“হালাল প্রেম” পর্ব- ৬১

“হালাল প্রেম”
পর্ব- ৬১
(নূর নাফিসা)
.
.
বাবার বাসায় নয়দিন কাটিয়ে সেদিন রাতেই শারমায়া চলে এলো শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে। দ্বাবিংশ রমজানে সকাল এগারোটার দিকে জোভানের কল এলো শারমায়ার ফোনে। শারমায়া শ্বাশুড়িমায়ের কাছ থেকে উপহার পাওয়া কুরআন পড়ছিলো। সে আয়াতে থেমে কুরআন শরীফ বন্ধ করে ফোন রিসিভ করলো,
“আসসালামু আলাইকুম।”
“ওয়ালাইকুমুস সালাম। সুইটহার্ট, একটা গুড নিউজ জানাতে তোমাকে কল করেছি। বলো তো কি হতে পারে?”
“কি?”
“গেস করো। হিন্স দিয়ে দিচ্ছি, আমি হসপিটালে আছি।”
“মানে! তখন না কল করে জানালে তুমি অফিস পৌঁছেছো! তাহলে এখন হসপিটালে কেন? কোনোভাবে ব্যাথা পাওনি তো আবার?”
“আরে নাহ! বললাম না গুড নিউজ।”
“জানি না। গেস করতে পারছি না। বলো তুমি।”
“সাদাত ছেলের বাবা হয়ে গেলো যে।”
শারমায়া অবাক করা খুশি হয়ে বললো,
“আলহামদুলিল্লাহ। কখন?”
“এই…পাঁচ ছয় মিনিট হবে অপারেশন শেষ হলো।”
“মা ও ছেলে, ভালো আছে তো উভয়ে?”
“আলহামদুলিল্লাহ, সুস্থ আছে।”
“যাক, আলহামদুলিল্লাহ। তুমি কখন গেলে?”
“অফিসে গিয়েছি, বিশ মিনিটও হয়নি। সাদাত জানালো, সে আখিকে নিয়ে হসপিটাল গিয়েছে চেকাপের জন্য। ডাক্তার বললো অপারেশন করে ফেলতে। তখনই আমি আর ইফাজ চলে এলাম। রিপোর্ট আপুর কাছে মেইল করলাম। আপুও বললো অপারেশন করে ফেললেই ভালো হবে।”
“আপুর কাছে নিয়ে গেলেই পারতো।”
“সবসময় এখানে দেখিয়েছে, এখন অন্যত্র যায় কিভাবে? আপু তো তখন নোভার জন্য ছুটিতে ছিলো। তাই এখানেই আসতো। সমস্যা নেই তো, এখানেও সার্ভিস ভালো।”
“যাক, ভালো হলেই ভালো।”
সন্ধ্যার একটু আগে জোভান বাসায় ফিরলো। জুলেখা ইয়াসমিন আখি ও বাচ্চার অবস্থা জিজ্ঞেস করলেন। শারমায়া বললো,
“তুমি কি এখন হসপিটাল থেকে এসেছো?”
“না। দুপুরের পর অফিস গিয়েছিলাম। হসপিটাল যাবো আবার, ইফতারের পর।”
“বাচ্চা কি আখির মতো দেখতে নাকি সাদাত ভাইয়ার মতো?”
“এখন বুঝা যাবে?”
“ধুর! যে বুঝার, সবসময়ই বুঝে। তুমি বুঝো না সেটা বলো।”
“হয়তো। তবে অনেক কিউট।”
শারমায়া হাসলো। যখন জানলো ইফতারের পর আবার যাবে তখন থেকেই খুব ইচ্ছে করছিলো সে-ও একবার যেয়ে দেখে আসুক। কিন্তু বলতে ইতস্তত বোধ করছিলো। ইফতার করে, মাগরিবের নামাজ আদায়ের পর যখন জোভানকে রওনা দিতে দেখলো, তখন আর মন মানছে না। সে তার ইচ্ছেটা বলেই ফেললো। সন্ধ্যায় তাকে নিয়ে হসপিটাল যাওয়াটা জরুরী মনে করছে না তাই জোভান একবার বলছিলো কাল বা পরশু নিয়ে যাবে। পরক্ষণে আবার কি ভেবে বললো রেডি হয়ে যেতে। শারমায়া খুশিমনে তৈরি হতেই জোভান প্রশান্তি অনুভব করলো। এখন যদি তাকে রেখে চলে যেতো, প্রিয়জনের এই খুশি মুখটা দেখা হতো না সে নিশ্চিত। কার না ভালো লাগে, প্রিয়জনদের মুখে হাসি দেখতে?
হসপিটালে এসে শারমায়া আখির মাথায় হাত বুলিয়ে বললো,
“তোমাকে নিয়ে অনেক ভয়ে ছিলাম আমি। আলহামদুলিল্লাহ, এখন দেখে অনেক ভালো লাগছে।”
আখি মুচকি হেসে বললো,
“বড় বোনের দোয়া আছে যে।”
শারমায়া মুচকি হাসলো। অতঃপর বাচ্চাকে কোলে নিলো। তারা আসার পরপরই ইফাজ ও মিরাজ এসেছে। সাদাত তখন কেবিনে ছিলো না। আখির বড় বোন ও সাদাতের মা উপস্থিত ছিলো। দু-তিন মিনিট পর সাদাত কেবিনে আসতেই তিন বন্ধু মিলে তাকে ঝেকে ধরলো এবং পকেট পুরোপুরি ফাঁকা করে দিলো। এই টাকা দিয়ে তারা ট্রিট উদযাপন করবে। বিষয়টা মোটেও ভালো লাগলো না শারমায়ার। ছেলেটার বউয়ের অপারেশন হয়েছে তারই তো কতো টাকাপয়সার প্রয়োজন। এখন এমনটা না করলেও কি পারতো না তারা! জোভানও কি এতোটা অবুঝ হয়ে গেছে! সাদাতও আনন্দ প্রকাশ করছে। হয়তো বন্ধুদের আনন্দের কারণেই।
হসপিটাল থেকে বাসায় ফিরে শারমায়া বোরকা হিজাব খুলতে খুলতে বললো,
“এমনটা না করলেও পারতে।”
“আমি আবার কি করলাম?”
“সাদাত ভাইয়ার কাছ থেকে টাকা নেওয়াটা কি খুব জরুরী ছিলো? এমন পরিস্থিতি তোমরা কিভাবে পারলে ট্রিট চেয়ে তার পকেট খালি করতে? তারই তো কতো টাকার প্রয়োজন।”
“এই কথা! এটা তো জাস্ট ফান ছিলো।”
“সবসময় ফান করা ঠিক না।”
“জান, ইউ আর সো সিরিয়াস! আমরা নিয়েছি কতো? ছয়শো সামথিং হবে। আর দিয়েছি কতো সেটা জানো? হসপিটালে তার জমা দিতে হয়েছে চব্বিশ হাজার, এর মধ্যে বিশ হাজার টাকা দিয়েছি আমরা তিনজন। তার সম্পর্কে আমাদের চেয়ে ভালো নিশ্চয়ই জানো না তুমি। বাচ্চার প্রয়োজনীয় জিনিস এবং আখির ওষুপত্রসহ তার আরও খরচ বাকি আছে। ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ হাজারের মতো টানবে। হোল ফ্যামিলির দায়িত্ব তার উপর, প্রয়োজনের তুলনায় আয় সীমিত। এতো টাকা যে তার সঞ্চয়ে নেই সেটা আমরা জানি।”
মুহুর্তেই যেন সম্মানটা বেড়ে গেলো তাদের বন্ধুত্ব নামক সম্পর্কের উপর। এক ভাই ও তো অন্য ভাইয়ের সহযোগিতায় এভাবে পাশে দাঁড়াতে চায় না সহজে। এ তাদের কেমন বন্ধুত্ব! শারমায়া দৃষ্টি নিচের দিকে নামিয়ে ফেলেছিলো। পরক্ষণে জোভানের দিকে তাকিয়ে বললো,
“একবার জড়িয়ে ধরবো?”
হাতের ঘড়ি খোলা বাদ দিয়ে জোভান মুচকি হেসে নিজেই কাছে এসে জড়িয়ে ধরে বললো,
“ওকে, মাই ডিয়ার।”
শারমায়া খিলখিলিয়ে হেসে বললো,
“আই লাভু।”
“লাভু টু।”
ঈদুল ফিতর কাটলো আনন্দেই। সারাদিন বাসায় কাজকর্ম করে বিকেলে সোয়াদ ও জুথিকাকে সাথে নিয়ে শারমায়া জোভানের সাথে বাবার বাসায় গেলো স্বজনদের সাথে কিছু সময় কাটাতে। পরদিন বিকেলে তারা ফিরে এলো। সাফওয়ানার বিয়ের জন্য কিছুদিন পর আসছেই তাই বেশিদিন কাটালো না। সেদিন বাসায় ফেরার পরই আবার জেভা কল করে তাদের যেতে বললো। এবার চাচীমাসহ সন্ধ্যায়ই তারা চলে গেলো জেভার বাসায়৷ সেখানেও একদিন কাটিয়ে পরদিন বিকেলে জেভাকে সাথে নিয়ে নিজ বাড়ি ফিরলো। গল্প-আড্ডা, হাসি-আনন্দ, ঘুরাঘুরিতে বেশ ভালোই কেটেছে সময়।
ঈদুল ফিতরের পর চারদিন ছুটি কাটিয়ে আজ প্রথমদিন অফিস গেলো জোভান। বাড়ি ফিরলো বিকেলে বৃষ্টিতে ভিজে। শারমায়া দেখে বললো,
“এ কি অবস্থা! গাড়িতে আসোনি?”
“হুম।”
“তাহলে ভিজলে কিভাবে?”
“বৃষ্টি দেখে ভিজতে ইচ্ছে করছিলো খুব। তাই স্কুল মাঠে ফুটবল খেলে এসেছি।”
শারমায়া রাগান্বিত গলায় বললো,
“সকালে মাত্র টি-শার্টটা আয়রন করে দিয়েছি! আর এই অসময় তোমাকে ভিজতে হবে? জ্বর-সর্দি লাগলে খবর আছে। এখনো উনি বাচ্চা, ফুটবল খেলতে হবে উনার!”
জোভান প্রত্যুত্তরে মুচকি হাসলো শুধু। টিস্যুতে প্যাচানো ফোন ও পকেট থেকে ওয়ালেট ড্রেসিং টেবিলের উপরে রেখে ভেজা টিশার্ট খুলতে খুলতে বললো,
“দেখো তো, টাকাগুলো ভিজে গেছে কি না। বৃষ্টিতে বেরিয়ে পড়ার আগে মনে ছিলো না এটার কথা।”
শারমায়া কাভার্ড থেকে প্যান্ট বের করে প্যান্ট ও তোয়ালে ধরিয়ে দিলো তার হাতে। অতঃপর ওয়ালেট চেক করে দেখলো টাকা ভিজেনি। ওয়ালেটের উপরের দিক ভেজা থাকায় টিস্যু দিয়ে মুছে নিলো। অতঃপর বারান্দায় এসে দাঁড়ালো। দুপুর ও রাতের রান্না দুপুরেই শেষ করে নিয়েছিলো তাই এখন তার তেমন কোনো কাজ নেই। বাইরে এখনো ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছে। তাই ভাবলো কফি খাওয়া যাক। বৃষ্টির সময় তার কফি কিংবা চা খেতে ভালো লাগে খুব। একবার ভাবলো জোভানকে জিজ্ঞেস করে যাক সে খাবে কি না। অতঃপর কিছু একটা ভেবে আলমারিতে ঘাটাঘাটি করে তাকে জিজ্ঞাসা না করেই চলে গেলো। কফি তৈরি করে দু’হাতে দুই কাপ নিয়ে রুমে ফিরলো। দেখলো জোভান আসরের নামাজ আদায় করছে। শারমায়া বুঝে নিয়েছে ফুটবল খেলায় মেতে মসজিদে নামাজ পড়তেও যায়নি সে। তাইতো বাসায় পড়ে নিচ্ছে। সে টি টেবিলে একটা কাপ রেখে অন্য কাপ নিয়ে বারান্দায় চলে গেলো। কফি কাপে চুমুক দিতে দিতে কখনো বৃষ্টি দেখছে কখনো বা রুমে তাকাচ্ছে জোভানের দিকে। নামাজ শেষ হতেই সে বললো,
“কফি খাবেন?”
জোভান জায়নামাজ ভাজ করতে করতে তার দিকে তাকিয়ে বললো,
“আমি বৃষ্টিতে ভিজেছি বলে কি তুমি রাগ করেছো আমার উপর? যাও, আর ভিজবো না।”
“আমি কি নিষেধ করেছি নাকি ভিজতে!”
“তাহলে রাগ করে আছো কেন?”
“একা একা ভিজলেন কেন?”
জোভান মুচকি হেসে বললো,
“এই ব্যাপার! ওকে, নেক্সট টাইম তোমাকে সাথে নিয়ে ভিজবো ইনশাআল্লাহ।”
“ভেজার জায়গা কোথায়? স্কুল মাঠে নিয়ে যাবেন আমাকে?”
“মাথা খারাপ! ছাদে ভিজবো একদিন।”
“হু, তারপর এপাশের বিল্ডিং থেকে লোকজন দেখুক, ওপাশের বিল্ডিং থেকে দেখুক। আবার ভাড়াটিয়ারাও যায় ছাদে।”
“সব প্রটেকশান নিয়ে তারপরই ভিজবো। নো টেনশন। বৃষ্টির সময় কেউ থাকে না ছাদে। আর যারা থাকে তাদের সময় থাকবে না পাশের বিল্ডিংয়ে উঁকিঝুঁকি দেওয়ার। তাছাড়া আমাদের বিল্ডিংয়ের চেয়ে উঁচু বিল্ডিং এপাশ ওপাশে নেই। যতদূর আছে, ততদূর থেকে আমরা অদৃশ্যমান থাকবো।”
বলতে বলতে জায়নামাজ ও টুপি রাখলো জোভান। শারমায়া মুখ চেপে হেসে বললো,
“কফি খাবে?”
“মন্দ হয় না তো খেলে।”
“টি-টেবিলে কাপ।”
জোভান হালকা ভেজা চুলগুলো দু’হাতে ঝাড়তে ঝাড়তে এগিয়ে এলো টেবিলের কাছে। কাপ নিতে গিয়ে থমকে গেলো! ব্রু সামান্য কুচকে শারমায়ার দিকে এক পলক তাকালো অতঃপর কাপ হাতে নিয়ে নিলো। ধীরে ধীরে ঠোঁটের কোণে ভেসে উঠলো অন্যরকম হাসির রেখা! কাপের মধ্যে কফির পরিবর্তে বেবি শো! সে কাপ হতে বেবি শো হাতে তুলে নিলো, যেটা ইংল্যান্ডে গিফট করেছিলো শারমায়াকে। জোভানের বিস্ময়কর চেহারার কারণে শারমায়ার মুখেও বিদ্যমান চাপা হাসি। জোভান তার দিকে ধীর পায়ে এগিয়ে যেতে যেতে বললো,
“কনফার্ম?”
শারমায়া মুচকি হেসে মাথা নাড়তেই জোভান তার হাসির রেখা আরও প্রশস্ত করে বললো,
“সিরিয়াসলি?”
কদমের পর কদম ফেলতে ফেলতে জোভান বেবি শো আবার কাপে রেখে দিলো। জোভানের ভাবভঙ্গি দেখে শারমায়া থতমত খেয়ে গেলো! সে কফি কাপ কোথায় রাখবে ভাবতে ভাবতে জোভান তার নিকট এসে পড়েছে। তার অবস্থা দেখে জোভান শরীর কাপিয়ে হেসে তার হাত থেকে কফি কাপ নিয়ে নিলো। অতঃপর দু’হাতে দুই কাপ নিয়ে ঝড়ের গতিতে তাকে না ধরে সাবধানেই জড়িয়ে ধরে নিজের সাথে মিশিয়ে নিলো এবং বললো,
“আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। মাই লাভ, ইউ ক্যান্ট ইমাজিন মাই ফিলিং।”
জোভান তার মাথায় গভীর চুমু একে দিলো। আনন্দে শারমায়ার চোখে অশ্রু এসে ধরা দিয়েছে। সে তাকে জড়িয়ে ধরে যথাসম্ভব মাথাটা হালকা ঘুরিয়ে জোভানের কানের নিচে ঠোঁট ছুয়ে দিয়ে ফিসফিসিয়ে বললো,
“অভিনন্দন, বাবুর আব্বু।”
“টুকটুকির আব্বু।”
“টুকটুকি আসুক আগে। তারপর টুকটুকির আব্বু।”
“টুকটুকির আম্মু, তুমি অনেক দুষ্টু হয়ে গেছো। টুকটুকির ভাই আগে এলে শিকুর আব্বু ডেকো।”
“এরপর কি বাসার নাম সিছিমপুর দিবে?”
“দিয়ে দিবো, নো প্রব্লেম।”
শারমায়া ফিক করে হেসে উঠলো। জোভান বাইরে তাকিয়ে পরম আবেশে জড়িয়ে ধরে বললো,
“ভুবন ভেসে গেছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে,
আমি তো ভেসে যাচ্ছি সুখের উল্লাসে।
এ কোন বার্তা শোনালে আমায়?
ইচ্ছে তো করছে হৃদ মাঝারে,
যতনে আগলে রাখি তোমায়।”
প্রত্যুত্তরে শারমায়া বললো,
“তোমার নীড়ে, সুখের ভীড়ে,
যতনেই আগলে আছি আমি।”
“তাই নাকি?”
“ঠিক তাই।”
জোভান আবারও শরীর কাপিয়ে হাসলো। অতঃপর এভাবে থেকেই এক হাতে থাকা কাপে জুতা জোড়া দেখলো এবং অন্য হাতের কফি কাপে চুমুক দিয়ে শারমায়ার রেখে দেওয়া অবশিষ্ট কফিটুকু খেয়ে নিলো। শারমায়া আন্দাজ করতে পেরে বললো,
“কফি এনে দিবো?”
“উহুম। কফি এটুকুই যথেষ্ট, বাকিটা সুইটে মিটে যাবে।”
“মানে?”
“মানে, এইমাত্র আমার মনের ডাক্তার রিপোর্ট দিলো। রিপোর্ট নাকি বেশি ভালো না। শরীরের সুগার ঠিক আছে, তবে মনে সুগারের বেশ ঘাটতি আছে। বেশি বেশি সুইট খেতে বললো। তুমি আমার যত্ন নিচ্ছো না ঠিকমতো।”
“আই উইল ব্যাডলি কিল ইউর মনের ডাক্তার।”
জোভান হেসে বললো,
“বাট, আই নিড সুইট।”
“লাঞ্চ করেছো?”
“পেটের লাঞ্চ হয়েছে। মনেরটা হয়নি। ডোন্ট লেট মি।”
শারমায়া দু’হাতে তার পিঠের টিশার্ট খামচে ধরে বললো,
“মেরে ফেলবো একদম!”
“মরে যাবো।”
“ভালো হবে না কিন্তু!”
“না হোক।”
“আমার কাজ আছে!”
“থাকুক।”
“টুকটুকির আব্বু, তুমি পঁচা হয়ে গেছো।”
“আরো হতে চাই।”

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here