোনোমতে লাগিয়ে রুমের লাইট অফ করে চলে আসলো দিবা নিজের রুমে,,বিছানার এক কোণায় মিনি ঘুমাচ্ছে
দিবার চোখে ঘুম নেই,,মাথায় হাত দিয়ে বিছানায় হেলান দিয়ে বসে আছে সে এখন
মিনির কারণে আজ এক্সিডেন্টটা হলো অথচ আহনাফ ওকে কিছু বললো না,ওর উপর দিয়ে আমাকেও বকলো না,কত পেরেশানিতে পড়লো যে নিজের চোটের দিকেই নজর দিলেন না
লোকটাকে আমি ঠিক বুঝতে পারি না

সকালে ঘুম থেকে উঠে আহনাফ টের পেলো হাতে ব্যাথা নেই,বিছানার উপর মলমটা পড়ে আছে,লাইট ও অফ
দিবা মলম লাগিয়ে চলে গেছে মনে হয় কাল রাতে,,বিছানা ছেড়ে ফ্রেশ হতে গেলো সে,,নামাজ পড়তে হবে
.
দিবা ঠিক একই সময়ে উঠেছে,,মাথার ব্যান্ডেজটা খুলে ফেললো সে নিজে নিজেই,এটার কারণে সারারাত অস্বস্তি লেগেছিলো,আর রাখা যাবে না এটা
খুলে কপালে হাত বুলালো সে,এমন চোট পেলো সে যে বমিই এসে গেলো আরও কত ঝামেলাও হয়ে গেলো
আচ্ছা উনার হাতের ব্যাথা কি গেছে?একবার দেখে আসবো?যদি ধমক দেয়?
না একবার দেখে আসি পরে আবার বলবে মিনিকে বাঁচালাম তোমার খেয়াল রাখলাম একটিবার খবর ও তো নিলে না
.
দিবা ওড়না গায়ে জড়িয়ে আহনাফের রুমের কাছে আসলো,দরজাটা খোলাই আছে কিন্তু আহনাফ রুমে নেই,বাথরুম থেকে পানির আওয়াজ আসছে মনে হয় উনি সেখানে
চলে যাব?নাহ থাকি একটু,দেখে তারপর যাব,বকলে বকুক
চলবে♥

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here