#জীবন_সাথী💜
লেখিকা-জান্নাতুল ফারিয়া প্রত্যাশা
৩১.
~
একগাদা শপিং করে এসে ক্লান্ত শরীরটা বিছানায় এলিয়ে দেয় অনু।বিয়ের শপিং যে এত ঝামেলার তা আগে জানা ছিল না তার।অনু পাশ থেকে একটা বালিশ টেনে তার মাথার নিচে রেখে উপরে থাকা সিলিং ফ্যানটার দিকে স্থির দৃষ্টি নিক্ষেপ করে মনে মনে ভাবে;কি তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে সব কিছু।এত সহজেই যে সে আরাফকে তার #জীবন_সাথী হিসেবে পেয়ে যাবে সেটা সে ভাবতেই পারেনি।ইশ!ভার্সিটির সব থেকে হেন্ডসাম স্যারটা তার হাসবেন্ট হতে চলছে।ভাবতেই অনুর মুখে হাসি ফুটে উঠে।অনু ক্লান্ত চোখের পাতা গুলো বুজে আসতে নিলেই ওর ফোনটা বেজে উঠে।অনু চোখ মুখ কুঁচকে পাশ থেকে ফোনটা নিয়ে দেখে রুমি কল দিচ্ছে।রুমির নামটা দেখা মাত্রই অনুর বিরক্তিতে কপাল কুঁচকে আসে।যতই বিরক্ত লাগুক কলটা তাকে ধরতেই হবে নয়তো এই মেয়ে কল দিয়েই যাবে;অনু তাই একরাশ বিরক্তি নিয়ে কলটা রিসিভ করে।
”দোস্ত আমার তো আমার জামাটার সাথে ম্যাচিং করে এয়ারিং কিনা হলো না।”(কাঁদো কাঁদো গলায় বললো রুমি)
অনু দাঁতে দাঁত চেপে বলে,
”আমি বুঝি না রুমি বিয়েটা আমার না তোর হুম?ভাই রে ভাই আজ আমার লেহেঙ্গা কিনতে এতো সময় লাগেনি যতটা তোর একটা জামা কিনতে লেগেছে।এখন আবার শুরু করলি এয়ারিং নিয়ে।বইন আমি আর পারবো না তোর আর যা যা লাগে তিহাকে নিয়ে গিয়ে কিনে নিয়ে আয়;আমাকে আর কিছু বলিস না আমি খুব ক্লান্ত।”
অনুর কথা শুনে রুমি ঠোঁট উল্টিয়ে বলে,
”কিন্তু দোস্ত তিহা তো তোর মতো এতো বুঝেনা।আমার জামাটার সাথে কোন কালারটা মানাবে;দুল গুলো কেমন হাইটের হলে ভালো হবে;কেমন স্টোনের হবে এই গুলোতো তুইই ভালো বুঝিস।প্লিজ দোস্ত সন্ধ্যার পর আরেকবার বের হবি;আমি প্রমিস করছি জাস্ট আধ ঘন্টা লাগবে।শপিং মলে যাবো এক জোড়া দুল কিনবো আর চলে আসবো।একটুও সময় লাগবে না।প্লিজ দোস্ত রাজি হয়ে যা।”
বেচারি অনুর ইচ্ছে তো করছে এই রুমিটার মুখে স্টেপলার মেরে বসিয়ে রাখতে।এত বিরক্ত কেন করে মেয়েটা।এখন ভীষণ রাগ হচ্ছে অনুর তাও নিজেকে কোনোরকমে শান্ত করে বলে,
”ঠিক আছে।তবে জাস্ট এক দোকানে যাবো আর সেখান থেকে কিনেই বের হবো;আর তুই যদি এই দোকান ওই দোকান ঘুরিস তবে আমি তোকে সেখানে রেখেই একা চলে আসবো।মনে থাকে যেন!”
রুমি খুশিতে গদ গদ হয়ে বলে,
”আচ্ছা দোস্ত তুই কোনো টেনশন নিস না।আমি একটুও ঘুরবো না।তুই যেটা পছন্দ করে দিবি সেটা কিনেই বেরিয়ে আসবো।প্রমিস।”
”আচ্ছা মনে থাকে যেন।রাখছি!”
.
কথা শেষ করে অনু ফোনটা তার পাশে রেখে দিয়ে তার পেত্নী বান্ধবী গুলোর কথা ভাবে।সকাল শপিং যাওয়ার সময় ওদের ও নিয়ে গেছিলো।ওরা যখন অনুর বিয়ের কথা জানতে পারে তখন এক এক জন যে কি একটা রিঅ্যাকশন দেখিয়েছিলো না ওদের উত্তেজনা আর আনন্দ দেখে মনে হচ্ছিলো অনুর না ওদেরই বিয়ে ঠিক হয়েছে।অনুর বিয়ের শপিং এর সাথে সাথে ওরাও ওদের শপিং করে ফেলে।সবার সব কেনাকাটা শেষ হয়ে গেলেও রুমির এখনো হয়নি।তার এখন আবার এয়ারিং লাগবে।উফফ আবার এই এয়ারিং কিনতে ওর কতক্ষন লাগে আল্লাহই জানে।কথা গুলো ভেবে অনু মনে মনে বিরক্তিভরা নিশ্বাস ফেলে চোখ বন্ধ করতে নিলেই অনুর আরাফের কথা মনে পড়ে।আরাফ যাওয়ার পর থেকে এখন অবধি অনুর সাথে কোনো কথা হয়নি।অনু শুয়া থেকে উঠে বালিশের পাশ থেকে মোবাইলটা হাতে নেয়।মোবাইলে তখন ৫:০০টা বাজে।অনুর মনটা কেন যেন খারাপ হয়ে গেলো।আজ সারাটাদিন চলে গেলো আরাফ কি একবারও তাকে কল দেয়ার সময় পায়নি!একটা তো মেসেজও দিতে পারতো।কথা গুলো ভেবে ঠোঁট উল্টিয়ে গালে হাত দিয়ে বসে অনু।কিন্তু পরক্ষনেই সে আবার ভাবে;নিশ্চয় আরাফ খুব বিজি আছে।সে একাই নিশ্চই সব কিছু সামলাচ্ছে।ইশ বেচারা নিশ্চই দম ফেলার সময় পাচ্ছে না আর সে কিনা আরাফ কল দেয়নি বলে মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।মুখ তো আরাফের ফুলানো উচিত;কারণ তার উচিত আরাফকে কল দিয়ে খোঁজ খবর নেওয়া আর সে এটা না করে নিজে উল্টা মুখ ফুলিয়ে বসে আছে।কথাটা ভেবে অনু চটজলদি আরাফের নাম্বারটা তার ফোনে ডায়েল করে আরাফকে কল দেয়।পরপর দুটো কল বাজতেই ওপাশ থেকে কলটা কেউ ধরে,
”হ্যালো!হুম অনু বলো”
আরাফের ক্লান্তমাখা মিহি কণ্ঠ শুনে অনু কিছুটা কেঁপে উঠে।তারপর সে নিজেকে সামলিয়ে বলে,
”আপনি কি খুব বিজি স্যার?”
”হুম আসলে এইদিকের সব কিছু আমার একাই সামলাতে হচ্ছে তো।অবশ্য আমার কিছু আত্মীয় স্বজন আর কাজিনরা এসেছে তবুও ওরা কেউ পারফেক্টলি কোনো কাজ করতে পারছে না।”
এইটুকু বলে আরাফ ছোট্ট একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
”আবার আমার আর বাবার সব কথা ওতো উনারা সবাই জানেন তাই সবার মধ্যেই কেমন একটা অস্বস্থি কাজ করছে।তাই আমিও কাউকে কোনো কিছুতে জোর করছিনা যতটুকু পারছি নিজেই সবটা সামলানোর চেষ্টা করছি।তো তুমি কি করছো?”
”এইতো শপিং শেষ করে এসে এখন রেস্ট নিচ্ছি।”
”ওহ অনু তোমাকে তো বলা হয়নি আমার এখানে রিহানও এসেছে।ও আসার পর একটু শান্তি পাচ্ছি।ছেলেটা সকাল থেকে অনেক খাটছে।ও না থাকলে আমার অবস্থা তো আরো খারাপ হয়ে যেত।”
”আচ্ছা রিহান আপনার এইখানে তাই তো সকাল থেকে তিহা কল দিচ্ছে কিন্তু ও কল ধরছেনা।”
”আর বলোনা।ও যে ওর ফোন কোথায় রেখেছে ওই জানে।সারাদিন দৌড়াদৌড়িতে ফোনের কথা বোধ হয় মনেই নেয় ওর।তুমি তিহাকে বলে দিও।নয়তো ও আবার টেনশন করবে।তবে জানো তো ওকে এইভাবে দেখে আমার ওর প্রতি অপরাধ বোধটা আরো বেড়ে যাচ্ছে।এই ছেলেটাকেই ভুল বুঝেছিলাম আমি।এখন খারাপ লাগছে খুব।”
অনু বুঝতে পারে আরাফের মন খারাপ হচ্ছে তাই সে আরাফকে শান্তনা দিয়ে বলে,
”থাক না যা হওয়ার তাতো হয়ে গিয়েছে এখন এসব নিয়ে ভাবলে শুধু শুধু কষ্ট পাবেন।তার চেয়ে এসব ভাবা বাদ দিয়ে দুজন মিলে ভালো ভাবে কাজ করুন।আফটার অল আরাফ স্যারের বিয়ে বলে কথা।আচ্ছা শপিং করা শেষ আপনার?”
”জ্বি মিস. টমেটো শেষ।কাল ঠিক সময় মতো আপনার জিনিস পত্র আপনার কাছে পৌঁছে যাবে।লেহেঙ্গাটা তো তোমার পছন্দেই কিনেছো;একটা পিক দিয়ো তো দেখবো কেমন দেখতে।”
অনু হেসে বলে,
”উহু এক্কেবারে পরশু দিন দেখবেন যখন আমি ওই লেহেঙ্গাটা পরে বউ সেজে আপনার সামনে আসবো তখন।”
”ওকে মিস.টমেটো আমি তাহলে সেদিনের জন্য অপেক্ষা করছি।আচ্ছা অনু শুনো পরে কথা বলছি ওই ডেকোরেশনের লোক গুলো উল্টা পাল্টা কাজ করছে আমার দেখিয়ে দিতে হবে।এখন রাখছি কেমন!”
”আচ্ছা।আল্লাহ হাফেজ!”
”ওকে।আল্লাহ হাফেজ।”
.
আরাফ কল কাটতেই অনু আবার বিছানায় গা এলিয়ে দেয়।এখন অনু শান্তি পাচ্ছে আরাফের সাথে কথা বলতে পেরে।অনু তিহাকে কল দিয়ে জানিয়ে দেয় যে রিহান আরাফের বাসায় আছে।তিহার সাথে কথা বলা শেষেই অনু ঘুমের রাজ্যে হারিয়ে যায়।
.
মাগরিবের আজান শুনে ঘুম ভাঙে অনুর।ঘুম থেকে উঠে নামাজ পড়ে নেয় সে।নামাজ শেষে জায়নামাজটা ভাঁজ করে রাখতেই অনুদের মেইন দরজার কলিং বেলটা বেজে উঠে।অনু জানে রুমি এসেছে;তাই সে গিয়ে দরজা খুলে।দরজা খুলতেই রুমি তার সেই দাঁত কেলানো ঐতিহাসিক হাসিটা দেয়। অনুও হালকা হেসে রুমিকে বলে,
”আসুন মেডাম আপনারই অপেক্ষা করছিলাম।যান আমার রুমে গিয়ে বসুন আমি তৈরী হয়ে নিচ্ছি।”
অনুর কথা মতো রুমি অনুর বাবার মার সাথে সৌজন্যমূলক কথা বলে অনুর রুমে গিয়ে বসে।
”বাহ্ অনু তোদের বাড়িতে তো সেই রকম তোড়জোড় চলছে।আন্টি কি সুন্দর পিঠা বানাচ্ছেন।বাইরেও দেখলাম খুন সুন্দর ডেকোরেশন চলছে।একটা বিয়ে বাড়ি বিয়ে বাড়ি আমেজ চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে।আর ড্রয়ইং রুমে দেখলাম অনেক মানুষ উনারা কারা?”
অনুর হিজাব বাঁধতে বাঁধতে বলে,
”উনারা আমার দাদু আর নানু বাড়ির লোকজন।অর্ধেক আজ এসেছে আর বাকি অর্ধেক কাল আসবে।সিদ্ধান্তটা তো হঠাৎ নেওয়া হয়েছে তাই সবাই প্রিপারেশন নিতে একটু সময় নিচ্ছে।কাল আসবে আমার সব কাজিন নামক বিচ্ছুদের দল।”
”ওহ আচ্ছা।তুই রেডি হয়ে থাকলে এবার চল।”
”হুম চল।”
অনু তার মাকে বলে রুমিকে নিয়ে বেরিয়ে যায়।প্রায় ২ ঘন্টা পর অনু তিহা আর রুমিকে নিয়ে তার বাসায় আসে।তিহাকে আর রুমিকে অনু জোর করে তার বাসায় নিয়ে এসেছে।অনুর ভাষ্যমতে অনুর বিয়ের আগ পর্যন্ত তারা এখানেই থাকবে।যদিও তারা অনেক বারণ করছিলো তবে অনুর মুখের উপর তারা টিকতে পারেনি।তাই একেবারে কাপড় চাপড় নিয়ে তারা এখানে চলে এসেছে।অনুর মাও ওদের দেখে খুব খুশি হয়।তারাও অনুর বাড়িতে এসে বিয়ের আনন্দে মেতে উঠে।..
.
সকাল সকাল মুখ ফুলিয়ে বসে আছে অনু।এতো সকালে তাকে ঘুম থেকে তুলে এত হলুদ দিয়ে গোসল করানোর মানে হয়।এটা নাকি নিয়ম।এইসব নিয়ম কানুন কে তৈরী করেছে অনু এখন তাই ভাবছে।অনু কাঁদো কাঁদো মুখ করে তিহা আর রুমির দিকে তাকিয়ে দেখে ওরা দুজন মুখ টিপে হাসছে।ওদের হাসি দেখে অনু চোখ মুখ শক্ত করে বলে,
”হুম হাসো হাসো আমারও সময় আসবে তখন আমিও হাসবো।”
কথাটা বলে অনু আবার মুখ ফুলায়।
.
অনুদের বাসার ছাদে তার হলুদের আয়োজন করা হয়েছে।বিকেল থেকে অনুর কাজিনরা আর তিহা রুমি মিলে অনুকে সাজাচ্ছে।হালকা জলপাই রঙের একটা লেহেঙ্গা পড়েছে অনু।সাথে সাদা রঙের সব ফুলের অর্নামেন্টস।তার ফর্সা গায়ের রঙের সাথে জলপাই কালারটা খুব সুন্দর ভাবে মিশে গিয়েছে।এ যেন কোনো ফুলের রানী।অনুকে সাজানো শেষ হতে সেখানে উপস্থিত সকল কাজিন আর ফ্রেন্ডরা একসাথে বলে উঠে;”মাশাল্লাহ”।রুমি দুষ্ট হাসি দিয়ে বলে,
”উফফ দোস্ত তোকে যা লাগছে না।আমাদের স্যারের তো আজ ঘাম ছুটে যাবে তোর হটনেসে।”
রুমির কথায় আজ আর অনু রাগলো না বরং সে লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেললো।সবাই অনুকে নিয়ে ভীষণ মজা করছে।অনুকে এই সাজে দেখলে আরাফের কি অবস্থা হবে সেটা নিয়েই সবাই আলোচনা করছে।আর এই দিকে বেচারি অনু তো ওদের প্রতিটা কথায় লজ্জায় মাটির সাথে মিশে যাচ্ছে।কিছুক্ষন বাদে সেই রুমে অনুর মা আসে।অনু মাকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ে।রাহেলা বেগম মেয়েকে এমন সাজে দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।তিনি অনুর কাছে গিয়ে তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বলেন,
”মাশাল্লাহ আমার মাকে আজ একদম পরীর মতো লাগছে।”
কথাটা বলে উনি উনার চোখের নিচ থেকে হালকা একটু কাজল অনুর কানের পেছনে লাগিয়ে দিয়ে বলেন,
”কারো যেন নজর না লাগে আমার পরীটার উপর।অনেক দোয়া করি মা,তুমি আর আরাফ অনেক সুখী হও।”
.
অনু তার মার কথা শুনে তাকে জড়িয়ে ধরে।রাহেলা বেগমও তার মেয়েকে বুকে জড়িয়ে নেন।মায়ের বুকের সাথে মিশে গিয়ে আজ এক অন্যরকম ভালো লাগা কাজ করছে অনুর।যেন অন্যরকম এক শান্তি তার পুরো শরীরে ছেয়ে গেছে।এই শান্তি আর অন্য কিছুতে নেয়।অনুর গাল বেয়ে টুপ্ করে দুফোঁটা চোখের জল গড়িয়ে পরে।মা দেখার আগেই সেটা আবার হাত দিয়ে মুছে ফেলে সে।বেশ কিছুক্ষন মেয়েকে এইভাবে বুকে জড়িয়ে রেখে রাহেলা বেগম বলে উঠে,
”এবার চল মা ছাদে যেতে হবে।ছাদে সবাই তোর জন্য অপেক্ষা করছে।এই তোরা সবাই অনুকে নিয়ে আয়।আমি ছাদে যাচ্ছি।”
কথাটা বলে অনুর মা চলে যান।আর তিহা রুমি আর বাকি সবাই মিলে অনুকে ছাদে নিয়ে যায়।ছাদে গিয়ে স্টেজের দিকে তাকাতেই থমকে যায় অনু।অনুর বুকের ধুকধুকানি বেড়ে যায়।নিশ্বাস ভারী হয়ে আসছে;চোখের সামনের মানুষটিকে দেখে সব কিছু এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে অনুর।একটা হালকা জলপাই রঙের পাঞ্জাবি পরে স্টেজে বসে মুখে মিষ্টি একটা হাসি ঝুলিয়ে অনুর দিকে তাকিয়ে আছে আরাফ।আরাফের হলুদও যে এখানে হবে সেটা অনুর জানা ছিল না।সকাল থেকে এত ব্যাস্ততায় তার সাথে কোনো কথা হয়নি অনুর।তাই এই মুহূর্তে সে আরাফকে দেখে ভীষণ অবাক।তার উপর আরাফকে এই জলপাই রঙের পাঞ্জাবিতে যা লাগছে না।পাঞ্জাবিটার প্রথম দুটো বোতাম খোলা হওয়ায় আরাফের ফর্সা লোমশ বুকটা কিছুটা দৃষ্টিগুচর হচ্ছে।আরাফ আর অনুকে দেখে কি টাস্কি খাবে অনুর তো নিজেই আরাফকে দেখে অজ্ঞান হওয়ার অবস্থা।অনুকে যত স্টেজের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে অনুর বুকের ধুকধুকানি ও ততো বাড়ছে।আরাফেরও আজ চোখের পলক পড়ছে না অনুকে দেখে।আজ আবার নতুন করে সে অনুর প্রেমে পড়েছে;যেমনটা পড়েছিল ৫ বছর আগে।
চলবে..
(আল্লাহকে ভয় করো;পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়)
{আসসালামু আলাইকুম।এই যে আমার গল্পের পাঠক পাঠিকারা তোমাদের সবাইকে অনু আর আরাফের বিয়ের দাওয়াত রইল।আর আসার সময় অনেক গুলো আইসক্রিম গিফ্ট হিসেবে নিয়ে এসো কেমন!!😁}