#__ফাগুন_প্রেম__
লেখনীতে: Bornali Suhana
পর্ব: ০৯
💛
এভাবে কেউ কিস এর কথা জিজ্ঞেস করে নাকি যে কয়টা কিস দিয়েছে?
কোথায় কিস দিয়েছে?
না জানি কখন এটা জিজ্ঞেস করে বসে যে কিভাবে কিস করেছে?
`
পরিবেশটা খুব নীরব হয়ে আছে। পার্কে এই সময় তেমন কোন মানুষ নেই। একটু দূরে দূরে কয়েক জোরা কবুতর দেখা যাচ্ছে। একটা ফ্রেন্ডস গ্রুপও দেখা যাচ্ছে। চারদিকে গাছ আর গাছ। আর সেসব গাছে ফুটেছে রকমারি ফুল। বাহারি ফুলের গন্ধে পরিবেশটা খুব বেশি মোহময় লাগছে।
বর্ণালী এখনো মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে। মনে হচ্ছে যেনো ও খুব বড় অপরাধি। পাশে যে দুজন দাঁড়িয়ে আছে তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই তাকে জারি করবে। আর সামনের বালকটি সেই জারি শুনে রায় জানাবে। ভয়ে আত্মা কেঁপে উঠছে ওর। ইচ্ছে করছে এক দৌড়ে এখান থেকে পালিয়ে যেতে। কিন্তু যেতে পারছে না। হালকা বাতাসে মাথার উপর থাকা কৃষ্ণচূড়া গাছের কিছু ফুল এসে সবার উপর ঝরে পড়লো। সেদিকে ওর কোন মাথা ব্যাথা নেই৷ কেননা মাথা ব্যাথা দেয়ার জন্য পাশের মানুষগুলোই যথেষ্ট। বর্ণালী একবার আড়চোখে রুমুর দিকে তাকালো কেমন গম্ভীরমুখে চেয়ে আছে ওর দিকে। হুট করেই রুমু হোহো করে হেসে বর্ণালীকে জড়িয়ে ধরে। পাশ থেকে ঈশাও হাসছে ওর এমন অবস্থা দেখে। আর বেচারা ইভান সে তো বোনের সামনে লজ্জায় মাথা এদিক ওদিক ঘুরিয়ে আশেপাশে তাকাচ্ছে আর ঠোঁট বাকা করে মুচকি মুচকি হাসছে।
ভাবছে যে এই মেয়েটা এতো বোকা কেন?
ও কি কখনোই কিস যে করেছিলো সে কথা বলতো নাকি!
পাগলী মেয়ে ভয় পেয়ে সব বলে দিয়েছে। ও তো ভেবেছিলো জাস্ট একটু মজা নেবে ভয় দেখাবে ভাবতেও পারেনি এমন কিছু হবে। রুমু হেসে কুটিকুটি হয়ে যাচ্ছে। আসলেই বর্ণালী অনেক বেশি সৎ। কখনো মিথ্যা বলতেই পারেনা। আর কিছু লুকালেও সেটা চাপা রাখতে পারেনা। ওর কাছ থেকে তো অবশ্যই পারেনা। একমাত্র রুমুই ওর সব ছোট বড় সিক্রেট জানে৷ বর্ণালী এবার আর চুপ থাকতে পারলো না। রুমুকে উদ্দেশ্য করেই বললো,
-“এভাবে হাসছিস কেন?”
-“ওরে পাগলী সোনা আমার এতোটাও ভালো হওয়া ভালো না।”
বর্ণালী ব্রু কুচকে জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকিয়ে ভাবছে ও ভালোর কি করলো এখানে?
-“চল রুমু প্লিজ যাই। ঈশা চল।”
-“হ্যাঁ চল যাই।” (ঈশা)
-“আচ্ছা চল। ইভু পরে দেখা হবে।”(রুমু)
তিনজন যেতেই ছিলো তখনি বর্ণালী থেমে গিয়ে ইভানকে বললো,
-“ওয়েট এ মিনিট তোমার সাথে আমার কিছু কথা ছিলো।”
-“হ্যাঁ বলো না আমি সারাজীবন তোমাকে শুনতে পারবো।”
ইভান ভাবছে এই মনে হয় আল্লাহ ওর দিকে চোখ তুলে তাকিয়েছেন। বর্ণালী ওর প্রেমকে গ্রহন করতে যাচ্ছে। ও খুব এক্সাইটেড হয়ে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ করেই খেয়াল করলো বর্ণালীর চুলের মাঝে কৃষ্ণচূড়া ফুল লেগে আছে। ইভান একটু এগিয়ে এসে বর্ণালীর চুলের মাঝে হাত দিয়ে ফুলগুলো ছুটাতে লেগে যায়। এভাবে ইভানের এতোটা কাছে আসা যেনো বর্ণালী নিতে পারছেনা। ওর হার্টবিট যেনো হাজার কিলোমিটারে দৌড়াচ্ছে। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে। এদিক ওদিক তাকিয়ে নিজেকে নরমাল রাখার চেষ্টা করছে। কেমন অস্বস্থি অনুভূতি হচ্ছে।
এই অনুভূতি কেন ইভান কাছে আসলেই হয়?
অন্য কারো বেলায় তো ওর এমন অনুভূতি হয়না!
ইভান ফুলগুলো চুলের উপর থেকে ফেলে একটুখানি সরে এসে বললো,
-“বলেন বসন্তপথিকের বাসন্তী।”
-“না মানে আসলে….”
-“হ্যাঁ বলো?”
-“এক মিনিট।”
বর্ণালী ওর ব্যাগ থেকে নথের বক্সটা বের করে ইভানের সামনে এগিয়ে ধরলো। এমন কিছু দেখবে ইভান ভাবতেই পারেনি। ওর চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে।
-“এসব কি বর্ণালী?”
-“আমি এই জিনিসটা রাখতে পারবো না।”
ঈশা বর্ণালীর এমন কান্ডে ভয় পেয়ে গেছে।
কেন এমন কাজ করছে বর্ণালী?
ঈশা একবার বর্ণালীর দিকে তাকাচ্ছে আরেকবার ইভানের দিকে। ও খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে ইভান রেগে গেছে। আর ইভান রেগে গেলে যে একরকম পাগলামো শুরু করে দেয়। রেগে গেলে ইভান যা মাথায় আসে তাই করে। সামনে কি আছে না আছে কিছুই বুঝে না। ভাংচুর শুরু করে দেয়। একবার তো মায়ের সাথে রেগে ব্যাট দিয়ে ঘরের ফ্রিজ, টিভি, কাচের টেবিল, শোকেস, এয়ারকন্ডিশনসহ আরো অনেক প্রয়োজনীয় জিনিস ভেঙে ফেলেছিলো। নিজের ল্যাপটপ আর মোবাইল কতবার ভেঙেছে তার কোন হিসেব নেই।
ইভানের চোখ লাল হয়ে গেছে। রাগ চরম মাত্রায় উঠে গেছে ওর। তবুও নিজেকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। চোখ বন্ধ করে লম্বা একটা নিশ্বাস নিয়ে নিজেকে সামলে বললো,
-“রুমু তোমরা কি একটু ওইদিকে যাবে প্লিজ?
আমি ওর সাথে একটু একা কথা বলতাম।”
-“না ওরা কেন যাবে? ওরা যাবে না।”
রুমু আর ঈশা কোন কিছু না বলেই ওদের থেকে একটু দূরে যেতে লাগলো।
-“ওই তোরা কোথায় যাচ্ছিস?
তোরা কোথাও যাবি না।”
কথাটা বলেই বর্ণালী রুমু আর ঈশার হাত ধরে ফেলে। ইভান এবার প্রচন্ড রেগে গিয়ে চিৎকার দিয়ে বলে,
-“বলেছি না তোমরা ওইদিকে যাবে?
কথা কানে যায় না?”
বর্ণালীর ভয়ে কেঁপে উঠে ওদের হাত ছেড়ে দেয়। রুমু আর ঈশা ওদের থেকে খানিকটা দুরে গিয়ে দাঁড়ায়। বর্ণালী ভয়ে বক্স হাতে রেখেই চেপে ধরে আছে। ইভানের দিকে তাকিয়ে দেখে ওর চোখ লাল হয়ে গেছে। তৎক্ষনাৎ ও চোখ নামিয়ে নেয়। ইভান চোখ বন্ধ করে দু’হাত উপর নিচে নেড়ে নিজেকে নিজেই বলছে,
-“Ufff…. Cool Ivan just cool.”
তারপর খুব শান্ত গলায় বললো,
-“হুম তো জানতে পারি কি কেন রাখতে পারবে না?কেন ফিরিয়ে দিচ্ছ আমার দেয়া উপহার?”
-“আমি কারো কাছ থেকে কোন কিছু নেই না।”
ইভান দাঁতে দাঁত চেপে নিজের রাগ কন্ট্রোল করে কথা বলছে।
-“আমিও কি তোমার কাছে যে কারো মতো?”
-“তুমি আমার কাছে এমন স্পেশাল কেউ নও। আমার উপর তোমার বা তোমার উপর আমার কোন অধিকার নেই। তাছাড়া এতো এক্সপেন্সিভ গিফটের যোগ্য আমি নই। আমি নিতেও পারবো না। তাই প্লিজ এটা ফিরিয়ে নাও।”
-“কি সব বাজে কথা বলছো হু?
তুমি জানো এই নোজ পিনটাও তোমার যোগ্য নয়। তুমি আরো বেটার কিছু ডিজার্ভ করো।
আর তুমি কিনা বলছো তুমি এটার যোগ্য নও? নিজেকে এভাবে ছোট করে দেখার সাহস কোত্থেকে পাও?”
-“যাই বলো আমি এসব নিয়ে কোন কথা বলতে চাই না। আই এম সরি আমি এটা নিতে পারবো না।”
-“কেন নিতে পারবে না ড্যাম ইট।”
কথাটা বলেই ইভান হাত মুঠি বেধে গাছের মাঝে ঘুষি মেরে রাগ কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে। ইভান বর্ণালীর দুই কাঁধে হাত দিয়ে ধরে খুব কাছে নিয়ে আসে। ইভানের নিশ্বাস এসে ওর মুখে ছড়িয়ে পড়ছে। কেমন একটা অনুভূতি হচ্ছে। ওর ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে। হৃদস্পন্দন খুব দ্রুত চলছে। এমন অনুভূতি থেকে বাঁচার জন্য ও চোখ বন্ধ করে নিলো। ইভান ওকে ঝাকিয়ে বলে,
-“তাকাও আমার দিকে বর্ণালী।”
ঈভান খুব নরম গলায় কথাটা বললো। বর্ণালী সাথে সাথে চোখ খুলে ওর দিকে তাকায়। এক পলক ওর চোখের দিকে তাকিয়ে আর তাকাতে পারেনা। ওই চোখের দিকে তাকালে যে সে ঘায়েল হয়ে যাবে এটা নিশ্চিত। নিজেকে সামলে রাখতে নিচের দিকে চোখ নামিয়ে নিলো।
-“প্লিজ বর্ণালী এমন কেন করছো?
কি দোষ করেছি আমি?
আমি সত্যিই তোমাকে অনেক বেশি ভালোবাসি।”
ইভানের কন্ঠস্বর অন্যরকম শুনাচ্ছে। ওর কন্ঠে অনেক বেশি আবেগ মিশে আছে। এভাবে কখনোই কথা বলেনি ইভান। বর্ণালী একটু চোখ তুলে তাকাতেই দেখে ইভানের চোখে জল টলমল করছে। ব্রু কুচকে চোখ ছোট ছোট করে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। এদিকে ইভান এভাবে ওর কাঁধ চেপে ধরায় অনেক ব্যাথা পাচ্ছে। আশেপাশে তেমন কোন লোক নেই তবুও যে কয়জন আছে ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে।
-“কি ক….করছো কি? চা….ছাড়ো পি….প্লিজ। সবাই দেখছে।”
-“দেখুক আই ডোন্ট কেয়ার।”
বর্ণালী চোখ খিচে বন্ধ করে বলে,
-“আ…..আমি ব্যাথা পা….পাচ্ছি ইভান।”
-“আর আমার ব্যাথাটা তোমার চোখে পড়ছে না? আমাকে কি তোমার এতোটাই খারাপ মনে হয় বর্ণালী? আমার মতো কি তোমাকে কেউ ভালোবাসবে বলে মনে হয়?”
এক নিশ্বাসে কথাগুলো বলে ইভান ওকে ছেড়ে একটু দূরে গিয়ে দাঁড়ায়। বর্ণালীর দিকে হাত তুলে আঙুল ঝাকিয়ে কিছু একটা বলতে গিয়েও থেমে যায়।
-“প্লিজ রাগ করো না। আমি সত্যিই তোমাকে ভালোবাসতে পারবো না। আর এটাও নিতে পারবো না। প্লিজ এটা ফেরত নিয়ে নাও আর আমার সাথে কোন যোগাযোগ করার চেষ্টা করো না তাহলে তোমার আমার দুজনের জন্যই ভালো হবে।”
ইভান আবারো রেগে বর্ণালীর কাছে এগিয়ে আসে। তার মাথায় রক্ত উঠে গেছে। চেচিয়ে উঠলো,
-“তুমি আমার ভালো চাও হে?
সত্যি ভালো চাও নাকি অন্য কিছু?
কেন বুঝতে পারছোনা যে আমার ভালো তোমাতেই।”
-“জা….জানিনা আমি। কিন্তু আমার আর তোমার মাঝে কোন কিছু কখনোই সম্ভব না।”
ইভান রেগে হাতে রাখা ওর চশমাটা চেপে ধরে ভেঙে ফেলে। ওর হাত দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। সেদিকে কোন খেয়ালই নেই। দূর থেকে ঈশা আর রুমু খুব ভালো করেই বুঝতে পারছে ওদের মাঝে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। কিন্তু ওদেরও কিছু করার নেই৷ রুমু ইভানের বড় হলেও ইভানের রাগকে ও ভয় পায়। কখনো তো মনে হয় ইভান ওর বড় ভাই আর ও ইভানের ছোট বোন।
ইভানের বর্ণালীকে কিছু একটা বলতে যাবে তখনি ওর ফোন বেজে উঠে। ইভান রক্তমাখা হাত থেকে ভাঙা মুচড়ানো চশমাটা ফেলে মোবাইল হাতে নেয়।
বর্ণালী সেদিকে খেয়াল না করে ইভানকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“আমি যেতে চাচ্ছি প্লিজ তোমার জিনিসটা তুমি নিয়ে নাও। আর তোমার মনের মতো কাউকে এটা গিফট করো।”
-“What the hell are you talking?”
এই কথাটা বলেই ইভান ঠাস করে মাটির মাঝে মোবাইল ছুড়ে মারে। বর্ণালী ভয়ে কেঁপে দু’কদম পিছিয়ে যায়। ওর পুরো শরীর থরথর কাঁপছে।
মোবাইলটা মাটিতে পড়ে না ভাঙলেও সবকিছু খোলে ছড়িয়ে যায়। ঈশা আর রুমু এসব দেখে দৌড়ে আসে ওদের কাছে। ঈশা তো ভয় পেয়েই আছে এখন রুমুও ভয় পেয়ে যায়। তবুও রুমু কাঁপা গলায় বলে,
-“ক…..কি হয়েছে ইভান?
এ…..এভাবে রেগে আছো কেন?”
ইভান রুমুর সাথে কোন কথাই বললো না। ওর চোখ দিয়ে কয়েক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে। বর্ণালীকে উদ্দেশ্য করে বলে,
-“ডোন্ট ডো দ্যাট বর্ণালী প্লিজ ডোন্ট। আই রিয়েলি লাভ ইউ। তুমি আমার জীবনের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে গিয়েছো। আমি তোমাকে ছাড়া নিশ্বাস নিতে পারবো ঠিকই কিন্তু সেই নিশ্বাসটা দূষিত নিশ্বাস হবে যা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিবে।”
বর্ণালী চুপ করে দাঁড়িয়ে আছে। এই মুহুর্তে কি বলবে ও কিছুই বুঝতে পারছেনা।
আসলেই কি ইভান ওকে এতোটা ভালোবাসে?
কিন্তু কেন এতো ভালোবাসে?
কি আছে ওর মাঝে? কিছুই তো নেই।
যতই ভালোবাসুক না কেন বর্ণালী কখনোই ইভানকে ভালোবাসতে পারবেনা এটা সম্ভব না ওর পক্ষে। এর পেছনের কারণ গুলোও অনেক বড়। একটা গভীর নিশ্বাস নিয়ে বললো,
-“আমি পারবো না। রুমু আমি গেলাম তুই উনার জিনিসটা উনাকে ফিরিয়ে দিস। চল ঈশা।”
কথাটা বলেই বর্ণালী বক্সটা রুমুর দিকে এগিয়ে দিতে গেলেই ইভান ওর হাত থেকে বক্সটা কেড়ে নেয়। বর্ণালী, ঈশা আর রুমু এখন খেয়াল করে ওর হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে।
-“ইভান তোর হাত থেকে রক্ত বের হচ্ছে?”
এখন আর ঈশা নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলো না। টেনশনে ভাইয়ের হাত ধরতে এগিয়ে যেতে নিলেই ইভান মাথা নেড়ে না সূচক ইশারা করে। ঈশার চোখে পানি এসে গেছে ভাইয়ের এতো কষ্ট দেখে। কিন্তু কিছুই করতে পারছে না ও। এর মাঝেই রুমু বলে উঠে,
-“ইভান চলো প্লিজ আগে তোমার ট্রিটমেন্ট প্রয়োজন।”
-“আমার কিচ্ছু হবে না আই এম ওকে ডোন্ট ওরি।”
এই ছেলেটা এমন কেন?
বর্ণালীর চোখেও জল।
কিন্তু কেন?
তা সে এখনো জানেনা।
আমার কি ইভানের জন্য কষ্ট হচ্ছে নাকি?
না না এমন কেন হবে?
আমি তো ইভানকে ভালোই বাসিনা।
কিন্তু এটা কিভাবে সম্ভব?
বর্ণালী কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো,
-“প্লিজ ইভান ডাক্তারের কাছে চলো। তোমার হাত….”
ইভান ওর পুরো কথা শেষ না হতেই থামিয়ে দিয়ে বললো,
-“আমার জন্য ভেবো না বর্ণালী। আর এটা নিবে না তো না? ঠিক আছে। তুমি না নিলে এটাতে অন্য কারো অধিকার নেই।”
ইভান বক্স থেকে নথটা বের করে একবার চোখ বুলালো। নথটায় আলতো করে চুমু দিয়ে একটা মৃদু হাসি দিয়ে নথের দিকে তাকিয়ে বললো,
-“তুই কারো যোগ্য হয়ে উঠতে পারলি না। আর যার যোগ্য ছিলি সে তোকে গ্রহণ করলো না। তাই তোকে অন্য কারো ভাগে দিতে পারলাম না রে।”
খুব জোরে বক্স ও নথ মাটিতে ছুঁড়ে ফেলে দিলো। চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে তার আপন গতিতে। আজ ইভান কেন জানি তার চোখের জলকে থামাতে পারছে না।
💛
#______চলবে……….
.
গত পর্ব – https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=120201682983524&id=103632171307142