অন্ধকার মানব পর্ব-10

0
729

#অন্ধকার_মানব(The unpredictable love)
#পর্ব_১০
লিখাঃতাজরিয়ান খান তানভি

আজ সকাল হতেই ঝুম বৃষ্টি।যেন তাকে বাধা দেওয়ার কেউ নেই।গ্রীষ্মে মৃতপ্রায় প্রকৃতি যেন তার প্রান ফিরে পেয়েছে।আকাশ আজ বৃষ্টির ছোয়ায় সব বদলে দিবে।জানালার সামনে দাড়িয়ে রিশাল ভাবছে–
সে কি পারবে বৃষ্টির মতো তার স্পাইসির ভাগ্য বদলাতে!!

কালো গোলাপ ব্যবহার করে নেকড়ে মানবরা তাদের চিহ্নিত ব্যক্তির উপর নজর রাখে।তারা তাকে সবদিক থেকে ঘিরে থাকে যেন অন্য কোন শক্তি তাদের আশেপাশে আসতে না পারে।
তারা তাকে নিজের আয়ত্তে রাখতে নিজের শরীরের রক্ত দান করে তাতে,যাতে করে গোলাপ গাছটি তার বশে থাকে আর তার দেওয়া কাজ অনুযায়ী চিহ্নিত ব্যক্তির উপর নজর রাখে।
রিশাল কে সেদিন নেকড়ে রা এই জন্যই মারতে এসেছিল কারন গোলাপ গাছটায় ফুল ফুটেছে।তার মানে কেউ এসেছে যে তাদের শক্তির বিরূদ্ধে লড়ার ক্ষমতা রাখে।তার মানে কেউ আছে যে স্পাইসি কে নিজের আয়ত্তে রাখতে ওই কালো গোলাপ পাঠিয়েছে।কে সে??
আনটি বলেছে এইটা আঙ্কেল নিজে নিয়ে এসেছে।তার মানে আঙ্কেল সব জানে।সব জেনেও তিনি নিশ্চুপ কেনো!!

“এই কি করছো”?
“এ তো সকালে আমার ঘর কি মনে করে?”
“এভাবে বলছো কেনো??কি হয়েছে রিশাল?”
“কই,,,,কিছু না তো।
দ্বিধা জানালার গ্রীলের ফাক দিয়ে হাত বের করে ঝিরিঝিরি বৃষ্টির পানিতে নিজের হাত ভেজায়।আনমনে বলে–
“জীবন বড় অদ্ভুত।ক্ষনে ক্ষনে রঙ বদলায়।”

রিশাল নেশাতুর চোখে দ্বিধা কে দেখছে।কেন জানি মেয়েটাকে যত দেখে ততই ওর প্রেমে পড়তে ইচ্ছে করে।
“একবার কি সুযোগ দেওয়া যায় না আমায়??”
দ্বিধা জানালা থেকে হাত ভিতরে নিয়ে আসে।চোখভরা এক অদ্ভুত মায়া।বিছানায় বসে বলে–
“আমার পরিনয় তো হয়েছে শুধু তা পূর্নতা পায়নি।’
বুকের ভিতর একরাশ জমানো কষ্ট যেন উপচে বের হতে চায়। অনেক কষ্টে তাকে বুকের মাঝে বন্দি করে রেখেছে।

রিশাল এসে দ্বিধার দু হাত নিজের মুষ্টিতে নিয়ে ঠোঁটের উষ্ণ স্পর্শ একে দেয় তাতে।
“জীবন তো থেমে থাকার নয়। আপন গতিতে তা বহমান।
তোমার দ্বারে দাঁড়িয়ে আমি
খুজছি তোমায় দিনরাত্রি
পাবো কি তোমার দেখা?নাকি
নতুন গন্তব্যে হবো পথযাত্রী।।

দ্বিধা ওর গোলাপ রাঙা দুটো একটু ছড়িয়ে বলে–
“আজকাল তোমার কথা শুনে আমার খুব প্রেম প্রেম পায়,প্রেমিকপুরুষ।
কিন্তু তাতো হবার নয়। বাসি ফুলের মালায় যে উৎসর্গ হয় না তা কি তুমি জানো না!!
আমি না হয় তার প্রিয়দর্শিনী না হতে পারলাম,সে তো আমার প্রিয়মোহ।”

আকাশে বিদ্যুতের ঘনঘটা। অকষ্মাৎ তা ডেকে উঠে।দ্বিধা রিশাল এর হাত ধরে টেনে ছাদে নিয়ে যায়।ঘন বর্ষণে দু হাত ছড়িয়ে ভিজতে থাকে।বৃষ্টির প্রতিটি ফোটা যেন ওর অপূর্ণ গ্লানি মুছড়ে দিচ্ছে ওর পায়ের নিচে।

রিশাল এক মনে দেখছে ওকে।বৃষ্টির ছোয়া যেন নতুন প্রানের দ্বার খুলেছে।ভেজা শরীরে ওকে আরো মায়াময় লাগছে।

“মায়াপরী,কেন বৃষ্টিতে ভিজলেন আপনি?”
“সরি প্রফেপর।”
“এখন ঠিক আছেন আপনি?”
“হুম’
টানা এক ঘন্টা ভেজার কারনে দ্বিধার জ্বর জ্বর অনুভূত হয়।ভার্সিটিতে না যাওয়ায় ইতাফ নিজে আসে ওর সাথে দেখা করতে।রিশাল সোফায় বসে ল্যাপটপে হাতড়াচ্ছে।ইরাজ ইরাম অফিসে থাকায় ওর এখানে থাকে বেশী বেগ পেতে হয়নি। পারিজা ইরামের সেই ক্ষমতা নেই।ইতাফ কিছু বলতে গিয়েও বলেনি।

রিশালের চোখ এখনো দ্বিধার দিকে আটকানো।যখন থেকে ইতাফ এসেছে ও যেন এক নিরব প্রানে পরিনত হয়েছে। ইতাফের কাছে ও যেন এক আজ্ঞাকারী কয়েদির মতো।ওর প্রতিটি নিঃশ্বাস যেন ইতাফের অনুমতিতে বাতাসে মেশার অধিকার পায়।

“আঙ্কেল স্পাইসির গলার লকেট টা কোথায় থেকে এনেছেন?”
রিশাল এর এমন প্রশ্নে ইরাজ ইরাম বড় ধরনের ধাক্কা খায়।কন্ঠের ক্ষীপ্ততা বাড়িয়ে বলে–
“সেটা তোমার না জানলেও চলবে।”
এমনি তে ইরাজ রিশাল কে তার নিজের সন্তানের মতোই স্নেহ করেন,কিন্তু যখনি তাকে দ্বিধার সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন করা হয় তার গলার সুর বদলে যায়।

সিড়ি বেয়ে নেমে আসে দ্বিধা আর রিপ্তি।জাদ এর কাছ থেকেই জানতে পেরেছে ওর আসুস্থতার কথা,তাই ওকে দেখতে আসে।কিন্তু দ্বিধা তা জানে না।ড্রয়িং রুমের সোফায় বসেই কথা বলছিল ইরাজ আর রিশাল। দ্বিধা কে দেখেই রিশাল এগিয়ে গিয়ে বলে–
“স্পাইসি তোমার গলার লকেট টা দেখি তো??”
দ্বিধা দু পা পিছিয়ে বলে–
“তোমাকে না কাল বললাম,,,,,,
“আরে,,আমি তো জাস্ট একটা ছবি তুলবো।আসলে কি বলোতো এইটার ডিজাইন টা আমার খুব পছন্দ হয়েছে,তাই আমি ও এমন একটা বানাতে চাই।আমার এক বন্ধু আমেরিকা তে এই ধরনের এন্টিক পিস তৈরি করে।ছবি টা আমি ওকেই পাঠাবো।
এইটাতে তো কোন সমস্যা নাই,,হাত দিয়ে ধরার তো কোনো প্রয়োজন পরবে না।আড়চোখে তাকিয়ে ইরাজ ইরাম কে বলে–
“তাই না আঙ্কেল!!

“সুধানিধির কি অবস্থা এখন??”
“জ্বর নেই।আচ্ছা তুমি কি করে জানো ও অসুস্থ??”
“রিশাল বলেছে।”
“তাহলে তুমি নিজে গেলে না কেনো??”
“সময় হলে যাবো।”
“সত্যি করে বলোতো তুমি কি লুকোচ্ছো আমার কাছ থেকে?”
“কিছু অজানা,অজানা থাকাই শ্রেয়।”
দ্বিধাদের বাসা থেকে কয়েকগজ দূরেই গাড়ি থামিয়ে রিপ্তি কে ওদের বাসায় পাঠিয়ে নিজে সেখানেই অপেক্ষা করতে থাকে।

বিকেলে সূর্যের তাপ অনেকটা কমে এসেছে।আকাশে খানিকটা মেঘও জমেছে।হয়তো এখনি ঝুম বৃষ্টি নামবে।বর্ষাকালের এই একটা সমস্যা,বৃষ্টির মতিগতি বুঝা মুশকিল।
ইরাজ ইরাম আর রিশাল পার্কের একটি বেঞ্চের দুই মাথায় বসে আছে।আজ অনেক প্রশ্নের জবাব তাকে ইরাজের কাছ থেকে পেতেই হবে।সেদিন সেই লকেটের ছবি তার এক প্যারানরমাল রিসার্চার বন্ধুকে পাঠায়।সে জানায় এইটা কোন সাধারণ লকেট নয়।এই লকেট যে কোন মানুষের অস্বিত্ব কে নিয়ন্ত্রণ করার কাজে ব্যবহার করা হয়।রিশাল তখন থেকেই ভাবছে,,এই জন্যই হয়তো দ্বিধাকে লকেটের মালিকের পরিচয় হিসেবে প্রানদেবতা বলা হয়েছে।

“আঙ্কেল আপনি সব জেনেও কেনো চুপ করি আছেন?দ্বিধাকে অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে এসব জেনেও আপনি চুপ করে আছেন।হাউ কুড ইউ ডু দিস,আঙ্কেল??
ইরাজ ঠান্ডা গলায় উত্তর দিলেন–
“আমি যা করেছি ওর ভালোর জন্য করেছি।”
রিশাল উঠে এসে ইরাজের পায়ের কাছে হাটু গেড়ে বসে।আলতো করে তার হাত দুটা নিজের দুই গালে চেপে ধরে বলে–
“আমি জানি আপনি স্পাইসি কে খুব ভালোবাসেন,,আর তাই সব জেনেও আপনি ওর ভালোর জন্যই এসব করেছেন।কিন্তু সময় আজ তার গতিপথ পরিবর্তন করেছে।আপনি যদি আমাকে কিছু না বলেন আমি কিছুই করতে পারবো না।প্লিজ,,,,হেল্প মি।”

ইরাজ তার বাধ ভাঙা চোখের পানি মুছে রিশালকে জড়িয়ে ধরে বলে–
“পারবে তুমি আমার প্রিন্সেস কে বাচাতে???
“সব খুলে বলুন আমায়”

ইরাজ ইরাম আশ্বস্ত হয়।হয়তো রিশাল আমার প্রিন্সেস এর প্রানদূত।ইরাজ ইরাম বলতে শুরু করে———

“দ্বিধার জন্মের আগে প্রায় চার পুরুষ ধরে আমাদের বংশে কোন মেয়ে সন্তান জন্ম নেয় নি।তাই যখন পারিজা কনসিভ করলো আমরা ধরে নিয়েছি যে আমাদের ছেলেই হবে।
দিনকাল ভালোই চলছিল।আমরা খুব খুশি ছিলাম।পারিজা নিয়মিত নিজের খেয়াল রাখতো, গাইনোকোলোজিস্ট কাছে যাওয়া,চেকাপ সব নিজেই করতো।ব্যবসার জন্য আমি তেমন সময় পেতাম না তাতে ওর কোন আফসোস ছিল না।

কিন্তু যখন ওর প্রেগনেন্সির পাঁচ মাস পূর্ণ হলো তখন থেকে কিছু অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে থাকলো ওর সাথে।ও বলতো ওর রাতে ঘুম হয় না।আমি ভেবেছি প্রেগনেন্সিতে এইরকম একটু আকটু হয়। কিন্তু ভুল ছিলাম।ও বলতো ও স্বপ্নে একটা বাচ্ছা মেয়েকে দেখতে পায়।বাচ্ছাটি আমাদের বিছানায় বসে খেলছে।হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়,,ও দেখে কতগুলো হলুদ চোখ বাচ্ছাটির দিকে এগিয়ে আসছে।মুহূর্তেই শিশুটির চিৎকারে পুরো বাড়ি কেপে উঠে।

রোজ রাতে এসব ভয়ানক স্বপ্ন দেখার ফলে ও ঘুমাতে চায় না।ধীরে ধীরে ওর শরীর খারাপ হতে থাকে।ও আরো বলে আজকাল ও ওর আশেপাশে কারো ছায়া ও দেখতে পায়।তাই আমরা ডক্টর এর কাছে গিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করে জানতে পারি,আমাদের ছেলে নয় মেয়ে হবে।এতে পারিজা আরো ভেঙে পরে।ও ভাবতে থাকে হয়তো স্বপ্নে দেখা মেয়ে শিশু টি আমাদেরই ছিল।হয়তো ওর স্বপ্ন সত্যি হয় যাবে।

তারপর ধীরে ধীরে সবকিছু আবার স্বাভাবিক হওয়া শুরু করে।কিন্তু আট মাসের শুরুতেই ওর ডেলিভারি পেইন দেখা দেয়। আমরা ভয় পেয়ে যাই।হসপিটালে যাওয়ার পর ডক্টর জানায় কমপ্লিকেশন আছে।তারা যেকোন একজন কে বাচাতে পারবে।বুজতে পারছিলাম না কি করবো। শেষ পর্যন্ত যাকে এখন অব্দি দেখিনি তাকে পাওয়ার আশা ছেড়ে দিলাম।

প্রায় দেড় ঘন্টা অপারেশন থিয়েটারের বাইরে বসে মনে হলো অপেক্ষার প্রহর সত্যিই বেদনাদায়ক।কিন্তু হয়তো সেদিন উপর ওয়ালার অন্য কিছুই মন্জুর ছিল।মা ও মেয়ে দুজনেই ভালো আছে।প্রিমেচিউর বেবি হওয়ার পরও দ্বিধার কোনো সমস্যা ছিল না।পৃথিবীর সমস্ত সুখ যেন আমাদের ঘরে নেমে এলো।

একদিন পারিজা আমায় বলে,সিজারিয়ানের সময় ও স্পষ্ট দেখতে পায় যে ডক্টর সেখানে ছিল তার চোখ দুটোও স্বপ্নের সেই হলুদ চোখের মতো ছিল।আমি ভেবেছি হয়তো ওর মনের ভুল।এমন অবস্থায় শ্বাস নেওয়া কষ্টকর সেখানে চোখ দেখার সময় কোথায়।

ভালোই চলছিল সবকিছু।দ্বিধার যখন আট বছর,একদিন ও রাতে বায়না ধরল আইসক্রীম খাবে।খুব ভালোবাসি যে তাই মেয়েকে আর না করতে পারলাম না।রাত একটা ওকে নিয়ে বেরিয়ে পরলাম।পারিজা অনেক বাধা দেওয়ার পর ওর কথা কানে তুলিনি।
আইসক্রীম নিয়ে যখন ফিরছিলাম চারদিক নিস্তব্ধ।আমেরিকা শহরে তখনো মানুষ জেগে থাকে।কিন্তু রাস্তায় তেমন কেউ ছিলনা।অন্ধকার ছায়ার মতো দুজন লোক আমাদের ঘিরে ধরে।তাদের চোখ ছিল রক্তবর্ণ।একজন ধেয়ে আমার কাছে আসতেই দ্বিধা আমাকে জড়িয়ে মুখ লুকায়।হঠাৎ কোথায় হতে একজন সুঠাম দেহের সুদর্শন পুরুষ এসে ওদের সামনে দাড়ায়।দুজন ওকে ধরতে গেলেই একজন কে টেনে তার মাথা থেকে দেহটাকে আলাদা করে ফেলে।অপরজনকে এক হাতে উচু করে আছড়ে ফেলে দেয়। মুহূর্তেই তার দড়ফড়ানি বন্ধ হয়ে যায়।পুরুষটির হলুদ চোখ জেগে ওঠে,,,,,
তাহলে কি পারিজা ঠিক ই দেখেছিল!!!

দ্বিধার কাছে এসে ওকে বলে–
“হাউ আর ইউ??
দ্বিধা ওর ভয় জড়ানো কন্ঠে বলে–
“আই অ্যাম ফাইন।হু আর ইউ??”
“আই এম ইউর ওয়েল উইশার।”
দ্বিধার গলায় একটা লকেট পরিয়ে দেয়।আর বলে–
“ইটস কিপ ইউ সেইফ”
লোকটি আমার দিকে তাকিয়ে বলল–
“ইটস অ্যা বেটার টাইম টু লিভ দিস ক্রান্ট্রি ফর ইউর চাইল্ড।”সে চলে যায়।
আমি তাকে কোনো প্রশ্ন করিনি।কারন যা আমি দেখেছি তা কোনো সাধারণ মানুষের পক্ষে করা সম্ভব নয়।
তারপর এক সপ্তাহের মধ্যে কাউকে কিছু না জানিয়ে আমরা বাংলাদেশ চলে আসি।কারন এখানকার মানুষ অনেক সহজ সরল।আর আমরা আমেরিকা থেকে দুরে কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেই।আমি পারিজা কে এইসব কিছুই জানায় নি।বলেছি যা করছি মেয়ের ভালোর জন্য করছি।
এতক্ষনে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লেন ইরাজ।
“আর ওই কালো গোলাপ??
“সেইটাও তার দেওয়া।”

এইবার রিশাল প্রশ্ন করলেন –“সেই ব্যক্তিটি ক??
ইরাজ ভয়ে ভয়ে বললেন–“তা আমি বলতে পারবোনা”।
বলেই উঠে চলে যেতে চাইলেন।রিশাল তাকে পথ আগলিয়ে বলেন–
“কিন্তু আঙ্কেল,,,,,,,,
“তুমি যদি সত্যিই প্রিন্সেস এর প্রানদূত হও তাহলে তাকে তুমিই খুজে বের করো।”

ইরাজের যাওয়ার পর জাদ আসে সেখানে।রিশাল ওকে দেখে রেগে বলে—
“তুমি সবকিছু জেনেও কেনো চুপ করে থাকো”।
জাদ দূর থেকে দাঁড়িয়ে সব শুনেছে।আর এসবকিছু ও আগে থেকেই জানে যার শুরু ২৫০ বছর আগে থেকেই হয়েছে।
জাদ ওর পকেট থেকে একটা মাউথ অরগান বের করে বাজাতে বাজাতে সেখান থেকে হেলেদুলে চলে যায়।

রিশাল মনে মনে আওড়াতে থাকে–
“আই উইশ!!পরের জন্মে যদি আমি ভ্যাম্পায়ার হয়ে জন্মাই তাহলে সবার আগে এই জাদ এর ঘাড়ে কামর বসিয়ে আমার মনের জ্বালা মিটাবো।”

চলবে,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here