জীবনের গল্প পর্ব:-০৭

0
405

__________জীবনের গল্প__________
লেখক: ShoheL Rana
____________পর্ব:-০৭____________
পরদিন সকাল হতেই ইয়াসমিন তার বোন কাজল আর ফারিয়ার ব্যাগ গুছিয়ে দিলো। তারপর ফারিয়ার দিকে তাকিয়ে বললো,
-তুই আর কখনও এই বাড়িতে আসিস না বোন। বিধবাদের ভালোবাসতে নেই। ভালোবাসা তাদের জন্য পাপ। সমাজের বোঝা তারা।’
ফারিয়া কোনো জবাব দিলো না। নীরবে ওর ব্যাগটা তুলে নিলো। তারপর বেরিয়ে গেল। বাইরে আঙ্গিনায় বসে কেবল চেয়ে চেয়ে দেখলো রায়হান। কিছু করার ক্ষমতা নেই তার। এর আগেও যেমন তার মেজো ভাই জামাল কিছুই করতে পারেনি। এখনও হয়তো শায়লাকে হারানোর ব্যথা তার বুকের মাঝে ধুকে ধুকে উঠে। রায়হানও হয়তো বাকি জীবনটা ফারিয়াকে হারানোর শোকে বিরহের জোয়ারে নিজেকে ডুবাবে। মাথা নিচু করে আছে রায়হান। সামনে দিয়ে ওরা চলে যাচ্ছে। ওদের সাথে রিতাও চলে যাচ্ছে। ওর বাবা আগেই চলে গেছে। রিতা থেকে গিয়েছিল কাজলদের সাথে যাওয়ার জন্য। বান্ধবীকে চলে যেতে দেখে রাজ, বীথি, মনি এদেরও মন খারাপ। চারপাশে কোনো শব্দ নেই। এ যেন নীরব বিদায় পর্ব চলছে। ফারিয়ারাদের গাড়ি যখন শব্দ করে চলে যেতে লাগলো, টুপ করে এক ফোঁটা অশ্রু ঝরে পড়লো রায়হানের চোখ বেয়ে। চিৎকার করে কাঁদতে পারছে না সে। তবে ভেতরটা তার ফেটে যাচ্ছে।
.
.
এর দুইমাস পর আশরাফ সাহেব রায়হানকে বিদেশ পাঠিয়ে দিলেন। যেদিন রায়হান চলে যায়, পদ্মাবতী সারাদিন চেয়ে থাকে আকাশের দিকে। আর বিলাপ ধরে কাঁদে ছেলের জন্য। মায়ের মন তো! আশরাফ সাহেবেরও কষ্ট হয় ছেলের জন্য, তবে তিনি তা বুঝতে না দিয়ে শক্ত থাকেন।
রাতের বেলায় যখন বুড়ো বুড়ি দুজন পাশাপাশি শুয়েছিল, তখনও পদ্মাবতীর চোখ ছিল ভেজা। আশরাফ সাহেব নিচুস্বরে জিজ্ঞেস করলেন,
-কষ্ট হচ্ছে?
-তো কষ্ট হবে না? আমার আদরের ছোট ছেলেটাকে এভাবে বিদেশ পাঠায় দিছো তুমি। তোমার তো কষ্ট হচ্ছে না।
-তুমি কি আমার বুকের ভেতর ঢুকেছো পদ্ম? ভেতরের হাহাকার কি দেখেছো? ও তো আমারও ছেলে। আমার কষ্ট হচ্ছে না এটা তুমি ভাবতে পারলে?
-কষ্ট হলে বিদেশ পাঠালে কেন ওকে?
-ও এখানে থাকলে ওর জীবনটা নষ্ট হয়ে যেতো। এই দুইমাসে দেখলে না কেমন হয়ে গেছে ছেলেটা? কারও সাথে কথা বলে না, হাসে না, ঠিকমতো খায় না, ঘর থেকে বের হয় না।
-ফারিয়াকে মেনে নিলেই তো পারতে…
-আমি মানলেও তো সমাজ মানতো না পদ্ম। এই সমাজ তো আর আমার সৃষ্টি না। সমাজের মানুষ নানা কথা বলতো। তার উপর ফারিয়া ওর চেয়ে বয়সে বড়। এটা নিয়েও সমাজের মানুষ কথা বলতে বাদ রাখতো না। এত বছর আমাদের বংশ নিয়ে কেউ কখনও কথা বলতে পারেনি, কেউ কখনও আমাদের বংশকে ছোট করে দেখেনি। এখন কী করে বংশে কালিমা লাগাবো বলো?’
পদ্মাবতী জবাব দিলেন না। নীরবে কেঁদে চললেন মুখে কাপড় গুঁজে।
.
.
♥আট♥
সময় গড়িয়ে যায়। দেখতে দেখতে কেটে গেল ছয়টি বছর। রাজ, বিথী এবং মনি এরা আর ছোট নেই। কৈশোরে পা দিয়েছে এরা। রাজ এ বছর মেট্রিক দেবে। বিথী আর মনি অষ্টম শ্রেণিতে।
ইদানীং মেয়েদের সঙ্গই বেশি ভালো লাগে রাজের। যেকোনো মেয়েকে দেখলেই ভালো লেগে যায় তার। কথা বলতে ইচ্ছে করে। স্কুলের বাংলা ম্যাডামকেও ভালো লাগে তার। ম্যাডাম যখন ক্লাস করায়, তখন সে তাকিয়ে থাকে ম্যাডামের দিকে। মাঝেমাঝে ম্যাডাম তাকে অন্যমনস্ক দেখে দাঁড় করায় ক্লাসে।
-মন কোথায় তোমার?’ ম্যাডাম জিজ্ঞেস করে।
-ক্লাসে ম্যাম।’ জবাব দেয় রাজ।
-পড়া শিখছো?’
-শিখছি ম্যাম।’
-বলো, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা কত সনে জন্মগ্রহণ করেন?’
উত্তর মনে করার চেষ্টা করে রাজ। কিন্তু কিছুতেই মনে আসে না। ক্লাসের সবাই অদ্ভুত দৃষ্টিতে তাকায় তার দিকে। কেউ কেউ তাকিয়ে হাসে। মেয়েরা বেশি হাসে। তখন ঠাস ঠাস করে ম্যাডামের বেতের আঘাত পড়ে রাজের হাতের তালুতে। তবে রাজের ব্যথা লাগে না। বরং ভালো লাগে ম্যাডামের হাতের মার খেতে। ম্যাডামের জায়গায় যদি ম্যাথের সেই টাকলু স্যারটা হতো, এতক্ষণে মনে মনে অনেক কিছু বলে গুষ্টি উদ্ধার করতো সে টাকলু স্যারের। কিন্তু ম্যাডামের বেলায় সাত খুন মাফ। ম্যাডামের রূপ মুগ্ধ করে তাকে।
ক্লাস শেষে রাজের এক বন্ধু তাকে জিজ্ঞেস করে,
-কী রে, তুই ওভাবে ম্যাডামের দিকে তাকিয়ে থাকিস কেন?’
-ভালো লাগে তাকাতে। ম্যাডামের মুখটা কতো মায়াবী দেখেছিস?’
-শালা, ম্যাডামের দুটো ছেলে আছে তোর চেয়েও বড়। ওরা কলেজে পড়ে।
-তাতে আমার কী। আমার তাকাতে ভালো লাগে, তাই তাকায়। তুইও তো তাকাস মেয়েদের দিকে। মেয়ে দেখলেই শার্টের কলার ঠিক করিস।
-তাই বলে আমি তো বয়স্ক কারোর দিকে নজর দিই না। তুই তো সমবয়সী মেয়েদের পাশাপাশি বয়স্ক মহিলাদেরও ইভটিজিং করিস।
-কী করবো বল? ভালো লাগে। তবে মনে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নেই রে।
-তা জানি। মনে অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে এতদিনে তোর ফুফাতো বোন তোর কাছে ইজ্জত হারাতো।’
বন্ধুর কথাটি ভালো লাগলো না রাজের। মনি এবং বীথিকে নিয়ে কেউ কিছু বললে সে সিরিয়াসলি নেয়। বন্ধুর কলার ধরে মুখে একটা ঘুষি চালালো সে।
-আরে কী হলো তোর? এমন করছিস কেন?’ বন্ধুটা জিজ্ঞেস করলো রাজকে। রাজ তার শার্টের কলার ধরে বললো,
-শুন, কখনও মনি আর বীথিকে নিয়ে খারাপ কিছু বলবি না। খারাপ কোনোকিছুতে ওদের টানবি না। ওদেরকে আমি খুব ভালোবাসি। জানিস, মনিকে বাঁচাতে আমি একবার মরতেও বসেছিলাম?’
বন্ধুটা কিছু বললো না আর। মনি আর বীথি এসে রাজকে ঝগড়া হাত ধরে নিয়ে গেল। বীথি বললো,
-আজ সব বাবাকে বলবো, তুই স্কুলে সবার সাথে ঝগড়া করিস।’
এবার মনি বললো,
-রাজ, তোকে না কতবার বলেছি স্কুলে ঝগড়া না করতে?
-এই, ও তোকে নিয়ে খারাপ কথা বলেছে রে… আমি কি ওকে ছেড়ে দেবো?’ রাজের রাগ এখনও কমেনি।
-তাই বলে এভাবে ঝগড়া করবি?’ বলেই উত্তরের প্রত্যাশা না করে বীথির দিকে তাকিয়ে মনি বললো,
-বীথি, বাসায় কিছু বলিস না।
-কেন বলবো না? ও সবসময় ঝগড়া করে কেন?’ বীথি অভিযোগ করলো।
এবার রাজ কণ্ঠটা নরম করে বললো,
-আচ্ছা আর ঝগড়া করবো না। বলিস না বাসায় কিছু।
-কী দিবি বল আমাকে?
-আমার ময়না পাখিটার ভাগ দেবো।’
-আচ্ছা বলবো না।’ খুশি হয় বীথি।
-আমাকেও দিতে হবে ভাগ…’ হেসে বলে মনি।
-আচ্ছা, আজ থেকে ময়না পাখিটা আমাদের তিনজনের।’
পাশাপাশি হাঁটতে লাগলো তিনজন। রাজ মাঝখানে। দুইপাশে বীথি ও মনি। সব মেয়ের দিকে রাজ অন্য দৃষ্টিতে তাকালেও, মনির দিকে কখনও সেই দৃষ্টিতে তাকায়নি ও। কখনও মনিকে নিয়ে ওরকম চিন্তা মাথায় আসেনি তার। তবে সে ভেবে পায় না, মনি কি অন্য সবার চেয়ে আলাদা? তার মাঝে কী নেই, যেটা ঐ মেয়েগুলোর মাঝে আছে, এমনকি ঐ ম্যাডামের মাঝেও আছে?
তবে মনিকে নিয়ে রাজ ওরকম কিছু না ভাবলেও, মনি কিন্তু রাজকে নিয়ে অনেক কিছু ভাবে। তার ভালো লাগা জুড়ে রয়েছে শুধু রাজ। সেই শৈশবে যখন রাজের বউ সেজে খেলতো, তখন থেকেই সে নিজেকে সত্যি সত্যি রাজের বউ ভাবতে শুরু করে। তাই একবার যখন তার বদলে রিতা রাজের বউ সাজে, তখন মনি সেটা মানতে পারেনি। ধীরে ধীরে যখন ওরা বড় হতে থাকে, মনির বুকে ভালোবাসাও বাড়তে থাকে রাজের জন্য। ভালোবাসা কী, তা ছেলেদের বুঝতে দেরি হলেও মেয়েরা বারো-তেরো বছর বয়সেই বুঝে যায়। এদিক দিয়ে মেয়েরা ছেলেদের তুলনায় এগিয়ে। মনিও তার মনের বিশাল রাজ্যের একমাত্র অধিপতি করে রেখেছে রাজকে। রাজের সঙ্গ ওর ভালো লাগে, রাজের স্পর্শে সে শিহরিত হয়ে উঠে। এখন পাশাপাশি হাঁটার সময়ও ইচ্ছে করে মনি রাজের হাতে হাত ছুঁয়ে দিচ্ছে। আর ভালোবাসার অনুভূতি নিচ্ছে। তবে এতে রাজের কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। মনি যে একটা মেয়ে, এই ভাবনাটা কখনও আসেনি রাজের মনে।
.
.
বিকেলে তিনজনে মিলে ওরা খালের ধারে বাঁধা নৌকাটা খুলে চড়ে বসলো। নৌকার এক মাথায় বীথি ও মনি বসেছে। অন্যমাথায় বৈঠা হাতে বসেছে রাজ। তার কাধে চুপচাপ বসে আছে প্রিয় ময়না পাখিটি। ময়না পাখিটা মানুষের মতো সব কথা বলতে পারে। রাজ ওর নাম দিয়েছে সম্রাট।
রাজ পানিতে বৈঠা চালালো। ধীরে ধীরে এগোতে লাগলো নৌকা। চারপাশে সবুজ ধানক্ষেত। আর উপরে হেমন্তের নীল আকাশ। আকাশে উড়ে বেড়াচ্ছে নানারকম পাখি। রাজ সম্রাটকে জিজ্ঞেস করে,
-সম্রাট, তোর কি ঐ পাখিদের সাথে হারিয়ে যেতে ইচ্ছে করে না?’
সম্রাট নাকিসুরে জবাব দিলো,
-না, আমি তোমাদের ছেড়ে কোথাও যাবো না।’
ওপাশ থেকে মনি বললো,
-সম্রাট, তোর উপর এখন আমাদেরও ভাগ আছে। আমাদের কাছে আয়…’
সম্রাট রাজের দিকে তাকালো। রাজ মাথা নেড়ে বললো,
-যা…’
উড়ে গিয়ে সম্রাট মনির কোলে গিয়ে বসলো। মনি ওকে আলতো করে ধরে আদর করলো। তার কাছ সম্রাটকে হাতে নিলো বীথি। বীথিও একইভাবে সম্রাটকে আদর করে বললো,
-সম্রাট, আমি তোকে বিয়ে করবো। তুই রাজি কিনা বল।’
সম্রাট বললো,
-ছেড়ে দাও আমাকে, তুমি পঁচা কথা বলো।’
সম্রাটের কথা শুনে তিনজনে হেসে উঠলো। হাসতে হাসতে বীথি আবার বললো,
-আমি দাদুকে বলবো, তোর আর আমার বিয়ে দিতে। তারপর তুই শুধু আমার হয়ে যাবি। ওরা কেউ আর তোর ভাগ চাইতে পারবে না।’
-তুমি পঁচা! তুমি পঁচা!’ ডানা ঝাপটাতে লাগলো সম্রাট। ওদের হাসি আরও বেড়ে গেল। বীথির হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে সম্রাট আবার উড়ে চলে এলো রাজের কাঁধে। রাজ বললো,
-তুই ওদের কাছে আর যাইস না। ওরা দুজনই তোর দিকে খারাপ দৃষ্টি দেয়। পঁচা ওরা।
-যাবো না আর…’ বললো সম্রাট। সম্রাটের কথা শুনে হাসি আরও বেড়ে গেল বীথি ও মনির। হাসতে হাসতে একজনের গায়ে আরেকজন পড়তে লাগলো। হঠাৎ টাল সামলাতে না পেরে নৌকা থেকে পানিতে পড়ে গেল মনি। তারপর রাজ আর বীথি মিলে ওকে হাত ধরে তুলে আনলো নৌকাতে। পুরো শরীর ভিজে গেছে ওর। ভেজা কাপড় শরীরের সাথে লেগে যাওয়ায় শরীরের ছাপ বোঝা যাচ্ছে। কৈশোরে পা দেওয়ার পর থেকে রাজ কখনও মনিকে এভাবে ভেজা শরীরে দেখেনি। আজ হঠাৎ দেখে চোখ আটকে গেল তার। মনিও লক্ষ করলো রাজের দৃষ্টি। রাজের মনের অবস্থা বুঝতে পেরে সে লজ্জা পেল। চোখে চোখ রাখতে পারলো না সে রাজের।
.
.
রাতের বেলায় রাজ জানালার পাশে বসে তাকিয়ে আছে বাইরে। বাইরে তখন চাঁদের আলোতে সবকিছু দেখা যাচ্ছে। চাঁদের আলোতে বাইরের দৃশ্যগুলো দেখতে দেখতে রাজ মনির কথা ভাবছে। মনিকে আজ প্রথম সে এত মনোযোগ দিয়ে দেখেছে। অন্য মেয়েগুলো থেকে কি আলাদা মনি? ভাবতেই জানার আগ্রহ বেড়ে গেল তার। জানালার পাশ থেকে উঠে সে পড়ার টেবিলে গেল। ওখানে বীথি আর মনি পড়ছে। রাজ গিয়ে মনির হাত ধরে বললো,
-আমার সাথে আয়…’
রাজের স্পর্শে পুরো শরীর কেঁপে উঠলো মনির। কোনো প্রত্যুত্তর না করে সে রাজের সাথে চললো। রাজ তাকে একটা রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো। মনি নির্বাক। কী হচ্ছে এসব তার মাথায় ঢুকছে না। রাজ তার মুখোমুখি দাঁড়িয়ে খুটিয়ে দেখতে লাগলো তাকে। একটা লাল পাড়ের সাদা শাড়ি পরেছে মনি। পুরো শরীর খুঁটিয়ে দেখে রাজ বললো,
-শাড়িতে তোকে খুব সুন্দর লাগছে।’
রাজ কখনও এভাবে কথা বলে না মনির সাথে। হঠাৎ রাজের মুখে এমন কথা শুনে অবাক হলো মনি। তবে লজ্জা পেলো আরও বেশি। লজ্জায় সে কোনো কথা বলতে পারলো না। মাথা নিচু করে ফেললো। রাজ তার দুকাধে হাত রাখলো। সাথে সাথে মনির পুরো শরীর কেঁপে উঠলো আবার। চোখ বন্ধ করে ফেললো সে। রাজ বললো,
-মনি, আমি তোকে কখনও মেয়ে মনে করিনি। অন্য মেয়েদের থেকে তোকে আলাদা ভেবে এসেছি। এখনও তাই ভাবি।’
মনি চোখ খুললো। সরাসরি তাকালো রাজের চোখের দিকে। ঐ চোখের ভাষা বুঝতে পারলো মনি। তবে ঐ চোখে কোনো কামভাব ছিল না। রাজ আবার বললো,
-আমি তোর সবকিছু দেখতে চাই।’ বলেই মনির শাড়ি ধরে টান দিতে চাইলো সে। মনি বাধা দিয়ে বললো,
-কী করছিস এসব?’
-খারাপ কিছু করবো না তোর সাথে। শুধু একবার দেখবো, অন্য মেয়েদের সাথে তোর পার্থক্য খুঁজবো।’
-ছাড়ো আমাকে।’ মনি শাড়ি ছাড়িয়ে দরজা খুলে বেরিয়ে গেল। পেছনে ওর কান্নার শব্দ শোনা গেল। রাজ স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। সে তো খারাপ কিছু করতে চাইনি মনির সাথে। বন্ধু হিসেবে একবার দেখতে চেয়েছে ওর সবকিছু, শুধু মেয়েদের রহস্য জানার জন্য। আজ ভেজা কাপড়ে মনিকে ওভাবে দেখার পর থেকে পুরো মেয়ে জাতিকে ওর রহস্যময়ী মনে হয়েছে। আর সে ঐ রহস্য জানার চেষ্টা করেছে মাত্র। মনির চোখের জল ঝরানোর ইচ্ছে তার ছিল না….
.
.
(চলবে….)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here